কলেজে ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছলাম এর মাঝেই দিয়ার আগমন।
অনেকটা রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে এই বুঝি কাচাই চাবিয়ে খাবে।
আমি ইমরান এবার অর্নাস ৩য় বর্ষে আর দিয়াও আমার ডিপাটমেন্টেই পড়ে।
আসলে আজ দিয়াকে নিয়ে বানিজ্য মেলায় যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ভূলেই গেছিলাম আড্ডা দিতে গিয়ে।
দিয়া:তোর কি কমন সেন্স বলে কিছু আছে?
ইমরান:কেন বল তো?
দিয়া:তোর আজ কোথাই যাওয়ার কথা ছিলো আমার সাথে?
ইমরান:সরি রে একদম ভূলেই গেছিলাম।
দিয়া:তা তো যাবিই যদি এটা অন্য কোন মেয়ে বলতো তাইলে ১ ঘন্টা আগেই রেডি হয়ে থাকতি।
ইমরান:আরে এতো রাগিস কেন যাচ্ছি তো চল।
দিয়া:আচ্ছা চল।
রিক্সা নিয়ে বানিজ্য মেলায় পৌছে গেলাম অনেক ভীড় জমছে মেলায়।
দিয়া যেয়েই কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে গেল আর এর মাঝেই একটা নুপূর পছন্দ হয়ে গেল আমার।
তাই কিনে ফেললাম দিয়া অনেক বারই নুপূরটা ছিনতাই করার চেস্টা করছে কিন্ত নিতে পারিনি।
দিয়া:দোস্ত তোর নুপূরটা আমাকে দিবিনা?
ইমরান:কেন অন্য একটা কিনেনে।
দিয়া:না আমি ওটাই নিবো।
ইমরান:এটা তোর জন্য তো কিনি নাই।
দিয়া:তাহলে কাকে দিবি?
ইমরান:দেখি কাকে দেয়া যায়।
দিয়া:এটা তো আমিই নিবো দেখে নিস।
ইমরান:আচ্ছা দেখা যাবে।
দিয়াকে বাসাই নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম।
এসেই ফ্রেস হয়েই ঘুম দিলাম এক ঘুমে বিকেল ৫ টায় উটলাম।
এর মাঝে আম্মু অনেকবার ডেকে গেছে কিন্তু উঠিনি।
উঠেই ফ্রেশ হয়ে দিয়ার ভাই রায়ানকে পড়াতে চলে গেলাম।
আসলে দিয়ার অনুরোধেই রায়ানকে বাদরটাকে পড়াতে আসা।
ক্লাস ১০ এ পড়ে রায়ান আমার মনে হয়না আইস্টাইনের বাপ আসলেও এই বাদরটাকে অংক শিখাতে পারবে।
কলিং বেল চাপতেই দিয়া এসে দরজা খুলে দিলো।
দিয়া:কিরে আসতে দেরী হলো যে?
ইমরান:ঘুম আসছিলাম তাই।
দিয়া:যাওয়ার সময় দেখা করে যাবি।
ইমরান:পরবো না।
দিয়া:কি, না দেখা করে গেলে পা ভেঙ্গে দিবো।
ইমরান:তাইলে বাসাই তোর কাধে করেই দিয়ে আসতে হবে।
দিয়া:হা হা হা ।
হেসেই চলে গেল দিয়া আর আমিও রায়ানকে পড়াতে চলে গেলাম।
পড়া শেষে দিয়া এসে বলে গেলো কাল পহেলা বৈশাখ সারাদিন ঘুরবে আর কোন না বলা যাবে না।
কি আর করার সকালে উঠেই চলে আসলাম কলেজে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কিন্ত দিয়ার আসার কোন খবর নেই এর মাঝে অনেক বারই ফোন দিছি।
কিছুক্ষনের মাঝেই নীল শাড়ী পরে কেউ একজন এগিয়ে আসছে ।
অবাক হয়ে তাকেই দেখতে ব্যস্ত ঘোর কাটলো দিয়ার কথাতে ।
দিয়া:কি রে কি দেখছিস এভাবে।
ইমরান:তোকে শাড়ীতে আসাধারন সুন্দর লাগছে।
দিয়া:তাই বুঝি?
ইমরান:হুম।
দিয়া:আজ তোর থেকে একটা জিনিস চাইবো দিবি?
ইমরান:বল কি চাস।
দিয়া:তোর সেই নুপূরের অধিকারটা আমাই দিবি?
ইমরান:দিতে পারি যদি এই হাতে হাত রেখে সারা জীবন এক সাথে চলার প্রমিস করতে পারিস।
এভাবেই শুরু হয় পথ চলা দিয়ার হাত ধরে নতুনকে বরন করতে এসে নতুন দিগন্তে চলা।
আবেগ, খুনসুটি, ঝগড়া দিয়ে ভালই চলছিলো ভালবাসা।
সারা দিন আড্ডা থেকে শুরু করে শেয়ারিং, কেয়ারিং দিয়ে।
কিন্ত বৈশাখী হাওয়ায় যে কাল বৈশাখী ঝড়ও থাকে তা হয়তো জানা ছিলো না এই ভালবাসার।
ফাইনাল ইয়ারের শেষ দিকে হটাৎ করেই বদলে যেতে থাকে দিয়া।
কেন জানি অনেকটা এরিয়ে চলতে থাকে।
আগের মতো তেমন কথাও বলে না, দেখাও করে না।
এর মধ্যই রায়ানের থেকে শুনতে পারলাম দিয়ার নাকি বিয়ে ঠিক হইছে।
তার কাজিন ইন্জিনিয়ারের এর সাথে কথাটা শুনেই দিয়াকে দেখা করতে বললাম পার্কে।
ইমরান:এগুলোর মানে কি দিয়া? তুমি নাকি বিয়ে করছো??
দিয়া:আবেগ দিয়ে জীবন চলে না ইমরান আর হয়তো আবেগের বসেই ভূল করে ফেলেছিলাম।
কিন্তু তোমার মতো বেকার ছেলের জন্য তো আমার নিজের ভবিষৎ নষ্ট করতে পারবো না।
ইমরান:তাহলে কি সব কিছুই মিথ্যা ছিলো।
দিয়া:মানুষ আবেগে কতো ভূলই তো করে, ভবে নিয়ো তার মাঝে এটাও একটি।
সেদিন একবারে চলে এসেছিলাম দিয়ার কাছ থেকে আর কোনদিন সামনে যাইনি ভালবাসার দাবি নিয়ে।
এর মাঝেই কেটে গেছে ৪ বছর আজ আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির উচ্চ পদে আছি।
অনেকটা ভূলেই গেছি অতীত নামের সেই ঝড়কে।
আজ ক্লিনিকে আসছিলাম আমার এক বন্ধুকে দেখতে তখনি কে যেন হটাৎ করে এসে ধাক্কা খেলো।
পাশে তাকাতেই দেখি রায়ান, ওর কাছে জানতে পারলাম দিয়ার জামাই নাকি রোড এক্সিডেন্ট করছে।
খুব সিরিয়াস অবস্থা ও" নেগেটিভ রক্ত লাগবে কোথাও পাচ্ছে না।
রায়ানকে বললাম আমার রক্তের গ্রুপ ও" নেগেটিভ।
যেয়ে রক্ত দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখা হয়ে গেলো দিয়ার সাথে হয়তো ক্ষমা চাইতেই এসেছিলো ।
কিন্ত সেই সুযোগ না দিয়ে চলে আসলাম।
আজ হাটছি কোন এক আজানা গন্তবে কারন বুঝতে শিখে গেছি ভালোবাসাতো হয়না মনের বিপরীতে....
(অনেক দিন পর লিখছি ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)
বিদ্রুপ:::কেউ আপনাকে কষ্ট দিলে তার মানে এই নয় জবাবে তাকেও কষ্টই দিয়েই বুঝতে হবে,
উপকার করেও অপমানের জবাব দেয়া যায়।
অনেকটা রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে এই বুঝি কাচাই চাবিয়ে খাবে।
আমি ইমরান এবার অর্নাস ৩য় বর্ষে আর দিয়াও আমার ডিপাটমেন্টেই পড়ে।
আসলে আজ দিয়াকে নিয়ে বানিজ্য মেলায় যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ভূলেই গেছিলাম আড্ডা দিতে গিয়ে।
দিয়া:তোর কি কমন সেন্স বলে কিছু আছে?
ইমরান:কেন বল তো?
দিয়া:তোর আজ কোথাই যাওয়ার কথা ছিলো আমার সাথে?
ইমরান:সরি রে একদম ভূলেই গেছিলাম।
দিয়া:তা তো যাবিই যদি এটা অন্য কোন মেয়ে বলতো তাইলে ১ ঘন্টা আগেই রেডি হয়ে থাকতি।
ইমরান:আরে এতো রাগিস কেন যাচ্ছি তো চল।
দিয়া:আচ্ছা চল।
রিক্সা নিয়ে বানিজ্য মেলায় পৌছে গেলাম অনেক ভীড় জমছে মেলায়।
দিয়া যেয়েই কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে গেল আর এর মাঝেই একটা নুপূর পছন্দ হয়ে গেল আমার।
তাই কিনে ফেললাম দিয়া অনেক বারই নুপূরটা ছিনতাই করার চেস্টা করছে কিন্ত নিতে পারিনি।
দিয়া:দোস্ত তোর নুপূরটা আমাকে দিবিনা?
ইমরান:কেন অন্য একটা কিনেনে।
দিয়া:না আমি ওটাই নিবো।
ইমরান:এটা তোর জন্য তো কিনি নাই।
দিয়া:তাহলে কাকে দিবি?
ইমরান:দেখি কাকে দেয়া যায়।
দিয়া:এটা তো আমিই নিবো দেখে নিস।
ইমরান:আচ্ছা দেখা যাবে।
দিয়াকে বাসাই নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম।
এসেই ফ্রেস হয়েই ঘুম দিলাম এক ঘুমে বিকেল ৫ টায় উটলাম।
এর মাঝে আম্মু অনেকবার ডেকে গেছে কিন্তু উঠিনি।
উঠেই ফ্রেশ হয়ে দিয়ার ভাই রায়ানকে পড়াতে চলে গেলাম।
আসলে দিয়ার অনুরোধেই রায়ানকে বাদরটাকে পড়াতে আসা।
ক্লাস ১০ এ পড়ে রায়ান আমার মনে হয়না আইস্টাইনের বাপ আসলেও এই বাদরটাকে অংক শিখাতে পারবে।
কলিং বেল চাপতেই দিয়া এসে দরজা খুলে দিলো।
দিয়া:কিরে আসতে দেরী হলো যে?
ইমরান:ঘুম আসছিলাম তাই।
দিয়া:যাওয়ার সময় দেখা করে যাবি।
ইমরান:পরবো না।
দিয়া:কি, না দেখা করে গেলে পা ভেঙ্গে দিবো।
ইমরান:তাইলে বাসাই তোর কাধে করেই দিয়ে আসতে হবে।
দিয়া:হা হা হা ।
হেসেই চলে গেল দিয়া আর আমিও রায়ানকে পড়াতে চলে গেলাম।
পড়া শেষে দিয়া এসে বলে গেলো কাল পহেলা বৈশাখ সারাদিন ঘুরবে আর কোন না বলা যাবে না।
কি আর করার সকালে উঠেই চলে আসলাম কলেজে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কিন্ত দিয়ার আসার কোন খবর নেই এর মাঝে অনেক বারই ফোন দিছি।
কিছুক্ষনের মাঝেই নীল শাড়ী পরে কেউ একজন এগিয়ে আসছে ।
অবাক হয়ে তাকেই দেখতে ব্যস্ত ঘোর কাটলো দিয়ার কথাতে ।
দিয়া:কি রে কি দেখছিস এভাবে।
ইমরান:তোকে শাড়ীতে আসাধারন সুন্দর লাগছে।
দিয়া:তাই বুঝি?
ইমরান:হুম।
দিয়া:আজ তোর থেকে একটা জিনিস চাইবো দিবি?
ইমরান:বল কি চাস।
দিয়া:তোর সেই নুপূরের অধিকারটা আমাই দিবি?
ইমরান:দিতে পারি যদি এই হাতে হাত রেখে সারা জীবন এক সাথে চলার প্রমিস করতে পারিস।
এভাবেই শুরু হয় পথ চলা দিয়ার হাত ধরে নতুনকে বরন করতে এসে নতুন দিগন্তে চলা।
আবেগ, খুনসুটি, ঝগড়া দিয়ে ভালই চলছিলো ভালবাসা।
সারা দিন আড্ডা থেকে শুরু করে শেয়ারিং, কেয়ারিং দিয়ে।
কিন্ত বৈশাখী হাওয়ায় যে কাল বৈশাখী ঝড়ও থাকে তা হয়তো জানা ছিলো না এই ভালবাসার।
ফাইনাল ইয়ারের শেষ দিকে হটাৎ করেই বদলে যেতে থাকে দিয়া।
কেন জানি অনেকটা এরিয়ে চলতে থাকে।
আগের মতো তেমন কথাও বলে না, দেখাও করে না।
এর মধ্যই রায়ানের থেকে শুনতে পারলাম দিয়ার নাকি বিয়ে ঠিক হইছে।
তার কাজিন ইন্জিনিয়ারের এর সাথে কথাটা শুনেই দিয়াকে দেখা করতে বললাম পার্কে।
ইমরান:এগুলোর মানে কি দিয়া? তুমি নাকি বিয়ে করছো??
দিয়া:আবেগ দিয়ে জীবন চলে না ইমরান আর হয়তো আবেগের বসেই ভূল করে ফেলেছিলাম।
কিন্তু তোমার মতো বেকার ছেলের জন্য তো আমার নিজের ভবিষৎ নষ্ট করতে পারবো না।
ইমরান:তাহলে কি সব কিছুই মিথ্যা ছিলো।
দিয়া:মানুষ আবেগে কতো ভূলই তো করে, ভবে নিয়ো তার মাঝে এটাও একটি।
সেদিন একবারে চলে এসেছিলাম দিয়ার কাছ থেকে আর কোনদিন সামনে যাইনি ভালবাসার দাবি নিয়ে।
এর মাঝেই কেটে গেছে ৪ বছর আজ আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির উচ্চ পদে আছি।
অনেকটা ভূলেই গেছি অতীত নামের সেই ঝড়কে।
আজ ক্লিনিকে আসছিলাম আমার এক বন্ধুকে দেখতে তখনি কে যেন হটাৎ করে এসে ধাক্কা খেলো।
পাশে তাকাতেই দেখি রায়ান, ওর কাছে জানতে পারলাম দিয়ার জামাই নাকি রোড এক্সিডেন্ট করছে।
খুব সিরিয়াস অবস্থা ও" নেগেটিভ রক্ত লাগবে কোথাও পাচ্ছে না।
রায়ানকে বললাম আমার রক্তের গ্রুপ ও" নেগেটিভ।
যেয়ে রক্ত দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখা হয়ে গেলো দিয়ার সাথে হয়তো ক্ষমা চাইতেই এসেছিলো ।
কিন্ত সেই সুযোগ না দিয়ে চলে আসলাম।
আজ হাটছি কোন এক আজানা গন্তবে কারন বুঝতে শিখে গেছি ভালোবাসাতো হয়না মনের বিপরীতে....
(অনেক দিন পর লিখছি ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)
বিদ্রুপ:::কেউ আপনাকে কষ্ট দিলে তার মানে এই নয় জবাবে তাকেও কষ্টই দিয়েই বুঝতে হবে,
উপকার করেও অপমানের জবাব দেয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন