বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

পাগলার পাগলি বউ

শুয়ে শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছি, ১১:৩০টা বাজবে হয়তো। নিউজফেড নাড়াচাড়া করছি। হটাৎ করে ম্যাসেঞ্জারে শব্দ হলো, আর স্কিনে তাকিয়ে দেখি "স্পোর্শিয়া জান্নাত" আইডি থেকে একটা মেসেজ আসলো।
মেসেজটা হলো
- কেমন আছো?
- ভাবলাম ফেইক তাই কিছু বললাম না।(আমি)
একটু পর,,
- ওই কিছু বলছো না কেন, মেসেজ সিন করে?
- কি বলবো?
- সেটা কি আমি বলতে হবে?
- হুম।
- কুত্তা এতো রাতে ফেসবুকে কি করিস?
- আপনি কে? আমাকে চিনেন? এমন ব্যবহার করছেন কেন?
- কুওা বলদ,, আমি তোকে খুব ভালো করে চিনি। নিজের ভালবাসাকে কে না চিনে।আর হ্যা কয়েকদিন পর তো আমাদের বিয়েই হবে।
- মানে?
- রাকিব আমি কিন্তু তোমাকে অনেক আগে থেকে ভালবাসি।
- আপনি কে? আর আমার নাম জানলেন কি করে? আইডিতে তো নাম দেওয়া নাই?
- এ মা, ছাগল টা বলে কি?কয়েকদিন পার আমাদের বিয়েহবে আর আমি নাম জানবো না?
- বিবাহ হবে মানে!! আপনি কে?
- তাতো বলবো না।
- কেন?
- চিনে ফেলবে।
- ওহ্, তাহলে দরকার নেই।
- আমার দরকার আছে।
- কিসের?
- তোমাকে পাওয়ার।
- কি বলছেন এগুলো?
- ওই শয়তান, মেয়েদের সাথে তো অনেক ভাব নাও,, যে তোমাকে ভালবাসে তার সাথে ভাব নিলে তোমাকে আমি চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো।
- আপনি তো খুব গুন্ডী টাইপের।
- আমি আমার ভালবাসার জন্য সব করতে পারি।
- আচ্ছা, তাইলে অপেক্ষা করেন।
- কিসের?
- ব্লক খাওয়ার।
( এটা দেওয়ার পর কল দিছে, ম্যাসেঞ্জারে
কি না কি ভেবে ধরলাম কলটা।)
- হ্যালো,
- (ফুপানির শব্দ)
- কিছু বলছেন না কেন?
- (কান্না সুরে)ওই তুই শুধু আমারে ব্লক দে, তোরে আমি টান দিয়ে ফাইরালামু।
- ( কথা শুইনা মাথা চক্কর দিয়া উঠলো) কি বলছেন?
- তোকে আমি অনেক ভালবাসি, এ কাজ করে দ্যাখ! দেখিস তোরে কি করি!!
- আপনি কি চান?
- তোর ভালবাসা।
- আপনি কাল আমার সাথে দেখা করেন।
- না।
- কেন? আমাকে যে ভালবাসে তাকে দেখতে হবে না??
- যখন আমাদের বিবাহ হবে তখন দেখবে।
- হাহাহা,
- দাত ভেঙে ফেলবো,, ঘুমাও এখন। রাখলাম, গুড নাইট।
.
কি হলো এটা কিছুই বুঝতে পারলাম না। মেয়েটি কে? যে আমাকে এতো ভালবাসে। সামনেও আসতে চায় না আবার বলে আমাদের বিবাহ হবে।
আসল পরিচয় টাও জানি না,,!!
.
যাইহোক, কোথাকার কে! আমার মাথা ঘামিয়ে কাজ নেই। কিন্তু কন্ঠ টা সেইরকম ছিলো, খুব সুন্দর। চেহারাটাও মনে হয় আরও সুন্দর।
.
.
.
এই দিকে আম্মু-আব্বু আছে বিবাহ নিয়ে।বাড়িতে গেলেই এবার বিবাহ কর,বিবাহ কর।দুর ভাল্লাগেনা, খালি বিয়া,বিয়া।সবে মাত্র নিজেকেই ঘুছিয়ে নিতে পারলাম না।এতো তাড়াতাড়ি বিবাহ?
বুঝি না আম্মু-আব্বু কেনো এমন টা করছে।তাদের ছেলেকে তো বুঝতে হবে।
.
.
.
.
অফিস শেষে বাড়ি যেতেই ফোন বেজে উঠলো,, অচেনা নাম্বার থেকে কল ধরলাম।
- এইযে মিঃ রাকিব ফেসবুকে আসো এখন।
- আপনি কে?
- তোমার ভালবাসার মেয়ে।
- (চিনতে পারলাম) ফোন দিছেন কেন?
- বললাম তো।
- যদি না যাই।
- মেরে হাত পা ভেঙে দিব।
.
কি মেয়ের পাল্লায় পড়লাম রে বাবা। এতো দেখি কথায় কথায় থ্রেড দেয়। আর আমার নাম্বার পেল কই। নিশ্চিত কারও কাছ থেকে জোগাড় করছে,,
সাত-পাঁচ করেই ফেসবুকে গেলাম।
ফেসবুকে জিগেস করব,নাম্বার কই পাইছে।
অনেক মেয়ে দেখছি, এমন দেখি নাই কোনো দিন।
.
এরপর থেকে রোজ ওর সাথে ফেসবুকে চ্যাটিং হতো, ফোনে কথা বলতাম খুব কম। নিজের অনিচ্ছা থাকলেও ওর সাথে কথা বলতাম। কারণ ও আমার কাছ থেকে না শব্দ শুনলেই নানা রকম হুমকি দিতো, তাই আমি জোর পূর্বক ওর সাথে কথা বলতাম। খুব ভয় করতো এই গুন্ডীটার কথাবার্তা, আর আচরণ।
ওকে অনেকবার জিগেস করছি ওর পরিচয় দিতে কিন্তু ও একেবারে ফাইনাল করেই দিছে বিয়ের কিছু দিন আগে বলবে। আর আমিই বা ওকে কই গিয়ে খুঁজবো?
.
এভাবে কয়েক মাস চলে গেল। এখন আমারও ওর বকবক শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে। ভালই লাগে শুনতে। আগে ভালো লাগতো না কিন্তু এখন ভালো লাগে।
ওর ওই মিষ্টি কন্ঠ টা এখন সবসময়ই শুনতে ইচ্ছে করে এখন কিন্তু পারি না।
ফোন দিতো খুব কম। বেশী সময় ফেসবুকে চ্যাটিং হতো। আমিও আর উপর দিয়ে কোনো দিন ফোন দেইনি,, আর এখন যদি দেই তাইলে কেমন দেখায়??
আমার মনেও এখন আস্তে আস্তে ওই মিষ্টি কণ্ঠের মেয়েটা জায়গা নেওয়া শুরু করছে। অনেক টা জায়গা ইতিমধ্যে দখল করে নিছে। নিজের অজান্তেই এতদিন কথা বলতে বলতে কখন যে ওর ভালবাসার বাধনে জড়িয়ে গেছি নিজেও জানি না। আমারও এখন ওকে কাছে থেকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমি বলিনা। দেখি না, কতদিন থাকতে পারে আর!!
.
.
কিছু দিন যাবত অসুস্থ,অফিসেও যাওয়া হয় না।
১০ দিনের দিন অফিসে গেলাম, কিছুটা সুস্থ হলাম, সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি আমার পাশে বসে কেউ একজন কাঁদছে।
ভালো করে তাকিয়ে দেখি মিষ্টি একটি মেয়ে। মনে হয় রাতে ঘুমায় নাই, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।<
.
কিন্তু কে এটা। কেনই বা কাঁদছে? আর কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে। কই যেন দেখছি!! কিন্তু সে সময় মন করতে পারছি না।
শুধু দেখলাম মা ওকে সান্তনা দিচ্ছে,, আমার কিছু হয়নি বলে।
.
তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। দুপুরে ঘুম ভাঙলো আবার। এখন অনেকটা সুস্থ মনে হচ্ছে।
উঠে বসলাম। কিন্তু এখন আমার পাশে সেই কেউ নেই। কোথাও দেখছি না তো।
মনে হয় সকাল বেলা জ্বরের ঘোরে সপ্ন দেখছি।
.
এই ভেবে বিষয় টা উড়িয়ে দিলাম। একটু পর হালকা খেয়ে নিলাম। তারপর নিজের শরীরে কিছু শক্তি পেলাম মনে হলো। শরীর টা খুব ভালো লাগছে।<
তাই ভাবলাম একটু ছাদে যাই।
.
বিকেল হয়ে গেছে প্রায়,, ঠান্ডা বাতাস বইছে হয়তো ছাদে। ভালোই লাগবে, যাই এখন ছাদে।
ছাদে গিয়ে আমার চক্ষু চড়কগাছ। এতো দেখি সেই মিষ্টি মেয়েটা। ছাদের এক কোণে দাড়িয়ে আছে।
একদম পরীর মতো লাগছে।
.
আমি কাছে যেতেই দৌড়ে আমার বুকে এসে ঝাপিয়ে পড়লো। আর কান্না করতে লাগলো।
.
- এই কি করছেন ছাড়ুন।
- না।
- কেন?
- ভালবাসি তাই।
- আমি আপনাকে চিনে না,, আর আমাকে বলছেন ভালবাসি?(যদিও ফেসবুকে চ্যাটিং হতো।কিন্তু কোনো দিন একটা ছবি দেয় নাই।কিছু বললে বলে পরে)
- এতদিন আমার সাথে কথা বলে এখন কাছে থেকেও চিনতে পারছো না তাই না?
- তার মানে তুমি!!
- হুম।
- কিন্তু আম্মু-আব্বুকেম্যানেজ করলে কেমনে?
- তুমি ফেসবুকে না আসায় তোমাকে ফোন করছিলাম, আন্টি ধরছিল।আর হ্যা উনি সব জানে।আমার সাথে বিয়াও ঠিক করে রাখছিলো।আন্টি আর আম্মু একই ক্লাসে পড়তো দুইজন বান্ধবী ছিল।
- আমিতো কিছুই জানি না।
-জানবে কি করে।তুমিতো বিয়েই করতে চাও না।
এবার তো বলো ভালবাসি।
- কিভাবে বলি, লজ্জা করছে তো।
- কিইইই,,,, যত্তোসব, ফালতু পোলা!!। লজ্জা করছে এখন?? তাড়াতাড়ি বল বলছি, নইলে হাত পা ভেঙে দিব এখনই।।
- এই না না বলছি তো। আমি তোমাকে এত্তো গুলো ভালবাসি।
- সত্যিই?
- হুম।
.
- আরে ছাড়ো কি করছো, এতো শক্ত করে কেউ জড়িয়ে ধরে।
- আমি ধরবই।
- উফফফ তোমার ডাকনাম টাই তো জানি না,জান্নাত নাকি।
-কি?তুমি আমার নামই জানো না।
তোমার সাথে আর কথা নাই।আমার পুরো নাম "জান্নাতুল ফেরদৌস তিশি"।
- ভালই তো,, কিন্তু স্বভাব গুন্ডা বা ডাকাতের মতো।
- কিইইই,,
- না, তুমি তো গুড গার্ল।
- হুম।
.
আমাদের পরিবার গত ভাবেই বিয়ে সম্পূর্ণ হলো।
আসলে বিয়ে না হলে আমি জানতামই না আম্মুর কোনো বান্ধবী ছিলো।বা বান্ধবীর এমন কোনো মিষ্টি একটা মেয়ে ছিল।
.
আরে আমার পরিচয় টাও তো দেওয়া হয়নি আপনাদের।
আমি আল আদনান রাকিব।পড়ালেখা শেষ করে এখন ছোট-খাটো একটা কম্পানিতে জব করি।আর এতক্ষন যার সাথে এত্তোগুলা কাহিনি হলো, সে কে আপনার তো জানেনই।তো আমদের বিয়ের পরে আমি তাকে তিশিতা বলে ডাকতাম।আসলে এই নামে ওকে ডাকতে আমার ভালো লাগতো।আসলে মেয়েটা কিছু গুন্ডী টাইপের কিন্তু প্রচন্ড রকমের ভালোবাসতে জানে।
.
.
বিয়ের কয়েক মাস পর--
বিয়ের পর পরই গুন্ডামিটা একটু কমে গেল।
--- কি করতাছো এইটা???(তিশিতা)
--- কই কি করলাম???(আমি)
--- তুমি এখন কোথায়???(তিশিতা)
--- কেনো??? বাসায়, তোমার পাশে... (আমি)
--- কচু!!!
--- কিন্তু হঠাৎ তুমি এভাবে রেগে যাচ্ছো ক্যান???
আমি কি করলাম?
--- নাহ,,, তুমি কিছু করোনাই,সব করছি আমি।
তোমাকে বিয়ে করাটাই আমার ভুল ছিল,
আম্মু ঠিকই বলেছিলো ছেলেদের বিশ্বাস নেই,
এএএএএএএএ
--- আহা আ আ স্যরি, বাবু.... প্লিজ
থামো, আচ্ছা বাবা বলবাতো কি করছি???
--- তুমি ল্যাপটপ ওপেন করলা ক্যান???
সারাক্ষণ সময় দাওনা, সারাদিন জব নিয়া
বিজি থাকো, বাসায় এসেও...
--- ওহ.. হো... স্যরি হালকা কিছু কাজ বাকি
ছিল তাই সেগুলো সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম
আচ্ছা ঠিকাছে, এই দেখো সব বাদ....' চলো
দুজনে মিলে গান ধরি...।
--- চুপ...!!! হইছে ঢং দেখাতে হবেনা,
আর ঢং করলে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলবো!
আমি
গেলাম...!!
--- এ এ এইইই কই যাও???
--- হুহ...!!! আম্মুর সাথে শুবো আজকে।
--- তাইলে যা...!
--- আবার...????
--- আ আ আচ্ছা ঠিকাছে, গান না। আপনি যা
বলেন তাই হবে ম্যাডাম...।
--- হুমমমম......। গুড বয় চলো কি করা
যায়??? চলো বৃষ্টিতে ভিজি।(বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে তাই তিশিতা এমন আবদার করল)
--- মানে কি??? কাল আমার অনেক কাজ।
--- বাই,,, গুড নাইট....
--- তি,, তি,, তিশিতা ...
..
ধুম করিয়া দরজা আটকে নিজের রুম ছেড়ে
আম্মুর রুমের দিকে হাঁটা শুরু করলো তিশিতা ।
পেছনে আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে
আছে...!!!
..
--- উফফ...!!! মেয়েটাকে নিয়ে পারা যায় না।
শুধু শুধু রাগ করে, বিয়ের আগেও অনেক হুমকি দিয়ে
এরকম হাজারও ইচ্ছা পূরণ করে আসতে হচ্ছে।
ভেবেছিলাম বিয়ের পর একটু শান্তিতে
থাকবো, সে আমার আমি তার আহা। কিন্তু
মাঝখানে "অভিমান " নামক শব্দটা কোথা
থেকে জানি এসে বাম হাত ঢুকিয়ে দেয় বার
বার। ধুর ভাল্লাগেনা।
..
আমি নিজের সাথে নিজে বিড়বিড় করে
বলতে থাকা কথাগুলো দরজার ওপাশে
তিশিতা
কান পেতে শুনে হাঁসি থামাতে পারছেনা।
"মেয়েদের এই একটাই দোষ প্রিয়
মানুষগুলোকে বার বার বিরক্ত করে আর
রাগিয়ে মজা পায়।" তবে মনের ভেতর
ভালোবাসার স্থানটাও থাকে ঠিক ততটাই
নিখুঁত। আম্মুর রুমে যাওয়ার সাহস হচ্ছেনা
আমার। আম্মু রেগে গেলে খবর আছে, কারণ
তখন তিশিতার দিকেই বিচারটা হয় হালকা,
সামান্য দোষেও অনেকবার কান মলা
খেয়েছিলাম আমি !
" আম্মু টাও না কেমন জানি, নিজের ছেলের
পক্ষ না নিয়ে বার বার ছেলের বৌয়ের পক্ষ
নেয়, হাহ...। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে
বেলকনির দিকে গিয়ে আকাশ দেখায় ব্যস্ত
হয়ে পড়ে আমি। হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, এসময়
হাতে এক কাপ চায়ের সাথে গান গাইতে
পারলে প্রচুর ভাল লাগতো...। কিন্তু চা
বানিয়ে দেওয়ার মানুষটাতো চলে গেলো...।
কি আর করার। গান শুরু করলাম আমি নিজেই ,,,
..
--- এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে..। সময়
আমার কাটেনা...
..
হঠাৎ পিটে একটা গরম নিশ্বাস অনুভব করলাম, কেউ একজন তাকে জড়িয়ে ধরেছে
পেছন থেকে...।
..
--- হুমমম... আমি কি কারো সাথে পালিয়ে
গেছি নাকি? যেভাবে গান ধরলা " তুমি নেই
বলে... " তোমাকে...
--- আহা লাগছে তো.. স্যরি বাবু আজকের পর
থেকে অফিসের কাজ অফিসে... বাসায়
আসলে বৌ বৌ বৌ....
--- এই এই চুপ..। বাসার সবাই ঘুমাচ্ছে...
--- ওহ..
--- এই নাও তোমার চা...!!!
--- চা আ আ আ???
--- হুম... ঐ সময় চা বানাতে গেছিলাম, নাকি
এটাও ভুলে গেলে বৃষ্টির আমি দিনে চা
খেতে ভালোবাসি।
--- নাহ,নিজেরে ভুলবো, তোমার আহ্লাদী
এটিউড ভুলা অত সহজ না।
--- হয়ছে আর কাব্যিক হতে হবেনা..।
..
বলেই আমার নাকে আলতো করে একটা
খোঁচা দেয় তিশিতা। হালকা ব্যাথা পেলেও
সয়ে নেয়, কিছুই করার নাই। আবার রেগে
গেলে বিপদ..। চুপচাপ দাঁড়িয়ে দুজনেই বৃষ্টি
দেখছে...। তিশিতা একটু পর পর হাতে পানি
নিয়ে আমার দিকে ছুঁড়ে মারার বৃথা
চেষ্টা করছে...। বোকা ছেলে হয়ে, হাবার
মতো হা করে তাকিয়ে আছি তিশিতার
দিকে। সে বৃষ্টি নিয়ে বাচ্চাদের মতো পানি
ছিটাচ্ছে, আর বার বার হাসছিল... স্বর্গের
একটুকরো আনন্দ যেন আমার মনে এসে ছুঁয়ে
গেল..।
"বৃষ্টি সুন্দর, বৃষ্টির আওয়াজ সুন্দর, পাশে প্রিয়
মানুষটি থাকলে প্রকৃতির সৌন্দর্যের
মাত্রাটা যেন আরো বেড়ে যায়।।".........

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন