মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

ধর্ষন

কলেজের প্রথম দিন ক্লাসে ডুকবো এমন সময়,
.
>ওই বাটপার।
আমি ভাবলাম নিলা কারন নিলা ছাড়া আমাকে কেউ বাটপার বলে ডাকে না।
.
পিছন ফিরে অবাক হয়ে গেলাম এটা তো নিলা নয়।এ তো অন্য কেউ।😱
.
>এই যে আপনি আমাকে বাটপার বললেন কেন? 😈
.
>উহ সরি আমি ভেবে ছিলাম আবির কারন ও বলে ছিল ও আজ নীল শাট পরে আসবে আর পিছন আমি ভেবেছিলাম আবির। সরি
.
>হুম ঠিক আছে কিন্তু এর পর পিছন থেকে কাউকে বাটপার বলে ডাক দিবা না সামনে থেকে বলবা ওকে।
.
>ওকে....আর একটা কথা বলি..?
.
>হুম বলো.
.
>আপনাকে দেখতেও না বাটপারে মতো!
.
>মানে...?😒
.
>যে ভাব ধরে এখানে আসছেন। একজন
ভালো ছেলে এতো ভাব নিয়া কলেজে
আসে না। তারা আসে পড়তে আর আপনার
মতো ছেলেরা কলেজে ভাব নিয়া আসে
লুচ্চামি করার জন্য।
.
>এই মেয়ে তুই আমকে চিনিস না তাও বাটপার বললি আবার লুচ্চাও বললি....কেন আমি তোকে কি করছি রে...?
.
>দেখেন আমাকে তুই করে বলবেন না তুই
শব্দ টা আমি শুনতে পারি না।কিন্তু তুই
করে গালি দিতে পারি।তুই একটা পাগল
তুই একটা ছাগল তুই একটা গাধা তুই একটা
তু,, তু,,,, আর বলতে পারলো না মেয়েটা
দেখি পরে গেলো নিচে বুঝতে পারলাম
না কি হলো এর পর সবাই এসে দেখে
মেয়েটা অঙ্গান হয়ে গেছে।আমরা সবাই
মিলে মেয়েটাকে হসপিটালে নিয়ে
গেলাম তার পর মেয়েটার মোবাইল থেকে
ওর বাবা কে ফোন দিয় হসপিটালে আসতে
বল্লাম।পরে তারা আসলো।
.
এর পর তারা
বল্লো কিভাবে হলো এটা ।মনে হয় কারো
সাথে ঝগড়া করতে গিয়ে হয়েছে। -হ্যা
আপনে বুঝলেন কিভাবে? -আমার মেয়ে
আমি বুঝবো না।
-তো এর কারন কি?আমাকে সে চিনে না
জানে না আমাকে বাটপার, লুচ্চা, পাগল,
ছাগল এসব বলতে বলতে অঙ্গান হয় পরলো।একটু বলবেন এর কারনটা কি?
.
>শোন তাহলে!
.
.
.
দু:খের কথা
আর কি বলবো।আমার মেয়েটা যখন S.S.C
পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যাইতো
প্রথম দিন থেকেই ঐ এলাকার কয়েক টা
খারাপ ছেলে আমার মেয়ে কে প্রতিদিন
বিরক্ত করতো। ছেলে গুলো অনেক
খারাপ খারাপ কথা বলতো আমার
মেয়েকে। একদিন আমাকে এসব কথা বলে
আরো
বলে আমি একা একা পরীক্ষা দিতে
যাইতে পারবো না আমার সাথে তুমিও
যাবে বাবা। ওকে মা ঠিক আছে। ভয় পাস
না আমি আগামী কাল থেকে যাবো তোর
সাথে।যাওয়া শুরু করলাম কেন্দ্রে
প্রতিদিন দেখতাম ঐ বাটপার ছেলে গুলো
রাস্তার পাশে দারিয়ে থাকতো আমার
মেয়ের সাথে আমি থাকায় কিছু বলতে
সাহস পায় না। পরীক্ষা আর দুইটা আছে
আর তখনি আমার একটা কাজের জন্য ঢাকা
আসতে হলো।আমার মেয়েটার জন্য
চিন্তায় পরে গেলাম।না আবার ওর কোন
খতি করে ফেলে। বিকালে ফোন দিলাম
মেয়েটার কাছে। কিরে মা আজকে
পরীক্ষা দিলি কেমন?আব্বু ভালো।মা
আজকে তো ঐ ছেলে গুলো তোকে আবার
কিছু বলে নাই তো??না আব্বু আজ তো
তাদের দেখি নাই মনে হয় তারা আর
আসবে না।চিন্তা টা মুক্ত হলো মা।ভাল
থাকিস আমি কাল কে বিকালের দিকে
আসবো আর ভালো মতো
পরীঞা দিস আমি ।ওকে আব্বু।--আজকে
শেষ পরীক্ষা
আমার। এরপর থেকে প্রায় দুই মাসের মতো
স্বাধীন ভাবে উড়তে পারবো কতো দিন
ধরে দাদু বাড়ি, নানু বাড়ি, খালা
বাড়ি,ফুফির বাড়ি যাই না। এখন সব
বাড়িতে গিয়ে থেকে আসবো ভাবতে
কেমন জানি ভালো লাগছে।তো গেলাম
আমি পরীক্ষা দিতে। যাইতে সময়
রাস্তার
পাশে সেই ছেলে গুলো ছিল না তাই
দেখে মন টা খুশিতে ভরে গেলো।পরীঞা
আজ অনেক ভালো হয়েছে।এখন আমি
স্বাধীন।যারা পরীক্ষা দিয়েছে তারা
সবাই
স্বাধীন।বাড়ির দিকে যাচ্ছি আর তখনি
সেই বকাটে ছেলে গুলো রাস্তার পাশে
বসে আছে আমাকে দেখে আমার দিকেই
আসছে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
আমি তারা তাড়ি হাঁটা শুরু করলাম।তার
পরেও দেখি আমার পিছন পিছনে আসছে
পরে আমাকে ওরা ধরেই ফেললো।এর পর
বলে শালি তুই আমাদের ভয়ে তোর বাবা
কে
নিয়ে আইছস পরীক্ষা দিতে। আজ তোর
বাবা
কই?তোর আজকে খবর আছে। ঐ তোরা পাঁচ
জন
আমাকে কি করবি রে তোরা তো একটা
বাটপার পোলা। তগো ঘরে কি মা বোন
নাই। তোর বোন কে যদি কেও এভাবে
ডিষ্টাপ করতো তুই তখন কি করতি।তগো
এলাকায় পরীক্ষা দিতে আইছি দেখে
তোরা
যা খুশি তাই করবি । এই কথা বলতে
দেরি আর তখনি ছেলে গুলো ওর উপরে
ঝাপিয়ে পরে। দেখ আমরা কি করতে
পারি। তার পরে ওকে রাস্তার পাশে
জঙ্গলে নিয়ে য়ায়। এর পর তারা রেপ করে
তাদের মনের আশা পুরন করে। তার পরে
সেই ছেলে গুলো চলে যায় আর আমার
মেয়েটা সেখানেই পরে থাকে।ঢাকা
থেকে বাড়ি এসে শুনতে পাই মেয়েটা
এখনো বাড়ি আসে নাই আমার বুঝতে
দেরি হলো না আর আমি সাথে সাথে
চলে গেলাম। সেই কেন্দ্রে খুজে পেলাম
না। অনেক খুজা খুজি করে বাড়ি আসলাম।
বাড়ি এসে শুনি আমার মেয়ে
হসপিটালে।
আমরা হসপিটালে গেলাম।মেয়েটা কে
দেখে আমাদের চোখ দিয়ে পানি বের
হতে শুরু করলো।ডাক্তার সাহেব এসে সব
রির্পোট বিস্তারিত ভাবে বলছে।আপনার
মেয়ে কে রেপ করা হয়েছে। আর আপনার
মেয়ে মাথায় প্রচুর পরিমানে আঘাত
পেয়েছে এর কারনে আপনে মেয়ে কোন
ছেলেকে দেখতে পারবে না সে ভালো
হোক আর খারাপ ছেলে হোক।এমনো হতে
পারে এর কারনে আপনার মেয়ের জীবনে
আর বিয়ে নাও হতে পারে কারন সে
কোনো ছেলে কে দেখতে পারবে না এবং
আপনাকে ও দেখতে পারবে না সব সময়
ঝগড়া করবে আপনার সাথে। ডাক্তার
সহেব যা বলছে তাই হলো।আমার মেয়েটা
অনেক মেধাবি S.S.C তে গোল্ডেন
পাইছে।।
আমার মেয়ের স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হয়ে
অসহায় গরিব দু:খীদের বিনা মূল্য
চিকিৎসা
করবে।
এই স্বপ্ন টা পূরণ করার জন্য আমি ওকে
কলেজে ভর্তি করলাম।কিন্তু এখানে এসে
আপনাদের সাথে যে আচরণ করেছে এর জন্য
আমি দুঃখিত।এসব কথা কাঁদতে কাঁদতে
বললো আঙ্কেল। আমাদের চোখেও পানি
চলে এসেছে আঙ্কেলের কথা গুলো শুনে।
আমরা কিছুই বলতে পারলাম না শুধু এই টুকু
বললাম, সেই বকাটে ছেলে গুলো কি
শাস্তি পেয়েছে?।হ্যাঁ তাদের কে
পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে।
-
পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে তাতে কি সব
সমস্যার সমাধান হয়েছে!!! না
হয়নি;.ওরা কি পারবে ফিরিয়ে দিতে
মেয়েটার আগের জীবন। যে জীবনে ছিল
অনেক স্বপ্ন অনেক আশা ।সেই জীবন
পারবে ওরা ফিরিয়ে দিতে? যে লাইফে
থাকবে স্বামী,ঘর, সংসার।থাকবে ছোট্ট
একটা বাচ্ছা। সব সময় হাসি - খুশি,
ভালবাসা থাকবে সেই লাইফে পারবে
সেই লাইফ ফিরিয়ে দিতে পারবে না।
কারন ও তো জীবনে কোন ছেলে কে বিয়ে
করা তো দুরের কথা কোন ছেলে কে সহ্য
করতে পারবে না।এসব কি ফিরিয়ে দিতে
পারবে। না পারবে না। ঐ ছেলে গুলো খুব
হইলে এক বছর জেল হবে বা তার আরো
আগে বের হতে পারে টাকার ক্ষমতাই। আর
মেয়েটার তো সারা জীবনটাই বরর্বাত।
কোটি কোটি টাকা দিযেও যদি
মেয়েটাকে চিকিৎসা করা হয় তা হলেও
ভালো হবেনা।😞

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন