শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

কষ্টের ফেরীওয়ালা

ভাল লাগতেছে না। কলেজে যেতেও মন চাইতেছে ন। কিছুদুর যাওয়ার পর রাস্তার পাশে একটা ডায়রী রক্ত মাখা।দুরে একটা কলম পড়ে আছে। কিছু দুরে অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটেছে। আগ্রহ বেড়ে গেল।তাই বাসায় ফিরে রুমের লক করে পড়া শুরু করলাম
.......
-----> সাকাল ৯.৩০
কলেজ কম্পাস টা বড় হয়ে গেছে। ব্যাস্ত কলেজের ছাত্র গুলো। বেশির ভাগ কাপুত কুপুতি। জোড়া জোড়া মনে হচ্ছে না এটা কলেজ কম্পাস।মনে হচ্ছে এটা পার্কের কোন একটা অংশ। কাজের অভাব নাই আবার কথা বলার শেষ নাই।চলছে কথার মেলা।
.
হঠাৎ পাশে বসার শব্দ হলো। আরে এতো হৃদয়।
হৃদয়ঃ কি ভাবিসরে রাকিব,,,
আমিঃ কিছু না। ব্যাস্ত মনে হচ্ছে তোকে,,??
হৃদয়ঃ ঠিক বলেছিসরে রাকিব,,,,,ওকে রাকিব পরে কথা হবে গেলাম দুচ,,,
------বাই
-------বাই
.
চন্দ্রটা একা। সুর্যটা একা। আকাশ টা একা। ভাবতেই ভাল লাগে আমি ও একা। ভাবতেই হঠাৎ বুকের ডান পাশটাই ব্যাথা করলো।আমি একা কেন,,?
আমার তো বাবা আছে মা আছে ছোঠ ভাই গুলো আছে।মনে পড়ে গেল....
.
সকাল ৭.৩০
----->বাবা কলেজের ফি দিত হবে ৫ হাজার টাকা
-----> এতো টাকা আমি কোথায় পাবো। তুকে টাকা দিতে আমার ব্যাংকের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। চেয়ে দেক তোর আরো দুইটা ছোট ভাই আছে ওদের কথা ভাব।
----->কি করবো...? কালকেই লাষ্ট দিন,।
---->আমি কিছু করতে পারবো না।
-----বাবা,,, প্লিজ আমাকে লাষ্ট বার টাকাটা দাও,,আমি চাকরি খুজে নিব,,(সাধারনত আমি কারো কাছ থেকে কিছু এতো মিনতি করে চাই না)
----->পারবো না। সামনে থেকে যা। আমার মুল্যবান সময় নষ্ট করিস না।
----->তাহলে আমাকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দিছ কেন,,?
-----> সামনে থেকে যাবি কিনা বল। নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব।
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল,,,,
.
বের হয়ে গেলাম পকেটে ২ হাজার টাকা। চলে গেলাম কালু তলার গলি থেকে কালু মাস্তানের কাছে।কিচুক্ষন কথা বলে চলে আসলাম
.
সকাল ৮.১৫
ঘরের দুই কোনে দুইটা লাশ একটা বাবার একটা মায়ের। মাকে মারার কোন কারণ ছিলো না কিন্তু দেখে ফেলছিলো তাই মেরে দিলাম।
.
আলমারি থেকে ১০ হাজার টাকা নিলাম। কাজ শেষ লাশ গুলো গুম করে ফেলতে হবে। কালো মাস্তানকে কল দিলাম ৫ হাজার চাইলো। সমস্যা নাই দিয়ে দিলাম।
.
ঘর পরিষ্কার। খুনের কোন প্রমাণ নাই।রক্তের ছাপ ও নাই। কেউ সন্দেহ করার কারণ ও নাই।
.
সকাল ৯.০০
টাকা জমা দিলাম কলেজে. কিছু ভাল লাগতেছে না। কিন্তু কিছু করার নাই। পৃথীবিটা বড়ই নিষ্টুর। থানায় যেতে হবে জিডি করাতে।একবার সংবাদ অফিসে যেতে হবে নিখোঁজ বিঙ্গপ্তি দিতে হবে।
বুঝেন তো সরকারি কর্মচারি এমণ ভাবে হঠাৎ ওধাও ভাল ঠেকে না।
.
জিডি করালাম।আত্বিয় সবাইকে ফোন দিয়ে বলে দিলাম বাবা মাকে খুজে পাচ্ছি না।বাসায় ফিরে দেখি ভাইরা কান্না করতেছে। সবাইকে ঠান্ডা মাথায় সান্তনা দিলাম।
.
রাত ১১.২০
কয়েক জন মানুষ আমাকে খুব মারছে। টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কাটাঁর ওপর দিয়ে শরীর ছিড়ে যাচ্ছে।হঠাৎ একজন আমার পাটা কেটে নিল। আমার শরীরে একবিন্দু পরিমাণ শক্তি নায়।বাধা দিতে পারতেছি না।বাকি পাটায় ছুরি বসাতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। এতোক্ষন দুঃসপ্ন দিখছিলাম।
.
ছাদের কোণায় বসে আছি।নিজেকে সবচেয়ে বেশি খারাপ লোক মনে হচ্ছে। কিন্তু কেন।আমিতো এলাকার সব চেয়ে ভাল ছেলে।যাকে লুকে দরকার হলে মসজিদে খুজতে যেত। হঠাৎ এই আমি কেন?
.
নিজে কে ক্ষমা করা যাচ্ছে না।ছাদের কোণে ঘুমিয়ে পরলাম.
.
ছি ভাই ছি. শেষ পর্যন্ত তুই বাবা মাকে মেরে দিলি।তোর কাছে তো আমরা এই সব আশা করি নি। কত টাকা লাগবে একবার আমাদের জানাতে পরতি।আমরা চুরি করে হলেও দিতাম। তবু তো এই রকম এতিম হতাম না। ভাইরা চলে গেল
.
মামাতো বোন আসলো সে ও একই কথা। নিজের প্রতি ঘৃনা বাড়তে শুরু করেছে। কেন বাড়বে না ওতো আমার জানের জান। যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে সেই ছোট থেকে।
.
এলাকা বাসি সবাই ছি ছি করতে থাকলে এক ঘরে করে দিল গ্রাম সর্দার। সবাই রাতে এসে ঢিল ছুটে।
.
একটা হাতের স্পর্স পেয়ে চমকে ওঠলাম। ও,, এতো আমার ছোট স্যামি।পুরা শরীর ভিজে গেছে।মনে হয় এতোক্ষন দুঃসপ্ন দেখছিলাম।
.
ও কান্না করতেছে। সান্তনা দিয়ে ঘুমাতে পাটালাম। সে একনো জানে না।জানলে হয়তো সে ও আমাকে ঘৃনা করতো। সপ্নের কথা মনে পড়তে লাগলো।ঘৃনা বাড়তে লাগলো।
.
কি করবো।খারাপ কাজের খবর চাপা থাকে না। সমাজ কি আমাকে ক্ষমা করবে..? না।,,!কেন করবে..? আমিতো ক্ষমা করার মত কাজ করি নাই। তা হলে ক্ষমা কেন করবে,,?
.
ঘরে ভাল লাগতেছে না।রাস্তা দিয়ে হাঠতেছি কোন দিখে খেয়াল নাই। মনে হচ্ছে আমার চারপাশে কিছু নাই। চোখে অন্ধকার দেকতেছি হঠাৎ একটা আলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।।
হয়তো ছেলেটা ট্রাক দুর্গটনায় মারা গেছে,,,,,,
.
বাবা মাদের উদ্দেশ্য বলতেছি,,আপনারা সন্তানদের আশা গুলু পূরন করে দিলে কি হয় না দিলেতো তারা অন্যায় পদ বেচে নিতেতে পারে,,,,আর বন্ধুরা তোমরা কি মনে করো অন্যায় পদ বেছে নিলে তাদের কোন ক্ষতি হবে,,,,,,,??

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন