-- চৌধুরী সাহেব আপনার মেয়েকে যদি অন্য কোথাও বিয়ে দেন আর ওর যদি ১০টা সন্তানও হয়। তারপরেও যখন সুযোগ পাবো তখনই তাকে নিয়ে পালিয়ে যাবো। (আমি)
-- হারামজাদা তার সুযোগ আর কখনোই আসবে না। তার আগেই নে গুলি খা। ( মেয়ের বাবা)
-- না বাবা রাজ কে মারার আগে আমাকে গুলি করতে হবে। ( নায়কি)
-- তাহলে তোরা দুইজনেরই মরতে হবে।
যখনই গুলি করলো তখনই অন্য একটা মেয়ে এসে আমায় আর আমার নায়কি কে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলো। আর আমি পরে গেলাম।
আহা কি ব্যাথা যে পেলাম। তার মানে আমি এতখন স্বপ্ন দেখছিলাম। আর পরে গেলাম তাও খাট থেকে মেঝেতে। মনে হয় আমার পিঠে মোটামোটি ভালই ব্যাথা লাগছে। আর আমি চিৎকার মারলাম। সাথে সাথে মা দৌড়ে আসলো......
-- কিরে রাজ তুই মেঝেতে শুয়ে আছিস কেন?
-- আরে আগে আমায় তুলো তারপরে তোমায় কাহিনী বলছি।
পরে মায়ের হাত ধরে উপরে উঠে বসলাম। তখন মা আমার পিঠে হাত ভুলাতে ভুলাতে আবার জানতে চাইলো।
-- কিরে কি হলো বল?
--আসলে হলো কি জানো তো? আমার নায়কি আর আমায় গুলি মারতে ছিল আমার শশুর নামের অসুরটা। আর তখনই অন্য একটা মেয়ে এসে আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আর আমি চেয়ে দেখি আমি মেঝেতে পরে আছি।
-- তো কোন মেয়ে ধাক্কা দিলো?
-- জানি না।
-- বাব্বা কি কাহিনী? এক গল্পে দুই নায়কি আবার বাবা ভিলেন। একটা বাংলা ছবি হয়ে যাবে তো।
-- আমিও ভাবছি এই তৃতীয় মেয়েটা কে? যে আমাকে অসুর মানে শশুরের হাত থেকে বাচালোঁ।
-- হইছে তোর ভাবনা বাদ দে আর অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হও। আমি যাই তোকে নাস্তা দেই।
-- ওকে।
মা চলে গেল নাস্তা বানাতে আর আমি অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হতে যাবো। আসলে কি এতো বড় হলাম কিন্তু এতো দিনে একটা রোমান্টিক স্বপ্ন চোখে আসলো না, শুধু মারামারি, যুদ্ধ আর কার্টুন ছাড়া। সবাই ডিজিটাল ভাবে মুভি দেখার জন্য থ্রিডি চশমা ব্যবহার করে কিন্তু আমার ঘুমই একটা থ্রিডি চশমা। মনে হয় আমি সব লাইভ দেখছি আর করছি।
যাই হোক, আগে ফ্রেশ হতে যাই। নয়ত অফিসে যেতে লেট হয়ে যাবে আর বসের রাগী চোখের মুখমুখী হতে হবে। আচ্ছা আমরা ব্যাচেলার বলে কি মানুষ না। আর সব থেকে বড় সমস্যা হলো আমার বসও ব্যাচেলার। আর ওনার মনে তো রস, কস,সিঙ্গারা,বুলবুলি কিছুই নাই। তবে ওনার বাবা অনেক ভাল ছিল। আমাদের সকল কলিগদের অনেক স্নেহ করতেন। কিন্তু যতদিন ধরে এই বিটকেল নামক ওনার ছেলে অফিসে বসছে সেই দিন থেকে আমাদের সব কলিগের জীবনটা তেজপাতা করে দিলো।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে মায়ের পাশে বসে নাস্তা করছি। হঠাৎ মা বলে উঠলো.....
-- রাজ বাবা আজ একটু অফিস থেকে তারাতারি চলে আসিস তো।
-- কেন মা?
-- আজ বিকালে তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো।
-- আবার?
-- হুমম, তুই বার বার নানা বাহানা দিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেস।
-- ওকে চেষ্টা করবো মা।
খাওয়া শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম।
অফিসে এসে বসে আছি আর ভাবছি। বসের কাছে কি বলে বিকেলের ছুটি নিবো। যদি আবার রেগে যায় তাহলে তো আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে। আমার বসের নাম হলো অনিক। তবে পাক্কা একটা কিপটা বনিক। যাই হোক, যাই বসের রুমে গিয়ে দেখি কি করা যায়। কোন রকমে সাহসে নিয়ে বসের রুমে নক করলাম।
-- আরে রাজ আসো।
-- জ্বী স্যার।
-- বলো কি বলবে?
-- স্যার আজ বিকালে আমার ছুটি লাগবে।
-- কেন?
-- আসলে আমি জানি না তবে মা বলল বিকেলে তারাতারি বাড়ি যেতে।
-- ওকে তাহলে দুপুরের সময় অফ টাইমে চলে যাইও।
-- ধন্যবাদ স্যার
-- ওকে
বেপার কি স্যার আজ রাগ দেখালো না বরং কেমন জানি একটা ব্যবহার করলো। স্যার কি কোন কারন নিয়ে বিরক্ত হয়ে আছে। এটা কি জানতে চাইব? না থাক বাবা আমার কোন বাশঁ খাওয়ার শখ নাই। এর থেকে ভাল কাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাই।
আমি দুপুর পর্যন্ত কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি সবাই রেডি হতে ব্যস্ত। মা বাবা দুইজনেই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
-- আরে রাজ তুই আসলি। এক কাজ করতো, যা রেডি হয়ে আয়। আজ আমরা দুপুরে মেয়ের বাড়িতে খাবো।
-- ওকে আসছি।
ভাল লাগে না এইসব বিয়ের কাহিনী। গত ৫ বার মেয়ে দেখতে গিয়ে যখন আমাকে আর মেয়েকে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হয়। তখনই মেয়েটার কাছে শুনছি ওর নাকি বয়ফ্রেন্ড। আর আমার বাধ্য হয়ে বলতে হতো মেয়ে আমার পছন্দ হয় নি। সত্যি বলতে কি, এই যুগে কি সিঙ্গেল ছেলে মেয়ে পাওয়া যায় না। শুধু মনে হয়, আমি এক মাত্র সিঙ্গেল।
আমি তারাতারি ফ্রেশ হয়ে মা বাবার সাথে রওনা দিলাম। আর প্রায় ৩০ মিনিট পরেই মেশের বাড়ি চলে আসলাম। খুব কাছে মনে হলো মেয়ের বাড়িটা। যদি এখানে আমার বিয়ে হয় তাহলে তো সমস্যা আছে। মেয়ে আমার সাথে ঝগড়া করলেই বাবার বাড়ি চলে আসবে। তাই আমার মতে, ছেলেদের অনেক দূরে কোথাও বিয়ে করা দরকার। যেন মেয়ে রাগ করলেও কোথাও না যেতে পারে।
আমরা ১০ মিনিট হলো বসে আছি। কিন্তু মেয়ে আসার নাম নেই। মনে হয়, ঘরে বসে আটা ময়দা দিচ্ছে। আর আমাদের শরবত দেওয়া হলো খাওয়ার জন্য। মা আর বাবা ওদের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত আর আমি শান্ত ছেলের মত বসে রইলাম। একটু পরেই মেয়েকে নিয়ে এসে বসানো হলো। ওরে বাবা মেয়ে তো চরম পরিমান সুন্দরি। পুরু ফিদা হয়ে যাওয়ার উপক্রম। যাই হোক, ওদের কথা শেষ করেই আমায় প্রশ্ন করলো.....
-- কিরে মেয়েকে তোর কি কিছু বলার আছে?
-- জ্বী না।( লজ্জা পেয়ে)
আমার কথা শুনে সবার বুঝার বাকি রইলো না যে আমার মেয়ে পছন্দ হইছে। আমিও চুপচাপ বসে রইলাম।
পরে সবাই একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেতে লাগলাম। এমনকি মেয়েকে আমার পাশে বসানো হলো। হঠাৎ খেয়াল করলাম কে যেন আমার পায়ে লাথি মারলো। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা দিছে। তাই ওর দিকে তাকাতেই ও মুখে ভেংচি কাটলো। আর আমার কাশি শুরু হয়ে গেল। এই মেয়ের কি কোন বুদ্ধি নাই। খাওয়া শেষে আবার একসাথে আমরা বসে আছি। হঠাৎ একজন বলল......
-- আচ্ছা ছেলে মেয়েকে আলাদা কথা বলতে দিলে কেমন হয়। এতে এদের মতামত জানা যাবে।
-- হুমমম ভালই।
আমাকে মেয়ের সাথে ওর রুমে পাঠানো হলো। রুমে এসেই দুইজনেই চুপ হয়ে আছি। কি বলব বুঝতে পারছি না। তবে আমি কথা শুরু করলাম....
-- তোমার নাম কি?
-- প্রমা।
-- হুমম আচ্ছা তোমার কি কোন রিলেশন আছে?
থাকলে আমায় বলতে পারো।
-- আছে?
-- কি??( একটা শব্দে সব শেষ করে দিলো)
-- হুমম এতো অবাক হওয়ার কিছু নাই। আপাতত আপনি ভাবছেন আমি কিছু বলছি না কেন? আসলে আপনাকে মারা প্লেন করছি।
-- কি?
-- হুমমম আমার বয়ফ্রেন্ড অনেক শক্তিশালী।
-- ও নাম কি ওনার? ( একটু ভাব নিয়ে বললাম)
-- অনিক...
-- এ্যা, কি করে ওনি?
-- একটা সিভিল কম্পানির বসের ছেলে।
-- শুধু বসের ছেলে না। এখন ওনি নিজেই বস।
-- আপনি চিনেন?
-- ভাবী গো। আমি যাই, ভুলেও ওনার সামনে আমার নাম নিয়েন না। আর আমি বাড়ি গিয়ে জানিয়ে দিবো আপনাকে আমার ভাল লাগে নি।
-- আরে কি হলো?
কোন মতে রুম থেকে বার হয়ে আসলাম। যদি এখানে রোমান্টিক ডায়লগ মারতাম তাহলে আমার অবস্থা জানি কি হতো। তবে এটা শিউর আমি পোস্টার হয়ে যেতাম। কারন এটা তো বসের হবু বউ। আমি এসে মা বাবার সাথে বসলাম। তবে আমার কাছে চাইলো মেয়ে আমার কেমন লাগলো। আমি শুধু ওদের বললাম বাড়ি গিয়ে বলবো।
তারপর আর লেট না করে মা বাবাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। কোন মতে বাড়ি আসতে না আসতে আমার কাছে আবার জানতে চাইলো মেয়ে আমার কেমন লাগছে।
-- মা গো এই মেয়ের কথা মুখেও এনো না। এটা তো আমার লাইফে বাশঁ দেওয়ার জন্য আসবে। তুমি পদের বাড়ি ফোন দিয়ে বলে দাও মেয়ে আমার পছন্দ হয় নি। আর মেয়ে কে আমার ভাবী রুপে ভাল লাগছে।
-- কিন্তু কেন?
-- বলো এমনি আমার পছন্দ হয় নি।
পরে আমি রুমে চলে আসলাম। আর ভাবলাম এই রস কস বিহীন অনিক স্যারের বয়ফ্রেন্ড আছে তবে আমারই নাই। আর কথায় আছে যে " যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয় "।আর আমার হলো এই অবস্থা। এখন যদি বস জানে আমি ওনার হবু বউকে দেখতে গেছি তাহলে তো আমার চাকরী খাইবো। এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ফোনটা বেজেঁ উঠলো আর তাও তাকিয়ে দেখি অনিক স্যারের ফোন। তার মানে প্রমা ফোন দিয়ে অনিক স্যারকে শিউর আমার কথা বলে দিছে। কোন মতে সাহস নিয়ে ফোনটা ধরলাম।
-- হ্যালো স্যার
-- হুমম রাজ। কি শুনছি এইসব তোমার নামে?
-- কি স্যার?
-- তুমি শাস্তি পাবে বুঝলে।
-- কেন স্যার?
-- তুমি নাকি প্রমা কে দেখতে গেছিলে?
-- আসলে আমি তো জানতাম না এটা আমাদের সবার ভাবী লাগে।
--তবু তোমায় শাস্তি পেতে হবে।
-- কি শাস্তি স্যার?
-- শাস্তি হলো তোমার প্রমোশন হয়ে গেল।
-- কি?
-- হুমম। তুমি বাড়ি এসে নাকি জানিয়ে দিলে তোমার মেয়ে পছন্দ হয় নি। তাই তোমার পুরস্কার হলো তোমার প্রমোশন।
-- ধন্যবাদ স্যার।
-- আসলে কি রাজ আমি চাইলে হয়ত প্রমা কে বিয়ে করতে পারি এখনই। কিন্তু আমি চাই আমার ছোট বোন শ্রাবনীর বিয়ে দিয়েই আমি বিয়ে করবো। কি বলো আমার ভাবনা কেমন?
-- খুব সুন্দর ভাবনা স্যার।
-- ওকে কাল এসে প্রমোশন লেটার নিয়ো। এখন রেস্ট নাও।
-- ওকে স্যার
যাক বাবা বেচেঁ গেলাম। ভাবলাম চাকরী যাবে কিন্তু উল্টা প্রমোশন পেয়ে গেলাম। একেই হয়ত বলে " ঝোপ বুঝে কোঁপ মারা "। তারপর মা আর বাবাকে সব খুলে বললাম আর ওরাও আমার উপর খুশি হলো। যদিও এতখন বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য রাগ করে ছিল। কারন,একজনের ভালবাসার মানুষকে জোর করে আপন করা ঠিক না।
পরে দিন সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে অফিসে রওনা দিলাম। অফিস পৌছে অনিক স্যারের সাথে দেখা করে প্রমোশন লেটার নিয়ে আমার নতুন কেবিনে চলে আসলাম। আমার ভাগ্যটা হয়ত সত্যি খুব ভাল। কারন, নিজের ভুলের বশে একটা প্রমোশন হয়ে গেল।
-- হারামজাদা তার সুযোগ আর কখনোই আসবে না। তার আগেই নে গুলি খা। ( মেয়ের বাবা)
-- না বাবা রাজ কে মারার আগে আমাকে গুলি করতে হবে। ( নায়কি)
-- তাহলে তোরা দুইজনেরই মরতে হবে।
যখনই গুলি করলো তখনই অন্য একটা মেয়ে এসে আমায় আর আমার নায়কি কে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলো। আর আমি পরে গেলাম।
আহা কি ব্যাথা যে পেলাম। তার মানে আমি এতখন স্বপ্ন দেখছিলাম। আর পরে গেলাম তাও খাট থেকে মেঝেতে। মনে হয় আমার পিঠে মোটামোটি ভালই ব্যাথা লাগছে। আর আমি চিৎকার মারলাম। সাথে সাথে মা দৌড়ে আসলো......
-- কিরে রাজ তুই মেঝেতে শুয়ে আছিস কেন?
-- আরে আগে আমায় তুলো তারপরে তোমায় কাহিনী বলছি।
পরে মায়ের হাত ধরে উপরে উঠে বসলাম। তখন মা আমার পিঠে হাত ভুলাতে ভুলাতে আবার জানতে চাইলো।
-- কিরে কি হলো বল?
--আসলে হলো কি জানো তো? আমার নায়কি আর আমায় গুলি মারতে ছিল আমার শশুর নামের অসুরটা। আর তখনই অন্য একটা মেয়ে এসে আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আর আমি চেয়ে দেখি আমি মেঝেতে পরে আছি।
-- তো কোন মেয়ে ধাক্কা দিলো?
-- জানি না।
-- বাব্বা কি কাহিনী? এক গল্পে দুই নায়কি আবার বাবা ভিলেন। একটা বাংলা ছবি হয়ে যাবে তো।
-- আমিও ভাবছি এই তৃতীয় মেয়েটা কে? যে আমাকে অসুর মানে শশুরের হাত থেকে বাচালোঁ।
-- হইছে তোর ভাবনা বাদ দে আর অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হও। আমি যাই তোকে নাস্তা দেই।
-- ওকে।
মা চলে গেল নাস্তা বানাতে আর আমি অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হতে যাবো। আসলে কি এতো বড় হলাম কিন্তু এতো দিনে একটা রোমান্টিক স্বপ্ন চোখে আসলো না, শুধু মারামারি, যুদ্ধ আর কার্টুন ছাড়া। সবাই ডিজিটাল ভাবে মুভি দেখার জন্য থ্রিডি চশমা ব্যবহার করে কিন্তু আমার ঘুমই একটা থ্রিডি চশমা। মনে হয় আমি সব লাইভ দেখছি আর করছি।
যাই হোক, আগে ফ্রেশ হতে যাই। নয়ত অফিসে যেতে লেট হয়ে যাবে আর বসের রাগী চোখের মুখমুখী হতে হবে। আচ্ছা আমরা ব্যাচেলার বলে কি মানুষ না। আর সব থেকে বড় সমস্যা হলো আমার বসও ব্যাচেলার। আর ওনার মনে তো রস, কস,সিঙ্গারা,বুলবুলি কিছুই নাই। তবে ওনার বাবা অনেক ভাল ছিল। আমাদের সকল কলিগদের অনেক স্নেহ করতেন। কিন্তু যতদিন ধরে এই বিটকেল নামক ওনার ছেলে অফিসে বসছে সেই দিন থেকে আমাদের সব কলিগের জীবনটা তেজপাতা করে দিলো।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে মায়ের পাশে বসে নাস্তা করছি। হঠাৎ মা বলে উঠলো.....
-- রাজ বাবা আজ একটু অফিস থেকে তারাতারি চলে আসিস তো।
-- কেন মা?
-- আজ বিকালে তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো।
-- আবার?
-- হুমম, তুই বার বার নানা বাহানা দিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেস।
-- ওকে চেষ্টা করবো মা।
খাওয়া শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম।
অফিসে এসে বসে আছি আর ভাবছি। বসের কাছে কি বলে বিকেলের ছুটি নিবো। যদি আবার রেগে যায় তাহলে তো আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে। আমার বসের নাম হলো অনিক। তবে পাক্কা একটা কিপটা বনিক। যাই হোক, যাই বসের রুমে গিয়ে দেখি কি করা যায়। কোন রকমে সাহসে নিয়ে বসের রুমে নক করলাম।
-- আরে রাজ আসো।
-- জ্বী স্যার।
-- বলো কি বলবে?
-- স্যার আজ বিকালে আমার ছুটি লাগবে।
-- কেন?
-- আসলে আমি জানি না তবে মা বলল বিকেলে তারাতারি বাড়ি যেতে।
-- ওকে তাহলে দুপুরের সময় অফ টাইমে চলে যাইও।
-- ধন্যবাদ স্যার
-- ওকে
বেপার কি স্যার আজ রাগ দেখালো না বরং কেমন জানি একটা ব্যবহার করলো। স্যার কি কোন কারন নিয়ে বিরক্ত হয়ে আছে। এটা কি জানতে চাইব? না থাক বাবা আমার কোন বাশঁ খাওয়ার শখ নাই। এর থেকে ভাল কাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাই।
আমি দুপুর পর্যন্ত কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি সবাই রেডি হতে ব্যস্ত। মা বাবা দুইজনেই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
-- আরে রাজ তুই আসলি। এক কাজ করতো, যা রেডি হয়ে আয়। আজ আমরা দুপুরে মেয়ের বাড়িতে খাবো।
-- ওকে আসছি।
ভাল লাগে না এইসব বিয়ের কাহিনী। গত ৫ বার মেয়ে দেখতে গিয়ে যখন আমাকে আর মেয়েকে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হয়। তখনই মেয়েটার কাছে শুনছি ওর নাকি বয়ফ্রেন্ড। আর আমার বাধ্য হয়ে বলতে হতো মেয়ে আমার পছন্দ হয় নি। সত্যি বলতে কি, এই যুগে কি সিঙ্গেল ছেলে মেয়ে পাওয়া যায় না। শুধু মনে হয়, আমি এক মাত্র সিঙ্গেল।
আমি তারাতারি ফ্রেশ হয়ে মা বাবার সাথে রওনা দিলাম। আর প্রায় ৩০ মিনিট পরেই মেশের বাড়ি চলে আসলাম। খুব কাছে মনে হলো মেয়ের বাড়িটা। যদি এখানে আমার বিয়ে হয় তাহলে তো সমস্যা আছে। মেয়ে আমার সাথে ঝগড়া করলেই বাবার বাড়ি চলে আসবে। তাই আমার মতে, ছেলেদের অনেক দূরে কোথাও বিয়ে করা দরকার। যেন মেয়ে রাগ করলেও কোথাও না যেতে পারে।
আমরা ১০ মিনিট হলো বসে আছি। কিন্তু মেয়ে আসার নাম নেই। মনে হয়, ঘরে বসে আটা ময়দা দিচ্ছে। আর আমাদের শরবত দেওয়া হলো খাওয়ার জন্য। মা আর বাবা ওদের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত আর আমি শান্ত ছেলের মত বসে রইলাম। একটু পরেই মেয়েকে নিয়ে এসে বসানো হলো। ওরে বাবা মেয়ে তো চরম পরিমান সুন্দরি। পুরু ফিদা হয়ে যাওয়ার উপক্রম। যাই হোক, ওদের কথা শেষ করেই আমায় প্রশ্ন করলো.....
-- কিরে মেয়েকে তোর কি কিছু বলার আছে?
-- জ্বী না।( লজ্জা পেয়ে)
আমার কথা শুনে সবার বুঝার বাকি রইলো না যে আমার মেয়ে পছন্দ হইছে। আমিও চুপচাপ বসে রইলাম।
পরে সবাই একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেতে লাগলাম। এমনকি মেয়েকে আমার পাশে বসানো হলো। হঠাৎ খেয়াল করলাম কে যেন আমার পায়ে লাথি মারলো। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা দিছে। তাই ওর দিকে তাকাতেই ও মুখে ভেংচি কাটলো। আর আমার কাশি শুরু হয়ে গেল। এই মেয়ের কি কোন বুদ্ধি নাই। খাওয়া শেষে আবার একসাথে আমরা বসে আছি। হঠাৎ একজন বলল......
-- আচ্ছা ছেলে মেয়েকে আলাদা কথা বলতে দিলে কেমন হয়। এতে এদের মতামত জানা যাবে।
-- হুমমম ভালই।
আমাকে মেয়ের সাথে ওর রুমে পাঠানো হলো। রুমে এসেই দুইজনেই চুপ হয়ে আছি। কি বলব বুঝতে পারছি না। তবে আমি কথা শুরু করলাম....
-- তোমার নাম কি?
-- প্রমা।
-- হুমম আচ্ছা তোমার কি কোন রিলেশন আছে?
থাকলে আমায় বলতে পারো।
-- আছে?
-- কি??( একটা শব্দে সব শেষ করে দিলো)
-- হুমম এতো অবাক হওয়ার কিছু নাই। আপাতত আপনি ভাবছেন আমি কিছু বলছি না কেন? আসলে আপনাকে মারা প্লেন করছি।
-- কি?
-- হুমমম আমার বয়ফ্রেন্ড অনেক শক্তিশালী।
-- ও নাম কি ওনার? ( একটু ভাব নিয়ে বললাম)
-- অনিক...
-- এ্যা, কি করে ওনি?
-- একটা সিভিল কম্পানির বসের ছেলে।
-- শুধু বসের ছেলে না। এখন ওনি নিজেই বস।
-- আপনি চিনেন?
-- ভাবী গো। আমি যাই, ভুলেও ওনার সামনে আমার নাম নিয়েন না। আর আমি বাড়ি গিয়ে জানিয়ে দিবো আপনাকে আমার ভাল লাগে নি।
-- আরে কি হলো?
কোন মতে রুম থেকে বার হয়ে আসলাম। যদি এখানে রোমান্টিক ডায়লগ মারতাম তাহলে আমার অবস্থা জানি কি হতো। তবে এটা শিউর আমি পোস্টার হয়ে যেতাম। কারন এটা তো বসের হবু বউ। আমি এসে মা বাবার সাথে বসলাম। তবে আমার কাছে চাইলো মেয়ে আমার কেমন লাগলো। আমি শুধু ওদের বললাম বাড়ি গিয়ে বলবো।
তারপর আর লেট না করে মা বাবাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। কোন মতে বাড়ি আসতে না আসতে আমার কাছে আবার জানতে চাইলো মেয়ে আমার কেমন লাগছে।
-- মা গো এই মেয়ের কথা মুখেও এনো না। এটা তো আমার লাইফে বাশঁ দেওয়ার জন্য আসবে। তুমি পদের বাড়ি ফোন দিয়ে বলে দাও মেয়ে আমার পছন্দ হয় নি। আর মেয়ে কে আমার ভাবী রুপে ভাল লাগছে।
-- কিন্তু কেন?
-- বলো এমনি আমার পছন্দ হয় নি।
পরে আমি রুমে চলে আসলাম। আর ভাবলাম এই রস কস বিহীন অনিক স্যারের বয়ফ্রেন্ড আছে তবে আমারই নাই। আর কথায় আছে যে " যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয় "।আর আমার হলো এই অবস্থা। এখন যদি বস জানে আমি ওনার হবু বউকে দেখতে গেছি তাহলে তো আমার চাকরী খাইবো। এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ফোনটা বেজেঁ উঠলো আর তাও তাকিয়ে দেখি অনিক স্যারের ফোন। তার মানে প্রমা ফোন দিয়ে অনিক স্যারকে শিউর আমার কথা বলে দিছে। কোন মতে সাহস নিয়ে ফোনটা ধরলাম।
-- হ্যালো স্যার
-- হুমম রাজ। কি শুনছি এইসব তোমার নামে?
-- কি স্যার?
-- তুমি শাস্তি পাবে বুঝলে।
-- কেন স্যার?
-- তুমি নাকি প্রমা কে দেখতে গেছিলে?
-- আসলে আমি তো জানতাম না এটা আমাদের সবার ভাবী লাগে।
--তবু তোমায় শাস্তি পেতে হবে।
-- কি শাস্তি স্যার?
-- শাস্তি হলো তোমার প্রমোশন হয়ে গেল।
-- কি?
-- হুমম। তুমি বাড়ি এসে নাকি জানিয়ে দিলে তোমার মেয়ে পছন্দ হয় নি। তাই তোমার পুরস্কার হলো তোমার প্রমোশন।
-- ধন্যবাদ স্যার।
-- আসলে কি রাজ আমি চাইলে হয়ত প্রমা কে বিয়ে করতে পারি এখনই। কিন্তু আমি চাই আমার ছোট বোন শ্রাবনীর বিয়ে দিয়েই আমি বিয়ে করবো। কি বলো আমার ভাবনা কেমন?
-- খুব সুন্দর ভাবনা স্যার।
-- ওকে কাল এসে প্রমোশন লেটার নিয়ো। এখন রেস্ট নাও।
-- ওকে স্যার
যাক বাবা বেচেঁ গেলাম। ভাবলাম চাকরী যাবে কিন্তু উল্টা প্রমোশন পেয়ে গেলাম। একেই হয়ত বলে " ঝোপ বুঝে কোঁপ মারা "। তারপর মা আর বাবাকে সব খুলে বললাম আর ওরাও আমার উপর খুশি হলো। যদিও এতখন বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য রাগ করে ছিল। কারন,একজনের ভালবাসার মানুষকে জোর করে আপন করা ঠিক না।
পরে দিন সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে অফিসে রওনা দিলাম। অফিস পৌছে অনিক স্যারের সাথে দেখা করে প্রমোশন লেটার নিয়ে আমার নতুন কেবিনে চলে আসলাম। আমার ভাগ্যটা হয়ত সত্যি খুব ভাল। কারন, নিজের ভুলের বশে একটা প্রমোশন হয়ে গেল।
এভাবে দিন গুলো ভালই কাটতে লাগলো আর মাঝে মাঝে আমার জন্য মেয়ে দেখাও চলছে। কিন্তু কারো বি এফ আছে আবার কাউকে পছন্দ হয় না। এই জন্য ব্যাচেলার হয়েই রইলাম। তবে ভার্সিটি লাইফে একটা মেয়ে বন্ধু আমায় অভিশাপ দিছিল আমি নাকি সালমান খানের মতো ব্যাচেলার থাকবো। আর ওর কথা যে এই ভাবে ফলে যাবে তা ভাবি নি।
একদিন কেবিনে বসে কাজ করছি। হঠাৎ অনিক স্যার তার রুমে আমাদের ডাকলেন। তাই আমরা সবাই ওনার রুমে গেলাম।
-- আপনাদের যে কারনে ডেকে আনলাম। তা হলো আগামী কাল আমার এক মাত্র আদরের ছোট বোন শ্রাবনীর জন্মদিন। তাই আমাদের বাড়িতে একটা পার্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর আমি আকুল অনুরোধ করছি আপনারা সবাই আসেন আর আমার বোনকে আশির্বাদ করেন।
-- ওকে স্যার।
তারপর সবাই স্যারের রুম থেকে চলে আসলাম আর আবার কাজে মন দিলাম। যাক কাল অনেক দিন পরে একটা পার্টিতে যেতে পারবো। আর স্যারের মুখে শুধু শ্রাবনী মেডামের নামই শুনলাম কিন্তু ওনাকে কখনো দেখি নি। এই সু্যোগে মেডামের সাথেও দেখা হয়ে যাবে। এইসব ভাবতে ভাবতে কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসি। আর ক্লান্ত থাকার কারনে ঘুমিয়ে পরি।
পরের দিন সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। আবার প্রতিদিনের মত ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে যাই। আর কাজে মনোযোগ দেই। কিন্তু দুপুর হলে আমাদের সবাইকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তাই মনে খুশি নিয়ে চলে আসি। আর বাড়ি আসার পথে শপিং মলের থেকে একটা গিফট কিনে নিয়ে আসি।
তারপট সন্ধ্যায় ৭টার দিকে অন্য কলিগদের সাথে যোগাযোগ করে স্যারের বাড়ি যাই। আর সবাই সবার মত দাড়িয়ে থাকি। হয়ত আর একটু পরেই কেক কাটা হবে।
হঠাৎ কে যেন পিছন থেকে আমার হাত ধরে টান দিলো। আর আমি ফিরতে দেখি রাণী আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। রাণী আমার ভার্সিটু লাইফের ক্লাস মেট ছিল। আর ও অভিশাপ দিয়ে ছিল আমি নাকি সালমান খানের মত ব্যাচেলার থাকবো। আমি ওরে কিছু বলতে যাবো তখনই ঠাস করে চড় লাগিয়ে দিলো আমার গালে। আর আমার হাত ধরে কেদেঁ দিলো। আর সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমার সাথে এইসব কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আর রাণী এইসব কি ব্যবহার করছে এত মানুষের মাঝে আর ও এখানে কেন আসছি? ও কি শ্রাবনী মেডামের বান্ধবী নাকি। আর ও এখন যা করলো তারপরও এখানে থাকা সম্ভব না।
তারপর অনিক স্যার চলে আসলো আর রাণীর হাত ধরে নিয়ে গেল। আর আমিও বোকা হয়ে গেলাম। পরে অনিক স্যার যা বলল তাতে তো আরো অবাক হয়ে গেলাম......
-- এখানে হঠাৎ করে আমার বোন শ্রাবনীর কারনে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখিত। আপনারা প্লিজ কিছু মনে করবেন না। আসুন কেক কাটি আর প্লিজ ওকে সবাই আশির্বাদ করেন।
-- আপনাদের যে কারনে ডেকে আনলাম। তা হলো আগামী কাল আমার এক মাত্র আদরের ছোট বোন শ্রাবনীর জন্মদিন। তাই আমাদের বাড়িতে একটা পার্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর আমি আকুল অনুরোধ করছি আপনারা সবাই আসেন আর আমার বোনকে আশির্বাদ করেন।
-- ওকে স্যার।
তারপর সবাই স্যারের রুম থেকে চলে আসলাম আর আবার কাজে মন দিলাম। যাক কাল অনেক দিন পরে একটা পার্টিতে যেতে পারবো। আর স্যারের মুখে শুধু শ্রাবনী মেডামের নামই শুনলাম কিন্তু ওনাকে কখনো দেখি নি। এই সু্যোগে মেডামের সাথেও দেখা হয়ে যাবে। এইসব ভাবতে ভাবতে কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসি। আর ক্লান্ত থাকার কারনে ঘুমিয়ে পরি।
পরের দিন সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। আবার প্রতিদিনের মত ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে যাই। আর কাজে মনোযোগ দেই। কিন্তু দুপুর হলে আমাদের সবাইকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তাই মনে খুশি নিয়ে চলে আসি। আর বাড়ি আসার পথে শপিং মলের থেকে একটা গিফট কিনে নিয়ে আসি।
তারপট সন্ধ্যায় ৭টার দিকে অন্য কলিগদের সাথে যোগাযোগ করে স্যারের বাড়ি যাই। আর সবাই সবার মত দাড়িয়ে থাকি। হয়ত আর একটু পরেই কেক কাটা হবে।
হঠাৎ কে যেন পিছন থেকে আমার হাত ধরে টান দিলো। আর আমি ফিরতে দেখি রাণী আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। রাণী আমার ভার্সিটু লাইফের ক্লাস মেট ছিল। আর ও অভিশাপ দিয়ে ছিল আমি নাকি সালমান খানের মত ব্যাচেলার থাকবো। আমি ওরে কিছু বলতে যাবো তখনই ঠাস করে চড় লাগিয়ে দিলো আমার গালে। আর আমার হাত ধরে কেদেঁ দিলো। আর সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমার সাথে এইসব কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আর রাণী এইসব কি ব্যবহার করছে এত মানুষের মাঝে আর ও এখানে কেন আসছি? ও কি শ্রাবনী মেডামের বান্ধবী নাকি। আর ও এখন যা করলো তারপরও এখানে থাকা সম্ভব না।
তারপর অনিক স্যার চলে আসলো আর রাণীর হাত ধরে নিয়ে গেল। আর আমিও বোকা হয়ে গেলাম। পরে অনিক স্যার যা বলল তাতে তো আরো অবাক হয়ে গেলাম......
-- এখানে হঠাৎ করে আমার বোন শ্রাবনীর কারনে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখিত। আপনারা প্লিজ কিছু মনে করবেন না। আসুন কেক কাটি আর প্লিজ ওকে সবাই আশির্বাদ করেন।
তার মানে এই শ্রাবনীই আমার বান্ধবী রাণী। আগে যদি জানতাম তাহলে আমি পার্টিতে আসতাম না। আমিও চলে যাইতে চাই কিন্তু অনিক স্যার আমায় আটকিয়ে দেয়।
সবাই জন্মদিন পার্টি শেষে খাওয়া দাওয়া করে চলে যায়। কিন্তু আমায় যেতে দেওয়া হয় নি। কিন্তু এটা যে বুঝে গেলাম আমার চাকরী হয়ত চলে গেল। আমি সবার সামনে বসে রইলাম। আর আমার সামনে অনিক স্যার, ওনার বাবা আর শ্রাবনী মানে রাণী বসে আছে। ওর মা অনেক আগেই মারা গেছে নয়ত এখানে ঠিক থাকতো।
আমি যখন ভার্সিটিতে ছিলাম তখন রাণী আমার খুব ক্লোজ বন্ধু ছিল। এক সাথে আমরা চার বছর কাটিয়েছি। আর ক্লাসের প্রতিটা ছেলে মেয়ে ওরে রাণী বলেই ডাকতাম। কখনো শ্রাবনী নাম শুনিই নি। যখন ওরে পরীক্ষার ফরম পূরনের কথা বলতাম তখন ও বলতো ওর নাকি ফরম পূরন হয়ে গেছে। এটা জানতাম ওর পরিবার খুব বড় লোক তাই তেমন কিছগ জানতে চাইতাম না। চারটা বছর একসাথে এতো মজা করতাম যে ভুলে যাওয়ার মত না। আর মজার মজার খেলাও খেলতাম। আমরা সবাই তুই করে ডেকে কথা বলতাম । ও একদিন আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে কি না জানতে চায়। আমিও বলি নাই। ও দুষ্টামী করে বলে আমার জীবনটা নাকি সালমান খানের মত ব্যাচেলার হবে। তবে ও যে আমায় ভালবাসত এটাও আমি বুঝতাম। তবে যে দিন থেকে এটা বুঝতে পারি যে ও আমায় ভালবাসে। সেই সময় থেকে আমি ওর থেকে দূরে দূরে থাকি । এভাবে আমাদের বিদায়ের পালা চলে এলো। শেষ দিন ও আমার সামনে আসলো......
-- রাজ শুন আর হয়ত আমাদের দেখা হবে না।
-- কেন হবে না?
-- এমনি। আমরা কি আমাদের বন্ধুত্বটাকে ভালবাসার রুপ দিতে পারি না ?
-- মানে?
-- আমি তোরে খুব ভালবাসি রাজ।
-- রাণী এটা কখনো সম্ভব নয়। আমার আর তোর মাঝে অনেক তফাৎ।
-- কিসের তফাৎ?
-- তুই অনেক বড় লোক কিন্তু আমি মধ্যবৃত্ত। আর আমার বাবার শরীরটাও ভাল নেই। এখন যদি শুনে আমি রিলেশনে জড়িয়েছি তাহলে হয়ত খারাপ কিছু হবে। আমাকে কিছু করার আগে বাবা মায়ের কথা ভাবতে হয়। কারন এখন আমি ছাড়া ওদের কেউ নেই। আর আমার জন্য মেয়ে পছন্দ করার অধিকার একমাত্র আমার মায়ের আছে।
-- কিন্তু আমি যে তোরে খুব ভালবাসি। তোর জন্য আমি অপেক্ষায় থাকবো। প্লিজ আমায় মেনে নে।
-- আমার পক্ষে সম্ভব না।
বলেই চলে আসলাম এবং ওর সাথে যোগাযোগ আমি বন্ধ করে দেই। নয়ত শুধু মায়া বেড়ে যেতো।এর পরে আর কখনো ওর সাথে আমার দেখা হয় নি। কিন্তু ভাগ্যের কি করুন পরিহাস, শেষ পর্যন্ত এই ভাবে আমাকে ওদের সামনে আসতে হলো। তখন পরিবারের কথা ভেবে পিছু হেটেছি আর এবারও দরকার হলে তাই করবো। তাই সবার এই নিরবতা ভেঙ্গে আমি বললাম।
-- স্যার আমি আসলে জানতাম না রাণী নামে যাকে চিনি সে আসলে শ্রাবনী। জানলে হয়ত এখানে আসতাম না। এখন যদি আপনি চান তাহলে আমার চাকরী নিয়ে যেতে পারেন।
-- রাজ জানো ও যখন ভার্সিটি থেকে বাড়ি চলে আসে তখন থেকে ও মন মরা হয়ে যায়। প্রায় দুই বছর পরে আজ অনেক কষ্টে ওরে একটু হাসাতে এই পার্টির ব্যবস্থা করি। কিন্তু সেই ভাগ্য ফেরে ও তোমার দেখা পায়। ও এমনি কি সুইসাইড করার চেষ্টাও করে। আমি অনেকবার তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করি কিন্তু কোন ভাবেই পারি না। কিন্তু আমি ভাবতে পারি নি সেই রাজ তুমি। ওরে আমরা অনেক আদরে মানুষ করছি। কখনো কষ্ট পেতেও দেই নি। ওর মন খারাপ বলে এই ভাইটারও মন খারাপ হয়ে থাকতো। তাই তোমরা আমায় নানা রকম কথা বলতে আমার আড়ালে। আমি তোমায় জোর করবো না তবে আমি চাই তুমি আমারর বোনকে মেনে নাও। তুমি যা চাইবে তাই হবে।
-- সরি স্যার আমি জন্ম নিয়েছে যে মায়ের গর্ভে থেকে, তার মত ছাড়া আমি কিছু করতে পারবো না। আর আমার জীবন সঙ্গী খুজার দায়িত্ব শুধু আমার মা বাবার। ওনারা যদি ওকে মেনে নেয়য় তাহলে আমি রাজি।
-- ওকে তুমি যা চাও তাই হবে। কাল আমি নিজেই তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।
-- ওকে স্যার।
তারপরে বাড়িতে চলে আসি। বাড়ি এসে দেখি মা টেবিলে বসে আছে। মনে হয় আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি কাছে গিয়ে ওনার হাতে কিছু খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম। কিন্তু কিছু বলার সাহস পাই নি। আমি যে খুব ভালবাসি আমার পরিবারকে।
সকালে আমি ঘুমিয়ে আছি।হঠাৎ খেয়াল করলাম কে যেন আমায় মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। তাই ভাবলাম মা হয়ত হাত ভুলাচ্ছে। চোখ খুলতেই অবাক হয়ে গেলাম। কারন, এতো শ্রাবনী , তার মানে এতখনে সব জানা জানি হয়ে গেছে।
-- তুই এখানে?
-- এখন থেকে তুই না বরং তুমি করে ডাকতে শিখো।
-- ওকে তুমি এখানে?
-- বাবা আর ভাই বাইরের রুমে বসে আছে। তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলছে। সবাই বলল তোমায় ডাক দিতে কিন্তু এসে দেখলাম তুমি ঘুমিয়ে আছো তাই ডাকি নি। এবার চলো।
-- ওকে
বাইরের রুমে এসে দেখি মা বাবা আর ওরা হেসে হেসে কথা বলছে। তার মানে আর বুঝতে বাকি রইলে না যে ওরা সব মেনে নিয়েছে।হঠাৎ মা বলল......
-- সত্যি রাজ তুই আমাদের খুব ভালবাসিস। আমাদের খুশির কথা ভেবে নিজের কথাটা আমাদের বললিও না।
-- ( আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি)
-- আমি তার তোর বাবা ওদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। এবার তোর কিছু বলার থাকলে বলতে পারিস।
-- তোমরা যা বলবে তাই হবে।
সবাই জন্মদিন পার্টি শেষে খাওয়া দাওয়া করে চলে যায়। কিন্তু আমায় যেতে দেওয়া হয় নি। কিন্তু এটা যে বুঝে গেলাম আমার চাকরী হয়ত চলে গেল। আমি সবার সামনে বসে রইলাম। আর আমার সামনে অনিক স্যার, ওনার বাবা আর শ্রাবনী মানে রাণী বসে আছে। ওর মা অনেক আগেই মারা গেছে নয়ত এখানে ঠিক থাকতো।
আমি যখন ভার্সিটিতে ছিলাম তখন রাণী আমার খুব ক্লোজ বন্ধু ছিল। এক সাথে আমরা চার বছর কাটিয়েছি। আর ক্লাসের প্রতিটা ছেলে মেয়ে ওরে রাণী বলেই ডাকতাম। কখনো শ্রাবনী নাম শুনিই নি। যখন ওরে পরীক্ষার ফরম পূরনের কথা বলতাম তখন ও বলতো ওর নাকি ফরম পূরন হয়ে গেছে। এটা জানতাম ওর পরিবার খুব বড় লোক তাই তেমন কিছগ জানতে চাইতাম না। চারটা বছর একসাথে এতো মজা করতাম যে ভুলে যাওয়ার মত না। আর মজার মজার খেলাও খেলতাম। আমরা সবাই তুই করে ডেকে কথা বলতাম । ও একদিন আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে কি না জানতে চায়। আমিও বলি নাই। ও দুষ্টামী করে বলে আমার জীবনটা নাকি সালমান খানের মত ব্যাচেলার হবে। তবে ও যে আমায় ভালবাসত এটাও আমি বুঝতাম। তবে যে দিন থেকে এটা বুঝতে পারি যে ও আমায় ভালবাসে। সেই সময় থেকে আমি ওর থেকে দূরে দূরে থাকি । এভাবে আমাদের বিদায়ের পালা চলে এলো। শেষ দিন ও আমার সামনে আসলো......
-- রাজ শুন আর হয়ত আমাদের দেখা হবে না।
-- কেন হবে না?
-- এমনি। আমরা কি আমাদের বন্ধুত্বটাকে ভালবাসার রুপ দিতে পারি না ?
-- মানে?
-- আমি তোরে খুব ভালবাসি রাজ।
-- রাণী এটা কখনো সম্ভব নয়। আমার আর তোর মাঝে অনেক তফাৎ।
-- কিসের তফাৎ?
-- তুই অনেক বড় লোক কিন্তু আমি মধ্যবৃত্ত। আর আমার বাবার শরীরটাও ভাল নেই। এখন যদি শুনে আমি রিলেশনে জড়িয়েছি তাহলে হয়ত খারাপ কিছু হবে। আমাকে কিছু করার আগে বাবা মায়ের কথা ভাবতে হয়। কারন এখন আমি ছাড়া ওদের কেউ নেই। আর আমার জন্য মেয়ে পছন্দ করার অধিকার একমাত্র আমার মায়ের আছে।
-- কিন্তু আমি যে তোরে খুব ভালবাসি। তোর জন্য আমি অপেক্ষায় থাকবো। প্লিজ আমায় মেনে নে।
-- আমার পক্ষে সম্ভব না।
বলেই চলে আসলাম এবং ওর সাথে যোগাযোগ আমি বন্ধ করে দেই। নয়ত শুধু মায়া বেড়ে যেতো।এর পরে আর কখনো ওর সাথে আমার দেখা হয় নি। কিন্তু ভাগ্যের কি করুন পরিহাস, শেষ পর্যন্ত এই ভাবে আমাকে ওদের সামনে আসতে হলো। তখন পরিবারের কথা ভেবে পিছু হেটেছি আর এবারও দরকার হলে তাই করবো। তাই সবার এই নিরবতা ভেঙ্গে আমি বললাম।
-- স্যার আমি আসলে জানতাম না রাণী নামে যাকে চিনি সে আসলে শ্রাবনী। জানলে হয়ত এখানে আসতাম না। এখন যদি আপনি চান তাহলে আমার চাকরী নিয়ে যেতে পারেন।
-- রাজ জানো ও যখন ভার্সিটি থেকে বাড়ি চলে আসে তখন থেকে ও মন মরা হয়ে যায়। প্রায় দুই বছর পরে আজ অনেক কষ্টে ওরে একটু হাসাতে এই পার্টির ব্যবস্থা করি। কিন্তু সেই ভাগ্য ফেরে ও তোমার দেখা পায়। ও এমনি কি সুইসাইড করার চেষ্টাও করে। আমি অনেকবার তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করি কিন্তু কোন ভাবেই পারি না। কিন্তু আমি ভাবতে পারি নি সেই রাজ তুমি। ওরে আমরা অনেক আদরে মানুষ করছি। কখনো কষ্ট পেতেও দেই নি। ওর মন খারাপ বলে এই ভাইটারও মন খারাপ হয়ে থাকতো। তাই তোমরা আমায় নানা রকম কথা বলতে আমার আড়ালে। আমি তোমায় জোর করবো না তবে আমি চাই তুমি আমারর বোনকে মেনে নাও। তুমি যা চাইবে তাই হবে।
-- সরি স্যার আমি জন্ম নিয়েছে যে মায়ের গর্ভে থেকে, তার মত ছাড়া আমি কিছু করতে পারবো না। আর আমার জীবন সঙ্গী খুজার দায়িত্ব শুধু আমার মা বাবার। ওনারা যদি ওকে মেনে নেয়য় তাহলে আমি রাজি।
-- ওকে তুমি যা চাও তাই হবে। কাল আমি নিজেই তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।
-- ওকে স্যার।
তারপরে বাড়িতে চলে আসি। বাড়ি এসে দেখি মা টেবিলে বসে আছে। মনে হয় আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি কাছে গিয়ে ওনার হাতে কিছু খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম। কিন্তু কিছু বলার সাহস পাই নি। আমি যে খুব ভালবাসি আমার পরিবারকে।
সকালে আমি ঘুমিয়ে আছি।হঠাৎ খেয়াল করলাম কে যেন আমায় মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। তাই ভাবলাম মা হয়ত হাত ভুলাচ্ছে। চোখ খুলতেই অবাক হয়ে গেলাম। কারন, এতো শ্রাবনী , তার মানে এতখনে সব জানা জানি হয়ে গেছে।
-- তুই এখানে?
-- এখন থেকে তুই না বরং তুমি করে ডাকতে শিখো।
-- ওকে তুমি এখানে?
-- বাবা আর ভাই বাইরের রুমে বসে আছে। তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলছে। সবাই বলল তোমায় ডাক দিতে কিন্তু এসে দেখলাম তুমি ঘুমিয়ে আছো তাই ডাকি নি। এবার চলো।
-- ওকে
বাইরের রুমে এসে দেখি মা বাবা আর ওরা হেসে হেসে কথা বলছে। তার মানে আর বুঝতে বাকি রইলে না যে ওরা সব মেনে নিয়েছে।হঠাৎ মা বলল......
-- সত্যি রাজ তুই আমাদের খুব ভালবাসিস। আমাদের খুশির কথা ভেবে নিজের কথাটা আমাদের বললিও না।
-- ( আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি)
-- আমি তার তোর বাবা ওদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। এবার তোর কিছু বলার থাকলে বলতে পারিস।
-- তোমরা যা বলবে তাই হবে।
সবাই আমার কথা শুনে খুশি হলো। তখন মা আবার বলল...
-- যাও তোমরা রুমে যাও। আমরা তোমাদের বিয়ের দিনটা পাকা করে নেই।
আমি আর শ্রাবনী রুমে চলে আসলাম। আর দুইজনেই চুপ করে রইলাম। তারপর শ্রাবনীই বলল.....
-- যাক আমার দেওয়া অভিশাপটা কাজে লেগে ছিল?
-- না তো। সালমান খানের তো বিয়ে হয় নি। কিন্তু আমার তো এবার হবে।
-- আরে আমি এখন অভিশাপ তুলে নিছি বলেই তো?
-- তাই নাকি?
-- হুমম এখন প্রপোজ করো?
-- কি ভাবে?
কোন কথা না বলেই আমার গলা চেপেঁ ধরে বলল। ত
-- তোমার বলতে হবে না। আমিই বলছি। এতোদিন ধরে যত কষ্ট দিছো তার থেকে হাজার গুন বেশি যদি ভাল না বাসো তাহলে খুন করে ফেলব বললাম।
-- ওকে বাবা, বলছি তো ভালবাসি।
-- আমিও খুব ভালবাসি।
হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা আবার ফিরে পেলাম। আর নতুন পথে চলতে লাগল রাজরাণী।
-- যাও তোমরা রুমে যাও। আমরা তোমাদের বিয়ের দিনটা পাকা করে নেই।
আমি আর শ্রাবনী রুমে চলে আসলাম। আর দুইজনেই চুপ করে রইলাম। তারপর শ্রাবনীই বলল.....
-- যাক আমার দেওয়া অভিশাপটা কাজে লেগে ছিল?
-- না তো। সালমান খানের তো বিয়ে হয় নি। কিন্তু আমার তো এবার হবে।
-- আরে আমি এখন অভিশাপ তুলে নিছি বলেই তো?
-- তাই নাকি?
-- হুমম এখন প্রপোজ করো?
-- কি ভাবে?
কোন কথা না বলেই আমার গলা চেপেঁ ধরে বলল। ত
-- তোমার বলতে হবে না। আমিই বলছি। এতোদিন ধরে যত কষ্ট দিছো তার থেকে হাজার গুন বেশি যদি ভাল না বাসো তাহলে খুন করে ফেলব বললাম।
-- ওকে বাবা, বলছি তো ভালবাসি।
-- আমিও খুব ভালবাসি।
হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা আবার ফিরে পেলাম। আর নতুন পথে চলতে লাগল রাজরাণী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন