ভেবোনা নীল
এই পৃথিবীতে না থাকব আমি না থাকবে তোমার মিথ্যে ভালবাসার প্রতীক।
হাতে ঘুমের ওষুধের শিশি টা আছে,পরম যত্নে আমায় আর আমাদের বাবুটাকে ঘুম পারিয়ে দিবে সারাজিবনের জন্য।
.
তুমি আমায় ঠকাওনি ঠকেছি আমি,৫ ঘন্টা অপেক্ষা করলাম স্টেশনে আসোনি।
আমাদের শেষ ফোনে কথা হয় ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ড।
বেশ গুছিয়ে বলে দিয়েছো আমাদের মধ্যে যা হয়েছে দুর্ঘটনা ভেবে ভুলে যেতে,আর আমাদের বাচ্চাটা এব্যোয়েশন করে নিতে।
তুমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছো আমাকে বিয়ে করে এই বোঝা নিতে চাওনি,তাতে তোমার সপ্ন পূরনে ব্যাঘাত ঘটবে।
আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে বন্ধ করে দিলে।
আমার পেটে বেড়ে উঠা জলজ্যান্ত শিশুটা কে মেরে অপরাধবোধ কাধে নিয়ে ভালো থাকার শক্তি বা ক্ষমতা নেই আমার নীল।
তাই দুজন ই চলে যাবো।তাতে অন্তত অপরাধবোধ কাধে নিয়ে বেচে থাকতে হবেনা।
.
এ ভুল শুধরোতে পারবনা তবে,মুক্তি পাওয়ার জন্য মৃত্যু ছাড়া আর কিছু দেখছিনা।
জানো এখন আমি ট্রেনে আছি,আমার পাশে একটা বাবু বসে আছে,আচ্ছা আমাদের বাবুটাও একসময় পাশে বসা বাবুটার মত কিউট চঞ্চল হত তাইনা..?
কেন আসলেনা নীল...
চার বছরের সমপর্ক কি করে অস্বিকার করলে,কস্ট হয়না তোমার...?
এখন আমি বাড়িতে এসেছি,জানো আজ আমি বমি করেছি ৩বার।মা আমায় অনেক প্রশ্ন করেছে,আমি পারিনি চুপ থাকতে।বলে দিয়েছি আমি তুমার বাচ্চার মা...
সেদিন মা খুব বকেছে আমায়,জোড় করে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে গেছে এব্যোয়েশন করার জন্য,কিন্ত এব্যোয়েশন এখন করানো সম্ভব নয় ৬মাস হয়ে গেছে।
৬মাস হয়েছে অথচ বুঝতেই পারলাম না।
এখন বাচ্চা এব্যোয়েশন করালে লাইফ রিস্ক।তাই অনেক ভেবে চিনতে মা এই রিস্ক নিতে চায় নি,পৃথিবীতে আমি ছাড়া মায়ের কেউ নেই।
তারপর মা বাসা পালটিয়ে ফেলে,
আমরা এখন নতুন বাসায় থাকি।
প্রথম প্রথম মা আমার উপর রেগে ছিল,তারপর মা ই আমায় সামলে রাখে।আচ্ছা মায়েরা এমনি হয় তাইনা..??
পুরো ৩মাস আমি ঘড় থেকে বের হইনি এখন আমাদের বাবুটার ৯মাস।
জানো ও মাঝে মাঝে পেটে লাথি মারে,নড়ে উঠে সেই অনুভূতি কেমন তা মায়েরা ছাড়া কেউ বুঝবেনা কেউ না।
.
শেষ কেঁদেছিলাম স্টেশনে বসে খুব কেঁদেছি।
এখন আর কাঁদতে পারিনা,চাইলেও না,তুমার সন্তান যে আমার মধ্যে বেড়ে উঠছে সেই খুশিতে কাঁদতে পারিনা,তুমাকেও ঘৃনা করতে পারিনা।
মন থেকে বিশ্বাস জন্মায় তুমি আসবে...
তখন আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকব আর বাবুটাও আমার পাশে শুয়ে থাকবে।তুমি এসে বোকা বোকা মুখ আর আকাশ সমান খুশি নিয়ে আমাদের বাবুকে কুলে নিবে।
তখনকার মূহুর্তটা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মূহুর্ত মনে হবে।
আচ্ছা নীল তুমি কি চাও?মেয়ে না ছেলে?
আমার মেয়ে চাই।
এখন ৯মাস ৭ দিন চলছে,আর কয়েকদিন বাকি আমাদের সন্তান এই পৃথীবির আলো দেখবে।
ডাক্তারের অনুযায়ী আমাদের বাবুটা হতে আর ৪দিন বাকি,একরাশ অপেক্ষা নিয়ে অপেক্ষায় আছি।
নীল তুমি আসবেতো?
অপেক্ষায় আছি...
...
তারপর আর কিছু লিখা ছিল না ডাইরিটিতে...ছোট শব্দে শেষ লিখা ছিল অপেক্ষায় আছি..
হ্যা আমি নীল,সেই নীল যে কথা নামের মেয়েটিকে কে ছেড়ে চলে গিয়েছিল স্বার্থপরের মত।নিজের সপ্ন পূরনের তাগিদে...
কথা তুমি যেমন টা চেয়েছিলে ঠিক তেমন টা হয়েছে।
তুমার ডাইরির লিখার মত,
এখন আমি,তোমার ডাইরিটা,আমাদের বাবুটা আর হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা একটা নিষ্পাপ ঘুমন্ত মুখ।সে মুখটা তোমার।কিন্ত সে মুখে হাসি নেই,কখনো থাকবেও না,কখনো কথা বলবেনা,আর কখনো জাগবেনা।
আচ্ছা কথা তুমার ডাইরি তে তো এটা লিখা ছিল না যে আমাদের বাবুটা জন্ম হওয়ার পড় পড় তুমি 'কখনো ফিরে না আসার দেশে চলে যাবে...?
কেন বলো?
কথা বেচে নেই,শশীকে জন্ম দিয়েই মারা গেছে।
...
কয়েকবছর পর...
সেদিন শেষ কেঁদেছিলাম,কথার ওই ঘুমন্ত শরীরের পাশে বসে,এখন আর কাঁদতে পারিনা ইচ্ছে হলেওনা।
এখন আমিও ডাইরি লিখি প্রতিটা লাইনে কমপক্ষে চার বার করে কথা নামটা লেখতে ইচ্ছে করে,লিখিও।আমি জানি কথাও আমার ডাইরি টি চুপি চুপি এসে পড়ে যায়।
ছোট শশীর মাঝে আমি কথাকে পাই।
আমার আর কথার ভালোবাসার প্রতীক এই শশী।
শশী ঘুমোচ্ছে,আর আমি ডাইরি লিখছি,প্রতিটি লাইনে কথা নামটা চার বার করে লিখছি,আমি জানি কথা আমার ডাইরিটি পড়তে আসবে..
জানি..!!!
এই পৃথিবীতে না থাকব আমি না থাকবে তোমার মিথ্যে ভালবাসার প্রতীক।
হাতে ঘুমের ওষুধের শিশি টা আছে,পরম যত্নে আমায় আর আমাদের বাবুটাকে ঘুম পারিয়ে দিবে সারাজিবনের জন্য।
.
তুমি আমায় ঠকাওনি ঠকেছি আমি,৫ ঘন্টা অপেক্ষা করলাম স্টেশনে আসোনি।
আমাদের শেষ ফোনে কথা হয় ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ড।
বেশ গুছিয়ে বলে দিয়েছো আমাদের মধ্যে যা হয়েছে দুর্ঘটনা ভেবে ভুলে যেতে,আর আমাদের বাচ্চাটা এব্যোয়েশন করে নিতে।
তুমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছো আমাকে বিয়ে করে এই বোঝা নিতে চাওনি,তাতে তোমার সপ্ন পূরনে ব্যাঘাত ঘটবে।
আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে বন্ধ করে দিলে।
আমার পেটে বেড়ে উঠা জলজ্যান্ত শিশুটা কে মেরে অপরাধবোধ কাধে নিয়ে ভালো থাকার শক্তি বা ক্ষমতা নেই আমার নীল।
তাই দুজন ই চলে যাবো।তাতে অন্তত অপরাধবোধ কাধে নিয়ে বেচে থাকতে হবেনা।
.
এ ভুল শুধরোতে পারবনা তবে,মুক্তি পাওয়ার জন্য মৃত্যু ছাড়া আর কিছু দেখছিনা।
জানো এখন আমি ট্রেনে আছি,আমার পাশে একটা বাবু বসে আছে,আচ্ছা আমাদের বাবুটাও একসময় পাশে বসা বাবুটার মত কিউট চঞ্চল হত তাইনা..?
কেন আসলেনা নীল...
চার বছরের সমপর্ক কি করে অস্বিকার করলে,কস্ট হয়না তোমার...?
এখন আমি বাড়িতে এসেছি,জানো আজ আমি বমি করেছি ৩বার।মা আমায় অনেক প্রশ্ন করেছে,আমি পারিনি চুপ থাকতে।বলে দিয়েছি আমি তুমার বাচ্চার মা...
সেদিন মা খুব বকেছে আমায়,জোড় করে ডাক্তারের কাছেও নিয়ে গেছে এব্যোয়েশন করার জন্য,কিন্ত এব্যোয়েশন এখন করানো সম্ভব নয় ৬মাস হয়ে গেছে।
৬মাস হয়েছে অথচ বুঝতেই পারলাম না।
এখন বাচ্চা এব্যোয়েশন করালে লাইফ রিস্ক।তাই অনেক ভেবে চিনতে মা এই রিস্ক নিতে চায় নি,পৃথিবীতে আমি ছাড়া মায়ের কেউ নেই।
তারপর মা বাসা পালটিয়ে ফেলে,
আমরা এখন নতুন বাসায় থাকি।
প্রথম প্রথম মা আমার উপর রেগে ছিল,তারপর মা ই আমায় সামলে রাখে।আচ্ছা মায়েরা এমনি হয় তাইনা..??
পুরো ৩মাস আমি ঘড় থেকে বের হইনি এখন আমাদের বাবুটার ৯মাস।
জানো ও মাঝে মাঝে পেটে লাথি মারে,নড়ে উঠে সেই অনুভূতি কেমন তা মায়েরা ছাড়া কেউ বুঝবেনা কেউ না।
.
শেষ কেঁদেছিলাম স্টেশনে বসে খুব কেঁদেছি।
এখন আর কাঁদতে পারিনা,চাইলেও না,তুমার সন্তান যে আমার মধ্যে বেড়ে উঠছে সেই খুশিতে কাঁদতে পারিনা,তুমাকেও ঘৃনা করতে পারিনা।
মন থেকে বিশ্বাস জন্মায় তুমি আসবে...
তখন আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকব আর বাবুটাও আমার পাশে শুয়ে থাকবে।তুমি এসে বোকা বোকা মুখ আর আকাশ সমান খুশি নিয়ে আমাদের বাবুকে কুলে নিবে।
তখনকার মূহুর্তটা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মূহুর্ত মনে হবে।
আচ্ছা নীল তুমি কি চাও?মেয়ে না ছেলে?
আমার মেয়ে চাই।
এখন ৯মাস ৭ দিন চলছে,আর কয়েকদিন বাকি আমাদের সন্তান এই পৃথীবির আলো দেখবে।
ডাক্তারের অনুযায়ী আমাদের বাবুটা হতে আর ৪দিন বাকি,একরাশ অপেক্ষা নিয়ে অপেক্ষায় আছি।
নীল তুমি আসবেতো?
অপেক্ষায় আছি...
...
তারপর আর কিছু লিখা ছিল না ডাইরিটিতে...ছোট শব্দে শেষ লিখা ছিল অপেক্ষায় আছি..
হ্যা আমি নীল,সেই নীল যে কথা নামের মেয়েটিকে কে ছেড়ে চলে গিয়েছিল স্বার্থপরের মত।নিজের সপ্ন পূরনের তাগিদে...
কথা তুমি যেমন টা চেয়েছিলে ঠিক তেমন টা হয়েছে।
তুমার ডাইরির লিখার মত,
এখন আমি,তোমার ডাইরিটা,আমাদের বাবুটা আর হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা একটা নিষ্পাপ ঘুমন্ত মুখ।সে মুখটা তোমার।কিন্ত সে মুখে হাসি নেই,কখনো থাকবেও না,কখনো কথা বলবেনা,আর কখনো জাগবেনা।
আচ্ছা কথা তুমার ডাইরি তে তো এটা লিখা ছিল না যে আমাদের বাবুটা জন্ম হওয়ার পড় পড় তুমি 'কখনো ফিরে না আসার দেশে চলে যাবে...?
কেন বলো?
কথা বেচে নেই,শশীকে জন্ম দিয়েই মারা গেছে।
...
কয়েকবছর পর...
সেদিন শেষ কেঁদেছিলাম,কথার ওই ঘুমন্ত শরীরের পাশে বসে,এখন আর কাঁদতে পারিনা ইচ্ছে হলেওনা।
এখন আমিও ডাইরি লিখি প্রতিটা লাইনে কমপক্ষে চার বার করে কথা নামটা লেখতে ইচ্ছে করে,লিখিও।আমি জানি কথাও আমার ডাইরি টি চুপি চুপি এসে পড়ে যায়।
ছোট শশীর মাঝে আমি কথাকে পাই।
আমার আর কথার ভালোবাসার প্রতীক এই শশী।
শশী ঘুমোচ্ছে,আর আমি ডাইরি লিখছি,প্রতিটি লাইনে কথা নামটা চার বার করে লিখছি,আমি জানি কথা আমার ডাইরিটি পড়তে আসবে..
জানি..!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন