নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের মতো একটা সিরিয়াস কাজ সম্পন্ন করলাম।
মা বাবা খুশির জন্য অনেক সময় নিজের ইচ্ছাকে মাটি চাপা দিতে হয়।
বিয়েটা হঠাৎই হয়ে গেল,,,
তেমন কাউকে বলতে পারিনি,,,,
আশা ছিল খুব ঘটা করে বিয়েটা করবো কিন্তু ঘটল তার উল্টাটা।
যায় হোক,,,,সব ধরনের সমস্যাকে পিছনে ফেলে গত মাসের ১০ তারিখ (১০/০৩/২০১৭) শুভ কাজটা সেরে ফেললাম।
বাসার সবাই মেয়েটার ছবি দেখতে বলছি,,,,তবে ইচ্ছা করেই আমি দেখিনি,,,,
,,,, ,,,,,,,
বিয়ের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১০ টার কিছু সময় পর বিয়ে সম্পন্ন করে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় আসার পর নতুন বউ দেখা পর্ব চলছে,,,,,
বউ দেখা শেষ হইলে যে যার মতো ঘুমাইতে চলে গেল,,,,অবশিষ্ট বউয়ের পাশে আমি রয়ে গেলাম,,,, আর আমার থাকাটায় স্বাভাবিক!!!!
এতকিছুর পরও বউকে দেখার সময় হয়নি,,,,
রাত তখন ০২:৩০+,,,,,ঘরে শুধু আমরা দু'জন।
হঠাৎ কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
আমি ভাবলাম মেয়েটি নার্ভাস তাই জন্য কান্না করছে,,,,আমি ভাবলাম চোখে পানি মুছে দিয়ে কথা বললে হয়তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে,,,,,কিন্তু যখনি চোখের পানি মুছতে গেলাম তখনি দুইটা বিষয় আমাকে অবাক করল!!!
এক!! মেয়েটি অস্বাভাবিক সুন্দরী।
দুই!! মেয়েটিও তার ইচ্ছার বাইরে এই বিয়েতে রাজি হয়েছে।
সে একটা ছেলেকে ভালবাসে,,, কিন্তু ভয়ে বাসায় কাউকে জানাতে পারিনি,,, তবে সাহস করে আমাকে বলল!!!
((মেয়েটি নাম মিতু))
মিতুঃ আমি আপনাকে স্বামী হিসাবে মেনে নিতে পারবোনা,,আমি আমার bf এর কাছে যেতে চাই,,,আর আপনি আমাকে তার কাছে ফিরে যেতে সাহায্য করবেন। (( খুব কান্না করছিল))
আমিঃ এখন কান্না থামান,,, এটা নিয়ে পরে কথা বলা যাবে আর ড্রেস চেন্জ করে ঘুমিয়ে পড়েন! আপনি অনেক ক্লান্ত!! আমি টিভির রুমে ঘুমাচ্ছি!!!
মিতুঃ টিভির রুমে ঘুমাতে কষ্ট হবেনা?
আমিঃ হয়তো,,,,
মিতুঃ আপনি বাইরে ঘুমালে আমাদের নিয়ে অনেকেই অনেককিছু মনে করবে তাই বলছি আপনি রুমেই ঘুমান!
আমিঃ আর আপনি?
মিতুঃ আপনি খাটে ঘুমান আর আমি নিচে ঘুমাচ্ছি।
আমিঃ আজ আপনি আমার গেস্ট সো আপনি খাটে ঘুমান আমি নিচে ঘুমায়।
মিতুঃ আচ্ছা।
আমিঃ আর হ্যা,,,,যে কয়দিন আপনি আপনার bf এর কাছে না যান সে কয়দিন কষ্ট করে স্বামী স্ত্রীর অভিনয় করতে হবে আমাদের,,,, কারন মা বাবা আপনাকে অনেক পছন্দ করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধ বিয়ে দিছে,,,এখন তারা যদি জানতে পারে তাদের পছন্দের মেয়েটি তাদের ছেলেকে না অন্য কাউকে ভালবাসে তাহলে তারা অনেক কষ্ট পাবে!!!
মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে!!
আমিঃ Thank you so much.....good night
মিতুঃ আপনাকেও!!!
মা বাবা খুশির জন্য অনেক সময় নিজের ইচ্ছাকে মাটি চাপা দিতে হয়।
বিয়েটা হঠাৎই হয়ে গেল,,,
তেমন কাউকে বলতে পারিনি,,,,
আশা ছিল খুব ঘটা করে বিয়েটা করবো কিন্তু ঘটল তার উল্টাটা।
যায় হোক,,,,সব ধরনের সমস্যাকে পিছনে ফেলে গত মাসের ১০ তারিখ (১০/০৩/২০১৭) শুভ কাজটা সেরে ফেললাম।
বাসার সবাই মেয়েটার ছবি দেখতে বলছি,,,,তবে ইচ্ছা করেই আমি দেখিনি,,,,
,,,, ,,,,,,,
বিয়ের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১০ টার কিছু সময় পর বিয়ে সম্পন্ন করে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় আসার পর নতুন বউ দেখা পর্ব চলছে,,,,,
বউ দেখা শেষ হইলে যে যার মতো ঘুমাইতে চলে গেল,,,,অবশিষ্ট বউয়ের পাশে আমি রয়ে গেলাম,,,, আর আমার থাকাটায় স্বাভাবিক!!!!
এতকিছুর পরও বউকে দেখার সময় হয়নি,,,,
রাত তখন ০২:৩০+,,,,,ঘরে শুধু আমরা দু'জন।
হঠাৎ কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
আমি ভাবলাম মেয়েটি নার্ভাস তাই জন্য কান্না করছে,,,,আমি ভাবলাম চোখে পানি মুছে দিয়ে কথা বললে হয়তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে,,,,,কিন্তু যখনি চোখের পানি মুছতে গেলাম তখনি দুইটা বিষয় আমাকে অবাক করল!!!
এক!! মেয়েটি অস্বাভাবিক সুন্দরী।
দুই!! মেয়েটিও তার ইচ্ছার বাইরে এই বিয়েতে রাজি হয়েছে।
সে একটা ছেলেকে ভালবাসে,,, কিন্তু ভয়ে বাসায় কাউকে জানাতে পারিনি,,, তবে সাহস করে আমাকে বলল!!!
((মেয়েটি নাম মিতু))
মিতুঃ আমি আপনাকে স্বামী হিসাবে মেনে নিতে পারবোনা,,আমি আমার bf এর কাছে যেতে চাই,,,আর আপনি আমাকে তার কাছে ফিরে যেতে সাহায্য করবেন। (( খুব কান্না করছিল))
আমিঃ এখন কান্না থামান,,, এটা নিয়ে পরে কথা বলা যাবে আর ড্রেস চেন্জ করে ঘুমিয়ে পড়েন! আপনি অনেক ক্লান্ত!! আমি টিভির রুমে ঘুমাচ্ছি!!!
মিতুঃ টিভির রুমে ঘুমাতে কষ্ট হবেনা?
আমিঃ হয়তো,,,,
মিতুঃ আপনি বাইরে ঘুমালে আমাদের নিয়ে অনেকেই অনেককিছু মনে করবে তাই বলছি আপনি রুমেই ঘুমান!
আমিঃ আর আপনি?
মিতুঃ আপনি খাটে ঘুমান আর আমি নিচে ঘুমাচ্ছি।
আমিঃ আজ আপনি আমার গেস্ট সো আপনি খাটে ঘুমান আমি নিচে ঘুমায়।
মিতুঃ আচ্ছা।
আমিঃ আর হ্যা,,,,যে কয়দিন আপনি আপনার bf এর কাছে না যান সে কয়দিন কষ্ট করে স্বামী স্ত্রীর অভিনয় করতে হবে আমাদের,,,, কারন মা বাবা আপনাকে অনেক পছন্দ করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধ বিয়ে দিছে,,,এখন তারা যদি জানতে পারে তাদের পছন্দের মেয়েটি তাদের ছেলেকে না অন্য কাউকে ভালবাসে তাহলে তারা অনেক কষ্ট পাবে!!!
মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে!!
আমিঃ Thank you so much.....good night
মিতুঃ আপনাকেও!!!
এভাবে স্বামী স্ত্রীর অভিনয় করতে করতে কেটে গেল একটি মাস,,,একটা দিনের জন্যও মিতু নিজের বাড়ি যায়নি।
এই একমাসে আমার অনেক পরির্বতন লক্ষ্য করলাম,,,,আমি মিতুকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি,,, সব সময় মিতুর কথায় মনে পড়ে,,, আগে বেশির ভাগ সময় বাসার বাইরে কাটাতাম আর এখন মিতুকে দেখার জন্য সারাটা দিন বাসায় থাকি!!!
আর মিতু,,,,,, সে বাসার সবাইকে নিজের করে নিয়েছে শুধুমাত্র আমাকে ছাড়া।
দরকার ছাড়া আমার সাথে কথা বলে না।
তার একটাই মাত্র কথা,,,ডিভোর্স পেপারটা কবে দিবেন!!!
এই একটা মাসের ভিতর আমি অনেক খুজেছি মিতুর ভিতর আমাকে,,,কিন্তু সে তো মরিচিকা!!!
তাই ভাবছি এখনি ডিভোর্স পেপারটা দেওয়া উচিত।
তবে মিতুর মনে ভয় কাজ করছে,, কারন বিয়ের পর থেকে তার bf এর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি,,,
তাই আগের থেকে এখন ডিভোর্স পেপারের কথা কম বলে,,,
কিন্তু আমি থেমে নেই,,,মিতুকে কথা দিছিলাম,,,তার bf এর কাছে তাকে ফিরিয়ে দিবো তাই অনেক কষ্টে মিতুর বয়ফ্রেন্ড ফারাবীকে খুজে পেয়েছি।
ফারাবীকে সব ঘটনা খুলে বললেও সে কিছুই বুঝতে চাইনা আর মানতে চাইনা।
আমি ফারাবীর হাতটা ধরে বললাম,, আপনার ভালবাসার মানুষকে আগে যেমন বিশ্বাস করতেন এখনো তেমন বিশ্বাস করতে পারেন
ফারাবী সব কিছু মেনে নিয়েছে এবং মিতুকে ফিরিয়ে নিতে কিছুটা সময় চেয়েছে।
এই একমাসে আমার অনেক পরির্বতন লক্ষ্য করলাম,,,,আমি মিতুকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি,,, সব সময় মিতুর কথায় মনে পড়ে,,, আগে বেশির ভাগ সময় বাসার বাইরে কাটাতাম আর এখন মিতুকে দেখার জন্য সারাটা দিন বাসায় থাকি!!!
আর মিতু,,,,,, সে বাসার সবাইকে নিজের করে নিয়েছে শুধুমাত্র আমাকে ছাড়া।
দরকার ছাড়া আমার সাথে কথা বলে না।
তার একটাই মাত্র কথা,,,ডিভোর্স পেপারটা কবে দিবেন!!!
এই একটা মাসের ভিতর আমি অনেক খুজেছি মিতুর ভিতর আমাকে,,,কিন্তু সে তো মরিচিকা!!!
তাই ভাবছি এখনি ডিভোর্স পেপারটা দেওয়া উচিত।
তবে মিতুর মনে ভয় কাজ করছে,, কারন বিয়ের পর থেকে তার bf এর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি,,,
তাই আগের থেকে এখন ডিভোর্স পেপারের কথা কম বলে,,,
কিন্তু আমি থেমে নেই,,,মিতুকে কথা দিছিলাম,,,তার bf এর কাছে তাকে ফিরিয়ে দিবো তাই অনেক কষ্টে মিতুর বয়ফ্রেন্ড ফারাবীকে খুজে পেয়েছি।
ফারাবীকে সব ঘটনা খুলে বললেও সে কিছুই বুঝতে চাইনা আর মানতে চাইনা।
আমি ফারাবীর হাতটা ধরে বললাম,, আপনার ভালবাসার মানুষকে আগে যেমন বিশ্বাস করতেন এখনো তেমন বিশ্বাস করতে পারেন
ফারাবী সব কিছু মেনে নিয়েছে এবং মিতুকে ফিরিয়ে নিতে কিছুটা সময় চেয়েছে।
এই একটা মাসের ভিতর মিতুকে নিয়ে কোথাও বের হয়নি,,,,তাই আজ মিতুর পছন্দের জায়গা গুলোতে যাবো,,,,
যখন আমরা নদী পাড়ে গেলাম তখনি মিতু কেঁদে ফেলল তবে মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদলো,,,,
আর এটা থেকেই আমি বুঝতে পারছি আমার উপর মিতু অনেক বিশ্বাস আর ভরসা।
আমরা অনেক জায়গায় ঘুরে একটি রেস্টুরেন্টে বসে কিছু খেলাম।
বাসায় ফেরার পথে মিতু আমাকে বলল,,, আরিফ,,, আপনি অনেক ভাল!!!
কথাটা আমার মাথা উপর দিয়ে গেল।
সত্যি বলতে মিতুকে আমি একটু বেশি কেয়ার করছিলাম।
এটাতেই মিতু হয়তো বেশি বিরক্ত ছিল।
যখন আমরা নদী পাড়ে গেলাম তখনি মিতু কেঁদে ফেলল তবে মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদলো,,,,
আর এটা থেকেই আমি বুঝতে পারছি আমার উপর মিতু অনেক বিশ্বাস আর ভরসা।
আমরা অনেক জায়গায় ঘুরে একটি রেস্টুরেন্টে বসে কিছু খেলাম।
বাসায় ফেরার পথে মিতু আমাকে বলল,,, আরিফ,,, আপনি অনেক ভাল!!!
কথাটা আমার মাথা উপর দিয়ে গেল।
সত্যি বলতে মিতুকে আমি একটু বেশি কেয়ার করছিলাম।
এটাতেই মিতু হয়তো বেশি বিরক্ত ছিল।
ল্যায়ারের সাথে কথা বলে ডিভোর্জ পেপার টা নিয়ে এলাম এবং মিতুকে সারপ্রাইজ দিবো বলে আগে থেকে কিছুই জানায়নি,,,,
বাসায় এসে দেখি মিতু বাসার সবার সাথে অনেক মজা করছে,,,, ভাবলাম এখনি খবরটা দিলে আরো বেশি সারপ্রাইজড হবে।
মিতুকে ডেকে রুমে আসতে বললাম।
মিতু রুমে আসতেই তার মুখের হাসিটি আমার ভিতরটা আন্দলিত হল!!!
বললাম!!!!!!!
আমিঃ আপনি আমার থেকে কি আশা করেন?
মিতুঃ আপনি আর আপনি করে বলবেন আমাকে!!! এটাই আমার চাওয়া!!!
আমিঃ আর একটা দিনের জন্য তুমি করে বলে মায়া বাড়িয়ে লাভ নায়।
মিতুঃ এমন কথা কেন বলছেন??? ((হাসিটি হারিয়ে গেল))
আমিঃ আপনি আমার থেকে ডিভোর্জ চান তো,,,,এই যে এটাই আপনার ডিভোর্জ পেপার!!!
মিতুঃ না চাইনা!!! (( কেঁদে ফেলল))
আমিঃ কেনো??? গত একটা মাস ধরে আপনি আমার কাছে ডিভোর্জই তো চেয়েছেন।
মিতুঃ আমি ডিভোর্জ চাইনা।
আমিঃ তাহলে????
মিতুঃ আমি আপনাকে চাই!!!
আমিঃ এটা তোমার ভুল সিদ্ধান্ত!!!
মিতুঃ না,,,,,সঠিক সিদ্ধান্ত!!!এই একটা মাসে আপনি আমাকে যতো কেয়ার করেছেন,,, ভালবেসেছেন,,, এমন করে কেউ আমাকে ভালবাসতে পারবেনা,,,,আর আমিও আপনাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।।।
আমিঃ একটু পরেই আপনি ফারাবীর হয়ে যাবেন,,, কিছু দিন পর আমাকে ভুলে সুখে সংসার করবেন,,,, আর এটাই নিয়ম।।।
এই অল্প কিছুদিনের অতীত ভুলে যান।
মিতুঃ পারবোনা অতীত ভুলতে!!! কারন সেই অতীতে আপনি আছেন, আপনাকে ভুলে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব।।।
আমিঃ আপনি ভাবতে থাকেন।
এটা বলে আমি বেরিয়ে গেলাম ঘর থেকে।
কিছু সময় পর মিতু বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
তখন কষ্ট হল,,,,যে আর মিতুর সাথে দেখা এবং কথা কোনোটাই হবেনা এই ভেবে।
সবকিছু সবার জন্য না,,,,এটাই মেনে নিয়েছি।
কিন্তু কাঁদতে তো আর বাধা নেই!!!
বাসার বাইরে ফারাবী মিতুর জন্য অপেক্ষা করছিল,,,,মিতু যেয়েই ফারাবীর কাছে ক্ষমা আর মুক্তি চাইলো।
ফারাবী আগেই বুঝেছিল এমন কিছুই হতে চলেছে,,, তাই বেশি কিছু না বলে বলল,,,আরিফের কাছে যাও,,,,আরিফ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
মিতু ফারাবীর কাছ থেকে বাসায় ফিরে এলো,,,।
রুমের ভিতর একাই বসেছিলাম,,,,হঠাৎ শুনতে পেলাম।।।।কান্না করাটা কি খুব দরকার ছিল!!!
ভালবাসলেই কি কাঁদতে হয়!!!
আমিঃ কেউ কাঁদালে কাঁদতে হয়।
মিতুঃ আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা।
আমিঃ কে তোমাকে আমাকে ছাড়া থাকতে বলছে???
মিতুঃ জানিনা,,,আর জানতেও চাইনা।
আমিঃ তুমি ফিরে এসেছো এটাই অনেক। আর কাঁদবেনা কিন্তুু,,,।
মিতুঃ আমিও কাঁদবোনা,,, তুমিও কাঁদবেনা।
আমিঃ এটা দুঃখের কান্না না,,,,সুখের কান্না।
মিতুঃ আর কাঁদতে হবেনা,,,চলো ফ্যামিলি প্ল্যানিং করি!!!
আমিঃ..............
🙈
🙉
🙊
🐒.................!!!
বাসায় এসে দেখি মিতু বাসার সবার সাথে অনেক মজা করছে,,,, ভাবলাম এখনি খবরটা দিলে আরো বেশি সারপ্রাইজড হবে।
মিতুকে ডেকে রুমে আসতে বললাম।
মিতু রুমে আসতেই তার মুখের হাসিটি আমার ভিতরটা আন্দলিত হল!!!
বললাম!!!!!!!
আমিঃ আপনি আমার থেকে কি আশা করেন?
মিতুঃ আপনি আর আপনি করে বলবেন আমাকে!!! এটাই আমার চাওয়া!!!
আমিঃ আর একটা দিনের জন্য তুমি করে বলে মায়া বাড়িয়ে লাভ নায়।
মিতুঃ এমন কথা কেন বলছেন??? ((হাসিটি হারিয়ে গেল))
আমিঃ আপনি আমার থেকে ডিভোর্জ চান তো,,,,এই যে এটাই আপনার ডিভোর্জ পেপার!!!
মিতুঃ না চাইনা!!! (( কেঁদে ফেলল))
আমিঃ কেনো??? গত একটা মাস ধরে আপনি আমার কাছে ডিভোর্জই তো চেয়েছেন।
মিতুঃ আমি ডিভোর্জ চাইনা।
আমিঃ তাহলে????
মিতুঃ আমি আপনাকে চাই!!!
আমিঃ এটা তোমার ভুল সিদ্ধান্ত!!!
মিতুঃ না,,,,,সঠিক সিদ্ধান্ত!!!এই একটা মাসে আপনি আমাকে যতো কেয়ার করেছেন,,, ভালবেসেছেন,,, এমন করে কেউ আমাকে ভালবাসতে পারবেনা,,,,আর আমিও আপনাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।।।
আমিঃ একটু পরেই আপনি ফারাবীর হয়ে যাবেন,,, কিছু দিন পর আমাকে ভুলে সুখে সংসার করবেন,,,, আর এটাই নিয়ম।।।
এই অল্প কিছুদিনের অতীত ভুলে যান।
মিতুঃ পারবোনা অতীত ভুলতে!!! কারন সেই অতীতে আপনি আছেন, আপনাকে ভুলে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব।।।
আমিঃ আপনি ভাবতে থাকেন।
এটা বলে আমি বেরিয়ে গেলাম ঘর থেকে।
কিছু সময় পর মিতু বাসা থেকে বেরিয়ে গেল।
তখন কষ্ট হল,,,,যে আর মিতুর সাথে দেখা এবং কথা কোনোটাই হবেনা এই ভেবে।
সবকিছু সবার জন্য না,,,,এটাই মেনে নিয়েছি।
কিন্তু কাঁদতে তো আর বাধা নেই!!!
বাসার বাইরে ফারাবী মিতুর জন্য অপেক্ষা করছিল,,,,মিতু যেয়েই ফারাবীর কাছে ক্ষমা আর মুক্তি চাইলো।
ফারাবী আগেই বুঝেছিল এমন কিছুই হতে চলেছে,,, তাই বেশি কিছু না বলে বলল,,,আরিফের কাছে যাও,,,,আরিফ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
মিতু ফারাবীর কাছ থেকে বাসায় ফিরে এলো,,,।
রুমের ভিতর একাই বসেছিলাম,,,,হঠাৎ শুনতে পেলাম।।।।কান্না করাটা কি খুব দরকার ছিল!!!
ভালবাসলেই কি কাঁদতে হয়!!!
আমিঃ কেউ কাঁদালে কাঁদতে হয়।
মিতুঃ আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা।
আমিঃ কে তোমাকে আমাকে ছাড়া থাকতে বলছে???
মিতুঃ জানিনা,,,আর জানতেও চাইনা।
আমিঃ তুমি ফিরে এসেছো এটাই অনেক। আর কাঁদবেনা কিন্তুু,,,।
মিতুঃ আমিও কাঁদবোনা,,, তুমিও কাঁদবেনা।
আমিঃ এটা দুঃখের কান্না না,,,,সুখের কান্না।
মিতুঃ আর কাঁদতে হবেনা,,,চলো ফ্যামিলি প্ল্যানিং করি!!!
আমিঃ..............




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন