-এই টুকি কই গেলিরে?
-হ্যাঁ,বুড়ি মা আছসি।
-আরে,তাড়াতাড়ি আয়
-হুম যাচ্ছি
-দেখবি কি করেছি আয় জলদি
-এইতো চলে এসেছি।
-দেখ মাদুরে দেখ,
-ওমাহ!!!তুমি রান্না করেছে?
-হুম
-কেন করতে হবে বাপু আমার বুড়িটাকে?
-পিটন খাবি বলছি!
-ওম,না তোমার। হাতের রান্না খাবো।
-আয়,আজ তোকে নিজ হাত দিয়ে খাওয়াবো
-তাই, সত্যি?
-হুমরে আমার টুকি সত্যি!
-হি হি হি
-দেখি এইবার মুখটা হা করে ধর দেখি
-এইতো হা..হা
-উঁ! এত্ত বড় হা কেউ করে?
-ওম, তোমার টুকি বলে কথা বড় হা তোহ করবেই!
-যাহ,দুষ্টু!
-হি হি হি
-জানিস,ছেলেটা অনেক মিস করছি আজ (কান্না জড়িত কন্ঠে)
-আমিও বুড়ি, মা বাবা ভাইকে অনেক মিস করছি
-হুমরে।
-ওহ বুড়ি এসব ছাড়ো জানো তোমার মাংস রান্নাটা একদম মায়ের মতো হয়েছে।
-সত্যি বলচ্ছিস?
-হ্যাঁ,গো সত্যি!
-হ্যাঁ,বুড়ি মা আছসি।
-আরে,তাড়াতাড়ি আয়
-হুম যাচ্ছি
-দেখবি কি করেছি আয় জলদি
-এইতো চলে এসেছি।
-দেখ মাদুরে দেখ,
-ওমাহ!!!তুমি রান্না করেছে?
-হুম
-কেন করতে হবে বাপু আমার বুড়িটাকে?
-পিটন খাবি বলছি!
-ওম,না তোমার। হাতের রান্না খাবো।
-আয়,আজ তোকে নিজ হাত দিয়ে খাওয়াবো
-তাই, সত্যি?
-হুমরে আমার টুকি সত্যি!
-হি হি হি
-দেখি এইবার মুখটা হা করে ধর দেখি
-এইতো হা..হা
-উঁ! এত্ত বড় হা কেউ করে?
-ওম, তোমার টুকি বলে কথা বড় হা তোহ করবেই!
-যাহ,দুষ্টু!
-হি হি হি
-জানিস,ছেলেটা অনেক মিস করছি আজ (কান্না জড়িত কন্ঠে)
-আমিও বুড়ি, মা বাবা ভাইকে অনেক মিস করছি
-হুমরে।
-ওহ বুড়ি এসব ছাড়ো জানো তোমার মাংস রান্নাটা একদম মায়ের মতো হয়েছে।
-সত্যি বলচ্ছিস?
-হ্যাঁ,গো সত্যি!
.
.
.
.
.
.
.
বুড়ি মাকে আজ অনেক খুশি লাগছে। বৃদ্ধার সাথে আমার রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যা আছে তা শুধু আত্নার দৃঢ় ভালোবাসা।
আদর করে বুড়ি মা বলে ডাকি, বুড়ি মার জীবনে তার কেউ নেই। এক ছেলে ছিলো সে ছেড়ে শহরে ভালো চাকরি করে সেখানেই
থাকে বউ বাচ্চাকে নিয়ে। বড়ই একা আমার বুড়ি মা টা, বুড়ি মার স্বামী অনেক কাল আগেই পরলোকে চলে গেছে। এই বিশাল আঙ্গিনা ওয়ালা বাড়িতে আমি আর বুড়ির বেশ ভালো দিন যায়। ওহ হ্যাঁ,আমার কথায় আসি,
আমি টুকি। ওহ! টুকি বললাম কেন সেটা পরে আসছি।
আমার নাম তমালিকা তন্নি। বাবা আদর করে তমি বলে ডাকতেন আর মা টুকি, টুকিটা এসেছে টুকটুকি থেকে।আমার একটা ছোট্ট ভাইও আছে সে আমাকে টুকটুকি আপু বলে ডাকে।
আমি এখন প্রাইমেরি স্কুলের মাস্টার কিছুদিন আগে চাকরিটা পেয়েছি। অনার্স কম্পলিট করেছি সবে। যা ইনকাম আসে তাতে বেশ ভালো দিন যায় আমাদের।
থাকে বউ বাচ্চাকে নিয়ে। বড়ই একা আমার বুড়ি মা টা, বুড়ি মার স্বামী অনেক কাল আগেই পরলোকে চলে গেছে। এই বিশাল আঙ্গিনা ওয়ালা বাড়িতে আমি আর বুড়ির বেশ ভালো দিন যায়। ওহ হ্যাঁ,আমার কথায় আসি,
আমি টুকি। ওহ! টুকি বললাম কেন সেটা পরে আসছি।
আমার নাম তমালিকা তন্নি। বাবা আদর করে তমি বলে ডাকতেন আর মা টুকি, টুকিটা এসেছে টুকটুকি থেকে।আমার একটা ছোট্ট ভাইও আছে সে আমাকে টুকটুকি আপু বলে ডাকে।
আমি এখন প্রাইমেরি স্কুলের মাস্টার কিছুদিন আগে চাকরিটা পেয়েছি। অনার্স কম্পলিট করেছি সবে। যা ইনকাম আসে তাতে বেশ ভালো দিন যায় আমাদের।
.
.
.
.
.
আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগের ঘটনা -
.
.
.
.
আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগের ঘটনা -
রাত ৯ টা বাজে,
-এই টুকি দেখ তোহ তোর বাবা কেন ফোন ধরছেনা?
-আচ্ছা মা দাঁড়াও দেখছি।
.
.
.
.
-আচ্ছা মা দাঁড়াও দেখছি।
.
.
.
.
১৫ মিনিট পর বিকট আওয়াজ!
বুঝতে পারলাম সেটা বন্দুকের ছিলো।
বুঝতে পারলাম সেটা বন্দুকের ছিলো।
মা দৌড়ে ভাইকে নিয়ে আমার ঘরে এসেছে।কিছু একটা আঁচ করবে ঠিক তখনি,
-এই তুলি (আমার মায়ের নাম)
-আমরা নিশ্চুপ!
-এই তুলি দরজা খুলে দে বলছি এখুনি।<br>
-আমরা বেশ ভীত এইবার,শংকিত বাবাকে নিয়েও।
-দরজা ভাঙ্গার শব্দ আসছে!
মা আমাদের লুকাতে বলে বের হয়ে গেল!<br>
আমরা ২ ভাই বোন কোন মতে আলমেরির মধ্যে আর আমি সাইটে কাপড়ে মুড়িয়ে লুকিয়েছিলাম। তেমন শব্দ আর আসছেনা। আমার খুব ভয় করতে শুরু করল! কি না কি হচ্ছে বাহিরে, বুঝতে পারলাম মাকে বাহিরে নিয়ে গেছে! কিন্তু কেন? এসব মা আমাকে আগে কেন বলেনি লোকটা কে ছিলো?আজে বাজে প্রশ্ন মাথা ঘুরতে থাকল।
চোখে ঘুমো লেগে আছে, প্রায় ঘন্টা হবে আমরা এই ভাবে আছি, চুপ করে আলমেরির সাইট থেকে বের হয়ে বাহির হয়ে ভাইকে দেখলাম সে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঘড়িতে দেখি রাত ১০:২৪ বাজে!ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলাম দরজা খুলে বাহিরে যাওয়াও সাহস পাচ্ছিনা। কি করব? কিছু বুঝতে উঠে পাচ্ছি দরজা কাছে গিয়ে কান পেতে শুনবো? না ভয় করছে খুব!<br>
মা বাবার কি হচ্ছে? তারা কোথায়? কি করছে?
এইসব চিন্তায় চিন্তায় মাথা ঘুরছে। এরি মধ্যে কখন যেন অজ্ঞান হয়ে পড়েছি বুঝেই উঠতে পারিনি!
.
.
.
সকাল ৭ টা,
দরজার ওপাশ থেকে,
-এই টুকি এই টুকি দরজা খুলে দে,
-কিছুটা চমকিয়ে উঠলাম!
-এই টুকি শুনতে পাচ্ছিস?
-ওহ,এতো তোহ মা ডাকছে মৃদু স্বরে!
-এই টুকি?
-হ্যাঁ,আসছি।
দরজা খুলেই দেখি বাবাকে মা ধরে আছে।বাবার হাত ভাঙ্গা! হাতে ব্যান্ডেজ করা আছে। বিচলিত হয়ে পড়ালাম।তাদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
-মা কিভাবে এসব হলো?
-এখন এসব না পরে কথা হবে।(মা)
-আচ্ছা, বাবা তোমার শরীর কেমন এখন?
-হুম,মামুনি ভালো (বাবা)
-আচ্ছা।
-কিরে টুকি রোহান কই(আমার ছোট ভাই)
-ও ঘুমোচ্ছে!
-যাহ ওকে তুলে নে।
-হুম আচ্ছা,
.
.
.
.
-সেইদিনের পর বাবাকে কখনো সন্ধ্যার পর বাহিরে আর যেতে দেখিনি। কারণ আজো জানা নেই। আমার ভাই রোহানের আজ জন্ম দিন পাশাপাশি আজ পি.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট, আমি আজ অন্নেক খুশি ভাইটা এ+ পেয়েছে!
.
.
.
.
-এই তুলি (আমার মায়ের নাম)
-আমরা নিশ্চুপ!
-এই তুলি দরজা খুলে দে বলছি এখুনি।<br>
-আমরা বেশ ভীত এইবার,শংকিত বাবাকে নিয়েও।
-দরজা ভাঙ্গার শব্দ আসছে!
মা আমাদের লুকাতে বলে বের হয়ে গেল!<br>
আমরা ২ ভাই বোন কোন মতে আলমেরির মধ্যে আর আমি সাইটে কাপড়ে মুড়িয়ে লুকিয়েছিলাম। তেমন শব্দ আর আসছেনা। আমার খুব ভয় করতে শুরু করল! কি না কি হচ্ছে বাহিরে, বুঝতে পারলাম মাকে বাহিরে নিয়ে গেছে! কিন্তু কেন? এসব মা আমাকে আগে কেন বলেনি লোকটা কে ছিলো?আজে বাজে প্রশ্ন মাথা ঘুরতে থাকল।
চোখে ঘুমো লেগে আছে, প্রায় ঘন্টা হবে আমরা এই ভাবে আছি, চুপ করে আলমেরির সাইট থেকে বের হয়ে বাহির হয়ে ভাইকে দেখলাম সে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঘড়িতে দেখি রাত ১০:২৪ বাজে!ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলাম দরজা খুলে বাহিরে যাওয়াও সাহস পাচ্ছিনা। কি করব? কিছু বুঝতে উঠে পাচ্ছি দরজা কাছে গিয়ে কান পেতে শুনবো? না ভয় করছে খুব!<br>
মা বাবার কি হচ্ছে? তারা কোথায়? কি করছে?
এইসব চিন্তায় চিন্তায় মাথা ঘুরছে। এরি মধ্যে কখন যেন অজ্ঞান হয়ে পড়েছি বুঝেই উঠতে পারিনি!
.
.
.
সকাল ৭ টা,
দরজার ওপাশ থেকে,
-এই টুকি এই টুকি দরজা খুলে দে,
-কিছুটা চমকিয়ে উঠলাম!
-এই টুকি শুনতে পাচ্ছিস?
-ওহ,এতো তোহ মা ডাকছে মৃদু স্বরে!
-এই টুকি?
-হ্যাঁ,আসছি।
দরজা খুলেই দেখি বাবাকে মা ধরে আছে।বাবার হাত ভাঙ্গা! হাতে ব্যান্ডেজ করা আছে। বিচলিত হয়ে পড়ালাম।তাদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
-মা কিভাবে এসব হলো?
-এখন এসব না পরে কথা হবে।(মা)
-আচ্ছা, বাবা তোমার শরীর কেমন এখন?
-হুম,মামুনি ভালো (বাবা)
-আচ্ছা।
-কিরে টুকি রোহান কই(আমার ছোট ভাই)
-ও ঘুমোচ্ছে!
-যাহ ওকে তুলে নে।
-হুম আচ্ছা,
.
.
.
.
-সেইদিনের পর বাবাকে কখনো সন্ধ্যার পর বাহিরে আর যেতে দেখিনি। কারণ আজো জানা নেই। আমার ভাই রোহানের আজ জন্ম দিন পাশাপাশি আজ পি.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট, আমি আজ অন্নেক খুশি ভাইটা এ+ পেয়েছে!
.
.
.
.
১ বছর ৩ মাস পেরিয়ে গেছে সেই ঘটনার, মা আমাকে বলতে চেয়েও কিছু বলেনি। বাবা আজ ভালোই আছে।আজ বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে ভাইয়ের রেজাল্টের উপলক্ষে।
-আপু
-হুম বল
-আপু আমার না কেন যানি ভয় করছে।
-কেন রে?পাগলা
-জানিনা কেন?
-দেখ আজ তুই কত্ত ভালো রেজাল্ট করেচ্ছিস,
আজ সবাই কত্ত খুশি তোর উপর!
-হুম, তাও
-আচ্ছা সোনা ভাই আমার আমার হাত ধরে চুপ করে বসে থাক।
-আচ্ছা।
.
.
.
.
ভিতরটা কেমন যেন ভীত হয়ে উঠল, কেন ওর ভয় করছে বুঝতে পারল না। কি এমন আছে আশেপাশে খেয়াল করতেই দেখলাম একজন চাকু বের করছে, মুহূর্তেই রোহানকে নিয়ে বাবাকে ইজারা করলাম বের হয়ে যেতে।
ঠিক তখনি গুলি আওয়াজ!
পিছনে ফিরে না দেখে ভাইকে বুকে নিয়ে দৌড় পিছনের রাস্তা ধরে।
প্রায় ৩ মাইল দূরে নানুর বাসা বাট দেখানে যাওয়া সম্ভব নাহ!
আমাকে খুব পিপাসা পেয়েসে। রোহান চুপ চুপ করে কাঁদছে!
-হুম বল
-আপু আমার না কেন যানি ভয় করছে।
-কেন রে?পাগলা
-জানিনা কেন?
-দেখ আজ তুই কত্ত ভালো রেজাল্ট করেচ্ছিস,
আজ সবাই কত্ত খুশি তোর উপর!
-হুম, তাও
-আচ্ছা সোনা ভাই আমার আমার হাত ধরে চুপ করে বসে থাক।
-আচ্ছা।
.
.
.
.
ভিতরটা কেমন যেন ভীত হয়ে উঠল, কেন ওর ভয় করছে বুঝতে পারল না। কি এমন আছে আশেপাশে খেয়াল করতেই দেখলাম একজন চাকু বের করছে, মুহূর্তেই রোহানকে নিয়ে বাবাকে ইজারা করলাম বের হয়ে যেতে।
ঠিক তখনি গুলি আওয়াজ!
পিছনে ফিরে না দেখে ভাইকে বুকে নিয়ে দৌড় পিছনের রাস্তা ধরে।
প্রায় ৩ মাইল দূরে নানুর বাসা বাট দেখানে যাওয়া সম্ভব নাহ!
আমাকে খুব পিপাসা পেয়েসে। রোহান চুপ চুপ করে কাঁদছে!
-এই পাগল কাঁদচ্ছিস কেন?
-আপু মা বাবা?
-ধুর পাগলা কিচ্ছু হবে না আল্লাহ্র ওপর ভরসা রাখ,
-হুম আচ্ছা(কান্না জড়িত কন্ঠে)
.
.
.
.
সেইরাত আমরা রাস্তায় পার করেছিলাম।
সকাল হতেই আবারছুট!
-আপু মা বাবা?
-ধুর পাগলা কিচ্ছু হবে না আল্লাহ্র ওপর ভরসা রাখ,
-হুম আচ্ছা(কান্না জড়িত কন্ঠে)
.
.
.
.
সেইরাত আমরা রাস্তায় পার করেছিলাম।
সকাল হতেই আবারছুট!
গন্তব্য নানুর বাড়ি!
বেশ ক্ষিদে পেয়েছে ভাইটার। আমার ক্ষিদে হারিয়ে গেছে চিন্তায়।
সামনেই হোটেল!গিয়ে কি বলব?আমার কাছে যে টাকা নেই!
হোটেলে ঢুকেই দেখি আমার ছোট মামা।
সেখানেই মামাকে সব ঘটনা খুলে বললাম আবার ভাইটাকে খাওয়ালাম মামার টাকায়।মামার মুখে যা শুনলাম তা শুনে বেঁচে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
.
.
.
.
-আমি যখন ১ বছর ৮ মাসের তখন আমার বাবা মা আমাকে বেঁচে দেয়। সেই তাদের কাছে যারা হাঙ্গামা করে আসছে আমাদের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে পতীতা পল্লীতে বেঁচে দেওয়ার। মা বাবা কিছুটা বুঝতে পেরে আমাকে চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছিল। তারপর থেকে আমি তাদের কাছে। প্রায়ই তারা এসে মা বাবাকে হুমকি দিতো আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে নয়তো আমার ভাইকে মেরে ফেলবে!লাখ খানেক টাকা খুলেছে এইবার মা বাবার কাছ থেকে এরপর ও তারা পিছু ছাড়ছেনা।তার কারণ, মা বাবা এসব জানতে পেরে পুলিশে রিপোর্ট দিয়েছিল তাদের। সেই থেকে শত্রুতার সুত্র পাত!
কিভাবে আমাকে জন্ম দিয়ে তারা সেল করে ভেবে পাচ্ছিনা। আর কিভাবে আমার এই বাবা মা উঠিয়ে নিয়ে এসে মেয়ে সুলভ মানুষ করতে পারে ভেবে পাচ্ছিনা। ঠিক তখনি,
,
বেশ ক্ষিদে পেয়েছে ভাইটার। আমার ক্ষিদে হারিয়ে গেছে চিন্তায়।
সামনেই হোটেল!গিয়ে কি বলব?আমার কাছে যে টাকা নেই!
হোটেলে ঢুকেই দেখি আমার ছোট মামা।
সেখানেই মামাকে সব ঘটনা খুলে বললাম আবার ভাইটাকে খাওয়ালাম মামার টাকায়।মামার মুখে যা শুনলাম তা শুনে বেঁচে থাকার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
.
.
.
.
-আমি যখন ১ বছর ৮ মাসের তখন আমার বাবা মা আমাকে বেঁচে দেয়। সেই তাদের কাছে যারা হাঙ্গামা করে আসছে আমাদের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে পতীতা পল্লীতে বেঁচে দেওয়ার। মা বাবা কিছুটা বুঝতে পেরে আমাকে চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছিল। তারপর থেকে আমি তাদের কাছে। প্রায়ই তারা এসে মা বাবাকে হুমকি দিতো আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে নয়তো আমার ভাইকে মেরে ফেলবে!লাখ খানেক টাকা খুলেছে এইবার মা বাবার কাছ থেকে এরপর ও তারা পিছু ছাড়ছেনা।তার কারণ, মা বাবা এসব জানতে পেরে পুলিশে রিপোর্ট দিয়েছিল তাদের। সেই থেকে শত্রুতার সুত্র পাত!
কিভাবে আমাকে জন্ম দিয়ে তারা সেল করে ভেবে পাচ্ছিনা। আর কিভাবে আমার এই বাবা মা উঠিয়ে নিয়ে এসে মেয়ে সুলভ মানুষ করতে পারে ভেবে পাচ্ছিনা। ঠিক তখনি,
,
-মা, চিন্তা করিস না।(মামা)
-কিভাবে মামা?(আমি)
-ঠিক সেইভাবেই, দেখ তোর দায়িত্ব আছে পরিবারের।
-হুম জানি, সেটা নিয়েই ভাবছি।
-একদম উল্টো পালটা ভাব্বিনা বুঝলি?
-না মামা আমি ভাবছি আমার শ্রেষ্ঠতম করার আর ইনশাল্লাহ করব।
-আচ্ছা এখন চল?
-কোথায় যাবো?
-তোর মা বাবা খুঁজতে?
-তুমি জানো তারা কোথায়?
-জানিনা তবে বের হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!
-হুম,কাল যা হয়েছে মা বাবাকে বাড়ি গেলে পাওয়া যাবেনা।
-হুম, চল আমার সাথে!
.
.
.
.
রওনা দিলাম সেখান থেকে মামার সাথে ছোট ভাইকে নিয়ে আর ভাবতে থাকলাম নিজের ভাগ্য নিয়ে!
কতো সৌভাগ্যবতী আমি আমাকে আল্লাহ্ এইভাবে বাঁচিয়ে এতো ভালো মা বাবা দিয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম আর বাবা মার জন্য দোয়া করতে লাগলাম তাদের হেফাজতের জন্য।
-কিভাবে মামা?(আমি)
-ঠিক সেইভাবেই, দেখ তোর দায়িত্ব আছে পরিবারের।
-হুম জানি, সেটা নিয়েই ভাবছি।
-একদম উল্টো পালটা ভাব্বিনা বুঝলি?
-না মামা আমি ভাবছি আমার শ্রেষ্ঠতম করার আর ইনশাল্লাহ করব।
-আচ্ছা এখন চল?
-কোথায় যাবো?
-তোর মা বাবা খুঁজতে?
-তুমি জানো তারা কোথায়?
-জানিনা তবে বের হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!
-হুম,কাল যা হয়েছে মা বাবাকে বাড়ি গেলে পাওয়া যাবেনা।
-হুম, চল আমার সাথে!
.
.
.
.
রওনা দিলাম সেখান থেকে মামার সাথে ছোট ভাইকে নিয়ে আর ভাবতে থাকলাম নিজের ভাগ্য নিয়ে!
কতো সৌভাগ্যবতী আমি আমাকে আল্লাহ্ এইভাবে বাঁচিয়ে এতো ভালো মা বাবা দিয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম আর বাবা মার জন্য দোয়া করতে লাগলাম তাদের হেফাজতের জন্য।
২ দিনের মাথায় অনেক খোজার পর মা বাবাকে পেলাম গ্রামের এক নাপিতের বাসায়!সেখানে তারা লুকিয়েছে।
-মা বাবা? (আমি)
-টুকি?
-মা তোমরা এখানে কতো খুজেছি আমরা জানো?
মা দৌড়ে এসে আমাদের জড়িয়ে ধরেছে যেন অনেক দিনের হারানো সম্পদ ফিরে পেয়েছে!বাবা অনেক খায়েস নিয়ে দেখছে। বাবাও একটু পর আমাদের জড়িয়ে ধরেছে।অনেক শান্তি পাচ্ছিলাম আমি।
-মা বাবা? (আমি)
-টুকি?
-মা তোমরা এখানে কতো খুজেছি আমরা জানো?
মা দৌড়ে এসে আমাদের জড়িয়ে ধরেছে যেন অনেক দিনের হারানো সম্পদ ফিরে পেয়েছে!বাবা অনেক খায়েস নিয়ে দেখছে। বাবাও একটু পর আমাদের জড়িয়ে ধরেছে।অনেক শান্তি পাচ্ছিলাম আমি।
-তোরা কোথায় ছিলি?(বাবা)
-আমি নিশ্চুপ!
মামা বাহিরে তাদেরকে নিয়ে গিয়ে সব বলল। সাথে এটাও বলল আমি সব জেনে গিয়েছি।বাবা মা আমার কাছেই আসছে আমাকে বুঝাতে কিন্তু কি বুঝাবে তারাই নির্বাক! সেইদিনি আমাদের শেষ দেখা ছিলো আমি মেনে নিয়েছিলাম। সিন্ধান্ত তারা এক বিভাগে থাকবে আমি একবিভাগে কিন্তু তারা আমাকে কিছুতেই ছাড়তে রাজি নাহ। কিন্তু আমি আর বোঝ টানতে চাইনা।
বাহানা দিয়ে সেইদিন মামার হাত ধরেই বাহিরে এসেছিলাম একটু টেনশন ফ্রি হওয়ার জন্য ঠিকিই কিন্তু সেইদিনি পালিয়ে এসেছি এই বুড়ির কাছে!এক প্রতত্ম এলাকায়!
-আমি নিশ্চুপ!
মামা বাহিরে তাদেরকে নিয়ে গিয়ে সব বলল। সাথে এটাও বলল আমি সব জেনে গিয়েছি।বাবা মা আমার কাছেই আসছে আমাকে বুঝাতে কিন্তু কি বুঝাবে তারাই নির্বাক! সেইদিনি আমাদের শেষ দেখা ছিলো আমি মেনে নিয়েছিলাম। সিন্ধান্ত তারা এক বিভাগে থাকবে আমি একবিভাগে কিন্তু তারা আমাকে কিছুতেই ছাড়তে রাজি নাহ। কিন্তু আমি আর বোঝ টানতে চাইনা।
বাহানা দিয়ে সেইদিন মামার হাত ধরেই বাহিরে এসেছিলাম একটু টেনশন ফ্রি হওয়ার জন্য ঠিকিই কিন্তু সেইদিনি পালিয়ে এসেছি এই বুড়ির কাছে!এক প্রতত্ম এলাকায়!
-বাড়িতে কেউ আছেন?
-কে বাবা এসেচ্ছিস তুই?
-জি!
-ওহ কাকে চাই?
-আমাকে একটু সাহায্য করবেন মা?
-কি বললে মা?
-ইস ডাকটা কবে থেকে শুনিনিরে!
-কেন?
-কেন টেন এসব পরে হবে।
-ভেতরে এসো মা।
.
.
.
.
.
এই থেকেই বুড়ি মার মেয়ে হয়ে গেলাম। আমাদের এক একদিনের এক এক ভাগ্যের খেলা নিয়ে দিন কাটাতে থাকলাম।
মা বাবা ভাইটার জন্য কলিজা ছিড়ে যায় কিন্তু কিছুই করতে পারিনা। পারিনা একটা কল ও করতে মায়া হবে। তারা ছুটে আসবে জানতে পারলে এই ভয়ে আমিও নিরব থাকতে থাকতে আজ এখানেই ৫ টি বছর কাটিয়েছি।ভাইটা এতো দিন কলেজে উঠেছে! কেমন হয়েছে সে। ইস কবে থেকে দেখিনি তাকে!
-কে বাবা এসেচ্ছিস তুই?
-জি!
-ওহ কাকে চাই?
-আমাকে একটু সাহায্য করবেন মা?
-কি বললে মা?
-ইস ডাকটা কবে থেকে শুনিনিরে!
-কেন?
-কেন টেন এসব পরে হবে।
-ভেতরে এসো মা।
.
.
.
.
.
এই থেকেই বুড়ি মার মেয়ে হয়ে গেলাম। আমাদের এক একদিনের এক এক ভাগ্যের খেলা নিয়ে দিন কাটাতে থাকলাম।
মা বাবা ভাইটার জন্য কলিজা ছিড়ে যায় কিন্তু কিছুই করতে পারিনা। পারিনা একটা কল ও করতে মায়া হবে। তারা ছুটে আসবে জানতে পারলে এই ভয়ে আমিও নিরব থাকতে থাকতে আজ এখানেই ৫ টি বছর কাটিয়েছি।ভাইটা এতো দিন কলেজে উঠেছে! কেমন হয়েছে সে। ইস কবে থেকে দেখিনি তাকে!
-এই টুকি কি ভাবচ্ছিস রে?(বুড়ি মা)
-ওম কিছু না বুড়ি মা।(আমি)
-নাও এইবার তুমি হা কর তোহ?
-খাইয়ে দিবি?
-হুম গো হা কর এইবার?
-এইনে হা..
-এতো বড়!
-হুম হে হে হে
-ওম কিছু না বুড়ি মা।(আমি)
-নাও এইবার তুমি হা কর তোহ?
-খাইয়ে দিবি?
-হুম গো হা কর এইবার?
-এইনে হা..
-এতো বড়!
-হুম হে হে হে
বুড়ি মাকে দেখছি কত্ত ভালোবাসা মানুষটার মধ্যে একটা ছেলে থেকেও নেই আর আমি?
ঊঁ, সেটা তোহ জানেননি আপনারা কি আর বলি?আমি পাপি!
ঊঁ, সেটা তোহ জানেননি আপনারা কি আর বলি?আমি পাপি!
ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষ গুলো অনেক ভালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন