-কি হল। ফোন ধরতে এত সময় লাগে ক্যান? (ইশিতা)
-ঘুমুচ্ছিলাম তো তাই। (অভি )
-এটা ঘুমানোর সময়?
-না মানে খুব ক্লান্ত লাগছিল। তাই ঘুমিয়েছিলাম।
-নামায পরেছে? নাকি ঘুমিয়ে সময় পার করে দিয়েছে?
-আসলে...
-তার মানে পড় নাই। আমাকে আর ফোন দিবা না। আজকে মনটা ভাল ছিল ভাবসিলাম তোমার সাথে দেখা করব। যে নামায পড়ে না তার সাথে কোন কথা নাই।
এতাটুকু বলেই ফোন কেটে দিল ইশিতা । অভিকে বড় ভালবাসে ইশিতা । অভি ও অনেক ভালবাসে কিন্তু মাঝে মাঝে ঘুমের কারণে নামায পড়া হয় না যেটা ইশিতার একেবারেই পছন্দ না। ইশিতা খুব ভদ্র, নামাযী একটা মেয়ে। সবসময় বোরকা এবং হিজাব পড়ে কলেজে যায়। অপর দিকে অভি ছিল ঠিক তার উল্টো। কানে সবসময় হেডফোন, চোখে সানগ্লাস আর থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরে কলেজে আসত। তাদের মিলটা হয় অদ্ভুতভাবে।
একদিন অভি কলেজে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল। আর ইশিতা ক্লাস শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাবে তখনি অভির সাথে ধাক্কা লেগে ইশিতার সাধের ফোনটা হাতে থেকে পড়ে গিয়ে চুরমার হয়ে গেল। কিন্তু অভি সেদিকে খেয়াল না করেই ক্লাসে চলে গেল। সেদিন থেকেই ইশিতা অভিকে দেখতে পারত না। হটাৎ একদিন ইশিতা কলেজে যাওয়ার পথে দেখতে পেল অভি কিছু পথশিশুদের নিয়ে টং দোকানে চা খাচ্ছে এবং ওদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে অভির প্রতি ভাল একটা ধারণা হয়।
ইশিতা পরে খোজ নিয়ে জানতে পারে অভির মা নেই। বাবা ব্যাবসায়ী মানুষ। ছোটবেলা থেকেই অভি একটু অন্য রকম। তবে অভির মনটা অনেক ভাল। গরীব পথশিশুদের সাথে প্রায়ই আড্ডা দেয়। ঈদে ওদের নিয়ে মার্কেটিং করে। ওদের সাথে ইশিতা কথা বলে জানতে পারে অভি প্রতি সপ্তাহে ওদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এসব কথা শুনে ইশিতার অভির প্রতি একটা ভাললাগা তৈরী হয়।
ইশিতা অনেক কস্টে অভির মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। তারপর ইশিতা অভিকে ফোন করে...
-আসসালামুআলাইকুম
-কে বলছেন?
-আমি সালাম দিয়েছি। জবাব দেয়া তো আপনার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।
-ওয়ালাইকুমসালাম। কে আপনি?
-আমি ইশিতা । আপনার সাথে একই কলেজে পড়ি।
-আমি তো আপনাকে চিনি না। আমাকে ফোন দিসেন কেনো?
- আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
- আমি তো আপনাকে চিনি না।
-ওকে কালকে কলেজে আসেন দেখা হবে।
পরদিন কলেজে,
-হ্যালো অভি , আমি ইশিতা ।
-আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?
-আপনি না তুমি করে বল। আমরা একই ক্লাসে পড়ি তুমি কমার্সে অার অামি আর্সে। তাই তুমি করে বল।
-হুম
-আচ্ছা তুমি এত বেখেয়ালি কেনো?
-ক্যান আমি আবার কি করলাম?
-সেদিন সিঁড়িতে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ভেংগে দিয়েছ। আর এখন ভাব ধরছ যে কিছুই জানো না।
-সত্যি আমি জানি না।
-ভাল হইসে। চল ক্যান্টিনে কফি খাব।
-ওকে চল।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব। হুমায়ুন আহমদ স্যার বলেছিল একজন মেয়ে আর ছেলে বেশিদিন বন্ধু থাকতে পারে না।তার একদিন না একদিন প্রেমে পরবেই। তাদের মাঝেও সেটাই হয়। তারা দুজন দুজনকেই ভালবাসে কিন্তু কেউ কাউকে বলে না বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে। এখন ইশিতা যা বলে অভি সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ইশিতা এখন অভিকে নামাজী করে তুলেছে। তারপরেও অভি মাঝে মাঝেই নামায মিস করে।
অভি ঘুম থেকে উঠে নামায পরে ইশিতাকে ফোন করে। ৩৯বার ফোন করার পর...
-ফোন দিতেছ ক্যান?
-সরি
-সরি ক্যান?
-নামায না পরে ঘুমাইছিলাম তাই।
-এখন পরেছে?
-হুম নামায পড়ে এসেই ফোন দিলাম।
-ভাল।
-দেখা করবা বললা যে?
-ইচ্ছা ছিল এখন নাই।
-চল না দেখা করি। আর মিস হবে না।
-সত্যি তো?
-হুম তিন সত্যি।
-আচ্ছা ৪টায় পার্কে আসবা।
অভি ৩টায় বাসা থেকে বের হয়ে ফুলের দোকানে যেয়ে ৭টা লাল গোলাপ কিনে। ১২মিনিট আগে পার্কে পৌঁছে দেখে ইশিতা আরো আগেই এসে বসে আছে। অভি সামনে এসে হাটুগেরে বসে বলে,
- তুমি কি আমার নাতি-নাতনীর দাদি হবে?
- হতে পারি তবে শর্ত আছে।
- হুম বল।
- সবার আগে তোমাকে নামায পড়তে হবে। আমাকে অনেক অনেক ভালবাসতে হবে।
- হুম আমি তোমার শর্তে রাজি।
-তাহলে আমিও রাজি।
-কিসে রাজি?
-তোমার নাতি-নাতনীর দাদি হতে।
-ভালবাস?
-হুম।
-কাকে?
-আমার জামাইকে।
-জামাইটা কে?
- জামাইটা হল তোমার নাতি-নাতনীর দাদা।
-সেটা কে?
-তুমি।
-তাহলে এত প্যাচালে ক্যান?
-আমার ইচ্ছা হইসে তাই।
-হুম ভাল।
-কি ভাল?
-তুমি ভাল।
-হুম আমি সেটা জানি।
-চল অন্য কোথাও যাই।
-চল
জানিনা তারা সারাজীবনের জন্য এক এ অপরের হতে পারবে কিনা।শুদু মন থেকে এটাই চাইবো যে সারাজীবন তারা যেন এক এ অপরের পথ চলাত সঙ্গী হয়ে থাকতে পারে।
-ঘুমুচ্ছিলাম তো তাই। (অভি )
-এটা ঘুমানোর সময়?
-না মানে খুব ক্লান্ত লাগছিল। তাই ঘুমিয়েছিলাম।
-নামায পরেছে? নাকি ঘুমিয়ে সময় পার করে দিয়েছে?
-আসলে...
-তার মানে পড় নাই। আমাকে আর ফোন দিবা না। আজকে মনটা ভাল ছিল ভাবসিলাম তোমার সাথে দেখা করব। যে নামায পড়ে না তার সাথে কোন কথা নাই।
এতাটুকু বলেই ফোন কেটে দিল ইশিতা । অভিকে বড় ভালবাসে ইশিতা । অভি ও অনেক ভালবাসে কিন্তু মাঝে মাঝে ঘুমের কারণে নামায পড়া হয় না যেটা ইশিতার একেবারেই পছন্দ না। ইশিতা খুব ভদ্র, নামাযী একটা মেয়ে। সবসময় বোরকা এবং হিজাব পড়ে কলেজে যায়। অপর দিকে অভি ছিল ঠিক তার উল্টো। কানে সবসময় হেডফোন, চোখে সানগ্লাস আর থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরে কলেজে আসত। তাদের মিলটা হয় অদ্ভুতভাবে।
একদিন অভি কলেজে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল। আর ইশিতা ক্লাস শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাবে তখনি অভির সাথে ধাক্কা লেগে ইশিতার সাধের ফোনটা হাতে থেকে পড়ে গিয়ে চুরমার হয়ে গেল। কিন্তু অভি সেদিকে খেয়াল না করেই ক্লাসে চলে গেল। সেদিন থেকেই ইশিতা অভিকে দেখতে পারত না। হটাৎ একদিন ইশিতা কলেজে যাওয়ার পথে দেখতে পেল অভি কিছু পথশিশুদের নিয়ে টং দোকানে চা খাচ্ছে এবং ওদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে অভির প্রতি ভাল একটা ধারণা হয়।
ইশিতা পরে খোজ নিয়ে জানতে পারে অভির মা নেই। বাবা ব্যাবসায়ী মানুষ। ছোটবেলা থেকেই অভি একটু অন্য রকম। তবে অভির মনটা অনেক ভাল। গরীব পথশিশুদের সাথে প্রায়ই আড্ডা দেয়। ঈদে ওদের নিয়ে মার্কেটিং করে। ওদের সাথে ইশিতা কথা বলে জানতে পারে অভি প্রতি সপ্তাহে ওদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এসব কথা শুনে ইশিতার অভির প্রতি একটা ভাললাগা তৈরী হয়।
ইশিতা অনেক কস্টে অভির মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। তারপর ইশিতা অভিকে ফোন করে...
-আসসালামুআলাইকুম
-কে বলছেন?
-আমি সালাম দিয়েছি। জবাব দেয়া তো আপনার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।
-ওয়ালাইকুমসালাম। কে আপনি?
-আমি ইশিতা । আপনার সাথে একই কলেজে পড়ি।
-আমি তো আপনাকে চিনি না। আমাকে ফোন দিসেন কেনো?
- আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
- আমি তো আপনাকে চিনি না।
-ওকে কালকে কলেজে আসেন দেখা হবে।
পরদিন কলেজে,
-হ্যালো অভি , আমি ইশিতা ।
-আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?
-আপনি না তুমি করে বল। আমরা একই ক্লাসে পড়ি তুমি কমার্সে অার অামি আর্সে। তাই তুমি করে বল।
-হুম
-আচ্ছা তুমি এত বেখেয়ালি কেনো?
-ক্যান আমি আবার কি করলাম?
-সেদিন সিঁড়িতে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ভেংগে দিয়েছ। আর এখন ভাব ধরছ যে কিছুই জানো না।
-সত্যি আমি জানি না।
-ভাল হইসে। চল ক্যান্টিনে কফি খাব।
-ওকে চল।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব। হুমায়ুন আহমদ স্যার বলেছিল একজন মেয়ে আর ছেলে বেশিদিন বন্ধু থাকতে পারে না।তার একদিন না একদিন প্রেমে পরবেই। তাদের মাঝেও সেটাই হয়। তারা দুজন দুজনকেই ভালবাসে কিন্তু কেউ কাউকে বলে না বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে। এখন ইশিতা যা বলে অভি সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ইশিতা এখন অভিকে নামাজী করে তুলেছে। তারপরেও অভি মাঝে মাঝেই নামায মিস করে।
অভি ঘুম থেকে উঠে নামায পরে ইশিতাকে ফোন করে। ৩৯বার ফোন করার পর...
-ফোন দিতেছ ক্যান?
-সরি
-সরি ক্যান?
-নামায না পরে ঘুমাইছিলাম তাই।
-এখন পরেছে?
-হুম নামায পড়ে এসেই ফোন দিলাম।
-ভাল।
-দেখা করবা বললা যে?
-ইচ্ছা ছিল এখন নাই।
-চল না দেখা করি। আর মিস হবে না।
-সত্যি তো?
-হুম তিন সত্যি।
-আচ্ছা ৪টায় পার্কে আসবা।
অভি ৩টায় বাসা থেকে বের হয়ে ফুলের দোকানে যেয়ে ৭টা লাল গোলাপ কিনে। ১২মিনিট আগে পার্কে পৌঁছে দেখে ইশিতা আরো আগেই এসে বসে আছে। অভি সামনে এসে হাটুগেরে বসে বলে,
- তুমি কি আমার নাতি-নাতনীর দাদি হবে?
- হতে পারি তবে শর্ত আছে।
- হুম বল।
- সবার আগে তোমাকে নামায পড়তে হবে। আমাকে অনেক অনেক ভালবাসতে হবে।
- হুম আমি তোমার শর্তে রাজি।
-তাহলে আমিও রাজি।
-কিসে রাজি?
-তোমার নাতি-নাতনীর দাদি হতে।
-ভালবাস?
-হুম।
-কাকে?
-আমার জামাইকে।
-জামাইটা কে?
- জামাইটা হল তোমার নাতি-নাতনীর দাদা।
-সেটা কে?
-তুমি।
-তাহলে এত প্যাচালে ক্যান?
-আমার ইচ্ছা হইসে তাই।
-হুম ভাল।
-কি ভাল?
-তুমি ভাল।
-হুম আমি সেটা জানি।
-চল অন্য কোথাও যাই।
-চল
জানিনা তারা সারাজীবনের জন্য এক এ অপরের হতে পারবে কিনা।শুদু মন থেকে এটাই চাইবো যে সারাজীবন তারা যেন এক এ অপরের পথ চলাত সঙ্গী হয়ে থাকতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন