আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগের ভেঙ্গে যাওয়া বন্ধুত্ব জোরা লাগাতে যাচ্ছি।গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে একটু ঝগড়া হয়েছিলো রিহানের সাথে।তারপর আর কথা হয়নি কখনো।যতোই হোক বাল্যবন্ধুতো!সব সময় মিস করতাম ওকে।গতকাল রাতেই ওর দেওয়া ডায়েরীটা হাতে পড়ল।আমার লেখাগুলো এই ডায়েরীতেই জমা রাখার কথা বলছিলো।কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।গতকাল রাতেই ভাবলাম ছেলেটার সাথে সবকিছু মিট করে নেওয়াটাই বেটার হবে।
!
-একটা সিট হবে?
-কোথায় যাবেন?
-খুলনা।
-হবে।৮০০ টাকা লাগবে।
-জানালার পাশে দিতে পারবেন?
-হ্যাঁ।
!
গাড়িতে উঠে ল্যাপটপ নিয়ে বসে একটা গল্প লিখতে শুরু করলাম।গল্পটা রিহানকে উৎস্বর্গ করব।হটাৎ একটা মেয়ে এসে হুম করেই পাশে বসে পড়ল।হয়ত সিটের মালিক মেয়েটা!একবার তাকিয়ে আবার লেখা শুরু করলাম।মেয়েটাও কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে।
!
গাড়ি চলতে শুরু করেছে আপন গতিতে।আমি জানালা দিয়ে প্রকৃতির কালো অন্ধকারাছন্ন পরিবেশ দেখছি।অন্ধকার দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।বাসায় প্রায় প্রতি রাতেই ছাদে বসে থাকি।অন্ধকারের সাথি হয়ে।ওর কেউ নেই।আমারো কেউ নেই।বেশ ভালো মিল আছে ওর সাথে আমার।
!
-এই যে হ্যালো!
-জ্বী বলেন।
-একটা হেল্প করবেন?
-কি হেল্প?
-জানালার পাশে আমাকে বসতে দিবেন?
-আসলে আমি জানলার পাশে ছাড়া বসে মজা পাইনা!
-আমার তেমন কোনো সমস্যা নেই তবে বমি করে দিলে আপনার গায়ে পড়তে পারে!
-তো জানালার পাশে সিট নিতে পারেন নি?
-আর ছিলোনা সিট।আপনি বসতে দিবেন ?
-হ্যাঁ,হ্যাঁ বসেন।
!
বমির কথা শুনেই কেমন গা টা গুলিয়ে উঠল।সিট ছেড়ে দিয়ে এপাশে এসে আবারো ল্যাপটপ ওপেন করলাম।তবে এবার গান শোনার জন্য।আমি বরাবরের মত পুরোনো দিনের গান শুনছিলাম।হটাৎ মেয়েটি বলল;
!
-থ্যাংস।
-স্বাগতম।
-স্যরি।
-স্যরি কেন?
-মিথ্যা বলে আপনাকে সিট থেকে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য।আমি আসলে জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারিনা।তাছাড়া আমার বমি হয়না গাড়িতে উঠলে।
-ওহ আচ্ছা।
-রাগ করলেন নাকি?
-নাহ্।আসলে আমি মিথ্যাকে ঘৃণা করি।
-তাহলেতো আমাকেও ঘৃণা করছেন!
-পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করি।
-ওকে ওকে।আপনার সিটে আপনি আসুন।
-না থাক।
-তাহলে একটা সত্যি কথা বলবেন?
-কি?
-আপনি এত গম্ভীর কেন?ছ্যাকা খেয়েছেন নাকি?
-কি বলতে চান?ছ্যাকা খাবো মানে কি?
-আরে ধুর।আপনিতো পুরাই নিরামিষ।প্রেম করছেন কখনো?
-নাহ্।
-তাহলে ঠিক আছে।
-কি?
-কিছুনা।আপনি ভুতুম প্যাঁচা।
-থ্যাংস ফর ইওর কম্পিমেন্ট।
-আপনি এমন কেন?
-কেমন বলুনতো?
-এই যে পাশের ছিটে একটা মেয়ে বসে আছে অথচ আপনি কথা বলছেন না!
-আপনি কেমন মেয়েরে বাবা!মানুষকে ইনভাইট করেন আপনার সাথে কথা বলার জন্য।
-আমি কথা না বলে থাকতে পারিনা।আমার পাশে বসে কেউ চুপ থাকতেও পারেনা!আমি জোর করে কথা বলিয়ে নি।
-পাগল কোথাকার।
-স্যরি।আপনি মনে হয় ব্যাকরণে প্রচুর কাঁচা!মেয়েদের কেউ পাগল বলেনা!পাগলী বলতে হয়।
!
বুঝলাম মেয়েটার মাথায় সমস্যা আছে।না হলে কি আর এমন করে কথা বলে!ভলিউমটা বাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছিলাম।কখন যে ফেরীঘাটে পৌছে গেছি টের পাইনি!চোখ খুলে দেখলাম আমাদের গাড়িটা লম্বা সিরিয়ালের প্রায় শেষের দিকে।কখন ফেরীতে উঠতে পারবে তার ইয়ত্বা নেই!ভাবলাম একটু নিচ থেকে ঘুরে আসি!কিন্তু ব্যাগ আর ল্যাপটপ?এগুলো কোথায় রাখবো?যদি কেউ নিয়ে যায়?না না।এভাবে রাখা ঠিক হবেনা!তার থেকে পাগলী মেয়েটাকেই ব্যাগ দেখার দায়িত্ব দিয়ে যাই।
!
-এই যে শুনছেন?
মেয়েটা গভীর ঘুমে নিমগ্ন।মায়াবী চেহারা মেয়েটার।হালকা মেক-আপ মেয়েটার মুখের মায়াবী চেহারা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।আমি এর আগে এত কাছ থেকে কোনো মেয়েকে দেখিনি॥অজান্তেই হাড়িয়ে গেলাম ওর মাঝে।
!
-এই যে মিষ্টার!হা করে কি দেখছেন?এর আগে কখনো মেয়ে দেখেননি?
মেয়েটির কর্কশ কন্ঠ শুনে ঘোর কাটল।
-আসলে আমি একটু বাইরে যেতে চাই!
-বাইরে যাবেন তো আমাকে কি দেখছেন?
-আমার ব্যাগ আর ল্যাপটপ টা একটু দেখবেন?
-ওকে ওকে।
!
কথা না বাড়িয়ে সোজা বাইরে চলে আসলাম।রাতে অন্ধকারটাকে কিছু লাইট দিয়ে আড়াল করা চেষ্টা করা হয়েছে।যেদিকে তাকাই শুধু লাইট আর লাইট।তবুও আমি অন্ধকারকে দেখার চেষ্টা করছি।ডান হাতে থাকা সিগারেটটা বার কয়েক ঠোট স্পর্শ করিয়ে ফেলে দিলাম।খিদেও নেই তেমন একটা!ভাবলাম চুপচাপ গাড়িতে বসেই গান শুনি।
!
-ঘোরা শেষ?
-হ্যাঁ।আপনি যাবেন কি?
-আমি আপনার মতো স্বার্থপর না!একা একা ঘুরতে যাই না।
-আপনি অনেক সুন্দর করে কথা বলেন।
-পাম দিয়েন না!আচ্ছা আপনার নাম কি?
-নীল।আপনার?
-লাল।
-ফাঁন করছেন?
-হুম।
-ভালো।
-একদমই না।আমি খুব খারাপ।
-ভালো।
-পাগল কোথাকার!আমি নীলিমা।
-খুব ভালো নাম।
-আমার আম্মু রেখেছিলেন।
-ঠিক বুঝলাম না!রেখেছিলেন?এখন কোথায় উনি?
-ঐ আকাশে।আমার জন্মের এক বছর তিনি মারা যান।
-ও স্যরি।কোথায় যাবেন আপনি?
-খুলনা।আমার মামা বাড়িতে।আপনি?
-আমিও।তবে বন্ধুর বাড়িতে।
-ভালোই হলো।আপনি ফেসবুক চালান?
-হ্যাঁ।আপনি?
-চালাই।আপনার আইডি নাম বলেন।
!
আমার জিমেইলটা বলে দিলাম।মেয়েটার আইডি নেইমটা বলল না।কারণ টা বুঝতে পারিনি তখন।এরপর যে কখন খুলনাতে চলে আসছি তা ঠিক আন্দাজ করতে পারিনি।ঘুমিয়ে ছিলাম।চোখ মেলে মেয়েটিকে আর দেখিনি।ভোর হতেই বন্ধুর বাড়িতে রওনা করলাম।একটা ভয় ছিলো!যদি রিহান আমাকে রিজেক্ট করে?
!
রিহান আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল;তোকে অনেক মিস করেছি দোস্ত।তুইতো জানিস আমি একটু বেশি অভিমানি।
!
তিন দিন রিহানের বাসায় থাকার পরে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।গাড়িতে উঠে মেয়েটির কথা মনে পড়ল।কিন্তু কি আর করা?কোথায় থাকে,কি করে কিছুইতো জানিনা।ওর কথা বাদ দিয়ে ভাবলাম তিনদিন ফেবুতে যাওয়া হয়না!একটু ফেবুতে ঢুকি।
!
অনেকগুলি ম্যাসেজ আসছে।লেখা পড়তে পারছেনা বলে অনেকেই ম্যাসেজ দিয়েছে।সবার রিপ্লে দিয়ে একটা ম্যাসেজে চোখ আটকে গেলো।এটা আর কেউ না।আমাকে ফেবুতে যে মানুষটা আমাকে বেশি জালাতন করে সেই মানুষটার ম্যাসেজ।প্রথমত ম্যাসেজটা ওপেন করতে চাইছিলাম না।কি ভেবে যেন ওপেন করলাম!ওমা!এতো সেই মেয়েটা।যে আমার সাথে গাড়িতে এসেছিলো।নীলিমা।
!
অনেক কথা হতে থাকল ওর সাথে।প্রায় এক বছর কথা বলার পরে জানতে পারলাম মেয়েটা আমার লেখার অনেক বড় ভক্ত।এমনকি ও আমাকে অনেক পছন্দ করে।
!
আমি বুঝে উঠতে পারছিনা কি বলব ওকে!বন্ধু হয়ে থাকতে চাই সব সময় ওর পাশে।কারণ আমার একটাই ভয়।এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে রিহান আর ফেবুটাই আছে।জন্মের পরে মা বাবাকে দেখিনি কখনো।এতিমখানায় থাকতাম।ওটাই আমার পরিবার।এতকিছু জানার পরে কি নীলিমা আমাকে গ্রহন করবে?প্রশ্নই আসেনা।চালচুলহীন কোনো ছেলেকে কোনো মেয়েই জীবনসঙ্গী করতে নারাজ।
!
সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি বন্ধু হিসেবেই নীলিমার পাশে দাড়াবো।যদি কখনো ও আমার পুরো জীবনী জানার পরেও আমাকে বন্ধুর মর্যাদা দিতে রাজি থাকে।
!
-একটা সিট হবে?
-কোথায় যাবেন?
-খুলনা।
-হবে।৮০০ টাকা লাগবে।
-জানালার পাশে দিতে পারবেন?
-হ্যাঁ।
!
গাড়িতে উঠে ল্যাপটপ নিয়ে বসে একটা গল্প লিখতে শুরু করলাম।গল্পটা রিহানকে উৎস্বর্গ করব।হটাৎ একটা মেয়ে এসে হুম করেই পাশে বসে পড়ল।হয়ত সিটের মালিক মেয়েটা!একবার তাকিয়ে আবার লেখা শুরু করলাম।মেয়েটাও কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে।
!
গাড়ি চলতে শুরু করেছে আপন গতিতে।আমি জানালা দিয়ে প্রকৃতির কালো অন্ধকারাছন্ন পরিবেশ দেখছি।অন্ধকার দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।বাসায় প্রায় প্রতি রাতেই ছাদে বসে থাকি।অন্ধকারের সাথি হয়ে।ওর কেউ নেই।আমারো কেউ নেই।বেশ ভালো মিল আছে ওর সাথে আমার।
!
-এই যে হ্যালো!
-জ্বী বলেন।
-একটা হেল্প করবেন?
-কি হেল্প?
-জানালার পাশে আমাকে বসতে দিবেন?
-আসলে আমি জানলার পাশে ছাড়া বসে মজা পাইনা!
-আমার তেমন কোনো সমস্যা নেই তবে বমি করে দিলে আপনার গায়ে পড়তে পারে!
-তো জানালার পাশে সিট নিতে পারেন নি?
-আর ছিলোনা সিট।আপনি বসতে দিবেন ?
-হ্যাঁ,হ্যাঁ বসেন।
!
বমির কথা শুনেই কেমন গা টা গুলিয়ে উঠল।সিট ছেড়ে দিয়ে এপাশে এসে আবারো ল্যাপটপ ওপেন করলাম।তবে এবার গান শোনার জন্য।আমি বরাবরের মত পুরোনো দিনের গান শুনছিলাম।হটাৎ মেয়েটি বলল;
!
-থ্যাংস।
-স্বাগতম।
-স্যরি।
-স্যরি কেন?
-মিথ্যা বলে আপনাকে সিট থেকে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য।আমি আসলে জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারিনা।তাছাড়া আমার বমি হয়না গাড়িতে উঠলে।
-ওহ আচ্ছা।
-রাগ করলেন নাকি?
-নাহ্।আসলে আমি মিথ্যাকে ঘৃণা করি।
-তাহলেতো আমাকেও ঘৃণা করছেন!
-পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করি।
-ওকে ওকে।আপনার সিটে আপনি আসুন।
-না থাক।
-তাহলে একটা সত্যি কথা বলবেন?
-কি?
-আপনি এত গম্ভীর কেন?ছ্যাকা খেয়েছেন নাকি?
-কি বলতে চান?ছ্যাকা খাবো মানে কি?
-আরে ধুর।আপনিতো পুরাই নিরামিষ।প্রেম করছেন কখনো?
-নাহ্।
-তাহলে ঠিক আছে।
-কি?
-কিছুনা।আপনি ভুতুম প্যাঁচা।
-থ্যাংস ফর ইওর কম্পিমেন্ট।
-আপনি এমন কেন?
-কেমন বলুনতো?
-এই যে পাশের ছিটে একটা মেয়ে বসে আছে অথচ আপনি কথা বলছেন না!
-আপনি কেমন মেয়েরে বাবা!মানুষকে ইনভাইট করেন আপনার সাথে কথা বলার জন্য।
-আমি কথা না বলে থাকতে পারিনা।আমার পাশে বসে কেউ চুপ থাকতেও পারেনা!আমি জোর করে কথা বলিয়ে নি।
-পাগল কোথাকার।
-স্যরি।আপনি মনে হয় ব্যাকরণে প্রচুর কাঁচা!মেয়েদের কেউ পাগল বলেনা!পাগলী বলতে হয়।
!
বুঝলাম মেয়েটার মাথায় সমস্যা আছে।না হলে কি আর এমন করে কথা বলে!ভলিউমটা বাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছিলাম।কখন যে ফেরীঘাটে পৌছে গেছি টের পাইনি!চোখ খুলে দেখলাম আমাদের গাড়িটা লম্বা সিরিয়ালের প্রায় শেষের দিকে।কখন ফেরীতে উঠতে পারবে তার ইয়ত্বা নেই!ভাবলাম একটু নিচ থেকে ঘুরে আসি!কিন্তু ব্যাগ আর ল্যাপটপ?এগুলো কোথায় রাখবো?যদি কেউ নিয়ে যায়?না না।এভাবে রাখা ঠিক হবেনা!তার থেকে পাগলী মেয়েটাকেই ব্যাগ দেখার দায়িত্ব দিয়ে যাই।
!
-এই যে শুনছেন?
মেয়েটা গভীর ঘুমে নিমগ্ন।মায়াবী চেহারা মেয়েটার।হালকা মেক-আপ মেয়েটার মুখের মায়াবী চেহারা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।আমি এর আগে এত কাছ থেকে কোনো মেয়েকে দেখিনি॥অজান্তেই হাড়িয়ে গেলাম ওর মাঝে।
!
-এই যে মিষ্টার!হা করে কি দেখছেন?এর আগে কখনো মেয়ে দেখেননি?
মেয়েটির কর্কশ কন্ঠ শুনে ঘোর কাটল।
-আসলে আমি একটু বাইরে যেতে চাই!
-বাইরে যাবেন তো আমাকে কি দেখছেন?
-আমার ব্যাগ আর ল্যাপটপ টা একটু দেখবেন?
-ওকে ওকে।
!
কথা না বাড়িয়ে সোজা বাইরে চলে আসলাম।রাতে অন্ধকারটাকে কিছু লাইট দিয়ে আড়াল করা চেষ্টা করা হয়েছে।যেদিকে তাকাই শুধু লাইট আর লাইট।তবুও আমি অন্ধকারকে দেখার চেষ্টা করছি।ডান হাতে থাকা সিগারেটটা বার কয়েক ঠোট স্পর্শ করিয়ে ফেলে দিলাম।খিদেও নেই তেমন একটা!ভাবলাম চুপচাপ গাড়িতে বসেই গান শুনি।
!
-ঘোরা শেষ?
-হ্যাঁ।আপনি যাবেন কি?
-আমি আপনার মতো স্বার্থপর না!একা একা ঘুরতে যাই না।
-আপনি অনেক সুন্দর করে কথা বলেন।
-পাম দিয়েন না!আচ্ছা আপনার নাম কি?
-নীল।আপনার?
-লাল।
-ফাঁন করছেন?
-হুম।
-ভালো।
-একদমই না।আমি খুব খারাপ।
-ভালো।
-পাগল কোথাকার!আমি নীলিমা।
-খুব ভালো নাম।
-আমার আম্মু রেখেছিলেন।
-ঠিক বুঝলাম না!রেখেছিলেন?এখন কোথায় উনি?
-ঐ আকাশে।আমার জন্মের এক বছর তিনি মারা যান।
-ও স্যরি।কোথায় যাবেন আপনি?
-খুলনা।আমার মামা বাড়িতে।আপনি?
-আমিও।তবে বন্ধুর বাড়িতে।
-ভালোই হলো।আপনি ফেসবুক চালান?
-হ্যাঁ।আপনি?
-চালাই।আপনার আইডি নাম বলেন।
!
আমার জিমেইলটা বলে দিলাম।মেয়েটার আইডি নেইমটা বলল না।কারণ টা বুঝতে পারিনি তখন।এরপর যে কখন খুলনাতে চলে আসছি তা ঠিক আন্দাজ করতে পারিনি।ঘুমিয়ে ছিলাম।চোখ মেলে মেয়েটিকে আর দেখিনি।ভোর হতেই বন্ধুর বাড়িতে রওনা করলাম।একটা ভয় ছিলো!যদি রিহান আমাকে রিজেক্ট করে?
!
রিহান আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল;তোকে অনেক মিস করেছি দোস্ত।তুইতো জানিস আমি একটু বেশি অভিমানি।
!
তিন দিন রিহানের বাসায় থাকার পরে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।গাড়িতে উঠে মেয়েটির কথা মনে পড়ল।কিন্তু কি আর করা?কোথায় থাকে,কি করে কিছুইতো জানিনা।ওর কথা বাদ দিয়ে ভাবলাম তিনদিন ফেবুতে যাওয়া হয়না!একটু ফেবুতে ঢুকি।
!
অনেকগুলি ম্যাসেজ আসছে।লেখা পড়তে পারছেনা বলে অনেকেই ম্যাসেজ দিয়েছে।সবার রিপ্লে দিয়ে একটা ম্যাসেজে চোখ আটকে গেলো।এটা আর কেউ না।আমাকে ফেবুতে যে মানুষটা আমাকে বেশি জালাতন করে সেই মানুষটার ম্যাসেজ।প্রথমত ম্যাসেজটা ওপেন করতে চাইছিলাম না।কি ভেবে যেন ওপেন করলাম!ওমা!এতো সেই মেয়েটা।যে আমার সাথে গাড়িতে এসেছিলো।নীলিমা।
!
অনেক কথা হতে থাকল ওর সাথে।প্রায় এক বছর কথা বলার পরে জানতে পারলাম মেয়েটা আমার লেখার অনেক বড় ভক্ত।এমনকি ও আমাকে অনেক পছন্দ করে।
!
আমি বুঝে উঠতে পারছিনা কি বলব ওকে!বন্ধু হয়ে থাকতে চাই সব সময় ওর পাশে।কারণ আমার একটাই ভয়।এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে রিহান আর ফেবুটাই আছে।জন্মের পরে মা বাবাকে দেখিনি কখনো।এতিমখানায় থাকতাম।ওটাই আমার পরিবার।এতকিছু জানার পরে কি নীলিমা আমাকে গ্রহন করবে?প্রশ্নই আসেনা।চালচুলহীন কোনো ছেলেকে কোনো মেয়েই জীবনসঙ্গী করতে নারাজ।
!
সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি বন্ধু হিসেবেই নীলিমার পাশে দাড়াবো।যদি কখনো ও আমার পুরো জীবনী জানার পরেও আমাকে বন্ধুর মর্যাদা দিতে রাজি থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন