বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

অবশেষে পাইলাম

এই হাড় কাঁপুনি শীতে আমি ছাদে দাড়িয়ে আছি খোলা আকাশের নিচে।
শুধু মাত্র একটি টি শার্ট গায়ে দিয়ে।
আর হাতে হচ্ছে জলন্ত সিগারেট।
নিজেকে সিগারেটের ধোয়ায় পুড়াচ্ছি।
একটুকুও শীত করতেছেনা আজ।
নীল আকাশের মাঝে ফুটে ওঠা নক্ষত্র গুলো খুব সুন্দর লাগতেছে।
হ্যা আর আমার বুকের বাম পাশের পাজড়ের ব্যাথা টা ক্রমশ্যই একটু একটু করে বেড়ে উঠতেছে।
আর অঝড় ধারায় বৃষ্টি পড়ছে আমার চোখ থেকে।
বড্ড বেমানান লাগতেছে নিজেকে এই পৃথিবীতে।
একটু একটু করে ঝড় বাতাসের ঝাপটাতে ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার সাজানো স্বপ্ন গুলো।
হয়তোবা আমার চাওয়া খুব বেশী হয়ে গেয়েছিল।
তাই সব থেকে বহিষ্কার করা হল আমায়।
এখন নিরবতাই আমার সঙ্গী।
হারিয়ে গিয়েছি আমি আমার মাঝে।
হ্যা আজ আবার দেখিলাম আমার মায়াবীনিকে।
কি মায়াবী চোখের চাহনি।
এই চাহনী দেখেই আমি হারিয়ে গেছিলাম 3টি বৎসর আগে।
অপরুপ সৌন্দর্য ঘিরে রয়েছে সেই মুখটিতে।
আজ আমি দেখিলাম তাকে।
আর সঙ্গে বুকের বাম পাশে চিরচেনা ব্যাথাটা সাড়া দিয়ে উঠল।
আচ্ছা মায়াবীনি তুমিও কি একই শুন্যতায় ভুগতেছ আমার মত।
অনেক প্রশ্নই করতে মন চায় কিন্তু করা হয়না।
ওই মায়াবী চোখের পাশে তাকালেই যে আমি হারিয়ে যাই আমার মাঝে।
প্রশ্ন কি করে করিব।
হাজার কষ্ট ভুলেও যে তোমায় বুকে টেনে নিতে মন চায় মায়াবীনি।
এই আকাশের নির্লিপ্ত কুয়াশার মাঝেও তোমায় খুজি আমি মায়াবীনি।
তোমার সেই পুরনো স্পর্শ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল এ মন।
আমি মুন্তাসির আহমেদ শাহরিয়ার।
এখন একটি সরকারি জব করতেছি।
আর উপরে যার কথা বললাম সে হল আমার মায়াবীনি।
আমাদের বাসা গ্রামেই।
এই শীতের সময়েই আমাদের দেখা হয়েছিল।
কোন এক গোধূলি বেলায় ছোট বোনটা বলতেছে আমার কিছু ছবি তুলে দে ভাইয়া সরিষা খেতে।
আর সরিষা খেতে ফুটে উঠেছিল হলুদ রংয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য।
গিয়ে ক্যামেরায় চোখ দিতেই সামনে এক মায়াবীনির চেহারা ভেসে উঠলো।
কি অপূর্ব টানা টানা কাজল কালো চোখ দেখেই হারিয়ে গিয়েছি।
হুস ফিরলো ছোট বোনের ডাকে।
-কিরে ভাইয়া পিক উঠাবিনা কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবো?
-হুম উঠাচ্ছি দাড়া।
-হুম।
পিক তুলে চলে আসলাম কিন্ত মনে হচ্ছে খুব মুল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলে এসেছি।
রাতে পিচ্চি দরজায় নক করল
-কে
-আমি দরজা খোল
-কিরে কি বলতে এসেছিস বল।
-নাম্বার নিবি????
-কার
-কেন যাকে দেখে তোর। পৃথিবী থমকে গেছিলো আজ বিকাল বেলা।
কিন্ত শর্ত হচ্ছে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
-কিভাবে যে মনের কথা গুলো বুঝে যায় বুড়িটা।
৫০০ নিবি একটু কমা প্লিজ।
শুধু নাম্বারের জন্যই এত না জানি এর কথা বাবা মাকে বলাতে গেলে কত নিবে।
-কিরে ভাইয়া দে।
-হুম নে আর এখন এখান থেকে গিয়ে আমায় মুক্ত কর।
-আচ্ছা ফোন দিবি এখন তাইনা
-যাবি তুই।
নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম।
ওপাশ থেকে একটি মিষ্টি কন্ঠসর ভেসে উঠল।
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
কেমন আছেন?
-জি আলহামদুলিল্লাহ।
কে বলতেছেন
-জি অামি মুন্তাসির বলতেছি ওই যে বিকালে দেখা হয়েছিল।
কাল ৪ টার দিকে একটু বটতলায় আসবেন প্লিজ
-আচছা চেষ্টা করব।
আল্লাহ হাফেজ।
-অাল্লাহ হাফেজ।
এই ভাবেই আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল
একটু একটু কেয়ার দুষ্টুমি, মিষ্টি ঝগড়া এ ভাবেই চলছিল।
কিন্তু মাঝ পথে একটা ঝড়ে সব ধংস হয়েগিয়েছিল।
১মাস আগে কিছুই করার ছিলনা মুখবুঝে সহ্য করা ছাড়া।
আজ আবার সেই মুখ খানি দেখলাম।
কত মায়ায় না জড়িয়ে আছে।
হঠাৎ ফোনের মেসেজের শব্দে ধ্যান ভাংলো।
সেই চেনা নাম্বার থেকে একটি মেসেজ।
কাল দেখা কর ৩টার দিকে।
সেই বটতলায় দেখা করবে বুঝে নিলাম।
গিয়ে দেখি আগে থেকে বসে আছে আমার জন্য।
আমায় দেখে উঠে দাড়ালো।
কিছু বলতে যাব তার আগেই আমার বুকে কাউকে অনুভব করলাম।
সে আর কেউ না আমার মায়াবীনি।
অার বলতেছে
-তোমার চোখের নিচে কালো দাগ কেন??
নিশ্চিত রাত জাগো।
-হুম তুমি নাই কি করব।
কেউ তো আর আদর করে ঘুমতে যেতে বলেনা ফোন দিয়ে।
-তোমার ঠোঁট কালো কেন??
আবার সিগারেট খাও তাইনা।
-..............
আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিলাম আমার পাগলি কে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন