নিজের কাছেই বারবার প্রশ্ন করি, জিবনে কি কি পেয়েছি???
সুখ নামের অমূল্য সম্পদ পেয়েছি কি???
পাব কি??
নাকি পেয়েছিলাম???
যদি পেয়ে ও থাকি সেটা অগোচরে এসেছিল আবার চলেও গেছে।
আমি কাব্য, মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান।
.
আমার জিবনের কত গুলো গল্প আছে যেগুলো গল্প না বাস্তবতা। যখন আমার বয়স চার (৪) তখন আমার জন্মদাত্রী মা ইহলোক ত্যাগ করে।
.মায়র ভালবাসা খুব কম সময়ই পেয়েছি।
.
মায়ের মৃত্যুতে বাবা চুপচাপ হয়ে যায়।
বাবা মা কে খুব ভালবাসতো। জিবনে শ্রেষ্ট ভালবাসার তিনটি জিবন্ত নিদর্শন দেখেছি।
তার মধ্য বাবাও একজন।
উপদেশ দেওয়ার দিক থেকেও বাবা আমার জন্য সবর্শ্রষ্ট শিক্ষক।মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আর বিয়ে করে না।
.
কারণ আন্য কেউ হয়তো আমাকে মেনে নিতে পারবে না।
বাবা যখন প্রতিদিন হাত পুড়ে রান্না করতো তখন আমার খুব খারাপ লাগতো অনেকে অনেক চেষ্টা করেও বাবাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি করাতে পারে নি।
প্রায় সময়ই মায়ের কথা মনে হত।কিন্তু বাবা কে বলতাম না। বাবাকে মায়ের কথা বললেই বাবার মন বিষন্ন হয়ে যেত।
.
যাআমি কখনোই চাই না।
জিবনে মা কে হাড়িয়েছি তাই বাবাই আমার কাছে সব।
আমি কারো সাথে তেমন মিশতাম না।
একা থাকতে আমার খুব ভাল লাগে।তাই আমার মনের দুঃখ শেয়ার করার মত কোন বন্ধু হয়ে ওঠে নি।
.
তবে সব কথা আমার বাবার সাথেই শেয়ার করতাম। সব বিষয় শেয়ার করতে পারতাম না। কারণ কথা গুলো শুনলে বাবার মন খারাপ হয়ে যাবে।
.
যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন আমি মারাত্নক ভাবে কষ্ট পেয়েছিলাম। জিবনে দ্বিতীয় বার কষ্ট পেয়েছি। আমি দেখতে সুন্দর না।
আর তাই ক্লাসে সবার শেষে বসতাম।আর মনযোগ দিয়ে স্যারের কথা শুনতাম। যেহেতু পিছনে বসতাম তাই কেউ আমার সাথে কথা বলতো না।
মনে হয় আমি ভিন্ন গ্রহের মানুষ, যারা মানুষের শক্র।
.
সবাই আমাকে কাইল্যা বলে ডাকতো। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও পরে আর কিছু মনে হয় নি।.
.
দিন টি ছিল শনিবার। ইংরেজি স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। পড়া ধরতে শুরু করলেন।ভাগ্যক্রমে কারোই পড়া হয় নি।স্যার কে বললাম আমার পড়া হয়েছে। স্যার বলল, কিরে কাইল্যা তুই আবার পড়তেও জানোস???????
স্যারের কথা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। স্যার কে বলেছিলাম, স্যার কালো রা কি মানুষ না????????
.
.স্যার বলল মুখে মুখে কথা।।।।।
জানিস আমি তোকে আজই স্কুল থেকে বেড় করে দিতে পারি।।।।। আমি আর স্যার কে কিছু বললাম না।
কথা টা বাবা কে বললাম।।
বাবা বলল শোন মানুষের বর্ণে নয়, মনুষ্যত্বের গুনে পরিচিত হতে হবে।
.
আমি জানি তুই অনেক বড় হবি। আমি তো কিছুই দিতে পারি নি। আর নিজেও অভাবের কারনে পড়তে পারি নি। তুই আমার স্বপ্ন পূর্ন করবি। বাবাকে বললাম দোয়া করো, আমি তোমার স্বপ্ন পূর্ন করব।।
.
.
.
s.s.c পরিক্ষা দিয়েছি , তার রেজাল্ট দেবে আজ। স্কুলে গেলাম।
গিয়ে জানতে পারলাম সবার থেকে ভালো করতে পেরেছি।
বাবার স্বপ্ন পূর্ন করতে পেরেছি।
অনেক ভাল লাগছে, জানি খবর টা শুনলে বাবাও খুশি হবে।
তাই দেরি না করে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
.
বাবা এই সময় বাসায় থাকে। আসার সময় মিষ্টি নিতে ভুল করি নি।
বাসার সামনে অনেক মানুষের ভির। ব্যপার কি?? এত মানুষ কেন আমার বাসায়???
এত মানুষ এক সাথে দেখেছিলাম মা মারা যাওয়ার দিনে।
.
তাহলে কি আজ বাবাও????
আমার ধারণাই ঠিক হল।খুশির দিনে বাবাও চলে গেল।স্বার্থপর পৃথিবী তে থাকলাম শুধু আমি।
.
-কাঁদতে ও পারছি না।বেশি কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদতে পারে না, আমার ও তাই হয়েছে।
.
পৃথিবী তে আমি ছন্নছাড়া। এই বিপদে পাশে দাড়িয়েছিল নাজমিন।
নাজমিন আমার প্রতিবেশী।
মেয়েটা কেমন যেন ভিন্ন স্বভাবের। মাঝেমাঝে নিজেই বুঝি না ওর কর্মকান্ড। অনেক কেয়ার করে। মাঝেমাঝে বিরক্ত লাগে।
.
আমাকে এত কেয়ার করা লাগবে কেন????
কে হই আমি ওর???
.!
বেচে থাকতে হলে খাবার দরকার। বাবর স্বপ্ন পূর্ন করার জন্য ও খাবার সংগ্রহের জন্য কাউকে না বলে চলে আসলাম শহরে।
বলবই বা কাকে??? কে আছে আমার????
নাজমিন কে বলতে গেলে ওর অশ্রু ভেজা চোখ দেখতে হবে।ঐ চোখ দুটিতে অসম্ভব মায়া আছে। যে মায়ায় আমি পড়তে চাই না।
.
কি লাভ মায়ায় পড়ে??
অনুভুতি গুলো কে হত্যা করেছি। আর মায়া বড় অদ্ভুত জিনিস কখন যে কমে যাবে তা বলা কঠিন।
.
এখন আমি স্বাধীন, একা চলেছি, একা আছি, একাই থাকবো। কোন এক দিন বাবা মার মতো আমিও হাড়িয়ে যাব সুন্দর এই পৃথিবী থেকে।
সুখ নামের অমূল্য সম্পদ পেয়েছি কি???
পাব কি??
নাকি পেয়েছিলাম???
যদি পেয়ে ও থাকি সেটা অগোচরে এসেছিল আবার চলেও গেছে।
আমি কাব্য, মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান।
.
আমার জিবনের কত গুলো গল্প আছে যেগুলো গল্প না বাস্তবতা। যখন আমার বয়স চার (৪) তখন আমার জন্মদাত্রী মা ইহলোক ত্যাগ করে।
.মায়র ভালবাসা খুব কম সময়ই পেয়েছি।
.
মায়ের মৃত্যুতে বাবা চুপচাপ হয়ে যায়।
বাবা মা কে খুব ভালবাসতো। জিবনে শ্রেষ্ট ভালবাসার তিনটি জিবন্ত নিদর্শন দেখেছি।
তার মধ্য বাবাও একজন।
উপদেশ দেওয়ার দিক থেকেও বাবা আমার জন্য সবর্শ্রষ্ট শিক্ষক।মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আর বিয়ে করে না।
.
কারণ আন্য কেউ হয়তো আমাকে মেনে নিতে পারবে না।
বাবা যখন প্রতিদিন হাত পুড়ে রান্না করতো তখন আমার খুব খারাপ লাগতো অনেকে অনেক চেষ্টা করেও বাবাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি করাতে পারে নি।
প্রায় সময়ই মায়ের কথা মনে হত।কিন্তু বাবা কে বলতাম না। বাবাকে মায়ের কথা বললেই বাবার মন বিষন্ন হয়ে যেত।
.
যাআমি কখনোই চাই না।
জিবনে মা কে হাড়িয়েছি তাই বাবাই আমার কাছে সব।
আমি কারো সাথে তেমন মিশতাম না।
একা থাকতে আমার খুব ভাল লাগে।তাই আমার মনের দুঃখ শেয়ার করার মত কোন বন্ধু হয়ে ওঠে নি।
.
তবে সব কথা আমার বাবার সাথেই শেয়ার করতাম। সব বিষয় শেয়ার করতে পারতাম না। কারণ কথা গুলো শুনলে বাবার মন খারাপ হয়ে যাবে।
.
যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন আমি মারাত্নক ভাবে কষ্ট পেয়েছিলাম। জিবনে দ্বিতীয় বার কষ্ট পেয়েছি। আমি দেখতে সুন্দর না।
আর তাই ক্লাসে সবার শেষে বসতাম।আর মনযোগ দিয়ে স্যারের কথা শুনতাম। যেহেতু পিছনে বসতাম তাই কেউ আমার সাথে কথা বলতো না।
মনে হয় আমি ভিন্ন গ্রহের মানুষ, যারা মানুষের শক্র।
.
সবাই আমাকে কাইল্যা বলে ডাকতো। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও পরে আর কিছু মনে হয় নি।.
.
দিন টি ছিল শনিবার। ইংরেজি স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। পড়া ধরতে শুরু করলেন।ভাগ্যক্রমে কারোই পড়া হয় নি।স্যার কে বললাম আমার পড়া হয়েছে। স্যার বলল, কিরে কাইল্যা তুই আবার পড়তেও জানোস???????
স্যারের কথা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। স্যার কে বলেছিলাম, স্যার কালো রা কি মানুষ না????????
.
.স্যার বলল মুখে মুখে কথা।।।।।
জানিস আমি তোকে আজই স্কুল থেকে বেড় করে দিতে পারি।।।।। আমি আর স্যার কে কিছু বললাম না।
কথা টা বাবা কে বললাম।।
বাবা বলল শোন মানুষের বর্ণে নয়, মনুষ্যত্বের গুনে পরিচিত হতে হবে।
.
আমি জানি তুই অনেক বড় হবি। আমি তো কিছুই দিতে পারি নি। আর নিজেও অভাবের কারনে পড়তে পারি নি। তুই আমার স্বপ্ন পূর্ন করবি। বাবাকে বললাম দোয়া করো, আমি তোমার স্বপ্ন পূর্ন করব।।
.
.
.
s.s.c পরিক্ষা দিয়েছি , তার রেজাল্ট দেবে আজ। স্কুলে গেলাম।
গিয়ে জানতে পারলাম সবার থেকে ভালো করতে পেরেছি।
বাবার স্বপ্ন পূর্ন করতে পেরেছি।
অনেক ভাল লাগছে, জানি খবর টা শুনলে বাবাও খুশি হবে।
তাই দেরি না করে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
.
বাবা এই সময় বাসায় থাকে। আসার সময় মিষ্টি নিতে ভুল করি নি।
বাসার সামনে অনেক মানুষের ভির। ব্যপার কি?? এত মানুষ কেন আমার বাসায়???
এত মানুষ এক সাথে দেখেছিলাম মা মারা যাওয়ার দিনে।
.
তাহলে কি আজ বাবাও????
আমার ধারণাই ঠিক হল।খুশির দিনে বাবাও চলে গেল।স্বার্থপর পৃথিবী তে থাকলাম শুধু আমি।
.
-কাঁদতে ও পারছি না।বেশি কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদতে পারে না, আমার ও তাই হয়েছে।
.
পৃথিবী তে আমি ছন্নছাড়া। এই বিপদে পাশে দাড়িয়েছিল নাজমিন।
নাজমিন আমার প্রতিবেশী।
মেয়েটা কেমন যেন ভিন্ন স্বভাবের। মাঝেমাঝে নিজেই বুঝি না ওর কর্মকান্ড। অনেক কেয়ার করে। মাঝেমাঝে বিরক্ত লাগে।
.
আমাকে এত কেয়ার করা লাগবে কেন????
কে হই আমি ওর???
.!
বেচে থাকতে হলে খাবার দরকার। বাবর স্বপ্ন পূর্ন করার জন্য ও খাবার সংগ্রহের জন্য কাউকে না বলে চলে আসলাম শহরে।
বলবই বা কাকে??? কে আছে আমার????
নাজমিন কে বলতে গেলে ওর অশ্রু ভেজা চোখ দেখতে হবে।ঐ চোখ দুটিতে অসম্ভব মায়া আছে। যে মায়ায় আমি পড়তে চাই না।
.
কি লাভ মায়ায় পড়ে??
অনুভুতি গুলো কে হত্যা করেছি। আর মায়া বড় অদ্ভুত জিনিস কখন যে কমে যাবে তা বলা কঠিন।
.
এখন আমি স্বাধীন, একা চলেছি, একা আছি, একাই থাকবো। কোন এক দিন বাবা মার মতো আমিও হাড়িয়ে যাব সুন্দর এই পৃথিবী থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন