তুমি কি আজও সেই কথাটাই বলবে?
- হ্যা বলবো আমি! শুধু আজ কেন!? সবসময় বলবো। কারণ কাজটা তুমি করেছ
- দেখ নিশি, আমি জানিনা এ ধারণাটা কেন করেছিলা তুমি। ভেবেছিলাম ভুলটা হয়ত বুঝতে পারবে একসময়। কিন্তু..!
- ভুল!! আমি ভুল বুঝিনি ফয়েজ। আমি একদমই ঠিক বুঝেছিলাম। নতুবা সেদিন কাজটা করতে না তুমি। কই! অনেকেই তো ছিলো। তারা তো কেউ সেটা করতে যায়নি। তুমিই কেন! আর তারপরেও বলো আমার ধারণা ভুল! হাজার চেষ্টা করেও তুমি এটা দূর করতে পারবে না ফয়েজ।
- তোমার কি এখনও মনে হয় যে আমি সে চেষ্টাটা করে যাই? কিন্তু এ ভ্রান্ত ধারণা আর কতদিন পুষে রাখবে মনে?
- না মনে হয় না! তবে সেদিনের সেই ভিত্তিতেই তুমি কাজ করে যাচ্ছ। যা আমার কাছে অস্বস্তিকর লাগে!
- বেশ এতোই যদি তোমার এমন মনে হয় তাহলে যাও চলে যাও তুমি। আমি আর কখনো তোমায় আটকাতে যাবো না। যাও। আজ থেকে স্বাধীন তুমি। নিজের যা ইচ্ছা কর। আজ থেকে আর তোমায় কোনো ফর্মালিটি মেইনটেইন করতে হবেনা।
`````````````````````````````````````
নিশি আমার স্ত্রী। তবে অন্যান্য স্বামী-স্ত্রীদের মতো স্বাভাবিক নয় আমাদের ব্যাপারটা। স্বামী স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে চলে এসেছে কিছু বাধ্যবাধকতা, নির্দিষ্টতা। যদিও এতকিছুর মধ্যেও আমি যতটা সম্ভব স্বাভাবিকই থাকতে চেষ্টা করি।
`
নিশিকে আমি পছন্দ করতাম সেই ভার্সিটি লাইফ থেকেই। প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে অসম্ভব ভালো লেগে যায় আমার। লাল কালারের ড্রেসে সেদিন পুরো অপ্সরীর মতো লাগছিল নিশিকে। প্রথম দেখাতেই নিশিকে আমার এতোটাই ভালো লেগেছিল যে ওর দিক থেকে চোখই ফেরাতে পারছিলাম না আমি।
`
নিশি মেয়েটি ছিল আমাদের এক ইয়ারের জুনিয়র। ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল তখন আমরা ছিলাম সেকেন্ড ইয়ার, আর নিশি ফার্স্ট। পরিচয় হবার পর থেকে টুকটাক ভালোই কথা হতে থাকে ওর সাথে। তবে একটা ব্যাপার আমি বুঝতে পারতাম যে ওর সামনে আমি নিজেকে কিছুতেই স্বাভাবিক রাখতে পারতাম না। নিজের মধ্যে জড়তা কাজ করত।
`
কিন্তু মুল ঝামেলাটা বাধলো সপ্তাহখানেক বাদেই। হুট করেই আমার ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলে ওকে প্রপোজ করে বসে। ছেলেটির নাম আদিব। শুনেছি নিশি এখনও কিছু বলেনি। কিন্তু কথাটা শোনার পর থেকেই আমার কেন যেন খুব কষ্ট লাগছিল। না পেয়েও হারানোর এক অজানা ভয় চলে আসে মনে। সত্যি বলতে নিশিকে আমার এতই ভালো লাগতো যে সবসময় ওর কথাই ভেবে যেতাম। এসবের মধ্যে অজান্তেই ওকে ভালোবেসে ফেলেছি একসময়।
`
কিন্তু এখন কি আমার কিছু করার আছে? হয়ত আছে। কিন্তু তার পুরোটাই নির্ভর করছে নিশি আদিবকে কি জবাব দেবে সেটার ওপর।
আচ্ছা যদি হ্যা বলে দেয় তাইলে?
তাহলে আর কি! ব্যাপারটা হয়ে যাবে কোনো কাজ শুরুর আগেই হাল ছেড়ে দেয়া। কি অদ্ভুত তাইনা!?
- হ্যা বলবো আমি! শুধু আজ কেন!? সবসময় বলবো। কারণ কাজটা তুমি করেছ
- দেখ নিশি, আমি জানিনা এ ধারণাটা কেন করেছিলা তুমি। ভেবেছিলাম ভুলটা হয়ত বুঝতে পারবে একসময়। কিন্তু..!
- ভুল!! আমি ভুল বুঝিনি ফয়েজ। আমি একদমই ঠিক বুঝেছিলাম। নতুবা সেদিন কাজটা করতে না তুমি। কই! অনেকেই তো ছিলো। তারা তো কেউ সেটা করতে যায়নি। তুমিই কেন! আর তারপরেও বলো আমার ধারণা ভুল! হাজার চেষ্টা করেও তুমি এটা দূর করতে পারবে না ফয়েজ।
- তোমার কি এখনও মনে হয় যে আমি সে চেষ্টাটা করে যাই? কিন্তু এ ভ্রান্ত ধারণা আর কতদিন পুষে রাখবে মনে?
- না মনে হয় না! তবে সেদিনের সেই ভিত্তিতেই তুমি কাজ করে যাচ্ছ। যা আমার কাছে অস্বস্তিকর লাগে!
- বেশ এতোই যদি তোমার এমন মনে হয় তাহলে যাও চলে যাও তুমি। আমি আর কখনো তোমায় আটকাতে যাবো না। যাও। আজ থেকে স্বাধীন তুমি। নিজের যা ইচ্ছা কর। আজ থেকে আর তোমায় কোনো ফর্মালিটি মেইনটেইন করতে হবেনা।
`````````````````````````````````````
নিশি আমার স্ত্রী। তবে অন্যান্য স্বামী-স্ত্রীদের মতো স্বাভাবিক নয় আমাদের ব্যাপারটা। স্বামী স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে চলে এসেছে কিছু বাধ্যবাধকতা, নির্দিষ্টতা। যদিও এতকিছুর মধ্যেও আমি যতটা সম্ভব স্বাভাবিকই থাকতে চেষ্টা করি।
`
নিশিকে আমি পছন্দ করতাম সেই ভার্সিটি লাইফ থেকেই। প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে অসম্ভব ভালো লেগে যায় আমার। লাল কালারের ড্রেসে সেদিন পুরো অপ্সরীর মতো লাগছিল নিশিকে। প্রথম দেখাতেই নিশিকে আমার এতোটাই ভালো লেগেছিল যে ওর দিক থেকে চোখই ফেরাতে পারছিলাম না আমি।
`
নিশি মেয়েটি ছিল আমাদের এক ইয়ারের জুনিয়র। ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল তখন আমরা ছিলাম সেকেন্ড ইয়ার, আর নিশি ফার্স্ট। পরিচয় হবার পর থেকে টুকটাক ভালোই কথা হতে থাকে ওর সাথে। তবে একটা ব্যাপার আমি বুঝতে পারতাম যে ওর সামনে আমি নিজেকে কিছুতেই স্বাভাবিক রাখতে পারতাম না। নিজের মধ্যে জড়তা কাজ করত।
`
কিন্তু মুল ঝামেলাটা বাধলো সপ্তাহখানেক বাদেই। হুট করেই আমার ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলে ওকে প্রপোজ করে বসে। ছেলেটির নাম আদিব। শুনেছি নিশি এখনও কিছু বলেনি। কিন্তু কথাটা শোনার পর থেকেই আমার কেন যেন খুব কষ্ট লাগছিল। না পেয়েও হারানোর এক অজানা ভয় চলে আসে মনে। সত্যি বলতে নিশিকে আমার এতই ভালো লাগতো যে সবসময় ওর কথাই ভেবে যেতাম। এসবের মধ্যে অজান্তেই ওকে ভালোবেসে ফেলেছি একসময়।
`
কিন্তু এখন কি আমার কিছু করার আছে? হয়ত আছে। কিন্তু তার পুরোটাই নির্ভর করছে নিশি আদিবকে কি জবাব দেবে সেটার ওপর।
আচ্ছা যদি হ্যা বলে দেয় তাইলে?
তাহলে আর কি! ব্যাপারটা হয়ে যাবে কোনো কাজ শুরুর আগেই হাল ছেড়ে দেয়া। কি অদ্ভুত তাইনা!?
শুনেছি মানুষের জীবনে অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে মানুষ খানিকটা সময় গন্তব্যহীনভাবে হাটে। অধিকাংশের হাতে সেসময় আবার সিগারেট ও থাকে। আমার আজকের হাটাটা হয়ত তেমনই গন্তব্যহীনভাবেই হাটা। যদিও আমার হাতে সিগারেট নেই। আসলে অভ্যাস নাই তো
আমার জীবনে কি অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছে? আমি নিজেই এতে সন্দিহান। আর যদি কিছু ঘটেও থাকে তাহলে তাকে কি অস্বাভাবিক বলা যাবে? আমার তো মনে হয় ব্যাপারটা স্বাভাবিকই। । আচ্ছা আমি কি সত্যিই গন্তব্যহীনভাবেই হাটছি নাকি গন্তব্য ঠিকই আছে? শুধুমাত্র হাটার একটা নাম দেয়ার জন্যই এমনটা ভাবছি!
মনের অজানা ভয়টাই যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে ভাবিনি। নিশির এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম আদিব ওকে প্রপোজ করাতে ও খুব খুশি। নিশি নিজেও নাকি আদিবকে পছন্দ করে। আর মনে মনে নিশি এটাই চাইছিল যে আদিব ওকে প্রপোজ করুক। আর এভাবে যখন নিজের চাওয়াটা পূর্ণতা পায় তখন মানুষ যে অস্বাভাবিক খুশি হবে তা বলাই বাহুল্য।
সবকিছু কেমন যেন ধোঁয়াশার মতো লাগছে। হাতে একটা সিগারেট হলে মনে হয় খুব একটা মন্দ হতো না! যদিও সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস নাই আমার। তবুও হাতে সিগারেট থাকলে হয়ত আমায় দেখতে একটু মানানসই লাগতো। একটা সিগারেট কিনে কি ধরিয়ে নেবো!?
আচ্ছা মানুষ সিগারেট কেন খায়? অনেকেই বলে সিগারেট খেলে নাকি মনের কষ্ট দূর হয়? সত্যিই কি তাই? তাহলে ডাক্তাররা সিগারেট খেতে বারণ কেন করে? মানুষ কি শুধু মনের কষ্ট দূর করতেই সিগারেট খায়? নাকি ইহা নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যই বলে? আমার তো মনে হয় মানুষ সিগারেট খায় সিগারেটের আগুন দিয়ে নিজের ভিতরটা জালিয়ে দেয়ার জন্য। সিগারেট খাওয়া নিজের ভিতরটা জালিয়ে দেয়ার পদ্ধতিমাত্র। আচ্ছা ভিতর জালিয়ে দিলে কি কষ্টগুলাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়?
আমি জানিনা এত কষ্ট কেন হচ্ছে আমার। এমন তো নয় যে নিশি আমার ছিল, হারিয়ে যাচ্ছে তাই কষ্ট পাচ্ছি। আসলেই তো! যে মানুষটা কখনোই আমার ছিলোনা তার জন্য বেহুদাই কষ্ট পাওয়ার কোনো মানেই হয়না। আর আমি এমন ভাব করছি তাতে মনে হচ্ছে আমি ছ্যাকা খাইছি। আরে ভাই ছ্যাকা খাইতে হলে তো আগে রিলেশন হতে হয়। আমার তো রিলেশিনই হয়নি। ধুর। হুদাই এমন করে যাচ্ছি আমি।
যত দিন যেতে লাগলো নিশি আর আদিবের রিলেশনটা ততই গভীর হতে লাগলো। ওদের দূর থেকে দেখেই মুচকি হেসে ভাবি এমন একটা দিন হয়ত আমার জীবনেও আসতে পারতো। অসম্ভবের কিছুই নয়। তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে সবার ভাগ্যে তো সব কিছু নাই। ওরা দুজন দুজনকে চায়, তাই ওদের মিলনটাই স্বাভাবিক। তবে এতকিছু হয়ে যাবার পরেও আমি অবাক হই এটা ভেবে যে নিশির প্রতি আমার ভালোলাগা কিংবা ভালোবাসা কোনোটাতেই বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি।
দিনের পর দিন আসে, দিন যায়, তারপর আবার দিন আসে। দেখতে দেখতে ভার্সিটি জীবন শেষ হয়ে যায়। ছেড়ে আসতে হয় প্রাণের ক্যাম্পাসটাকে, আর সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যার জন্য সে হলো নিশি। হ্যা জানি নিশি আমার না! হয়ত তা সম্ভবও নয়। কিন্তু তবুও ওকে দেখতে পেতাম এতদিন। কিন্তু এখন তার সবই শেষ। জীবন যে কখনো কল্পনার মতো নয়! এতে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়! আর সেই বাস্তবতা পিষে দিয়ে যায় কিছু স্বপ্ন।
হয়ত একদিন এসবকিছুও আমার কাছে মেকি মনে হবে। বাস্তবতার ব্যস্ততায় এতসব ভাবার সময়টুকুও হবে না একসময়। হয়ত বাস্তবতার মুখোমুখিতে জীবনে অন্য কাউকে এনে একসময় ভাবার সময়টুকুও পাবোনা যে নিশি কোথায় আছে, কেমন আছে। মনের চাওয়াটা আজই চেয়ে দিলে হয়ত খুব একটা খারাপ হবেনা! ভালো থাকুক আদিব, ভালো থাকুক নিশি। ভালো থাকুক ওরা দুজনেই।
দুবছর হলো ঢাকায় একটা কোম্পানিতে ঢুকেছি। বেশ ভালোই চলছে দিনকাল। কয়েকদিন ধরেই অফিসের কাজে ঠিক মন বসাতে পারছি না। মনটা কেমন যেন উদাস উদাস লাগছে। বস ও ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন বোধহয়। আমায় ডেকে বললেন আমার রেস্ট দরকার। তারপর নিজ থেকেই এক সপ্তাহের ছুটি দিয়ে দিলেন। আমি মুলত অফিস থেকে ছুটি নেইনা। সবাই যখন বিভিন্ন অজুহাতে ছুটি নেয়ায় ব্যস্ত তখন আমি ব্যস্ত থাকি কিভাবে পাওনা ছুটিগুলোও না কাটিয়ে অফিস করা যায়। তাই এক্ষেত্রে বসের থেকে এক্সট্রা একটা সুবিধা পাই আমি। আজও চাইনি। বসই জোর করে পাঠিয়ে দিলো আর বলল এ নিয়ে আর কথা নয়!
`
মন ভালো না থাকলে সবাই একাকী, নির্জন নিরিবিলি জায়গায় থাকতে চায়। খানিকটা সময় শুধু নিজেকেই দিতে চায়। ভাবতে চায় শুধু নিজেকে নিয়েই। আমিও এমনই। নিজেকে নিয়েই থাকি। নিজেকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু নির্জনে নয়! বরং তখন কোলাহল জায়গাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি। আর এর জন্য নিউ মার্কেট উপযুক্ত জায়গাই বটে।
`
নিউমার্কেট এসে একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছি। গন্তব্য নির্দিষ্ট নাই। শুধু এ জায়গাটা স্থির রেখেই এদিক থেকে ওদিক, ওদিক থেকে সেদিক, সেদিক থেকে আবার এদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। কোনোকিছুই যেন মনোযোগ নাই। সামনে বা পাশে তাকিয়ে হাটতে হয় তাই! ফর্মালিটির জন্য তাই করছি। এতেও যেন আর আগ্রহ পাচ্ছি না। নিজের প্রতিই বিরক্ত হয়ে গেছি। চোখ বুজে হাটতে পারলে ভালো হত!
`
হাটতে হাটতে দোকানটা পার হবার সময় দোকানের ভিতর এক পলক তাকালাম। তারপর আবার বাইরের দিকে তাকিয়ে হাটছি। হঠাত দাঁড়িয়ে গেলাম আমি!
কাকে দেখলাম! কালো শাড়ি পড়া মেয়েটা! ও নয় তো!
হ্যা ও ই হবে! ওকেই দেখেছি আমি!
`
পিছন ঘুরে দোকানের দিকে ঘুরতেই আবার দাঁড়িয়ে গেলাম আমি! আমার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি!
তার মানে মেয়েটিও আমায় দেখেছে। নিশ্চয়ই দেখেছে। নতুবা কেনই বা আসবে? নিশ্চয় আমাকে দেখেই এসেছে!
`
আমি পিছন ঘুরে ওকে দেখতেই মুচকি একটা হাসি দিলো ও!!
আমি শুধু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে! কিছু বলতে পারছি না! মূলত কোনো কথাই বের হচ্ছেনা! যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি! মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের ভিতর আছি আমি।
`
মেয়েটি আমায় জিজ্ঞেস করল, কেমন আছেন?
আমার মুখ দিয়ে যেন কথাই বের হতে চাইছে না। ভাবিনি আবার ওর সাথে দেখা হবে। আসলে আমি নিজেও চাইনি আর ওর সাথে দেখা হোক আমার। হয়ত অপ্রস্তুত হয়ে যাবো। সেই তাই হলো।
`
আমি বললাল, তু..তু..তুমি?
নিশি! চিনতে পারছেন না? ভুলে গেছেন? হাসতে হাসতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বলল কথাটা
কি বলব আমি! তোমাকে যে চাইলেও ভুলতে পারিনি। এটা? চাইলে ভুলতে পারবোও না! কি আজব! চাইলেই তো সব বলা যায়না। তবে নিশি যে আমায় মনে রেখেছে এবং এভাবে দেখে নিজ থেকেই কথা বলার জন্য এগিয়ে এসেছে এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
`
না মানে!!
বাব্বাহ! কোনো মানুষকে যে এত তাড়াতাড়ি ভোলা যায় তা জানতাম না! আমার কথা শেষ করার আগেই নিশি এ কথাটা বলল
এবার আমি সত্যিই ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম। এ মেয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি যেন ওর বয়ফ্রেন্ড ছিলাম। ব্যাপারটা এমন যে ওকে আমায় মনে রাখতেই হবে। হ্যা রাখতে হবে। সে হয়ত আমার ক্ষেত্রে। কিন্তু ওর কথার ভাব এমন হবার মানেটা কি! নাহ। এবার কিছু বলা উচিৎ
`
এভাবে নয়। কিছু বলে অন্তত এরুপ ভাবটা কাটানো উচিৎ। আমি বললাম, তা একা যে? আদিব কই?
কথাটা বলার পরেই নিশির মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেল। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
অপ্রস্তুতভাবেই বলতে গেল, না মানে..!
আসেনি? নিশ্চয় ব্যস্ততা? ওর কথা শেষ করার আগেই আমি এ কথাটা জিজ্ঞেস করি।
`
এবার ওর মুখের ফ্যাকাশে ভাবটা আরো যেন স্পষ্ট হলো। মনে হয় কথাটা ওকে জিজ্ঞেস করা ঠিক হয়নি।
তারপর ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আমি আবার বললাম, আচ্ছা বাদ দাও। সময় হবে তোমার?
কফি খাওয়া যেতে পারে কি?
নিশি কি যেন ভাবলো। তারপর বলল বেশ চলুন।
`
মন ভালো না থাকলে সবাই একাকী, নির্জন নিরিবিলি জায়গায় থাকতে চায়। খানিকটা সময় শুধু নিজেকেই দিতে চায়। ভাবতে চায় শুধু নিজেকে নিয়েই। আমিও এমনই। নিজেকে নিয়েই থাকি। নিজেকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু নির্জনে নয়! বরং তখন কোলাহল জায়গাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি। আর এর জন্য নিউ মার্কেট উপযুক্ত জায়গাই বটে।
`
নিউমার্কেট এসে একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছি। গন্তব্য নির্দিষ্ট নাই। শুধু এ জায়গাটা স্থির রেখেই এদিক থেকে ওদিক, ওদিক থেকে সেদিক, সেদিক থেকে আবার এদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। কোনোকিছুই যেন মনোযোগ নাই। সামনে বা পাশে তাকিয়ে হাটতে হয় তাই! ফর্মালিটির জন্য তাই করছি। এতেও যেন আর আগ্রহ পাচ্ছি না। নিজের প্রতিই বিরক্ত হয়ে গেছি। চোখ বুজে হাটতে পারলে ভালো হত!
`
হাটতে হাটতে দোকানটা পার হবার সময় দোকানের ভিতর এক পলক তাকালাম। তারপর আবার বাইরের দিকে তাকিয়ে হাটছি। হঠাত দাঁড়িয়ে গেলাম আমি!
কাকে দেখলাম! কালো শাড়ি পড়া মেয়েটা! ও নয় তো!
হ্যা ও ই হবে! ওকেই দেখেছি আমি!
`
পিছন ঘুরে দোকানের দিকে ঘুরতেই আবার দাঁড়িয়ে গেলাম আমি! আমার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি!
তার মানে মেয়েটিও আমায় দেখেছে। নিশ্চয়ই দেখেছে। নতুবা কেনই বা আসবে? নিশ্চয় আমাকে দেখেই এসেছে!
`
আমি পিছন ঘুরে ওকে দেখতেই মুচকি একটা হাসি দিলো ও!!
আমি শুধু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে! কিছু বলতে পারছি না! মূলত কোনো কথাই বের হচ্ছেনা! যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি! মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের ভিতর আছি আমি।
`
মেয়েটি আমায় জিজ্ঞেস করল, কেমন আছেন?
আমার মুখ দিয়ে যেন কথাই বের হতে চাইছে না। ভাবিনি আবার ওর সাথে দেখা হবে। আসলে আমি নিজেও চাইনি আর ওর সাথে দেখা হোক আমার। হয়ত অপ্রস্তুত হয়ে যাবো। সেই তাই হলো।
`
আমি বললাল, তু..তু..তুমি?
নিশি! চিনতে পারছেন না? ভুলে গেছেন? হাসতে হাসতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বলল কথাটা
কি বলব আমি! তোমাকে যে চাইলেও ভুলতে পারিনি। এটা? চাইলে ভুলতে পারবোও না! কি আজব! চাইলেই তো সব বলা যায়না। তবে নিশি যে আমায় মনে রেখেছে এবং এভাবে দেখে নিজ থেকেই কথা বলার জন্য এগিয়ে এসেছে এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
`
না মানে!!
বাব্বাহ! কোনো মানুষকে যে এত তাড়াতাড়ি ভোলা যায় তা জানতাম না! আমার কথা শেষ করার আগেই নিশি এ কথাটা বলল
এবার আমি সত্যিই ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম। এ মেয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি যেন ওর বয়ফ্রেন্ড ছিলাম। ব্যাপারটা এমন যে ওকে আমায় মনে রাখতেই হবে। হ্যা রাখতে হবে। সে হয়ত আমার ক্ষেত্রে। কিন্তু ওর কথার ভাব এমন হবার মানেটা কি! নাহ। এবার কিছু বলা উচিৎ
`
এভাবে নয়। কিছু বলে অন্তত এরুপ ভাবটা কাটানো উচিৎ। আমি বললাম, তা একা যে? আদিব কই?
কথাটা বলার পরেই নিশির মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেল। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
অপ্রস্তুতভাবেই বলতে গেল, না মানে..!
আসেনি? নিশ্চয় ব্যস্ততা? ওর কথা শেষ করার আগেই আমি এ কথাটা জিজ্ঞেস করি।
`
এবার ওর মুখের ফ্যাকাশে ভাবটা আরো যেন স্পষ্ট হলো। মনে হয় কথাটা ওকে জিজ্ঞেস করা ঠিক হয়নি।
তারপর ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আমি আবার বললাম, আচ্ছা বাদ দাও। সময় হবে তোমার?
কফি খাওয়া যেতে পারে কি?
নিশি কি যেন ভাবলো। তারপর বলল বেশ চলুন।
অফিস থেকে আজ একটু আগেই চলে আসলাম। শরীরটা ভালো লাগছে না। সাথে মনটাও। সকালে নিশিকে ওইভাবে বলা ঠিক হয়নি।
কিন্তু আমিই বা কি করবো! এসব যত ওকে ভুলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই থাকতে চাই ততই ও এসব ব্যাপার টেনে আনে। এখন এসব আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর লাগে এ ব্যাপারটা। বারংবারই এক কথাই বলে যায় ও
এতসব না ভেবে নিশি যদি একবার আমার ভালোবাসার কথা জানতো, যদি ও জানতো এই ছেলেটা সেই প্রথম দেখাতেই ওকে পাগলের মত ভালোবাসে, এখন ওর সামান্যতম ভালোবাসা পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে ছেলেটি, তাহলেও কি নিশি আমার সাথে এমন করতে পারতো!?
কি জানি!
হয়ত হ্যা! হয়তোবা না! মেয়ে মানুষের মন বোঝাটা তো আর এতটা সহজ কাজ নয়। তারা নিজেরাই তাদের মন নিয়ে কনফিউজড হয়ে যায়।
কি জানি!
হয়ত হ্যা! হয়তোবা না! মেয়ে মানুষের মন বোঝাটা তো আর এতটা সহজ কাজ নয়। তারা নিজেরাই তাদের মন নিয়ে কনফিউজড হয়ে যায়।
নিশিকে কি একটা ফোন করে সরি বলবো! নাকি বাসায় যেয়েই....!? সকালে আসলে নিশিকে কথাগুলো খুব কড়া ভাবেই বলা হয়ে গেছে। আচ্ছা নিশি সত্যিই চলে যায় নি তো!? এবার আমার সত্যিই ভয় লাগলো। কিছু হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে গেলাম আমি।
সকালে আমার মোটেও ঠিক হয়নি নিশির সাথে ওমনটা করা। ওর কথাটাও তো ভাবা উচিৎ, বোঝা উচিৎ। ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য মানুষের সাথে দিন কাটানো যে কতটা যন্ত্রণার তা হয়ত আমি বুঝবো না। আদিবের সাথে ওর বিয়েটা হয়নি ঠিকই। কিন্তু তাই বলে এমনটা তো নয় যে আদিব ওকে ভালো বাসতো না।
আদিবও ওকে ভালোবাসতো। তবে আমি জানিনা আদিব ওমনটাই বা কিভাবে করেছিল। হয়ত পরিস্থিতিই ওকে ওমনটা করতে বাধ্য করেছিল। যদিও আমি জানিনা কিছুই।
সেদিন যখন বাস্তবতা ও পরিবারের দোহাই দিয়ে আদিব ওকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল তখন সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলাম আমি। এতদিনের ভালোবাসা। তারওপর এসবও তো প্লান করেই করেছে ওরা। কিন্তু তারপরেও!!
তারপর একে একে ফ্রেন্ড রা সবাই যখন সান্ত্বনা দিয়ে বিদায় হচ্ছিল তখন আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম নিশি একবারেই বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আর ওর বাসায় ফেরা সম্ভব না। ও আবার সুইসাইড করবে না তো!
সাতপাঁচ না ভেবে তাই আমিও একটা কাজ করে বসলাম। হুট করেই বলে দিলাম আমি নিশিকে বিয়ে করবো। চল তোরা। নিশি কিছু বলতে পারলো না। আরো ভালো করে বলতে গেলে ওকে কিছুই বলতে দেয়া হলো না। কেবল কেমন এক দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে। আমি ওর সেই চাহনীতে ওর মুখের দিকে তাকাতে পারিনি। ওর চোখের দিকে তাকানোর সাহসটাও ছিল না আমার।
কিন্তু এতসবের পরেও এত কষ্ট সহ্য করেও সব মেনে মেয়েটি সবকিছু ছেড়ে পড়ে আছে আমার কাছে। কিন্তু সেই আমিই কিনা ওকে ওমনভাবে বললাম! নিজের ওপরই নিজের রাগ হলো আমার।
নিশিকে ফোন দিলাম। রিসিভ করলোনা। এবার আমার সত্যিই খানিকটা ভয় লাগলো!? নিশি কি সত্যিই চলে গেছে!? কিন্তু কোথায় যাবে ও! কোথায় খুঁজবো ওকে? তাছাড়া ও কি এতসবের পরেও আবার আমার কাছে আসতে রাজি হবে!
আমি জানিনা। সত্যিই জানিনা
তবে এটা হয়ত হবারই ছিল। নিশি যে কখনো আমার সাথে স্বাভাবিক হতে পারবে না তা বেশকিছুদিন ধরেই বুঝতে পেরে গেছি আমি। বুকের মধ্যে চিনচিন করছে। এ এক হারানোর ব্যথা।
তবে এটা হয়ত হবারই ছিল। নিশি যে কখনো আমার সাথে স্বাভাবিক হতে পারবে না তা বেশকিছুদিন ধরেই বুঝতে পেরে গেছি আমি। বুকের মধ্যে চিনচিন করছে। এ এক হারানোর ব্যথা।
হ্যা, এটা ঠিক অন্যসব কাপলদের মতো আমাদের ব্যাপারটা স্বাভাবিক ছিল না। খানিকটা নয়! বরং অনেকটাই দূরত্ব ছিল আমাদের মধ্যে। যদিও দূরত্বটা নিশিই তৈরি করেছে। ওর ধারণা সেদিন ওকে করুণা করেছি আমি। আমি জানিনা এটা করুণা কিনা!
ভালোবাসার মানুষটির ওমন বিপদ মুহূর্তে আমার শুধু একটা কথাই মনে হয়েছিল যে এখন আমার নিশির পাশে দাঁড়ানো দরকার। আমি সেটাই করেছি। এত দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও আমার বিন্দুমাত্র কষ্ট ছিল না। বরং আমি খুব আনন্দেই ছিলাম।
কারণ সবসময় আমার ভালো লাগতো এটা ভেবে যে, হ্যা নিশিই আমার স্ত্রী। অন্তত মন ভরে ওকে এখন দেখতে তো পারি। দুয়েকটা কথা তো বলতে পারি। আচ্ছা আমি যে লুকিয়ে লুকিয়ে নিশিকে দেখি সেটা কি ও টের পায়! মনে হয় পায়না। পেলে এতদিনে নিশ্চয় এ ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিত।
কিছুই ভালো লাগছেনা আর আমার। বাসায় আসলাম। কিন্তু বাসায় এসে আমার যতটা না খারাপ লাগার কথা ছিল আমি তারচেয়ে বেশি অবাক হলাম। অবাক হবার বিষয়টা হলো আজ বাসাটা আগের থেকে অনেকটাই গোছানো।
তার মানে নিশি ঘরেই আছে। কিন্তু কখনো তো নিশি এমনটা করেই নি। শুধু ওর নিজের রুমটাই গুছিয়ে রাখতো। আমার রুম কিংবা অন্য কোথাও তো ফিরেও তাকাতো না। আজ হঠাত কি হলো ওর!?
রুমে এসে বসতেই নিশি এসে বলল যে, সরি আমি ফোনটা রিসিভ করতে পারিনি। আসলে ঘর গোছাচ্ছিলাম। আর ফোন ছিল ওই রুমে। টের পাইনি। কিন্তু পরে তোমায় কল ব্যাক করলাম। ফোন অফ পেলাম।
এবার আমি অবাক হলাম। নিশি আজ এমন করে কেন বলছে। হঠাত করেই কি হলো ওর! পাগল-টাগল হয়ে যায়নি তো আবার! হঠাত করেই আজ এতটা স্বাভাবিক!
ফোন রিসিভ করতে পারেনি তাতেই এসে সরি বলছে। ও তো এমনটা ছিল না। মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেলেও সরি বলতে আসতো না। বরং শুধু কথা শোনাতো আমায়। বারবার একটা কথাই বলত, তুমি করুণা করেছ আমায়। অনেক দয়া দেখিয়েছ। আর কিছু চাইনা আমি। কিন্তু আজ ফোন রিসিভ করতে না পারাতেই!! উঁহু। ডালমে কুছ ফর্সা হ্যায়!
কথাগুলো বলেই নিশি এগিয়ে আসলো আমার দিকে। তারপর জিজ্ঞেস করলো, আজ অফিস থেকে এত আগেই চলে আসলে যে!? কি! আমাকে ছাড়া থাকতে ভালো লাগেনা না!? বলেই মুচকি হাসলো।
এবার আমার অবাক হবার মাত্রাটা চরম মাত্রায় পৌঁছে গেল। আরেহ! এই মেয়ে বলে কি! হঠাত করেই কি বলে এ? হঠাত করেই আজ এতটা স্বাভাবিক!! একদিনেই কি এমন হয়ে গেল!? ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম আমি!
কুছ ত্য গরবর হ্যায়! কিন্তু কি সেটা!!?
কুছ ত্য গরবর হ্যায়! কিন্তু কি সেটা!!?
আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন কোনো কারণ তো আমি দেখছিনা যার জন্য নিশি আমার সাথে এতটা স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে ঠিক যেমনটা অন্যান্য কাপলদের মধ্যে হয়। বারবার মনে হচ্ছে কিছু একটা ঠিক নেই। কিন্তু কি সেটা? সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
সিগারেট খাওয়াটা বেশ ভালোভাবেই শিখে গেছি। সত্যিই চেষ্টায় সব হয়। বারান্দায় বসে সিগারেট টা ধরিয়েছি মাত্র। এমন সময় পেছন থেকে নিশির ডাক। সিগারেট কি নেশায় ধরে সেজন্য খাও, নাকি নিজেকে পোড়াও? আমি খানিকটা অবাকই হয়েছি বটে। নিশি যে কখন আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে তা আমি টের পাইনি। তাছাড়া আমার রুমের বারান্দায় ওকে কখনো আসতে দেখিনি আমি।
কি বলবো বুঝতে পারলাম না। কেবল ওরদিকে তাকিয়ে কিঞ্চিৎ হাসলাম। তারপর খানিকটা নীরবতা দিয়ে বললাম ফেলে দেবো? আমার কথা শুনে নিশি এমন একটা ভাব করলো তাতে মনে হলো সে এ কথাটায় অতিমাত্রায় বিরক্ত। তারপর আর দাঁড়ালো না। 'খাবার দিয়েছি, খেতে এসো' বলেই চলে গেল।
খাবার! এমনটা কখনো হয়নি। বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনই না। নিশি কখনই আমার সাথে একসাথে বসে খেতে চায়নি। নিজের মত খেয়ে নিজের রুমে থাকতো ও। আমিও নিজের মত নিয়েই খেতাম। প্রথম প্রথম অবশ্য ওকে বলতাম একসাথে খাবার জন্য। কিন্তু একদিন নিশি আমাকে স্রেফ জানিয়ে দিল যে সে আমার সাথে একসাথে বসে খেতে ইচ্ছুক না। আমি যেন দ্বিতীয়বার আর তাকে না ডাকি। তারপর থেকে আমিও আর ডাকিনি। এক ফ্ল্যাটে থাকলেও সবদিক থেকেই দুজন দুজনার মত আলাদাই থেকেছি।
সকালে অফিসে যাবার আগ পর্যন্তও নিশি ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাত কি হলো ওর? হঠাত করেই এমন অদ্ভুত আচরণ! এমনটা নয় যে নিশির এমন আচরণ আমার ভালো লাগছেনা। সত্যি বলতে আজ নিশির এমন আচরণে আমার যে কি পরিমাণ আনন্দ হচ্ছে তা আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তার পরেও কি কারণে নিশি এমন করছে তা জানার জন্য মনটা আকুপাকু করছে।
খাবার টেবিলে বসে নিশি হয়ত কিছু বলতে চাইছিল। কিন্তু ওর ভাবভঙ্গী দেখে মনে হচ্ছিল ও যা বলতে চায় তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত নই। নিশি কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই আমি বললাম খাবার সময় কথা বলতে নেই, চুপচাপ খাও। তারপর নিশি আর একটা কথাও বলল না।
কিন্তু আসল বিপত্তিটা বাধলো আরো কিছুক্ষণ পর। খাবার শেষে একটু রেস্ট নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবো ঠিক তখন। নিশি এসে বলল, আমি এ রুমে ঘুমাবো। অফিস থেকে আসার পর থেকে যা দেখছি তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই মুহুর্তে নিশি যা বলল তা আমার কাছে আরো বেশি অস্বাভাবিক মনে হলো।
এবার আর আমি নিশিকে কিছু জিজ্ঞেস না করে থাকতে পারলাম না। আচ্ছা নিশি তোমার কি হয়েছে আমায় একটু বলবা প্লিজ? নিশি আমার দিকে না তাকিয়েই বলল, আমাদের মধ্যেই তো কিছু হয়নি, তাহলে আমার আবার কিভাবে হবে? বলেই খিলখিল করে হাসতে লাগলো। এ ব্যাপারগুলো আমার একদমই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
নিশি এমন ছিল না। এর মধ্যে অবশ্যই অস্বাভাবিক কিছু আছে যা আমি জানিনা। বুঝতে পারছি না সেটা কিংবা আমাকে বুঝতে দেয়া হচ্ছে না। তবে যাই হোক না কেন ব্যাপারটা একদমই স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে অবশ্যই এক রহস্য আছে।
দেখো নিশি, তুমি নিজেও বুঝতে পারছো ব্যাপারটা একদমই স্বাভাবিক নয়। সকালে আমি অফিস যাবার আগ পর্যন্তও তুমি ঠিকই ছিলে। স্বাভাবিক ছিলে। কিন্তু হঠাত করেই কি এমন হলো তোমার?
আমার এ কথায় নিশি আমার দিকে তাকালো। একদম আমার চোখের দিকে। তারপর বলল তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ এতদিন আমি যা করেছি তা একদমই ঠিক করেছি?
নিশির এ কথায় আমি তব্দা মেরে গেলাম। আমার কি বলা উচিৎ বা আমি কি বলবো তা বুঝতে পারলাম না। আমি চুপ করে থাকাতে নিশি আবারও জিজ্ঞেস করল কি হলো বলো? এবার আমি আর নিশির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ নামিয়ে নিলাম। তারপর খানিকটা নীরবতা নিয়ে বললাম দেখো নিশি!
থাক ফয়েজ, আর কিছু বলতে হবেনা। আমাকে থামিয়ে দিয়ে নিশি এ কথাটা বলল।
আমি আরোরো কিছুটা সময় নীরবেই থাকলাম। তুমি শুতে যাচ্ছিলে, এখানে শুতে ইচ্ছা না হলে ওই রুমে যেয়ে শুয়ে পড়, কিন্তু আমি এ রুমেই ঘুমাবো। নীরবতা ভেঙে নিশি এ কথাটা বলে উঠলো। ওর বলা প্রতিটা কথা আমাকে নতুন করে অবাক করছে। ওর বলা একেকটা কথাই যেন এক একটা রহস্য।
সিগারেট খাওয়াটা বেশ ভালোভাবেই শিখে গেছি। সত্যিই চেষ্টায় সব হয়। বারান্দায় বসে সিগারেট টা ধরিয়েছি মাত্র। এমন সময় পেছন থেকে নিশির ডাক। সিগারেট কি নেশায় ধরে সেজন্য খাও, নাকি নিজেকে পোড়াও? আমি খানিকটা অবাকই হয়েছি বটে। নিশি যে কখন আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে তা আমি টের পাইনি। তাছাড়া আমার রুমের বারান্দায় ওকে কখনো আসতে দেখিনি আমি।
কি বলবো বুঝতে পারলাম না। কেবল ওরদিকে তাকিয়ে কিঞ্চিৎ হাসলাম। তারপর খানিকটা নীরবতা দিয়ে বললাম ফেলে দেবো? আমার কথা শুনে নিশি এমন একটা ভাব করলো তাতে মনে হলো সে এ কথাটায় অতিমাত্রায় বিরক্ত। তারপর আর দাঁড়ালো না। 'খাবার দিয়েছি, খেতে এসো' বলেই চলে গেল।
খাবার! এমনটা কখনো হয়নি। বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনই না। নিশি কখনই আমার সাথে একসাথে বসে খেতে চায়নি। নিজের মত খেয়ে নিজের রুমে থাকতো ও। আমিও নিজের মত নিয়েই খেতাম। প্রথম প্রথম অবশ্য ওকে বলতাম একসাথে খাবার জন্য। কিন্তু একদিন নিশি আমাকে স্রেফ জানিয়ে দিল যে সে আমার সাথে একসাথে বসে খেতে ইচ্ছুক না। আমি যেন দ্বিতীয়বার আর তাকে না ডাকি। তারপর থেকে আমিও আর ডাকিনি। এক ফ্ল্যাটে থাকলেও সবদিক থেকেই দুজন দুজনার মত আলাদাই থেকেছি।
সকালে অফিসে যাবার আগ পর্যন্তও নিশি ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাত কি হলো ওর? হঠাত করেই এমন অদ্ভুত আচরণ! এমনটা নয় যে নিশির এমন আচরণ আমার ভালো লাগছেনা। সত্যি বলতে আজ নিশির এমন আচরণে আমার যে কি পরিমাণ আনন্দ হচ্ছে তা আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তার পরেও কি কারণে নিশি এমন করছে তা জানার জন্য মনটা আকুপাকু করছে।
খাবার টেবিলে বসে নিশি হয়ত কিছু বলতে চাইছিল। কিন্তু ওর ভাবভঙ্গী দেখে মনে হচ্ছিল ও যা বলতে চায় তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত নই। নিশি কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই আমি বললাম খাবার সময় কথা বলতে নেই, চুপচাপ খাও। তারপর নিশি আর একটা কথাও বলল না।
কিন্তু আসল বিপত্তিটা বাধলো আরো কিছুক্ষণ পর। খাবার শেষে একটু রেস্ট নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবো ঠিক তখন। নিশি এসে বলল, আমি এ রুমে ঘুমাবো। অফিস থেকে আসার পর থেকে যা দেখছি তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই মুহুর্তে নিশি যা বলল তা আমার কাছে আরো বেশি অস্বাভাবিক মনে হলো।
এবার আর আমি নিশিকে কিছু জিজ্ঞেস না করে থাকতে পারলাম না। আচ্ছা নিশি তোমার কি হয়েছে আমায় একটু বলবা প্লিজ? নিশি আমার দিকে না তাকিয়েই বলল, আমাদের মধ্যেই তো কিছু হয়নি, তাহলে আমার আবার কিভাবে হবে? বলেই খিলখিল করে হাসতে লাগলো। এ ব্যাপারগুলো আমার একদমই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
নিশি এমন ছিল না। এর মধ্যে অবশ্যই অস্বাভাবিক কিছু আছে যা আমি জানিনা। বুঝতে পারছি না সেটা কিংবা আমাকে বুঝতে দেয়া হচ্ছে না। তবে যাই হোক না কেন ব্যাপারটা একদমই স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে অবশ্যই এক রহস্য আছে।
দেখো নিশি, তুমি নিজেও বুঝতে পারছো ব্যাপারটা একদমই স্বাভাবিক নয়। সকালে আমি অফিস যাবার আগ পর্যন্তও তুমি ঠিকই ছিলে। স্বাভাবিক ছিলে। কিন্তু হঠাত করেই কি এমন হলো তোমার?
আমার এ কথায় নিশি আমার দিকে তাকালো। একদম আমার চোখের দিকে। তারপর বলল তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ এতদিন আমি যা করেছি তা একদমই ঠিক করেছি?
নিশির এ কথায় আমি তব্দা মেরে গেলাম। আমার কি বলা উচিৎ বা আমি কি বলবো তা বুঝতে পারলাম না। আমি চুপ করে থাকাতে নিশি আবারও জিজ্ঞেস করল কি হলো বলো? এবার আমি আর নিশির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ নামিয়ে নিলাম। তারপর খানিকটা নীরবতা নিয়ে বললাম দেখো নিশি!
থাক ফয়েজ, আর কিছু বলতে হবেনা। আমাকে থামিয়ে দিয়ে নিশি এ কথাটা বলল।
আমি আরোরো কিছুটা সময় নীরবেই থাকলাম। তুমি শুতে যাচ্ছিলে, এখানে শুতে ইচ্ছা না হলে ওই রুমে যেয়ে শুয়ে পড়, কিন্তু আমি এ রুমেই ঘুমাবো। নীরবতা ভেঙে নিশি এ কথাটা বলে উঠলো। ওর বলা প্রতিটা কথা আমাকে নতুন করে অবাক করছে। ওর বলা একেকটা কথাই যেন এক একটা রহস্য।
তোমার কি বের হতে আরো দেরী হবে? আজ একটু তাড়াতাড়ি বের হতে পারবে কি?
কি ব্যাপার আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি বললাম, কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
নিশি এ কথাটার উত্তর ঝট করেই দিলো না। খানিকটা সময় নিলো। তারপর বলল, না মানে আমি তোমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি
আমি আর কিছুই ভাবতে পারলাম না। শুধু বললাম আমি এখনই আসছি। বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।
কি ব্যাপার আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি বললাম, কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
নিশি এ কথাটার উত্তর ঝট করেই দিলো না। খানিকটা সময় নিলো। তারপর বলল, না মানে আমি তোমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি
আমি আর কিছুই ভাবতে পারলাম না। শুধু বললাম আমি এখনই আসছি। বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।
কি ব্যাপার হঠাত? কিছু হয়েছে কি? আর আসার আগে আমায় একবার জানিয়ে তো আসতে পারতে নাকি! তাহলেই তো আর এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। আমার কথা শুনে নিশি হাসলো। তারপর বলল একসাথে কথা প্রশ্ন করলে কোনটার উত্তর দেই বলোতো! ওর কথা শুনে আমিও খানিকটা হেসে দিলাম।
রিক্সায় বসে আছি দুজন। নিশি বলল চল আজ একটা জায়গায় যাবো। আমি জানিনা কোথায় যাচ্ছি আমরা। তবে আমার মধ্যে অনেকটা ভালোলাগা কাজ করছে। ইশ! যদি নিশির হাতটা ধরে এভাবে রিক্সায় চড়তে পারতাম। এক্সাক্টলি ঠিক এটাই যখন ভাবছিলাম ঠিক তখনই নিশি আমার হাত ধরে আমায় চমকে দেয়। হালকা বুক ধুকধুকানি অদ্ভুত একটা ভালোলাগা কাজ করছে মনে।
রিক্সা থেকে যখন নামলাম তখন আমি সত্যিই অবাক হলাম। উত্তরার এইদিকটাতে যে এমন একটা জায়গা আছে তা আমার জানা ছিল না। পরিবেশটা অনেকটাই নিরিবিলি টাইপের। চারদিকের সবুজ সমারোহ। এ পরিবেশে থাকলে কোনো মন খারাপের রোগীরও মন ভালো হয়ে যাবে। অজান্তেই একটা ভালোলাগার হাসি বের হয়ে আসেসে আমার।
নিশির দিকে তাকিয়ে বললাম থ্যাঙ্কিউ!
নিশি জিজ্ঞেস ও করলো না কেন বললাম। বিনিময়ে একটু হাসলো। তারপর বলল আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন আমি এ জায়টায় আসি। এখানে আসলে আমি যেন একটু দম নিতে পারি নিজের মত।
নিশি জিজ্ঞেস ও করলো না কেন বললাম। বিনিময়ে একটু হাসলো। তারপর বলল আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন আমি এ জায়টায় আসি। এখানে আসলে আমি যেন একটু দম নিতে পারি নিজের মত।
মন খারাপ থাকলে এখানে আসে। তার মানে আজ নিশির মন খারাপ! নিশিকে কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনই নিশি বলে উঠলো, না ফয়েজ! আজ আমারমার মন খারাপ নয়। অবশ্য মন ভালো কিনা সেটাও জানি না। তবে খারাপ নয়।
আমি নিশির হাতটা ধরলাম। তারপর বললাম, কি হয়েছে নিশি? কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
খানিকটা সময় নিশি চুপ করেই থাকলো। একেবারে অন্যমনস্কভাবে। তারপর অন্যদিকে তাকিয়েই বলল, তুমি আমায় পছন্দ করতে তাইনা ফয়েজ?
ওর কথা শুনে আমিমি হেসে বললাম, দেখো পাগলীর কাণ্ড! নিজের বউকে কি কেউ অপছন্দ করতে পারে। তারওপর আমি তো নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি।
আমার কথা শুনে নিশি ঝট করেই আমার দিকে তাকালো। আমি খানিকটা ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর আমতা আমতা করে বললাম, না মানে! বিয়ে ত হয়েছেই। বউ ই তো না!
আমার কথা শুনে নিশি ঝট করেই আমার দিকে তাকালো। আমি খানিকটা ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর আমতা আমতা করে বললাম, না মানে! বিয়ে ত হয়েছেই। বউ ই তো না!
নিশি আবারও খানিকটা সময় চুপ করে গেল। এই মেয়ের সমস্যাটা কি! ও কি মজা নিচ্ছে নাকি। এ তো আমায় টেনশনে ফেলে দিচ্ছে।
তুমি কিন্তু ঠিকই বুঝতে পেরেছ আমি কি বলতে চাইছি। আমি বললাম, দেখো নিশি! তুমি খুব ভালো মেয়ে একটা মেয়ে, শিক্ষিত, দেখতে সুন্দরী। যে কারোরই তোমায় দেখে পছন্দ হবে। এবার নিশি আমার দিকে তাকালো। তারপর খানিকটা নরম গলায় বলল, প্রশ্নটা কিন্তু যে কাউকে নিয়ে করা হয়নি। আদিব..!
হ্যা আদিব! আদিবের সাথে কি তোমার কিছু হয়েছে? নিশি কিছু বলার আগেই ওকে থামিয়ে দিয়ে আমি বলে উঠলাম।
হ্যা দেখা হয়েছিল। ও দেখেনি। আমি দেখেছিলাম। একটা মেয়েকে নিয়ে রিক্সায় ঘুরছিল। তারপর খোজ নিয়ে জানতে পারলাম মেয়েটি ওর বিয়ে করা বউ।
হোয়াট্ট!!
হোয়াট্ট!!
আমার কথায় নিশি বলে উঠলো, এতো অবাক হবার কি আছে? এটাই তো হবার ছিল তাইনা?
না মানে!
আমি আরর কিছু বলতে পারলাম না। কোনো কথাই বের হলো না মুখ দিয়ে।
না মানে!
আমি আরর কিছু বলতে পারলাম না। কোনো কথাই বের হলো না মুখ দিয়ে।
ফয়েজ! আজ আমি তোমায় এখানে নিয়ে এসেছি কেন জানো? কারণ আমি কিছু জানতে চাই, তোমায় কিছু জানাতে চাই।
আদিবের সাথে আমার দেখা হয়েছিল আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে। ব্যাপারটা হবার পরেই আমি এতটা অবাক হয়েছিলাম যা তোমায় বলে বোঝাতে পারবো না। বিয়ে করে সে কিন্তু বেশ আনন্দেই আছে। তারপর থেকেই ব্যাপারটা নিয়ে আমি ভাবি। এবং তাতে আমার শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে তোমার সাথে আমার অন্যায় হয়ে গেছে। হ্যা এটা ঠিক যে স্বপ্ন ভিন্য কিন্তু বাস্তবিকতা বলেও একটা কথা আছে। সবারই একটা ভবিষ্যৎ বলে কিছু আছে। বলতে বলতেই নিশি কাঁদছে।
দেখো নিশি, যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এসব বলে আর কি হবে বলো! আমি যাস্ট এটা চাইনি তুমি নিজেকে কখনো ছোট ভাবো। তাছাড়া তোমার নিজেরও একটা ভবিষ্যৎ আছে। সেটাও কেনই বা নষ্ট করবে। এটা বলো তুমি কি চাও। তুমি যেমনটি বলবে ঠিক তেমনটিই হবে।
না ফয়েজ। আমি আর এটা চাইনা আমি যা বলবো তাই হবে।
ওর কথার আগামাথা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। খানিকটা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম ওর দিকে।
ওর কথার আগামাথা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। খানিকটা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম ওর দিকে।
এবার নিশি খানিকটা এগিয়ে এলো আমার দিকে। তারপর বলল, সত্যি করে কথা বলবে? আমার খানিকটা চিন্তা হচ্ছে এবার। এ মেয়েটা আসলে চাইছে টা কি! কি না কি জিজ্ঞেস করবে!
হ্যা বলো। কি জানতে চাও তুমি?
তুমি ব্লগ লেখো তাইনা? নিশির কথায় আমি একেবারে তব্দা মেরে গেলাম। ব্লগ!! হ্যা আমি ব্লগ লেখি কিন্তু তা ছদ্ম নামে এবং তা একান্তই পোপনে। বিষ বৃক্ষ নামে ব্লগ লেখি আমি। নিজের বন্ধুবান্ধব থেকেও আড়ালে ঘটেছে এ ব্যাপারটা। কেউ জানেনা। কিন্তু নিশি এ ব্যাপারটা কিভাবে জানলো?
তুমি ব্লগ লেখো তাইনা? নিশির কথায় আমি একেবারে তব্দা মেরে গেলাম। ব্লগ!! হ্যা আমি ব্লগ লেখি কিন্তু তা ছদ্ম নামে এবং তা একান্তই পোপনে। বিষ বৃক্ষ নামে ব্লগ লেখি আমি। নিজের বন্ধুবান্ধব থেকেও আড়ালে ঘটেছে এ ব্যাপারটা। কেউ জানেনা। কিন্তু নিশি এ ব্যাপারটা কিভাবে জানলো?
আমতা আমতা করে আমি বললাম, না মানে! আসলে হয়েছে কি! আমার ভাব দেখে নিশি তাচ্ছিল্যের হাসি দিল। তারপর বলল, আচ্ছা এটা বলো চারুলতা কে?
ওরেব্বাস! এ মেয়ে বলে কি!
চা..চা..চারুলতা!! তা আমি কিভাবে জানবো! না মানে!!
আমার ভাব দেখে নিশি হেসে দিলো। তারপর বলল, হ্যা চারুলতা। যাকে নিয়ে ব্লগে হাজারও লেখা তোমার। যাকে পছন্দ করতে সেই ভার্সিটি থেকেই, যাকে ভালোবাসো সেই থেকেই, যাকে ভালোবাসার হাজারও পরিকল্পনা তোমার
চা..চা..চারুলতা!! তা আমি কিভাবে জানবো! না মানে!!
আমার ভাব দেখে নিশি হেসে দিলো। তারপর বলল, হ্যা চারুলতা। যাকে নিয়ে ব্লগে হাজারও লেখা তোমার। যাকে পছন্দ করতে সেই ভার্সিটি থেকেই, যাকে ভালোবাসো সেই থেকেই, যাকে ভালোবাসার হাজারও পরিকল্পনা তোমার
তুমি এতসব!
আমার কথা শেষ হবার আগেই নিশি বলে উঠলো তুমি সেদিন পিসি অন রেখেই গোসল করছিলা। অবশ্য আমি বাসায় ছিলাম না। ভুলে যেয়োনা বাসার চাবি আমার কাছেও আছছে। বাসায় ঢুকে তোমার রুমে গেছিলাম একটা কাজে। তারপরেই চোখে পড়ে। তখন পেজ সেইভ করে হাইড করে পিসি অফ করে দেই। তারপর তুমি না থাকাকালীন সময়ে সেগুলো দেখেছি আমি।
আমার কথা শেষ হবার আগেই নিশি বলে উঠলো তুমি সেদিন পিসি অন রেখেই গোসল করছিলা। অবশ্য আমি বাসায় ছিলাম না। ভুলে যেয়োনা বাসার চাবি আমার কাছেও আছছে। বাসায় ঢুকে তোমার রুমে গেছিলাম একটা কাজে। তারপরেই চোখে পড়ে। তখন পেজ সেইভ করে হাইড করে পিসি অফ করে দেই। তারপর তুমি না থাকাকালীন সময়ে সেগুলো দেখেছি আমি।
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। কেবলই নিশির দিকে তাকিয়ে থাকলাম। সত্যি বলতে কি বলবো তা বুজতে পারছিলাম না আমি। নিশির কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় কেবলই লজ্জিত ছিলাম।
এত পছন্দ কর আমায়! এতোটা ভালোবাসো আমায় তুমি!? আর একটাবার মুখ ফুটে বলতে পারলে না!
আমি কিছুই বলতে পারলাম না। কেবলই নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। নিশির দিকে তাকানোর সাহসটুকু পর্যন্ত হলো না।
আমি কিছুই বলতে পারলাম না। কেবলই নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। নিশির দিকে তাকানোর সাহসটুকু পর্যন্ত হলো না।
এবার নিশি আরোরো এগিয়ে এলো আমার দিকে। একেবারে আমার কাছে। আমার দুই হাত চেপে ধরে আমার দিকে তাকালো। একেবারে আমার চোখের দিকে। তারপর বলল, স্বপ্ন থেকে আমি কি তোমার বাস্তবিক চারুলতা হতে পারি?
ওহ মাই গড!!! এই মেয়ে বলে কি! এই মেয়েটা কি বলছে এসব! আমার বাস্তবিক চারুলতা হতে চায়। আনন্দে আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। কাউকে বলে বোঝাতে পারবোনা আজ আমি কি পেয়েছি।
ইচ্ছা করছে চেচিয়ে উত্তর দেই, এই পাগলী! স্বপ্ন হোক, বা বাস্তবে। তুমিই তো আমার চারুলতা।
ইচ্ছা করছে চেচিয়ে উত্তর দেই, এই পাগলী! স্বপ্ন হোক, বা বাস্তবে। তুমিই তো আমার চারুলতা।
না! চেঁচিয়ে কেন বলবো! আমার ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যে শুধুমাত্র আমার চারুর জন্যই। অন্য কেউ কেন শুনবে সেসব!
মুখটা নিশির কানের পাশে নিয়ে বললাম তুমিই তো আমার চারুলতা। বোঝোনা তুমি!!? এবার নিশি আমায় ঝট করেই জড়িয়ে ধরে ওর মুখ লুকালো আমার বুকে। তারপর বলল, হুম! "আমিই সেই চারুলতা"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন