খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় শ্রাবন্তীর । এক মনে বহু দুর হতে ভেসে আসা আজানের সুর শুনতে লাগলো সে । প্রতিদিন ভোরে নিবিষ্টচিত্তে আজান শুনাটা ওর নেশাই পরিনত হয়েছে । আজানের মধ্যে থাকা প্রতিটা কথার সুর ওর হৃদয় আন্দলীত করে । মনে হয় বহু দিন ধরে এই সুরের সাথে তার হৃদয়ের স্পন্দন গাঁথা । এই সুরের অকৃত্রিম ঝংকারের মাঝেই ও নিজের অস্থিত্ব খুজে পাই । খুব বেশি ইচ্ছে হয় আজান শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে উঠে মুসলিম মেয়েদের মত বাসার সবাইকে নামাজ পড়তে ডেকে দিতে, ইচ্ছে হয় অজু করে জায়নামাজে বসে সয়ং প্রভূর সাথে সাক্ষাৎ করতে, ইচ্ছে হয় কোরআনের আয়াতের অকৃত্রিম সুরে সুরে হৃদয়ের না বলা কথা গুলো একটি একটি করে স্রষ্টার কাছে তুলে ধরতে । ইচ্ছে হয় নামাজের মাঝে প্রতিটা সেজদাই আদুরী গলাই তাঁর কাছে চাওয়া-পাওয়ার সব অভিব্যক্তি মেলে ধরতে ।
.
কিন্তু কিছু কিছু স্বপ্ন কখনো পূর্ণতার স্পর্শ পাইনা অসীম শুন্যতাই বিলীন হয়ে যায় । ঠিক তেমনি ভাবে শ্রাবন্তীর স্বপ্নটাও আটকে আছে ধর্মনামক কল্পনা বস্তুর অদৃশ্য দেয়ালের অন্তরালে । সে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছে । জন্ম সুত্রে সে সনাতনধর্ম অনুসারিণী । তাই শত ইচ্ছে থাকলেও সে ধর্মের বেড়াজাল ছিন্ন করে আলোর পথের অভিজাত্রীদের দলে নাম লেখাতে পারেনা । কারণ সে তো মেয়ে, মেয়েরা চাইলেও সব কিছু করতে পারেনা । সে যদি ধর্মত্যাগী হয় তবে তার পরিবার তাকে ত্যাগ করবে, আর পরিবার তাকে ত্যাগ করলে সে কোথায় যাবে ! কী করবে ! তা ভেবে পাইনা । শুধুমাত্র এই কারণেই ও বার বার দু' পা এগোলে আবার একপা পিছিয়ে যাই ।
.
আজ ইসলামী জীবন যাপন করার জন্য সে যতটা উৎসুক ঠিক ততটাই ইসলামের বিরুদ্ধবাদিতা ছিল গত ছয় মাস আগেও । কিন্তু কিছু দিন আগের একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তার জীবন ধারা বদলে দিয়েছে, দিয়েছে সঠিক পথের সুমহান দিশা ।
.
অনার্স প্রথম বর্ষের প্রখর মেধাবী ছাত্রী শ্রাবন্তী । সেদিন ক্লাস, টিউশন শেষ করে বের হতে বেশ দেরী করে ফেলেছিলো সে । সন্ধার প্রারাম্ভে রাস্তাই নেমে পড়ে, এমনিতেই আধাঁর ঘনিয়ে আসছে তার মধ্যে আবার আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে আছে আর তাই রাস্তাটা বেশ নিরিবিলি । সে অনেকক্ষণ ধরে গাড়ীর জন্য অপেক্ষারত কিন্তু কপাল মন্দ! মাঝে মাঝে দু' একটা গাড়ী হনহন করে চলে যাচ্ছে আর তার দমকা বাতাসে শ্রাবন্তীর চুল উড়ে এলো মেলো হয়ে যাচ্ছে । এদিকে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর এতে সে খুবিই হতাস চিত্তরূপে একটু খানি সাহায্যের আশাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো, ঠিক তখনি দেখলো অদূর থেকে কালো আঁধারের বুক চিড়ে দুটো হলুদ আলো ছুটে আসছে তখন উপায়ন্ত না পেয়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় হাত মেলে ধরলো । দেখলো গাড়ীর ড্রাইভিং ছিটেই শুধুমাত্র একটি ছেলে বসে আছে আর কেউ নেই । প্রথমে একটু ইতস্থতা করলেও মেয়েটির অনুনয় এ ছেলেটি তাকে হেল্প করতে রাজী হলো । বাইরে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিপাত হচ্ছে । আর মাঝে মাঝে বিদুৎ চমকাচ্ছে, ছেলেটি সামনের দিকে তাকিয়ে নিপুণ হাতে ড্রাইভ করছে আর মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে আছে । এতক্ষণ তার বেশ ভয় করছিলো একটা অচেনা ছেলের সাথে একা একা বদ্ধ গাড়ীর মধ্যে থাকতে, কিন্তু আস্তে আস্তে ভয় কেঁটে গিয়ে তার উপরে একটা বিশ্বাস জন্মাতে আরম্ভ করেছে, কারন ছেলেটার চেহারাটা খুবিই মায়াবী । কেন জানি মনে হচ্ছে এই রকম চেহারাযুক্ত মানুষ গুলো নিষ্পাপ হয় তাই নিঃসন্দেহে তাকে বিশ্বাস করা যায় আর সব চায়তে বড় কথা হলো এতক্ষণ পথ চলার সঙ্গী হওয়ার পরেও ছেলেটি একটি বারের জন্য ও তার দিকে তাকাইনি বা অন্যদের মত সাহায্য করার সুযোগ নিয়ে ভাব জমাতে আসেনি । তার বাড়ী গেটে এসে শক্ত ব্রেক করলো ছেলেটি, মেয়েটি কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলো তার পর ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো
.
' কিছু মনে না করলে আপনার নাম নামটা জানতে পারি..?'
.
কিন্তু কিছু কিছু স্বপ্ন কখনো পূর্ণতার স্পর্শ পাইনা অসীম শুন্যতাই বিলীন হয়ে যায় । ঠিক তেমনি ভাবে শ্রাবন্তীর স্বপ্নটাও আটকে আছে ধর্মনামক কল্পনা বস্তুর অদৃশ্য দেয়ালের অন্তরালে । সে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছে । জন্ম সুত্রে সে সনাতনধর্ম অনুসারিণী । তাই শত ইচ্ছে থাকলেও সে ধর্মের বেড়াজাল ছিন্ন করে আলোর পথের অভিজাত্রীদের দলে নাম লেখাতে পারেনা । কারণ সে তো মেয়ে, মেয়েরা চাইলেও সব কিছু করতে পারেনা । সে যদি ধর্মত্যাগী হয় তবে তার পরিবার তাকে ত্যাগ করবে, আর পরিবার তাকে ত্যাগ করলে সে কোথায় যাবে ! কী করবে ! তা ভেবে পাইনা । শুধুমাত্র এই কারণেই ও বার বার দু' পা এগোলে আবার একপা পিছিয়ে যাই ।
.
আজ ইসলামী জীবন যাপন করার জন্য সে যতটা উৎসুক ঠিক ততটাই ইসলামের বিরুদ্ধবাদিতা ছিল গত ছয় মাস আগেও । কিন্তু কিছু দিন আগের একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তার জীবন ধারা বদলে দিয়েছে, দিয়েছে সঠিক পথের সুমহান দিশা ।
.
অনার্স প্রথম বর্ষের প্রখর মেধাবী ছাত্রী শ্রাবন্তী । সেদিন ক্লাস, টিউশন শেষ করে বের হতে বেশ দেরী করে ফেলেছিলো সে । সন্ধার প্রারাম্ভে রাস্তাই নেমে পড়ে, এমনিতেই আধাঁর ঘনিয়ে আসছে তার মধ্যে আবার আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে আছে আর তাই রাস্তাটা বেশ নিরিবিলি । সে অনেকক্ষণ ধরে গাড়ীর জন্য অপেক্ষারত কিন্তু কপাল মন্দ! মাঝে মাঝে দু' একটা গাড়ী হনহন করে চলে যাচ্ছে আর তার দমকা বাতাসে শ্রাবন্তীর চুল উড়ে এলো মেলো হয়ে যাচ্ছে । এদিকে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর এতে সে খুবিই হতাস চিত্তরূপে একটু খানি সাহায্যের আশাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো, ঠিক তখনি দেখলো অদূর থেকে কালো আঁধারের বুক চিড়ে দুটো হলুদ আলো ছুটে আসছে তখন উপায়ন্ত না পেয়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় হাত মেলে ধরলো । দেখলো গাড়ীর ড্রাইভিং ছিটেই শুধুমাত্র একটি ছেলে বসে আছে আর কেউ নেই । প্রথমে একটু ইতস্থতা করলেও মেয়েটির অনুনয় এ ছেলেটি তাকে হেল্প করতে রাজী হলো । বাইরে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিপাত হচ্ছে । আর মাঝে মাঝে বিদুৎ চমকাচ্ছে, ছেলেটি সামনের দিকে তাকিয়ে নিপুণ হাতে ড্রাইভ করছে আর মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে আছে । এতক্ষণ তার বেশ ভয় করছিলো একটা অচেনা ছেলের সাথে একা একা বদ্ধ গাড়ীর মধ্যে থাকতে, কিন্তু আস্তে আস্তে ভয় কেঁটে গিয়ে তার উপরে একটা বিশ্বাস জন্মাতে আরম্ভ করেছে, কারন ছেলেটার চেহারাটা খুবিই মায়াবী । কেন জানি মনে হচ্ছে এই রকম চেহারাযুক্ত মানুষ গুলো নিষ্পাপ হয় তাই নিঃসন্দেহে তাকে বিশ্বাস করা যায় আর সব চায়তে বড় কথা হলো এতক্ষণ পথ চলার সঙ্গী হওয়ার পরেও ছেলেটি একটি বারের জন্য ও তার দিকে তাকাইনি বা অন্যদের মত সাহায্য করার সুযোগ নিয়ে ভাব জমাতে আসেনি । তার বাড়ী গেটে এসে শক্ত ব্রেক করলো ছেলেটি, মেয়েটি কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলো তার পর ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো
.
' কিছু মনে না করলে আপনার নাম নামটা জানতে পারি..?'
' শিশির, মোঃ ডি, এইচ, শিশির খান । '
' আমি শ্রাবন্তী রায় চৌধূরী '
' ওহ ভালো । '
' চলুন । '
' কোথায়..?'
' আমার বাড়ীতে, অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যান । '
'নাহ্ আরেকদিন । ' শ্রাবন্তী আর জোর করলনা ।
.
' আপনার ফোন নং টা পেতে পারি...? ঠিক ভাবে পৌছেছেন কিনা তাই জানার জন্য আরকি । '
.
' আপনার ফোন নং টা পেতে পারি...? ঠিক ভাবে পৌছেছেন কিনা তাই জানার জন্য আরকি । '
' ধন্যবাদ!! আল্লাহ চাইলে হয়ত আবার কখনো কোন এক অচেনা পথে দেখা হয়ে যাবে । তখন জেনে নিবেন । '
' এটা কি করে হয়, আজকের পৌছাবেন কিনা সেটা আগামী দিন জেনে নিব! আর যদি কখনো দেখা না হয়!? '
' তাহলে আর কি আপনার পথে আপনি আর আমার পথে আমি ভাল থাকবেন । ' এই বলে ছেলেটি গাড়ী স্টার্ট করে চলে গেলো আর শ্রাবন্তী যতক্ষণ ব্যাকলাইটের আলো আর দৃষ্টির অন্তরালে না গেল ততক্ষণ এক দৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে রইল।। তার পর রুমে চলে আসলো, কিন্তু মনে হচ্ছে মনটা যেন গাড়ীর ঐ পাশের সিটটাতেই পড়ে আছে । ও ভাবছে যে এখনো তাহলে এই নশ্বরতার মাঝেও এমন ছেলে আছে যারা মেয়েদের ঠিক এতটা কাছে পেয়েও লোভাতূর দৃষ্টি আর মনের কাম-চাওয়াকে সমপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ব্যক্তিত্বকে বজায় রাখতে পারে । সে বেশ কয়েকবার আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে আপাদমস্তক চেয়ে দেখলো যে সে কি আসলেই অসুন্দর.!? কিন্তু তৎক্ষনাৎ মনে পড়লো নাতো কলেজের টপার সুন্দরী হিসাবে বেশ নাম-ডাক ছিলো তার, কিন্তু এই চেহারাটার দিকে সেই ছেলেট একটি বারও তাকালনা !! সে নিশ্চয় দেবদূত, মানুষ নয় !!
.
ছেলেটার এই টেন্ডেন্সি তাকে নিয়ে ভাবনার অতলে ঢুকতে বাদ্ধ করলো তাকে । মেয়েটা ভাবতে ভাবতে এক সময় তার সামনে এনে দাড় করালো ছেলেটার এই ব্যক্তিত্বের আসল রহস্য । আর তা হলো তার ধর্ম চেতনা । মেয়েটা ইসলাম ধর্মকে অতিবেশি ঘৃনা করে তবুও রহস্যাবৃত ছেলেটাকে নিয়ে গবেষণা তার সকল পিছুটানকে উপেক্ষা করতে উৎসাহ যোগালো । সে অল্প অল্প করে জানতে আরম্ভ করলো ইসলাম সম্পর্কিত বিষয় গুলো । এমনিতেই তার অপচ্ছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থসান করছে ইসলাম আর এজন্য প্রথমে তার কাছে একে বারেই যাচ্ছে তাই মনে হয় ইসলামের নিয়মাবলী গুলো কিন্তু তার ভুল ভাঙতে শুরু করলো তখন, যখন সে একেকটা বিষয় পুরোপুরিভাবে স্টাডি করতে লাগলো । এবং আস্তে আস্তে তার মাঝে অদ্ভুত এক আকর্ষণ জাগতে লাগলো এই মিরাকল ধর্ম নিয়ে জানার জন্য । তার জানার অদম্য ইচ্ছা তার জন্য আর্শিবাদ বয়ে আনতে শুরুকরল । তার জীবনে পরিবর্তন আানতে আরম্ভ করল । তার দিনান্তের অধিকাংশ কাজ গুলো হতে লাগলো ইসলাম কেন্দ্রিক । তার সোনালী বর্ণের চুল গুলো ঢেকে গেলো রেসমি সুতার তৈরী ওড়নার ছাঁয়ায় । কু-দৃষ্টির লোলুপতা থেকে নিষ্কৃতি পেলো দেহের বিভিন্ন খোলা মেলা অঙ্গগুলো পেলো । চলা-ফেরাতেও পেয়েছে শালীনতার অনুপম স্পর্শ । এক কথায় কোরআনুল কারীমের নির্দেশিত কথাগুলোর....
.
তার জানার অদম্য ইচ্ছা তার জন্য আর্শিবাদ হয়ে ফিরে এলো । তার জীবনে পরিবর্তন আনতে আরম্ভ করল । তার দিনান্তের অধিকাংশ কাজ গুলো হতে লাগলো ইসলাম কেন্দ্রিক । তার সোনালী বর্ণের চুল গুলো ঢেকে গেলো রেসমি সুতার তৈরী ওড়নার ছাঁয়ায় । কু-দৃষ্টির লোলুপতা থেকে নিষ্কৃতি পেলো দেহের বিভিন্ন খোলা মেলা অঙ্গগুলো । চলা-ফেরাতেও পেয়েছে শালীনতার অনুপম স্পর্শ । এক কথায় অবিশ্বাস্য ভাবে কোরআনুল কারীমের নির্দেশিত কথাগুলোর বাস্তব প্রতিফলন সে নিজের মধ্যে দেখতে পেলো ।
.
সে যেদিন থেকে ছোট ছোট জামা কাপড় ছেড়ে দিয়ে বোর্কা পরা আরম্ভ করলো সেদিন থেকে একটা বিষয় গভীর ভাবে তার হৃদয়ে দাঁগ কেটে গেলো । আর তা হলো তারই সামনে খোলা মেলা পোশাক পরা মুসলিম মেয়েদের কে হয়রানি করা হলো অথছ নিত্য দিনের পরিচিত ইভটিজাররা তাকে কিছুুুই বললোনা শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো । প্রতিদিন বাসে করে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় সে অতিষ্ট হয়ে যেত মানুষের বিবেকহীন কার্যাবলী দেখে । ব্রেক করার আগেই ছেলে বুড়ো সবাই ইচ্ছে করে নুইয়ে পড়তো তার অর্ধ নগ্ন শরীররের স্পর্শ পাওয়ার জন্য । কিন্তু একি হলো আজ একটা তর তরে যুবক ছেলে কিনা তাকে ছিট ছেড়ে দিয়ে সম্মান দেখিয়ে বসতে দিলো ।
.
ইসলামের স্পর্শ তার জীবনে আরো অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনতে আরম্ভ করেছে । তার মনটাকে পবিত্র করেছে, নমনীয়তাই ভরে দিয়েছে তার কন্ঠ। বাবা মা এবং পরিবারপরিজনের জন্য মনের গভীরে একদিকে অকৃত্রিম ভালবাসা জন্মাতে লাগলো, অন্যদিকে আফসোস করতে লাগলো ' হায়!! যদি সবাই মিলে এক সাথে মুসলিম হয়ে সবার জীবনকে ধন্য করতো । ' সে মনে মনে পণ করলো যে, বিয়ে যদি করতেই হয় তবে একজন মুসলিম ছেলেকেই করবে আর আলোর পথের অভিযাত্রিদের দলে নাম লেখাবে, এতে যদি সব কিছু ছাড়তে হয় তবুও সে একটুও বিচলিত হবেনা ।
কারণ আল- কোরআন একথা বলে যে, 'কঠিণ বিচার দিবসে তার জন্য জবাব দিহিতা যে, তাকেই করতে হবে ।'
.
দুইটা কথা সে সারাক্ষণ ভাবে, একটি তার জীবনের সব চাইতে বড় ইচ্ছা আরবী অক্ষর গুলো শিখে সুমধূর কন্ঠে কোরআন তেললাওয়াত করা, সেটা কবে পূর্ণতা পাবে...!? আর একটি কথা তাকে সর্বক্ষণ পিড়া দেই যে, সব চাইতে বড় হতভাগ্য সেই সমস্ত মুসলিম যারা সৌভাগ্যবান ভ্রমর হয়েও অমৃত চিনতে পারলোনা '
.
তার বাবা, মা মেয়ের এহেন পরিবর্তন দেখে যার পর নাই খুশি হলো কিন্তু আসল রহস্য থেকে গেলো সব কিছুর অন্তরালে ।
.
ছেলেটার এই টেন্ডেন্সি তাকে নিয়ে ভাবনার অতলে ঢুকতে বাদ্ধ করলো তাকে । মেয়েটা ভাবতে ভাবতে এক সময় তার সামনে এনে দাড় করালো ছেলেটার এই ব্যক্তিত্বের আসল রহস্য । আর তা হলো তার ধর্ম চেতনা । মেয়েটা ইসলাম ধর্মকে অতিবেশি ঘৃনা করে তবুও রহস্যাবৃত ছেলেটাকে নিয়ে গবেষণা তার সকল পিছুটানকে উপেক্ষা করতে উৎসাহ যোগালো । সে অল্প অল্প করে জানতে আরম্ভ করলো ইসলাম সম্পর্কিত বিষয় গুলো । এমনিতেই তার অপচ্ছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থসান করছে ইসলাম আর এজন্য প্রথমে তার কাছে একে বারেই যাচ্ছে তাই মনে হয় ইসলামের নিয়মাবলী গুলো কিন্তু তার ভুল ভাঙতে শুরু করলো তখন, যখন সে একেকটা বিষয় পুরোপুরিভাবে স্টাডি করতে লাগলো । এবং আস্তে আস্তে তার মাঝে অদ্ভুত এক আকর্ষণ জাগতে লাগলো এই মিরাকল ধর্ম নিয়ে জানার জন্য । তার জানার অদম্য ইচ্ছা তার জন্য আর্শিবাদ বয়ে আনতে শুরুকরল । তার জীবনে পরিবর্তন আানতে আরম্ভ করল । তার দিনান্তের অধিকাংশ কাজ গুলো হতে লাগলো ইসলাম কেন্দ্রিক । তার সোনালী বর্ণের চুল গুলো ঢেকে গেলো রেসমি সুতার তৈরী ওড়নার ছাঁয়ায় । কু-দৃষ্টির লোলুপতা থেকে নিষ্কৃতি পেলো দেহের বিভিন্ন খোলা মেলা অঙ্গগুলো পেলো । চলা-ফেরাতেও পেয়েছে শালীনতার অনুপম স্পর্শ । এক কথায় কোরআনুল কারীমের নির্দেশিত কথাগুলোর....
.
তার জানার অদম্য ইচ্ছা তার জন্য আর্শিবাদ হয়ে ফিরে এলো । তার জীবনে পরিবর্তন আনতে আরম্ভ করল । তার দিনান্তের অধিকাংশ কাজ গুলো হতে লাগলো ইসলাম কেন্দ্রিক । তার সোনালী বর্ণের চুল গুলো ঢেকে গেলো রেসমি সুতার তৈরী ওড়নার ছাঁয়ায় । কু-দৃষ্টির লোলুপতা থেকে নিষ্কৃতি পেলো দেহের বিভিন্ন খোলা মেলা অঙ্গগুলো । চলা-ফেরাতেও পেয়েছে শালীনতার অনুপম স্পর্শ । এক কথায় অবিশ্বাস্য ভাবে কোরআনুল কারীমের নির্দেশিত কথাগুলোর বাস্তব প্রতিফলন সে নিজের মধ্যে দেখতে পেলো ।
.
সে যেদিন থেকে ছোট ছোট জামা কাপড় ছেড়ে দিয়ে বোর্কা পরা আরম্ভ করলো সেদিন থেকে একটা বিষয় গভীর ভাবে তার হৃদয়ে দাঁগ কেটে গেলো । আর তা হলো তারই সামনে খোলা মেলা পোশাক পরা মুসলিম মেয়েদের কে হয়রানি করা হলো অথছ নিত্য দিনের পরিচিত ইভটিজাররা তাকে কিছুুুই বললোনা শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো । প্রতিদিন বাসে করে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় সে অতিষ্ট হয়ে যেত মানুষের বিবেকহীন কার্যাবলী দেখে । ব্রেক করার আগেই ছেলে বুড়ো সবাই ইচ্ছে করে নুইয়ে পড়তো তার অর্ধ নগ্ন শরীররের স্পর্শ পাওয়ার জন্য । কিন্তু একি হলো আজ একটা তর তরে যুবক ছেলে কিনা তাকে ছিট ছেড়ে দিয়ে সম্মান দেখিয়ে বসতে দিলো ।
.
ইসলামের স্পর্শ তার জীবনে আরো অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনতে আরম্ভ করেছে । তার মনটাকে পবিত্র করেছে, নমনীয়তাই ভরে দিয়েছে তার কন্ঠ। বাবা মা এবং পরিবারপরিজনের জন্য মনের গভীরে একদিকে অকৃত্রিম ভালবাসা জন্মাতে লাগলো, অন্যদিকে আফসোস করতে লাগলো ' হায়!! যদি সবাই মিলে এক সাথে মুসলিম হয়ে সবার জীবনকে ধন্য করতো । ' সে মনে মনে পণ করলো যে, বিয়ে যদি করতেই হয় তবে একজন মুসলিম ছেলেকেই করবে আর আলোর পথের অভিযাত্রিদের দলে নাম লেখাবে, এতে যদি সব কিছু ছাড়তে হয় তবুও সে একটুও বিচলিত হবেনা ।
কারণ আল- কোরআন একথা বলে যে, 'কঠিণ বিচার দিবসে তার জন্য জবাব দিহিতা যে, তাকেই করতে হবে ।'
.
দুইটা কথা সে সারাক্ষণ ভাবে, একটি তার জীবনের সব চাইতে বড় ইচ্ছা আরবী অক্ষর গুলো শিখে সুমধূর কন্ঠে কোরআন তেললাওয়াত করা, সেটা কবে পূর্ণতা পাবে...!? আর একটি কথা তাকে সর্বক্ষণ পিড়া দেই যে, সব চাইতে বড় হতভাগ্য সেই সমস্ত মুসলিম যারা সৌভাগ্যবান ভ্রমর হয়েও অমৃত চিনতে পারলোনা '
.
তার বাবা, মা মেয়ের এহেন পরিবর্তন দেখে যার পর নাই খুশি হলো কিন্তু আসল রহস্য থেকে গেলো সব কিছুর অন্তরালে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন