আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি।
আমাদের পাশের গ্রামের একটা ভাইয়া ছিল।
আমাকে খুব ভালোবাসত।
আর খুব ভালো একটা ছেলে ছিল।
ভাইয়ার নামটা ছিল শ্রাবণ।
ভাইয়া একটা মেয়ের সাথে প্রেম করত।
মেয়েটার নাম নিলিমা। আমি আপু বলে ডাকতাম। কারণ নিলিমা আপু ছিল আমাদের প্রতিবেশী। আমাকে আপু পিচ্ছি ভাইয়া বলে ডাকত।
যাই হক এবার আসল কথায় আসি।
আজ থেকে ২ বছর আগে
.
.
.
শ্রাবণ : ঘুমিয়ে গেছো?
নিলিমা : কী মনে হয় আপনার?
শ্রাবণ : তুমি আমাকে আপনি করে বলছ কেন? (অবাক হয়ে)
নিলিমা : আগে বলেন, আপনি আমাকে কল করেছেন কেন?
শ্রাবণ : ওহ! দুঃখিত আমিতো আপনাকে কল করতে পারি না। আমি কল করার কে?
নিলিমা : রাগ কর কেন?
পাগল সাধারণ বিষয় নিয়ে কী কেউ রাগ করে।
শ্রাবণ : পাগলি আমি রাগ করিনি তো।
একটু রাগের অভিনয় করলাম। আমি কী পাগলিটার সাথে রাগ করতে পারি?
নিলিমা : ওকে, আর কথা নেই তোমার সাথে।
(একটু রাগ করে)
শ্রাবণ : সত্যি! কথা বলবা না আর আমার সাথে?
নিলিমা : হুম মানে কথা বলব।
শ্রাবণ : আচ্ছা তুমি ঘুমাবা না?
নিলিমা : পাগলটা ঘুমাতে দিলে তো আমি ঘুমাবো।
শ্রাবণ : পাগলি আমার এখন ঘুম পাচ্ছে।
.
.
.
.
নিলিমা : আহারে পাগল রে, আমার ঘুম নষ্ট করে এখন উনি ঘুমাবেন।
শ্রাবণ : পাগলি তাহলে আমি এখন কী করব?
নিলিমা : সারা রাত কথা বলতে হবে আমার সাথে।
শ্রাবণ : হুম আমি বলব। পাগলিটা আমাকে যা করতে বলবে আমি ভদ্র ছেলের মত তাই করব।
নিলিমা : ইসরে, পাগল কথা বলতে হবে না ।
শ্রাবণ : কেন? পাগলি কী রাগ করেছে?
নিলিমা : আরে না, পাগল আমারও তো ঘুম পাচ্ছে।
শ্রাবণ : ঘুমাবার আগে ঐ কথাটা একটু বলো প্লিজ।
নিলিমা : কোন কথা?
.
.
.
শ্রাবণ : বলো আমি তোমাকে ভালোবাসি?
নিলিমা : হুম তুমি আমাকে ভালোবাসো।
শ্রাবণ : আমার কিন্তু এখন মেজাজ গরম হচ্ছে।
নিলিমা : আরে পাগল আমিতো তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
শ্রাবণ : আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।
নিলিমা : আচ্ছা এখন ঘুমান। আমিও ঘুমাবো।
শ্রাবণ : হুম, পাগলি শুভ রাত্রি।
.
.
.
এভাবে চলতে ছিল তাদের প্রেম। খুব ভালোই কাটছিল তাদের দিনগুলো।
হঠাৎ করে শ্রাবণ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরল। এর ভিতরে ২ মাসের মধ্যে শ্রাবণ আর নিলিমার একেবারেই যোগাযোগ হয় নি।
কারণ শ্রাবণ এতটাই এসুস্থ ছিল যে ইচ্ছে থাকলেও যোগাযোগ করতে পারে নি।
শ্রাবণ এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ।
প্রায় ২ মাস পর শ্রাবণ নিলিমাকে কল করল।
.
.
.
শ্রাবণ : হ্যালো, নিলিমা কেমন আছো?
নিলিমা : ভালোই
শ্রাবণ : আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে ?
নিলিমা : হুব পারব (আস্তে করে বলল)
শ্রাবণ : আজ বিকেল বেলা কলেজ মাঠে আমার সাথে দেখা করবে। বিকেল ৪ টার সময়।
নিলিম : ওকে, আমি আসব।
.
শ্রাবণ আগে থেকেই দাড়িয়ে ছিল মাঠের এক পাশে।
নিলামাকে দেখে শ্রাবণ এগিয়ে যায় নিলিমার দিকে।
নিলিমা : এখন কেমন আছো?
শ্রাবণ : আগের থেকে একটু ভালো। তুমি কেমন আছো?
নিলিমা : ভালো না । বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। খুব চিন্তায় আছি।
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।
শ্রাবণ : হা হা হা. . . . . . . . .
নিলিমা :হাসছো কেন ?
শ্রাবণ : তোমার বাবাতো ঠিক কাজটাই করেছে। তুমি আমাকে ভুলে যাও। তোমার বাবার ঠিক করা ছেলেকে বিয়ে করে ফেল।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
নিলিমা : তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
শ্রাবণ : না, আমিতো শুধু তোমার সাথে অভিনয় করেছি। এছাড়া আর কিছুই না।
.
.
.
নিলিমা : তুমি আমার সাথে এমন করতে পারলে?
শ্রাবন : কেন পারব না?
.
নিলিমা আর কোন কথা না বলে কান্না করতে করতে চলে গেল।
নিলিমা বাড়িতে জানিয়ে দিল যে তার এ বিয়েতে মত আছে।
নিলিমার বিয়ের আগের দিন সকাল থেকেই শ্রাবণের অবস্থা খুব খারাপ। শ্রাবণ আবার অসুস্থ হয়ে পরল।
.
.
.
ডাক্তার বলেছে শ্রাবণ আর কয়েক মাস বেঁচে থাকবে এ পৃথিবীতে। যার জন্য শ্রাবণ নিলিমার সাথে অভিনয় করেছে। নিলিমা যেন শ্রাবণকে ভুল বুঝে দুরে চলে যায়। শ্রাবনও নিলিমাকে অনেক ভালোবাসত।
নিলিমার বিয়ের দিন চলে আসল। শ্রাবণেরও শারিরীক অবস্থার আগের থেকে অনেক অবনতি হয়েছে।
সেদিন সকাল ১০ টার সময় শ্রাবণ এর দেহ থেকে তার প্রাণ পাখিটা বের হয়ে গেল।
এদিকে নিলামা সব কিছু শ্রাবণের বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারল।
নিলিমা কান্না করতে করতে হাসপাতালে আসল।
কিন্তু শ্রবনের সাথে কথা বলতে পারল না। শুধু দেখতেই পারল। কথা বলবে কীভাবে শ্রাবণতো তখন আর বেঁচে নেই।
.
.
.
নিলিমা হাটতে হাটতে হাসপাতালের বাহিরে চলে আসে।
নিলিমার বাবা, মা সবাই আসে হাসপাতালে।
নিলিমাকে তারা ডাকতে থাকে কিন্তু নিলিমা কোন কথা বলে না।
তার পর থেকে নিলিমা আর কারো সাথে কথা বলে নি।
আর নিলিমার বিয়েটাও হয় নি।
আজ ২ বছর পরও নিলিমা কারো সাথে কথা বলে না।
হয়তো আর কোন দিন কথা বলবে না
আমাদের পাশের গ্রামের একটা ভাইয়া ছিল।
আমাকে খুব ভালোবাসত।
আর খুব ভালো একটা ছেলে ছিল।
ভাইয়ার নামটা ছিল শ্রাবণ।
ভাইয়া একটা মেয়ের সাথে প্রেম করত।
মেয়েটার নাম নিলিমা। আমি আপু বলে ডাকতাম। কারণ নিলিমা আপু ছিল আমাদের প্রতিবেশী। আমাকে আপু পিচ্ছি ভাইয়া বলে ডাকত।
যাই হক এবার আসল কথায় আসি।
আজ থেকে ২ বছর আগে
.
.
.
শ্রাবণ : ঘুমিয়ে গেছো?
নিলিমা : কী মনে হয় আপনার?
শ্রাবণ : তুমি আমাকে আপনি করে বলছ কেন? (অবাক হয়ে)
নিলিমা : আগে বলেন, আপনি আমাকে কল করেছেন কেন?
শ্রাবণ : ওহ! দুঃখিত আমিতো আপনাকে কল করতে পারি না। আমি কল করার কে?
নিলিমা : রাগ কর কেন?
পাগল সাধারণ বিষয় নিয়ে কী কেউ রাগ করে।
শ্রাবণ : পাগলি আমি রাগ করিনি তো।
একটু রাগের অভিনয় করলাম। আমি কী পাগলিটার সাথে রাগ করতে পারি?
নিলিমা : ওকে, আর কথা নেই তোমার সাথে।
(একটু রাগ করে)
শ্রাবণ : সত্যি! কথা বলবা না আর আমার সাথে?
নিলিমা : হুম মানে কথা বলব।
শ্রাবণ : আচ্ছা তুমি ঘুমাবা না?
নিলিমা : পাগলটা ঘুমাতে দিলে তো আমি ঘুমাবো।
শ্রাবণ : পাগলি আমার এখন ঘুম পাচ্ছে।
.
.
.
.
নিলিমা : আহারে পাগল রে, আমার ঘুম নষ্ট করে এখন উনি ঘুমাবেন।
শ্রাবণ : পাগলি তাহলে আমি এখন কী করব?
নিলিমা : সারা রাত কথা বলতে হবে আমার সাথে।
শ্রাবণ : হুম আমি বলব। পাগলিটা আমাকে যা করতে বলবে আমি ভদ্র ছেলের মত তাই করব।
নিলিমা : ইসরে, পাগল কথা বলতে হবে না ।
শ্রাবণ : কেন? পাগলি কী রাগ করেছে?
নিলিমা : আরে না, পাগল আমারও তো ঘুম পাচ্ছে।
শ্রাবণ : ঘুমাবার আগে ঐ কথাটা একটু বলো প্লিজ।
নিলিমা : কোন কথা?
.
.
.
শ্রাবণ : বলো আমি তোমাকে ভালোবাসি?
নিলিমা : হুম তুমি আমাকে ভালোবাসো।
শ্রাবণ : আমার কিন্তু এখন মেজাজ গরম হচ্ছে।
নিলিমা : আরে পাগল আমিতো তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
শ্রাবণ : আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।
নিলিমা : আচ্ছা এখন ঘুমান। আমিও ঘুমাবো।
শ্রাবণ : হুম, পাগলি শুভ রাত্রি।
.
.
.
এভাবে চলতে ছিল তাদের প্রেম। খুব ভালোই কাটছিল তাদের দিনগুলো।
হঠাৎ করে শ্রাবণ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরল। এর ভিতরে ২ মাসের মধ্যে শ্রাবণ আর নিলিমার একেবারেই যোগাযোগ হয় নি।
কারণ শ্রাবণ এতটাই এসুস্থ ছিল যে ইচ্ছে থাকলেও যোগাযোগ করতে পারে নি।
শ্রাবণ এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ।
প্রায় ২ মাস পর শ্রাবণ নিলিমাকে কল করল।
.
.
.
শ্রাবণ : হ্যালো, নিলিমা কেমন আছো?
নিলিমা : ভালোই
শ্রাবণ : আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে ?
নিলিমা : হুব পারব (আস্তে করে বলল)
শ্রাবণ : আজ বিকেল বেলা কলেজ মাঠে আমার সাথে দেখা করবে। বিকেল ৪ টার সময়।
নিলিম : ওকে, আমি আসব।
.
শ্রাবণ আগে থেকেই দাড়িয়ে ছিল মাঠের এক পাশে।
নিলামাকে দেখে শ্রাবণ এগিয়ে যায় নিলিমার দিকে।
নিলিমা : এখন কেমন আছো?
শ্রাবণ : আগের থেকে একটু ভালো। তুমি কেমন আছো?
নিলিমা : ভালো না । বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। খুব চিন্তায় আছি।
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।
শ্রাবণ : হা হা হা. . . . . . . . .
নিলিমা :হাসছো কেন ?
শ্রাবণ : তোমার বাবাতো ঠিক কাজটাই করেছে। তুমি আমাকে ভুলে যাও। তোমার বাবার ঠিক করা ছেলেকে বিয়ে করে ফেল।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
নিলিমা : তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
শ্রাবণ : না, আমিতো শুধু তোমার সাথে অভিনয় করেছি। এছাড়া আর কিছুই না।
.
.
.
নিলিমা : তুমি আমার সাথে এমন করতে পারলে?
শ্রাবন : কেন পারব না?
.
নিলিমা আর কোন কথা না বলে কান্না করতে করতে চলে গেল।
নিলিমা বাড়িতে জানিয়ে দিল যে তার এ বিয়েতে মত আছে।
নিলিমার বিয়ের আগের দিন সকাল থেকেই শ্রাবণের অবস্থা খুব খারাপ। শ্রাবণ আবার অসুস্থ হয়ে পরল।
.
.
.
ডাক্তার বলেছে শ্রাবণ আর কয়েক মাস বেঁচে থাকবে এ পৃথিবীতে। যার জন্য শ্রাবণ নিলিমার সাথে অভিনয় করেছে। নিলিমা যেন শ্রাবণকে ভুল বুঝে দুরে চলে যায়। শ্রাবনও নিলিমাকে অনেক ভালোবাসত।
নিলিমার বিয়ের দিন চলে আসল। শ্রাবণেরও শারিরীক অবস্থার আগের থেকে অনেক অবনতি হয়েছে।
সেদিন সকাল ১০ টার সময় শ্রাবণ এর দেহ থেকে তার প্রাণ পাখিটা বের হয়ে গেল।
এদিকে নিলামা সব কিছু শ্রাবণের বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারল।
নিলিমা কান্না করতে করতে হাসপাতালে আসল।
কিন্তু শ্রবনের সাথে কথা বলতে পারল না। শুধু দেখতেই পারল। কথা বলবে কীভাবে শ্রাবণতো তখন আর বেঁচে নেই।
.
.
.
নিলিমা হাটতে হাটতে হাসপাতালের বাহিরে চলে আসে।
নিলিমার বাবা, মা সবাই আসে হাসপাতালে।
নিলিমাকে তারা ডাকতে থাকে কিন্তু নিলিমা কোন কথা বলে না।
তার পর থেকে নিলিমা আর কারো সাথে কথা বলে নি।
আর নিলিমার বিয়েটাও হয় নি।
আজ ২ বছর পরও নিলিমা কারো সাথে কথা বলে না।
হয়তো আর কোন দিন কথা বলবে না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন