আমার আজকের রাতটা ভরে আছে অন্যসব রাতের থেকে ভিন্নতায়। কারন আজ থেকে সঙ্গী হতে যাচ্ছে নিরা নামের একটি মেয়ে। যদিও এই রাতটা এত তাড়াতাড়ি পাওয়ার ইচ্ছে ছিল না তবুও আম্মুর চাপে গ্রহন করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। এখন নিরার কথায় আসি, মেয়েটা ভাল দেখতে, শুনতেও। যদিও বাস্তবে কখনো দেখা হয়নি তবুও প্রকৃত সুন্দরীরা ছবির থেকে বাস্তবেই বেশী সুন্দরি হয়। মৃদ্যু কেশে রুমে প্রবেশ করলাম। বিশাল এক ঘোমটা টেনে বেডের ঠিক মাঝখানটাই বসে আছে নিরা। যদিও মেয়েটিকে প্রথম যেদিন ছবিতে দেখেছিলাম সেদিন থেকেই ভাল লেগেছিল আর আজ সেই মেয়েটি সামনে বসে তবুও এক অসস্তি কাজ করছে আমার ভিতর। পাশে বসে ঘোমটাটা টেনে দিলাম, নিরা মেয়েটা মানুষ দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না! কি করে একটা মানুষ এতটা সুন্দরি হয়? এমন একটা মেয়ে চাঁদের সামনে দাড়ালে চাঁদটাও লজ্জায় লুকিয়ে যাবে। মেয়েটার গাল বেয়ে অজস্র নোনা জল ঝরছে আর এটা সাধারনত মেয়েদের বিয়ের দিনে হয়েই থাকে। কিন্তু নিরাকে সেই শুরু থেকেই কাঁদতে দেখছি যেখানে অশ্রু বর্ষন ছাড়া কোন শব্দ নেই।
মেয়েদের কান্না খুব সহজেই ছেলেদের মনকে ঘায়েল করে নেয়, ঠিক এখন আমার যেমনটা হয়েছে।
হাত বাড়িয়ে গাল বেয়ে পড়া অশ্রু বিলিন করতে চাইলাম কিন্তু নিরা হাতটা থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলঃ প্লিজ আমাকে স্পর্শ করবেন না।
মেয়েদের কান্না খুব সহজেই ছেলেদের মনকে ঘায়েল করে নেয়, ঠিক এখন আমার যেমনটা হয়েছে।
হাত বাড়িয়ে গাল বেয়ে পড়া অশ্রু বিলিন করতে চাইলাম কিন্তু নিরা হাতটা থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলঃ প্লিজ আমাকে স্পর্শ করবেন না।
তবে ওর কথায় আমার কিছু মনে হয়নি বরং একটা মানুষ এত সুন্দর করে কথাও বলতে পারে! কোকিলের সামনে যদি নিরাকে গান বলা হয় তাহলে নিশ্চয়ই কোকিল তার নিজ গান থামিয়ে নিরার গান মুগ্ধ হয়ে শুনবে।
ওকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্য রচনা করতে বেশ ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু ওর কান্না আমাকে বার বার বাধা দিচ্ছে।এদিকে অনুমতি বিহিন ওকে স্পর্শ করার স্পর্ধা একটু বেশীই হয়ে গেছে তাই মনোষত্ববোধ নিয়ে বললাম
--সরি নিরা, আপনার কি ট্রিসু লাগবে?
--না, লাগবে না
--ও আচ্ছা, সব মেয়েরাই বিয়ের পর কান্না করে আর বাসরঘরে এসে ঢং করে
--দেখুন আমি সব মেয়ের মত না
--কই, আলাদা কিছুও তো দেখছি না
--আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে
--জ্বী বলুন....
মেয়েটি নিজ থেকে ঘোমটাটা পুরোটুক সরিয়ে নেড়েচেড়ে বসল তারপর চোঁখ দুটো বাচ্চাদের মত হাত দিয়ে অশ্রু নিবারন করে আমার দিকে তাকাল
--আমি রাফি নামের একটা ছেলেকে ভালবাসতাম, এখনো বাসি।
ওকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্য রচনা করতে বেশ ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু ওর কান্না আমাকে বার বার বাধা দিচ্ছে।এদিকে অনুমতি বিহিন ওকে স্পর্শ করার স্পর্ধা একটু বেশীই হয়ে গেছে তাই মনোষত্ববোধ নিয়ে বললাম
--সরি নিরা, আপনার কি ট্রিসু লাগবে?
--না, লাগবে না
--ও আচ্ছা, সব মেয়েরাই বিয়ের পর কান্না করে আর বাসরঘরে এসে ঢং করে
--দেখুন আমি সব মেয়ের মত না
--কই, আলাদা কিছুও তো দেখছি না
--আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে
--জ্বী বলুন....
মেয়েটি নিজ থেকে ঘোমটাটা পুরোটুক সরিয়ে নেড়েচেড়ে বসল তারপর চোঁখ দুটো বাচ্চাদের মত হাত দিয়ে অশ্রু নিবারন করে আমার দিকে তাকাল
--আমি রাফি নামের একটা ছেলেকে ভালবাসতাম, এখনো বাসি।
নিরা এই কথাটা বলার পর থেমে গেছে হয়তো কান্নাটা আরেকটু বেড়ে গেছে।
এপাশে আমারো কথাটা শোনার পর কিযেন একটা ব্যাথা বামপাশের বুকটায় জেগে উঠেছে। মেয়েটি আবার মিনমিনিয়ে কথা শুরু করল
--কিছুদিন হল ওর সাথে আমার ব্রেকআপ হইছে তবুও ওকে ভুলতে পারছি না। চারদেয়ালে একয়টা দিন একাকি নিজেকে বন্ধি করে রেখেছি হঠাৎ আপনাদের পাঠানো সমন্ধ আর আমার বিয়ের কথা সবরেখে রাফির উপর রাগ নিয়েই আপনাকে না দেখেই বিয়েটা করে ফেলি...
এপাশে আমারো কথাটা শোনার পর কিযেন একটা ব্যাথা বামপাশের বুকটায় জেগে উঠেছে। মেয়েটি আবার মিনমিনিয়ে কথা শুরু করল
--কিছুদিন হল ওর সাথে আমার ব্রেকআপ হইছে তবুও ওকে ভুলতে পারছি না। চারদেয়ালে একয়টা দিন একাকি নিজেকে বন্ধি করে রেখেছি হঠাৎ আপনাদের পাঠানো সমন্ধ আর আমার বিয়ের কথা সবরেখে রাফির উপর রাগ নিয়েই আপনাকে না দেখেই বিয়েটা করে ফেলি...
ওর কথাগুলো কান বরাবর যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু কোন কথাই মুখ থেকে বের হচ্ছে না। আমার উদাসীনতা ভাঙ্গাতেই নিরা বলে উঠল
--আপনি কি আমার কথা শুনছেন??
--জ্বী শুনছি! তারপর
--তারপর কি?
--আপনাদের ব্রেকআপ হওয়ার কারনটা জানতে পারি?
--হুম, সব ছেলেদের মত আমি কখন রাফিকে ভাবতাম না কিন্তু ওর ও যে লুচ্ছা স্বভাব ছিল, দুতিনটা গালফ্রেন্ড ছিল এটাও জানতাম না। মাঝে মাঝে আমার ফ্রেন্ডগুলো রাফিকে নিয়ে ভিবিন্ন কথা বলত কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম না কিন্তু একদিন আমার নিজের চোঁখ দিয়ে দেখলাম ওর কীর্তি সেদিন আর নিজের চোঁখকে কেমনে অবিশ্বাস করি বলতে পারেন...
--আপনি কি আমার কথা শুনছেন??
--জ্বী শুনছি! তারপর
--তারপর কি?
--আপনাদের ব্রেকআপ হওয়ার কারনটা জানতে পারি?
--হুম, সব ছেলেদের মত আমি কখন রাফিকে ভাবতাম না কিন্তু ওর ও যে লুচ্ছা স্বভাব ছিল, দুতিনটা গালফ্রেন্ড ছিল এটাও জানতাম না। মাঝে মাঝে আমার ফ্রেন্ডগুলো রাফিকে নিয়ে ভিবিন্ন কথা বলত কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম না কিন্তু একদিন আমার নিজের চোঁখ দিয়ে দেখলাম ওর কীর্তি সেদিন আর নিজের চোঁখকে কেমনে অবিশ্বাস করি বলতে পারেন...
মেয়েটার চোঁখে এখন রাগী রাগী ভাব,
কোন অশ্রু ঝরছে না। হয়তো এমনটাই স্বাভাবিক কিন্তু সব ছেলেই কি একরকম? আমি তো ওরকম না। কোনদিন তো কারো সাথে রিলেশনে যাইনি তাহলে নিরার কথাটা ভুল।
আর একজনের ভুল শুদরানোর দ্বায়িত্বটা আরেকজন মানুষেরই তাই বলে ফেললাম
--দেখুন, আপনি একটা ভুল কথা বললেন
--কি ভুল বললাম??
--সব ছেলেই রাফির মত না বরং কিছু রাফি টাইপ ছেলের জন্য সব ছেলেকেই খারাপ বলাটা ঠিক না।
--হু তো আপনি ভাল
--ভাল না হলেও রাফির মত খারাপ না
--তাহলে আপনার গালফ্রেন্ডকে রেখে আমাকে কেন বিয়ে করলেন?
--আমার কোন গালফ্রেন্ড নেই
--এই যে মিথ্যা, এটা ছাড়া তো আপনাদের পেটের ভাত হজমই হয় না।
--জ্বী না, আমি মিথ্যা বলি না
--হু ধোঁয়া তুলসি পাতা....
কথাটা বলেই মুখ ঘুরিয়ে নেয় নিরা।
পরিবেশটা বেশ উষ্ণ হয়ে গেছে তাই শীতলকরন করা দরকার
--নীরা, অনেক রাত হয়ে গেছে আপনি ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরেন
--আর আপনি??
--আমি অন্য কোথাও ঘুমিয়ে যাব, ওটা নিয়ে ভাববেন না।
--অন্যে কোথাও মানে? আমার সাথে থাকতে যদি প্রোবলেমই তবে বিয়ে করলেন কেন??
--আসলে আপনি তো রাফিকে.....
--থামেন! থামেন!! আপনি তো আসলেই বোকা যদিও নামটার শুনেই বুঝেছিলাম তবে এখন প্রমান পেলাম...
বলেই মেয়েটা খিল খিল করে হেঁসে উঠলো। কিছু বুঝছি না আমি শুধু ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি
--কি মিঃ সানভী!!ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?? আমি তো মজা করছিলাম...
আবারও হাসির বন্যা বয়ে গেল চারদেয়ালের মাঝ বরাবর..
--নিরা তুমি কি সত্যেই মজা করছিলা?
--আপনি আমাকে তুমি কেন বললেন? আপনাকে অনুমতি দিয়েছি আমি??
আর একজনের ভুল শুদরানোর দ্বায়িত্বটা আরেকজন মানুষেরই তাই বলে ফেললাম
--দেখুন, আপনি একটা ভুল কথা বললেন
--কি ভুল বললাম??
--সব ছেলেই রাফির মত না বরং কিছু রাফি টাইপ ছেলের জন্য সব ছেলেকেই খারাপ বলাটা ঠিক না।
--হু তো আপনি ভাল
--ভাল না হলেও রাফির মত খারাপ না
--তাহলে আপনার গালফ্রেন্ডকে রেখে আমাকে কেন বিয়ে করলেন?
--আমার কোন গালফ্রেন্ড নেই
--এই যে মিথ্যা, এটা ছাড়া তো আপনাদের পেটের ভাত হজমই হয় না।
--জ্বী না, আমি মিথ্যা বলি না
--হু ধোঁয়া তুলসি পাতা....
কথাটা বলেই মুখ ঘুরিয়ে নেয় নিরা।
পরিবেশটা বেশ উষ্ণ হয়ে গেছে তাই শীতলকরন করা দরকার
--নীরা, অনেক রাত হয়ে গেছে আপনি ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরেন
--আর আপনি??
--আমি অন্য কোথাও ঘুমিয়ে যাব, ওটা নিয়ে ভাববেন না।
--অন্যে কোথাও মানে? আমার সাথে থাকতে যদি প্রোবলেমই তবে বিয়ে করলেন কেন??
--আসলে আপনি তো রাফিকে.....
--থামেন! থামেন!! আপনি তো আসলেই বোকা যদিও নামটার শুনেই বুঝেছিলাম তবে এখন প্রমান পেলাম...
বলেই মেয়েটা খিল খিল করে হেঁসে উঠলো। কিছু বুঝছি না আমি শুধু ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি
--কি মিঃ সানভী!!ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?? আমি তো মজা করছিলাম...
আবারও হাসির বন্যা বয়ে গেল চারদেয়ালের মাঝ বরাবর..
--নিরা তুমি কি সত্যেই মজা করছিলা?
--আপনি আমাকে তুমি কেন বললেন? আপনাকে অনুমতি দিয়েছি আমি??
মেয়েটি এবার হাসি থামিয়ে আবার রেগে গেছে। আসলেই ভুলটা তো আমারই অনুমতি ছাড়া একজনকে কেনইবা তুমি ডাকলাম হয়তো পছন্দের মানুষটিকে মন থেকেই তুমি ডাকটা ডাকতে ইচ্ছে করে তবুও ওকে অনুমতি ছাড়া ডাকাটা ঠিক হয়নি...
--এত্ত বোকা হবে আমার স্বামী জানলে বিয়েই করতাম না...
বলেই মেয়েটা মুচকি মুচকি হাসছে।
ওর হাসি আমাকে আরো বোকা করে দিচ্ছে।
ধুর আমি তো আসলেই বোকা।
--ভালবাসতে জানেন তো??
--না, কখনো কাউকে এরকম ভালবাসি নি তো
--এরকম ভালবাসা মানে?? আপনি তো দেখছি ফাজিলও আছেন...আর শোনেন আপনি এখন থেকে তুমি করে বলবেন আমায়....
--এত্ত বোকা হবে আমার স্বামী জানলে বিয়েই করতাম না...
বলেই মেয়েটা মুচকি মুচকি হাসছে।
ওর হাসি আমাকে আরো বোকা করে দিচ্ছে।
ধুর আমি তো আসলেই বোকা।
--ভালবাসতে জানেন তো??
--না, কখনো কাউকে এরকম ভালবাসি নি তো
--এরকম ভালবাসা মানে?? আপনি তো দেখছি ফাজিলও আছেন...আর শোনেন আপনি এখন থেকে তুমি করে বলবেন আমায়....
মেয়েটার কিচ্ছু বুঝছি না, শুধু আমি থাম্বা হয়ে দাড়িয়ে আছি।
--ঐ মিষ্টার পাশে আসবেন নাকি আমিই চলে যাবে!!
--ঐ মিষ্টার পাশে আসবেন নাকি আমিই চলে যাবে!!
কিছুক্ষন আগে যে মেয়ের চোঁখ বেয়ে পরা জল স্পর্শ করতে দিল না সে এখন কাছে ডাকছে, মেয়েটা এত সিরিয়াস ভাবে ফান করতে পারে রিতিমত অবাক আমি।
পাশে বসতেই কিছু বোঝার সময় শেষ শুধু বুঝলাম বোকার বোকামী শুরুর সময়টা চলে এসেছে!!!
পাশে বসতেই কিছু বোঝার সময় শেষ শুধু বুঝলাম বোকার বোকামী শুরুর সময়টা চলে এসেছে!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন