----আকাশের চাঁদটা খুব সুন্দর! তাইনা?
----আপনি?
----কেন বিরক্ত হলেন?
----না, আসলে ঘুম আসছিল না তো.....
----আসলে আমি মানুষটাই খারাপ তাইনা? বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখি আপনার ঘুম হয়না, আপনি এখানে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
----আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি! তবে সত্যিই তোমাকে অনেক ভালবাসি…
:'(
----আমি তো আপনাকে মোটেও ভালবাসি না!
----একদিন নিশ্চয়ই ভালোবাসবেন! আমি সেই দিনের অপেক্ষায়…
----তবুও মুক্তি দিবে না?
----সে জন্য তো বিয়ে করিনি। মূত্যু ছাড়া যে মুক্তি নেই………
-
আসলে মেয়েটার কোন দোষ নেই। দোষ সম্ববত রাজেরও নেই! তাহলে দোষটা কার? সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তবে অপরাজিতা যে রাজকে ভিষণ ভালবাসে, সেটা বলার অতীত। তবে রাজ কেন জানিনা অপরাজিতাকে বরারবরই এড়িয়ে চলে……
রাজ আর অপরাজিতার বিয়ে হয়েছে প্রায় দেড় বছর। এত দিনেও ওদের বনিবনা হয়নি। দুজনার ভিতরে স্বামী-স্ত্রীর কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। একই ছাদের নিচে, একই ঘরে দুজনা থাকে। অথচ, আলাদা বিছানায়। বাইরে থেকে ওদের দেখে কেউ বলতে পারবে না, ওদের ভিতর মিলের অভাব।। কারণ, বাইরে ওরা ভালো বন্ধু হলেও ভিতরের সম্পর্ক ভালো না।
বিয়েটা হয়েছিল, রাজের বাবার পছন্দে। অপরাজিতার বাবা নেই।ছোট বয়সেই মারা গেছে। দরিদ্র মায়ের একমাত্র মেয়ে। দেখতে শুনতে যতটা না সুন্দর, তার থেকে বেশি আছে গুন। বিভিন্ন প্রকার গুনে ভরপুর একটা মেয়ে। আর রাজের মা থেকেও নেই! প্রচলিত মায়ের থেকে আলাদা সে। স্বামী থাকতেই, ছেলেকে রেখে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে। তখন রাজের বাবা গরিব ছিলেন। রাজের মায়ের উচ্চ বিলাশিতা পূরণ করতে না পাারাই ছিল তার দোষ। রাজের বয়স যখন ৭ অথবা ৮ তখনই সে চলে যায়। বলা বাহুল্য, এখন রাজের বাবার টাকা আছে। অনেক টাকা।
কিন্তু ছোট বয়সে রাজের যে আঘাতটা পাই, মেয়েদের প্রতি যে রাগ, ঘৃণাটা জন্মে? সেটা সে এখনো কমাতে পারে নি। ওর ধারণা, সব মেয়েই একি রকম। তাই বিয়ের রাতেই বলেছিল সব খুলে। কিন্তু অপরাজিতা ও ছাড়বার পাত্রী না।
রাজের বাবা ভেবেছিল, বিয়ের পরে রাজ স্বাভাবিক হবে। তাই, মেয়ে এবং তার পরিবার কে সব জানিয়ে নিয়েছিল।
-
----আচ্ছা, তোদের ভিতর কি কোন সমস্যা আছে?
খাবার টেবিলে হঠাৎই প্রশ্ন করে রাজের বাবা। অপরাজিতা আর রাজ চোখ চাওয়া চাওয়ি করে।
----কেন বাবা? (রাজ)
----অনেকদিন হলো তো বিয়ে করেছিস! আমারও তো বয়স হল……
----তো?
----বাচবই বা আর কদিন? দাদুভাইয়ের মুখ কি দেখতে পাবো না? আমার খুব সখ, ওর সাথে বাড়ির সামনের ছোট বাগানটাই লুকোচুরি খেলব। তোরা কি সেটা হতে দিবি না?
----আসলে বাবা……
রাজ কি বলবে? ভেবে পাইনা……
-
----আচ্ছা যাকে ভালবাসা যায় না, তাকে শরির দিলে পাপ হবে না? (রাজ)
----আপনি তো আমার! সবটুকুই আমার। (অপরাজিতা)
----তবুও তো মন থেকে ভালবাসি না………
----কেন ভালবাসেন না? আমার কি অপরাধ?
----না, তোমার কোন অপরাধ নেই……
----তাহলে?
----আমার যে ভয় হয়! তুমিও যদি চলে যাও।
----সবাই কি এক? একজনের সাজা কেন আরেকজন ভোগ করবে? আমার তো কোন ভুল নেই……
----আমি যে ভালবাসতে জানিনা! সারাজীবন এটাকে ঘৃণা করে এসেছি।
----ঘৃণাটাকে আজ ছুড়ে ফেলুন। ভালবাসতে হবে না, আমাকে ভালবাসতে দিন আমার মত করে।
-----আচ্ছা, আমি আমাকে তোমার করে দিলাম। তুমি যদি মৃত আমাকে জাগ্রত করতে পার, তবে তো সম্পূর্ণই তোমার।
----তাহলে আমার কথা শুনবেন তো?
----হুম……
----আমার খুব ইচ্ছা হয়, একদিন আপনার সাথে আকাশের চাদটা দেখব। জোৎস্না স্নান করব! যাবেন?
----হু……
-
রাজ আর অপরাজিতা পাশাপাশি বসে আছে। আকাশটা সুন্দর পরিষ্কার। চাঁদটা পুরো দেখা যাচ্ছে। অপরাজিতার রাজের কাধে মাথা রেখে আছে। আজ সে চাদ দেখছে না, কাদছে। সে জানে তার আজ জয় হয়েছে।
রাজ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের অজানাতেই অপরাজিতার মাথায় হাত রেখে চুলে হাত বুলাচ্ছে। ভাবছে সম্ভবত এটাই ভালবাসা। নিষ্পাপ পবিত্র ভালবাসা………
-
----আপনি?
----কেন বিরক্ত হলেন?
----না, আসলে ঘুম আসছিল না তো.....
----আসলে আমি মানুষটাই খারাপ তাইনা? বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখি আপনার ঘুম হয়না, আপনি এখানে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
----আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি! তবে সত্যিই তোমাকে অনেক ভালবাসি…

----আমি তো আপনাকে মোটেও ভালবাসি না!
----একদিন নিশ্চয়ই ভালোবাসবেন! আমি সেই দিনের অপেক্ষায়…
----তবুও মুক্তি দিবে না?
----সে জন্য তো বিয়ে করিনি। মূত্যু ছাড়া যে মুক্তি নেই………
-
আসলে মেয়েটার কোন দোষ নেই। দোষ সম্ববত রাজেরও নেই! তাহলে দোষটা কার? সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তবে অপরাজিতা যে রাজকে ভিষণ ভালবাসে, সেটা বলার অতীত। তবে রাজ কেন জানিনা অপরাজিতাকে বরারবরই এড়িয়ে চলে……
রাজ আর অপরাজিতার বিয়ে হয়েছে প্রায় দেড় বছর। এত দিনেও ওদের বনিবনা হয়নি। দুজনার ভিতরে স্বামী-স্ত্রীর কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। একই ছাদের নিচে, একই ঘরে দুজনা থাকে। অথচ, আলাদা বিছানায়। বাইরে থেকে ওদের দেখে কেউ বলতে পারবে না, ওদের ভিতর মিলের অভাব।। কারণ, বাইরে ওরা ভালো বন্ধু হলেও ভিতরের সম্পর্ক ভালো না।
বিয়েটা হয়েছিল, রাজের বাবার পছন্দে। অপরাজিতার বাবা নেই।ছোট বয়সেই মারা গেছে। দরিদ্র মায়ের একমাত্র মেয়ে। দেখতে শুনতে যতটা না সুন্দর, তার থেকে বেশি আছে গুন। বিভিন্ন প্রকার গুনে ভরপুর একটা মেয়ে। আর রাজের মা থেকেও নেই! প্রচলিত মায়ের থেকে আলাদা সে। স্বামী থাকতেই, ছেলেকে রেখে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে। তখন রাজের বাবা গরিব ছিলেন। রাজের মায়ের উচ্চ বিলাশিতা পূরণ করতে না পাারাই ছিল তার দোষ। রাজের বয়স যখন ৭ অথবা ৮ তখনই সে চলে যায়। বলা বাহুল্য, এখন রাজের বাবার টাকা আছে। অনেক টাকা।
কিন্তু ছোট বয়সে রাজের যে আঘাতটা পাই, মেয়েদের প্রতি যে রাগ, ঘৃণাটা জন্মে? সেটা সে এখনো কমাতে পারে নি। ওর ধারণা, সব মেয়েই একি রকম। তাই বিয়ের রাতেই বলেছিল সব খুলে। কিন্তু অপরাজিতা ও ছাড়বার পাত্রী না।
রাজের বাবা ভেবেছিল, বিয়ের পরে রাজ স্বাভাবিক হবে। তাই, মেয়ে এবং তার পরিবার কে সব জানিয়ে নিয়েছিল।
-
----আচ্ছা, তোদের ভিতর কি কোন সমস্যা আছে?
খাবার টেবিলে হঠাৎই প্রশ্ন করে রাজের বাবা। অপরাজিতা আর রাজ চোখ চাওয়া চাওয়ি করে।
----কেন বাবা? (রাজ)
----অনেকদিন হলো তো বিয়ে করেছিস! আমারও তো বয়স হল……
----তো?
----বাচবই বা আর কদিন? দাদুভাইয়ের মুখ কি দেখতে পাবো না? আমার খুব সখ, ওর সাথে বাড়ির সামনের ছোট বাগানটাই লুকোচুরি খেলব। তোরা কি সেটা হতে দিবি না?
----আসলে বাবা……
রাজ কি বলবে? ভেবে পাইনা……
-
----আচ্ছা যাকে ভালবাসা যায় না, তাকে শরির দিলে পাপ হবে না? (রাজ)
----আপনি তো আমার! সবটুকুই আমার। (অপরাজিতা)
----তবুও তো মন থেকে ভালবাসি না………
----কেন ভালবাসেন না? আমার কি অপরাধ?
----না, তোমার কোন অপরাধ নেই……
----তাহলে?
----আমার যে ভয় হয়! তুমিও যদি চলে যাও।
----সবাই কি এক? একজনের সাজা কেন আরেকজন ভোগ করবে? আমার তো কোন ভুল নেই……
----আমি যে ভালবাসতে জানিনা! সারাজীবন এটাকে ঘৃণা করে এসেছি।
----ঘৃণাটাকে আজ ছুড়ে ফেলুন। ভালবাসতে হবে না, আমাকে ভালবাসতে দিন আমার মত করে।
-----আচ্ছা, আমি আমাকে তোমার করে দিলাম। তুমি যদি মৃত আমাকে জাগ্রত করতে পার, তবে তো সম্পূর্ণই তোমার।
----তাহলে আমার কথা শুনবেন তো?
----হুম……
----আমার খুব ইচ্ছা হয়, একদিন আপনার সাথে আকাশের চাদটা দেখব। জোৎস্না স্নান করব! যাবেন?
----হু……
-
রাজ আর অপরাজিতা পাশাপাশি বসে আছে। আকাশটা সুন্দর পরিষ্কার। চাঁদটা পুরো দেখা যাচ্ছে। অপরাজিতার রাজের কাধে মাথা রেখে আছে। আজ সে চাদ দেখছে না, কাদছে। সে জানে তার আজ জয় হয়েছে।
রাজ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের অজানাতেই অপরাজিতার মাথায় হাত রেখে চুলে হাত বুলাচ্ছে। ভাবছে সম্ভবত এটাই ভালবাসা। নিষ্পাপ পবিত্র ভালবাসা………
-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন