আমার লাইফে ঘটে যাওয়া অংশ থেকে নেয়া। যার কারনে ভাল নাও লাগতে পারে। একটু কষ্ট করে বুঝে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
,
চার বছর পর আজ মিরাজের সাথে দেখা হল। বেটা আগে কি চিকনা ছিল এখন মোটা হইছে ভালই। অনেক দিন পর দেখা তাই একটা হোটেলে বসে খাইতে খাইতে ভাল মন্দ কোশল বিনিময় করলাম। কথা বলার এক পর্যায়ে হটাৎ করে বলে ওঠলো
-তুই তাই এইটা করতে পারলি বন্ধু!(মিরাজ)
-কোন কাজটা রে
-'মনি'
নামটা শুনার সাথে সাথে ভেতরটা ছ্যাত করে ওঠলো।
-কেন কি হইছে
-এত ভাব ধরিস না। ৪ বছর আগে ওই কাজটা না করলেও পারতি
বুঝতে বাকি রইল না মিরাজ কি বলতে চাইতেছে। কিন্তু জানলো কিভাবে? আমি তো কাওকে কোন দিন বলি নি। কাওকে বুঝতেও দেই নি। তবে আমার চলে আসাতে কি বুঝে নিয়েছিল ওরা? নাকি মনি আমার চোখের ভাষা বুঝেছিল? তবে বলল না কেন?
-এখানে না করার কি হইলো বল(কথাটা কাটাইয়া নিতেও পারছি না)
-কি হইলো মানে! তুই আমার জন্য এত বড় একটা বলি.... শিট নিজেরে আজ এত ছোট মনে হইতেছে যে!
-বাদ দে বন্ধু
-এইটা বাদ দেয়ার হলো কিছু! তুই আমার জন্য মনিরে ছাইরা দিলি আর তুই বাদ দিতে বলস
-(....)
-জানস তুই বন্ধু নামের কলঙ্ক। সেই দিন একবার তো বলতে পারতি
-কি বলতাম তোকে হ্যা? আমি তো তোকে দেখছি তুই কতটা পাগল হয়ে গেছিলি ওর জন্য। তারপর তোর মাঝে কাটা হইয়া কেমনে থাকি। আমারও তো একটা দ্বায়িত্ব আছে কিনা বল
-কোন লাভ হইছে! আজ তুই পাইছত? আমি পাইছি?
-সেইদিন কি আমি পাইতাম?
-আমি করাইয়া দিতাম
-তাইলে হইছে। কথা বাদ দে চল তো
,
আমি আমিই। আর ও আমার জিগরি বন্ধু মিরাজ। বন্ধু বলতে দিনের চার ভাগের দুই ভাগ তো ওর সাথে। সময়টুকু কিভাবে যায় বলাই যায় না। আর ঝগড়া তো আলহামদুরিল্লাহ্। সব বার আমিই বেশি দিছি নিজের হক বেশি মনে কইরা। ঝগড়া হইলেও ৫-১০ মিনিট পরেই আবার মিল। নিজে থেকেই যাই প্রত্যেকবার কারন ভাইয়ের মত ভাবি মারছি তাই আদরও দরকার।
,
যাই হোক এক কালে একটা মেয়েরে পছন্দ করতাম। নাম ছিল মনি। দেখতে শুনতে ভালই ছিল। একই ক্লাসে ছিলাম আমরা। ফ্রেন্ড হিসেবে সম্পর্ক ভালই ছিল আমাদের। ওকে যে ভালবাসতাম বলার সাহসটা হতো না। ভয় পাইতাম অনেক। একেতে চেহারা ভাল না আমার আর দুই যদি না কইরা দেয়। তাই ভাবলাম থাক না যেভাবে আছি ভালই তো চলতেছে। ভাল কি দুইজনকেই বাসতে হবে! আমি না হয় একাই বাইসা ভিন্ন দেখাই।
,
২
আমার এক ফ্রেন্ড মিরাজ। গলায় গলায় ভাব আমাদের। জানি না ও কতটুকু ফ্রেন্ড ভাবে। তবে আমার মত আমি ঠিকই ভাবি। কারব বন্ধুত্ব ভালবাসা এইসবে সম্পর্ক নিয়া খেলা করতে নাই। আর যার সাহস হয়তো আল্লাহ্ তালায় আমায় দেয় নাই।
,
একদিন মেরাজ হটাৎ করে জিজ্ঞেস করল
-তুই কি মনি রে ভালবাসিস বা পছন্দ করিস? সত্যটা বলবি কিন্তু(মিরাজ)
-হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন বল তো?
-না আসলে তোরা এতটা ক্লোজ তাই মনে হইতেছে তোদের মধ্যে কিছু একটা চলে। দেখ আমি একা না সবাই তোদের কথা বলে
(কি বলবো ওকে বুঝতেছি না। ও যে কথাটা বলছে সেইটা সত্যই বলছে কিন্তু শুধু আমি বাসি মনি বাসে না)
-কি পাগল হইলি নাকি সবার মত(বলা যাবে না ওকে নয়তো মনিকে বলে দিতে পারে। এতে ফ্রেন্ডসিপ নষ্ট হয়ে যাবে। না বলা যাবে না কোন মতেই)
-সবাই তো আর আমি না। তুই বল বাসিস কিনা?
-আরে আমরা তো যাস্ট ফ্রেন্ড। তোরা কি যে আবুল তাবুল ভাইবা নেস না
-সত্যি বলতেছিস বন্ধু!
-ধুর বেটা সত্যি কমু না তো মিথ্যা বলমু?
মিরাজ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললো। বুঝলাম না কিছু।
-একটা কথা বলি?(মিরাজ)
-বলবি বল আমি কই না করছি তোরে? আর আমি না বলতে বললে মনে হয় তুই থাইমা থাকিস
-বন্ধু আমি না মনি রে পছন্দ করি
কথাটা শুনার সাথে সাথেই ভেতরটায় দোমড়ে মুচড়াইয়া ওঠলো। ওর কথাটা মাথার ভেতর শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে
-বন্ধু ও যখন হাসে না ওরে এত সুন্দর লাগে না। আর ওই যে মাঝে চোখ ত্যারা কইরা যখন বেংচিটা কাটে না কি বল্মু তোরে(মিরাজ)
-তারপর
-যখন ঝগড়া করে অফ্ কি বলমু তোরে আমি পুরা পাগল হইয়া গেছি রে। সব জায়গায় শুধু মনি আর মনি
-(যতই শুনতেছি ততোই জলতেছে। যদি মিরাজের যায়গায় অন্য কেও হইতো তাইলে এতক্ষনে আস্ত থাকতো না)
-কি হইলো তোর কিছু তো বল
-কি বলবো বল
-ওকে প্রপোজ করবো ভাবতেছি
-করে ফেল অপেক্ষা কিসের। তোদের মানবে রে দোস্ত। সেই মানাবে(আমি তো চাই না ও অন্য কারও হোক। তবুও বুকে পাথর রেখে কথা গুলা বলতে হলো)
-ধুস সালা
-আরেহ্ নাহ্ আসলেই সত্য বলতেছি
-আসলেই বন্ধু
-হুম। এখন বল আমায় কি করতে হবে
-তুই আমার হইয়া বইলা দে না
-যা বলমু নি। এখন চল
,
মিরাজ তো আমার ভাই আমার বন্ধু। আমার বিপদে আমায় অনেক ভাবে সাহায্য করছে। আর আমি বিনিময়ে কি দিসি কিচ্ছু না।
,
আমি যে মনিকে বাসি হয়তো কোন দিন বলতে পারবো কি না সন্দেহ। আর এমনিতেও ও রাজি হবে না আমি জানি। তাইলে কেন আমি মিরাজের কাটা হব। তাই মনি মিরাজের। আর কিছু না করতে না পারলেও এইটুকু তো করতে পারি।
,
৩
স্কুলে যাওয়ার মন চাইতেছিল না আজ। যাইতে হইতেছে ভাইয়ের জন্য
,
আমার কিছু সামনে মনি হেটে যাইতেছে। ভাবতেছি কিভাবে নিজের ভালবাসাকে অন্যের করে বলে দেই। দূর থেকে ডাকতে ডাকতে
-মনি... এই মনি দাঁড়া
-কিরে আজ দেরি করলি যে(মনি)
-না এমনি দেরি হয়ে গেল। একটা কথা বলার ছিল তোকে
-বল কি বলবি
-রাগ করবি না তো
-তুই তো কত কিছুই বলিস রাগ করি কি
-না তা করিস না। কিন্তু
-আরেহ্ বল তো
-মিরাজ না তোকে পছন্দ করে তোকে ভালবাসে
-এইটা তোর কথা? ফাজলামো বাদ দিয়ে সোজা চল
-ফাজলামো না মিরাজ আসলেই তোকে বাসে। কাল আমায় সব খুইলা বলছে যে কতটা বাসে তোকে। আর তুই তো বলতি তুই একটা স্মার্ট ছেলে চাস। যে তোর খেয়াল রাখবে, তোর কথা শুনবে, কষ্ট দিবে না। আর দেখ মিরাজের মধ্যে সব আছে
-তো কি হইছে
-আমি ওকে কথা দিছি রাজি হয়ে যা না প্লিজ
-তুই পাগল!
-দেখ প্লিজ আমার জন্য অন্তত
-যা ভেবে দেখবো
-থ্যাক্স রে। কোন দিন ঋণ শুধ করতে পারবো না রে তোর
-এখন বাদ দিবি এইসব? চল স্কুলে চল এখন
-না রে আমার একটা কথা মনে পইরা গেলো আজ তো দুপুরে আমায় আত্নীয় বাড়ি যেতে হবে যাই রে
কথাটা বলে আর একবারের জন্যও পেছনে তাকালাম না। তাকালে হয়তো চোখের পানিটা দেখে ফেলতো সেইদিন। আমার একটা জিনিস আফসোস রয়ে যায় আমার ভালবাসাটা ও বুঝেছিল না। অথচ মেয়েরা নাকি চোখের ভাষা বুঝে নিতে পারে।
,
পরের এক সপ্তাহের মতো বাসায় কাটাইয়া দিলাম। নাম নিলাম না স্কুলের, বাইরেও বের হলাম না। সৃতি গুলো কষ্ট দিচ্ছিল অনেক।
,
৪
আজ শনি বার স্কুলে যাচ্ছি। কিছু দূর যাওয়ার পর মিরাজ আর মনিকে একসাথে যাইতে দেখলাম। অনেক হাসিখুশি তারা। মানাইছে তাদের। হয়তো একে অপরের জন্য। পিছে হেটে ওদের দেখে যাইতে পারতেছিলাম না। তাই দ্রুত হেটে যাওয়ার সময় মিরাজ পেছন থেকে ডাক দিল।
-কিরে কই ছিলি এত দিন? স্কুলেও আসিস না বাইরেও বের হইতেছিস না কাহানি কি বস!
-কিছু না। আসি দেরি হয়ে যাবে
-আরে দাঁড়া আমরাও তো যাইতেছি
-না তোদের ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে না আমি চলি
চলে আসলাম। যেখানে আমার অস্তিত্য নাই সেখানে আমি থাকবো কেন।
,
-এর পর আর কি তোদের ভালবাসায় তোরা ছিলি আর আমি আমার মতো। এখন বল আমি কি কোন দোষ করছি?
মিরাজ ছটপট করতেছে। হয়তো মার টার দিবে।
-খা****লা নিজেরে দানবির মনে করস তাই না! তুই কি মনে করস নিজেরে হ্যা? বা* ভালই তো শিখছিস। জানস তোকে ফ্রেন্ড ভাবতে এখন ঘিন্না হইতেছে। হারামজাদা থাকতে পারে কিন্তু তোর মতো নাই একটাও(মিরাজ)
-আমি কি করতাম তখন বল? সেইদিন এক দিকে তুই ছিলি আর অন্য দিকে না বলা ভালবাসা
-তাই আমার জন্য এমনটা করবি? বললে কি আমি তোর ভালবাসা চাইতাম
-আরে হল একি কথা বাদ দে। এখন বল মনির কি খবর?
-তুই কথা বলিস না
-তুই আমি তো একই বাদ দে না ভাই
-সম্পর্ক বেশি দিন ছিল না। তুই স্কুল থেকে আইসা পরলি তার কিছু দিন পরেই ব্রেক আপ করে দেয়
-বলিস কি
-হুম। ওর ইচ্ছাগুলো তো তুই ও জানিস। সেই কারনেই চলে গেছে
-সো স্যাড। তুই তাইলে ছ্যাকা খাইছিলি এই তো!
-ও আমি খাইছি আর আপনি খান নাই তাই না! আপনি তো হওয়ার আগেই খাইছেন আবার আইছে আমায় বলতে
-চুপ করবি তুই
-কেন বাজে কেন এখন বাজে কেন
-চুপ করবি না মাইর খাবি
-আয় তুই দেখি
যাহ্ আবার সেই দীর্ঘ ৪ বছর পর অনাকঙ্কিত ঝগড়া। এবার দুইজনেই সমান কেও কারও কম না। দোয়া চাই সকলের কাছে যেন টিকে থাকে আমাদের ভাই বন্ধু সম্পর্ক।
,
চার বছর পর আজ মিরাজের সাথে দেখা হল। বেটা আগে কি চিকনা ছিল এখন মোটা হইছে ভালই। অনেক দিন পর দেখা তাই একটা হোটেলে বসে খাইতে খাইতে ভাল মন্দ কোশল বিনিময় করলাম। কথা বলার এক পর্যায়ে হটাৎ করে বলে ওঠলো
-তুই তাই এইটা করতে পারলি বন্ধু!(মিরাজ)
-কোন কাজটা রে
-'মনি'
নামটা শুনার সাথে সাথে ভেতরটা ছ্যাত করে ওঠলো।
-কেন কি হইছে
-এত ভাব ধরিস না। ৪ বছর আগে ওই কাজটা না করলেও পারতি
বুঝতে বাকি রইল না মিরাজ কি বলতে চাইতেছে। কিন্তু জানলো কিভাবে? আমি তো কাওকে কোন দিন বলি নি। কাওকে বুঝতেও দেই নি। তবে আমার চলে আসাতে কি বুঝে নিয়েছিল ওরা? নাকি মনি আমার চোখের ভাষা বুঝেছিল? তবে বলল না কেন?
-এখানে না করার কি হইলো বল(কথাটা কাটাইয়া নিতেও পারছি না)
-কি হইলো মানে! তুই আমার জন্য এত বড় একটা বলি.... শিট নিজেরে আজ এত ছোট মনে হইতেছে যে!
-বাদ দে বন্ধু
-এইটা বাদ দেয়ার হলো কিছু! তুই আমার জন্য মনিরে ছাইরা দিলি আর তুই বাদ দিতে বলস
-(....)
-জানস তুই বন্ধু নামের কলঙ্ক। সেই দিন একবার তো বলতে পারতি
-কি বলতাম তোকে হ্যা? আমি তো তোকে দেখছি তুই কতটা পাগল হয়ে গেছিলি ওর জন্য। তারপর তোর মাঝে কাটা হইয়া কেমনে থাকি। আমারও তো একটা দ্বায়িত্ব আছে কিনা বল
-কোন লাভ হইছে! আজ তুই পাইছত? আমি পাইছি?
-সেইদিন কি আমি পাইতাম?
-আমি করাইয়া দিতাম
-তাইলে হইছে। কথা বাদ দে চল তো
,
আমি আমিই। আর ও আমার জিগরি বন্ধু মিরাজ। বন্ধু বলতে দিনের চার ভাগের দুই ভাগ তো ওর সাথে। সময়টুকু কিভাবে যায় বলাই যায় না। আর ঝগড়া তো আলহামদুরিল্লাহ্। সব বার আমিই বেশি দিছি নিজের হক বেশি মনে কইরা। ঝগড়া হইলেও ৫-১০ মিনিট পরেই আবার মিল। নিজে থেকেই যাই প্রত্যেকবার কারন ভাইয়ের মত ভাবি মারছি তাই আদরও দরকার।
,
যাই হোক এক কালে একটা মেয়েরে পছন্দ করতাম। নাম ছিল মনি। দেখতে শুনতে ভালই ছিল। একই ক্লাসে ছিলাম আমরা। ফ্রেন্ড হিসেবে সম্পর্ক ভালই ছিল আমাদের। ওকে যে ভালবাসতাম বলার সাহসটা হতো না। ভয় পাইতাম অনেক। একেতে চেহারা ভাল না আমার আর দুই যদি না কইরা দেয়। তাই ভাবলাম থাক না যেভাবে আছি ভালই তো চলতেছে। ভাল কি দুইজনকেই বাসতে হবে! আমি না হয় একাই বাইসা ভিন্ন দেখাই।
,
২
আমার এক ফ্রেন্ড মিরাজ। গলায় গলায় ভাব আমাদের। জানি না ও কতটুকু ফ্রেন্ড ভাবে। তবে আমার মত আমি ঠিকই ভাবি। কারব বন্ধুত্ব ভালবাসা এইসবে সম্পর্ক নিয়া খেলা করতে নাই। আর যার সাহস হয়তো আল্লাহ্ তালায় আমায় দেয় নাই।
,
একদিন মেরাজ হটাৎ করে জিজ্ঞেস করল
-তুই কি মনি রে ভালবাসিস বা পছন্দ করিস? সত্যটা বলবি কিন্তু(মিরাজ)
-হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন বল তো?
-না আসলে তোরা এতটা ক্লোজ তাই মনে হইতেছে তোদের মধ্যে কিছু একটা চলে। দেখ আমি একা না সবাই তোদের কথা বলে
(কি বলবো ওকে বুঝতেছি না। ও যে কথাটা বলছে সেইটা সত্যই বলছে কিন্তু শুধু আমি বাসি মনি বাসে না)
-কি পাগল হইলি নাকি সবার মত(বলা যাবে না ওকে নয়তো মনিকে বলে দিতে পারে। এতে ফ্রেন্ডসিপ নষ্ট হয়ে যাবে। না বলা যাবে না কোন মতেই)
-সবাই তো আর আমি না। তুই বল বাসিস কিনা?
-আরে আমরা তো যাস্ট ফ্রেন্ড। তোরা কি যে আবুল তাবুল ভাইবা নেস না
-সত্যি বলতেছিস বন্ধু!
-ধুর বেটা সত্যি কমু না তো মিথ্যা বলমু?
মিরাজ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললো। বুঝলাম না কিছু।
-একটা কথা বলি?(মিরাজ)
-বলবি বল আমি কই না করছি তোরে? আর আমি না বলতে বললে মনে হয় তুই থাইমা থাকিস
-বন্ধু আমি না মনি রে পছন্দ করি
কথাটা শুনার সাথে সাথেই ভেতরটায় দোমড়ে মুচড়াইয়া ওঠলো। ওর কথাটা মাথার ভেতর শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে
-বন্ধু ও যখন হাসে না ওরে এত সুন্দর লাগে না। আর ওই যে মাঝে চোখ ত্যারা কইরা যখন বেংচিটা কাটে না কি বল্মু তোরে(মিরাজ)
-তারপর
-যখন ঝগড়া করে অফ্ কি বলমু তোরে আমি পুরা পাগল হইয়া গেছি রে। সব জায়গায় শুধু মনি আর মনি
-(যতই শুনতেছি ততোই জলতেছে। যদি মিরাজের যায়গায় অন্য কেও হইতো তাইলে এতক্ষনে আস্ত থাকতো না)
-কি হইলো তোর কিছু তো বল
-কি বলবো বল
-ওকে প্রপোজ করবো ভাবতেছি
-করে ফেল অপেক্ষা কিসের। তোদের মানবে রে দোস্ত। সেই মানাবে(আমি তো চাই না ও অন্য কারও হোক। তবুও বুকে পাথর রেখে কথা গুলা বলতে হলো)
-ধুস সালা
-আরেহ্ নাহ্ আসলেই সত্য বলতেছি
-আসলেই বন্ধু
-হুম। এখন বল আমায় কি করতে হবে
-তুই আমার হইয়া বইলা দে না
-যা বলমু নি। এখন চল
,
মিরাজ তো আমার ভাই আমার বন্ধু। আমার বিপদে আমায় অনেক ভাবে সাহায্য করছে। আর আমি বিনিময়ে কি দিসি কিচ্ছু না।
,
আমি যে মনিকে বাসি হয়তো কোন দিন বলতে পারবো কি না সন্দেহ। আর এমনিতেও ও রাজি হবে না আমি জানি। তাইলে কেন আমি মিরাজের কাটা হব। তাই মনি মিরাজের। আর কিছু না করতে না পারলেও এইটুকু তো করতে পারি।
,
৩
স্কুলে যাওয়ার মন চাইতেছিল না আজ। যাইতে হইতেছে ভাইয়ের জন্য
,
আমার কিছু সামনে মনি হেটে যাইতেছে। ভাবতেছি কিভাবে নিজের ভালবাসাকে অন্যের করে বলে দেই। দূর থেকে ডাকতে ডাকতে
-মনি... এই মনি দাঁড়া
-কিরে আজ দেরি করলি যে(মনি)
-না এমনি দেরি হয়ে গেল। একটা কথা বলার ছিল তোকে
-বল কি বলবি
-রাগ করবি না তো
-তুই তো কত কিছুই বলিস রাগ করি কি
-না তা করিস না। কিন্তু
-আরেহ্ বল তো
-মিরাজ না তোকে পছন্দ করে তোকে ভালবাসে
-এইটা তোর কথা? ফাজলামো বাদ দিয়ে সোজা চল
-ফাজলামো না মিরাজ আসলেই তোকে বাসে। কাল আমায় সব খুইলা বলছে যে কতটা বাসে তোকে। আর তুই তো বলতি তুই একটা স্মার্ট ছেলে চাস। যে তোর খেয়াল রাখবে, তোর কথা শুনবে, কষ্ট দিবে না। আর দেখ মিরাজের মধ্যে সব আছে
-তো কি হইছে
-আমি ওকে কথা দিছি রাজি হয়ে যা না প্লিজ
-তুই পাগল!
-দেখ প্লিজ আমার জন্য অন্তত
-যা ভেবে দেখবো
-থ্যাক্স রে। কোন দিন ঋণ শুধ করতে পারবো না রে তোর
-এখন বাদ দিবি এইসব? চল স্কুলে চল এখন
-না রে আমার একটা কথা মনে পইরা গেলো আজ তো দুপুরে আমায় আত্নীয় বাড়ি যেতে হবে যাই রে
কথাটা বলে আর একবারের জন্যও পেছনে তাকালাম না। তাকালে হয়তো চোখের পানিটা দেখে ফেলতো সেইদিন। আমার একটা জিনিস আফসোস রয়ে যায় আমার ভালবাসাটা ও বুঝেছিল না। অথচ মেয়েরা নাকি চোখের ভাষা বুঝে নিতে পারে।
,
পরের এক সপ্তাহের মতো বাসায় কাটাইয়া দিলাম। নাম নিলাম না স্কুলের, বাইরেও বের হলাম না। সৃতি গুলো কষ্ট দিচ্ছিল অনেক।
,
৪
আজ শনি বার স্কুলে যাচ্ছি। কিছু দূর যাওয়ার পর মিরাজ আর মনিকে একসাথে যাইতে দেখলাম। অনেক হাসিখুশি তারা। মানাইছে তাদের। হয়তো একে অপরের জন্য। পিছে হেটে ওদের দেখে যাইতে পারতেছিলাম না। তাই দ্রুত হেটে যাওয়ার সময় মিরাজ পেছন থেকে ডাক দিল।
-কিরে কই ছিলি এত দিন? স্কুলেও আসিস না বাইরেও বের হইতেছিস না কাহানি কি বস!
-কিছু না। আসি দেরি হয়ে যাবে
-আরে দাঁড়া আমরাও তো যাইতেছি
-না তোদের ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে না আমি চলি
চলে আসলাম। যেখানে আমার অস্তিত্য নাই সেখানে আমি থাকবো কেন।
,
-এর পর আর কি তোদের ভালবাসায় তোরা ছিলি আর আমি আমার মতো। এখন বল আমি কি কোন দোষ করছি?
মিরাজ ছটপট করতেছে। হয়তো মার টার দিবে।
-খা****লা নিজেরে দানবির মনে করস তাই না! তুই কি মনে করস নিজেরে হ্যা? বা* ভালই তো শিখছিস। জানস তোকে ফ্রেন্ড ভাবতে এখন ঘিন্না হইতেছে। হারামজাদা থাকতে পারে কিন্তু তোর মতো নাই একটাও(মিরাজ)
-আমি কি করতাম তখন বল? সেইদিন এক দিকে তুই ছিলি আর অন্য দিকে না বলা ভালবাসা
-তাই আমার জন্য এমনটা করবি? বললে কি আমি তোর ভালবাসা চাইতাম
-আরে হল একি কথা বাদ দে। এখন বল মনির কি খবর?
-তুই কথা বলিস না
-তুই আমি তো একই বাদ দে না ভাই
-সম্পর্ক বেশি দিন ছিল না। তুই স্কুল থেকে আইসা পরলি তার কিছু দিন পরেই ব্রেক আপ করে দেয়
-বলিস কি
-হুম। ওর ইচ্ছাগুলো তো তুই ও জানিস। সেই কারনেই চলে গেছে
-সো স্যাড। তুই তাইলে ছ্যাকা খাইছিলি এই তো!
-ও আমি খাইছি আর আপনি খান নাই তাই না! আপনি তো হওয়ার আগেই খাইছেন আবার আইছে আমায় বলতে
-চুপ করবি তুই
-কেন বাজে কেন এখন বাজে কেন
-চুপ করবি না মাইর খাবি
-আয় তুই দেখি
যাহ্ আবার সেই দীর্ঘ ৪ বছর পর অনাকঙ্কিত ঝগড়া। এবার দুইজনেই সমান কেও কারও কম না। দোয়া চাই সকলের কাছে যেন টিকে থাকে আমাদের ভাই বন্ধু সম্পর্ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন