সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭

তুমি «««

দুপরে খাবের খেয়ে ঘুমালাম । হঠাৎ কি যানো একটা
স্বপ্ন দেখে জেগে উঠলাম। মনে নেই তবে রুম থেকে
ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়ি। কত দূর গিয়ে মোকলেস এর
দোকান নামে পরিচিত দোকানটা বসে এক কাপ চা
নিলাম। চা’টা চুমুক দিতেই সাকিব এসে হাজির ।
,
®কী বন্ধু আজ এত সকাল সকাল রুম থেকে বাহিরে আসলি ।
©কই ,আছরের আজান দিছে কখন এখন বলছো সকাল, তুই চা
খাবি।
® না , বাসায় যাবো, সবে 3 টা বাঁজে ,আর ঘড়ি দেখছো
আজ ।
((ঘড়ি দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি 3 টা বাঁজে))
©আচ্ছা তুই যা, আমি আছি,খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি
আয়।,
(ঘুমটা কিসের জন্য ভেংঙ্গে গেলো যানি না )
,
ও চলে গেলো বসে রইলাম অনেক খন একা একা ,কী স্বপ্ন
দেখলাম। যাক ওটা নিয়ে চিন্তা না করে বসে আছি আর
একটা গল্প নিয়ে ভাবছি। হঠাৎ মুন্না এসে বললো ,
,
®কী আজ তোর এত সকাল সকাল রুম থেকে বের হওয়া।
©না এমনি , ভালো লাগছিলো না। চল এলাকার রাস্তায়
হাঁটি
®চল
,
দুজনে হাঁটতে লাগলাম, ও ওর জিএফ এর সাথে কথা বলছে
আর আমি একটা গল্পর থিম নিয়ে ভাবছি।
ও আবার আমার সম্পর্কে ওর জিএফ এর সাথে আলাপ
করছে।
,
আমার সাথে কথা বলবে ,
হ্যালো বলতে কেমন যানো পরিচিত মনে হচ্ছে। তারপর
অনেক কথা বললাম। মুন্নার থেকে আমি ওই দিন কথা
বললাম বেশি। আমার একটা হারানো প্রেম এর গল্প
শুনালাম । শুনলাম মেয়েটা কান্না করছে। বুঝতে পালাম
না কেন। আমার নাম জিজ্ঞাস করছিলো সহজে M J বলে
দিলাম। কিন্তু বললো পুরো নাম টা কি? মাসুম বলতে
ফোনটা কেটে দিলো। বন্দু বললো কি হইছে ফোন কেটে
দিছে। আমি বললাম হ্যাঁ তবে কাঁদছে ।
,
ও আবার কল দিলো কল দিয়ে বললো তুমি কাঁদছো কেন?
বললো না এমনি । তবে আমার মেয়েটার নামটা জানা
হলো না।
মুন্নার আর ওই মেয়েটার প্রেম নাকি সবে 10 দিন কেউ
কাউকে দেখে নি।
,
আমায় বললো দোস কালকে দেখা করতে চাই। ও রাজি
দেখা করবে । তুই চল না আমার সাথে ,আমার একটু সাহস
হবে ।
,
আমার মনটা বালো ছিলো না যাকে নিয়ে গল্প বললাম
তাকে শুধু ছবি আর মেসেঞ্জার এ কথা হতো দুজন দুজনকে
তুই থেকে তুমি তে পরিনত করলাম। যেদিন ও লাভ ইউ বলে
ছিলো তখন আমি লাইনে ছিলাম না । ওর আইডিটা
ডিজেবেল হয়ে গেছে । ওকে আর রিপলাই দিতে পারলাম
না। এখনো ওকে খুজি মনে মনে কিন্তু কোথাও পাইনি।
তবে, ওই আমার আইডিটা কয়েক দিন পড় ডিজেবেল হয়ে
যায় । তার পড় ওকে পাওয়ার আসা ছেড়ে দি। কিন্তু এই
কণ্ঠটা পরিচিত লাগছে অনেক।
,
বললাম আচ্ছা আমি যাবো। তবে তোদের কাছে থাকতে
পারবো না।
,
পরের দিন গেলাম।
,
মুন্নার কথা মত, আমার পছন্দ মত কিছু গিফট কিনলাম,
কয়েকটা সুন্দার তাজা গোলাপ কিনলাম সকাল সকাল
তাই হয়তো সে দিন পাইছিলাম ওমন তাজা গোলাপ।
,
দুজন গেলাম। অনেক খন হলো আসছে না ।রৌদ্র গলা
শুকিয়ে গেছে মুন্না বললো যা একটা ঠান্ডা নিয়ে আয়।
আমি মুন্নার হাতে সব কিছু দিয়ে। একটা গোলাপ আমার
পকেটে রেখে দিলাম। ওইটা আমরা সব চাইতে ফেভারেট
ফুল ছিলো।
,
সামনের দোকান টায় গিয়ে একটা ঠান্ডা আনতে । চোখ
পড়লো একটা রিক্সা করে মেঘলা আসছে। ঠান্ডা’টা
হাতে নিয়ে গেলাম কাছে গেলাম । ও আমায় দেখে
অবাক,
,
ছেলে =তুমি
,
মেয়ে=তুমি
,
এখানে কোথা থেকে। জানো তোমায় কত খুজেছি এই
একটা বছর, পাগলের মত তোমার সেই নাম লেখে সার্চ
দিয়ে খুজেছি। তুমি আমায় কখনো বলেছো তোমার বাড়ী
এই শহরে।
,
তোমায় বলবো বলেও সেই দিন বলা হয় নি, অনেক চেষ্টা
করে ছিলাম। কয়েক দিন পড় দেখি তোমার আইডি’টা নেই
আর।
তোমায় আমি খুজেছি দেখো তোমার ছবি এখনো আমার
মমোবাইলে আছে।
,
তুমি আমায় এখনো ভালোবাসো ।
,
বাসি তবে আমি যে আরেক জনকে কথা দিয়েছি।
,
আমি তোমা অনেক ভালোবাসি প্লিজ তুমি একটা কিছু
করো । কে সে? নাম কি? কই থাকে? আমায় বলো, আমি
ওকে বুঝিয়ে বলবো। ওকে বলবো তোমায় জেনো ভুলে
যায়। আমি তোমায় সত্যি অনেক ভালোবাসি।
,
ওর নাম মুন্না? এই শহরে থাকে?
(মুন্না নামটা বলতে সব শেষ হয়ে গেলো মুখ শুকিয়ে
গেছে। )
তুমি ওর বন্ধু । সেই দিন তুমি আমায় আমার গল্পটা শুনিয়ে
ছিলে তখন বুঝতে পারিনি তবে নামটা যখন বললে তখন
মনে হলো তুমি । আর তুমি আমায় এত ভালোবাসতে
যানতাম না। মুন্না আমার বন্ধু ছিলো কিন্তু আজ যদি তুমি
না আসতে তা হলে এটা আর সম্ভব হতো না। আমি তোমায়
আবার ভালোবাসতে চাই।
,
মুন্নার কী হবে।
,
তুমি চাও ,তোমাদের দু জনকে এক সাথে ভালোবাসি ।
,
না মানি।মুন্না তোমায় অনেক ভালোবাসে তোমার কথা
অনেক বার বলছে।
আমি চলে যাই তোমরা সুখী হও।তুমি আর মুন্না সুখী জীবন
সাজাও।
,
মুন্না এসে বললো ,কিরে কেমন সারপ্রাইজ দিলাম।
এটা আমাদের প্লান ছিলো বন্ধু, তুই যেদিন এসে আমায়
মেয়েটির ছবি দেখিয়ে ছিলি তখন ও আর আমি বন্ধু
ছিলাম ।
তার পর দুজনে যুক্তি করে এটা করলাম।
চালিয়ে যাও । পুরোটা প্লান ছিলো ।তবে ভেবনা আমি
পাশে আছি যদি প্লান সাঁজানো লাগে আবার আমায়
বলো। আমি চলি এবার।
,
শুধু তোমায় পরিক্ষা করার জন্য এতটা কাহিনি ।চাইনি
তবে মুন্না বললো একটু পরিক্ষা করে নিতে তাই।
আমারা এটা সব পরিকল্পনা করা ছিলো অনেক আগের।
,
আমি আর মেঘলা দুজন দুজন’কে
জড়িয়ে দরে কাঁদতে লাগলাম। বললাম আর কোন দিন কেউ
কাউকে ছেড়ে চলে না যাওয়ার প্রমিজ করলাম।
তার পড়,,,,,,
,
বিয়ে হলো
,
সুখে আবার এক সাথে পথ চলা শুরু করলাম, ,,,,
,
আমাদের একটা বেবী হলো, যার নাম আদর রাখা হলো।
এখনো চলছে সেই সুখী পরিবার খুঁনশুটি সেই আলাপে ।
,
ছেলেটা বয়স এক বছর আজ।
,
হাজার স্মৃতি গল্প ঘটে গেছে আমাদের জীবনে। এখন শুধু
সুখ আর সুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন