সালার জীবন আমার সাথে এক অদ্ভুত খেলা খেললো । তাই জীবন টাকে নিয়ে আর ভাবতে পারছি না। তবে কিছু জিনিস না বললেই নয়।
.
আমি হাসান বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এবার ssc পরীক্ষা দিবো। বাবার খুব ইচ্ছা আমি ডাক্তার হবো। বাবার ইচ্ছাকে রক্ষা করার জন্য অবশ্য আমি আমার জীবনকে বাবার নামে শপে দিয়েছি। আমি আমাদের ক্লাশের 1st বয়। পড়াশুনায় ক্ষতি হবে ভেবে কখনো কোন বন্ধু বানাইনি।
.
সব সময় মাথায় একটা জিনিস কাজ করতো। আমাকে পড়তে হবে। বাবা-মার স্বপ্ন পুরন করতে হবে। কারণ আমি ছারা আর তাদের কেউ নাই। আমার বাবা-মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। তাদের কষ্টর দামতো আমাকে দিতেই হবে।
.
ssc পরীক্ষা এসে গেলো দেখতে দেখতে কাল থেকে পরীক্ষা। প্রিপারেশন খারাপ না। সৃজনশীল গনিতে একটু সমস্যা হয়। তবে আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হবে না মনে হচ্ছে। আর বাবা-মার দুআতো আমার সাথে সব সময় আছেই।
.
.
(চার মাস পর।)
হাসানের রুমের দরজাটা ভাঙ্গা। সিলিং ফ্যানের সাথে হাসানের নিথর দেহটা ঝুলছে। টেবিলের উপর পেপার ওয়েটের নিচে একটা চিঠি পরে আছে। চিঠি টাতে লেখা:
.
.
"বাবা
তোমাকে দেখানোর মত মুখ আর আমার নেই। তবে তুমি আর আমার স্বপ্ন, তুমি আমার সাধনা। তোমার মুখে হাসি দেখার জন্য আমি কখনও কোন ক্লাশে ২য় হইনি। যখনি আমি প্রথম হতাম, তুমি শুধু বলতে আরো ভালো করে পরতে হবে। তুমি অনেক রাগী আর গম্ভির স্বভাবের মানুষ। তবে তোমার সেই গম্ভিরয্যর মাঝে লুকিয়ে থাকা খুশিটা আমি ঠিকি উপলদ্ধি করে নিতাম। আর আমার মনটা খুশিতে ভরে যেতো। তোমার স্বপ্ন পুরনের জন্য আমি কখনো আপোস করিনি সব সময় পড়াশুনা আর তোমার এবং মার কথা ভেবেছি। ভেবেছি যেদিন ডাক্তার হয়ে আসবো, তোমরা সেদিন কতই না খুশি হবে।
.
কোনো সাবজেক্টেরী প্রিপারেশন খারাপ ছিলো না আমার। তবে একটু একটু ভয় ছিলো মনের মধ্যে। ২ ঘন্টা ২০ মিনিটে ৭ টা সৃজনশীল লিখতে পারবোতো???
.
ভালই দিচ্ছিলাম পরীক্ষা । বরাবর ১ম হবার জন্য যেমন পরীক্ষা দেই তার থেকেও ভালো পরীক্ষা দিতেছিলাম। কিন্তু বাবা জানো গনিত পরীক্ষার দিন আমার কি যেন হয়ে গেলো। একটা জানা অংক তিনবার করতে হলো। কিন্তু তাও শেষ করতে পারলাম না। আমি তোমার আদর্শ আদর্শিত তাই পরীক্ষার হলে কারো হেল্প নেই না। সেদিনো নেইনি। সময় সল্পতার কারনে একটা সৃজশীল গনীতের উত্তরী দিতে পারনি সেদিন। আর সেই টেনসনে MCQ ও খারাপ হলো। ফাইনাল বেল পরার পর আর ক্লাশ থেকে বেরি হতে পারছিলাম না। চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছিলো সেদিন।
.
তুমি সেদিন স্কুল গেটে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলা। তুমি জিজ্ঞেস করায় আমি সব সত্য কথা বলে দিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে সব পরীক্ষার্থীদের সামনেই চড় মারলে আর বললে তোকে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। কুলাঙ্গার সন্তান। তোর মত সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
.
সেদিন সবার সামনে এই কাজটা না করে তুমি যদি রুমে এনে আমার চামড়া ছিলে লবন দিয়ে দিতে,,,, বাবা তারপরো মনে হয় আমার এতটা কষ্ট হতো না। যতটা কষ্ট আর লজ্জা আমি সেদিন পেয়েছিলাম। তুমি সেদিন যদি আমায় একটু শান্তনা দিয়ে আমার কাধে হাত রাখতা। দেখতা আমি সব ভুলে তোমাকে ডাক্তার হয়েই দেখাতাম। কিন্তু তুমি তা না করে, উল্টো আমার স্বপ্ন গুলোকে ভেঙ্গে তসনছ করে দিলে।
.
বাসায় এসেও অনেক রাগারাগি করলে আর আমি রুমে শুয়ে শুয়ে কাদলাম। পরের পরীক্ষা প্রর্যন্ত তোমার জন্য আমি কিছুই পড়তে পারলাম না। তারপরো আম্মুর কান্না কাটির কারনে তুমি আমায় বাকি পরীক্ষা দিতে দিলে। ঔই বই গুলো আমার খুব ভালো ভাবেই পড়া আছে। তুমি চাইলে বইয়ের যেকোন পেজ থেকে আমাকে প্রশ্ন করে দেখতে পারতা। কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়ে আমি লিখতেই পারছিলাম না। বারবার শুধু হাত কাপছিলো আর কান্না আসছিলো।
.
বাবা তুমি আমার হিরো। আমি তোমাকে সব সময় অনুসরন করতাম। তোমার কথা মতো নিজেকে গড়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেই তুমি তোমার নিজের হাতে আমাকে গড়ে,,, মাঝপথে আমার জীবনটা কেমন ছিন্নভিন্ন করে দিলে। পরপর দুইটা পরীক্ষা খারাপ হলো। তারপরো অনেক কষ্টে নিজেকে কন্টল করে বাকি পরীক্ষা গুলো ভালোই দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম খারাপ কিছু হবে না।
.
(৪ মে ২০১৭,,,,,)
বাবা তুমি জানো। কদিন থেকে আমার গলা দিযে খাবার নামছিল না। রেজাল্টের চিন্তায় আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। সব সময় আল্লাহর কাছে কাদতাম, আর বলতাম। আল্লাহ আমার বাবার মান সম্মান রক্ষা করিও। আমি যেনো আমার বাবার স্বপ্ন গুলো পুরন করতে পারি তার তৌফিক দান করো।
.
ফাইনালী দুপুর বেলা রেজাল্ট জানতে পারলাম,,,, আমি ৪.৯৫ পাইছি। কষ্টে বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছিলো। মনে হছিলো মেঝেটা যদি দুভাগ হয়ে যেতো তবে আমি তার ভিতর নিজেকে লুকিয়ে ফেলতাম। আমার স্কুলে অনেকেই প্লাস পাইছে অথচ আমি 1st boy। কিন্তু আমারি প্লাস হয়নি। এই কষ্টটা যে কি রকম,,, তা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।
.
বাবা সন্তানরা কোন ভুল করলে তার নিরাপদ আশ্রয় হয় তারপরিবার। আমিও তাই এক্সপেক্ট করছিলাম। মনে মনে বারবার চাচ্ছিলাম তুমি যেন একবার এসে বলো ,,,, কোন ব্যপার না আমরা বোর্ড চ্যালেন্জ করবো। বা তুমি Hsc তে ভালো রেজাল্ট করিও। দেখতা আমি নিজেকে আবার তোমার স্বপ্ন পুরনের পিছনে লাগিয়ে দিতাম।
.
কিন্তু তুমি তা করলে না। অকথ্য ভাষায় আমাকে আর আম্মুকে গালী দিলে। যতবার ১ম হয়েছি ততবারি আমি তোমার ছেলে হয়েছিলাম। কিন্তু আজ রেজাল্ট খারাপ হলো বলে আমি আম্মুর ছেলে হয়ে গেলাম। ব্যপারটা কেমন অদ্ভুত না।
.
তুমি যাইচ্ছা তাই বলে আমাকে রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে আম্মুকে নিয়ে বাসা থেকে চলে গেলে। বাবা, তুমি কি একবারো ভাবলে না আমার কথা।
.
একজন মানুষ কি ইচ্ছা করে রেজাল্ট খারাপ করে। আর আমাকে কি তুমি একটা চান্স দিতে পারতা না। বাবা তুমি বলো আমি কি খুব খারাপ স্টুডেন্ট,,,, আমার নামে কি কেউ কখনো তোমাকে কোন বাজে রিপোর্ট দিয়েছিলো। ৫ম-৮ম দুইটাতেই তো আমার বৃত্তি ছিলো। এত কিছুর পরো তুমি কি আমাকে একটা সুযোগ দিতে পারতা না। আমি তো তোমারী সন্তান। আমাকে তুমি কেনো একবারো বুঝার চেষ্টা করলে না।
.
তুমি উল্টো বল্লা আমি নাকি তোমার টাকা ধ্বংস করেছি। আমি কি এমন করেছি বাবা। আমার হাতে তুমিতো কখনই টাকা দাওনি। আমার স্যারের বেতন থেকে শুরু করে বইখাতা সবিতো তুমিই কিনে দিতে। তাহলে আমি কখন টাকা বাজে পথে অপচয় করলাম।
.
বাবা এখন রাত ৭ : ৪৫। আমি বিকাল ৩ টার সময় থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। বারবার মনে হচ্ছে এই বুঝি তুমি এসে আমার কাধে হাত রেখে বলবে ভালো করে পর, এটা কোন ব্যপার না। কিন্তু আমার ধারনা ভুল, তুমি হয়ত আমাকে কখনই ক্ষমা করতে পারবা না। আর এত কিছুর পরো আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারিনাই,,, I am a bad son..... তাই আর কখনো নিজের এই মুখ নিয়ে তোমার সামনে দারাবো না। ভালো থেকো।
.
আম্মুর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমি ছারা যে আম্মুর আর কেউ নাই। বাবা কখনো যদি আমাকে ক্ষমা করতে পারো তবে আমার একটা কথা রাখিও। আর কখনো যেনো আমার সাথে যা ঘটরো তা অন্য কারো সাথে না ঘটে,,,, সেটা প্রচারের চেষ্টা করিও, আমি চাইনা আমার মতো আর কারো সাথে এমনটা ঘটুক, আর আম্মুকে দেখে রাখিও। চিরবিদায় বাবা।
ইতি
তোমার অযোগ্য সন্তান
হাসান "
.
আমি হাসান বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এবার ssc পরীক্ষা দিবো। বাবার খুব ইচ্ছা আমি ডাক্তার হবো। বাবার ইচ্ছাকে রক্ষা করার জন্য অবশ্য আমি আমার জীবনকে বাবার নামে শপে দিয়েছি। আমি আমাদের ক্লাশের 1st বয়। পড়াশুনায় ক্ষতি হবে ভেবে কখনো কোন বন্ধু বানাইনি।
.
সব সময় মাথায় একটা জিনিস কাজ করতো। আমাকে পড়তে হবে। বাবা-মার স্বপ্ন পুরন করতে হবে। কারণ আমি ছারা আর তাদের কেউ নাই। আমার বাবা-মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। তাদের কষ্টর দামতো আমাকে দিতেই হবে।
.
ssc পরীক্ষা এসে গেলো দেখতে দেখতে কাল থেকে পরীক্ষা। প্রিপারেশন খারাপ না। সৃজনশীল গনিতে একটু সমস্যা হয়। তবে আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হবে না মনে হচ্ছে। আর বাবা-মার দুআতো আমার সাথে সব সময় আছেই।
.
.
(চার মাস পর।)
হাসানের রুমের দরজাটা ভাঙ্গা। সিলিং ফ্যানের সাথে হাসানের নিথর দেহটা ঝুলছে। টেবিলের উপর পেপার ওয়েটের নিচে একটা চিঠি পরে আছে। চিঠি টাতে লেখা:
.
.
"বাবা
তোমাকে দেখানোর মত মুখ আর আমার নেই। তবে তুমি আর আমার স্বপ্ন, তুমি আমার সাধনা। তোমার মুখে হাসি দেখার জন্য আমি কখনও কোন ক্লাশে ২য় হইনি। যখনি আমি প্রথম হতাম, তুমি শুধু বলতে আরো ভালো করে পরতে হবে। তুমি অনেক রাগী আর গম্ভির স্বভাবের মানুষ। তবে তোমার সেই গম্ভিরয্যর মাঝে লুকিয়ে থাকা খুশিটা আমি ঠিকি উপলদ্ধি করে নিতাম। আর আমার মনটা খুশিতে ভরে যেতো। তোমার স্বপ্ন পুরনের জন্য আমি কখনো আপোস করিনি সব সময় পড়াশুনা আর তোমার এবং মার কথা ভেবেছি। ভেবেছি যেদিন ডাক্তার হয়ে আসবো, তোমরা সেদিন কতই না খুশি হবে।
.
কোনো সাবজেক্টেরী প্রিপারেশন খারাপ ছিলো না আমার। তবে একটু একটু ভয় ছিলো মনের মধ্যে। ২ ঘন্টা ২০ মিনিটে ৭ টা সৃজনশীল লিখতে পারবোতো???
.
ভালই দিচ্ছিলাম পরীক্ষা । বরাবর ১ম হবার জন্য যেমন পরীক্ষা দেই তার থেকেও ভালো পরীক্ষা দিতেছিলাম। কিন্তু বাবা জানো গনিত পরীক্ষার দিন আমার কি যেন হয়ে গেলো। একটা জানা অংক তিনবার করতে হলো। কিন্তু তাও শেষ করতে পারলাম না। আমি তোমার আদর্শ আদর্শিত তাই পরীক্ষার হলে কারো হেল্প নেই না। সেদিনো নেইনি। সময় সল্পতার কারনে একটা সৃজশীল গনীতের উত্তরী দিতে পারনি সেদিন। আর সেই টেনসনে MCQ ও খারাপ হলো। ফাইনাল বেল পরার পর আর ক্লাশ থেকে বেরি হতে পারছিলাম না। চোখ দিয়ে শুধু পানি পরছিলো সেদিন।
.
তুমি সেদিন স্কুল গেটে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলা। তুমি জিজ্ঞেস করায় আমি সব সত্য কথা বলে দিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে সব পরীক্ষার্থীদের সামনেই চড় মারলে আর বললে তোকে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। কুলাঙ্গার সন্তান। তোর মত সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
.
সেদিন সবার সামনে এই কাজটা না করে তুমি যদি রুমে এনে আমার চামড়া ছিলে লবন দিয়ে দিতে,,,, বাবা তারপরো মনে হয় আমার এতটা কষ্ট হতো না। যতটা কষ্ট আর লজ্জা আমি সেদিন পেয়েছিলাম। তুমি সেদিন যদি আমায় একটু শান্তনা দিয়ে আমার কাধে হাত রাখতা। দেখতা আমি সব ভুলে তোমাকে ডাক্তার হয়েই দেখাতাম। কিন্তু তুমি তা না করে, উল্টো আমার স্বপ্ন গুলোকে ভেঙ্গে তসনছ করে দিলে।
.
বাসায় এসেও অনেক রাগারাগি করলে আর আমি রুমে শুয়ে শুয়ে কাদলাম। পরের পরীক্ষা প্রর্যন্ত তোমার জন্য আমি কিছুই পড়তে পারলাম না। তারপরো আম্মুর কান্না কাটির কারনে তুমি আমায় বাকি পরীক্ষা দিতে দিলে। ঔই বই গুলো আমার খুব ভালো ভাবেই পড়া আছে। তুমি চাইলে বইয়ের যেকোন পেজ থেকে আমাকে প্রশ্ন করে দেখতে পারতা। কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়ে আমি লিখতেই পারছিলাম না। বারবার শুধু হাত কাপছিলো আর কান্না আসছিলো।
.
বাবা তুমি আমার হিরো। আমি তোমাকে সব সময় অনুসরন করতাম। তোমার কথা মতো নিজেকে গড়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেই তুমি তোমার নিজের হাতে আমাকে গড়ে,,, মাঝপথে আমার জীবনটা কেমন ছিন্নভিন্ন করে দিলে। পরপর দুইটা পরীক্ষা খারাপ হলো। তারপরো অনেক কষ্টে নিজেকে কন্টল করে বাকি পরীক্ষা গুলো ভালোই দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম খারাপ কিছু হবে না।
.
(৪ মে ২০১৭,,,,,)
বাবা তুমি জানো। কদিন থেকে আমার গলা দিযে খাবার নামছিল না। রেজাল্টের চিন্তায় আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। সব সময় আল্লাহর কাছে কাদতাম, আর বলতাম। আল্লাহ আমার বাবার মান সম্মান রক্ষা করিও। আমি যেনো আমার বাবার স্বপ্ন গুলো পুরন করতে পারি তার তৌফিক দান করো।
.
ফাইনালী দুপুর বেলা রেজাল্ট জানতে পারলাম,,,, আমি ৪.৯৫ পাইছি। কষ্টে বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছিলো। মনে হছিলো মেঝেটা যদি দুভাগ হয়ে যেতো তবে আমি তার ভিতর নিজেকে লুকিয়ে ফেলতাম। আমার স্কুলে অনেকেই প্লাস পাইছে অথচ আমি 1st boy। কিন্তু আমারি প্লাস হয়নি। এই কষ্টটা যে কি রকম,,, তা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।
.
বাবা সন্তানরা কোন ভুল করলে তার নিরাপদ আশ্রয় হয় তারপরিবার। আমিও তাই এক্সপেক্ট করছিলাম। মনে মনে বারবার চাচ্ছিলাম তুমি যেন একবার এসে বলো ,,,, কোন ব্যপার না আমরা বোর্ড চ্যালেন্জ করবো। বা তুমি Hsc তে ভালো রেজাল্ট করিও। দেখতা আমি নিজেকে আবার তোমার স্বপ্ন পুরনের পিছনে লাগিয়ে দিতাম।
.
কিন্তু তুমি তা করলে না। অকথ্য ভাষায় আমাকে আর আম্মুকে গালী দিলে। যতবার ১ম হয়েছি ততবারি আমি তোমার ছেলে হয়েছিলাম। কিন্তু আজ রেজাল্ট খারাপ হলো বলে আমি আম্মুর ছেলে হয়ে গেলাম। ব্যপারটা কেমন অদ্ভুত না।
.
তুমি যাইচ্ছা তাই বলে আমাকে রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে আম্মুকে নিয়ে বাসা থেকে চলে গেলে। বাবা, তুমি কি একবারো ভাবলে না আমার কথা।
.
একজন মানুষ কি ইচ্ছা করে রেজাল্ট খারাপ করে। আর আমাকে কি তুমি একটা চান্স দিতে পারতা না। বাবা তুমি বলো আমি কি খুব খারাপ স্টুডেন্ট,,,, আমার নামে কি কেউ কখনো তোমাকে কোন বাজে রিপোর্ট দিয়েছিলো। ৫ম-৮ম দুইটাতেই তো আমার বৃত্তি ছিলো। এত কিছুর পরো তুমি কি আমাকে একটা সুযোগ দিতে পারতা না। আমি তো তোমারী সন্তান। আমাকে তুমি কেনো একবারো বুঝার চেষ্টা করলে না।
.
তুমি উল্টো বল্লা আমি নাকি তোমার টাকা ধ্বংস করেছি। আমি কি এমন করেছি বাবা। আমার হাতে তুমিতো কখনই টাকা দাওনি। আমার স্যারের বেতন থেকে শুরু করে বইখাতা সবিতো তুমিই কিনে দিতে। তাহলে আমি কখন টাকা বাজে পথে অপচয় করলাম।
.
বাবা এখন রাত ৭ : ৪৫। আমি বিকাল ৩ টার সময় থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। বারবার মনে হচ্ছে এই বুঝি তুমি এসে আমার কাধে হাত রেখে বলবে ভালো করে পর, এটা কোন ব্যপার না। কিন্তু আমার ধারনা ভুল, তুমি হয়ত আমাকে কখনই ক্ষমা করতে পারবা না। আর এত কিছুর পরো আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারিনাই,,, I am a bad son..... তাই আর কখনো নিজের এই মুখ নিয়ে তোমার সামনে দারাবো না। ভালো থেকো।
.
আম্মুর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমি ছারা যে আম্মুর আর কেউ নাই। বাবা কখনো যদি আমাকে ক্ষমা করতে পারো তবে আমার একটা কথা রাখিও। আর কখনো যেনো আমার সাথে যা ঘটরো তা অন্য কারো সাথে না ঘটে,,,, সেটা প্রচারের চেষ্টা করিও, আমি চাইনা আমার মতো আর কারো সাথে এমনটা ঘটুক, আর আম্মুকে দেখে রাখিও। চিরবিদায় বাবা।
ইতি
তোমার অযোগ্য সন্তান
হাসান "
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন