মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

অমাবস্যার রাত

অাজ অমাবস্যার রাত।অামার পূর্ণিমারাত যেমন ভাল লাগে অমাবস্যার রাত ও তেমন ভাল লাগে।
চাঁদের অালো যেমন ভাল লাগে।চারদিকে অন্ধকার ও তেমন ভাল লাগে।
কালকেই বাড়িতে অাসছি।91দিন পর বাড়িতে অাসলাম।অন্যরকম একটা ভাল লাগছে।বাড়িতে থাকব 11দিন।ভাবছি কোথাও যাবনা,এই 11দিন বাড়িতেই থাকব।চারদিক টা ঘুরে দেখব। অনেকদিন পর বাড়িতে অাসলাম বলে কথা।
.
কিন্তু অামার মনেহয় আর মজা করে ঘুরা হবেনা। কিছু একটার মুখোমুখি হতে হবে।কারণ সবাই বলাবলি করছে গ্রামে নাকি প্রতি অমাবস্যার রাতে একজন করে মানুষ উধাও হয়ে যায়!!পরদিন তাকে হয়তো গ্রামের শেষ প্রান্তে না হয় বট গাছের চুড়ায় পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়।কিন্তু দেহ থেকে চোখ-মাথা-পেট পূর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়না।সেটা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় থাকে।যা খুবই ভয়ানক!!!
অামি এসব অাগে শুনিনি।শুনলে অাগেই বাড়িতে অাসতাম।অার দেখতাম এসবের কারণ কি??
অার হ্যা মজার ব্যাপার হচ্ছে যেদিন কেউ উধাও হয় সেদিন রাতে নাকি একটা ঘোড়া গ্রামের চারদিকটায় একবার করে চক্কর দেয়।যদিও কেউ দেখেনি তবে ঘোড়ার পায়ের ঠকঠক শব্দ শুনেছে।
ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়না।এই অজপাড়া গায়ে শিক্ষিত মানুষ খুবই কম।সবাই কৃষি কাজ করেই জীবন ধারণ করে।কেউ অার এই বিষয় টা নিয়ে ভাবেনি।সবার ধারণা গ্রামে অশরীরী কিছু অাছে।যা অামাদের এমন ক্ষতি করছে।কবিরাজ কে বলছিল কয়েকজন। কবিরাজ কিছু একটা বুঝিয়ে ওদের শান্ত করেছে।
.
যাইহোক অাজ যেহেতু অমাবস্যা।তারমানে অাজও কেউ উধাও হবে।সেটা অামিও হতে পারি!!
সন্ধ্যার পর থেকেই বাহিরে একটা মানুষকেও খুজে পাওয়া গেলনা। সবার মনে কেমন ভয় ভয় অাজ না জানি কে উধাও হয়।
অাচ্ছা কে এমন মানুষ উধাও করে!!??
কেউ তো করে সে মানুষ'ই হোক অার ভূত'ই হোক।
অামার কয়েকটা বন্ধুকে বললাম অায় সবাই মিলে রহস্যটা উন্মোচন করি।কিন্তু কেউ রাজি হলনা।উল্টা অামাকে বকা দিয়ে বাড়ি যায়া ঘুমাতে বলল!!
.
অামি নিয়ত করছি যেহেতু অারেক অমাবস্যা অাসতে দেরী অাছে।তাই এই অমাবস্যাতেই এই রহস্য উদঘাটন করব।
সন্ধ্যার সময়ই অামার রুমে চলে গেলাম।দড়জা বন্ধ করে দিলাম।ও হ্যা অামাদের গ্রামে অাবার বিদ্যুৎ নেই।বাজার থেকে ফোন চার্জ করে অানতে হয়।দুপুরে ফোন চার্জ করে অানছি।একটা গ্রামে বিদ্যুৎ নেই।সন্ধ্যার পর বাহিরে একটা মানুষ ও নেই।বুঝেন তাহলে গ্রামটা কেমন পরিস্থিতি তে অাছে!!!
রাত 8টা বাজলে বুজলাম বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।অামিও অাস্তে করে পিছনের দড়জা দিয়ে বের হয়ে গেলাম।কেউ ভাবতেই পারবেনা যে অামি বাহিরে অাছি।
হাতে ঘড়ি অাছে টাইমটা দেখে নিলাম। ঘড়ির সাইড বাটনে চাপ দিলে লাইট জ্বলে।সময় রাত 8টা বেজে 03মিনিট।
ভাবছি বটগাছের অাড়ালে গিয়ে লুকিয়ে থাকব।
কিন্তু খুব ভয় করছিল।জানিনা অার বেচে ফিরব কিনা!!
.
এক পা করে সামনে যাচ্ছি অার চারদিকে খেয়াল করছি কোন ঘোড়ার পায়ের শব্দ হয় কিনা।অাচ্ছা যদি ঘোড়া এসেই পড়ে তাহলে কি কাল সবাই অামাকে বটগাছের চূড়ায় মুখ-মাথা-পেট ক্ষতবিক্ষত ভয়ংকর অবস্থায় পাবে!!! হয়তো পাবে হয়তো না।
মরলে মরব তবুও অাজ এর শেষ দেখেই ছাড়ব।
মনের মাঝে জোর করেই সাহস এনে অাবার হাটতে শুরু করলাম। খানিকটা পথ যাওয়ার পর'ই চারদিক থেকে শীতল বাতাস বইতে শুরু করল।যদি কখনো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন দেখবেন একটা বাতাস।যা খুবই ভাল লাগে।বাতাসের টানে মন পাগল হয়ে যেতে চাইবে।অামারও খুব ভাল লাগছিল। কিন্তু অাচমকা বাতাসের জন্য একটু ভয় ও করছিল। বাশের পাতা গুলো শো--
শো করে একপাশ থেকে অন্য পাশে সড়ে যাচ্ছে।অার 3-4মিনিট হাটলেই বটগাছের জায়গায় এসে পড়ব।এই বটগাছ টা খুবই বড়।অার ছোট থেকে দেখে অাসছি বটগাছ টা তখন যেমন ছিল এখনো তেমনি অাছে।কিছুক্ষণ পর এসেই পড়লাম সেই বটগাছে।
ঘড়ির লাইট অন করে দেখে নিলাম 8টা বেজে 33মিনিট।তারমানে 30মিনিট ধরে বাড়ি থেকে বের হইছি।
.
বটগাছটার পাশে বসে অাছি।
একটু পর হঠাৎ উপরে থেকে মনেহল ডানা ঝাপটে বড় একটা পাখি উড়ে গেল।অামি অপেক্ষা করছি সেই ঘোড়ার শব্দ শোনার।
অপেক্ষা করতে করতে 9টা 01বেজে গেল।কিছুটা ঘুম পাচ্ছে।অাজ ঘুম পেলে চলবেনা।দাড়িয়ে পড়লাম।
দাড়িয়ে অাস্তে অাস্তে লাফ দিতে শুরু করলাম।যাতে ঘুমটা চলে যায়।লাফ দেয়ায় একটা শব্দ হওয়ার কথা।সেই শব্দ টা হচ্ছে।কিন্তু লাফ দেয়া শেষ হয়ে গেল কিন্তু শব্দ'টা কমছে না।তখনই বুৃজলাম অামি যার জন্য অপেক্ষা করছি সেই ঘোড়া এসে পড়ছে।হ্যা ঠিক তাই হল।একটু পর খেয়াল করলাম ঘোড়ার পায়ের অাওয়াজটা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।মানে প্রায় অামার নিকট চলে অাসছে ।একটু পর খেয়াল করলাম ঘোড়াটা অামার সামনে এসে দাড়াই পড়ছে।ভয়ে অামার জান চলে যাওয়ার অবস্থা!!
চাদের অালো নেই কারণ অাজ অমাবস্যা কিন্তু কেন জানি ঘোড়াটা কে মনেহচ্ছে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।অার ঘোড়ার উপর কেউ বসে অাছে।মনেহচ্ছে তার গলা কাটা।
অামি যে এখনো অজ্ঞান হয়নি সেটাই অনেক।
ঘোড়ার উপর যে ছিল সে নেমে পড়ল।অার খুব ভয়ানক একটা হাসি দিল।যেন মনে হচ্ছে কেউ ওর মুখে লাইট ধরে অাছে।অার অামি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।তার মুখ রক্তে লাল হয়ে অাছে।কিন্তু এসব তো হওয়ার কথা নয়।অাজ যে অমাবস্যা।তাহলে ওকে এরকম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কি করে!!!??
.
.
.
শেষবার যখন দেখছিলাম মনে হচ্ছে তার মুখ থেকে রক্ত পড়ছে।খুব ভয়ানক চেহারা!!
অামি সিউর হয়ে গেছি এ কোন সাধারণ মানুষ না।হয়তো অন্য কেউ।খুব খারাপ লাগছে।কারণ মানুষ কালকে হয়তো অামাকেও পাবে মৃত অবস্থায়। অামি না হয় মরে গেলাম।কিন্তু প্রতি অমাবস্যায় যদি এমন একজন করে লোক মেরে ফেলে।একসময় তো অামাদের গ্রামটাই জনশুন্য হয়ে যাবে।
.
কিছুক্ষণ পর মনে হলে লোকটা অামার গলা চেপে ধরতে অাসছে।দম বন্ধ হয়ে অাসছিল।এটাই মনেহয় অামার শেষ রাত।অার হয়তো বেচে থাকা হবেনা।খেয়াল করলাম গলার কাছে ধরতে অাইসা লোকটা কেমন অন্যরকম অাচরণ করছে।পড়ে দেখলাম অামার গলায় যে মা একটা তাবিজ জুলিয়ে দিছিলেন।কত যে বারণ করছিলাম তাবিজ দিয়না।জোর করেই দিলেন।অার অামি অাজ তার ফল পেলাম।ভয়ানক চোখে তাবিজটার দিকে তাকাই রইছে।অার অামাকে হাত দিয়ে ইশারা করছে তাবিজটা খুলতে।অামি কি বোকা!! অামাকে মারতে অামাকেই বলছে গলার তাবিজ খুলতে।
মনে মনে কিছুটা সাহস অাসল।ভাবলাম হয়তো বেচে যাব।
.
কিন্তু সামনের লোকটা (অবশ্য সে লোক নাকি অন্য কেউ সেটা জানিনা) একটুও নড়তে পারছে না।শুধু হাত দিয়ে ইশারা করছে তাবিজটা খুলতে।কিন্তু অামি তো তাবিজ খুলবনা ।
মনে হচ্ছে অামার জায়গায় এখন লোকটারই মৃত্যুু হবে।
.
অামি সড়ে যেতে চাইছি।কিন্তু এখন লোকটা ভয়ানক চোখ থেকে করুণ চোখে অামার দিকে তাকাচ্ছিল।অামার খুব মায়া হচ্ছিল।মনে হচ্ছে অামি যদি এখন চলে যাই অনেক কিছু জানা হবেনা।অজানাই রয়ে যাবে।তাই দাড়ালাম এবার লোকটার মুখে হাসি ফুটল।খুব করে ইশারা করতেছিল তাবিজটা খুলার জন্য।অার ইশারায় বলল অামার ক্ষতি করবেনা।
অামি তাবিজটা খুলে ফেললাম।
.
লোকটা কৃতজ্ঞতা'র দৃষ্টি নিয়ে অামার দিকে তাকাল।
.
হঠাৎ কোথা থেকে জানি সাদা পাঞ্জাবি পড়া একটা লোক অাসল।অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল কেউ একজন সাদা পাঞ্জাবি পড়ে অামার দিকে তাকাই রইছে। অামি চারদিকে তাকাই দেখি পাঞ্জাবি পড়া লোকটা ছাড়া অার কেউ নেই।ঘোড়াটাও নেই।
লোকটা হাত দিয়ে ইশারা করছিল যাওয়ার জন্য।অামি কিছুটা সাহস নিয়ে সামনের দিকে হাটতে লাগলাম।সাথে লোকটাও অাসছিল।
.
: এত রাতে কি কর এখানে?? ( লোকটা)
: কিছুনা..কিন্তু অাপনাকে তো চিনলাম না??
: এত রাতে কি করছিলা এখানে?? (রেগে)
: কিছুনা...ইয়ে মানে অামাদের গ্রাম থেকে প্রতি অমাবস্যায় একজন করে উধাও হয়ে যায়।সেই রহস্য বের করতে অাসছিলাম।কিন্তু অাপনি কে??
: অামাকে চিনবানা।
: চিনালেই চিনব।
: অামি অনেক দূরে থাকি।
: এখানে কেন অাসছিলেন??
: এখানেই ছিলাম
: কিন্তু অাপনার পরিচয় টা জানা যাবে??
: তুমি যাকে দেখতে অাসছিলা অামি সেই'ই।
হঠাৎ অাগের রুপ ধারণ করল লোকটা।মাথা নাই।ঘোড়ার উপর বসে অাছে।অামি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।চারদিকে খুব অন্ধকার হলেও লোকটাকে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল!!
বেশিক্ষণ অাগের রুপে থাকেনি। অাবার সেই পাঞ্জাবি পড়া অবস্থায় রুপ নেয়।
.
: কি চিনতে পারছো এবার?? (লোকটা)
: হ্যা চিনতে পারছি কিন্তু অাপনাকে তো ভাল মানুষ মনে হচ্ছে।অাপনি এমন লোকদের ক্ষতি করেন কেন???
: লোকদের ক্ষতি করিনা।মাত্র 4অমাবস্যায় 4জনকে নিয়ে গেছি।অাজ থেকে 30বছর অাগে ।সেইদিনও ছিল অমাবস্যা। অামি বাজার থেকে ফিরছিলাম।তখন এত মানুষ ছিলনা।রাতের বেলা বাইরে তেমন কাউকে পাওয়া যাইতনা।অামার একটা ঘোড়া ছিল।গ্রামের সবচেয়ে ধনী লোকটার বড় ছেলে অামার ঘোড়াটা কিনতে চাইছিল।অামি বিক্রি করিনাই।অামাকে হুমকি দিছিল।অামি সেগুলো পাত্তা দেইনাই।সেদিন বাজার থেকে ফেরার সময় এই বটগাছে ওখানে যখন অাসি।তখন 4জন হঠাৎ করেই অামার উপর অাক্রমন করে। অার সে রাতে অামি এই পোষাকেই ছিলাম ।
ধনী লোকটার ছেলেরই এটা প্ল্যান ছিল।সে একটা দাড়াল অস্ত্র দিয়ে অামার গলা থেকে মাথাটা অালাদা করে ফেলে।পরে বটগাছের উপর মাথা ছাড়া দেহটা জুলিয়ে রাখে।অার পরদিন মানুষ ভাবে ভূতে হয়তো অামারে মাইরা ফেলছে।অার অামার ঘোড়াটা ওরা নিয়ে যায়।
: এতদিন তাহলে ওদের মারেন নি কেন???
.
: ওরা অামাকে মারার পর।খুব বড় একটা কবিরাজ ধরে।সেখান থেকে 4জন 4টা তাবিজ নিয়ে নেয়।
কবিরাজ যতদিন বেচে থাকবে।ততদিন অামি ওদের কোন ক্ষতি করতে পারবনা।কবিরাজ কয়েকমাস হল মারা গেছে।অার অামার ঘোড়াটাও সেই ঘটনার 2দিন পরেই মারা গেছিল।ওদের 4জনকে মারা শেষ। এখন অামার কারো প্রতি রাগ নেই।
: তাহলে অামাকে মারতে চাইছিলেন কেন?? গলায় ধরছিলেন কেন???
: অামার শেষ ইচ্ছে ছিল অারেকজনকে মেরে বটগাছের উপর জুলিয়ে যাব।অার তোমাকেই মারতাম।কিন্তু তোমার গলার তাবিজটাও জন্য অামিই শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। তুমি যখন তাবিজটা খুলে ফেললা।অামি অদৃশ্য হয়ে যাই অার এই বেশে তোমার সামনে অাসি তুমি যেন ভয় না পাও তাই...কারণ তাবিজটা যদি না খুলতা অামি হয়তো শেষ হয়ে যাইতাম।কারণ তাবিজটার উপর অামার চোখ পড়ছিল।
: অাপনি কি অারো থাকবেন এখানে??
: না থাকবনা।অাজই চলে যাব।
: চলে যাবেন তার প্রমাণ কি??
: কাল সকালে অাইসা দেখবা যেই ডালে লাশ জুলে থাকত।সেই ডালটা ভাঙা।তুমি চলে যাও।অামার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।তোমাকে নিতে অনেক লোকজন অাসছে।
এই বলে লোকটা উধাও হয়ে গেল।
.
.
একটু সামনে যায়া দেখি। সবাই অাসছে।
অাসলে অাম্মু অামার রুমে বারবার নক করছিল।পরে দড়জার ছিদ্র দিয়ে লাইট মেরে দেখে অামি ভিতরে নাই।পরে সবাইকে নিয়ে অামার বন্ধুর বাড়িতে যায়।ও বলে দেয় অামার রহস্য উদঘাটনের কথা।পরে সবাই বুঝে যায় অামি এখানেই অাসছি। হয়তো ভাবছিল অামি বেচে নাই।
.
সবাই জিজ্ঞাস করছিল ''কিরে কিছু দেখছিলি??কেন অাসছিলি?? কিছু হইছে??অনেক প্রশ্ন করছিল।অামি শুধু রহস্যময় মুচকি একটা হাসি দিয়েয়ে যাচ্ছিলাম।
সবাই হতাশ হল।কেউ একটা প্রশ্নের ও উত্তর পেলনা।
অামিও কিছু বলিনাই।তবে অামার কোন ক্ষতি না হওয়ার জন্য সবাই খুব খুশি।
.
.
.
পরদিন অাইসা দেখি বটগাছের একটা ডাল'টা ভাঙা।
অার গ্রামের সবাইকে ঘটনাটা বলে দেই।
সবার মুখে খুব সুন্দর একটা হাসি দেখতে পেলাম।মনেহয় সবাই ভয় থেকে বাচল।অার অামার দিকেও সবাই হাসি মুখে তাকিয়ে অাছে..

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন