রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭

তোমায় নিয়ে লেখা

_এই তুমি কোথায় ?
_কেন ! অফিসে ।
_ওহ !
_কি হয়েহে তোমার ?
_না। কিছুু হয়নি তো।
_তাহলে,
_তাহলে কি ।
_তুিম তো জান আমি এখন
অফিসে,ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছো
আমি কোথায় । কি হয়েছে বলতো।
_না বাসায় খুব একা একা লাগে তো।
তোমায় খুব মিস করছিলাম । তাই
_পাগলী একটা
_এই পাগলি বললে কেন?
_এই যে আমার মহারাণীর পাগলামি
দেখে
_হুমম,তুিম কি হ্যা,পাগল। 
_তোমার
পাগল
_হুম,জানি তো। তাই তো সারাক্ষণ
অফিস নিয়ে থাকো
_এই তোমায় নিয়ে যেন থাকি না 
_কচু
থাকো,
.
রিফাত আর হিমার বিয়ে হয়েছে
মাত্র ২মাস। বিয়ের আগে হিমার
কারো সাথে রিলেশন ছিল না।যার
জন্য রিফাতের প্রতি ফিলিন্সটা একটু
বেশিই।রিফাতের কোনো এক মায়ার
সাথে রিলেশন ছিল। কিন্তু রিফাত
কখনোই তা বুঝতে দেয়নি,কিন্তু
অফিস গেলে হিমাই কল দিতো সে
দিতো না।কিন্তু বাসায় আসলে খুব
ভাল ভাবেই চলতো হিমার সাথে।
হিমাও কখনও বুঝতে পারেনি।
রিফাতের আগের রিলেশন ছিল খুবই
ভালো। কিন্তু সমস্যা ছিল একটাই
রিফাত ছিলো বেকার। অফিস থেকে
বাসা ফিরে ক্লান্ত হয়ে বিছানায়
শুয়ে পরল রিফাত। হঠাৎ তার মনে
পরতে লাগল সে পুরনো দিনগুলি । 
_ এই
রিফাত দেখো (মায়া)
_কি? (রিফাত)
_ফুল গুলো কত সুন্দর। 
_হুমম,খুব সুন্দর।
.
নদীর ধারে দু'জন হাটছে, হঠাৎ মায়ার
চোখ পড়ল নদীতে থাকা কচুরি পানার
প্রতি। তার সাথো চোখ পড়ল ফুটে
থাকা সেই ফুল গুলোর প্রতিও। হঠাৎ
বোকা বলে বসল>
_এই আমাকে ফুল এনে দাও না।
_কি ???
_ এনে দাও না। প্লিজ
_এখানে কাদা দেখনা তুমি।
.
মুখ কালো করে মেয়েটা হাটছে।
হঠাৎ রিফাত তার পাশে নেই।
আশেপাশে তাকাতেই দেখে রিফাত
ফুল নিয়ে আসছে। তার পায়ে এক
গাধা কাদা লেগে আছে প্রায় হাটু
পর্যন্ত।
_এই নাও লক্ষীটি।
এই বলেই মায়ার দিকে তাকাতেই
দেখে মায়ার চোখে জল। কিন্তু এই
জল কোনো দুঃখের জল না। এটা প্রিয়
মানুষটির নিজের প্রতি ভালোবাসা
দেখার জল।
_ এই কি হয়েছে, কাদো কেন।
_কই কাদি। কই নাতো
.
এই বলতে বলতে মায়া তার চোখের
জল মুছে পেলে,
_এই কি হয়েছে বল না।
_.....?
_এই..গায়ে হাত দিয়ে
_হুমম !
_কি হয়েছে
মায়া একটু কেদো কেদো ভাবে 
_তুমি
আমাকে এতো ভালোবাস । 
_পাগলি
তোমাকেই তো ভালোবাসবো
.
এ বলেই তাকে বুকে টেনে নেয়। আর
সেই সময় রিফাতের ভাবনার শেষ হয়
হিমার নরম হাতের ছোঁয়ায়
.
_এই তুমি কখন আসলে। (হিমা) 
_এইতো
কিছুুক্ষন হল।(রিফাত) 
_কি ভাবছিলে
গো
_কোথায়। কিছুু না।
_বল না।
_না তো। কিছুু ভাবিনি। আচ্ছা আমি
ফ্রেশ হয়ে আসছি।
_আচ্ছা
.
এই বলেই রিফাত চলে গেল ফ্রেশ
হতে,হিমাও আর কথা বাড়ালো না. .
.
ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে
দু’জন রুমে গেল। হঠাৎ রিফাত
হিমাকে ডাক দিলো
.
_শুনো
_হুমম বলো
_চোখ বন্ধ কর তো
_কেন ?
_করো না
_আচ্ছা বাবা করলাম।
_ হুমম চলো। এই চোখ খুলবে না কিন্তু
_ঠিক আছে,কিন্তু কোথায় যাও
খাটের উপর নিয়ে হিমাকে বসালো
রিফাত হাটু ঘেরে নিচে বসলো।
তারপর হিমার ডান পা নিজের পায়ে
রেখে একটা নুপুর পড়িয়ে দিলো এরপর
বাম পায়ে পড়িয়ে দিলো 
_হুমম এবার
চোখ খুলুন
হিমা তো দেখে রিফাতকে জড়িয়ে
ধরে কেঁদেই দিলো
কি মনে হয় আপনাদের রিফাত কি
হিমাকে ভালবেসে পেলেছে।
না !!
রিফাত ভেবে দেখলো মায়া তো
সুখেই আছে তাকে ছাড়া। তাহলে সে
কেন মায়ার কথা ভেবে হিমাকে
তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করবে। তাই
সে হিমাকে ভালো না বাসলেও
অভিনয় করে যাচ্ছে।
এর কিছুদিন পর হিমা একটি জিনিস
পেল। সেটা হল রিফাতের ডায়রি।
হিমা সব জেনে গেল। অনেকক্ষণ
কাঁদার পর নিজেকে সামলিয়ে
নিলো। এই ভেবে যে রিফাত তো
তাকো অবহেলা করছে না। সব ততো
ঠিকঠাক। তাহলে সে কেন কথা
বাড়াতে যাবে। আগের মতই চলছে সব।
রিফাত এর কিছুই জানে না। রিফাত
যখন মাঝে মাঝে মায়ার কথা ভাবে
হিমা জেনেও জিজ্ঞেস করে কি
ভাবে রিফাত।
এভাবে দিন যাচ্ছে। রিফাত তার
পুরনো ডায়রি টা নিয়ে পুড়ে পেলে।
নতুন একটা ডায়রি কিনে আনে। কিন্তু
সেটা আর আগের জায়গায় রাখেনি।
নিজের কাছেই রেখেছে। আর এদিক
দিয়ে হিমা ডায়রি টা খুঁজে না
পেয়ে তার মনে উল্টা পাল্টা ভাবনা
আসতে লাগে রিফাত কি সেই
মায়াকে নিয়ে কিছু লিখছে। এসব
ভাবতে লাগল। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল
রিফাত ফোন করেছে
_লক্ষীটি আজ বাসায় ফিরতে লেট
হবে
_কেন?
_ একটু কাজের চাপ তাই।
_ওহহ।
_শুনো।
_কি?
_খেয়ে নিও আমি বাইরে খেয়ে
নিবো।
_আচ্ছা
.
রিফাত জানে হিমা খাবে না।তার
জন্য বসে থাকবে,তাই সে আর বাইরে
খেলো না। আর এইদিক দিয়ে হিমা
ভাবছে রিফাত মায়ার সাথে দেখা
করবে না তো। আরও অনেক কিছুু
ভাবতে থাকে। খাবার টেবিলে বসে
বসে ভাবছে এসব। আর এদিক দিয়ে
রিফাত বাসায় বাসার সামনে এসে
বেল বাজিয়েই যাচ্ছে। দরজা খুলছে
না।হঠাৎ খুললো।
_এতো লেট হলো যে।
_ বাইরে গেছিলাম তাই। 
_খেয়েছ
_না।
_কেন?
_তোমার জন্য বসে ছিলাম।
_আমি তো বলেছিলাম বাইরে
খাবো।
_মনে ছিল না।
_আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,তুমি
খাবার দাও।
_তুমি খাওনি
_কেন?
_আমার পাগলি টা যে খাবে না এটা
তো আমি জানি ।
আবার সেই রোমান্টিকতা
_এবার তো ছাড়ো আমি ফ্রেশ হয়ে
আসি
_আচ্ছা যাও
হিমা সব ভাবনা ভুলে গেল। সে
হারিয়ে গেল রিফাতের ভালবাসায়।
রিফাত ফ্রেশ হয়ে এসে হিমার কাদে
হাত দিতেই সে ভয় পেয়ে গেল
রিফাতকে জড়িয়ে ধরল।
.
_এই পাগলি কি ভাবছিলে হুমম হিমায়
লজ্জায় মুখ উঠাতে পারছে না।
এর কিছুুদিন পর রিফাত বেলায়
বাসায় হিমা তো অবাক হয়ে বলল
_আজ এতো তাড়াতাড়ি।
_এমনি।
_ওহহ
দুপুরের খাওয়া শেষ করে রিফাত
হিমাকে বলে যাও রেডি হও খুব সুন্দর
করে
_কেন?
_যাও না
_ঠিক আছে বাবা যাচ্ছি
হিমা খুব সুন্দর করে সাঁজলো।
সেঁজেগুজে রিফাতের সামনে
আসলো হিমা। রিফাত তো আর চোখ
ফেরাতে পারছে না নীলপরীর
থেকে। কারণ হিমা নীল শাড়ি
পড়েছে। খুব সুন্দর লাগে মেয়েটাকে
শাড়ি পরলে।তবুও রিফাত নিজেকে
সামলিয়ে বলল
_চলো।
_কোথায় যাচ্ছ বল না।
.
রিফাত কিছুুই বলছে না। রিক্সা করে
দু’জন সেই নদীর গেল। দু’জন হাটছে।
আর হিমার আবার ডায়রির কথা মনে
পড়লো । নদীর পার,দু’জন হাটা,সেই
ফুল,এসব ভাবতে ভাবতে সে
রিফাতকে হারিয়ে ফেলল । সে
পাগলের মতো খুঁজছে রিফাতকে
কোথাও দেখে না। কান্না করে দিল
মেয়েটি। ঠিক তখনি রিফাত পিছন
থেকে তার কাদে হাত দিয়েই হাটু
ঘেরে বসে গেলো। আর সেই কচুরি
পানার ফুল দিয়ে প্রপোজ করল
হিমাকে।
I Love U লক্ষীটি ..........
.
হিমা ফুল হাতে নিয়ে ওওও ডিশুম
ডিশুম কয়েক কিল বসিয়ে দিল
রিফাতের বুকে। রিফাত নিজেকে
বাঁচাতে হিমাকে একটানে বুকে
জড়িয়ে নিল। শুরু হলো তাদের নতুন পথ
চলা____^.^
.
.
.
কি ভাবছেন মায়ার সাথে কী হলো?
বেকার থাকার কারণে মায়াকে
বিয়ে করতে পারলো না।অন্য কারো
হয়ে যায় মায়া। এটা ভাবছেন না তো
নতুন ডায়রি বা কি ছিল। সেটাতে
ছিল রিফাত আর হিমার নতুন
ভালবাসার কথা। যার নাম তোমায়
নিয়ে লেখা
.
.
রিফাত আগের ডায়রি পুড়িয়ে পেলে
এজন্য যে, সে হিমাকে ভালোবাসতে
শুরু করেছে। সে মায়ার সব স্মৃতি মুছে
পেলে। আর অফিস থেকে লেট করে
ফিরে হিমার আর তা 
¶¶ তোমায় নিয়ে লেখা ¶¶ 
ভালবাসার কাহিনী
লিখলো তাই
.
.
________________সমাপ্ত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন