অনেক দিন পর নানু বাড়িতে বেড়াতে আসছি।
আজকেও আসতে চাইলাম না কিন্তু নানু অনেক করেই বললে তাই আসলাম।
আসলে নানু বাড়িতে কেউ আমাকে ভালোবাসেনা সবাই ঘৃনা করে।
আমার মাকেও ভালোবাসে না আর বাবাকেও না।
আমার বাবা খুব গরীব আমার মা আমার বাবাকে ভালোবেসে সবার অমতে বিয়ে করছে।
আর সেই সম্পর্ক কেউ মেনে নেয় নি।
তবে নানু আমাকে খুব ভালোবাসে।
বাড়িতে নাকি অনুষ্টান আছে।
সবাই আসবে তাই আর না করলাম না চলে আসলাম।
নানু বাড়িতে আসতেই দেখি সবাই চলে আসছে।
সবাই কত আনন্দ করছে।
আমাকে দেখা মাএই নানু বললো,,,,,
-কেমন আছিস নানু ভাই
-ভালো নানু আপনি?
-ভালো, আচ্চা তুই একটৃ বস আমি আসছি
-আচ্চা নানু যান।
দুরে দেখলাম মামা গল্প করছে।
তাই কাছেই গেলাম।
-কেমন আছেন মামা?
মামা আমার দিকে আড় চোখে তাকালো।
কোন কথা না বলে আবার গল্প করতে লাগলো।
আজকেও আসতে চাইলাম না কিন্তু নানু অনেক করেই বললে তাই আসলাম।
আসলে নানু বাড়িতে কেউ আমাকে ভালোবাসেনা সবাই ঘৃনা করে।
আমার মাকেও ভালোবাসে না আর বাবাকেও না।
আমার বাবা খুব গরীব আমার মা আমার বাবাকে ভালোবেসে সবার অমতে বিয়ে করছে।
আর সেই সম্পর্ক কেউ মেনে নেয় নি।
তবে নানু আমাকে খুব ভালোবাসে।
বাড়িতে নাকি অনুষ্টান আছে।
সবাই আসবে তাই আর না করলাম না চলে আসলাম।
নানু বাড়িতে আসতেই দেখি সবাই চলে আসছে।
সবাই কত আনন্দ করছে।
আমাকে দেখা মাএই নানু বললো,,,,,
-কেমন আছিস নানু ভাই
-ভালো নানু আপনি?
-ভালো, আচ্চা তুই একটৃ বস আমি আসছি
-আচ্চা নানু যান।
দুরে দেখলাম মামা গল্প করছে।
তাই কাছেই গেলাম।
-কেমন আছেন মামা?
মামা আমার দিকে আড় চোখে তাকালো।
কোন কথা না বলে আবার গল্প করতে লাগলো।
মনে মনে ভাবলাম মনে হয় বুঝতে পারে নি
তাই আবার বললাম,,,
-কেমন আছেন মামা?
-ও তুই?তুই আবার কেন আসলি?
তাই আবার বললাম,,,
-কেমন আছেন মামা?
-ও তুই?তুই আবার কেন আসলি?
-না আসলে নানু খুব করে বললো ত্র তাই আসলাম।
-আসতে বললেই আসতে হবে?
নাকি অন্য কোন মতলব আছে?
-আসতে বললেই আসতে হবে?
নাকি অন্য কোন মতলব আছে?
কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো
-মামা আপনার শরীর কেমন আছে?
অনেকটা রাগের সাথেই বললো,,,
-দেখছিস তো ভালো তবে প্রশ্ন করছিস কেন?
আর কোন কথা না বলেই চলে আসলাম।
এসো চিয়ারে মন খারাপ করে বসে পড়লাম
-কি রে নানু ভাই বসে আছিস যে?
-না এমনি তেই
-কি রে জমিদারের বাচ্চা আসেই বসে আছিস কেন?
-না মামি কেবলি আসলাম
-হইছে আর মামি মামি করতে হবে না।
কাজ করো। এই বাড়িতে খেতে হলে কাজ করে খেতে হবে।
-আহ্ ছেলেটা তো কেবললি আসলো।(নানু)
-না না মামি বলেন কি করতে হবে?
-চিয়ার গুলো সব সাজা খেতে দিবো।
-আচ্চা মামি আমি যাচ্ছি।
বলেই কাজে নেমে পড়লাম।
একটু পর সবাইকে খেতে দিলো আমিও বসলাম সামনে নানান রকমের খাবার।
সবাইকে খাবার দিলো।
যেই মুখে দিবো তখনি,,,,,,,,
-এই যে নবাবজাদা এত দামি খাবার কখনি খাইছিস?(খালা)
কথা শুনার সাথে সাথে চোখে পানি চিকচিক করতে লাগলো।
মাথা নিচু করেই বসে থাকলাম।
-তুর এখন খেতে হবে না সবাই খাওয়ার পর খাবি।
কথাটা শুনে চেয়ার ছেড়ে উঠে বসলাম।
মাথা নিচু করেই বললাম,,
-আচ্চা সবাইকে খেতে দিচ্ছি।
খাবার মুখে দেওয়া এই হতভাগার হলো না।
-এই কানার বেটা শুভকে মুরগির রানটা দে।(খালা)
-আচ্চা খালামুনি দিচ্ছি।
বলেই রানটা দিতে যাবো তখনি একটু ঝোল শুভর গায়ের উপর পড়লো।
সাথে সাথে খালামুনি টাস টাস টাস করে কয়েকটা চড় মেরে দিলো আমার গালে,,,,,
-ফকিন্নির বেটা কি করলি এটা জানিস কত দামি শার্ট এটা।
জীবনে তো চোখেই দেখিস নি।
-মামা আপনার শরীর কেমন আছে?
অনেকটা রাগের সাথেই বললো,,,
-দেখছিস তো ভালো তবে প্রশ্ন করছিস কেন?
আর কোন কথা না বলেই চলে আসলাম।
এসো চিয়ারে মন খারাপ করে বসে পড়লাম
-কি রে নানু ভাই বসে আছিস যে?
-না এমনি তেই
-কি রে জমিদারের বাচ্চা আসেই বসে আছিস কেন?
-না মামি কেবলি আসলাম
-হইছে আর মামি মামি করতে হবে না।
কাজ করো। এই বাড়িতে খেতে হলে কাজ করে খেতে হবে।
-আহ্ ছেলেটা তো কেবললি আসলো।(নানু)
-না না মামি বলেন কি করতে হবে?
-চিয়ার গুলো সব সাজা খেতে দিবো।
-আচ্চা মামি আমি যাচ্ছি।
বলেই কাজে নেমে পড়লাম।
একটু পর সবাইকে খেতে দিলো আমিও বসলাম সামনে নানান রকমের খাবার।
সবাইকে খাবার দিলো।
যেই মুখে দিবো তখনি,,,,,,,,
-এই যে নবাবজাদা এত দামি খাবার কখনি খাইছিস?(খালা)
কথা শুনার সাথে সাথে চোখে পানি চিকচিক করতে লাগলো।
মাথা নিচু করেই বসে থাকলাম।
-তুর এখন খেতে হবে না সবাই খাওয়ার পর খাবি।
কথাটা শুনে চেয়ার ছেড়ে উঠে বসলাম।
মাথা নিচু করেই বললাম,,
-আচ্চা সবাইকে খেতে দিচ্ছি।
খাবার মুখে দেওয়া এই হতভাগার হলো না।
-এই কানার বেটা শুভকে মুরগির রানটা দে।(খালা)
-আচ্চা খালামুনি দিচ্ছি।
বলেই রানটা দিতে যাবো তখনি একটু ঝোল শুভর গায়ের উপর পড়লো।
সাথে সাথে খালামুনি টাস টাস টাস করে কয়েকটা চড় মেরে দিলো আমার গালে,,,,,
-ফকিন্নির বেটা কি করলি এটা জানিস কত দামি শার্ট এটা।
জীবনে তো চোখেই দেখিস নি।
মাথা নিচু করেই দাড়িয়ে আছি।
সবার আড়ালে চোখের পানিটা মুছে নিলাম।
সবাই খেয়ে চলে গেলো।
আমি খেলাম না।
শুধু পানি খেয়েই চলে আসলাম।
ছাদে বসে আছি।
-ভাইয়া????
পিছন থেকে ডাকটা শুনে চুমকে উঠলাম।
পিছনে তাকাতেই দেখি জিন্নাত দাড়িয়ে আছে।
ও আমার খালাতো বোন।
-একি আপনি কাদছেন কেন?
-কই কই না তো কেন কাদবো হয়তো চোখে কিছু পড়ছে তাই,,,,
চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাটা বললাম।
-আচচা সবাই আপনাকে এতো অবহেলা করে কষ্ট দেয় তবুও কেন আসেন এখানে?
-কই না তো তারা তো,,,,,,,,,,,,
-থাক আর বলতে হবে না।
এই নেন?
-এটা কি?
-খাবার দেখলামম আপনি তো কিছুই খান নি তাই আনলাম।
-আরে না না খাইলাম তো!
-হুম দেখলামই তো পানি খেলেন শুধু
-এতেই হবে
বলেই নিচে হাটা শুরে করলাম।
-আচ্চা আপনি এমন কেন?
-জানি না
আসলেই আমি এমন কেন?
সবাই আমাকে এত। অবহেলা করে এতো কষ্ট দেয় তবুও কেন,,,,,,,,,
নিজের প্রশ্নের উওর নিজেই খুজে পেলাম না।
আর জিন্নাত কে কিভাবে উওর টা দিবো?
পরের দিন অনুষ্টান ছোট মামার মেয়ের জন্মদিন।
সবাই কত সাজগোজ করছে।
আর আমি?
না না এতো টাকা কই?
এটা ৬০ টাকা দামের শার্ট পরে আছি।
একটু পর কেক কাটবে।
খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো সবার সাথে কেক কাটতে কিন্তু গেলাম না।
আবার যদি,,,,,,,,,,,,
কেক কাটা হলো।
সবাই কেক খেলো আমাকে একটা বারের জন্যও বললো না যে কেক খেতে।
সবাই কত ছবি তুলছে।
খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো সবার সাথে ছবি তোলার কিন্তু আমাকে তাদের কাছে ভিরতেই দিলো না।
চোখটা পানিতে ছলছল করছে।
না এখানে যত থাকবো ততই কষ্ট পাবো।
-নানু আমি চলে যাচ্ছি।
-আজকেই চলে যাবি নানু ভাই?
-হুম নানু বাসায় অনেক কাজ আছে।
দেখলাম বুড়োটার চোখে পানি!
চলে আসছি।
এমন সময় পিছন থেকে, ,
-ভাইয়া চলে যাচ্ছেন?(জিন্নাত)
-হুম চলে যাচ্ছি
-এই নিন!
-এটার মধ্যে কি আছে?
-কেক আপনি তো খেলেন না তাই,,,,
-না তুমিই খাও
আর দেরি করলাম না।
দেরি করলে হয় তো কেকটা খেতে ইচ্ছে করবে।
বাসায় চলে আসলাম
আসার সাথে সাথে মা বললো,
-কি রে কেমন আনন্দ করলি?
-হ্যা মা খুব আনন্দ করলাম।
যানো মা?
সবাই আমাকে কত আদর করলো।
যাওয়ার সাথে সাথে সবাই কত খুশি হলো।
কত কি খেতে দিলো!
-কি কি খেলি?
-বাহ্ রে আমি কি খাবারের নাম জানি নাকি? কত দামি দামি খাবার।
আমি তো খেতেই পারছিনা এতো।
তারা কি বললো জানো?
-কি বললো?
-না না তা বললে তো হবে না সব খেয়ে উঠতে হবে।
আচ্চা বলো তো এতো খাবার একসাথে খাওয়া যায়?
আর আমাকে ছাড়া নাকি কেকই কাটা যাবে না!
মায়ের আড়ালেই চোখের পানি না মুছে নিলাম। আবার বলা শুরু করলাম
আর সবাই বললো আগে তুমি কেক খাও তার পর আমরা খাবো।
কেকটা খুব সুন্দর খেতে।
বুঝতেই পারি নি আবার পানি চলে এসেছে চোখে।
-কি রে কাদছিস কেন?
-কই না তো কাদবো কেন।
মা দেখতো চোখে কি যেন পড়ছে।
আর তারা তো আজকে আসতেই দিবে না আমিই জোর করে আসলাম।
আমার কথাগুলো শুনে মায়ের মুখটা মলিন হয়ে গেলো।
মায়ের চোখ ফাকি দিতে পারলাম না।
এতো চেষ্টা করলাম তবুও ধরা পরেই গেলাম।
মায়ের মন তো তাই সব আগে বুঝে যায়
সবার আড়ালে চোখের পানিটা মুছে নিলাম।
সবাই খেয়ে চলে গেলো।
আমি খেলাম না।
শুধু পানি খেয়েই চলে আসলাম।
ছাদে বসে আছি।
-ভাইয়া????
পিছন থেকে ডাকটা শুনে চুমকে উঠলাম।
পিছনে তাকাতেই দেখি জিন্নাত দাড়িয়ে আছে।
ও আমার খালাতো বোন।
-একি আপনি কাদছেন কেন?
-কই কই না তো কেন কাদবো হয়তো চোখে কিছু পড়ছে তাই,,,,
চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাটা বললাম।
-আচচা সবাই আপনাকে এতো অবহেলা করে কষ্ট দেয় তবুও কেন আসেন এখানে?
-কই না তো তারা তো,,,,,,,,,,,,
-থাক আর বলতে হবে না।
এই নেন?
-এটা কি?
-খাবার দেখলামম আপনি তো কিছুই খান নি তাই আনলাম।
-আরে না না খাইলাম তো!
-হুম দেখলামই তো পানি খেলেন শুধু
-এতেই হবে
বলেই নিচে হাটা শুরে করলাম।
-আচ্চা আপনি এমন কেন?
-জানি না
আসলেই আমি এমন কেন?
সবাই আমাকে এত। অবহেলা করে এতো কষ্ট দেয় তবুও কেন,,,,,,,,,
নিজের প্রশ্নের উওর নিজেই খুজে পেলাম না।
আর জিন্নাত কে কিভাবে উওর টা দিবো?
পরের দিন অনুষ্টান ছোট মামার মেয়ের জন্মদিন।
সবাই কত সাজগোজ করছে।
আর আমি?
না না এতো টাকা কই?
এটা ৬০ টাকা দামের শার্ট পরে আছি।
একটু পর কেক কাটবে।
খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো সবার সাথে কেক কাটতে কিন্তু গেলাম না।
আবার যদি,,,,,,,,,,,,
কেক কাটা হলো।
সবাই কেক খেলো আমাকে একটা বারের জন্যও বললো না যে কেক খেতে।
সবাই কত ছবি তুলছে।
খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো সবার সাথে ছবি তোলার কিন্তু আমাকে তাদের কাছে ভিরতেই দিলো না।
চোখটা পানিতে ছলছল করছে।
না এখানে যত থাকবো ততই কষ্ট পাবো।
-নানু আমি চলে যাচ্ছি।
-আজকেই চলে যাবি নানু ভাই?
-হুম নানু বাসায় অনেক কাজ আছে।
দেখলাম বুড়োটার চোখে পানি!
চলে আসছি।
এমন সময় পিছন থেকে, ,
-ভাইয়া চলে যাচ্ছেন?(জিন্নাত)
-হুম চলে যাচ্ছি
-এই নিন!
-এটার মধ্যে কি আছে?
-কেক আপনি তো খেলেন না তাই,,,,
-না তুমিই খাও
আর দেরি করলাম না।
দেরি করলে হয় তো কেকটা খেতে ইচ্ছে করবে।
বাসায় চলে আসলাম
আসার সাথে সাথে মা বললো,
-কি রে কেমন আনন্দ করলি?
-হ্যা মা খুব আনন্দ করলাম।
যানো মা?
সবাই আমাকে কত আদর করলো।
যাওয়ার সাথে সাথে সবাই কত খুশি হলো।
কত কি খেতে দিলো!
-কি কি খেলি?
-বাহ্ রে আমি কি খাবারের নাম জানি নাকি? কত দামি দামি খাবার।
আমি তো খেতেই পারছিনা এতো।
তারা কি বললো জানো?
-কি বললো?
-না না তা বললে তো হবে না সব খেয়ে উঠতে হবে।
আচ্চা বলো তো এতো খাবার একসাথে খাওয়া যায়?
আর আমাকে ছাড়া নাকি কেকই কাটা যাবে না!
মায়ের আড়ালেই চোখের পানি না মুছে নিলাম। আবার বলা শুরু করলাম
আর সবাই বললো আগে তুমি কেক খাও তার পর আমরা খাবো।
কেকটা খুব সুন্দর খেতে।
বুঝতেই পারি নি আবার পানি চলে এসেছে চোখে।
-কি রে কাদছিস কেন?
-কই না তো কাদবো কেন।
মা দেখতো চোখে কি যেন পড়ছে।
আর তারা তো আজকে আসতেই দিবে না আমিই জোর করে আসলাম।
আমার কথাগুলো শুনে মায়ের মুখটা মলিন হয়ে গেলো।
মায়ের চোখ ফাকি দিতে পারলাম না।
এতো চেষ্টা করলাম তবুও ধরা পরেই গেলাম।
মায়ের মন তো তাই সব আগে বুঝে যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন