অামাদের এখানে একটা ভাল হোটেল অাছে।এখানে ভাল মোগলাই বানায়।অামি প্রায়ই খেতে যাই।
বন্ধুদের সাথেও যাই।একা একাও যাই।
সেদিন একটা কাজে মার্কেটে গেছিলাম।অাসার সময় ভাবলাম একটা মোগলাই খেয়ে অাসি।
তাই হোটেলে গেলাম। তখন মোগলাই মাত্র ভাজতেছে। তাই অারো 10-12মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।তাই বসে অাছি অার ফেসবুক চালাচ্ছি।
.
হঠাৎ একটা মেয়ে এসে সামনের চেয়ারে বসল।মেয়েটা অামার থেকে 2-1বছরের বড় হবে।চোখে--মুখে হতাশার ছাপ।
: ভাইয়া অাপনার ফোনটা একটু দেয়া যাবে??একজায়গায় কল করব।অামার ফোনে ব্যালেন্স শেষ।
: হ্যা নিন।
ফোন দিল।
: হ্যালো কোথায় তুমি?অামিতো হোটেলে অপেক্ষা করছি।তুমি না বললা তারাতারি অাসবা?? (মেয়েটা)
:(_________________________)(ছেলেটা)
ছেলেটার কথা অামি শুনতে পারিনি।
ফোন রেখে দিল....
.
: অাপু অাপনাকে খুব চিন্তিত লাগছে।অাপনি কি কোন সমস্যায় অাছেন??
: হ্যা ভাইয়া।খুব সমস্যায় অাছি।শিশিরের অাসার কথা অারো এক ঘন্টা অাগে।কিন্তু এখনো অাসছে না।
: শিশির কে অাপু??
: অামার বয় ফ্রেন্ড।দুই বছর অাগে ও যাওয়ার সময় অামরা এই হোটেলেই দেখা করছিলাম।অাজ অাবার দেখা করার কথা।কিন্তু ও অামার নাম্বার টা ব্ল্যাকলিষ্টে রেখে দিছে।ফোনেও খুব খারাপ ব্যাবহার করল।
: ছেলেটা কেমন প্রকৃতির অাপু??
: ও খুবই ভাল।অাসলে দুই বছর অাগে ও অামাদের গ্রামে অাসছিল।এখানে ওর নানু বাড়ি।তখন থেকেই পরিচয়।ও যাওয়ার দিন অামরা এই হোটেলে অাসছিলাম। পরে ফোন নাম্বার.....ফ্রেন্ডশীপ..... রিলেশন।3দিন অাগেই ওর চাকরি হয়েছে।অাজ এখানে অাসার কথা।তারপর অামাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে।অামার ফ্যামিলি ওর কথা জানে। 2মাস অাগে বাবা বলছে 3মাসের মাঝে যদি শিশির চাকরি না পায়।তাহলে অামাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবে।অার 2মাসেই ওর চাকরি হয়ে গেছে।এখন শুধু অামার বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে গেলেই হবে।
ও বলছে সকাল 11টায় এখানে থাকবে।পরে বলছে পারলে 10টায় এসে পড়বে।এখন বাজে 10:31 কিন্তু ওর কোন খবর নেই।ও যদি না অাসে অামি এখান থেকে যাবনা।অামার বিশ্বাস ও অাসবে।
: হ্যা অাপু অপেক্ষা করেন নিশ্চয়ই অাসবে।
: ফোনটা অারেকটু দিবেন??
: হ্যা নিন।
অাবার ফোন দিল।
: হ্যালো কোথায় তুমি??? (মেয়েটা)
: কেন জেনে কি করবা?? ( ছেলেটা)
এবার একটু একটু ছেলেটার কথাও শোনা যাচ্ছিল।
: প্লিজ এমন ভাবে বলোনা।
: তো কেমন ভাবে বলব??
: তুমি অাসবা তো?? (একটু কেদে কেদে)
: জানিনা ফোন রাখ।
ছেলেটাই ফোন কেটে দিল।
মেয়েটা এবার সত্যিই কেদে দিল।
: অাপু কাদছেন কেন??এখনো তো 11টা বাজেনি।ও নিশ্চয়ই অাসবে।
: ও কখনো অামার সাথে এমন খারাপ ব্যাবহার করেনি।অাজ খুব খারাপ ব্যবহার করল।অার অাজকেই ওর অাসার কথা।ও না অাসলে অামার যে কি হবে??
: অারেকটু অপেক্ষা করুন।
ততক্ষণে অামার মোগলাই চলে অাসছে।কিন্তু খেতে পারছিলাম না।অামার'ই খারাপ লাগছিল।
ভাই অাপনি অাসবেন তাহলে মেয়েটাকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?? অার না অাসলে বলে দিতেন এভাবে হোটেলে বসে কান্না করতনা।(মনে মনে ভাবছিলাম)
মেয়েটা এবার মাথা নিচ করে দু-হাত দিয়ে চোখ ধরে কান্না করতেছে।
ভাবলাম এতক্ষণ বসে অাছি।অারেকটু বসি দেখি কি হয়।11টা প্রায় বেজে গেছে।
.
হঠাৎ পিছন থেকে একটা ছেলে এসে অামার পাশে বসল।
বসে মেয়েটার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল কিছু অর্ডার করেছ?? নাকি এমনি বসে অাছো??
মেয়েটা মাথা তুলেই অারো বেশি কান্না শুরু করল।কিন্তু এটা সুখের কান্না।
: তুমি অাসছ!!
: তোমার কি মনেহয় অাসবনা??
: তাহলে ওমন করলে কেন??
: তোমাকে সারপ্রাইজ দিলাম।
: জানো অামার কত খারাপ লাগছিল??
: হ্যা জানি পাগলি।
: অার এমন করবা না তো??
: না না করবনা।
.
: ভাইয়া অাপনারা কথা বলুন অামি যাই।(অামি)
: ভাইয়া দাড়ান দাড়ান।মেয়েটা)
: ও কে?? (ছেলেটা)
: ওর ফোন দিয়েই তোমাকে ফোন করছিলাম।(মেয়েটা)
: ও অাচ্ছা। বসুন না কিছু খাই সবাই মিলে(ছেলেটা)
: না না অাপনারাই থাকেন। অনেকদিন পর দেখা হল।
: ভাইয়া অাপনার নাম্বার টা দিয়ে যান অামার বিয়েতে অাপনাকে দাওয়াত দিব।(মেয়েটা)
: ভাইয়ার ফোনে তো কল দিছিলেন নাম্বারটা ভাইয়ার ফোনে অাছে।
: অাচ্ছা ভাইয়া।অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
: অাপনাদের জন্যও শুভ কামনা অাপু।অাপনারা সারাজীবন সুখে থাকেন।ভাল থাকবেন।
: থ্যাংকস।অাপনিও ভাল থাকবেন (ছেলেটা)
পরে বিদায় নিয়ে চলে অাসলাম।খুবই ভাল লাগল চোখের সামনে এমন মিষ্টি একটি প্রেমের গল্প দেখতে.........................
বন্ধুদের সাথেও যাই।একা একাও যাই।
সেদিন একটা কাজে মার্কেটে গেছিলাম।অাসার সময় ভাবলাম একটা মোগলাই খেয়ে অাসি।
তাই হোটেলে গেলাম। তখন মোগলাই মাত্র ভাজতেছে। তাই অারো 10-12মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।তাই বসে অাছি অার ফেসবুক চালাচ্ছি।
.
হঠাৎ একটা মেয়ে এসে সামনের চেয়ারে বসল।মেয়েটা অামার থেকে 2-1বছরের বড় হবে।চোখে--মুখে হতাশার ছাপ।
: ভাইয়া অাপনার ফোনটা একটু দেয়া যাবে??একজায়গায় কল করব।অামার ফোনে ব্যালেন্স শেষ।
: হ্যা নিন।
ফোন দিল।
: হ্যালো কোথায় তুমি?অামিতো হোটেলে অপেক্ষা করছি।তুমি না বললা তারাতারি অাসবা?? (মেয়েটা)
:(_________________________)(ছেলেটা)
ছেলেটার কথা অামি শুনতে পারিনি।
ফোন রেখে দিল....
.
: অাপু অাপনাকে খুব চিন্তিত লাগছে।অাপনি কি কোন সমস্যায় অাছেন??
: হ্যা ভাইয়া।খুব সমস্যায় অাছি।শিশিরের অাসার কথা অারো এক ঘন্টা অাগে।কিন্তু এখনো অাসছে না।
: শিশির কে অাপু??
: অামার বয় ফ্রেন্ড।দুই বছর অাগে ও যাওয়ার সময় অামরা এই হোটেলেই দেখা করছিলাম।অাজ অাবার দেখা করার কথা।কিন্তু ও অামার নাম্বার টা ব্ল্যাকলিষ্টে রেখে দিছে।ফোনেও খুব খারাপ ব্যাবহার করল।
: ছেলেটা কেমন প্রকৃতির অাপু??
: ও খুবই ভাল।অাসলে দুই বছর অাগে ও অামাদের গ্রামে অাসছিল।এখানে ওর নানু বাড়ি।তখন থেকেই পরিচয়।ও যাওয়ার দিন অামরা এই হোটেলে অাসছিলাম। পরে ফোন নাম্বার.....ফ্রেন্ডশীপ..... রিলেশন।3দিন অাগেই ওর চাকরি হয়েছে।অাজ এখানে অাসার কথা।তারপর অামাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে।অামার ফ্যামিলি ওর কথা জানে। 2মাস অাগে বাবা বলছে 3মাসের মাঝে যদি শিশির চাকরি না পায়।তাহলে অামাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবে।অার 2মাসেই ওর চাকরি হয়ে গেছে।এখন শুধু অামার বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে গেলেই হবে।
ও বলছে সকাল 11টায় এখানে থাকবে।পরে বলছে পারলে 10টায় এসে পড়বে।এখন বাজে 10:31 কিন্তু ওর কোন খবর নেই।ও যদি না অাসে অামি এখান থেকে যাবনা।অামার বিশ্বাস ও অাসবে।
: হ্যা অাপু অপেক্ষা করেন নিশ্চয়ই অাসবে।
: ফোনটা অারেকটু দিবেন??
: হ্যা নিন।
অাবার ফোন দিল।
: হ্যালো কোথায় তুমি??? (মেয়েটা)
: কেন জেনে কি করবা?? ( ছেলেটা)
এবার একটু একটু ছেলেটার কথাও শোনা যাচ্ছিল।
: প্লিজ এমন ভাবে বলোনা।
: তো কেমন ভাবে বলব??
: তুমি অাসবা তো?? (একটু কেদে কেদে)
: জানিনা ফোন রাখ।
ছেলেটাই ফোন কেটে দিল।
মেয়েটা এবার সত্যিই কেদে দিল।
: অাপু কাদছেন কেন??এখনো তো 11টা বাজেনি।ও নিশ্চয়ই অাসবে।
: ও কখনো অামার সাথে এমন খারাপ ব্যাবহার করেনি।অাজ খুব খারাপ ব্যবহার করল।অার অাজকেই ওর অাসার কথা।ও না অাসলে অামার যে কি হবে??
: অারেকটু অপেক্ষা করুন।
ততক্ষণে অামার মোগলাই চলে অাসছে।কিন্তু খেতে পারছিলাম না।অামার'ই খারাপ লাগছিল।
ভাই অাপনি অাসবেন তাহলে মেয়েটাকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?? অার না অাসলে বলে দিতেন এভাবে হোটেলে বসে কান্না করতনা।(মনে মনে ভাবছিলাম)
মেয়েটা এবার মাথা নিচ করে দু-হাত দিয়ে চোখ ধরে কান্না করতেছে।
ভাবলাম এতক্ষণ বসে অাছি।অারেকটু বসি দেখি কি হয়।11টা প্রায় বেজে গেছে।
.
হঠাৎ পিছন থেকে একটা ছেলে এসে অামার পাশে বসল।
বসে মেয়েটার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল কিছু অর্ডার করেছ?? নাকি এমনি বসে অাছো??
মেয়েটা মাথা তুলেই অারো বেশি কান্না শুরু করল।কিন্তু এটা সুখের কান্না।
: তুমি অাসছ!!
: তোমার কি মনেহয় অাসবনা??
: তাহলে ওমন করলে কেন??
: তোমাকে সারপ্রাইজ দিলাম।
: জানো অামার কত খারাপ লাগছিল??
: হ্যা জানি পাগলি।
: অার এমন করবা না তো??
: না না করবনা।
.
: ভাইয়া অাপনারা কথা বলুন অামি যাই।(অামি)
: ভাইয়া দাড়ান দাড়ান।মেয়েটা)
: ও কে?? (ছেলেটা)
: ওর ফোন দিয়েই তোমাকে ফোন করছিলাম।(মেয়েটা)
: ও অাচ্ছা। বসুন না কিছু খাই সবাই মিলে(ছেলেটা)
: না না অাপনারাই থাকেন। অনেকদিন পর দেখা হল।
: ভাইয়া অাপনার নাম্বার টা দিয়ে যান অামার বিয়েতে অাপনাকে দাওয়াত দিব।(মেয়েটা)
: ভাইয়ার ফোনে তো কল দিছিলেন নাম্বারটা ভাইয়ার ফোনে অাছে।
: অাচ্ছা ভাইয়া।অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
: অাপনাদের জন্যও শুভ কামনা অাপু।অাপনারা সারাজীবন সুখে থাকেন।ভাল থাকবেন।
: থ্যাংকস।অাপনিও ভাল থাকবেন (ছেলেটা)
পরে বিদায় নিয়ে চলে অাসলাম।খুবই ভাল লাগল চোখের সামনে এমন মিষ্টি একটি প্রেমের গল্প দেখতে.........................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন