গ্রামের মেয়ে রাশিদা। লেখাপড়ায় অনেক ভাল। কুসুমপুর গ্রামের আমজাদ আলির মেয়ে রাশিদা। আমজাদ আলি পেশায় মুদিদোকানী গ্রামের মাঝে সবাই তাকে চিনে।
.
গ্রামের চাঞ্চল্য মেয়ে রাশিদা। এবার সবে এস এস সি দিয়ে কলেজ এ দিয়েছে। কুসুমপুর গ্রাম হলেও অনেক এগিয়ে এখানে দুইটা কলেজ ও পার্ক রয়েছে।
.
সে দিন আমজাদ মিয়া দোকান থেকে ফিরছিল সন্ধ্যার দিকে। হঠাৎ এলাকার ঘটক মুনসুর এর সজ্ঞে দেখা।
:- কিবা আছো আমজাদ ভাই?
:- আছি ভালা। তুমি কিবা মিয়া?
:- আমার তো মিয়া দিনকাল যায় কোন রকমে। দোকান থাইকা আইলা বুঝি?
:- হ মিয়া সন্ধ্যা হইয়া গেছে বাড়ি যামু। তুমি কই থাইকা?
:- ঐ উত্তর পাড়ার কাশেম মুন্সির পুলার লাইগা মাইয়া দেখি।
:- ও তাইলে যাবা কোন দিকে। বাড়ি না অন্য কোনহানে?
:- না বাড়ি যামু। হাতে কি?
:- রাশিদার লাইগা চুরি কিনছিলাম।
:- তা ভাই মাইয়াডারে নিয়া কিছু ভাবছো?
:- মাইয়া কয় লেখাপড়া করব। আর আমি কই বিয়া দিয়া দিমু।
:- মাইয়ারে লেখাপড়া করাইয়া লাভ নাই ভাই।
:- কিন্তু মাইয়ার মায় বুঝে না।
:- বুঝাও। হইলে মুন্সির পুলার লগে গাট বাইন্ধা দেই।
:- পুলায় কি করে?
:- শহরে দোকান আছে পুলার।
:- ঠিক আছে আমি বাড়ি গিয়া বুঝি।
:- দেখো পুলা ভালা সুখে থাকব মাইয়া!
:- আচ্ছা।
.
আমজাদ মিয়ার মনের মাঝে একটা অনুভূতী সৃষ্টি হলো। মুন্সি মানুষ ভালা। পুলাডায় ভালা শহরে দোকান আছে। মাইয়া সুখে থাকব। এর থাইকা বেশি কি আর দরকার। বাড়ি গিয়া হাত মুখ ধুয়ে সে খেতে বসল।
:- রাশিদার মায় একটা কথা আছে?
:- কি কথা কন?
:- রাশিদার জন্য একটা পুলা দেখছি?
:- আপনেরে না কইছি মাইয়ারে পড়ামু আর হের বিয়ার বয়স হয় নাই।
:- পুলাডা ভালা। উত্তর পাড়ার মুন্সির পুলা।
:- যতই ভালা পুলা হোক। মাইয়ার বিয়ার বয়স হয় নাই। আমি বিয়া দিমু না।
:- আর দেখো এত ভালা পুলার আর পামু না।
:- হুনো ডাক্তার আপায় বলছে ১৮ বছরের আগে মাইয়া বিয়া দেওয়া যাইব না।
:- রাখো তোমার ডাক্তার। তোমারেও তো অল্প বয়সে বিয়া কইরা আনছি কিছু হইছিল।
:- এখন যুগ পালটাইছে।
:- হুনো আমি কথা দিছি বিয়া হইব। আমার মুখের উপরে কথা কইলে বাড়ি থাইকা বাইর হইয়া যাও।
:- ঠিক আছে দেন বিয়া আপনার মাইয়া আপনে দেন।
.
রাগে উঠে চলে গেল রহিমা বেগম। ভাত রেখে উঠে গেল আমজাদ মিয়া।
.
পরের দিন আমজাদ মিয়া বাজারে গেল। দোকান খুলে সে বাজারে বসল। এর মাঝে ঘটক আসল। আসে বলল
:- ভাই কি সিদ্ধান্ত নিলা?
:- তুমি মুন্সিরে কইয়ো যদি মাইয়া নেয় তাহলে আমার বাড়ি আইসা মাইয়া দেইখা যায় যেন?
:- আরে মাইয়া নিব না মানে আমি আছি কি জন্য।
:- আচ্ছা যাও তাইলে বিকালে আইসা পান খাওয়ার টাকা নিয়া যাইয়ো।
:- তাইলে উঠি ভাই।
.
এর মাঝে দুই পরিবারের ঘর-বর দেখা দেখি শেষ হইল। তারা সম্পর্ক্য তৈরি করতে নির্দিষ্ট দিনক্ষন বেধে দিল। এর মধ্য এই কথাটা গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মির কাছে গেল সে আমজাদ মিয়ার বাড়িত আসল তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝনোর চেষ্টা করল কিন্তু সে কোন ভাবে বুঝতে চায় না।
.
সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিল আমজাদ মিয়ার দোকান থেকে কেউ সদায় কিনবে না। যেই কথা সেই কাজ আমজাদ মিয়া সারা দিন মাছি তারায় কোন খরিদ্দার তার দোকানে যায় না। তারপরেও বিয়ার দিন চলে আসে কিন্তু হঠাৎ পুলিশ এসে তাদের বাড়িতে।
:- আমজাদ মিয়া শুনেন?
:- জ্বি স্যার কন।
:- আপনার মেয়ের বয়স ১৮ বছর হইনি তার কারনে এর বিয়ে আমরা হতে দিব না।
:- ক্যান স্যার?
:- ১৮ বছরের পুর্বে বিবাহ করা আইনিয় অপরাধ। তাই এর জন্য আপনার জেল হবে।
:- আসলে স্যার আমি বুঝিতে পারি নাই তাই দিতে লাগছিলাম।
:- এখন বুঝেছেন তাই বিয়ে বন্ধ করেন?
:- ঠিক আছে স্যার।
.
বিয়ে বন্ধ হলো মেয়েটি নিয়মিত কলেজ যাওয়া শুরু করল।কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আর দেখতেও ভাল। তাই যেকোন ছেলের মাথা খেয়ে নেওয়ার কীন বিষয় না। তাই হলো তার কলেজ এর একটি ছেলের সাথে প্রেম হলো। চুটিয়ে প্রেম করতে থাকল রাশিদা আর ঐ ছেলেটি। এর মাঝে বন্ধুদের প্রবঞ্চনায় পরে ছেলেটির মাঝে কামিয় নেশা যাগ্রত হয়। সে রাশিদাকে বলল
:- রাশিদা চলো আইজ পার্কে যাই?
:- চলো যাই।
.
একটা নির্জন যায়গা দেখে বসল তারা। হঠাৎ ছেলেটির হাত একটু একটু করে রাশিদার বক্ষের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
:- কি করতাছ।
:- আরে একটু
এই ভাবে কিছুক্ষন পরে দুইজনের মাঝে দুজন হারিয়ে যায়। তারপরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরল। কিন্তু উত্তেজনার বসত তারা সেফটি করতে ভুলে গিয়েছিল। হঠাৎ কিছুদিন পরে মেয়েটির বমি বমি ভাব হয় আর মাথা ঘুড়ে পরে গেল। সে একাই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে গেল। চেক করে তিনি হতাশ
:- রাশিদা এইটা কি করছো তুমি?
:- মেডাম আমি বুঝতে পারি নাই।
:- এখন কি করবে।
:- দেখি মেডাম।
:- আচ্ছা বাসায় যাও আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলছি।
:- না মেডাম বাবাররে কিছু বইলেন না।
:- কেন?
:- বাবা শরির ভালা না। কিছু হইয়া যাইব।
:- তাহলে কি করবে?
:- দেখি।
.
রাশিদা তার প্রেমিক কে ডাকে। আর সব বুঝিয়ে বলে কিন্তু সে তাকে অস্বিকার করে তার ভার নিতে সে অপ্রস্তুত। রাশিদা কোন রাস্তা না পেয়ে বাড়ির কাছের আমের গাছে নিজের উর্না পেচিয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। পরের দিন সকালে তার লাশটি গাছে ঝুলা অবস্থায় দেখে আমজাদ মিয়া স্টোক করে আর প্যারালাইজড হয়ে যায়। একটি সোনার সংসার ভেজ্ঞে চুরমার হয়ে যায়। তখন আর কেউ আমজাদ মিয়ার পাশে দাড়ায় নি। না স্বাস্থ্যাকর্মী বা এলাকার লোক কিংবা পুলিশ। আগে পার্কের নোংড়ামি বন্ধ করি তারপরে বাল্যবিবাহ বন্ধের দাবী জানাই কাজে আসবে।
.
গ্রামের চাঞ্চল্য মেয়ে রাশিদা। এবার সবে এস এস সি দিয়ে কলেজ এ দিয়েছে। কুসুমপুর গ্রাম হলেও অনেক এগিয়ে এখানে দুইটা কলেজ ও পার্ক রয়েছে।
.
সে দিন আমজাদ মিয়া দোকান থেকে ফিরছিল সন্ধ্যার দিকে। হঠাৎ এলাকার ঘটক মুনসুর এর সজ্ঞে দেখা।
:- কিবা আছো আমজাদ ভাই?
:- আছি ভালা। তুমি কিবা মিয়া?
:- আমার তো মিয়া দিনকাল যায় কোন রকমে। দোকান থাইকা আইলা বুঝি?
:- হ মিয়া সন্ধ্যা হইয়া গেছে বাড়ি যামু। তুমি কই থাইকা?
:- ঐ উত্তর পাড়ার কাশেম মুন্সির পুলার লাইগা মাইয়া দেখি।
:- ও তাইলে যাবা কোন দিকে। বাড়ি না অন্য কোনহানে?
:- না বাড়ি যামু। হাতে কি?
:- রাশিদার লাইগা চুরি কিনছিলাম।
:- তা ভাই মাইয়াডারে নিয়া কিছু ভাবছো?
:- মাইয়া কয় লেখাপড়া করব। আর আমি কই বিয়া দিয়া দিমু।
:- মাইয়ারে লেখাপড়া করাইয়া লাভ নাই ভাই।
:- কিন্তু মাইয়ার মায় বুঝে না।
:- বুঝাও। হইলে মুন্সির পুলার লগে গাট বাইন্ধা দেই।
:- পুলায় কি করে?
:- শহরে দোকান আছে পুলার।
:- ঠিক আছে আমি বাড়ি গিয়া বুঝি।
:- দেখো পুলা ভালা সুখে থাকব মাইয়া!
:- আচ্ছা।
.
আমজাদ মিয়ার মনের মাঝে একটা অনুভূতী সৃষ্টি হলো। মুন্সি মানুষ ভালা। পুলাডায় ভালা শহরে দোকান আছে। মাইয়া সুখে থাকব। এর থাইকা বেশি কি আর দরকার। বাড়ি গিয়া হাত মুখ ধুয়ে সে খেতে বসল।
:- রাশিদার মায় একটা কথা আছে?
:- কি কথা কন?
:- রাশিদার জন্য একটা পুলা দেখছি?
:- আপনেরে না কইছি মাইয়ারে পড়ামু আর হের বিয়ার বয়স হয় নাই।
:- পুলাডা ভালা। উত্তর পাড়ার মুন্সির পুলা।
:- যতই ভালা পুলা হোক। মাইয়ার বিয়ার বয়স হয় নাই। আমি বিয়া দিমু না।
:- আর দেখো এত ভালা পুলার আর পামু না।
:- হুনো ডাক্তার আপায় বলছে ১৮ বছরের আগে মাইয়া বিয়া দেওয়া যাইব না।
:- রাখো তোমার ডাক্তার। তোমারেও তো অল্প বয়সে বিয়া কইরা আনছি কিছু হইছিল।
:- এখন যুগ পালটাইছে।
:- হুনো আমি কথা দিছি বিয়া হইব। আমার মুখের উপরে কথা কইলে বাড়ি থাইকা বাইর হইয়া যাও।
:- ঠিক আছে দেন বিয়া আপনার মাইয়া আপনে দেন।
.
রাগে উঠে চলে গেল রহিমা বেগম। ভাত রেখে উঠে গেল আমজাদ মিয়া।
.
পরের দিন আমজাদ মিয়া বাজারে গেল। দোকান খুলে সে বাজারে বসল। এর মাঝে ঘটক আসল। আসে বলল
:- ভাই কি সিদ্ধান্ত নিলা?
:- তুমি মুন্সিরে কইয়ো যদি মাইয়া নেয় তাহলে আমার বাড়ি আইসা মাইয়া দেইখা যায় যেন?
:- আরে মাইয়া নিব না মানে আমি আছি কি জন্য।
:- আচ্ছা যাও তাইলে বিকালে আইসা পান খাওয়ার টাকা নিয়া যাইয়ো।
:- তাইলে উঠি ভাই।
.
এর মাঝে দুই পরিবারের ঘর-বর দেখা দেখি শেষ হইল। তারা সম্পর্ক্য তৈরি করতে নির্দিষ্ট দিনক্ষন বেধে দিল। এর মধ্য এই কথাটা গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মির কাছে গেল সে আমজাদ মিয়ার বাড়িত আসল তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝনোর চেষ্টা করল কিন্তু সে কোন ভাবে বুঝতে চায় না।
.
সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিল আমজাদ মিয়ার দোকান থেকে কেউ সদায় কিনবে না। যেই কথা সেই কাজ আমজাদ মিয়া সারা দিন মাছি তারায় কোন খরিদ্দার তার দোকানে যায় না। তারপরেও বিয়ার দিন চলে আসে কিন্তু হঠাৎ পুলিশ এসে তাদের বাড়িতে।
:- আমজাদ মিয়া শুনেন?
:- জ্বি স্যার কন।
:- আপনার মেয়ের বয়স ১৮ বছর হইনি তার কারনে এর বিয়ে আমরা হতে দিব না।
:- ক্যান স্যার?
:- ১৮ বছরের পুর্বে বিবাহ করা আইনিয় অপরাধ। তাই এর জন্য আপনার জেল হবে।
:- আসলে স্যার আমি বুঝিতে পারি নাই তাই দিতে লাগছিলাম।
:- এখন বুঝেছেন তাই বিয়ে বন্ধ করেন?
:- ঠিক আছে স্যার।
.
বিয়ে বন্ধ হলো মেয়েটি নিয়মিত কলেজ যাওয়া শুরু করল।কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আর দেখতেও ভাল। তাই যেকোন ছেলের মাথা খেয়ে নেওয়ার কীন বিষয় না। তাই হলো তার কলেজ এর একটি ছেলের সাথে প্রেম হলো। চুটিয়ে প্রেম করতে থাকল রাশিদা আর ঐ ছেলেটি। এর মাঝে বন্ধুদের প্রবঞ্চনায় পরে ছেলেটির মাঝে কামিয় নেশা যাগ্রত হয়। সে রাশিদাকে বলল
:- রাশিদা চলো আইজ পার্কে যাই?
:- চলো যাই।
.
একটা নির্জন যায়গা দেখে বসল তারা। হঠাৎ ছেলেটির হাত একটু একটু করে রাশিদার বক্ষের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
:- কি করতাছ।
:- আরে একটু
এই ভাবে কিছুক্ষন পরে দুইজনের মাঝে দুজন হারিয়ে যায়। তারপরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরল। কিন্তু উত্তেজনার বসত তারা সেফটি করতে ভুলে গিয়েছিল। হঠাৎ কিছুদিন পরে মেয়েটির বমি বমি ভাব হয় আর মাথা ঘুড়ে পরে গেল। সে একাই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে গেল। চেক করে তিনি হতাশ
:- রাশিদা এইটা কি করছো তুমি?
:- মেডাম আমি বুঝতে পারি নাই।
:- এখন কি করবে।
:- দেখি মেডাম।
:- আচ্ছা বাসায় যাও আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলছি।
:- না মেডাম বাবাররে কিছু বইলেন না।
:- কেন?
:- বাবা শরির ভালা না। কিছু হইয়া যাইব।
:- তাহলে কি করবে?
:- দেখি।
.
রাশিদা তার প্রেমিক কে ডাকে। আর সব বুঝিয়ে বলে কিন্তু সে তাকে অস্বিকার করে তার ভার নিতে সে অপ্রস্তুত। রাশিদা কোন রাস্তা না পেয়ে বাড়ির কাছের আমের গাছে নিজের উর্না পেচিয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। পরের দিন সকালে তার লাশটি গাছে ঝুলা অবস্থায় দেখে আমজাদ মিয়া স্টোক করে আর প্যারালাইজড হয়ে যায়। একটি সোনার সংসার ভেজ্ঞে চুরমার হয়ে যায়। তখন আর কেউ আমজাদ মিয়ার পাশে দাড়ায় নি। না স্বাস্থ্যাকর্মী বা এলাকার লোক কিংবা পুলিশ। আগে পার্কের নোংড়ামি বন্ধ করি তারপরে বাল্যবিবাহ বন্ধের দাবী জানাই কাজে আসবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন