শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

আমি শুধু তোকেই চাই

ক্রিংক্রিং,
আমার ভাঙাচোরা ফোনটা হটাৎ বেজে উঠলো। সকালে ঘুমের মাঝে এমন হলে খুব বিরক্ত লাগে। তেমনই আমারও লাগলো। তবুও ধরলাম,,
.
- হ্যালো,,
- নীল কই তুই?
- ঘুমের দেশে।
- তাড়াতাড়ি কলেজে আয়,,
- আপনি কে আফা?
- আগে আয় তারপর দেখাচ্ছি আমি কে?
- আচ্ছা আছসি।
- হুম, ফাস্ট।
.
অতঃপর ঘুমটা বালিশ চাপা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলেজের দিকে। আমি নীল,,, অনার্স ফাস্ট ইয়ার। কোনো এক গরীব ঘরের খুব সাধারণ একটা ছেলে। আর আমাকে যে ফোন করেছিল ওটা হলো,, তুলি। আমার সাথে একই ক্লাসে পড়ে। অনেক বড় ধনী ঘরের মেয়ে।
আমার সাথে সেই ইন্টার থেকে বন্ধুত্ব। কোন ভাগ্যে আমার মতো ছোট লোকের পোলার সাথে ফ্রেন্ডশীপ করছে কে জানে। আর অন্য সব ধনী ঘরের ছেলেমেয়েরা আমাকে দেখলে কয়েক হাত দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
.
শুধু আমার লেবেলের আর কয়েক টা পোলা আছে, ওদের নিয়েই আমার ফ্রেন্ড সার্কেল। তবে এখানে একটা মাত্র ধনী ঘরের সন্তান আছে, সেটা হলো তুলি। অন্য সবার মতো ও ধনী হলেও ওর এতো অহংকার নেই। থাকলেও আমি এ কয় বছরে দেখি নাই।
.
তারপর কলেজে চলে আসলাম। কলেজে এসেই দেখি তুলি ওর প্রাইভেট কার নিয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে। ভাবলাম আগে ব্যাগ ক্লাসে রেখে আসি, তারপর ওর সাথে কথা বলবো,, তাই ওকে অতিক্রম করে গেট দিয়ে ঢুকতেই পেছন থেকে টেনে ধরলো।
.
- এই ছাড় ছাড়, পড়লাম তো।
- তোর পড়ারই উচিত।
- কেন?
- আমার সাথে কথা না বলে তুই ভেতর যাচ্ছিস কেন?
- সরি, সরি,
- ভেতর যাওয়া লাগবো না, চল আমার সাথে।
- কই?
- অনেক দিন ধরে ঘুরতে যাই না,, আজ তোকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
- তুই যা,, আমি ক্লাস করুম।
- তুই যাবি,,, ( কলার ধরে টেনে রাস্তায় আনলো)
- এই কি করছিস এসব?
- বেশ করছি।
- লোকে কি ভাববো? আমার কলার ধরে টানছিস।
- সেটা আমার ব্যপার। এখন চল।
- আমি বেশি দূর হাটতে পারবো না।
- হাটতে বলছে কে?
- তাইলে কেমনে যামু?
- চোখের সামনে আমার গাড়ি রাখা আছে দেখস না?
- ওটায় উঠলে তো, আমার শরীর থেকে ময়লা লাগবো।
- কি বললি তুই,, কুত্তা, ( ঠাস)
.
অতঃপর তুলি আমাকে একটা থাপ্পড় মেরে কাদতেঁ কাদতেঁ চলে গেল, গাড়ি নিয়ে।
এটা কি বললাম??? ফাজলামো টা একটু বেশী হয়ে গেছে। ওর বোধ হয় খুব খারাপ লাগছে, তাই কেঁদেই দিছে। এই বড়লোক বাপের মেয়েটা একদম অন্য সবার থেকে আলাদা।
.
ও আমাকে সবথেকে কাছের বন্ধু ভাবে। কিন্তু আমিই বোধ হয় বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার যোগ্য না,, শুধু শুধু কাঁদিয়ে দিলাম, ওকে।
এখন হয়তো পাশের বটগাছের নিচে বসে কাঁদছে,, যাই দেখি, কি করছে দেখে আসি।
.
তুলির মন খারাপ থাকলে ওই গাছের নিচে গিয়েই একা একা বসে থাকে। এটা ওর খুব পরিচিত জায়গা। ওখানে বসে থাকলেই, ঠান্ডা বাতাস লাগে আর ওর মন নাকি ভালো হয়ে যায়।
কলেজ রেখেই চললাম, পাগলীটার কাছে।
.
বেশীদূর না কলেজ থেকে, তাই হেটেই অল্প সময়ে চলে গেলাম ওখানে। গিয়ে দেখি ঠিক জায়গায়ই আসছি। গাছের শিকড়ের উপর, এক মিষ্টি একটা মেয়ে বসে আছে। কান্না করার জন্য তার ফর্সা গাল দুটি লাল হয়ে গেছে। আমিও গিয়ে ওর পাশে ধপাস করে বসে পড়লাম।
.
- নীল এখানে আসছিস কেন?
- তুই ডাকলি তাই।
- আমি তোকে ডাকিনি,,, চলে যা।
- না। ওই পাগলী রাগ করছিস?
- কার সাথে রাগ করবো? আমার রাগ করার কেউ নেই ( কান্না সুরে বললো)
- তাহলে যদি কেউ নাই থাকে, তাহলে আমার সাথে রাগ করে চলে এলি কেন?
- রাগ করিনি।
- তাহলে ঘুরতে যাব এখন চল।
- আমার ভালো লাগছে না, তুই যা।
:- আমি তোর গাড়ি চালাতে পারি না,, তুই নিয়ে যা।
- আবার ওমন কথা বলবি?
- বললে কি করবি?
- তোর থেকে অনেক দূরে চলে যাব,, আর ফিরবো না।
- এই চুপ, আচ্ছা আর ও রকম কথা বলবো না, এই দ্যাখ তোকে ছুয়ে প্রমিজ করছি। হইছে?
- হুম, মনে থাকে যেন।
- থাকবে।
.
উফফফ, বাঁচলাম, অল্পতে তাহলে আজ কাজ হইছে। রাগ টা থামাতে পারলাম। এ কথা না বলে যদি অন্য কোনো ফাজিল মার্কা কথা বলতাম, তাহলে হয়তো, সারা কলেজ দৌড়াতো। কিন্তু এ কথায় খারাপ লাগছে তাই কান্না করে দিছে।
আমিও যে কি? কখন কি বলতে হয় সেটাও মাথায় রাখি না।
.
তারপর দুজন কলেজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে গেলাম। আর দুপুরে বাসায় ফিরে আসলাম।
বাসায় যেতে না যেতেই আবার ফোন,,,
- হ্যালো,,,
- বাসায় পৌঁছে গেছিস?
- তুই তো রেখে গেলি। আবার বলছিস, পৌঁছে গেছিস?
'- আচ্ছা এখন ফ্রেস হয়ে খেয়ে নে যা।
- না রে এখন খাব না খেতে ইচ্ছে করছে না।
- যেটা করতে বলছি সেটা কর।
- খাব না,,,
- বেশী বাড়াবাড়ি করবি না,, তুই না খেলে কিন্তু আমিও খাব না বলে দিলাম।
- কেন?
- এমনি, খেতে বস।
- আচ্ছা, রাখলাম এখন।
- এই দাড়া দাড়া,,, আমি বিশ্বাস করবো কিভাবে তুই খেতে বসছিস?
'- আমি কেমনে বলবো?
- খেতে বসে আমাকে ম্যাসেঞ্জারে পিক পাঠা।
- হাহাহা,, তুই ভুলে গেছিস নাকি???? আমার তো এন্ড্রয়েড ফোন নাই,, ম্যাসেঞ্জার আসবো কোথা থেকে?
- ওহ্,,,, আচ্ছা খেতে বস।
- আচ্ছা।
.
তারপর ফোন রেখে খেতে বসলাম। কি যে পাইছে ও আমার ভেতর বুঝি না। কোনো স্ত্রীও তো তার স্বামীকে এতো যত্ন করে না। যতটা তুলি আমাকে করে,,, ওর মনে কি আছে, কপালে জানে।
তারপর খাওয়া শেষ করে,, ওকে ফোন দিলাম,,, তবুও ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এনে। টাকা ছিলো না, তাই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনলাম,,, ফোন করে বললাম, আমার খাওয়া শেষ,, তারপর পাগলী খেতে বসলো।
.
তারপর পরের দিন সকালে ফোন করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিল, আর বললো একটু পর কলেজে আসতে। আমিও সময় মতো গেলাম। যাওয়া মাত্রই একটা গিফট বক্স আমার হাতে ধরিয়ে দিল,,,
.
- এটায় কি?
- তোর গিফট।
- কিসের গিফট?
- কোনো কিছুর না,,, আমার ইচ্ছে হইছে তাই দিছি।
- তাইলে খুলি, দাড়া।
- খবর দাড়, এখানে খুলবি না, বাসায় গিয়ে খুলবি।
- বলবি তো কি আছে এটায়,
- বললাম না বাসায় গিয়ে দেখবি।
- আচ্ছা।
.
তারপর ওটা ব্যাগে রেখে দিলাম। কলেজ শেষে তুলি আমাকে আমার বাড়ির সামনে এসে নামিয়ে দিয়ে গেল।
আমি ঘরে গিয়ে খুশি মনে বক্স টা খুললাম। ভেতরে দেখে তো আমার হার্ট এটাক করার অবস্থা,,,
.
ভেতরে একটা দামী আইফোন,, ওটার বক্সের ভেতর দামও ছিলো,,,, ৮৯হাজার ৯শ ৯০ টাকা। খুব ভয় পাইয়া গেলাম। এখন ভয় গুলো রাখার জায়গা খুজছি।
.
আমার মতো গরীবের ঘরে এতো দামী ফোন মানায় না। যখন মা এসে আমার কাছে এটা দেখলো , তখন বললো,,,
- এই এতো সুন্দর ফোন কই পাইছত?
- তুলি দিছে।
- তোকে যে মেয়েটা নামিয়ে দিয়ে যায় কয়েক দিন পর পর ওই মেয়ে।
- হুম।
- দাম কত এটার?
- ৯০ হাজার।
.
মা, ও মা কথা বলছো না কেন?
বাবা একটু জল দে,,
তারপর মা কে জল দিলাম। জল খেয়ে বললো,,, এই ফোনের দরকার নেই,, ওকে ফেরত দিয়ে দে এটা। আমার সাধ্য অনুযায়ী তোকে যেটা দিছি ওটা নিয়েই থাক। আর দরকার নেই। তাছাড়া তোর পড়াশুনার খরচও এখন আমাকেই বহন করতে হয়।
আগে পড়াশুনা করে বড় হ তারপর নিজের টাকায় ইচ্ছে মতো কিনবি।
- আচ্ছা, মা।
.
আমিও মার কথায় একমত হলাম। আগে যদি জানতাম তুলি এতো দামী ফোন আমাকে দিব, তাহলে কোনো দিনই আমি এটা আনতাম না। আমাদের কাছে এসব থাকতে নেই। এসব বড়লোকদের ফোন। আমাদের মতো ঘরে এগুলোর সৌন্দর্য মানায় না। আর লোকে না না কথা বলবে,, কই পাইছি, কোথা থেকে আনছি। এতো দামী ফোন আসলো কনে থিকা, ইত্যাদি।
.
তাই তার পরের দিন, যেভাবে আনছিলাম সেভাবে কলেজে নিয়ে গেলাম তুলিকে দেওয়ার জন্য। গিয়ে দেখি তুলি আর ওর দুটি বান্ধবী একসাথে বসে গাছতলায় আড্ডা দিছে।
.
- তুলি, দোস্ত এই নে তোর গিফট,, রাগ করিস না প্লিজ।
- ফেরত দিলি কেন এটা? আমি তোকে ফেরত দেওয়ার জন্য দিছি এটা?
- জানি না,, আমি এটা নিতে পারবো না। প্লিজ ক্ষমা করে দে।
- কেন নিবি না?
- এগুলো আমাদের কাছে মানায় না। এগুলো তোদের কাছেই মানায়। আর এতো দামী ফোন দিয়ে আমি কি করবো?
- তারমানে তুই আমার দেওয়া জিনিস নিবি না।
- রাগ করিস না, মন খারাপ করিস না,,, আমি এটা নিতে পারবো না।
- আচ্ছা, না নিলি।( ফোন পাশের জঙ্গলের ধারে, একটু জল জমে কাদা হইছে ওখানে ছুড়ে ফেলে দিল)
- এই এটা কি করলি?
- বেশ করছি। আমার দেওয়া জিনিস নিবি কেন? আমি তোর কে? ( এই কথা বলে কাদতেঁ কাদতেঁ চলে গেল)
.
আমি আর কিছু বললাম না, শুধু দাড়িয়ে রইলাম। মেয়েটা এতটা পাগলী কেন? আমার সাথে সবসময় এমন আচরণ করে কেন? মনে হয় আমি ওর খুব কাছের কেউ একজন। সবসময় আমাকে নিয়ে পরে থাকে। এমন কেন ও? আর কেনইবা এমন করে? কেউ হাজার বকলে বা মারলেও খিলখিল করে হাসে,, আর আমি কিছু একটা ফিরিয়ে দিলে বা না বললেই কান্না করে। আমার মতো এক গরীবের ছেলের এমন করায় এই মেয়ে এতো কান্না করে কেন? না কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।
.
তারপর আর কয়েক দিন তুলি আর কলেজে আসলো না। খুব মিস করতে লাগলাম ওকে। অনেক ফোন দিলাম কিন্তু সবসময়ই সুইচ অফ বলছে।
.
৬ দিনের দিন কলেজে আসলো। তখন আমি কাছে গেলাম,,,
- তুলি এতদিন কই ছিলি?
- বাসায়।
- কলেজে আসিস নি কেন?
- অসুস্থ ছিলাম।
- কি হইছিলো?
- এমনি বেশী কিছু হয়নি?
- তোর ফোন বন্ধ কেন?
- নেটওয়ার্ক ছিলো না।
- হোয়াট??
- বিশ্বাস না হলে এই দ্যাখ ( একটা ভাঙাচোরা আমার ফোনের মতো এক বাটন ফোন এনে আমার চোখের সামনে ধরলো)
- এটা কি?
- ফোন।
- কার ফোন এটা?
- কার আবার আমার ফোন।
- ও মাই গড,,, তোর মাথায় সমস্যা আছে। আগের সে স্যামসাং কই?
- পুড়িয়ে ফেলছি।
- কেন?
- আমার ইচ্ছে।
- ওহ্,,,, ওটা ফেলে এখন এই ৭০০ টাকার নেটওয়ার্ক ছাড়া ফোন ভালো লাগছে?
- হেব্বী মজা এই ফোনে।
- ধুরর,,
- হুহ,, ( পাগল কোথাকার,, তুই বুঝিস না তোর জন্য আমি সবকিছু ছাড়তে পারি। খুব ভালবাসি তোকে আমি। তুই যা ব্যবহার করবি আমিও এখন তাই করবো)
.
অতঃপর সেদিন বাসায় চলে এলাম। এই তুলিটার কি যে হইছে? দিন দিন মাথাটা একেবারেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কি করি এখন ওকে নিয়ে।
.
তারপর দেখি মেসেজ দিছে একটা,,,, ওপেন করে দেখি,,, ( এই হনুমান, আয় দুজনে মিলে অপার থেকে এসএমএস কিনে, বাটন ফোন দিয়ে চাটিং করি)
O M G পাগলীর কথা শুনে না হেসে পারলাম না। তারপর দুজনে এসএমএস কিনে হেব্বী মজা করে মেসেজ করতে শুরু করলাম।
.
তারপরের দিন কলেজে গেলাম। গিয়ে দেখি এখনো আসে নাই তুলি। তাই আমি বন্ধুদের সাথে কথা বলতে লাগলাম। তার একটু পর দেখি মহারাণী আসলো,,,
.
- তুলি আজ এতো লেট করলি কেন?
- আর বলিস না, রিক্সা পেতে দেরী হয়ে গেছে।
- ( আমি এটা কি শুনলাম,, নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না, ধপাস করে বসে পড়লাম মাটিতে) কি বললি? আবার বল।
- রিক্সা পাইনি।
- তুই ঠিক আসিস তো তুলি,, মাথায় সমস্যা হয়নি তো?
- না।
- তাইলে তোর লাখ টাকার গাড়ি ছেড়ে রিক্সায় এলি কেন?
- নীল তুই যদি বুঝতে পারতি তাহলে আর এই প্রশ্ন করতি না।
- বুঝিয়ে দে।
'- পরে।
- এভাবে আর কয়দিন চলবে হ্যাঁ। কি পাগলামী শুরু করছিস এগুলো? তোর মা বাবা কিছু বলে না।
- কি বলবো? আমি ওনাদের একমাত্র মেয়ে। আমি যা চাই তাই পাই। আর এখন এরকম করে যা চাইছি সেটাও ওনারা জানে, তাই কিছু বলে না।
- সত্যি করে বল তো তুই কি চাস?
- যদি বলি তাইলে দিবি তুই সেটা?
- আমার কাছে আর কি থাকবো, এতো টাকাপয়সা আমার নাই।
- আমার ওসব চাই না। আমার অন্য আরেক জিনিস চাই। যেটার জন্য এই আমার বাবার টাকাপয়সা কেন,, নিজের জীবন টাও দিতে পারি।
- সেটা কি জিনিস?
- তুই দিবি?
- যদি থাকে তাইলে দিমু।
- তোর কাছে আছে। যদি প্রমিজ করস আমাকে দিবি তাহলে বলবো।
- ( 3000 বুল্টের শক,,, এমন কি জিনিস যেটা আমার কাছে আছে,, আর সেটা পাওয়ার জন্য তুলি সব করতে পারে)
- কি ভাবছিস নীল?
- কিছু না।
- প্রমিজ কর আমাকে ছুয়ে, দিবি সেটা।
- ( একটু ভাবলাম) আচ্ছা প্রমিজ করলাম,, যদি থাকে আমার কাছে তাহলে দিব।
- সত্যি?
- হু।
- আই লাভ ইউউউউউউউউউউউ।
- কারে কইলি?
- তোরে।
- মানে কি?
- আমি তোকে ভালবাসি, আর তুই আমাকে অনেক ভালবাসা দিবি আর পড়াশুনা শেষ হলে, বাবা তোর চাকরির ব্যবস্থা করে দিব, আমাকে শুধু বউ করে তোর ঘরে তুলবি।
- ( বেহুঁশ)
.
১০ মিনিট পর,,,,
- আমি কই?
- আমার কাছে।
- তুই এইসব কি বললি?
- যা শুনছস তাই।
- এটা হয়না,, তুই কই আর আমি কই।
- আমি কিছু জানি না তুই আমাকে ভালবাসবি, ব্যস।
- এটা কি করে হয়?
- ওমনেই,,, আর তুই আমাকে প্রমিজ করছিস,, এবার যদি প্রমিজ না রাখিস তাহলে কাল আমার মরা মুখ দেখবি।
- ( ঠাস করে একটা দিলাম) ওই এইসব কথা কেউ বলে?
- ( কেদে দিছে) তাহলে আমাকে ভালবাস।
- আমি যেভাবে রাখবো সেভাবে থাকবি?
- তোর যেভাবে খুশি সেভাবে রাখ, ইচ্ছে হলে খেতে দিবি না হয় নাই দিবি তবুও আমি তোর কাছেই থাকবো।
- তাহলে আর পাগলামী করিস না এরকম।
- আচ্ছা,,,
- এইতো লক্ষী মেয়ে।
- আমাকে কিন্তু এখনো ভালবাসি বললি না।
- আই লাভ ইউ। এত্তো গুলো ভালবাসি তোকে।
- আমিও ভালবাসি, অনেক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন