জীবনে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করলে। সবকিছুতেই শূন্য বেশি। মনে আছে একবার ক্লাশ এইটে গণিতে দুইটা লাড্ডু পাইসিলাম মানে শূন্য। এখন বয়স তেইশ এখনও শূন্যতায় ই রয়েছি। চাকরি পাই না খোঁজে। মামুর জোর ও নাই। শূন্য পকেট। এ যেন এক শীতের দেশে শূন্যতায় চাদর জরিয়ে আছি।
দুইটা টিউশনি করি মাস শেষে যা পাই নিজের অতিরিক্ত কিছুই থাকে না। বাড়িতে পাঠাতে হয়। লেখাপড়ার খরচ ভিবিন্ন খরচ সব মিলিয়ে শূন্য পকেট।
মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তানটায় জানে জীবন মানে কি।
.
কষ্ট বলতে আর কি? নিজের প্রেমিকাটা ও চলে গেলে নিজের বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত ধরে। কষ্ট আর কি? কয়েকদিন ঘুমের টেবলেট খেয়ে পড়ে ছিলাম বাসায়। তখন ই একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়।আমি একটা বাসায় টিউশনি করি ওই বাসার মাঝেই থাকে।
আমি কেন পড়াতে যাচ্ছিলাম না উনি আমার খোঁজ নিতে এসে। আমার বেহাল অবস্থার কারণ আবিষ্কার করেন।
এরপর থেকে তিনি আমাকে দেখলেই
৩৩ডিগ্রি এঙ্গেলে একটা মুচকি হাসি দেন।রহস্যটা আমার জানা ছিলো হয়তো এ কারণেই বোকার মত টেবলেট কেন খেয়েছিলাম।
.
আজ অনেকদিন পর টিউশনিতে যাচ্ছি তাদের ওখানে। দীর্ঘদিন গ্রামে ছিলাম।
বাসায় ঢুকতেই তার সম্মুখীন তবে প্রতিদিন যা করতো আজ তা আর করলো না। গালদুটো ফুলিয়ে নিঃস্ব ভঙ্গিতে চেয়ে রইলো। মনে হয় স্বামী মারা গিয়েছে এমন এক অবস্থা।
কি হলো এমন আজ যার জন্য এ অবস্থা
জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো কিন্তু
তা ঠিক হবে না। পরিচয় নেই তার সাথে এতটা তাই জিগ্যেস করলে উল্টাপাল্টা যদি কিছু ভাবে। মেয়েরা তো দু লাইন বেশি বুঝে।
পড়ানো শেষ করে ফিরতে যাব। হঠাৎ কে যেন ডাক দিলো। ও এতো সেই মেয়ে,
--একটু দাঁড়াবেন?
--কিছু বলবেন? (আমি)
--হুমম
--কি?
--আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন?
--বাড়িতে। কিন্তু এ কথা?
--মিস করছিলাম আপনাকে।
--ও। কেন আমায় মিস করছিলেন?
--চলুন একটু হাটি
--কোথায় যাবেন?
--আপনার সাথে একটু ঘুরবো
--আচ্ছা চলুন।
আমি এখনও বুঝতেছি না। কেন এমনটা হচ্ছে।
চলছিই তার সাথে
--আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন। আমি কেন আপনার সাথে হাটছি?
--নাহ আসলেই আমি বুঝতেছি না
--এজন্যই তো আপনি বোকা। বোকার মত কান্নাকাটি করেন টেবলেট খেয়ে পড়ে থাকেন। হি হি হি
--ওটা অতীত
--সে যায় হোক তিন মাস আগের ঘটনা ই
--তো এখন কি হচ্ছে এটাই বুঝতেছি না
--সারাজীবন হাটতে চাই এভাবে আপনার সাথে
--বুঝলাম না
--আপনাকে আমার ভালো লাগে
এবং আপনাকে আমার জীবনে চাই
--চলুন বাড়িতে পৌছে দেই
--আমার উত্তর
--বাসায় চলুন
--লাগবে না আপনার বলার। আমার সাথেও আশা ও লাগবে না।
.
রাগ করে চলেই গেলো।কিন্তু আমি তার পিছুপিছু গেলাম। বাসায় নো পৌছা পর্যন্ত।
.
ব্যাপারটা খুব চিন্তায় ফেললো। মেয়েটা কি ভালোবাসে। নাকি তার আবেগপ্রবণতা। আমি রাজি বলতে অনেকটা রাজি ই। কারণ আমার জানামতে ও খুব ভালো মেয়ে। চিনি অনেকদিন ধরেই। তবুও দেখি কিছুটা দিন।
প্রতিদিন পড়াতে গেলেই দেখতাম সে তাকিয়ে রয়েছে।খুব অসহায় দৃষ্টিভঙ্গিতে।
একমাস চলে গেলো। একদিন ও এসে কান্না শুরু করলো।বলতে লাগলো ভালোবাসে। বাধ্য হয়ে বললাম
--আচ্ছা সাতদিন পর জানাবো উত্তর
একটা পরিচিত পার্কে থাকতে বললাম
.
আমার উত্তর হ্যা বলে দিবো। কিন্তু আরো কয়েকটা দিন পরেই বলি।
চতুর্থ দিনের সকালটায় ঘুম ভাঙ্গলো
একটা ফোন কলে,,
--খুব কান্নাকাটি করছে সে।কিন্তু কে এমন করতেছে
ভেবেই নিলাম এটা তানহা। সাতদিন অপেক্ষা না করতে পেরে আবার কান্নাকাটি শুরু করলো।
তৎক্ষনাত ধারণা পাল্টে গেলো ও তানহা না। ও নাফিসা আমায় ধোকা দেওয়া মানুষটা।
--আমার ভুল হয়েছে। আমি পাপ করেছি। আমায় মাফ করে দাও।
আমি ফিরে আসতে চাই তোমার জীবনে।
তুমি আমাদের সেই পরিচিত জায়গা টায় আসিও দুদিন পর।
আমি সব বলতে চাই।
কলটা এ বলেই কেটে দিলো। আমি কোনো সুযোগ ই পেলাম না কিছু বলার।
এ কেমন দুটানায় পড়লাম একদিকে তানহা ভালোবাসি না কেন এজন্য কাঁদে।
অন্যদিকে নাফিসা ফিরে আসার জন্য কাঁদে।
.
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তে পড়ে গেলাম।
দুদিন ভাবলাম উত্তর শুধু এটুকুই আসে
যে একবার ধোকা দিয়েছে সে দ্বিতীয়বার ও দিতে পারে।
বিশ্বাস আয়নার মতো একবার ভাঙ্গলে শত চেষ্টায়ে ও আগের মতো হয় না জোড়া লাগালে।
সেই হিসেবে মন চাই তানহাকে বেছে নিতে আবার মন চাই তাকে সুযোগ দিতে।
অবশেষে সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলাম।
.
আজ সপ্তম দিন যাচ্ছি আমি তার কাছে
তানহার কাছে।
দূর থেকেই দেখতে পেলাম সে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে।
--কেমন আছো (আমি)
--একটুপর সঠিকটা বলতে পারবো।
কেউ উত্তরটা দিলে
--আচ্ছা। নাফিসা ফিরে আসতে চাচ্ছে
--কিহহ
--দুদিন আগে ফোন করে কান্নাকাটি করেছে
--ওহহ। ভালো থেকো
--মানে
--চলেই ত যাবা। তাই বললাম
--যদি না যায়
--মিথ্যে আশা জাগিও না
--আমি তোমায় ভালোবাসতে চাই
--সত্যি
--হ্যা সত্যি সত্যি সত্যি
.
অতঃপর নীল শাড়ীটা আমার গায়ের শার্টটার সাথে মিশে গেলো।
জরিয়ে ধরে বললো,
....ভালোবাসি ভালোবাসবো
খুব বেশি তাসিন তোমায়....
দুইটা টিউশনি করি মাস শেষে যা পাই নিজের অতিরিক্ত কিছুই থাকে না। বাড়িতে পাঠাতে হয়। লেখাপড়ার খরচ ভিবিন্ন খরচ সব মিলিয়ে শূন্য পকেট।
মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তানটায় জানে জীবন মানে কি।
.
কষ্ট বলতে আর কি? নিজের প্রেমিকাটা ও চলে গেলে নিজের বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত ধরে। কষ্ট আর কি? কয়েকদিন ঘুমের টেবলেট খেয়ে পড়ে ছিলাম বাসায়। তখন ই একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়।আমি একটা বাসায় টিউশনি করি ওই বাসার মাঝেই থাকে।
আমি কেন পড়াতে যাচ্ছিলাম না উনি আমার খোঁজ নিতে এসে। আমার বেহাল অবস্থার কারণ আবিষ্কার করেন।
এরপর থেকে তিনি আমাকে দেখলেই
৩৩ডিগ্রি এঙ্গেলে একটা মুচকি হাসি দেন।রহস্যটা আমার জানা ছিলো হয়তো এ কারণেই বোকার মত টেবলেট কেন খেয়েছিলাম।
.
আজ অনেকদিন পর টিউশনিতে যাচ্ছি তাদের ওখানে। দীর্ঘদিন গ্রামে ছিলাম।
বাসায় ঢুকতেই তার সম্মুখীন তবে প্রতিদিন যা করতো আজ তা আর করলো না। গালদুটো ফুলিয়ে নিঃস্ব ভঙ্গিতে চেয়ে রইলো। মনে হয় স্বামী মারা গিয়েছে এমন এক অবস্থা।
কি হলো এমন আজ যার জন্য এ অবস্থা
জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো কিন্তু
তা ঠিক হবে না। পরিচয় নেই তার সাথে এতটা তাই জিগ্যেস করলে উল্টাপাল্টা যদি কিছু ভাবে। মেয়েরা তো দু লাইন বেশি বুঝে।
পড়ানো শেষ করে ফিরতে যাব। হঠাৎ কে যেন ডাক দিলো। ও এতো সেই মেয়ে,
--একটু দাঁড়াবেন?
--কিছু বলবেন? (আমি)
--হুমম
--কি?
--আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন?
--বাড়িতে। কিন্তু এ কথা?
--মিস করছিলাম আপনাকে।
--ও। কেন আমায় মিস করছিলেন?
--চলুন একটু হাটি
--কোথায় যাবেন?
--আপনার সাথে একটু ঘুরবো
--আচ্ছা চলুন।
আমি এখনও বুঝতেছি না। কেন এমনটা হচ্ছে।
চলছিই তার সাথে
--আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন। আমি কেন আপনার সাথে হাটছি?
--নাহ আসলেই আমি বুঝতেছি না
--এজন্যই তো আপনি বোকা। বোকার মত কান্নাকাটি করেন টেবলেট খেয়ে পড়ে থাকেন। হি হি হি
--ওটা অতীত
--সে যায় হোক তিন মাস আগের ঘটনা ই
--তো এখন কি হচ্ছে এটাই বুঝতেছি না
--সারাজীবন হাটতে চাই এভাবে আপনার সাথে
--বুঝলাম না
--আপনাকে আমার ভালো লাগে
এবং আপনাকে আমার জীবনে চাই
--চলুন বাড়িতে পৌছে দেই
--আমার উত্তর
--বাসায় চলুন
--লাগবে না আপনার বলার। আমার সাথেও আশা ও লাগবে না।
.
রাগ করে চলেই গেলো।কিন্তু আমি তার পিছুপিছু গেলাম। বাসায় নো পৌছা পর্যন্ত।
.
ব্যাপারটা খুব চিন্তায় ফেললো। মেয়েটা কি ভালোবাসে। নাকি তার আবেগপ্রবণতা। আমি রাজি বলতে অনেকটা রাজি ই। কারণ আমার জানামতে ও খুব ভালো মেয়ে। চিনি অনেকদিন ধরেই। তবুও দেখি কিছুটা দিন।
প্রতিদিন পড়াতে গেলেই দেখতাম সে তাকিয়ে রয়েছে।খুব অসহায় দৃষ্টিভঙ্গিতে।
একমাস চলে গেলো। একদিন ও এসে কান্না শুরু করলো।বলতে লাগলো ভালোবাসে। বাধ্য হয়ে বললাম
--আচ্ছা সাতদিন পর জানাবো উত্তর
একটা পরিচিত পার্কে থাকতে বললাম
.
আমার উত্তর হ্যা বলে দিবো। কিন্তু আরো কয়েকটা দিন পরেই বলি।
চতুর্থ দিনের সকালটায় ঘুম ভাঙ্গলো
একটা ফোন কলে,,
--খুব কান্নাকাটি করছে সে।কিন্তু কে এমন করতেছে
ভেবেই নিলাম এটা তানহা। সাতদিন অপেক্ষা না করতে পেরে আবার কান্নাকাটি শুরু করলো।
তৎক্ষনাত ধারণা পাল্টে গেলো ও তানহা না। ও নাফিসা আমায় ধোকা দেওয়া মানুষটা।
--আমার ভুল হয়েছে। আমি পাপ করেছি। আমায় মাফ করে দাও।
আমি ফিরে আসতে চাই তোমার জীবনে।
তুমি আমাদের সেই পরিচিত জায়গা টায় আসিও দুদিন পর।
আমি সব বলতে চাই।
কলটা এ বলেই কেটে দিলো। আমি কোনো সুযোগ ই পেলাম না কিছু বলার।
এ কেমন দুটানায় পড়লাম একদিকে তানহা ভালোবাসি না কেন এজন্য কাঁদে।
অন্যদিকে নাফিসা ফিরে আসার জন্য কাঁদে।
.
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তে পড়ে গেলাম।
দুদিন ভাবলাম উত্তর শুধু এটুকুই আসে
যে একবার ধোকা দিয়েছে সে দ্বিতীয়বার ও দিতে পারে।
বিশ্বাস আয়নার মতো একবার ভাঙ্গলে শত চেষ্টায়ে ও আগের মতো হয় না জোড়া লাগালে।
সেই হিসেবে মন চাই তানহাকে বেছে নিতে আবার মন চাই তাকে সুযোগ দিতে।
অবশেষে সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলাম।
.
আজ সপ্তম দিন যাচ্ছি আমি তার কাছে
তানহার কাছে।
দূর থেকেই দেখতে পেলাম সে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে।
--কেমন আছো (আমি)
--একটুপর সঠিকটা বলতে পারবো।
কেউ উত্তরটা দিলে
--আচ্ছা। নাফিসা ফিরে আসতে চাচ্ছে
--কিহহ
--দুদিন আগে ফোন করে কান্নাকাটি করেছে
--ওহহ। ভালো থেকো
--মানে
--চলেই ত যাবা। তাই বললাম
--যদি না যায়
--মিথ্যে আশা জাগিও না
--আমি তোমায় ভালোবাসতে চাই
--সত্যি
--হ্যা সত্যি সত্যি সত্যি
.
অতঃপর নীল শাড়ীটা আমার গায়ের শার্টটার সাথে মিশে গেলো।
জরিয়ে ধরে বললো,
....ভালোবাসি ভালোবাসবো
খুব বেশি তাসিন তোমায়....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন