একটি ছেলে অনেকক্ষণ থেকে লিয়ানাকে ফলো করছে। ছেলেটির পরনে ফুলহাতা শার্ট ও জিন্সের প্যাণ্ট। ফুলহাতা শার্ট পরা ছেলেগুলো স্বভাবতই ভদ্র হয় কিন্তু এই ছেলেকে ঠিক ভদ্র মনে হচ্ছেনা। ছেলেটির হাতে একটি মোবাইল ফোন। সে ফোন টিপার ভান করে করে লিয়ানার দিকে বার বার তাকাচ্ছে। লিয়ানার খুব বিরক্ত লাগছে। একটা ছেলে কেন বার বার তার দিকে এমন সন্দেহের চোখে তাকাবে।
লিয়ানা রায়হানের অপেক্ষা করছে। রায়হান লিয়ানার প্রেমিক। তিন বছরের সম্পর্ক তাদের।
লিয়ানা একটু এগিয়ে গিয়ে বলল, কি ব্যাপার আপনি কি কিছু বলবেন?
লিয়ানা একটু এগিয়ে গিয়ে বলল, কি ব্যাপার আপনি কি কিছু বলবেন?
ছেলেটা লিয়ানার প্রশ্নে ঘাবড়ে গেল তবু নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, আমি অমিত। আপনাকে আমার খুব চেনা চেনা লাগছে।
জ্বি আপনাদের তো সব মেয়েকেই চেনা চেনা লাগে এটা নতুন কোন বিষয় না। নতুন কিছু থাকলে বলেন।
আপনি এভাবে আমাকে এক পাল্লায় মাপবেন না? আচ্ছা আপনি কি বিসিএস ক্যারিয়ার বিউল্ডারে কোচিং করেছিলেন?
জ্বি করেছি।
আমার মনে হয় আমরা একসাথে কোচিং করেছি।
এমন সময় লিয়ানার ফোন আসল। রায়হান ফোন করে জানালো তার এক ভাই অসুস্থ সে একটু হাসপাতালে যাবে আজ দেখা করতে পারবেনা। লিয়ানা যেন বাসায় চলে যায়।
লিয়ানার ভীষণ রাগ হলো। তবু প্রকাশ করতে চাইল না।
অমিত বলল, তারপর কি অবস্থা আপনার প্রস্তুতি কেমন?
অমিত বলল, তারপর কি অবস্থা আপনার প্রস্তুতি কেমন?
আর প্রস্তুতি?
কেন কি হয়েছে?
একটুও পড়তে ইচ্ছে করেনা।
সেটা আমারো তবে পড়তে তো হবে পরীক্ষা সামনেই।
জ্বি পড়া উচিৎ।
আচ্ছা আপনার হাতে সময় থাকলে কিছুক্ষণ বসে গল্প করতে করতে কফি খাওয়া যাবে।
লিয়ানা দেখল এখন তার কোন কাজ নেই
রায়হানের সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিল কিন্তু তার সাথে যেহেতু দেখা হচ্ছেনা সেহেতু অমিতকে কিছু সময় দেয়া যায়। আর তাছাড়া অমিত তো দূরের কেউ না। তার ক্লাসমেট।
রায়হানের সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিল কিন্তু তার সাথে যেহেতু দেখা হচ্ছেনা সেহেতু অমিতকে কিছু সময় দেয়া যায়। আর তাছাড়া অমিত তো দূরের কেউ না। তার ক্লাসমেট।
কফি খেয়ে অমিত লিয়ানার ফোন নাম্বার চাইল। লিয়ানা কিছু না বলেই তার ফোন নাম্বার দিয়ে দিল। অমিত লিয়ানাকে রিকশায় তুলে দিয়ে তার বাসায় চলে গেল।
রিকশায় থাকা অবস্থায় রায়হান লিয়ানাকে ফোন দিল।
কই তুমি?
রিকশায়?
এখন রিকশায়? বাসায় যাওনি?
না একটা ফ্রেণ্ডের সাথে দেখা হয়েছিল।
কোন ফ্রেণ্ড?
অমিত।
কই অমিত নামে তোমার কোন বন্ধু আছে আগে তো বলনি।
আগে বলিনি তো কি হইছে এখন তো বললাম। ও নতুন ফ্রেণ্ড।
নতুন ফ্রেণ্ড। তাও ছেলে ওকে ভাল।
হুম। এখন রাখি।
লিয়ানা ফোন রেখে দিল।
রাত তখন বারোটা ত্রিশ অমিত ফোন করল,
কি করেন?
না এইত বসে আছি।
মন খারাপ মনে হচ্ছে?
নাহ। ঠিক আছে।
আজ আপনার সাথে দেখা হয়ে অনেক কথা হলো খুব ভাল লেগছে। আসলে যখন কোচিং করতাম তখন থেকেই ভাবছিলাম আপনার সাথে কথা বলব। কিন্তু বলব বলব বলেও সাহস করতে পারিনি আপনি কি ভাববেন।
তাই?
জ্বি।
আপনার হাসিটা কিন্তু অসাধারণ। যা আমায় মুগ্ধ করেছে।
এমন সময় রায়হান ফোন করল। লিয়ানা ফোন রিসিভ করল।
কি ব্যাপার ওয়েটিং এ যে।
কেন ফোন আসতে পারেনা?
হা পারে তবে এত রাত্রে কে ফোন দিয়েছে?
দিনের ওই ফ্রেণ্ডটা।
হুম ভাল। বন্ধু পেয়েই আমাকে ভুলে গেছ। সন্ধ্যার পর একটা ফোনও তোই দিলেনা।
ভালো লাগেনি।
হ্যা আমার সাথে তো কথা বলতে ভাল লাগবেনা। আমি তো পুরনো হয়ে গেছি।
রায়হান এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে। মুখ সামলে কথা বলো।
হ্যা আমাকে তো এসব বলবেই আর নিজে কি? রাত দিন অন্যের সাথে কথা।
ছিঃ রায়হান তোমার মন এতো ছোট তা তো আমি জানতাম না।
শুন লিয়ানা, প্রতিটা মধুর ভালোবাসার সম্পর্ক তৃতীয় কোন ব্যক্তির কারনে নষ্ট হয়। সেখানে সেই তৃতীয় ব্যক্তির ভূমিকা অত্যন্ত নগণ্যও হতে পারে তবে তার জন্যই ভেঙে যায় ভালোবাসাগুলো। তারা এইসব সম্পর্ক ভাঙানোর জন্যই কিছুদিনের জন্য তোমার খুব আপন হবে, কিছু দিন গেলেই তাদেরকে আর খুঁজেও পাবেনা।
দেখ রায়হান, তুমি কেন কথাগুলো শুনাচ্ছ জানিনা তবে তোমার সাথে আজ তিন বছরের সম্পর্ক। তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারি? অন্য কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি? মেয়েদের ভালোবাসার শক্তি যে কত বেশি সেটা যদি তুমি জানতে তাহলে কথাগুলো আমাকে বলতে না। ভাল থাক। তোমাকে আমার চেনা হয়ে গেছে।
কই তুমি?
রিকশায়?
এখন রিকশায়? বাসায় যাওনি?
না একটা ফ্রেণ্ডের সাথে দেখা হয়েছিল।
কোন ফ্রেণ্ড?
অমিত।
কই অমিত নামে তোমার কোন বন্ধু আছে আগে তো বলনি।
আগে বলিনি তো কি হইছে এখন তো বললাম। ও নতুন ফ্রেণ্ড।
নতুন ফ্রেণ্ড। তাও ছেলে ওকে ভাল।
হুম। এখন রাখি।
লিয়ানা ফোন রেখে দিল।
রাত তখন বারোটা ত্রিশ অমিত ফোন করল,
কি করেন?
না এইত বসে আছি।
মন খারাপ মনে হচ্ছে?
নাহ। ঠিক আছে।
আজ আপনার সাথে দেখা হয়ে অনেক কথা হলো খুব ভাল লেগছে। আসলে যখন কোচিং করতাম তখন থেকেই ভাবছিলাম আপনার সাথে কথা বলব। কিন্তু বলব বলব বলেও সাহস করতে পারিনি আপনি কি ভাববেন।
তাই?
জ্বি।
আপনার হাসিটা কিন্তু অসাধারণ। যা আমায় মুগ্ধ করেছে।
এমন সময় রায়হান ফোন করল। লিয়ানা ফোন রিসিভ করল।
কি ব্যাপার ওয়েটিং এ যে।
কেন ফোন আসতে পারেনা?
হা পারে তবে এত রাত্রে কে ফোন দিয়েছে?
দিনের ওই ফ্রেণ্ডটা।
হুম ভাল। বন্ধু পেয়েই আমাকে ভুলে গেছ। সন্ধ্যার পর একটা ফোনও তোই দিলেনা।
ভালো লাগেনি।
হ্যা আমার সাথে তো কথা বলতে ভাল লাগবেনা। আমি তো পুরনো হয়ে গেছি।
রায়হান এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে। মুখ সামলে কথা বলো।
হ্যা আমাকে তো এসব বলবেই আর নিজে কি? রাত দিন অন্যের সাথে কথা।
ছিঃ রায়হান তোমার মন এতো ছোট তা তো আমি জানতাম না।
শুন লিয়ানা, প্রতিটা মধুর ভালোবাসার সম্পর্ক তৃতীয় কোন ব্যক্তির কারনে নষ্ট হয়। সেখানে সেই তৃতীয় ব্যক্তির ভূমিকা অত্যন্ত নগণ্যও হতে পারে তবে তার জন্যই ভেঙে যায় ভালোবাসাগুলো। তারা এইসব সম্পর্ক ভাঙানোর জন্যই কিছুদিনের জন্য তোমার খুব আপন হবে, কিছু দিন গেলেই তাদেরকে আর খুঁজেও পাবেনা।
দেখ রায়হান, তুমি কেন কথাগুলো শুনাচ্ছ জানিনা তবে তোমার সাথে আজ তিন বছরের সম্পর্ক। তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারি? অন্য কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি? মেয়েদের ভালোবাসার শক্তি যে কত বেশি সেটা যদি তুমি জানতে তাহলে কথাগুলো আমাকে বলতে না। ভাল থাক। তোমাকে আমার চেনা হয়ে গেছে।
লিয়ানা ফোন কেটে মোবাইল বন্ধ করে সীমটা বের করে জানালা দিয়ে ড্রেনে ফেলে দিল। কেউ পাবেনা এখন তাকে। সে আজ মুক্ত।
ভালোবাসা হলো একটা বোঝা যারা এই বোঝাকে নিজের ভেবে বইতে পারে তারাই কেবল সফল হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন