এক সপ্তাহ ধরেই কোন কিছু ভালো লাগছে না।
পৃথিবীটাই যেন বদলে গেছে।আজ সে আমার থেকে
অনেক দূরে। হ্যা হাসি মুখে আমিই তাকে বিদায় দিয়েছি।
আমি আবির আর যাকে বিদায় দেওয়ার কথা বলছি সে
জান্নাত।
আমাদের পরিচয়টা হয়েছিল এই সাদা নীল জগৎ থেকেই
জান্নাত ছিল আমার প্রথম ভালোবাসা কিন্তু আমি তার
প্রথম ছিলাম না। আমার আগে তার সম্পর্ক ছিল জাহিদের
সাথে।আমাদের সম্পর্কের আগে থেকেই আমি জাহিদ আর
জান্নাতের কথা জানতাম।
ফেসবুকে পরিচয় হলেও আমাদের বাসা ছিল একই জেলাতে।
জাহিদের সাথে জান্নাতের রিলেশন ছিল ১ বছর।
জাহিদ আর জান্নাত একই কলেজে পড়তো। এস.এস.সি
পরীক্ষার পর জাহিদ আর জান্নাত পাবনার এডোয়ার্ড কলেজে
ভর্তি হয়।আর আমি পড়তাম বুলবুল কলেজে।
জান্নাতের কাছে থেকে যতটুকু জেনেছে যে জাহিদ কলেজের
প্রথম থেকেই জান্নাত কে ফলো করতো। হঠাৎ একদিন
এসে সে জান্নাত কে প্রোপজ করে,জাহিদ দেখতেও
ভালো ছিল আর তাছারা জান্নাতেরও জাহিদ কে
ভালোই লাগতো এজন্য জান্নাত জাহিদের সাথে
রিলেশনে চলে যায়।
একসাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজ ফাকি
দিয়ে আড্ডা দেওয়া, রেস্টুরেন্টে গিয়ে এক সাথে
মজা করে খাওয়া,এখানে সেখানে এক সাথে
ঘুরে বেরানো,ফোনে কথা বলতে বলতে রাত্রি
পেরিয়ে ভোর সকালে মসজিদে আজান শোনা।
এসব যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছিল।
ভালোই চলছিল তাদের দিন।
দেখতে দেখতে কেটে যায় তাদের রিলেশনের ৬-৭ মাস।
এরি মাঝে জন্নাত অসম্ভব ভাবে ভালোবেসে ফেলে জাহিদ কে।
কিন্তু সময়ের সাথে বদলে যায় মানুষ।
এদিকে জান্নাত জাহিদ কে অসম্ভব ভাবে ভালোবেসে ফেলে,
অপর দিকে রিলেশনের শেষের দিকে এসে অনেকটাই
বদলে যেতে থাকে, জাহিদ।
জাহিদ আর আগের মত সময় দিতনা জান্নাত কে।
জান্নাতের আর আগের মত রাত্রি পার করে ভোর
সকালের আযান শোনা হতোনা।
আগের মাত তাদের মাঝে আর কলেজ ফাকি দিয়ে
আর আড্ডাও হত না।
এসব দিয়ে কথা বললে জাহিদ অনেক রাগারাগি করতে
জান্নাতের সাথে।
--------------------------------------------------------------------------------------------
এমন ভাবে চলতে চলতে যেন জান্নাতের দিন আর কাটছিল
না। আর রাতের সেই সময় গুলোকে সে অনেক মিস করতো।
প্রায় রাতে সে কান্নাও করতো।কিন্তু সে জাহিদের এমন
পরিবর্তেনর কারন কিছুতেই বুঝে উঠে পারছিল না।
জান্নাত তার সময় কাটানোর জন্য এই সাদা-নীল /ফেসবুকে
সময় কাটাতে থাকে। এখান থেকে পরিচয় হয় আমার সাথে।
আমি ছিলাম ফেসবুক পোকা, সারাদিন ফেসবুকেই ঘুরে
বেড়াতাম।
--------------------------------------------------------------------------------------------
ফেসবুকে আমার সাথে জান্নাতের ভালোই সম্পর্ক হয়ে যায়।
আমাদের কথা বলার বেশির ভাগ সময়ই ছিল রাতে।
কোন কোন দিন অনেক রাত পর্যন্ত কথা বলতাম আমরা।
জান্নার আমাকে তার জাহিদের কথা জানায়,এবং জাহিদের
পরিবর্তনের কথাও। আমি শুধু জান্নাতকে শুন্তনাই দিয়ে
যেতাম।
আমাদের পরিচয়ের অনেকটা দিন হয়ে যায়, এবং ভালো বন্ধুও
হয়ে হয়েছিলাম আমরা, জান্নাতই প্রথম দেখা করতে
চায় আমার সাথে।দেখা করার দিন সময় ও ওই ঠিক করে।
দেখা করার স্থান টা ছিল আমাদেরি কলেজের পাশে।
সকাল ১০ টাই দেখা করার কথা ছিল।আমি যেতে যেত ১০ টা
বেজে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি জান্নাত বসে আছে।
দেখা করার প্রথম দিন আমি একটা চকলেট নিয়ে গিয়েছিলাম।
চকলেট টা ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে সরি বললাম।
ও হাসি মুখেই বললো ঠিক আছে।
এই প্রথম ওকে সামনা সামনি দেখি।ওর চেহারায় অসাধারন
মায়া ছিল।
ওখানে বসে অনেকক্ষন আড্ডা দেওয়ার পর বের হতে যাচ্ছি
ঠিক সেই সময় জান্নাত চুপ চাপ দিয়ে পরে, সে এক দৃষ্ঠিতে
গেটের দিকে তাকিয়ে ছিল।আমি বিষয়টা কিছুই বুঝতে
পারিনি প্রথমে।গেটের দিকে তাকিয়ে দেখি প্রেমা।
কিন্তু জান্নাত প্রেমার দিকে অমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন।
আমি জান্নাতের থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কি হয়েছে।
কিন্তু জান্নাত আমার কথা না শুনেই চলে যায় এবং গিয়ে দারায়
প্রেমার সাথে থাকা ছেলেটার সামনে। কি ঘটছিল আমি সেই
মুহুত্বে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
জান্নাত ছেলেটাকে গিয়ে জানতে চাই তার
পাশের মেয়েটা কে, তখন ছেলেটা প্রেমার হাত ধরে বলে
যে প্রেমা ওর জিএফ হয়।
জান্নার সেখানে আর এক মুহুত্ব না দারিয়ে সেখান থেকে বের
হয়ে যায় আর চোখ মুছতে মুছতে রিক্রা ডেকে সেখান থেকে
চলে যায়,এখন ভাবে জান্নাত কে দেখে অনেক কষ্ঠ হচ্ছিল
আমার।
-------------------------------------------------------------------------------------------
রাতে জান্নাত কে কল দিই
>>হ্যালো.......(আমি)
>>বল.............(জান্নাত, ওর কন্ঠটা ভারি ভারি
লাগেছে।)
>>কি হয়েছে তখন ওমন ভাবে চলে আসলি কেন?
>>সরি রে অমন ভাবে চলে আসার জন্য।
>>তোর কন্ঠটা এমন শোনাচ্ছে?
>>কিছুনা.............
>>আমাকে বলবি না?
>>(জান্নার কান্না শুরো করে, কান্নার আওয়াজ
ফোনের ওপাশ থেকে ভেষে আসছিল)
>>কি জান্নাত তুই কান্না কেন করছিস?প্লিজ কান্নাটা
থামা আর কি হয়েছে বল আমাকে।
>>কান্না করতে করতে বললো, জাহিদ আমাকে
ধোকা দিয়েছে।
>>কি?
>>হুম........................
>>কিন্তু কেন?
>>আজ যার সাথে আমি কথা বললাম ও হলো জাহিদ
আর ওর সাথে যে মেয়েটাকে দেখলি ও ওর নতুন জিএফ।
>>তুই জাহিদকে আর ফোন করিস নি?
>>হুম করেছিলাম
>>কি বলেছে?
>>ও আমার সাথে আর রিলেশন রাখতে চাইনা।
(আবারো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করলো জান্নাত)
>>(এপাশ থেকে আমিও চুপ আরে আছি কি বলবো বুঝতে
পারছি না।)
>>ওকে কি কম ভালোবেসেছিলাম আমি।ও কেন এমন বদলে
গেল, আজ বললো আমাকে নাকি ওর ভালোই লাগেনা এখন।
আমি যেন ওর সাথে আর যোগাযোগ না করি।আমার কি দোষ
ছিল বলতে পারবি?।আমি তো ওর সাথে আগে প্রেম করতে
যাইনি। ওই তো এসে বলেছিল ভালোবাসি,তবে আজ কেন ও
ওমন করলো।
>>দেখ, আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন্যই করে।
>>আমার সাথেই কেন এমন হলো........।
আচ্ছা আমি ফোনটা রাখিরে কথা বলতে ইচ্ছা করছে
না।
এরপরে ফোনটা কেটে দেয় জান্নাত। অনেক বার ট্রায় করেছি
কিন্তু ও আর ফোন রিসিভ করেনি।
----------------------------------------------------------------------------------------
এই ঘটনার পরে প্রায় এক সপ্তাহ জান্নাতের সাথে আমার
কোন যোগাযোগ ছিলনা।
এই এক সপ্তাহ অনেক ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেছি
ওর সাথে কিন্তু সব কিছু থেকেই ও হাওয়া।
হঠাৎ করেই এক সপ্তাহ পরে সকাল ৯০:৩০ মিনিটে
জান্নাতের নাম্বার থেকে কল আগে।
রিসিভ করি।জান্নার বলে দেখা করবে,
দেখা হলে ও সব কিছু খুলে বলবে।
দেখা করতে যায় সেই প্রথম বার যেখানে দেখা
করেছিলাম সেই স্থানে।দেখা করে জান্নাত বলে
আমাকে যে আমি ওই মেয়েটাকে চিনি নাকি।
তখন আমি জান্নাত কে বললাম হ্যা ওকে চিনি, ও
আমাদের কলেজেই পরে।মেয়েটা খুব একটা ভালোনা।
সব কিছু শুনে ও যে কথাটা আমাকে বলে তা শোনার জন্য
আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
আমাকে বলেছিল আমি কি ওর সাথে প্রেমর অভিনায়
করতে পারবো কি না।
কথাটা শোনার পর কিছু সময় আমি একেবারেই চুপচাপ হয়ে
যায়।আবারও জন্নার বলে পারবো কিনা?.
এর পরে ও বলে দেখ আমি চাই জাহিদ কে
দেখাতে আমি ওকে ছারা সুখেই আছি।আর আমি ওর সামনে
তোকে নিয়ে ঘুরতে চাই,যাতে ও বুঝতে পারে ও না থাকলেও
আমার জন্য ওর থেকে ভালো অনেকে আছে।
কি পারবি আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করতে?
আমি তখন ওকে বলি কিন্তু এটা তো ঠিক হবে।
দেখ ওকে ওর মতো থাকতে দে আর তুই তোর মত
থাক,কেন ওকে দেখানোর জন্য এরকম একটা কাজ করবি।
এরকম অনেক কথা হবার পরে শেষ মেষ ওর চাওয়ার কাছে
আমি পরাজিত হয়।
------------------------------------------------------------------------------------------
চলতে থাকে আমাদের প্রেমর অভিনয়,অভিনয় টা বেশি করে
করতে হতো যখন প্রেমা বা জাহিদ আমাদের সামনে
পরে যেত তখন।আমাদের মাঝে রাতে কথা বলার সময়টা
বাড়কে থাকলো,সঙ্গে বাড়তে থাকলো জান্নাতের হারিয়ে
যাওয়া সেই প্রতিদিনের রুটিনের কাজ গুলো।
ভালোই কাটছিল আমাদের দিন।
রাতে যখন কথা বলতাম,আমার থেকে বেশি কথা
ওই বলতো, সে কথাগুলো প্রেমর কথা ছিলো না কি না
তা আমি জানিনা,তবে কথা গুলো আমার কানে
খুব মিষ্টি শোনাতো,ভাবতাম এরকম ফোন আলাপ
আজীবন থাকলে মন্দ হয়না।
এর মাঝে কখন যে আমি জান্নাত কে অনেকটা
ভালোবেসে ফেলি বুঝতে পারিনি।কিন্তু যখন বুঝলাম
তখনো সময়টা কে কাজে লাগাতে পারিনি।
------------------------------------------------------------------------------------------
যখন বুঝতে পারলাম আমি জান্নাতকে সত্যি সত্যি ভালোবাসি
তখন ওকে কথাটা বলতে চেয়েছি।
কথাটা বলার জন্য ওকে ডাকলাম সেই স্থান টা।
১০ টাই দেখা করার কথা।
বাসা থেকে আগেই বের হয়ে গেলাম,
প্রথম দিন যে চকলেট টা ওকে দিয়েছিলাম সেই চকলেট
কিনলাম,সাথে ৭ টা সাদা গোলাপ।কিনে নিয়ে গিয়ে দেখি
জন্নাত এসে বসে আছে।
ওর সাথে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই কোথা থেকে
জাহিদ এসে জান্নাতের সামনে দাড়ালো।
আমি আমি ওদের দিগে এগুচ্ছি,কাছে গিয়ে যতটুকু
শুনতে পেলাম
>>আমাকে কি একটা বার ক্ষমা করা যায়না জান্নাত?
>>কিসের জন্য ক্ষমা চাচ্ছো।
>>তোমাকে কষ্ঠ দেওয়ার জন্য,কথা দিচ্ছি আর কখনো
আমি তোমাকে কষ্ঠ দিবনা।
>>(জান্নাত হঠাৎ করেই খেয়াল করলো পেছনে আমি দারিয়ে।
আমি এক দৃষ্ঠিতে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম)
আমাতে ২ মিনিট সময় দাও আমি আবিরের সাথে কথা বলবো।
আবির একটু এদিকে আসবে?
>>হুম চলো(আমার আর বুঝতে বাকি নেই কেন জান্নাত
আমাকে দূরে ডাকলো,কেননা একদিনে জান্নাতের সাথে
কখা বলে বুঝেছি জান্নার জাহিদকে অনেক ভালোবাসে।
আর এখন ও আবার জাহিদ কে ফিরিয়ে নেবে বলেই
আমার সাথে দু মিনিট কথা বলতে চাচ্ছে।ওর প্লান টাই
ছিল জাহিদ কে ফিরিয়ে আনার)
>>জাহিদ তো এসে সরি বলেছে আর বলেছ কখনো
কষ্ঠ দেবে না। আমাদের প্লান তো কাজ করেছে।
কি এখনি কি ওকে ফিরিয়ে নেবো? নাকি আরো এক
দুই দিন দেরি করাবো?
>>(আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না, আমার
স্বপ্ন গুলো এভাবে এক নিমেষেশ ঝড়ে
যাবে কখনো ভাবিনি।)
যখন নিতেই হবে দেরি কেন করবি?
>>সত্যি তো.......
>>আমি হাসি মুখেই হ্যা বলেছিলাম, কিন্তু সে সময়
হাসিটা কিভাবে আমান মুখে এনে ছিলাম আমি এখনো বুঝিনা।
এর পর
এরপর ও আমার কাছে থেকে চলে যায় আর জাহিদ কে
জাহিদের চাওয়া সেই ফিরে আসার সুযোগটা দিয়ে দেই।
-------------------------------------------------------------------------------------------
এক সপ্তাহ আগে জান্নাত কে বিদায় দিয়েছি হাসি মুখে।
এই একসপ্তাহ উপলব্ধি করছি কেমন যেন পৃথিবী বদলে গেছে।
মনটা অনেক খারাপ কিছুি ভালো লাগছে না।
ওই ঘটনার পরে ওখান থেকে বাসায় চলে আসি বাসা থেকে
আর তেমন বের হয়নি এক সপ্তাহ।জান্নাতকেও আর
বল দিয়ে বিরক্ত করিনি।
দোষটা কো এখানে আমারি ছিল, কেন জান্নাতে কে
ভালো বাসতে গেলাম।জানতাম জান্নাত জাহিদকে
ভালোবাসে কিন্তু জানার পরেও এমন বুল কখন হয়ে গেল
বুঝতে পারিনি।
হঠাৎ করে এক অচেনা নাম্বার থেকে কল
>>হ্যালো কে বলছেন?
>>জান্নাত,আমার নাম্বার দিয়ে তোর ফোনে
কল যাচ্ছে না কেন?
>>কৌই জানিনাতো,
>>তোকে জানতেও হবেনা,ফেসবুকে মেসেজ
করেছি রিপ্লে করিস নি কেন?
>>অনেক তিন ফেসবুকে যাইনা একটু ব্যাস্ত আছি তো তাই।
কি বলার জন্য ফোন করেছিস বল,আমাকে ফোনটা রাখতে
হবে।
>>কাল সকালে যেখানে আমরা দেখা করতাম সেই
জায়গাতে দেখা করতে হবে,বাই।
কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দেই জান্নাত।আমাকে আর কোন
কথা বলার সুযোগই দিলো না।
যাব না যাবনা ভেবে ভেবে শেষ মেষ পরের দিন ১০ টাই
দেখা করতে গেলাম, গিয়ে দেখি প্রতিদিনের মতো আজো ও
আগে এসে বসে আছে।তবে আজ বোধহয়
একটু সেজে গুজে এসেছে।বোধহয় জাহিদের সাথে
কোথাও ঘুরতে যাবে।
সামনে গিয়ে দারালাম
>>তুই প্রতিদিনের মতো আজো লেট করলি।
>>(মুখে সামান্ন একটু হাসির আভা নিয়ে,)
কি বলার জন্য ডেকোছিস বল।
>>সে দিনন তোর হাতে একটা ব্যাগ ছিল, ব্যাগে
কি ছিল?
>>কোন দিন?
>>যেদিন জাহিদ আমাকে এসে সরি বললো।
>>(সেদিন ওই ব্যাগে জান্নাতের জন্য আনা চকলেট
আর গোলাপ ছিল)আমার কাছে সেদিন ব্যাগ ছিল নাকি?
>>ছিল না?
>>মনে পরছে না(মিথ্যা বললাম)
>>জাহিদ আমাকে বিয়ে কর রাখতে চাচ্ছে
>>করে, নে। এই কথা টা বলার জন্য আমাকে এখানে ডাকতে
হয়, কাল ফোনেই তো বলতে পারতি।
>>জান্নাত উঠে আমার কলার ধরে বলবো।
>>কি বললি আরেক বার বল
>>তুই এটা কি করছিস......সবাই দেখছে কলার ছার।
>>তুই কি বললি আগে সেটা বল।
>>কি বলেছি,?খারাপ কিছু তো বলিনি,
বিয়ে করে নে, যখন ভালোই বাসিস তখন বিয়ে করতে
সমস্যা কি?
>>জান্নাত আমার কলারটা ছেরে চোখ মুছতে মুছতে বসে
পরলো।
>>ওকে দেখে আবারো আমার সেই প্রথম দিনের
মতো মায়া হলো।
>>আবির আমি তোকে ভালোবাসি,আর আমি জানি
তুই ও আমাকে ভালোবাসিস,তুই সেদিন আমার জন্য
৭ টা গোলাপ নিয়ে এসেছিলি,আরমান ভায়ের দোকান থেকে।
আজ আমি যখন তোর জন্য ফুল কিনতে যায়
তখন আরমান ভাই আমাকে সব বলে।
তবে তুই এমন কেন করছিস?
>>(জান্নাত কে যতবার ফুল দিয়েছি, ততবারি জাননাতকে
নিয়ে গিয়ে আর মান ভায়ের দোকান থেকে কিনে
দিয়েছি,আর সেদিন ও আরমান ভাইকে বলে এসেছিলার
এগুলো জান্নাতের জন্য)
তোর মাথা ঠিক আছে তো?
>>আমি তোকে ভালোবাসি?
>>তবে জাহিদ।
>>জাহিদের কথা জানিনা, তবে এই সাতদিনে বুঝেছি
আমি আর জাহিদকে না তোকেই ভালোবাসি।
আর আমাকে তোর থেকে বেশি আর কেও ভালোবাসতো
পারবে না।জাহিদ যখন আমাকে আধারে ফেলে চলে গিয়েছিল
তখন তো আলোর রেখাটা তুই ই দেখিয়েছিলি।
আজ আমি সেই তোকে ছেরে কি করে জাহিদকে
বালোবাসি বল।
>>তোদের বিয়ে?
>>সেটাতো বানিয়ে বললাম তোর কাছে থেকে
ভালোবাসার কথা শোনার জন্য, কিন্তু তুই তো উল্টে
বিয়ে করে নিতে বললি.....(কান্নাক করতে করতে)
>>থাম এত কান্না করতে জবে না মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবো।
>>যাবনো ওযাটার প্রুভ.....
>>কি?
>>কি মানে দারা তোকে দেখাচ্ছি.....
>>এই থাম।থাম আর কিছু দেখাতে হবেনা।
যে ফুল গুলো এনেছিস সেই গুলা দে।
>>কেন?
>>আমি কোন কিছু আজ আনিনি, ওই ফুল গুলো
দিয়েই তোকে প্রোপজ করবো।
>>আমার আনা ফুল দিয়েই আমাকে প্রোপজ করবি।
>>ও তবে থাক, অন্য দিন করবো আজ আমি গেলাম
>>এই না না থাম এই গুলা দিয়েই কর।
....................................................................................
অতপর জান্নাকে আবার পেয়ে, পেয়েছে জীবন ভালোবাসা,
পেয়ে তোমাকে....... পেয়ে তেমাকে।
পৃথিবীটাই যেন বদলে গেছে।আজ সে আমার থেকে
অনেক দূরে। হ্যা হাসি মুখে আমিই তাকে বিদায় দিয়েছি।
আমি আবির আর যাকে বিদায় দেওয়ার কথা বলছি সে
জান্নাত।
আমাদের পরিচয়টা হয়েছিল এই সাদা নীল জগৎ থেকেই
জান্নাত ছিল আমার প্রথম ভালোবাসা কিন্তু আমি তার
প্রথম ছিলাম না। আমার আগে তার সম্পর্ক ছিল জাহিদের
সাথে।আমাদের সম্পর্কের আগে থেকেই আমি জাহিদ আর
জান্নাতের কথা জানতাম।
ফেসবুকে পরিচয় হলেও আমাদের বাসা ছিল একই জেলাতে।
জাহিদের সাথে জান্নাতের রিলেশন ছিল ১ বছর।
জাহিদ আর জান্নাত একই কলেজে পড়তো। এস.এস.সি
পরীক্ষার পর জাহিদ আর জান্নাত পাবনার এডোয়ার্ড কলেজে
ভর্তি হয়।আর আমি পড়তাম বুলবুল কলেজে।
জান্নাতের কাছে থেকে যতটুকু জেনেছে যে জাহিদ কলেজের
প্রথম থেকেই জান্নাত কে ফলো করতো। হঠাৎ একদিন
এসে সে জান্নাত কে প্রোপজ করে,জাহিদ দেখতেও
ভালো ছিল আর তাছারা জান্নাতেরও জাহিদ কে
ভালোই লাগতো এজন্য জান্নাত জাহিদের সাথে
রিলেশনে চলে যায়।
একসাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজ ফাকি
দিয়ে আড্ডা দেওয়া, রেস্টুরেন্টে গিয়ে এক সাথে
মজা করে খাওয়া,এখানে সেখানে এক সাথে
ঘুরে বেরানো,ফোনে কথা বলতে বলতে রাত্রি
পেরিয়ে ভোর সকালে মসজিদে আজান শোনা।
এসব যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছিল।
ভালোই চলছিল তাদের দিন।
দেখতে দেখতে কেটে যায় তাদের রিলেশনের ৬-৭ মাস।
এরি মাঝে জন্নাত অসম্ভব ভাবে ভালোবেসে ফেলে জাহিদ কে।
কিন্তু সময়ের সাথে বদলে যায় মানুষ।
এদিকে জান্নাত জাহিদ কে অসম্ভব ভাবে ভালোবেসে ফেলে,
অপর দিকে রিলেশনের শেষের দিকে এসে অনেকটাই
বদলে যেতে থাকে, জাহিদ।
জাহিদ আর আগের মত সময় দিতনা জান্নাত কে।
জান্নাতের আর আগের মত রাত্রি পার করে ভোর
সকালের আযান শোনা হতোনা।
আগের মাত তাদের মাঝে আর কলেজ ফাকি দিয়ে
আর আড্ডাও হত না।
এসব দিয়ে কথা বললে জাহিদ অনেক রাগারাগি করতে
জান্নাতের সাথে।
--------------------------------------------------------------------------------------------
এমন ভাবে চলতে চলতে যেন জান্নাতের দিন আর কাটছিল
না। আর রাতের সেই সময় গুলোকে সে অনেক মিস করতো।
প্রায় রাতে সে কান্নাও করতো।কিন্তু সে জাহিদের এমন
পরিবর্তেনর কারন কিছুতেই বুঝে উঠে পারছিল না।
জান্নাত তার সময় কাটানোর জন্য এই সাদা-নীল /ফেসবুকে
সময় কাটাতে থাকে। এখান থেকে পরিচয় হয় আমার সাথে।
আমি ছিলাম ফেসবুক পোকা, সারাদিন ফেসবুকেই ঘুরে
বেড়াতাম।
--------------------------------------------------------------------------------------------
ফেসবুকে আমার সাথে জান্নাতের ভালোই সম্পর্ক হয়ে যায়।
আমাদের কথা বলার বেশির ভাগ সময়ই ছিল রাতে।
কোন কোন দিন অনেক রাত পর্যন্ত কথা বলতাম আমরা।
জান্নার আমাকে তার জাহিদের কথা জানায়,এবং জাহিদের
পরিবর্তনের কথাও। আমি শুধু জান্নাতকে শুন্তনাই দিয়ে
যেতাম।
আমাদের পরিচয়ের অনেকটা দিন হয়ে যায়, এবং ভালো বন্ধুও
হয়ে হয়েছিলাম আমরা, জান্নাতই প্রথম দেখা করতে
চায় আমার সাথে।দেখা করার দিন সময় ও ওই ঠিক করে।
দেখা করার স্থান টা ছিল আমাদেরি কলেজের পাশে।
সকাল ১০ টাই দেখা করার কথা ছিল।আমি যেতে যেত ১০ টা
বেজে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি জান্নাত বসে আছে।
দেখা করার প্রথম দিন আমি একটা চকলেট নিয়ে গিয়েছিলাম।
চকলেট টা ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে সরি বললাম।
ও হাসি মুখেই বললো ঠিক আছে।
এই প্রথম ওকে সামনা সামনি দেখি।ওর চেহারায় অসাধারন
মায়া ছিল।
ওখানে বসে অনেকক্ষন আড্ডা দেওয়ার পর বের হতে যাচ্ছি
ঠিক সেই সময় জান্নাত চুপ চাপ দিয়ে পরে, সে এক দৃষ্ঠিতে
গেটের দিকে তাকিয়ে ছিল।আমি বিষয়টা কিছুই বুঝতে
পারিনি প্রথমে।গেটের দিকে তাকিয়ে দেখি প্রেমা।
কিন্তু জান্নাত প্রেমার দিকে অমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন।
আমি জান্নাতের থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কি হয়েছে।
কিন্তু জান্নাত আমার কথা না শুনেই চলে যায় এবং গিয়ে দারায়
প্রেমার সাথে থাকা ছেলেটার সামনে। কি ঘটছিল আমি সেই
মুহুত্বে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
জান্নাত ছেলেটাকে গিয়ে জানতে চাই তার
পাশের মেয়েটা কে, তখন ছেলেটা প্রেমার হাত ধরে বলে
যে প্রেমা ওর জিএফ হয়।
জান্নার সেখানে আর এক মুহুত্ব না দারিয়ে সেখান থেকে বের
হয়ে যায় আর চোখ মুছতে মুছতে রিক্রা ডেকে সেখান থেকে
চলে যায়,এখন ভাবে জান্নাত কে দেখে অনেক কষ্ঠ হচ্ছিল
আমার।
-------------------------------------------------------------------------------------------
রাতে জান্নাত কে কল দিই
>>হ্যালো.......(আমি)
>>বল.............(জান্নাত, ওর কন্ঠটা ভারি ভারি
লাগেছে।)
>>কি হয়েছে তখন ওমন ভাবে চলে আসলি কেন?
>>সরি রে অমন ভাবে চলে আসার জন্য।
>>তোর কন্ঠটা এমন শোনাচ্ছে?
>>কিছুনা.............
>>আমাকে বলবি না?
>>(জান্নার কান্না শুরো করে, কান্নার আওয়াজ
ফোনের ওপাশ থেকে ভেষে আসছিল)
>>কি জান্নাত তুই কান্না কেন করছিস?প্লিজ কান্নাটা
থামা আর কি হয়েছে বল আমাকে।
>>কান্না করতে করতে বললো, জাহিদ আমাকে
ধোকা দিয়েছে।
>>কি?
>>হুম........................
>>কিন্তু কেন?
>>আজ যার সাথে আমি কথা বললাম ও হলো জাহিদ
আর ওর সাথে যে মেয়েটাকে দেখলি ও ওর নতুন জিএফ।
>>তুই জাহিদকে আর ফোন করিস নি?
>>হুম করেছিলাম
>>কি বলেছে?
>>ও আমার সাথে আর রিলেশন রাখতে চাইনা।
(আবারো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করলো জান্নাত)
>>(এপাশ থেকে আমিও চুপ আরে আছি কি বলবো বুঝতে
পারছি না।)
>>ওকে কি কম ভালোবেসেছিলাম আমি।ও কেন এমন বদলে
গেল, আজ বললো আমাকে নাকি ওর ভালোই লাগেনা এখন।
আমি যেন ওর সাথে আর যোগাযোগ না করি।আমার কি দোষ
ছিল বলতে পারবি?।আমি তো ওর সাথে আগে প্রেম করতে
যাইনি। ওই তো এসে বলেছিল ভালোবাসি,তবে আজ কেন ও
ওমন করলো।
>>দেখ, আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন্যই করে।
>>আমার সাথেই কেন এমন হলো........।
আচ্ছা আমি ফোনটা রাখিরে কথা বলতে ইচ্ছা করছে
না।
এরপরে ফোনটা কেটে দেয় জান্নাত। অনেক বার ট্রায় করেছি
কিন্তু ও আর ফোন রিসিভ করেনি।
----------------------------------------------------------------------------------------
এই ঘটনার পরে প্রায় এক সপ্তাহ জান্নাতের সাথে আমার
কোন যোগাযোগ ছিলনা।
এই এক সপ্তাহ অনেক ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেছি
ওর সাথে কিন্তু সব কিছু থেকেই ও হাওয়া।
হঠাৎ করেই এক সপ্তাহ পরে সকাল ৯০:৩০ মিনিটে
জান্নাতের নাম্বার থেকে কল আগে।
রিসিভ করি।জান্নার বলে দেখা করবে,
দেখা হলে ও সব কিছু খুলে বলবে।
দেখা করতে যায় সেই প্রথম বার যেখানে দেখা
করেছিলাম সেই স্থানে।দেখা করে জান্নাত বলে
আমাকে যে আমি ওই মেয়েটাকে চিনি নাকি।
তখন আমি জান্নাত কে বললাম হ্যা ওকে চিনি, ও
আমাদের কলেজেই পরে।মেয়েটা খুব একটা ভালোনা।
সব কিছু শুনে ও যে কথাটা আমাকে বলে তা শোনার জন্য
আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
আমাকে বলেছিল আমি কি ওর সাথে প্রেমর অভিনায়
করতে পারবো কি না।
কথাটা শোনার পর কিছু সময় আমি একেবারেই চুপচাপ হয়ে
যায়।আবারও জন্নার বলে পারবো কিনা?.
এর পরে ও বলে দেখ আমি চাই জাহিদ কে
দেখাতে আমি ওকে ছারা সুখেই আছি।আর আমি ওর সামনে
তোকে নিয়ে ঘুরতে চাই,যাতে ও বুঝতে পারে ও না থাকলেও
আমার জন্য ওর থেকে ভালো অনেকে আছে।
কি পারবি আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করতে?
আমি তখন ওকে বলি কিন্তু এটা তো ঠিক হবে।
দেখ ওকে ওর মতো থাকতে দে আর তুই তোর মত
থাক,কেন ওকে দেখানোর জন্য এরকম একটা কাজ করবি।
এরকম অনেক কথা হবার পরে শেষ মেষ ওর চাওয়ার কাছে
আমি পরাজিত হয়।
------------------------------------------------------------------------------------------
চলতে থাকে আমাদের প্রেমর অভিনয়,অভিনয় টা বেশি করে
করতে হতো যখন প্রেমা বা জাহিদ আমাদের সামনে
পরে যেত তখন।আমাদের মাঝে রাতে কথা বলার সময়টা
বাড়কে থাকলো,সঙ্গে বাড়তে থাকলো জান্নাতের হারিয়ে
যাওয়া সেই প্রতিদিনের রুটিনের কাজ গুলো।
ভালোই কাটছিল আমাদের দিন।
রাতে যখন কথা বলতাম,আমার থেকে বেশি কথা
ওই বলতো, সে কথাগুলো প্রেমর কথা ছিলো না কি না
তা আমি জানিনা,তবে কথা গুলো আমার কানে
খুব মিষ্টি শোনাতো,ভাবতাম এরকম ফোন আলাপ
আজীবন থাকলে মন্দ হয়না।
এর মাঝে কখন যে আমি জান্নাত কে অনেকটা
ভালোবেসে ফেলি বুঝতে পারিনি।কিন্তু যখন বুঝলাম
তখনো সময়টা কে কাজে লাগাতে পারিনি।
------------------------------------------------------------------------------------------
যখন বুঝতে পারলাম আমি জান্নাতকে সত্যি সত্যি ভালোবাসি
তখন ওকে কথাটা বলতে চেয়েছি।
কথাটা বলার জন্য ওকে ডাকলাম সেই স্থান টা।
১০ টাই দেখা করার কথা।
বাসা থেকে আগেই বের হয়ে গেলাম,
প্রথম দিন যে চকলেট টা ওকে দিয়েছিলাম সেই চকলেট
কিনলাম,সাথে ৭ টা সাদা গোলাপ।কিনে নিয়ে গিয়ে দেখি
জন্নাত এসে বসে আছে।
ওর সাথে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই কোথা থেকে
জাহিদ এসে জান্নাতের সামনে দাড়ালো।
আমি আমি ওদের দিগে এগুচ্ছি,কাছে গিয়ে যতটুকু
শুনতে পেলাম
>>আমাকে কি একটা বার ক্ষমা করা যায়না জান্নাত?
>>কিসের জন্য ক্ষমা চাচ্ছো।
>>তোমাকে কষ্ঠ দেওয়ার জন্য,কথা দিচ্ছি আর কখনো
আমি তোমাকে কষ্ঠ দিবনা।
>>(জান্নাত হঠাৎ করেই খেয়াল করলো পেছনে আমি দারিয়ে।
আমি এক দৃষ্ঠিতে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম)
আমাতে ২ মিনিট সময় দাও আমি আবিরের সাথে কথা বলবো।
আবির একটু এদিকে আসবে?
>>হুম চলো(আমার আর বুঝতে বাকি নেই কেন জান্নাত
আমাকে দূরে ডাকলো,কেননা একদিনে জান্নাতের সাথে
কখা বলে বুঝেছি জান্নার জাহিদকে অনেক ভালোবাসে।
আর এখন ও আবার জাহিদ কে ফিরিয়ে নেবে বলেই
আমার সাথে দু মিনিট কথা বলতে চাচ্ছে।ওর প্লান টাই
ছিল জাহিদ কে ফিরিয়ে আনার)
>>জাহিদ তো এসে সরি বলেছে আর বলেছ কখনো
কষ্ঠ দেবে না। আমাদের প্লান তো কাজ করেছে।
কি এখনি কি ওকে ফিরিয়ে নেবো? নাকি আরো এক
দুই দিন দেরি করাবো?
>>(আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না, আমার
স্বপ্ন গুলো এভাবে এক নিমেষেশ ঝড়ে
যাবে কখনো ভাবিনি।)
যখন নিতেই হবে দেরি কেন করবি?
>>সত্যি তো.......
>>আমি হাসি মুখেই হ্যা বলেছিলাম, কিন্তু সে সময়
হাসিটা কিভাবে আমান মুখে এনে ছিলাম আমি এখনো বুঝিনা।
এর পর
এরপর ও আমার কাছে থেকে চলে যায় আর জাহিদ কে
জাহিদের চাওয়া সেই ফিরে আসার সুযোগটা দিয়ে দেই।
-------------------------------------------------------------------------------------------
এক সপ্তাহ আগে জান্নাত কে বিদায় দিয়েছি হাসি মুখে।
এই একসপ্তাহ উপলব্ধি করছি কেমন যেন পৃথিবী বদলে গেছে।
মনটা অনেক খারাপ কিছুি ভালো লাগছে না।
ওই ঘটনার পরে ওখান থেকে বাসায় চলে আসি বাসা থেকে
আর তেমন বের হয়নি এক সপ্তাহ।জান্নাতকেও আর
বল দিয়ে বিরক্ত করিনি।
দোষটা কো এখানে আমারি ছিল, কেন জান্নাতে কে
ভালো বাসতে গেলাম।জানতাম জান্নাত জাহিদকে
ভালোবাসে কিন্তু জানার পরেও এমন বুল কখন হয়ে গেল
বুঝতে পারিনি।
হঠাৎ করে এক অচেনা নাম্বার থেকে কল
>>হ্যালো কে বলছেন?
>>জান্নাত,আমার নাম্বার দিয়ে তোর ফোনে
কল যাচ্ছে না কেন?
>>কৌই জানিনাতো,
>>তোকে জানতেও হবেনা,ফেসবুকে মেসেজ
করেছি রিপ্লে করিস নি কেন?
>>অনেক তিন ফেসবুকে যাইনা একটু ব্যাস্ত আছি তো তাই।
কি বলার জন্য ফোন করেছিস বল,আমাকে ফোনটা রাখতে
হবে।
>>কাল সকালে যেখানে আমরা দেখা করতাম সেই
জায়গাতে দেখা করতে হবে,বাই।
কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দেই জান্নাত।আমাকে আর কোন
কথা বলার সুযোগই দিলো না।
যাব না যাবনা ভেবে ভেবে শেষ মেষ পরের দিন ১০ টাই
দেখা করতে গেলাম, গিয়ে দেখি প্রতিদিনের মতো আজো ও
আগে এসে বসে আছে।তবে আজ বোধহয়
একটু সেজে গুজে এসেছে।বোধহয় জাহিদের সাথে
কোথাও ঘুরতে যাবে।
সামনে গিয়ে দারালাম
>>তুই প্রতিদিনের মতো আজো লেট করলি।
>>(মুখে সামান্ন একটু হাসির আভা নিয়ে,)
কি বলার জন্য ডেকোছিস বল।
>>সে দিনন তোর হাতে একটা ব্যাগ ছিল, ব্যাগে
কি ছিল?
>>কোন দিন?
>>যেদিন জাহিদ আমাকে এসে সরি বললো।
>>(সেদিন ওই ব্যাগে জান্নাতের জন্য আনা চকলেট
আর গোলাপ ছিল)আমার কাছে সেদিন ব্যাগ ছিল নাকি?
>>ছিল না?
>>মনে পরছে না(মিথ্যা বললাম)
>>জাহিদ আমাকে বিয়ে কর রাখতে চাচ্ছে
>>করে, নে। এই কথা টা বলার জন্য আমাকে এখানে ডাকতে
হয়, কাল ফোনেই তো বলতে পারতি।
>>জান্নাত উঠে আমার কলার ধরে বলবো।
>>কি বললি আরেক বার বল
>>তুই এটা কি করছিস......সবাই দেখছে কলার ছার।
>>তুই কি বললি আগে সেটা বল।
>>কি বলেছি,?খারাপ কিছু তো বলিনি,
বিয়ে করে নে, যখন ভালোই বাসিস তখন বিয়ে করতে
সমস্যা কি?
>>জান্নাত আমার কলারটা ছেরে চোখ মুছতে মুছতে বসে
পরলো।
>>ওকে দেখে আবারো আমার সেই প্রথম দিনের
মতো মায়া হলো।
>>আবির আমি তোকে ভালোবাসি,আর আমি জানি
তুই ও আমাকে ভালোবাসিস,তুই সেদিন আমার জন্য
৭ টা গোলাপ নিয়ে এসেছিলি,আরমান ভায়ের দোকান থেকে।
আজ আমি যখন তোর জন্য ফুল কিনতে যায়
তখন আরমান ভাই আমাকে সব বলে।
তবে তুই এমন কেন করছিস?
>>(জান্নাত কে যতবার ফুল দিয়েছি, ততবারি জাননাতকে
নিয়ে গিয়ে আর মান ভায়ের দোকান থেকে কিনে
দিয়েছি,আর সেদিন ও আরমান ভাইকে বলে এসেছিলার
এগুলো জান্নাতের জন্য)
তোর মাথা ঠিক আছে তো?
>>আমি তোকে ভালোবাসি?
>>তবে জাহিদ।
>>জাহিদের কথা জানিনা, তবে এই সাতদিনে বুঝেছি
আমি আর জাহিদকে না তোকেই ভালোবাসি।
আর আমাকে তোর থেকে বেশি আর কেও ভালোবাসতো
পারবে না।জাহিদ যখন আমাকে আধারে ফেলে চলে গিয়েছিল
তখন তো আলোর রেখাটা তুই ই দেখিয়েছিলি।
আজ আমি সেই তোকে ছেরে কি করে জাহিদকে
বালোবাসি বল।
>>তোদের বিয়ে?
>>সেটাতো বানিয়ে বললাম তোর কাছে থেকে
ভালোবাসার কথা শোনার জন্য, কিন্তু তুই তো উল্টে
বিয়ে করে নিতে বললি.....(কান্নাক করতে করতে)
>>থাম এত কান্না করতে জবে না মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবো।
>>যাবনো ওযাটার প্রুভ.....
>>কি?
>>কি মানে দারা তোকে দেখাচ্ছি.....
>>এই থাম।থাম আর কিছু দেখাতে হবেনা।
যে ফুল গুলো এনেছিস সেই গুলা দে।
>>কেন?
>>আমি কোন কিছু আজ আনিনি, ওই ফুল গুলো
দিয়েই তোকে প্রোপজ করবো।
>>আমার আনা ফুল দিয়েই আমাকে প্রোপজ করবি।
>>ও তবে থাক, অন্য দিন করবো আজ আমি গেলাম
>>এই না না থাম এই গুলা দিয়েই কর।
....................................................................................
অতপর জান্নাকে আবার পেয়ে, পেয়েছে জীবন ভালোবাসা,
পেয়ে তোমাকে....... পেয়ে তেমাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন