নিকোটিনের ধোয়ায় কষ্টগুলো হয়তো বাষ্প হয়ে বের হয়ে যায়।কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যায়না।শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আবারও হয়তো সেই একই জায়গায় জমা হয় কষ্টগুলো।আর ঘুরে ফিরে মনে করিয়ে দেয় অতীত গুলোকে।হ্যা।অতীতই তো। কিছুদিন অাগে যেটা ছিল বর্তমান অাজ সেটা অতীত।গতকাল সন্ধ্যার বর্তমানটাও অাজ অতীত।এমনকি অাজ সকালেও যা ছিল বর্তমান এখন এই সন্ধ্যা বেলাও সেটা শুধুই অতীত।বর্তমানটা অনেক বেশিই ক্ষণস্থায়ী।
..
..
সিগারেটের ধোয়াও মাঝে মাঝে কোনো ছবির রূপ নেয়।ফুটে ওঠে কোনো অবয়বের।তবে সেটা ঐ অতীতের।
..
..
আমিও অাজ দেখতে পাচ্ছি তেমনই কোনো চিত্র।হ্যা,আজ সকালের সেই চিত্র।যা আমার বর্তমানকে অতীতে নিয়ে গেছে।
...
...
...
শেষ পর্যন্ত আম্মুর ডাকেই ঘুমটা ভাঙলো।চোখ খুলে ফোনটা হাতে নিয়েই দেখি ৯.৩০ বাজে।আর তার থেকেও বড় কথা ফোনে ১০টা মিসড কল সাথে ১০/১২ টা মেসেজ।তাও সব গুলোই মহারাণীর ফোন থেকেই।কিভাবে যেন ফোনটা সাইলেন্ট হয়ে গিয়েছিল।এই জন্যই কিছু বুঝতে পারিনি।আজ আমার কপালে কি অাছে আল্লাহই জানেন।কিন্তু এত সকালে নীলন্তীর কল পেয়ে কিছুটা অবাকও হলাম।কল ব্যাক করার সাহস পাচ্ছিনা। তবুও কল করলাম।
--শুভ সকাল,মহারাণী।
--হুম।শুভ সকাল
--সরি,মহারাণী।ভুল হয়ে গেছে।
--ভাল করছো। (একটু নরম স্বরে)
--প্লিজ রাগ করবেন না,ম্যাডাম।যে শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেবো।বলুন কি করতে হবে?
--এখনই একটু দেখা করতে পারবা??খুব দরকার।
--ওকে।আসতেছি।কিন্তু তোমার কণ্ঠটা এমন লাগছে কেনো?এনি প্রব্লেম??
--তুমি দেখা করো প্লিজ.
--ওকে.
.
.
১৫ মিনিট পর আমি নীলন্তীর কাছে গেলাম।আজ সত্যি ওকে একটু অন্যরকমই লাগছে।অন্যদিন ফোন ধরতে ২মিনিট দেরি হলেই ঝাড়ি শুরু হয়ে যায়।আর অাজ কিছুই বললোনা।আবার এখন দেখেও কোনো রিঅ্যাকশন দিলোনা।কিছুতো হইছেই।
..
..
--কি ব্যাপার,ম্যাডাম।সকাল সকাল ডাকার কারণ কি??
--.............. (চুপ)
--ওহ!সরি,সোনা।রাগ করোনা প্লিজ।ফোন সাইলেন্ট হয়ে গিছিল।আর তুমিতো জানোই যে আজ অনেক দেরিতে ঘুমোইছি।
--................(চুপ)
--আচ্ছা আর হবেনা।এবারই শেষ।যে শাস্তি দিবা দেও।এই যে কান ধরতেছি।বলো আর কি করবো।
--রাহাত ফিরে এসেছে. (নীলন্তী)
.
(কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে গেলাম।)
.
--ওহ!এটা বলার জন্য ডেকেছো?
--আমি কি করব এখন?
--তুমি কি চাও?
--জানিনা।
--দেখো তোমার মন যেটা বলে সেটাই করো।আমার কোনো বাধা নেই।তুমি যেটাতে সুখী থাকবে সেটাই হবে।
--তুমি কষ্ট পাবেনা?
--তুমি ভালো থাকলেই হবে।আমার আর কিছু চাইনা।
--সত্যিই তুমি অনেক ভালো।(মুখে হালকা হাসি)
--থ্যান্কস।(হাসার অভিনয়ে)
--আমরা কি ভাল ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে পারিনা?
--চাইলে কিনা হয়!তুমি এখন যাও।রাহাত অপেক্ষা করতেছে।
--হুম।বাই।
--বাই।
..
..
বাই বলতে গিয়ে আমার বুকটা যেন ফেটে যাচ্ছিল। ছেলে মানুষের তো কান্না করা মানায় না।কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।বুকের ভিতরের হাহাকারে যন্ত্রনাগুলো গুলো যেন ছিড়ে ফুড়ে বের হতে চাচ্ছে।চারিদিকটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
..
..
নিকোটিনের ধোয়াটা আবার ঘুরতে ঘুরতে অামাকে বর্তমানে নিয়ে অাসলো।ঐ বাতাসে মিলিয়ে গেলো সব ছবি।
..
..
রাতে মুখটা পরিষ্কার করেই বাসায় ফিরলাম।বিছানায় শুয়ে শুয়ে আবারও হারিয়ে গেলাম অতীতে।তবে সেটা একটু দুরেরই অতীত।প্রায় এক বছরের রিলেশন ছিল আমাদের।আমার আগে রাহাতের সাথে ওর রিলেশন ছিল।কিন্তু রাহাত হঠাৎ ওকে একদিন ছেড়ে চলে য়ায়।তারপর অনেক ঝড় গেছে ওর ওপর দিয়ে।এক সময় আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়।কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেটা পারেনি।আর আল্লাহরই ইচ্ছায় একদিন আমি আসি নীলন্তীর জীবনে।আজকের সকাল পর্যন্ত সব কিছুই ঠিক ছিল।যাই হোক ভালবাসার মানুষটা ভালো থাকবে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে।তবে রাহাত ছেলেটা সত্যিই খুব ভাগ্যবান।
..
..
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি।
..
..
সকালে ঘুম ভাঙলো ফোনের রিংটোনে।ফোনটা হাতে নিতেই কিছুটা অবাক হলাম।কারণ এটা ছিল নীলন্তীর কল।
--কি ব্যাপার?ভুল করে কল দিয়ে ফেলছো নাকি??
--না।ঠিকই দিছি।খুব দরকার।একটু সমস্যা হইছে।দেখা করতে পারবা?শেষ বারের মতো।
--কি হইছে??বলো একটু..
--না।সরাসরি বলবো।এখনই দেখা করো।
--ওহ!আচ্ছা।আসছি।
..
..
সকাল সকাল কষ্ট টাকে আবার বাড়িয়ে দিল।হয়তে রাহাতের সাথে আমাকে নিয়ে কিছু হইছে।সেটা ঠিক করতেই যেতে বলছে।কি আর করার।শেষ বারের মতো যেহেতু বললো তাহলে তো যেতেই হবে।
..
..
..
..
দূর থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম নীল শাড়ি পরে কেও বসে আছে।মুখটা অন্য দিকে ঘোরানো।তবে বুঝতে বাকি রইলো না যে সে নীলন্তীই।কিন্ত সে একা কেন?এগিয়ে গেলাম কাছে।মুখটা ঘোরালো আমার দিকে।চোখটা যেন আটকে গেল আমার!আমি শিওর এটা নীলন্তী নয়।পরনে নীল শাড়ি,খোলা চুল,কপালে টিপ,হালকা লিপস্টিক সব মিলিয়ে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।এ সত্যিই নীলন্তী হতে পারেনা।এ নীলপরী।কিছুক্ষণের জন্য চোখটা সত্যিই দাড়িয়ে গিয়েছিল।কিন্তু বর্তমানটা যে বড্ড বেশি ক্ষণস্থায়ী।তাইতো মনে পড়ে গেলো এ নীলপরী তো এখন আমার নয়।সে যে অন্য কারো।তাইতো বুকের ভিতরে আবারো হাহাকারের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
..
--কি ব্যাপার?ডাকলে কেন? (আমি)
-- ........ (ঠাস করে চড় মেরে দিল আমার গালে)
--আরে করছো কি??মারো কেন??
--তোরে মারবো না তো কি অাদর করবো?
--কেন আমি কি করছি?তুই করে বলছো কেন?
--আবার কথা বলিস।এত কষ্ট একটা শাড়ি পরলাম।আমাকে কি খুব খারাপ দেখাচ্ছে।কোনো কমেন্টই করলিনা?
--হুম।অনেক সুন্দর লাগছে। নীল পরীর মতো।রাহাতের সাথে।খুব মানাবে কিন্তু।
--........(আবারো চড়)
--আরে আবারও মারলে কেন?খারাপ কমেন্ট করছি নাকি?
--ওই শালা,রাহাত কে রে?ওরে আমি চিনিনা।
--তাহলে কাল কি বললে?
--হুম বলছিলাম।দেখতে ছিলাম তুমি কি করো।যে আমার হাত ছেড়ে দেছে সে ফিরে আসলেও তার হাত আমি ধরবো না।আমি শুধু তোমারই।নীলন্তী শুধুই মেঘের।
--............ (কি বলবো বুঝছিনা)
--তোকে বড্ড ভালবেসে ফেলেছিরে পাগলা।আর সেই ভালবাসা যদি বয়ে না নিয়ে যেতে পারি তাহলে তো মরেই যাবো রে সোনা।
..
নিজেকে আজ পৃথিবীর সব থেকে সুখী মনে হচ্ছে।কিছু বলতে পারছিলাম না।দু হাতের বাহু ডোরে জড়িয়ে ধরলাম নীলন্তীকে।
--love u very much,pakhi...very very love u..
--হুম হইছে।এবার ছাড়ো।অার পাঞ্জাবীটা পরে কেকটা কাটো।
--কিসের কেক?আর পাঞ্জাবী কই?
--আবার একটা মারবো কিন্তু।আজ কত তারিখ?
--আজ....আজ...আজ...ওহ মাই গড!আজ তো আমার বার্থডে।তোমার জন্যই ভুলে গেছিলাম।
--হুম জানি।আর ভুলাবো বলেই তো এত নাটক করলাম।(একটা প্যাকেট বের করে)এই যে তোমার পাঞ্জাবী।পরে নেও।
--এটাও নীল?
--হুম।ম্যাচিং হতে হবে না!
--তোমাকে কিন্তু সত্যি আজ নীলপরীর মতোই লাগছে।বাস্তবে নীলপরী নীলন্তী।
..
..
সিগারেটের ধোয়াও মাঝে মাঝে কোনো ছবির রূপ নেয়।ফুটে ওঠে কোনো অবয়বের।তবে সেটা ঐ অতীতের।
..
..
আমিও অাজ দেখতে পাচ্ছি তেমনই কোনো চিত্র।হ্যা,আজ সকালের সেই চিত্র।যা আমার বর্তমানকে অতীতে নিয়ে গেছে।
...
...
...
শেষ পর্যন্ত আম্মুর ডাকেই ঘুমটা ভাঙলো।চোখ খুলে ফোনটা হাতে নিয়েই দেখি ৯.৩০ বাজে।আর তার থেকেও বড় কথা ফোনে ১০টা মিসড কল সাথে ১০/১২ টা মেসেজ।তাও সব গুলোই মহারাণীর ফোন থেকেই।কিভাবে যেন ফোনটা সাইলেন্ট হয়ে গিয়েছিল।এই জন্যই কিছু বুঝতে পারিনি।আজ আমার কপালে কি অাছে আল্লাহই জানেন।কিন্তু এত সকালে নীলন্তীর কল পেয়ে কিছুটা অবাকও হলাম।কল ব্যাক করার সাহস পাচ্ছিনা। তবুও কল করলাম।
--শুভ সকাল,মহারাণী।
--হুম।শুভ সকাল
--সরি,মহারাণী।ভুল হয়ে গেছে।
--ভাল করছো। (একটু নরম স্বরে)
--প্লিজ রাগ করবেন না,ম্যাডাম।যে শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেবো।বলুন কি করতে হবে?
--এখনই একটু দেখা করতে পারবা??খুব দরকার।
--ওকে।আসতেছি।কিন্তু তোমার কণ্ঠটা এমন লাগছে কেনো?এনি প্রব্লেম??
--তুমি দেখা করো প্লিজ.
--ওকে.
.
.
১৫ মিনিট পর আমি নীলন্তীর কাছে গেলাম।আজ সত্যি ওকে একটু অন্যরকমই লাগছে।অন্যদিন ফোন ধরতে ২মিনিট দেরি হলেই ঝাড়ি শুরু হয়ে যায়।আর অাজ কিছুই বললোনা।আবার এখন দেখেও কোনো রিঅ্যাকশন দিলোনা।কিছুতো হইছেই।
..
..
--কি ব্যাপার,ম্যাডাম।সকাল সকাল ডাকার কারণ কি??
--.............. (চুপ)
--ওহ!সরি,সোনা।রাগ করোনা প্লিজ।ফোন সাইলেন্ট হয়ে গিছিল।আর তুমিতো জানোই যে আজ অনেক দেরিতে ঘুমোইছি।
--................(চুপ)
--আচ্ছা আর হবেনা।এবারই শেষ।যে শাস্তি দিবা দেও।এই যে কান ধরতেছি।বলো আর কি করবো।
--রাহাত ফিরে এসেছে. (নীলন্তী)
.
(কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে গেলাম।)
.
--ওহ!এটা বলার জন্য ডেকেছো?
--আমি কি করব এখন?
--তুমি কি চাও?
--জানিনা।
--দেখো তোমার মন যেটা বলে সেটাই করো।আমার কোনো বাধা নেই।তুমি যেটাতে সুখী থাকবে সেটাই হবে।
--তুমি কষ্ট পাবেনা?
--তুমি ভালো থাকলেই হবে।আমার আর কিছু চাইনা।
--সত্যিই তুমি অনেক ভালো।(মুখে হালকা হাসি)
--থ্যান্কস।(হাসার অভিনয়ে)
--আমরা কি ভাল ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে পারিনা?
--চাইলে কিনা হয়!তুমি এখন যাও।রাহাত অপেক্ষা করতেছে।
--হুম।বাই।
--বাই।
..
..
বাই বলতে গিয়ে আমার বুকটা যেন ফেটে যাচ্ছিল। ছেলে মানুষের তো কান্না করা মানায় না।কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।বুকের ভিতরের হাহাকারে যন্ত্রনাগুলো গুলো যেন ছিড়ে ফুড়ে বের হতে চাচ্ছে।চারিদিকটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
..
..
নিকোটিনের ধোয়াটা আবার ঘুরতে ঘুরতে অামাকে বর্তমানে নিয়ে অাসলো।ঐ বাতাসে মিলিয়ে গেলো সব ছবি।
..
..
রাতে মুখটা পরিষ্কার করেই বাসায় ফিরলাম।বিছানায় শুয়ে শুয়ে আবারও হারিয়ে গেলাম অতীতে।তবে সেটা একটু দুরেরই অতীত।প্রায় এক বছরের রিলেশন ছিল আমাদের।আমার আগে রাহাতের সাথে ওর রিলেশন ছিল।কিন্তু রাহাত হঠাৎ ওকে একদিন ছেড়ে চলে য়ায়।তারপর অনেক ঝড় গেছে ওর ওপর দিয়ে।এক সময় আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়।কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেটা পারেনি।আর আল্লাহরই ইচ্ছায় একদিন আমি আসি নীলন্তীর জীবনে।আজকের সকাল পর্যন্ত সব কিছুই ঠিক ছিল।যাই হোক ভালবাসার মানুষটা ভালো থাকবে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে।তবে রাহাত ছেলেটা সত্যিই খুব ভাগ্যবান।
..
..
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি।
..
..
সকালে ঘুম ভাঙলো ফোনের রিংটোনে।ফোনটা হাতে নিতেই কিছুটা অবাক হলাম।কারণ এটা ছিল নীলন্তীর কল।
--কি ব্যাপার?ভুল করে কল দিয়ে ফেলছো নাকি??
--না।ঠিকই দিছি।খুব দরকার।একটু সমস্যা হইছে।দেখা করতে পারবা?শেষ বারের মতো।
--কি হইছে??বলো একটু..
--না।সরাসরি বলবো।এখনই দেখা করো।
--ওহ!আচ্ছা।আসছি।
..
..
সকাল সকাল কষ্ট টাকে আবার বাড়িয়ে দিল।হয়তে রাহাতের সাথে আমাকে নিয়ে কিছু হইছে।সেটা ঠিক করতেই যেতে বলছে।কি আর করার।শেষ বারের মতো যেহেতু বললো তাহলে তো যেতেই হবে।
..
..
..
..
দূর থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম নীল শাড়ি পরে কেও বসে আছে।মুখটা অন্য দিকে ঘোরানো।তবে বুঝতে বাকি রইলো না যে সে নীলন্তীই।কিন্ত সে একা কেন?এগিয়ে গেলাম কাছে।মুখটা ঘোরালো আমার দিকে।চোখটা যেন আটকে গেল আমার!আমি শিওর এটা নীলন্তী নয়।পরনে নীল শাড়ি,খোলা চুল,কপালে টিপ,হালকা লিপস্টিক সব মিলিয়ে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।এ সত্যিই নীলন্তী হতে পারেনা।এ নীলপরী।কিছুক্ষণের জন্য চোখটা সত্যিই দাড়িয়ে গিয়েছিল।কিন্তু বর্তমানটা যে বড্ড বেশি ক্ষণস্থায়ী।তাইতো মনে পড়ে গেলো এ নীলপরী তো এখন আমার নয়।সে যে অন্য কারো।তাইতো বুকের ভিতরে আবারো হাহাকারের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
..
--কি ব্যাপার?ডাকলে কেন? (আমি)
-- ........ (ঠাস করে চড় মেরে দিল আমার গালে)
--আরে করছো কি??মারো কেন??
--তোরে মারবো না তো কি অাদর করবো?
--কেন আমি কি করছি?তুই করে বলছো কেন?
--আবার কথা বলিস।এত কষ্ট একটা শাড়ি পরলাম।আমাকে কি খুব খারাপ দেখাচ্ছে।কোনো কমেন্টই করলিনা?
--হুম।অনেক সুন্দর লাগছে। নীল পরীর মতো।রাহাতের সাথে।খুব মানাবে কিন্তু।
--........(আবারো চড়)
--আরে আবারও মারলে কেন?খারাপ কমেন্ট করছি নাকি?
--ওই শালা,রাহাত কে রে?ওরে আমি চিনিনা।
--তাহলে কাল কি বললে?
--হুম বলছিলাম।দেখতে ছিলাম তুমি কি করো।যে আমার হাত ছেড়ে দেছে সে ফিরে আসলেও তার হাত আমি ধরবো না।আমি শুধু তোমারই।নীলন্তী শুধুই মেঘের।
--............ (কি বলবো বুঝছিনা)
--তোকে বড্ড ভালবেসে ফেলেছিরে পাগলা।আর সেই ভালবাসা যদি বয়ে না নিয়ে যেতে পারি তাহলে তো মরেই যাবো রে সোনা।
..
নিজেকে আজ পৃথিবীর সব থেকে সুখী মনে হচ্ছে।কিছু বলতে পারছিলাম না।দু হাতের বাহু ডোরে জড়িয়ে ধরলাম নীলন্তীকে।
--love u very much,pakhi...very very love u..
--হুম হইছে।এবার ছাড়ো।অার পাঞ্জাবীটা পরে কেকটা কাটো।
--কিসের কেক?আর পাঞ্জাবী কই?
--আবার একটা মারবো কিন্তু।আজ কত তারিখ?
--আজ....আজ...আজ...ওহ মাই গড!আজ তো আমার বার্থডে।তোমার জন্যই ভুলে গেছিলাম।
--হুম জানি।আর ভুলাবো বলেই তো এত নাটক করলাম।(একটা প্যাকেট বের করে)এই যে তোমার পাঞ্জাবী।পরে নেও।
--এটাও নীল?
--হুম।ম্যাচিং হতে হবে না!
--তোমাকে কিন্তু সত্যি আজ নীলপরীর মতোই লাগছে।বাস্তবে নীলপরী নীলন্তী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন