আমি আমার জীবনের কিছু কথা আমি সকলের সাথে শেয়ার করতে চাই। তার আগে আমি আমার পরিচয়টা দেই । আমি প্রিয়তি আক্তার প্রিয়া। আমার বাসা গাজীপুরে।আমি মা-বাবার একমাত্র মেয়ে ।আমার কোনো ভাই নেই । ছোটবেলায় আমার অনেক ইচ্ছা ছিল আমি পড়াশুনা করে বড় হব।মা-বাবার মুখ উজ্জল করবো। একটা ছেলে যা করে আমিও তাই করে আমার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবো । সেই উপলক্ষ্যে আমি আমার জীবনকে সাজাচ্ছিলাম । সব কিছুই ঠিকই ওই চলছিল । এস.এস সিতে ভালো রেজাল্ট করে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলাম।
আমি কখনো রিলেশনে জড়ায় নি ।অনেকের কাছে শুনেছি রিলেশন করে কেউ কখনো সুখি হতে পারেনি । আর তাই আমিও চেয়েছিলাম আমার বাবা-মার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবো। তাদের মতের বিরুদ্ধে যাবো না । তাদেরকে কষ্ট দিবো না ।
ইন্টারমিডিয়েটে ক্লাস শুরু হল। আমিও মনযোগ দিয়ে ক্লাস শুরু করলাম। একদিন ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরলাম। মা আমার কাছে আসলো সন্ধ্যায়। পাশে বসে বলল ।
মাঃ কালকে কলেজ যাস না ।
.
আমিঃ বললাম কেন ?
.
মাঃ কালকে তোকে দেখতে ছেলে পক্ষ থেকে লোক আসবে ।
.
আমিঃ কি বল এসব? আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না ।আমি এখন পড়াশুনা করতে চাই। জীবনে বড় কিছু হতে চাই ।
.
মাঃ দেখতে আসলেই কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি ? দেখতে আসলে সমস্যা কোথায় ?
.
আমিঃ এখন এসবের দিকে আমি নজর দিতে চাই না ।
.
মাঃ বেশী কথা বলো না ।যা বললাম তাই ।
.
তারপরে মা চলে গেল । আমি রুমে থ মেরে বসেছিলাম । তাহলে কি আমার বড় হওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে ।
মাঃ কালকে কলেজ যাস না ।
.
আমিঃ বললাম কেন ?
.
মাঃ কালকে তোকে দেখতে ছেলে পক্ষ থেকে লোক আসবে ।
.
আমিঃ কি বল এসব? আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না ।আমি এখন পড়াশুনা করতে চাই। জীবনে বড় কিছু হতে চাই ।
.
মাঃ দেখতে আসলেই কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি ? দেখতে আসলে সমস্যা কোথায় ?
.
আমিঃ এখন এসবের দিকে আমি নজর দিতে চাই না ।
.
মাঃ বেশী কথা বলো না ।যা বললাম তাই ।
.
তারপরে মা চলে গেল । আমি রুমে থ মেরে বসেছিলাম । তাহলে কি আমার বড় হওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে ।
তারপরে সেদিন ছেলে পক্ষ থেকে লোকজন আসলো ।আমি সাজলাম না যাতে পছন্দ না করে । সাধারন বেশেই ওদের সামনে গেলাম । ওরা আমাকে দেখলো বিভিন্ন প্রশ্ন করলো আমি চুপ চাপ সেইগুলোর উত্তর দিচ্ছিলাম । আমি ওদের দিকে তেমন খেয়াল করি নাই ।কারণ বিয়ে করার ইচ্ছা আমার তখন এক বিন্দুও ছিল না ।কিছুক্ষণ পরে আমাকে রুমে যেতে বলা হল । তার কিছু পরে বাবা মা কে ডাকলো ।দুজন আলাদা রুম কি যেন কথা বলছে।আমি তাদের কথা বলা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু কি বলছে তাই বুঝতে পারছি না ।
.
কথা বলা শেষে মা বাবা দুজনেই আমার কাছে আসলো আর আমার সামনেই বসলো ।প্রথমে বাবা গলাটা কেশে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।তারপর বলা শুরু করলো
.
বাবাঃ ছেলে কেমন দেখলে?
.
আমিঃচুপ
.
মাঃ কিরে বাবা কি বলছে বল ?
.
আমিঃ আমি দেখি নাই ।
.
বাবাঃ কেন?
.
আমিঃ এখন বিয়ে করতে চাই না ।
.
বাবাঃ শুনো ছেলে অনেক ভালো । ব্যবসা আছে। টাকা পয়সা............
.
আমিঃ আমি এখন বিয়ে করবো না ।
.
বাবাঃ বেশি কথা বলো না ।এমন ছেলে বার বার আসে না ।ওরা তোমাকে পছন্দ করছে ।আজকেই বিয়ে করতে চায়।তোমার মত জানতে চাইছে ।আমি বলে আসছি আমি যা বলবো আমার মেয়ে তাই করবে ।তারপরেও আমি তোমাকে বলতে আসছি ।তাই বলে এই ভেবো না তুমি যা বলবে আমি তাই করবো । তাড়াতাড়ি রেডি হও । আজকেই বিয়ে দিয়ে দিব।
.
।আমি অনেক করে বুঝালাম।আকুতি মিনতি কিছুই বাদ দেই নি ,এমনকি আমি বাবার হাত পাত ও ধরেছি ।কোন কাজ হলো না ।
.
অগত্যা আমাকে বিয়ের পিড়িতে বসতে হল । বরের সাথে দুজন এসেছে ।আর আমার পরিবারের কয়েকজনকে ডাকা হল ।আমার বিয়ে নিয়ে অনেক আশা ছিল। অনেকে আসবে ,বাড়ী ভর্তি মানুষ লোকজন থাকবে ।তার কিছুই হলো। সবকিছু বাদে সেদিন আমার বিয়ে হল।
.
পরের দিন বাবা আমাকে বরের সাথে নিয়ে গিয়ে বরের বাড়িতে রেখে আসলো।বাবা আসার সময় অনেক কান্না করলাম ।তারপরেও বাবা চলে আসল।নতুন পরিবেশ নতুন মুখ কেমন জানি লাগছিল। আশে পাশের সবাই দেখতে আসলো আমাকে ।এভাবেই ১ সপ্তাহ চলে গেল ।মাঝে একবার মা আসছিল । দেখে চলে গেছে । শাশুড়িকে মা আমাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল ।কিন্তু যেতে দেই ।শাশুড়ীকে বলছে কারন আমার শশুড় জীবিত নেই ।
.
সবাই আমাকে খুব ভালবাসে ।নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হত । কিন্তু সেই ভালবাসা বেশিদিন থাকে নি হঠাত করে সব পরিবর্তন হওয়া শুরু হল ।
.
আমার স্বামী,আমার শাশুড়ি সবাই পরিবর্তন হয়ে গেল ।আমি যে কাজ করি না কেন সব কাজের ভুল ধরে । এইটা কেন হল,এইটা কেন হল না ।সারাদিন মানুষিক অত্যাচার। খুব কষ্ট হত আমার ।কান্না করতাম ।এসে বলত আমি নাকি ভালোই অভিনয় করতে পারি । মরার উপর খাড়ার ঘা আর কি । শাশুড়ী আমাকে অনেক নোংরা নোংরা কথা বলত। যা একটা মেয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না ।সেও ত একটা মেয়ে । আমার শাশুড়ি আমার স্বামীকে আমাকে মারতে বলত ।সেই কথাই সে শুনত।মা যা বলে তাই করে। আমি বলতাম তুমি বাসায় থাকো না ।তুমি আমার থেকে আগে তো শুনবে কি হয়েছে ।তুমি শুধু শুধু আমাকে মারো কেন ?
.
তখন ও বলত আমার মা যা বলবে আমি তাই করবো । বউকে আমি পানিতে ফেলে দিতে পারবো কিন্তু মা কে না । আমি বলতাম আমি তোমাকে মাকে ফেলে দিতে বলছি না শুধু জানতে বলছি । তখন বলত মুখে মুখে কথা বলিস বলে আবার আমাকে মারত। আমি যেন ব্যায়াম করার বস্তা ,আমাকে মেরে আমার স্বামী ব্যায়াম করে ।
।পড়াশুনা করার ইচ্ছা আমার তখনো দমে যায় নাই। আমি ইন্টারে কমার্সে পড়তাম ।আমি আমার প্রাইভেট পড়ার কথা বললে বলত পড়াশুনা করার দরকার নাই ।এমনি পাশ করলে ভালো। পড়তে বসলেও পড়তে দিত না ,এইটা কে করবে ওইটা কে করবে ।একটা শেষ করি তো আরেকটা করতে বলে ।সেইবার আমি ইন্টারে এক বিষয়ে ফেল করলাম।
.
দিন দিন অত্যাচার আরো বাড়তে থাকে লাগলো । এক সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেড়ে পালিয়ে চলে আসলাম। এসেও শান্তি পেলাম না । আরেক অশান্তি । আমার শাশুড়ি বলছে আমি নাকি রাতে পালিয়ে এসেছি যদিও আমি দিনে আসছিলাম । আশে পাশের লোকজন আমাকে দোষ দিতে লাগলো ।কিন্তু কেন আমাকে আসতে হল সেইটার কোনো খোজ নিল না ।বলেই সবাই খালাশ ।
.
কথা বলা শেষে মা বাবা দুজনেই আমার কাছে আসলো আর আমার সামনেই বসলো ।প্রথমে বাবা গলাটা কেশে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।তারপর বলা শুরু করলো
.
বাবাঃ ছেলে কেমন দেখলে?
.
আমিঃচুপ
.
মাঃ কিরে বাবা কি বলছে বল ?
.
আমিঃ আমি দেখি নাই ।
.
বাবাঃ কেন?
.
আমিঃ এখন বিয়ে করতে চাই না ।
.
বাবাঃ শুনো ছেলে অনেক ভালো । ব্যবসা আছে। টাকা পয়সা............
.
আমিঃ আমি এখন বিয়ে করবো না ।
.
বাবাঃ বেশি কথা বলো না ।এমন ছেলে বার বার আসে না ।ওরা তোমাকে পছন্দ করছে ।আজকেই বিয়ে করতে চায়।তোমার মত জানতে চাইছে ।আমি বলে আসছি আমি যা বলবো আমার মেয়ে তাই করবে ।তারপরেও আমি তোমাকে বলতে আসছি ।তাই বলে এই ভেবো না তুমি যা বলবে আমি তাই করবো । তাড়াতাড়ি রেডি হও । আজকেই বিয়ে দিয়ে দিব।
.
।আমি অনেক করে বুঝালাম।আকুতি মিনতি কিছুই বাদ দেই নি ,এমনকি আমি বাবার হাত পাত ও ধরেছি ।কোন কাজ হলো না ।
.
অগত্যা আমাকে বিয়ের পিড়িতে বসতে হল । বরের সাথে দুজন এসেছে ।আর আমার পরিবারের কয়েকজনকে ডাকা হল ।আমার বিয়ে নিয়ে অনেক আশা ছিল। অনেকে আসবে ,বাড়ী ভর্তি মানুষ লোকজন থাকবে ।তার কিছুই হলো। সবকিছু বাদে সেদিন আমার বিয়ে হল।
.
পরের দিন বাবা আমাকে বরের সাথে নিয়ে গিয়ে বরের বাড়িতে রেখে আসলো।বাবা আসার সময় অনেক কান্না করলাম ।তারপরেও বাবা চলে আসল।নতুন পরিবেশ নতুন মুখ কেমন জানি লাগছিল। আশে পাশের সবাই দেখতে আসলো আমাকে ।এভাবেই ১ সপ্তাহ চলে গেল ।মাঝে একবার মা আসছিল । দেখে চলে গেছে । শাশুড়িকে মা আমাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল ।কিন্তু যেতে দেই ।শাশুড়ীকে বলছে কারন আমার শশুড় জীবিত নেই ।
.
সবাই আমাকে খুব ভালবাসে ।নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হত । কিন্তু সেই ভালবাসা বেশিদিন থাকে নি হঠাত করে সব পরিবর্তন হওয়া শুরু হল ।
.
আমার স্বামী,আমার শাশুড়ি সবাই পরিবর্তন হয়ে গেল ।আমি যে কাজ করি না কেন সব কাজের ভুল ধরে । এইটা কেন হল,এইটা কেন হল না ।সারাদিন মানুষিক অত্যাচার। খুব কষ্ট হত আমার ।কান্না করতাম ।এসে বলত আমি নাকি ভালোই অভিনয় করতে পারি । মরার উপর খাড়ার ঘা আর কি । শাশুড়ী আমাকে অনেক নোংরা নোংরা কথা বলত। যা একটা মেয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না ।সেও ত একটা মেয়ে । আমার শাশুড়ি আমার স্বামীকে আমাকে মারতে বলত ।সেই কথাই সে শুনত।মা যা বলে তাই করে। আমি বলতাম তুমি বাসায় থাকো না ।তুমি আমার থেকে আগে তো শুনবে কি হয়েছে ।তুমি শুধু শুধু আমাকে মারো কেন ?
.
তখন ও বলত আমার মা যা বলবে আমি তাই করবো । বউকে আমি পানিতে ফেলে দিতে পারবো কিন্তু মা কে না । আমি বলতাম আমি তোমাকে মাকে ফেলে দিতে বলছি না শুধু জানতে বলছি । তখন বলত মুখে মুখে কথা বলিস বলে আবার আমাকে মারত। আমি যেন ব্যায়াম করার বস্তা ,আমাকে মেরে আমার স্বামী ব্যায়াম করে ।
।পড়াশুনা করার ইচ্ছা আমার তখনো দমে যায় নাই। আমি ইন্টারে কমার্সে পড়তাম ।আমি আমার প্রাইভেট পড়ার কথা বললে বলত পড়াশুনা করার দরকার নাই ।এমনি পাশ করলে ভালো। পড়তে বসলেও পড়তে দিত না ,এইটা কে করবে ওইটা কে করবে ।একটা শেষ করি তো আরেকটা করতে বলে ।সেইবার আমি ইন্টারে এক বিষয়ে ফেল করলাম।
.
দিন দিন অত্যাচার আরো বাড়তে থাকে লাগলো । এক সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেড়ে পালিয়ে চলে আসলাম। এসেও শান্তি পেলাম না । আরেক অশান্তি । আমার শাশুড়ি বলছে আমি নাকি রাতে পালিয়ে এসেছি যদিও আমি দিনে আসছিলাম । আশে পাশের লোকজন আমাকে দোষ দিতে লাগলো ।কিন্তু কেন আমাকে আসতে হল সেইটার কোনো খোজ নিল না ।বলেই সবাই খালাশ ।
ফ্রমফিলাপ করলাম আবার ।কিছুদিন পরে আমার স্বামী আসলো আমাকে নিতে। বলল এমন আর করবে না ।আমার মাও বলল একটু এমন হয়।মানিয়ে চলতে হয় । আমি কি মানিয়ে চেষ্টা করি নাই । আবারো পরিবারের পরামর্শে আমি স্বামীর বাড়িতে আবার গেলাম ।
.
সপ্তাহখানেক ঠিক ওই ছিল ।আবার শুরু হল । এইবার আরো বেশি। অনেক চেষ্টা করছি ।কিন্তু পারিনি আবার চলে আসলাম।আবারো কিছুদিন পরেই আমার স্বামী আসল।বললো বাড়িতে যেতে ।আমি বললাম আমি যাব না । এইবার আমার বাবার বাড়িতেই মারলো আমাকে ।আমি বললাম তুমি কি আমাকে মারতে পারো না বলে মারতে আসছো এখানে ? এমন মারার ইচ্ছাই যদি থাকে তাহলে আর এসো না আমি মার খেতে খেতে যে বড় ক্লান্ত । সেইদিন আমার স্বামী রাত ১ পর্যন্ত আমার সাথে ঝগড়া করে সেই রাতে চলে গেল ।আমি আমার ভালবাসাতে তাকে আটকাতে পারিনি । আর কখনো যোগাযোগ করে নি ।
.
। ইন্টার পরিক্ষা শুরু আর কয়েকদিন পরেই ।তাই ফোন দিয়ে এডমিট কার্ড চাইলাম । এডমিট দিলো না। বললো পরিক্ষা দিতে হবে না । পরে এডমিট কার্ড ছিড়ে ফেলছে ।
.
সপ্তাহখানেক ঠিক ওই ছিল ।আবার শুরু হল । এইবার আরো বেশি। অনেক চেষ্টা করছি ।কিন্তু পারিনি আবার চলে আসলাম।আবারো কিছুদিন পরেই আমার স্বামী আসল।বললো বাড়িতে যেতে ।আমি বললাম আমি যাব না । এইবার আমার বাবার বাড়িতেই মারলো আমাকে ।আমি বললাম তুমি কি আমাকে মারতে পারো না বলে মারতে আসছো এখানে ? এমন মারার ইচ্ছাই যদি থাকে তাহলে আর এসো না আমি মার খেতে খেতে যে বড় ক্লান্ত । সেইদিন আমার স্বামী রাত ১ পর্যন্ত আমার সাথে ঝগড়া করে সেই রাতে চলে গেল ।আমি আমার ভালবাসাতে তাকে আটকাতে পারিনি । আর কখনো যোগাযোগ করে নি ।
.
। ইন্টার পরিক্ষা শুরু আর কয়েকদিন পরেই ।তাই ফোন দিয়ে এডমিট কার্ড চাইলাম । এডমিট দিলো না। বললো পরিক্ষা দিতে হবে না । পরে এডমিট কার্ড ছিড়ে ফেলছে ।
কিন্তু আমি তো পড়তে চাই।আমার লক্ষ্য পুরণ করতে চাই।অবশেষে থানায় জিডি করে পরীক্ষা দিলাম এই ২০১৭ সালে। পরীক্ষা ভালোই দিয়েছি । জানি না কি হবে আমার সামনের দিনগুলো ।কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আমার সবামীকে আমি অনেক ভালোবাসি ।মাঝে এখনো কান্না করি । আমি একটা সুন্দর সংসারের স্বপ্ন দেখতাম । যেখানে আমার শাশুড়ি আমাকে মেয়ে মত করে আগলে রাখবে। ভুল ত্রুটি ঠিক করে দিবে। কিন্তু এই গুলো হয়ত কল্পনায় সম্ভব ।
.
এখনো আমার স্বামীকে কাছে পেতে ইচ্ছা করে খুব করে । একটা সংসার পেতে । ফিরে যেতে ইচ্ছা করে আমার সেই সংসারে যে সংসারে আমার স্বামী,আমার শশুড়ী আছে। কিন্তু কার আশা বা ভরসায় যাবো স্বামী নাকি শাশুড়ির । একজন তো পাশে থাকবে ।
কিন্তু সেই একজনকে যে কোনোদিন ওই পেলাম না । যার বন্ধনে আবন্ধ হয়ে সেই সংসারে গেলাম সেই যে আমাকে দূরে ঠেলে দেয়।
.
আমি আর আমার জীবন এখন অন্ধকারে পা ফেলছে । আমি কি খুব বেশি আশা করেছিলাম । আমি কি খুব বেশি চেয়েছিলাম । আমি আমার মায়ের মত আরেকটা মা চেয়েছিলাম নতুন সংসারে ।জমা ভালোবাসা কারো সাথে বিনিময় করতে চাইছি।এটা কি আমার খুব বেশি চাওয়া একটা মেয়ে হিসাবে ?
.
এখনো আমার স্বামীকে কাছে পেতে ইচ্ছা করে খুব করে । একটা সংসার পেতে । ফিরে যেতে ইচ্ছা করে আমার সেই সংসারে যে সংসারে আমার স্বামী,আমার শশুড়ী আছে। কিন্তু কার আশা বা ভরসায় যাবো স্বামী নাকি শাশুড়ির । একজন তো পাশে থাকবে ।
কিন্তু সেই একজনকে যে কোনোদিন ওই পেলাম না । যার বন্ধনে আবন্ধ হয়ে সেই সংসারে গেলাম সেই যে আমাকে দূরে ঠেলে দেয়।
.
আমি আর আমার জীবন এখন অন্ধকারে পা ফেলছে । আমি কি খুব বেশি আশা করেছিলাম । আমি কি খুব বেশি চেয়েছিলাম । আমি আমার মায়ের মত আরেকটা মা চেয়েছিলাম নতুন সংসারে ।জমা ভালোবাসা কারো সাথে বিনিময় করতে চাইছি।এটা কি আমার খুব বেশি চাওয়া একটা মেয়ে হিসাবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন