-- তোমার মন খারাপ? (সৃজন)
-- হুম (দীপা)
-- কেন কিছু হয়েছে?
-- না
-- তবে কেন খারাপ?
-- এমনিতেই।
-- উহুম, এমনিতেই কারো মন খারাপ হয় নাকি?
-- আমি বুঝিনা, হঠাৎ করেই কেন যেন মন খারাপ হয় কোন কারন ছাড়াই।
-- দীপা, একটা কথা বলি?
-- বলো।
-- তোমার মন খারাপের কারনটা আমি জানি!
-- কি কারন?
-- তুমি নিজেকে একটা বৃত্তের ভিতরে বন্দী করে রেখেছো, যে বৃত্তের ভিতরে তুমি নিরাপদ ! তুমি চাও তোমার মনটাও তোমার নিজস্ব বৃত্তের ভিতরে থাকুক। কিন্তু তোমার মন তো আর তোমার কথা শোনেনা, বৃত্তের বাইরে গিয়ে বহিরাগত সমস্ত আঘাত পেয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়। কি ঠিক বলেছিতো?
-- হুম, কিন্তু তুমি এতকিছু জানলে কি করে?
-- এটা তো সাধারন ব্যপার দীপা, এই যে তুমি মনে করো তোমার শুধু বৃত্ত আছে, আর কারো বৃত্ত নেই? তোমার মতো আমারো একটা বৃত্ত আছে।
-- একটা প্রশ্নের উত্তর চাই সৃজন!
-- বলো কি জানতে চাও?
-- মন কেন আমার কথা শোনেনা?
-- উম, খুব কঠিন প্রশ্ন। তবে একটু ভাবো, নিজেই উত্তর পাবে।
-- আমি উত্তর পাই না।
-- তোমার দেহ যদি বৃত্ত হয়, দেহের কেন্দ্রবিন্দু মন। সেই কেন্দ্রবিন্দু বনের পাখির মতো। কখনো খাচায় বন্দী থাকতে চায় না।
তোমার মনপাখিকে পোষ মানানো শিখতে হবে। যদি পারো তবে তোমার মন তোমার কথা শুনবে, আর যদি না পারো তবে অবশ্যই জেনে রাখবে অন্য কোনও এক ব্যক্তি তোমার মনপাখিকে পোষ মানিয়ে তোমার থেকে আলাদা করে দিয়েছে।
-- অনেক কঠিন কথা, তবুও বুঝলাম। আচ্ছা সৃজন! একটা প্রশ্ন করি?
-- হুম... বলো আর কি জানতে চাও?
-- তোমার মনপাখিটা কি তোমার দেহখাচায় বন্দী আছে? নাকি অন্য কেউ পোষ মানিয়ে নিয়েছে?
সৃজন কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। অতঃপর উত্তর দিলো,
-- হুম একজন নিয়েছে।
-- কে সে? জানতে পারি?
-- আজ নয় প্লিজ আগে জেনে নেই, যে আমার মনপাখিকে পোষ মানিয়েছে তার মনপাখিটা আমার পোষ মেনেছে কি না!
-- আচ্ছা!
....
দীপার ঠোটের কোনে একটা অন্যরকম হাসির রেখা বয়ে গেল। সৃজন ইঙ্গিতে কি বলে গেল তাকে?
সৃজন কি তাকে ভালোবাসে?
দীপা চিন্তায় পড়ে গেল। অতঃপর বুঝতে পারলো তার মনটা সৃজনের বশীভূত হয়ে গেছে। সৃজনের নামটা যেমন, তেমনি কথাও নতুন নতুন বলে। যা আগে কখনও শোনেনি দীপা। সৃজনকে সে ভালোবেসে ফেলেছে। তার বিশ্বাস, সে ই সৃজনের মনপাখিকে পোষ মানিয়েছে। নয়তো সৃজন কেন ওভাবে কথা বলে তার সাথে।
.
কিছুদিন পর.....
-- সৃজন একটা কথা বলতে চাই তোমাকে!
-- হুম বলো!
-- কিভাবে বলবো বুঝছিনা ....
প্লিজ মনের কথা বলার একটা শর্টকাট রাস্তা বলে দাও.....
....
সৃজন উত্তর দেওয়ার আগেই সৃজনের ফোনে ফোন এলো। সৃজন দীপাকে ইশারা করে একমিনিট সময় চেয়ে উঠে একটু দুরে গিয়ে প্রায় আধাঘন্টা কথা বললো।
দীপা বুঝতে পারলো ব্যপারটা। মুখ একেবারে বৈশাখের থমথমে মেঘযুক্ত আকাশের মতো হয়ে গেছে। তবুও ভাবলো সৃজনের কাছ থেকে জানতে চাইবে একবার।
সৃজন কথা শেষ করে ফিরে এসে বললো,
-- হ্যা বলো দীপা, কি যেন বলছিলে?
-- কে ফোন করেছিলো সৃজন?
-- ও হ্যাঁ, তোমাকে তো বলাই হয়নি।
যে মেয়েটা আমার মন বশ করেছে, তার মনপাখিও আমার কাছে পোষ মেনেছে! সে ই ফোন দিয়েছিলো!
দীপা চুপ করে সৃজনের কথা শুনলো। দীপা চুপ দেখে সৃজন বললো,
-- কি ব্যপার? তোমার মুখটা এমন লাগছে কেন?
-- আসলে সৃজন, তোমাকে তো বলাই হয়নি। একটু আগে আমার মন পাখিটাকে একটা শিকারী তীর ছুড়ে মেরে ফেলেছে। এতে অবশ্য শিকারীর দোষ নেই। মনপাখিটা আমার বৃত্তের ভিতরে থাকলে কিছু হতো না, কিন্তু দুষ্টু মনপাখিটা উড়তে উড়তে শিকারীর তীরের মুখে গিয়ে পড়েছিলো।
বলতে পারো কেন এমন হয়?
দীপা কাদতে কাদতে উঠে চলে গেলো। সৃজন পিছন থেকে দীপাকে ডাকতে চেয়েও পারলো না, সৃজন শুধু বিড়বিড় করে বললো,
-- হুম (দীপা)
-- কেন কিছু হয়েছে?
-- না
-- তবে কেন খারাপ?
-- এমনিতেই।
-- উহুম, এমনিতেই কারো মন খারাপ হয় নাকি?
-- আমি বুঝিনা, হঠাৎ করেই কেন যেন মন খারাপ হয় কোন কারন ছাড়াই।
-- দীপা, একটা কথা বলি?
-- বলো।
-- তোমার মন খারাপের কারনটা আমি জানি!
-- কি কারন?
-- তুমি নিজেকে একটা বৃত্তের ভিতরে বন্দী করে রেখেছো, যে বৃত্তের ভিতরে তুমি নিরাপদ ! তুমি চাও তোমার মনটাও তোমার নিজস্ব বৃত্তের ভিতরে থাকুক। কিন্তু তোমার মন তো আর তোমার কথা শোনেনা, বৃত্তের বাইরে গিয়ে বহিরাগত সমস্ত আঘাত পেয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়। কি ঠিক বলেছিতো?
-- হুম, কিন্তু তুমি এতকিছু জানলে কি করে?
-- এটা তো সাধারন ব্যপার দীপা, এই যে তুমি মনে করো তোমার শুধু বৃত্ত আছে, আর কারো বৃত্ত নেই? তোমার মতো আমারো একটা বৃত্ত আছে।
-- একটা প্রশ্নের উত্তর চাই সৃজন!
-- বলো কি জানতে চাও?
-- মন কেন আমার কথা শোনেনা?
-- উম, খুব কঠিন প্রশ্ন। তবে একটু ভাবো, নিজেই উত্তর পাবে।
-- আমি উত্তর পাই না।
-- তোমার দেহ যদি বৃত্ত হয়, দেহের কেন্দ্রবিন্দু মন। সেই কেন্দ্রবিন্দু বনের পাখির মতো। কখনো খাচায় বন্দী থাকতে চায় না।
তোমার মনপাখিকে পোষ মানানো শিখতে হবে। যদি পারো তবে তোমার মন তোমার কথা শুনবে, আর যদি না পারো তবে অবশ্যই জেনে রাখবে অন্য কোনও এক ব্যক্তি তোমার মনপাখিকে পোষ মানিয়ে তোমার থেকে আলাদা করে দিয়েছে।
-- অনেক কঠিন কথা, তবুও বুঝলাম। আচ্ছা সৃজন! একটা প্রশ্ন করি?
-- হুম... বলো আর কি জানতে চাও?
-- তোমার মনপাখিটা কি তোমার দেহখাচায় বন্দী আছে? নাকি অন্য কেউ পোষ মানিয়ে নিয়েছে?
সৃজন কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। অতঃপর উত্তর দিলো,
-- হুম একজন নিয়েছে।
-- কে সে? জানতে পারি?
-- আজ নয় প্লিজ আগে জেনে নেই, যে আমার মনপাখিকে পোষ মানিয়েছে তার মনপাখিটা আমার পোষ মেনেছে কি না!
-- আচ্ছা!
....
দীপার ঠোটের কোনে একটা অন্যরকম হাসির রেখা বয়ে গেল। সৃজন ইঙ্গিতে কি বলে গেল তাকে?
সৃজন কি তাকে ভালোবাসে?
দীপা চিন্তায় পড়ে গেল। অতঃপর বুঝতে পারলো তার মনটা সৃজনের বশীভূত হয়ে গেছে। সৃজনের নামটা যেমন, তেমনি কথাও নতুন নতুন বলে। যা আগে কখনও শোনেনি দীপা। সৃজনকে সে ভালোবেসে ফেলেছে। তার বিশ্বাস, সে ই সৃজনের মনপাখিকে পোষ মানিয়েছে। নয়তো সৃজন কেন ওভাবে কথা বলে তার সাথে।
.
কিছুদিন পর.....
-- সৃজন একটা কথা বলতে চাই তোমাকে!
-- হুম বলো!
-- কিভাবে বলবো বুঝছিনা ....
প্লিজ মনের কথা বলার একটা শর্টকাট রাস্তা বলে দাও.....
....
সৃজন উত্তর দেওয়ার আগেই সৃজনের ফোনে ফোন এলো। সৃজন দীপাকে ইশারা করে একমিনিট সময় চেয়ে উঠে একটু দুরে গিয়ে প্রায় আধাঘন্টা কথা বললো।
দীপা বুঝতে পারলো ব্যপারটা। মুখ একেবারে বৈশাখের থমথমে মেঘযুক্ত আকাশের মতো হয়ে গেছে। তবুও ভাবলো সৃজনের কাছ থেকে জানতে চাইবে একবার।
সৃজন কথা শেষ করে ফিরে এসে বললো,
-- হ্যা বলো দীপা, কি যেন বলছিলে?
-- কে ফোন করেছিলো সৃজন?
-- ও হ্যাঁ, তোমাকে তো বলাই হয়নি।
যে মেয়েটা আমার মন বশ করেছে, তার মনপাখিও আমার কাছে পোষ মেনেছে! সে ই ফোন দিয়েছিলো!
দীপা চুপ করে সৃজনের কথা শুনলো। দীপা চুপ দেখে সৃজন বললো,
-- কি ব্যপার? তোমার মুখটা এমন লাগছে কেন?
-- আসলে সৃজন, তোমাকে তো বলাই হয়নি। একটু আগে আমার মন পাখিটাকে একটা শিকারী তীর ছুড়ে মেরে ফেলেছে। এতে অবশ্য শিকারীর দোষ নেই। মনপাখিটা আমার বৃত্তের ভিতরে থাকলে কিছু হতো না, কিন্তু দুষ্টু মনপাখিটা উড়তে উড়তে শিকারীর তীরের মুখে গিয়ে পড়েছিলো।
বলতে পারো কেন এমন হয়?
দীপা কাদতে কাদতে উঠে চলে গেলো। সৃজন পিছন থেকে দীপাকে ডাকতে চেয়েও পারলো না, সৃজন শুধু বিড়বিড় করে বললো,
-- তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আছে দীপা। তবে এই প্রশ্নের উত্তর নেই। এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র আল্লাহই জানেন।
.
.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন