ড্রিংক্সের গ্লাসটা পাশে রাখলো ৷ ড্রয়ার টা খুঁজতে খুঁজতে তোলপাড় করছে একটি ব্লেডের আশায় ৷ ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করবে তার হাতটি!
এই কালো হাতে ব্লেড দিয়ে এক-দুইটি টান মারলে লাল রক্তই বেরিয়ে আসবে যা একটি ফর্সা মানুষের হাত থেকে বের হয় ৷
লাল রক্ত !! এই লাল রংটি অনেকটৈ নেশার মত, উন্মাদ হয়ে রক্ত দেখার নেশা ৷ রক্তাত্ব করতে করতে সে তার সকল টুকরো হতাশাগুলো হয়তো ভূলতে বা মুছতে পারবেনা তবে কিছুটা শান্তনা পাবে রক্তাত্ব হাতটি দেখে ৷
আমরা কাহিনীতে তাহলে প্রবেশ করি ৷
কাহিনীটা আর কয়েকটা প্রেম কাহিনীর মতই সাধারণ একটি কাহিনী যেখানে সব কিছুই আছে ৷ মন্দ ভালোর সংমিশ্রনে কাহিনীটা,
রক্তিম নামক এক অসুন্দর ছেলের কাহিনী! যে কিনা তার অসূখি জীবনটা উপভোগ করছিল তবে হঠাৎ তার জীবনটা বদলে গেল ৷
বন্ধুসার্কেলের ভীড়ে যে ছিল উপেক্ষিত, অন্য বন্ধুদের একসাথে অনেকগুলো রিলেশন যেখানে, সেখানে তাকে কেউ পছন্দ করেনা, কোন মেয়ে তাকে ড্রিং বয় ও ভাবেনা ৷
আমরা দেখি অনেকেই আছে যারা রিয়েল লাইফে কোন কদর না পেলেও ভার্চুয়ালে অনেক জনপ্রিয় ৷ রক্তিম ও তেমনই জনপ্রিয় ,এতটাই জনপ্রিয় যে তার লেখার ভক্ত দিন দিন বাড়ছিল৷ অনেকে তাকে ভার্চুয়ালে আদর্শ লেখক মানে ৷
তো একদিন একটি মেয়ে তাকে হঠাৎ করেই নক দিলো!
সচারচর কোন মেয়েই রক্তিম কে নক দেয়না এজন্য রক্তিম কিছুটা বিব্রত বোধ করেছিল ৷ তবে বিষয়টা অনেক কিউট যেই মেয়েটা তাকে নক দিয়েছিল তার নামটা রক্তিমা! রক্তিম ও রক্তিমা যেন একই মুদ্রার দুইটি পিঠ!
তাদের প্রথম প্রথম তেমন কথা হতোনা, রক্তিত সজাগ থাকলে রক্তিমা থাকতো না, আবার রক্তিমা সজাগ থাকলে রক্তিম থাকতোনা ৷ এভাবে লুকোচুরি কথোপকথোন হতে থাকলো একটি মাস ৷
রক্তিমের কোন ছবি দেওয়া ছিলনা তার টাইমলাইনে অপরদিকে রক্তিমা দেখতে অনেক সুন্দরী ছিল এবং তার জন্য অনেক ছেলে অপেক্ষায় ছিল ৷ রক্তিম প্রথম প্রথম তেমন একটা অনুভব করেনি রক্তিমা কে ৷
রক্তিম এরপর হঠাৎ করেই রক্তিমাকে অনুভব করতে লাগলো ,কেনই বা করবেনা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মানুষের আকর্ষনটা আদিম যুগ থেকেই .
প্রতিদিনকার মতই তাদের সেই কথা বলা চলতে থাকলো, তবে একপাশ থেকে রক্তিম রক্তিমার জন্য একটু দূর্বল হয়ে পড়েছে ! ছেলেমানুষগুলো একটু তাড়াতাড়িই দূর্বল হয়ে পড়ে অনেকটা দূর্বল ৷
রক্তিমা রক্তিমকে কিছুদিন ধরে না ইঙ্গিতে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে, যা রক্তিম বুঝেও না বোঝার ভান করে কথা বলছে ৷ তবে রক্তিম হঠাৎ করেই বুঝতে পারলো রক্তিমা আসলে অন্য কোন ছেলের সাথে রিলেশনে মাত্র একদিন আগে জড়িয়েছে ৷ আজ বিকালের "ইন এ রিলেশনশীপ" পোষ্ট রক্তিমার টাইমলাইনে দেখে রক্তিম অনেকটা বদলে গেল ৷ আসলেই তো! একটা অসুন্দর ছেলেকে কে বা পছন্দ করবে? রক্তিমাকে চাওয়া অনেকটা আকাশের চাঁদের মতই ৷ যাই হোক যা গেছে গেছে বাদ দিক ৷
আমরা ব্যক্তিগতভাবে যা বাদ দিতে চায় তা কখনোই সহজে বাদ দিতে পারিনা, এই একপাশের ভালবাসার অনুভূতিগুলো অনেকটা দূঃখ দেয় একজন ব্যর্থ মানুষকে ৷ একটা মানুষ তখনই ব্যর্থতা স্বিকার করে যখন তার হাতে আর কিছুই থাকেনা ৷
রক্তিম ব্যর্থ ছিল, সে রক্তিমা ভূলতে পারছিলোনা, একপাশ থেকে ভালবেসে সে নিজের কষ্টগুলোকে চেপে রেখেছিল ৷
আমি অতটা ইমোশন দিয়ে বলতে পারছিনা হয়তো তবে এই রক্তিমই আপনার মতন কিছু ব্যর্থ মানুষেরই প্রতিচ্ছবি ৷ কিছু একপাশ থেকে ভালবাসার মানুষগুলোর প্রতিচ্ছবি ৷
রক্তিম নিজেই নিজেকে কষ্ট দিতে লাগলো, রক্তাত্ব করা, নেশা করা এগুলো তার নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে গেল ৷
আমি মূলত গল্পটি সাজিয়েছি কোন আবেগী কিউট কিউট লাভ ষ্টোরি শোনানোর জন্য না, রক্তিমের মতন শত প্রতিচ্ছবিকে এই কাতারে ফেলে তাদের ইমোশনগুলো ব্যক্ত করতে চেয়েছি ৷ যদিওবা আমি ব্যর্থ লেখক কেননা বেশি আবেগ দিয়ে আমি লিখতে পারিনা ৷
আমি এটা সংক্ষেপে দেখাতে চেয়েছি রক্তিমের মতন শত প্রতিচ্ছবি আছে যারা একপাশ থেকে ভালবেসে ব্যর্থ হয়ে অতঃপর নেশার রাজ্যে নিজেকে টেনে নিয়ে গেছে অথচ রক্তিমার মতন শত শত উর্বষী জানতেও পারেনা রক্তিমের মতন প্রতিচ্ছবিগুলো তাদের জন্যই তিলে তিলে জীবনটা শেষ করছে ৷
একপাশের ভালবাসা তো! অনেকটা আবেগের জন্ম নেয় অনেকটা!
আমরা মানুষ তো; খুব সহজেই মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলতে পারি!
এবং খুব সহজেই আমাদের ইমোশন গুলো অপরের হাতে বিলিয়ে দিতে পারি!
এই কালো হাতে ব্লেড দিয়ে এক-দুইটি টান মারলে লাল রক্তই বেরিয়ে আসবে যা একটি ফর্সা মানুষের হাত থেকে বের হয় ৷
লাল রক্ত !! এই লাল রংটি অনেকটৈ নেশার মত, উন্মাদ হয়ে রক্ত দেখার নেশা ৷ রক্তাত্ব করতে করতে সে তার সকল টুকরো হতাশাগুলো হয়তো ভূলতে বা মুছতে পারবেনা তবে কিছুটা শান্তনা পাবে রক্তাত্ব হাতটি দেখে ৷
আমরা কাহিনীতে তাহলে প্রবেশ করি ৷
কাহিনীটা আর কয়েকটা প্রেম কাহিনীর মতই সাধারণ একটি কাহিনী যেখানে সব কিছুই আছে ৷ মন্দ ভালোর সংমিশ্রনে কাহিনীটা,
রক্তিম নামক এক অসুন্দর ছেলের কাহিনী! যে কিনা তার অসূখি জীবনটা উপভোগ করছিল তবে হঠাৎ তার জীবনটা বদলে গেল ৷
বন্ধুসার্কেলের ভীড়ে যে ছিল উপেক্ষিত, অন্য বন্ধুদের একসাথে অনেকগুলো রিলেশন যেখানে, সেখানে তাকে কেউ পছন্দ করেনা, কোন মেয়ে তাকে ড্রিং বয় ও ভাবেনা ৷
আমরা দেখি অনেকেই আছে যারা রিয়েল লাইফে কোন কদর না পেলেও ভার্চুয়ালে অনেক জনপ্রিয় ৷ রক্তিম ও তেমনই জনপ্রিয় ,এতটাই জনপ্রিয় যে তার লেখার ভক্ত দিন দিন বাড়ছিল৷ অনেকে তাকে ভার্চুয়ালে আদর্শ লেখক মানে ৷
তো একদিন একটি মেয়ে তাকে হঠাৎ করেই নক দিলো!
সচারচর কোন মেয়েই রক্তিম কে নক দেয়না এজন্য রক্তিম কিছুটা বিব্রত বোধ করেছিল ৷ তবে বিষয়টা অনেক কিউট যেই মেয়েটা তাকে নক দিয়েছিল তার নামটা রক্তিমা! রক্তিম ও রক্তিমা যেন একই মুদ্রার দুইটি পিঠ!
তাদের প্রথম প্রথম তেমন কথা হতোনা, রক্তিত সজাগ থাকলে রক্তিমা থাকতো না, আবার রক্তিমা সজাগ থাকলে রক্তিম থাকতোনা ৷ এভাবে লুকোচুরি কথোপকথোন হতে থাকলো একটি মাস ৷
রক্তিমের কোন ছবি দেওয়া ছিলনা তার টাইমলাইনে অপরদিকে রক্তিমা দেখতে অনেক সুন্দরী ছিল এবং তার জন্য অনেক ছেলে অপেক্ষায় ছিল ৷ রক্তিম প্রথম প্রথম তেমন একটা অনুভব করেনি রক্তিমা কে ৷
রক্তিম এরপর হঠাৎ করেই রক্তিমাকে অনুভব করতে লাগলো ,কেনই বা করবেনা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মানুষের আকর্ষনটা আদিম যুগ থেকেই .
প্রতিদিনকার মতই তাদের সেই কথা বলা চলতে থাকলো, তবে একপাশ থেকে রক্তিম রক্তিমার জন্য একটু দূর্বল হয়ে পড়েছে ! ছেলেমানুষগুলো একটু তাড়াতাড়িই দূর্বল হয়ে পড়ে অনেকটা দূর্বল ৷
রক্তিমা রক্তিমকে কিছুদিন ধরে না ইঙ্গিতে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে, যা রক্তিম বুঝেও না বোঝার ভান করে কথা বলছে ৷ তবে রক্তিম হঠাৎ করেই বুঝতে পারলো রক্তিমা আসলে অন্য কোন ছেলের সাথে রিলেশনে মাত্র একদিন আগে জড়িয়েছে ৷ আজ বিকালের "ইন এ রিলেশনশীপ" পোষ্ট রক্তিমার টাইমলাইনে দেখে রক্তিম অনেকটা বদলে গেল ৷ আসলেই তো! একটা অসুন্দর ছেলেকে কে বা পছন্দ করবে? রক্তিমাকে চাওয়া অনেকটা আকাশের চাঁদের মতই ৷ যাই হোক যা গেছে গেছে বাদ দিক ৷
আমরা ব্যক্তিগতভাবে যা বাদ দিতে চায় তা কখনোই সহজে বাদ দিতে পারিনা, এই একপাশের ভালবাসার অনুভূতিগুলো অনেকটা দূঃখ দেয় একজন ব্যর্থ মানুষকে ৷ একটা মানুষ তখনই ব্যর্থতা স্বিকার করে যখন তার হাতে আর কিছুই থাকেনা ৷
রক্তিম ব্যর্থ ছিল, সে রক্তিমা ভূলতে পারছিলোনা, একপাশ থেকে ভালবেসে সে নিজের কষ্টগুলোকে চেপে রেখেছিল ৷
আমি অতটা ইমোশন দিয়ে বলতে পারছিনা হয়তো তবে এই রক্তিমই আপনার মতন কিছু ব্যর্থ মানুষেরই প্রতিচ্ছবি ৷ কিছু একপাশ থেকে ভালবাসার মানুষগুলোর প্রতিচ্ছবি ৷
রক্তিম নিজেই নিজেকে কষ্ট দিতে লাগলো, রক্তাত্ব করা, নেশা করা এগুলো তার নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে গেল ৷
আমি মূলত গল্পটি সাজিয়েছি কোন আবেগী কিউট কিউট লাভ ষ্টোরি শোনানোর জন্য না, রক্তিমের মতন শত প্রতিচ্ছবিকে এই কাতারে ফেলে তাদের ইমোশনগুলো ব্যক্ত করতে চেয়েছি ৷ যদিওবা আমি ব্যর্থ লেখক কেননা বেশি আবেগ দিয়ে আমি লিখতে পারিনা ৷
আমি এটা সংক্ষেপে দেখাতে চেয়েছি রক্তিমের মতন শত প্রতিচ্ছবি আছে যারা একপাশ থেকে ভালবেসে ব্যর্থ হয়ে অতঃপর নেশার রাজ্যে নিজেকে টেনে নিয়ে গেছে অথচ রক্তিমার মতন শত শত উর্বষী জানতেও পারেনা রক্তিমের মতন প্রতিচ্ছবিগুলো তাদের জন্যই তিলে তিলে জীবনটা শেষ করছে ৷
একপাশের ভালবাসা তো! অনেকটা আবেগের জন্ম নেয় অনেকটা!
আমরা মানুষ তো; খুব সহজেই মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলতে পারি!
এবং খুব সহজেই আমাদের ইমোশন গুলো অপরের হাতে বিলিয়ে দিতে পারি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন