মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

““ ইডিয়ট ছেলে ””

ক্লাস রুমে বসে বসে স্যারের জন্য প্রয়োজনীয় আর আমার জন্য অপ্রয়োজনীয় লেকচার শুনছি। স্যারের বকবক শুনে মনে হয় স্যার গুলো যখন আমাদের বয়সের ছিল তখন সাড়া দিন পড়ত।
আমি তুরিও, ৩ বছর সিভিল ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে এবার ফাইনাল ইয়ারে আছি। তবুও শুধু পড়তেই হয়। ক্লাস করতে করতে কখন যে বন্ধুর কাধেঁ মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছি খেয়ালই ছিল না। আর যার কাধেঁ মাথা রাখলাম সে আমাকে ডাক দেয় নি। উল্টা স্যারকে ডাক দিয়ে আমাকে দেখালো। হারামী গুলো যে কত ফাজিল ক্লাসে স্যারের কাছে বকা খাওয়ানোর জন্য সব সময় রেডি। স্যারের হিটলার মার্কা গলার ডাকে ঘুমটা ভাঙ্গলো........
-- এই ফাজিল ছেলে উঠো?
-- ইয়েস স্যার।
-- নাম কি তোমার?
-- তুরিও। নাম তো সুনাহি হগা।
-- কি???
-- না কিছু না?
-- এটা কি ঘুমানোর জায়গা? রাতে কি করছ?
-- সাড়া রাত কি করছি? ও মনে পরছে। সাড়া রাত জেগে পড়ছি স্যার।
-- কি পরলে শুনি?
-- স্যার ইন্টারনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাইফ স্টোরি পরলাম। আপনিও পরে দেখবেন, সেই মজার স্যার।
-- চুপ বেয়াদব। তোমাদের মত ফাজিল ছেলে দিয়ে কিছু কাজই হবে না।
-- স্যার এই কথাটা আপনিও বললেন?
-- মানে?
-- না মানে বাড়ির সাবাই বলে তো আমাকে দিয়ে কোন কাজ হবে না তাই।
-- বান্দর ছেলে যা তো ক্লাস থেকে। স্যার রেগে গিয়ে বলে, শুধু বকবক করতে ক্লাসে আসে, লেখাপড়ার কোন খবর নাই। আমি আর কথা না বলে ঘুমের চোখ ঢলতে ঢলতে ক্লাসের বাইরে চলে আসি। হঠাৎ মনে পরলো স্যারকে তো একটা কথা বলা হয় নি। তাই আবার ক্লাসের সামনে গেলাম।
-- স্যার প্লিজ একটু শুনেন?
-- কি হলো যাও নি এখনও। কথা শুনে বুঝা গেল রেগে আছে ।
-- না তবে যাবো তার আগে একটা কথা ছিলো।
--কি??
-- স্যার শুধু বান্দর বলবেন না অপমান লাগে। তাই কলা গাছের বান্দর বলবেন। একটু ভাব আসে মনে।
-- ফাজিল।
স্যারের গুন্ডার মত কথা না শুনে দৌড়াতে শুরু করলাম। কারন এখানে দাড়ালেই আমাকে থাক সেইটা নাই বা বললাম । আচ্ছা স্যার গুলো এমন অসুর টাইপের হয় কেন। আমার মত শিশু ছেলেকে আরেকটু ঘুমাতে দিলে ওনার কি এমন ক্ষতি হতো।
এইসব কথা চিন্তা করতে করতে একটা রিকশা নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। আসতেই ভাবীর সাথে দেখা---
ভাবী -- আরে তুরিও আজ এতো তারাতারি চলে আসলে।
আমি -- হুম স্যার আমাকে আজ স্পেশাল ছুটি দিয়ে দিছে।
ভাবী-- ছুটি দিছে নাকি ক্লাস থেকে বার করে দিছে।
আমি -- ভাবি.....
ভাবী-- হুমম
আমি-- কেন না বললেও সব বুঝে যাও বলো তো।
ভাবী-- কি করব বলো ৩ বছর ধরে যে তোমায় দেখে আসছি। বুঝতে তো হবেই দশটা না পাচঁটা না, একটা মাত্র দেবর আমার।
হঠাৎ দেখি ভাইয়া তারাতারি রুম থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। মনে হয় অফিস যাবে আর আজও দেরি হয়ে গেছে।
ভাইয়া-- এই যে শুনো আমি অফিস যাচ্ছি। ভাইয়া ভাবি কে বলল।
ভাবী-- কি বলো? তাহলে স্টেশন থেকে হৈমন্তী কে আনতে যাবে?
আমি-- ও ভাবী হৈমন্তী আসবে নাকি আমাদের বাড়িতে।
ভাইয়া-- তো তোর আবার কি হলো?
আমি-- না মানে তুমি অফিস যাও আমি হৈমন্তীকে স্টেশন থেকে আনতে যাবো।
ভাইয়া-- তুই যাবি পাক্কা।
আমি-- নয়ত কি কাচাঁ যাবো।
ভাইয়া-- না তোর তো আবার সব সময় মাথায় ঘুরে কেমনে ওরে লাইন মারবি।
আমি--আরে না। এবার সিউর দিচ্ছি আমি ভাল ছেলে হয়ে থাকব।
ভাইয়া-- ওকে তাহলে ভাল করে ওরে নিয়ে আসিস। ও ১২টার ট্রেনে চলে আসবে। আর এখন সাড়ে ১১ টা বাজে। তুই স্টেশন যা আমি অফিস চলে যাই।
আমি-- ভাইয়া শুনো?
ভাইয়া-- কি হলো আবার?
আমি-- এক হাজার টাকার নোটের ভাংতি হবে।
ভাইয়া-- হুমমম এই নে , দুইটা পাঁচশত টাকার নোট দিয়ে বলল।
আমি-- ও ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া-- এবার এক হাজার টাকার নোট দে।
আমি---- এক হাজার টাকার নোট কই পাব? আর আমি কি বললাম আমি তোমায় ১ হাজার টাকা দিবো। আমি তো শুধু বললাম ভাংতি হবে নাকি। তাছাড়া আমার পকেটে টাকা নাই আর হৈমন্তীকে আনতে যাবো যদি ও কিছু খাইতে চায় আর আমি যদি না খাওয়াতে পারি তাহলে লজ্জা না। আর তাছাড়া বড় ভাইয়ের থেকে টাকা চাইতে লজ্জা করে না। আর হুমমম আমি তো আমার ভাইয়ের টাকায় লাইন মারব, অন্য কারো টাকায় না। তাই আমি রেডি হতে গেলাম আর তুমিও অফিস যাও।
আমি কথা গুলো বলে আমার রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গান লাগিয়ে দিলাম বক্সে। আর ভাইয়া আমার লম্বা ব্যাখা শুনে চুপ করে অফিস চলে গেল। আর ভাবী তো হাসতে হাসতে রান্না ঘরে চলে গেল।
আমি চরম পরিমান স্টাইল নিয়ে স্টেশনে দাড়িয়ে আছি। তাছাড়া আজ আমার তিন বছর ধরে লাইন মারার মানুষটা আসছে। তবে কষ্ট আজও ওরে পটাতে পারলাম না। এখন মনে হয় ও অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। কি করনে যে পটে না এটাই এখনো বুঝলাম না। হঠাৎ ট্রেন চলে আসলো আর মানুষ নামতে লাগল। আর আমিও ওরে খুজতে লাগলাম। হঠাৎ আমাকে পাশ কাটিয়ে একটা মেয়ে চলে গেল আর আমি এক দেখায় একটা ক্রাশ খেলাম। আর মেয়েটার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
-- ক্রাশ খেলে বুঝি? ( পিছনে কে যেন বলল)
আমি-- হুমম । আর আমিও পিছনে তাকিয়ে খেলাম আরেক ঝাটকা।
আমি-- আরে হৈমন্তী।
হৈমন্তী-- কেন অন্য কাউকে বুঝি আশা করে ছিলে?
আমি-- না না তোমাকেই খুজছিলাম।
হৈমন্তী-- হুমমম তার নমুনা তো দেখতেই পেলাম।
আমি-- আরে কি যে বলো। তুমি ছাড়া অন্য কোন মেয়ের দিকে কি আমি তাকাতে পারি।
হৈমন্তী-- এটা ছেলেদের কমন ডায়লগ। এবার ব্যাগ ধরো আর চলো।
আর কথা না বলে একটা রিকশা নিয়ে আমি আর হৈমন্তীকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। হৈমন্তী বাড়িতে এসে সবার সাথে দেখা করে ভাবীর সাথে ভাবীর রুমে চলে গেল আর আমিও আমার রুমে চলে আসলাম।
বিকেলে আমি ছাদে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম। আসলে আমি ভাবতে ছিলাম হৈমন্তীর সাথে আমার পরিচয় ৩ বছর আগে ভাইয়ের বিয়েতে। ওরে আমার ভাল লেগে যায় আর সময়ে টানে ভালবাসতেও শুরু করি। একবার ওরে আমি প্রপোজও করে ছিলাম কিন্তু পাত্তাও পেলাম না। ও উত্তর দিয়ে ছিল যে, ও আমার মাঝে যেদিন সিরিয়াস কিছু দেখবে সেই দিন সে আমার প্রপোজে রাজি হবে। তবে সমস্যা হলো আমি এতো বড় হলাম কিন্তু নিজে কখনো সিরিয়াস হতে পারি নি। আর আমিও ভেবে নিয়েছি কখনো বুঝি হৈমন্তী আমায় ভালবাসবে না। আসলে তো আমার মত বান্দর টাইপের ছেলেকে কে ভালবাসবে।
হৈমন্তী-- এই যে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছ?
আমি-- ভাবছি তুমি এখানে থাকবে কত দিন?
হৈমন্তী-- কেন খুব তারাতারি বিদায় করার প্লেন আছে বুঝি?
আমি-- না তবে লাইন মারার প্লেন তো আছেই।
হৈমন্তী-- এটা তো শুধু আজ নয় বরং ৩ বছর ধরেই মেরে আসছো।
আমি-- হুমমম দেখি কতটুকু পটাতে পারি।
হৈমন্তী-- হা হা ওকে এবার শুনো আমাকে কবে এই শহরটা ঘুরে দেখাবে??
আমি-- যে দিন তুমি চাইবে।
হৈমন্তী-- ওকে কাল বিকেলে আমরা ঘুরতে যাবো।
আমি-- ওকে
আর কোন কথা না বলে ও ভাল করে আমাদের আশেপাশের বাড়ি গুলো ভাল করে দেখতে লাগল। হঠাৎ ও খেয়াল করল আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা বাড়ির শিউলি ফুল গাছের দিকে।
হৈমন্তী-- এই তুরিও শুনো আমাকে ওই গাছ থেকে ফুল এনে দাও না।
হৈমন্তী--খাইছে রে আর কোন বাড়ির দিকে নজর দিতে পারলে না। শেষ পর্যন্ত এই ঝগড়াটে মেয়ের বাড়ির দিকেই তাকাতে হলো।
হৈমন্তী-- কেন কে আছে এই বাড়িতে?
আমি-- তনু নামের একটা বজ্জাত ডাইনী ।
হৈমন্তী-- তো কি হলো?
আমি-- কিছু হয় নি তবে গাছে হাত দিলে আচমকা খেয়াল করবে তুমি আছো কিন্তু তোমার হাত নেই বা তোমার হাত আছে কিন্তু তুমি নেই।
হৈমন্তী-- তাহলে তো ফুল গুলো আমার চাই।
আমি-- আমি পারব না।
হৈমন্তী-- কি??
আমি-- না মানে এখন তো ফুল পাবো না। আর শিউলি ফুল তো ভোরে ফুটে। তখন এনে দিলেই তো চলবে।
হৈমন্তী-- মনে থাকে যেন।
বলেই হৈমন্তী চলে গেল আর আমাকে ফাসিঁয়ে দিয়ে গেল। ওই বাড়ির একটা আম গাছে আমি একটা ঢিল দিয়ে ছিলাম আর পরে যা হলো তা শুনলেই ভাল। কারন ওই বাড়ির মেয়েটা আমার বাড়িতে এসে বাবার কাছে বিচার দিছে। তারপর আর কি বাবা মেয়েটার সামনে আমাকে এক রাশ বকনি দিয়ে ছিল।
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলাম। এখন প্রায় ৫টা ১৫ বাজে, চার দিকে এখনো অন্ধকার। মনে হয় সূর্য্যি মামা দাতঁ ব্রাশ করছে, একটু পরে উদয় হবে। আমি চুরের মত নিজের বাড়ি থেকে বার হলাম। আর ওই বজ্জাত মেয়ের বাড়ির সামনে এসে হাজির। কিন্তু এখন দুইটা খবর আছে। একটা ভাল খবর আরেকটা খারাপ খবর। ভাল খবরটা হলো এখনো বাড়ির কেউ ঘুম থেকে উঠে নি আর খারাপ খবরটা হলো এই বাড়িতে একটা কুকুর আছে যা মনেই ছিল না। আর এই সময় কুকুরটা পাহারা দেয়।
আমি গেটের ভিতরে তাকিয়ে দেখি কুকুরটা দরজার সামনে বসে আছে। এখন কি করব মাথায় আসছে না। অনেক ভেবে একটা বুদ্ধি বার করলাম। গাছটা যেই দিকে তার বিপরীত দিকে একটা ঢিল মারলাম
যে কুুকুরটা দেখতে যায় সেখানে কি হয়েছে। আর আমি সেই সুযোগে বাড়িতে এন্ট্রি নিবো।
যা ভাবনা সেই কাজ, আমি বাড়িটার অন্য দিকে ঢিল দেওয়ায় কুকুরটা দেখতে গেল ওই খানে কি হলো। আর আমি দেয়াল টপকে বাড়িতে ডুকলাম। এবার মনের খুশিতে ফুল কুড়াতে লাগলাম। হাঠাৎ খেয়াল করলাম কুকুরটা আমার পিছনে দাড়িয়ে আছে। আমারও পা কাপাঁ শুরু করলো।
-- বাবু বিস্কুট খাবে?
-- ঘেউ ঘেউ
দে দৌড় বলেই দৌড়াতে শুরু করলাম। কিছুখন এই বাড়ির মাঝেই আমাকে দৌড়াল। পরে সুযোগ বুঝে ফুলটা নিয়ে দেয়াল টপকে চলে আসলাম। আর সেই কুকুর ঘেউ ঘেউ করছেই। যাক বাবা শান্তি পেলাম।
বাড়িতে ডুকে দেখি হৈমন্তী জেগে গেছে। আর ঘরে চুপচাপ বসে আছে।
আমি-- ফুল গুলো দিয়ে বললাম, এই যে তোমার ফুল।
হৈমন্তী-- ধন্যবাদ। সাথে একটা হাসি । ও অনেক খুশিও হয়।
আমি-- ওকে
হৈমন্তী-- তুরিও শুনো?
আমি-- কি?
হৈমন্তী-- তুমি এক পায়ে জুতা পরে ঘুরছ কেন? কি হলো?
আমি-- না মানে এক পায়ে গরম লাগছিল তাই খুলে রাখছি। আসলে আমি আমার পায়ের দিকে তাকালাম আর খেয়াল হলো কুকুর তাড়ায় ওই বাড়িতেই একটা জুতা খুলে যায়।
হৈমন্তী-- তাই????
আমি-- হুমম।
আর কথা না বলে চলে আসলাম কারন আর কথা বললে পরে মুখ ফসকে সব বার হয়ে যাবে।
আজ আর ভার্সিটি যাই নি। সাড়া দিন লুকিয়ে লুকিয়ে হৈমন্তীকে দেখেই দিনটা কাটালাম।
বিকেলে হৈমন্তীকে নিয়ে ঘুরতে বার হলাম। ওরে খুব সুন্দর লাগছে যা বুঝাতে পারব না। আমি একটু পরপরই ওরে দেখছি। আচ্ছা ও কি বুঝতে পারে না আমি ওরে কতটা ভালবাসি। আর কি করলে ও রাজি হবে।
আমরা রাস্তায় পাশ দিয়ে হাটতে ছিলাম। আর তখনই আমাদের চোখের সামনে রাস্তায় বিপরীত পাশে একটা সি এন জি এর সাথে একটা লোক এক্সিডেন্ট করে। আমরা দৌড়ে সেখানে গেলাম। আর খেয়াল করি লোকটা মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছে। এমনি অনেক রক্ত বার হচ্ছে। তাই আমি আর দেরি না করে সামনে থেকে একটা সি এন জি নিয়ে লোকটাকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যাই। আর সাথে হৈমন্তী আসে কিন্তু আমার মাঝে তখন খেয়ালই ছিলো না যে সাথে হৈমন্তী আছে। আমরা দুইজন মিলে লোকটাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং ভর্তি করে দেই। লোকটার অনেক রক্ত যাওয়ার কারনে এখন রক্ত লাগবে। কিন্তু সুভাগ্য বশত লোকটার সাথে আমার রক্তের গ্রুপ মিলে যায় আর আমি রক্তও দেই।
পরে লোকটার পকেট থেকে ওনার মোবাইল পাই আর ওনার মোবাইলে হোম দিয়ে সেভ করা নাম্বারে ফোন দিয়ে সব বলি। কিছুখন পরেই ওদের বাড়ির লোকজন চলে আসে আর আমি ওদের সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি। ওরা আমাকে অনেক ধন্যবাদ দেয়, আমিও ওদের কথা দিয়ে আসি একবার ওনাকে দেখতে ওদের বাড়ি যাবো। আমি ওনাদের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে চলে আসি।
ওদের বায় দিয়ে আমি হৈমন্তীকে সাথে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বার হই। তখনও আমার শরীরে আর হাতে ওই লোকটার রক্ত লেগে আছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম কেউ একজন আমার হাতটা ধরল আর এটা হৈমন্তী। ও আমার দিকে তাকিয়ে শুধু বলল, এই তুরিও কে তো আমি ৩ টা বছর ধরে খুজে আসছি। যার মাঝে সিরিয়াসলি ভাব আছে। আমি কি এই তুরিও কে ভালবাসতে পারি। যদি ভালবাসতে না চাও তাহলে সমস্যা নাই। শুধু একটু ভালবাসতে দিবে। তবে হা পটানো কিন্তু ছাড়া যাবে না, সব সময় লাইন মারতেই হবে।
আমি আর কি বলব, চুপ করে ওর হাতটা শক্ত করে ধরে হাটতে লাগলাম।
বেচে থাকুক এই ভালবাসা, অনন্ত কাল ধরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন