তাহসান এবার দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। দুই দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
তাহসানের একটা রিলেশন ছিলো সমবয়সী।
মেয়েটির নাম মিথিলা।
মিথিলা আর তাহাসান একই ক্লাসেই পড়ত।
তারা বুঝতে পারে নাই তাদের এই আবেগী আর আকাশ কুসুমের মতো মিথ্যা সম্পর্কের যে কোনো মূল্য নেই সমাজ নামক একটা সংসারে!!!!
বলতে গেলে সেই ছোট্র বেলা থেকেই তাদের এ ভালোবাসার চিত্র। তাহসান মিথিলাকে প্রচন্ড ভালোবাসে আর মিথিলা???
তার কথা না বললেই নয় কারন তাহসান তার বাসায় পরিবারের সাথে অভিমান করে ২টা দিন যাবৎ বাসায় কোনো খাওয়া দাওয়া করে নাই আর এ কথা শুনে পাগলি মিথিলা ও নিজের পাকস্তলিকে অনায়াসে ২ টা দিন শাস্তি দিয়েছে ( ক্ষুদার্ত অবস্থাতে)....
এতোটা পাগল ছিলো তারা দুজন।
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাদের রিলেশনের বয়স ছিল ৫ বছর ২ দিন।৫ বছরের দিন তারা দেখা করে তাদের সেই প্রিয় জায়গায় মেঘনা নদীর তীরে।
যেখানে কাটিয়েছে তারা দীর্ঘ সময় আর তাদের জীবনের কিছু রোমন্ছকর সময়।
নদীর ভাঙ্গা সেই তীরে মিথিলা কে তাহসানের কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকা কালীন তাদের দেখে যায় মিথিলার পরিবারের তার চাচা ।
ওরা পাশাপাশি গ্রামে থাকায় মিথিলার পরিবার তাহসানকে ভালো করে চিনতো।এবং তাহসানের সব কিছু পজেটিভ ছিলো, অনেক ভালো ছেলে তাহসান কিন্তু সমস্যা হলো তারা সমবয়সী।মিথিলার পরিবার এই একটা কারনেই সম্পর্কটা মানেনি।
তাদের একসঙ্গে দেখার বিষয়েও মিথিলার পরিবারের কেউই কিছু বলেনি।
কিন্তু মিথিলার বাবা গোপনে তার বিয়ে ঠিক করে।
মিথিলাকে তার বিয়ে সম্পর্কে কিছু জানানো হয় নি তার পরিবার থেকে কিন্তু মিথিলা জেনে গেলো তার বাবার এ ষড়যন্ত্র এবং সাথে সাথে তাহসানকে মেসেজ করে।
মেসেজটা এমন ছিলো:-
আমার পরিবার থেকে গোপনে আমার বিয়ে ঠিক করেছে যে কোন সময় বিয়ে হয়ে যাবে।তুমি যা করার তাড়াতাড়ি কর।না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
মেসেজটি তাহসানের ফোনে আসার পরেই তা দেখে তাহসান পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে কি করবে কিছু বুঝতে পারছিলো নাহ্!!!!!
তাহসান মিথিলাকে ফোন দিতে গেলো কিন্তু ঠিক তখনি ফোন বন্ধ কারন মিথিলার বাবা ফোনটা তাৎখনিক কেঁড়ে নিয়েছে...!!!
অবশেষে তাহসান মিথিলাদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য দৌড়ে রাস্তার এপার থেকে ওপার যাওয়ার সময়ে একটা ব্রেক ফেল করা ট্রাকের ধাক্কায় এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় সেই মিথিলার পাগল রাজকুমার তাহসান আর বিদায় নেয় পৃথিবীর এ সংসার থেকে আর মিথিলার জীবন থেকে!!
মিথিলা প্রথমে তাহসানের এ ভয়ংকর মৃত্যুর খবর পায় নি কিন্তু দুই দিন পর এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানতে পারে।
তারপর তাহসানের ফোনে আরেকটি মেসেজ আসে মিথিলার তাতে লেখা ছিলো:-
আমার কাছে তুমি মানে সাত রাজার ধন, আমার কাছে তুমি মানে অন্য রকম। তাহসানরে কেনো চলে গেলি বল না বল আমায়, সবারি বেঁচে থাকার একটা উদ্দেশ্য থাকে কিন্তু আমার উদ্দেশ্য তো ছিলি তুই তাহলে তুই চলে গেলি বহুদূর আমাকে একলা করে!! আমার বেচেঁ থাকার আর কোনো মানে নেই রে তাহসান।
না বলে চলে গেলে আমিও আসছি তোর কাছে তখন আমরা অনেক সুখি থাকবো কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে নাহ্ আমি আসছি অপেক্ষায় থাক তাহসান!!
তাহসানের এক্সিডেন্ট এর পর তাহসানের পোষ্টমার্টামের পর তাহসানের সাথে যা ছিলো সব পুলিশ রেখে দেয়।
কিছুদিন পর কোনো এক কান্নাময়ী সকালে থানার এক অফিসার
তাহসানের
ফোন চালু করে মিথিলার মেসেজ দুইটা পায়।
তখনই থানা থেকে দুজন পুলিশ সহ মিথিলার বাড়িতে যায়।
কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।মিথিলা ১৫টা ঘুমের ওষুধ খেয়ে চিরতরে ঘুমিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর মিথিলার বাবা হার্ট অ্যাটাক করে।বর্তমানে হাসপাতালে আছে।
মিথিলার মৃত্যুর পর তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিরদিনের জন্য চলাচল করার শক্তি হারায়।
এ সমবয়সী একটি ভ্রান্ত আর দুঃস্বপ্নময় সম্পর্কের কারনে মিথিলার পরিবার যা হারিয়েছে তা আর কোনোদিন ফিরে পাবেনা।
আরেকটি পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যার সাথে মিথিলার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার পরিবার।
.
.
.
সমবয়সী রিলেশন
আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি স্কুল, কলেজেই অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা ক্লাসমেটদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এসব সম্পর্কের মধ্যে কতগুলো সম্পর্কের শুভ সমাপ্তি ঘটে??
যারা পালিয়ে বিয়ে করে আর যারা তাদের পরিবারকে রাজি করাতে পারে।
কিন্তু
অন্য গুলোর পরিনতি হয় করুন সমাপ্তির মাধ্যমে।এতে ২ জন মানুষই না শুধু নষ্ট হয়ে যায় ২-৩ টি সুখের পরিবার!!
মিথিলার জীবনের সমাপ্তি ছিলো সম্পুর্নই ভুল একটা পদক্ষেপ কারন জীবন মানেই বিশাল কষ্ট বুকে নেয়ে মৃত্যু বরন নয় বরং সকল আঘাত, জড় উপেক্ষা করে জীবনকে এক উন্নতর শেখরে নিয়ে পোছাঁনো আর তাহসান নামক সেই ছেলেটিকে আবার অন্য কারো মাঝে খুঁজে নেওয়া আবার জীবনের সুখের পথ প্রদর্শন করা।
হুম তবে এটা ঠিক যে মানুষ কতোটা দুঃখ আর আঘাত ফেলে আত্মহত্যা করে।
তা হলে আমি বলবো তারা জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে যা একজন বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়।
তাহসানের একটা রিলেশন ছিলো সমবয়সী।
মেয়েটির নাম মিথিলা।
মিথিলা আর তাহাসান একই ক্লাসেই পড়ত।
তারা বুঝতে পারে নাই তাদের এই আবেগী আর আকাশ কুসুমের মতো মিথ্যা সম্পর্কের যে কোনো মূল্য নেই সমাজ নামক একটা সংসারে!!!!
বলতে গেলে সেই ছোট্র বেলা থেকেই তাদের এ ভালোবাসার চিত্র। তাহসান মিথিলাকে প্রচন্ড ভালোবাসে আর মিথিলা???
তার কথা না বললেই নয় কারন তাহসান তার বাসায় পরিবারের সাথে অভিমান করে ২টা দিন যাবৎ বাসায় কোনো খাওয়া দাওয়া করে নাই আর এ কথা শুনে পাগলি মিথিলা ও নিজের পাকস্তলিকে অনায়াসে ২ টা দিন শাস্তি দিয়েছে ( ক্ষুদার্ত অবস্থাতে)....
এতোটা পাগল ছিলো তারা দুজন।
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাদের রিলেশনের বয়স ছিল ৫ বছর ২ দিন।৫ বছরের দিন তারা দেখা করে তাদের সেই প্রিয় জায়গায় মেঘনা নদীর তীরে।
যেখানে কাটিয়েছে তারা দীর্ঘ সময় আর তাদের জীবনের কিছু রোমন্ছকর সময়।
নদীর ভাঙ্গা সেই তীরে মিথিলা কে তাহসানের কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকা কালীন তাদের দেখে যায় মিথিলার পরিবারের তার চাচা ।
ওরা পাশাপাশি গ্রামে থাকায় মিথিলার পরিবার তাহসানকে ভালো করে চিনতো।এবং তাহসানের সব কিছু পজেটিভ ছিলো, অনেক ভালো ছেলে তাহসান কিন্তু সমস্যা হলো তারা সমবয়সী।মিথিলার পরিবার এই একটা কারনেই সম্পর্কটা মানেনি।
তাদের একসঙ্গে দেখার বিষয়েও মিথিলার পরিবারের কেউই কিছু বলেনি।
কিন্তু মিথিলার বাবা গোপনে তার বিয়ে ঠিক করে।
মিথিলাকে তার বিয়ে সম্পর্কে কিছু জানানো হয় নি তার পরিবার থেকে কিন্তু মিথিলা জেনে গেলো তার বাবার এ ষড়যন্ত্র এবং সাথে সাথে তাহসানকে মেসেজ করে।
মেসেজটা এমন ছিলো:-
আমার পরিবার থেকে গোপনে আমার বিয়ে ঠিক করেছে যে কোন সময় বিয়ে হয়ে যাবে।তুমি যা করার তাড়াতাড়ি কর।না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
মেসেজটি তাহসানের ফোনে আসার পরেই তা দেখে তাহসান পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে কি করবে কিছু বুঝতে পারছিলো নাহ্!!!!!
তাহসান মিথিলাকে ফোন দিতে গেলো কিন্তু ঠিক তখনি ফোন বন্ধ কারন মিথিলার বাবা ফোনটা তাৎখনিক কেঁড়ে নিয়েছে...!!!
অবশেষে তাহসান মিথিলাদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য দৌড়ে রাস্তার এপার থেকে ওপার যাওয়ার সময়ে একটা ব্রেক ফেল করা ট্রাকের ধাক্কায় এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় সেই মিথিলার পাগল রাজকুমার তাহসান আর বিদায় নেয় পৃথিবীর এ সংসার থেকে আর মিথিলার জীবন থেকে!!
মিথিলা প্রথমে তাহসানের এ ভয়ংকর মৃত্যুর খবর পায় নি কিন্তু দুই দিন পর এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানতে পারে।
তারপর তাহসানের ফোনে আরেকটি মেসেজ আসে মিথিলার তাতে লেখা ছিলো:-
আমার কাছে তুমি মানে সাত রাজার ধন, আমার কাছে তুমি মানে অন্য রকম। তাহসানরে কেনো চলে গেলি বল না বল আমায়, সবারি বেঁচে থাকার একটা উদ্দেশ্য থাকে কিন্তু আমার উদ্দেশ্য তো ছিলি তুই তাহলে তুই চলে গেলি বহুদূর আমাকে একলা করে!! আমার বেচেঁ থাকার আর কোনো মানে নেই রে তাহসান।
না বলে চলে গেলে আমিও আসছি তোর কাছে তখন আমরা অনেক সুখি থাকবো কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে নাহ্ আমি আসছি অপেক্ষায় থাক তাহসান!!
তাহসানের এক্সিডেন্ট এর পর তাহসানের পোষ্টমার্টামের পর তাহসানের সাথে যা ছিলো সব পুলিশ রেখে দেয়।
কিছুদিন পর কোনো এক কান্নাময়ী সকালে থানার এক অফিসার
তাহসানের
ফোন চালু করে মিথিলার মেসেজ দুইটা পায়।
তখনই থানা থেকে দুজন পুলিশ সহ মিথিলার বাড়িতে যায়।
কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।মিথিলা ১৫টা ঘুমের ওষুধ খেয়ে চিরতরে ঘুমিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর মিথিলার বাবা হার্ট অ্যাটাক করে।বর্তমানে হাসপাতালে আছে।
মিথিলার মৃত্যুর পর তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিরদিনের জন্য চলাচল করার শক্তি হারায়।
এ সমবয়সী একটি ভ্রান্ত আর দুঃস্বপ্নময় সম্পর্কের কারনে মিথিলার পরিবার যা হারিয়েছে তা আর কোনোদিন ফিরে পাবেনা।
আরেকটি পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যার সাথে মিথিলার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার পরিবার।
.
.
.
সমবয়সী রিলেশন
আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি স্কুল, কলেজেই অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা ক্লাসমেটদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এসব সম্পর্কের মধ্যে কতগুলো সম্পর্কের শুভ সমাপ্তি ঘটে??
যারা পালিয়ে বিয়ে করে আর যারা তাদের পরিবারকে রাজি করাতে পারে।
কিন্তু
অন্য গুলোর পরিনতি হয় করুন সমাপ্তির মাধ্যমে।এতে ২ জন মানুষই না শুধু নষ্ট হয়ে যায় ২-৩ টি সুখের পরিবার!!
মিথিলার জীবনের সমাপ্তি ছিলো সম্পুর্নই ভুল একটা পদক্ষেপ কারন জীবন মানেই বিশাল কষ্ট বুকে নেয়ে মৃত্যু বরন নয় বরং সকল আঘাত, জড় উপেক্ষা করে জীবনকে এক উন্নতর শেখরে নিয়ে পোছাঁনো আর তাহসান নামক সেই ছেলেটিকে আবার অন্য কারো মাঝে খুঁজে নেওয়া আবার জীবনের সুখের পথ প্রদর্শন করা।
হুম তবে এটা ঠিক যে মানুষ কতোটা দুঃখ আর আঘাত ফেলে আত্মহত্যা করে।
তা হলে আমি বলবো তারা জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে যা একজন বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন