শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

নষ্ট জীবনের গল্প

হ্যালো কই তুমি?---প্রতিভা
এই তো বাড়িতে আছি--নাদিম।
চলো না কোথাও বেড়াতে যাই---প্রতিভা।
কোথায় যাবে তুমি??---নাদিম।
দুরে কোথাও।কাল যাবে তুমি???---প্রতিভা।
আচ্ছা। তুমি যেমন চাও---নাদিম।
.
.
কাল বিশ্বভালোবাসা দিবস।আর তাই তারা মিলে ঠিক
করেছে দুরে কোথাও ঘুরতে যাবে।অনেক
দিন ঘুরা হয় না তাদের। প্রতিভা মেয়েটা অন্য রকম।
সাধারন প্রেম পরিবেশ তার ভাল লাগে না।যেমন,,,
কেউ পার্কে বা কেউ বা ফুচকা খেতে খেতে
প্রেম করে।এরকম টা মোটেও ভালো লাগে না
প্রতিভার! সে সব সময় ভিন্ন কিছু চায়।
.
প্রতিভা আর নাদিম সহপাঠী।এক কলেজে পরে
অনার্স ২য়বর্ষে।প্রতিভা মেয়েটা দেখতে
অনেক সুন্দর।যে কেউ ক্রাশ খাবে। তবে সব
সময় চুপচাপ থাকতো নতুন যখন এ কলেজে বদলি
হয়ে আসে।তখন থেকে দৃষ্টি কারে নাদিমের।
নাদিম ধনী বাবার সন্তান।তাকে দেখে কেউ পছন্দ
না করুক অপছন্দ করবে না। আর সেদিন হতে
প্রতিভার পিছু নেই সে।পরে বন্ধুত্ব হয়।আর
বন্ধুত্বটা অল্প দিনে তুমি তে পরিনত হয়!
.
অল্পতেই যেটা পাওয়া যায় তাতে নিশ্চিত সমস্যা
থাকে।ভালবাসতে অনেক সময়ের দরকার। অনেক
কাঠখড় পোড়াতে হয় প্রেম ভালবাসার জন্য।কিন্তু
এদের বেলায় এই সব কথা গুলো সব মিথ্যা প্রমানিত
হয়।আসলেই কি মিথ্যা প্রমানিত হয় নাকি??না অন্য
কোন রহস্য আছে এ ঘটনায়??
.
সময় সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সত্য হলো "সময়
মানুষকে মৃত্যুর দরজায় উপস্হিত করে দেয়"...সময়
শুধু পাল্টে দেয় না মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে আসে।
জীবনের সাথে সময়ের সম্পর্ক কোন বিজ্ঞান
তথা বিজ্ঞানের মূল দর্শন ও ব্যাখা দিতে পারবে না।
.
.
এত নির্জনে কেন নিয়ে আসলে?? ---নাদিম
.
কেন নিয়ে আসতে পারি না বুঝি???---প্রতিভা
(অভিমানে)
.
না। পারো অবশ্যই।তবে হঠাত নির্জনে কেন?---
নাদিম
.
কেন?আমার কি রোমান্স করতে মন চাই না বুঝি??---
প্রতিভা।
.
ওহ আচ্ছা।তাই বুঝি।আপনি দেখছি সুন্দরি অপেক্ষা
বেশি রুমান্টিক।----নাদিম।
.
যাহ দুষ্টু! এই না। একদম দুষ্টুমি করবে না।---প্রতিভা।
,
[নাদিম প্রতিভার ঠোটে ব্যস্ত।একটু দুষ্টুমি না
করলেও নই।তবে সে সীমা ছাড়াবে না]
.
মানুষ সব কিছুকে অস্বীকার করতে পারলেও
নিজের অস্তিত্ব কে পারে না।জীবনের
সবচেয়ে বড় শিক্ষক জীবন নিজেই।জীবনের
শিক্ষা কেউ নেগেটিভ আবার কেউ পজেটিব
হিসাবে নেই..।
.
হঠাত করেই নাদিমের গলাটায় ব্লেড দিয়ে টান মারে
প্রতিভা।একটা নই।দুইটা টান মারে নাদিমের
ভোকালকর্ডের উপরে।আর তার সাথে ফিনকি
দিয়ে রক্ত বের হয়ে প্রতিভার মুখে লাগে লাগে
কিছুটা।প্রতিভা টিস্যু দিয়ে মুখের রক্ত পরিষ্কার
করছে।আর সেদিকে নাদিম গলাকাটা মুরগির মতই
ছটফট করছে।যতটুকু রক্ত বের হচ্ছে নাদিমের
গলা থেকে তার চেয়ে বেশি আনন্দ লাগতেছে
প্রতিভার।হাসতে হাসতে হঠাত ফিরে যায় সে
অতীতে।কি ছিলো সেই অতীতে???
.
প্রতিভার নাম প্রতিভা নয়।তার নাম ছিলো স্বপ্নিলা।
অনেক স্বপ্ন ছিলো তাকে নিয়ে তার মা বাবার।তাই
স্বপ্নিলা নামটা রেখেছিলো।সে ভালোবাসতো
একজন কে।তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতো যে
তাদের ছোট্ট সংসার হবে,দুটো ছেলে মেয়ে
থাকবে তাদের।সব মিলিয়ে অনেক সুখের সংসার
হবে তাদের। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।তার
প্রেমিক ভালবাসার দোহাই দিয়ে তাকে ভোগ
করে।শেষ পর্যন্ত যখন স্বপ্নিলা তার মাঝে
আরেক জনের অস্তিত্ব টের পেয়ে তার
প্রেমিক কে জানায়,তখন তার প্রেমিক তা
অস্বীকার করে।তাকে ছেড়ে চলে যায়।সেদিন
তার কান্না পৃথিবী দেখেনি। নিজের বাড়ি পর্যন্ত
ছেড়ে দেয়।যাতে তার পরিবারের মুখে চুনকালি না
লাগে।.
.
আর সেদিন হতে প্রতিভা নিজের সবকিছু পরিচয়
বদলে ফেলে।নিজের ভেতরে গড়ে ওঠা প্রান
টাকে মেরে ফেলে।সেদিন হতে সে
প্রতিজ্ঞা করে, যার সাথেই তার প্রেম হবে
তাকেই মেরে ফেলবে।নিজের চেহারা বদলে
ফেলে প্লাস্টিক সার্জারি করে।তিলে তিলে
নিজেকে গড়ে তুলে সে।বের হয় তার প্রথম
প্রেমিকের খুজে।.
.
যখন নাদিম তার ঠোটে ব্যস্ত ছিলো,তখন সে
নাদিম কে হিপনোটাইজ করে ফেলে।তাই নাদিম তার
কারসাজি বুঝতে পারে নি।প্রতিভার ঠোটে দেয়া
লিপস্টিকে সাধারন সেন্স লোপ করার জন্য
একধরনের তরল মিশানো ছিলো।কেউ তা জিহ্বা
দিয়ে স্বাদ নিলে তার স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা লোপ
পেয়ে যাবে।
.
নাদিমের দেহটা শান্ত হয়ে আছে।আর অন্যদিকে
প্রতিভা তার পরবর্তী শিকারের সন্ধানে এগিয়ে
চলেছে।
----০---

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন