পরিচয়টা এই ফেইসবুকে। আমাদের বাসা থেকে কিছুটা দুরের একটা রুমে কিছুটা অদ্ভুত কিসিমের একটা মেয়ে ছিল। মেয়েটাকে দেখে বোঝার উপায় নেই মেয়েটা কেমন। একটা অপরিচিত মানুষের কাছে আপনি তখনই বিশ্বস্থ হবেন যখন মানুষটা আপনাকে বিশ্বাস করে ফেলবে। এমনিতে দেখলে মনে হতো খুব ভাল, হাসিখুশি কিন্তু কেমন যেন একটু অন্যরকম। বুকে যথেষ্ট কষ্ট পুষে রাখতে সে ব্যাতিব্যাস্ত। আমি লক্ষ্য করেছি সে অন্য সবার থেকে আলাদা। একদম ই আলাদা।
-
প্রথম যেদিন জানতে পারলাম মেয়েটা রান্না করে খায় অথচ সপ্তাহে একটাদিনও ঠিকমত বাসার রান্নাঘরে দ্যাখা যায় না, শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। কিছু জিজ্ঞেস করলে মৃদ্যু হেসে উত্তর দেয়। হাসিটা ই তার ঐতিয্য। আমার বিশ্বাস এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সারাদিনে বোধয় প্রয়োজন ছাড়া কখনোই রুম থেকে বের হয় না।চারপাশে এই যে অসংখ্য মেয়ের ভীড়ে আমি জেনেছি সে কখনোই টিভির রুমে কিংবা ছাদে দেখা যায় না। মাঝেমাঝে ভাবতাম আচ্ছা, মেয়েটা এমন কেন?
-
মেয়েটা যে কথা বলে না বা হাসে না, এমনটা কিন্তু নয় ই। অনেক হাসে, কথাও বলে কিন্তু দেখেছি তাকে অন্য দশজন মেয়ের মতো সাজতে হয় না, কথা বলার ভঙ্গিমা যথেষ্ট মনকাড়া আর এই অসীম ক্ষমতাটা মেয়ে হিসেবে উপর ওয়ালা নিজ থেকেই দিয়েছেন।
মাঝেমাঝে দেখতাম সময় অসময় বাইরেও যায়। মাঝেমাঝে বন্ধুদের সাথেও দেখতাম, বাস্তবে নয় ফেইসবুকের আপলোডকৃত ফটো দেখে। আবার মাঝেমাঝে দেখতাম, আড্ডা দেওয়ার মত কোন কোন জায়গায় উদাস হয়ে হাটছে, একা। আমার সাথে মেয়েটার কথা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সুন্দর গুছিয়ে বলতে পারে আর প্রত্যেকবারই হেসে হেসে উত্তর দিত।
-
মেয়েটাকে লক্ষ্য করলে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা সাড়া দেয় তা হলো- "ধৈর্যধারন ক্ষমতা"
যতদিনই কথা হয়েছে ঝগড়া ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারি নি। আর সে এই পর্যায়টাতে যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। জানি না এই গোপন তথ্যটা জানার পর সে কেমন আচরন করবে, তথ্যটা এই "তার ধৈর্য ধারন ক্ষমতা দেখে আমি মুগ্ধ" বাজে রিয়্যাক্ট করতে দেখিনি কখনও। আমার কোনো আচরনেও তার কাছ থেকে বাজে রিয়্যাক্ট ফেরত পাই নি কখনও। ভেবেছিলাম মেয়েরা বোধ হয় এমন ই কিন্তু না, এরকম ক্ষমতা সবার থাকে না।
-
মাঝেমাঝে যখন কথা হতো, শুনতাম সে হয়তো মোবাইল নয়তো বই [হোক সেটা টেক্স কিংবা গল্পের] য়ে ডুবে আছে ! এমনও মানুষ হয় ?
একবার মেয়েটাকে প্রশ্ন করেছিলাম, "তুমি গান বলতে পারো? "
সে বলেছিল, "একটু একটু"
একটা গান শোনাবে ?
সে বলেছিল, " তুমি শুনবা আমার গান? হা হা হা, হাসাইওনা তো ! "
-
তাকে যদি কখনও বলতাম তুমি না সাজলেই তোমাকে ভালো লাগে। তখন সে ভাবতো এই প্রসংশাটা তাকে করা হয় নি, অন্য কাউকে করা হইছে। এসব কথা নাকি তাকে মানায় না। এই ধরনের মনমানসিকতা থেকে আমার মনে হয় বের হওয়া উচিত, কারন "একটা তেলাপোকা যখন একের অধিকবার শরীরে উড়ে আসে তখন আমরা ক্ষিপ্ত হই কিন্তু প্রজাপতি উড়ে আসাতে আনন্দ পাই"
.
বলি কি, নিজেকে কখনও ছোট করে দেখতে নেই। আমি যা, আমি তা ই। আমি অনলি ওয়ান। কারো নেগেটিভ কিংবা পজিটিভ কিছু বলাতে কিছু যাবে আসবে না।
-
অতপরঃ একদিন গভীর রাতে মেয়েটা একটা গান গেয়ে শুনিয়েছিল। আমি সেই থেকে তার ওই গানটার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এর পর থেকে কখনও কথা হলে শুরুতেই বলতাম যেন সেই গানটা গেয়ে শোনায়।
-
-
-
বলি কি,
গভীর রাত,
ক্লান্ত তুমি অতল ঘুমের গহীনে, যদি ডেকে তুলে বলি তোমায়, তোমার ঘুমজড়ানো মায়ার গোলাপজ্বলে ভেজানো কণ্ঠে একবার তোমার দেয়া আদুরে নামটায় ডাকো আমায় !!
তুমি কি ডাকবে?
-
বলি কি,
জোৎস্না রাত,
তুমি ঘুমিয়ে আছো,চাঁদের আলো ঠিকরে পড়ছে তোমার মুখে,আমার নিঃশ্বাসের শব্দে যদি তোমার ঘুম ভেঙে যায়,চোখ মেলে তুমি যদি দেখো আমি একবার তাকাই তোমার দিকে একবার তাকাই চাঁদের দিকে কে বেশি রূপসী কে বেশি মোহনীয় তা বুঝতে।
তুমি কি আমায় উন্মাদ ভাববে?
-
বলি কি,
বর্ষার রাত,
তুমি কপালে হাত রেখে দেখলে আমার গায়ে ভীষণ জ্বর। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছি। এক কাঁথাতে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে তুমি কি বোকার মতো কম্বল বের করতে যাবে নাকি কণ্ঠের আকুলতা বুঝে নিয়ে নিজেই হবে উষ্ণতার পরম আধার?
-
বলি কি,
গ্রীষ্মের রাত,
শহরজুড়ে লোডশেডিং। আমি দরদর করে ঘামতে ঘামতে জেগে উঠে যদি বলি আমার বক্ষ জুড়ে অনন্ত তৃষ্ণা। তবে তুমি কি বোকার মতো জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢালা শুরু করবে
নাকি চোখের ভাষা বুঝে নিয়ে ঠোঁট বাড়িয়ে দেবে?
-
প্রথম যেদিন জানতে পারলাম মেয়েটা রান্না করে খায় অথচ সপ্তাহে একটাদিনও ঠিকমত বাসার রান্নাঘরে দ্যাখা যায় না, শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। কিছু জিজ্ঞেস করলে মৃদ্যু হেসে উত্তর দেয়। হাসিটা ই তার ঐতিয্য। আমার বিশ্বাস এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সারাদিনে বোধয় প্রয়োজন ছাড়া কখনোই রুম থেকে বের হয় না।চারপাশে এই যে অসংখ্য মেয়ের ভীড়ে আমি জেনেছি সে কখনোই টিভির রুমে কিংবা ছাদে দেখা যায় না। মাঝেমাঝে ভাবতাম আচ্ছা, মেয়েটা এমন কেন?
-
মেয়েটা যে কথা বলে না বা হাসে না, এমনটা কিন্তু নয় ই। অনেক হাসে, কথাও বলে কিন্তু দেখেছি তাকে অন্য দশজন মেয়ের মতো সাজতে হয় না, কথা বলার ভঙ্গিমা যথেষ্ট মনকাড়া আর এই অসীম ক্ষমতাটা মেয়ে হিসেবে উপর ওয়ালা নিজ থেকেই দিয়েছেন।
মাঝেমাঝে দেখতাম সময় অসময় বাইরেও যায়। মাঝেমাঝে বন্ধুদের সাথেও দেখতাম, বাস্তবে নয় ফেইসবুকের আপলোডকৃত ফটো দেখে। আবার মাঝেমাঝে দেখতাম, আড্ডা দেওয়ার মত কোন কোন জায়গায় উদাস হয়ে হাটছে, একা। আমার সাথে মেয়েটার কথা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সুন্দর গুছিয়ে বলতে পারে আর প্রত্যেকবারই হেসে হেসে উত্তর দিত।
-
মেয়েটাকে লক্ষ্য করলে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা সাড়া দেয় তা হলো- "ধৈর্যধারন ক্ষমতা"
যতদিনই কথা হয়েছে ঝগড়া ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারি নি। আর সে এই পর্যায়টাতে যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। জানি না এই গোপন তথ্যটা জানার পর সে কেমন আচরন করবে, তথ্যটা এই "তার ধৈর্য ধারন ক্ষমতা দেখে আমি মুগ্ধ" বাজে রিয়্যাক্ট করতে দেখিনি কখনও। আমার কোনো আচরনেও তার কাছ থেকে বাজে রিয়্যাক্ট ফেরত পাই নি কখনও। ভেবেছিলাম মেয়েরা বোধ হয় এমন ই কিন্তু না, এরকম ক্ষমতা সবার থাকে না।
-
মাঝেমাঝে যখন কথা হতো, শুনতাম সে হয়তো মোবাইল নয়তো বই [হোক সেটা টেক্স কিংবা গল্পের] য়ে ডুবে আছে ! এমনও মানুষ হয় ?
একবার মেয়েটাকে প্রশ্ন করেছিলাম, "তুমি গান বলতে পারো? "
সে বলেছিল, "একটু একটু"
একটা গান শোনাবে ?
সে বলেছিল, " তুমি শুনবা আমার গান? হা হা হা, হাসাইওনা তো ! "
-
তাকে যদি কখনও বলতাম তুমি না সাজলেই তোমাকে ভালো লাগে। তখন সে ভাবতো এই প্রসংশাটা তাকে করা হয় নি, অন্য কাউকে করা হইছে। এসব কথা নাকি তাকে মানায় না। এই ধরনের মনমানসিকতা থেকে আমার মনে হয় বের হওয়া উচিত, কারন "একটা তেলাপোকা যখন একের অধিকবার শরীরে উড়ে আসে তখন আমরা ক্ষিপ্ত হই কিন্তু প্রজাপতি উড়ে আসাতে আনন্দ পাই"
.
বলি কি, নিজেকে কখনও ছোট করে দেখতে নেই। আমি যা, আমি তা ই। আমি অনলি ওয়ান। কারো নেগেটিভ কিংবা পজিটিভ কিছু বলাতে কিছু যাবে আসবে না।
-
অতপরঃ একদিন গভীর রাতে মেয়েটা একটা গান গেয়ে শুনিয়েছিল। আমি সেই থেকে তার ওই গানটার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এর পর থেকে কখনও কথা হলে শুরুতেই বলতাম যেন সেই গানটা গেয়ে শোনায়।
-
-
-
বলি কি,
গভীর রাত,
ক্লান্ত তুমি অতল ঘুমের গহীনে, যদি ডেকে তুলে বলি তোমায়, তোমার ঘুমজড়ানো মায়ার গোলাপজ্বলে ভেজানো কণ্ঠে একবার তোমার দেয়া আদুরে নামটায় ডাকো আমায় !!
তুমি কি ডাকবে?
-
বলি কি,
জোৎস্না রাত,
তুমি ঘুমিয়ে আছো,চাঁদের আলো ঠিকরে পড়ছে তোমার মুখে,আমার নিঃশ্বাসের শব্দে যদি তোমার ঘুম ভেঙে যায়,চোখ মেলে তুমি যদি দেখো আমি একবার তাকাই তোমার দিকে একবার তাকাই চাঁদের দিকে কে বেশি রূপসী কে বেশি মোহনীয় তা বুঝতে।
তুমি কি আমায় উন্মাদ ভাববে?
-
বলি কি,
বর্ষার রাত,
তুমি কপালে হাত রেখে দেখলে আমার গায়ে ভীষণ জ্বর। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছি। এক কাঁথাতে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে তুমি কি বোকার মতো কম্বল বের করতে যাবে নাকি কণ্ঠের আকুলতা বুঝে নিয়ে নিজেই হবে উষ্ণতার পরম আধার?
-
বলি কি,
গ্রীষ্মের রাত,
শহরজুড়ে লোডশেডিং। আমি দরদর করে ঘামতে ঘামতে জেগে উঠে যদি বলি আমার বক্ষ জুড়ে অনন্ত তৃষ্ণা। তবে তুমি কি বোকার মতো জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢালা শুরু করবে
নাকি চোখের ভাষা বুঝে নিয়ে ঠোঁট বাড়িয়ে দেবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন