-ওই কই তুমি?
--গরুর ঘাস কাটছি
--থাপ্পর দেবো। সত্য বলো?
--ঘুম থেকে উঠলাম
--আজ একটু দেখা করবা?
--কেন?
--তোমার কি আমায় দেখতেও ইচ্ছে করে না
--করবে না কেন?
--তো এমন বললা কেন
--কেমন
--উফফ! আজাইরা প্যাঁচাল রাখো। কইটায় আসবা এটা বলো?
--তুমি যখন বলবা
--আচ্ছা চারটায়
--আচ্ছা
.
এই হলো তানহা। মা বাবা ছোটকালেই রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছেন।তখন খুব ছোট আমি। খালা আমার লালন পালন করেছেন। এমনকি এখনও আমি খালার সাথে থাকি। আমাদের বাসায় চাচা থাকেন। তারা ও আমার মা বাবার মতো ই। তিনবছর হলো তারা আমাদের বাসায় থাকেন। অবশ্য এক্ষেত্রে আমই বলেছি তারা যেন আমাদের বাসায় গিয়ে থাকেন।
.
চাচার একটা মেয়ে ই। আমি যাকে ভালোবাসি। তানহার সাথে সম্পর্কের এক বছর মাত্র। এরপর থেকেই তার সাথে দেখা করতে নিজের বাড়িতেই যাওয়া। কেউ কিছু বলে না অবশ্য তার আমার মিল দেখে। তবুও চাচা কে ভয় পাই। শশুর বলে তো কথা। হি হি হি।
.
.
আজ যেতে একটু লেট ই হয়ে গেলো।
আজ কপালে কি আছে কে জানে?
বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপলাম...
টিং টিং টিং
--ওই তোর এত্ত দেরি কেন? (তানহা)
--তুই???
--হ্যা তুই ই বললাম। তোর কোনো সমস্যা?
--নাহ।
--দেরি করলি কেন তুই এটা বল?
--আসলে রাস্তায় ছেলেরা ক্রিকেট খেলছিলো। এক ওভার খেলা দেখছিলাম।
--কিহহ! তুই আমারে অপেক্ষা করাইয়্যা এ দিকে খেলা দেখস? তোর সাথে ব্রেকাপ...
--না না না এমন বলিও না। আমি ভুল করেছি আর এমন ভুল হবে না
--তোর কথার গুল্লি মারি।সররর তুই
--জান এমন আর হবে না। তুমি যা বলবা তাই হবে
--আচ্ছা। তো আজ সারারাত ছাদে আমার সাথে আড্ডা দিবা?
--আচ্ছা দেবো
--ওকে। ভেতরে আসো বাবু
--ইহহ। এখন আদর দেখাও
--না তুমি ছাড়া কে আছে আমার
.
ভেতরে ঢুকতেই দেখি। সব ফাঁকা চাচা চাচি ও নাই। জিগ্যেস করলাম,
--তারা কোথায়?
--বাহিরে গেছে।রাতে আসবে
রাতের আধার ঘনিয়ে এলো।
ও আর আমি ছাদে বসে আছি। রাতটা খুব সুন্দর। তাঁরা ভরা আকাশ।
দুজন মিলে তাঁরা গুনছি। কিন্তু শেষ হচ্ছে না। ও হঠাৎ বলে উঠলো
--এই তাসিন দেখো দেখো জোনাকি
--হুমম
--আমি ধরবো
--এগুলা তো ছাদের বাহিরে
--ভেতরে আসলেই ধরবো
--নাহ থাক। ওরা আমাদের রাতটা আরো সুন্দর করছে। ধরবো না
--আসলেই তো।আচ্ছা জানু আমরা আমাদের সন্তানদের নাম কি রাখবো জানো?
--কি
--জোনাকি আর রাত
--দূরর। এ কেমন নাম?
--বেশ দারুণ। ছেলের নাম রাত আর মেয়ের নাম জোনাকি
--আচ্ছা রাখবো।
--এজন্যই তো তোমায় এত ভালোবাসি।
.
সেদিন সকালে আসি তাদের এখান থেকে।
এরপর বেশ কয়েকদিন চলে যায়।
একদিন ও ফোন করে বলে
--আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তুমি কোথায় বাবু
আমি এক দৌড়ে তার এখানে যায়। বাসায় কেউ নেই। ও চিৎকার করছে। তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নেই।
সেদিন ই আমার মনের আকাশের সবগুলো জোনাকি বন্দী হয়ে যায়।
তাদের আলো হারিয়ে যায়।
যখন জানতে পারি তার ফুসফুস ক্যান্সার।
.
কিভাবে তাকে বলবো তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নাহহ বলবো না। কষ্ট সব চেপে রাখবো।ওর কি হয়সে সেটা ও বুঝতে দেবো না। আর বলবো ও না এটা তার ফুসফুস ক্যান্সার।তিনদিন পর বাসায় নিয়ে আসা হলো।
ও যেন কেমন বদলে গেছে আগের মতো হাসে না চেহারাটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।
আমি তাকে কখনও ভুলতে পারবো না।
আমি তার হয়েই থাকবো তাই এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম।
আমি তাকে বিয়ে করবো সারাজীবন তাকে আমার বউ ভেবেই কাটিয়ে দেবো।
আমি তা সরাসরি চাচাকে বলে দিলাম
'আমি বিয়ে করতে তানহাকে '। চাচা কথাটা শুনে কেঁদে দিলো। এ কি বলছি আমি যা সম্ভব না। কিন্তু আমি অনেক কষ্টে তাকে রাজি করালাম। তানহা ও আমার অনুরোধে রাজি হলো।
.
এর দশ দিন পর বিয়েটা সম্পন্ন হলো। কিন্তু শুধু বিয়ে না। সেদিন বাসর ঘরে আমি তার লাশটা দেখতে পাই। হঠাৎ ব্যাথা উঠে যায়। এবং সে দুনিয়াটা ত্যাগ করে।
শুধু বিয়ে হয় নি হয়েছিলো দাফন কাফন সেদিন।
.
এখনও আমার রাত হলে জোনাকিরা যখন জ্বেলে আলো তারা ও সেই সাথে। মনে পড়ে তাকে কোথায় সে?
আমি যে তাকে খুঁজি এ রাতে।
জোনাকি রাত, জোনাকিপোকা, তাঁরা সব ই আছে। শুধু নেই তুমি।
তাতে কি আমি স্বপ্ন বুণি হবে দেখা হয়তো তোমার ওপারে।
যেখানে এসে মিলবো আবার দুজনে।
ইচ্ছে করে বলি তোমায়
ভালোবাসি ভালোবাসি
খুব বেশি তোমায়...
যত দূরেই থাকো
আমি শুধু তোমার।.........
--গরুর ঘাস কাটছি
--থাপ্পর দেবো। সত্য বলো?
--ঘুম থেকে উঠলাম
--আজ একটু দেখা করবা?
--কেন?
--তোমার কি আমায় দেখতেও ইচ্ছে করে না
--করবে না কেন?
--তো এমন বললা কেন
--কেমন
--উফফ! আজাইরা প্যাঁচাল রাখো। কইটায় আসবা এটা বলো?
--তুমি যখন বলবা
--আচ্ছা চারটায়
--আচ্ছা
.
এই হলো তানহা। মা বাবা ছোটকালেই রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছেন।তখন খুব ছোট আমি। খালা আমার লালন পালন করেছেন। এমনকি এখনও আমি খালার সাথে থাকি। আমাদের বাসায় চাচা থাকেন। তারা ও আমার মা বাবার মতো ই। তিনবছর হলো তারা আমাদের বাসায় থাকেন। অবশ্য এক্ষেত্রে আমই বলেছি তারা যেন আমাদের বাসায় গিয়ে থাকেন।
.
চাচার একটা মেয়ে ই। আমি যাকে ভালোবাসি। তানহার সাথে সম্পর্কের এক বছর মাত্র। এরপর থেকেই তার সাথে দেখা করতে নিজের বাড়িতেই যাওয়া। কেউ কিছু বলে না অবশ্য তার আমার মিল দেখে। তবুও চাচা কে ভয় পাই। শশুর বলে তো কথা। হি হি হি।
.
.
আজ যেতে একটু লেট ই হয়ে গেলো।
আজ কপালে কি আছে কে জানে?
বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপলাম...
টিং টিং টিং
--ওই তোর এত্ত দেরি কেন? (তানহা)
--তুই???
--হ্যা তুই ই বললাম। তোর কোনো সমস্যা?
--নাহ।
--দেরি করলি কেন তুই এটা বল?
--আসলে রাস্তায় ছেলেরা ক্রিকেট খেলছিলো। এক ওভার খেলা দেখছিলাম।
--কিহহ! তুই আমারে অপেক্ষা করাইয়্যা এ দিকে খেলা দেখস? তোর সাথে ব্রেকাপ...
--না না না এমন বলিও না। আমি ভুল করেছি আর এমন ভুল হবে না
--তোর কথার গুল্লি মারি।সররর তুই
--জান এমন আর হবে না। তুমি যা বলবা তাই হবে
--আচ্ছা। তো আজ সারারাত ছাদে আমার সাথে আড্ডা দিবা?
--আচ্ছা দেবো
--ওকে। ভেতরে আসো বাবু
--ইহহ। এখন আদর দেখাও
--না তুমি ছাড়া কে আছে আমার
.
ভেতরে ঢুকতেই দেখি। সব ফাঁকা চাচা চাচি ও নাই। জিগ্যেস করলাম,
--তারা কোথায়?
--বাহিরে গেছে।রাতে আসবে
রাতের আধার ঘনিয়ে এলো।
ও আর আমি ছাদে বসে আছি। রাতটা খুব সুন্দর। তাঁরা ভরা আকাশ।
দুজন মিলে তাঁরা গুনছি। কিন্তু শেষ হচ্ছে না। ও হঠাৎ বলে উঠলো
--এই তাসিন দেখো দেখো জোনাকি
--হুমম
--আমি ধরবো
--এগুলা তো ছাদের বাহিরে
--ভেতরে আসলেই ধরবো
--নাহ থাক। ওরা আমাদের রাতটা আরো সুন্দর করছে। ধরবো না
--আসলেই তো।আচ্ছা জানু আমরা আমাদের সন্তানদের নাম কি রাখবো জানো?
--কি
--জোনাকি আর রাত
--দূরর। এ কেমন নাম?
--বেশ দারুণ। ছেলের নাম রাত আর মেয়ের নাম জোনাকি
--আচ্ছা রাখবো।
--এজন্যই তো তোমায় এত ভালোবাসি।
.
সেদিন সকালে আসি তাদের এখান থেকে।
এরপর বেশ কয়েকদিন চলে যায়।
একদিন ও ফোন করে বলে
--আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তুমি কোথায় বাবু
আমি এক দৌড়ে তার এখানে যায়। বাসায় কেউ নেই। ও চিৎকার করছে। তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নেই।
সেদিন ই আমার মনের আকাশের সবগুলো জোনাকি বন্দী হয়ে যায়।
তাদের আলো হারিয়ে যায়।
যখন জানতে পারি তার ফুসফুস ক্যান্সার।
.
কিভাবে তাকে বলবো তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নাহহ বলবো না। কষ্ট সব চেপে রাখবো।ওর কি হয়সে সেটা ও বুঝতে দেবো না। আর বলবো ও না এটা তার ফুসফুস ক্যান্সার।তিনদিন পর বাসায় নিয়ে আসা হলো।
ও যেন কেমন বদলে গেছে আগের মতো হাসে না চেহারাটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।
আমি তাকে কখনও ভুলতে পারবো না।
আমি তার হয়েই থাকবো তাই এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম।
আমি তাকে বিয়ে করবো সারাজীবন তাকে আমার বউ ভেবেই কাটিয়ে দেবো।
আমি তা সরাসরি চাচাকে বলে দিলাম
'আমি বিয়ে করতে তানহাকে '। চাচা কথাটা শুনে কেঁদে দিলো। এ কি বলছি আমি যা সম্ভব না। কিন্তু আমি অনেক কষ্টে তাকে রাজি করালাম। তানহা ও আমার অনুরোধে রাজি হলো।
.
এর দশ দিন পর বিয়েটা সম্পন্ন হলো। কিন্তু শুধু বিয়ে না। সেদিন বাসর ঘরে আমি তার লাশটা দেখতে পাই। হঠাৎ ব্যাথা উঠে যায়। এবং সে দুনিয়াটা ত্যাগ করে।
শুধু বিয়ে হয় নি হয়েছিলো দাফন কাফন সেদিন।
.
এখনও আমার রাত হলে জোনাকিরা যখন জ্বেলে আলো তারা ও সেই সাথে। মনে পড়ে তাকে কোথায় সে?
আমি যে তাকে খুঁজি এ রাতে।
জোনাকি রাত, জোনাকিপোকা, তাঁরা সব ই আছে। শুধু নেই তুমি।
তাতে কি আমি স্বপ্ন বুণি হবে দেখা হয়তো তোমার ওপারে।
যেখানে এসে মিলবো আবার দুজনে।
ইচ্ছে করে বলি তোমায়
ভালোবাসি ভালোবাসি
খুব বেশি তোমায়...
যত দূরেই থাকো
আমি শুধু তোমার।.........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন