মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছেতো...!
আগে কেমন একটা পিচ্চি পিচ্চি ভাব ছিলো।
এখন তার ছিঁটে ফোঁটাও তার মধ্যে দেখা যাচ্ছেনা।
বরং আগের চেয়ে সুন্দরী আরো স্মার্ট হয়ে গেছে।কিন্তু মুখটা আজও সেই ভীষণ মায়া মায়া...
.
সময় দুপুর ১টা ২৫ মিনিট...
ভার্সিটি থেকে বের হয়ে সোজা ফোটপাত ধরে হাটা শুরু করলাম, জ্যামের মধ্যে দুপুরের তীব্র গরমে রিক্সায় বসে সিদ্ধ হওয়ার চাইতে হেটে যাওয়াই
উত্তম মনে করলাম।
কিছুদূর যেতে না যেতেই কেউ একজন রাজ বলে ডাক দিলো।
আমি পিছন ফিরে তাকালাম,
কিন্তু ঢাকা শহরের চিপা গলির মানুষের জ্যামের মধ্যে কে ডাকলো সেটা বুঝতে পারলাম না।
তাই আবারো হাটার মধ্যে মনযোগ দিলাম, কিন্তু কয়েক পা সামনে বাড়াতেই
আবারো সেই কন্ঠস্বর আমার কর্ণ কুহুরে এসে প্রবেশ করলো।
এবার সামনে না গিয়ে থমকে দাড়ালাম।
কে ডাকছে সেটা দেখার চেষ্টা করলাম, ভাল করে তাকিয়ে দেখি দূর থেকে
১২-১৩ বছরের একটা ছেলে আমাকে নাম ধরে ডাকতেছে।
সাথে নেকাব দিয়ে মুখ ঢাকা একটা মেয়ে, আমি কৌতূহল বশত আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা একটা আম গাছের নিচে আশ্রয় গ্রহন করলাম।
কিছুক্ষণ পর হাপাতে হাপাতে ছেলে
আর মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো।
চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে দুজনের অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে, মেয়েটার নিস্বাস এখনো দ্রুত উঠা নামা করছে...
.
- কেমন আছো?
.
আমি মেয়েটির দিকে এখনো তাকিয়ে আছি, মুখ দেখে চিনার চেষ্টা করছি।
কিন্তু কারো সাথে মিলাতে পারছিনা...!
.
- চিনতে পারছোনা?
.
এবার মেয়েটির ঠোটের নিচে কালো তিলটা দেখে বড় ধরনের একটা শকড খেলাম।
আরে এটাতো রেশমা উত্তর দিতে যাবো-
সেই মুহুর্তে রেশমা আবার প্রশ্ন করে বসলো।
- আরে আমি রেশমা...
এখন চিনতে পারছো?
- হুম!
ঠোটের নিচে কালো তিল দেখে চিনেছি,
- তাই নাকি?
- হুম...! এত সুন্দর তিল রেশমা ছাড়া আর কারো থাকতে পারেনা।
- হইছে আর প্রশংসা করতে হবেনা, কেমন আছো?
- ভাল আছি, আমাকে তুমি চিনলে কিভাবে...?
- কিছুদিন আগে একজনের কাছে তোমার ছবি
দেখেছিলাম,
আর আজকে তোমাকে রাস্তায় দেখলাম, ঢাকা কবে এসেছো?
- এইতো ৪ মাস হবে এসেছি,
- কোথায় থাকো?
- মিরপুর ১
তুমি?
- শ্যামলী।
আচ্ছা তোমার নাম্বারটা দাও...!
.
নাম্বার আদান প্রদান করে ওর সাথে আর কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে আবার বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম...
.
আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে আমার পরিচয় হয় রেশমার সাথে।
আমি আর রেশমা একি স্কুল এমনকি একই ক্লাসে পড়তাম।
খুবই চন্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল রেশমা, দেখতে দেখতে রেশমার সাথে খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমার।
রেশমা একটু খিটখিটে স্বভাবের ছিল, তাই ওকে খেপাতে বেশ মজা লাগতো।
আমি প্রায় স্কুলে ওকে খেপাতাম, খুব সুন্দর গান গাইতে পারতো রেশমা।
আমিও কিছুটা গেয়ে নিতাম, দুজন মিলে স্কুলটাকে মাতিয়ে রেখেছিলাম।
.
প্রাইভেটে মাঝে মাঝে লক্ষ করতাম রেশমা আমার দিকে মুগ্ধ নজরে তাকিয়ে আছে।
আরে বাবা!
সামনে কি ভূত বসে আছে নাকি...!
গাধাটা আমার প্রেমে পড়া শুরু করলো।
যাই হোক, সামনে যা থাকতো ওটা দিয়ে মাথায় একটা বারি দিয়ে বলতাম,
- কি দেখছো?
ও একটু হেসে বলতো
- কিছুনা...!
.
- এই তোমার মুখে কি কোন সমস্যা আছে?
- কেন কি হয়েছে?
- না যেভাবে হাসলা মনে হল বেশি হাসলে বোধহয়
তোমার দাঁত গুলো খুলে পড়ে যাবে...!
- কেন?
তোমার মত হি..হি..হি..করে হাসবো নাকি?
যাতে আশে পাশে যারা আছে সবাই তাকিয়ে দেখে।
.
এভাবেই হাসি খুশিতে চলছিলো আমাদের দিনকাল।
দেখতে রেশমা অনেক সুন্দর ছিলো, ও যতটা না সুন্দর ছিলো, তার থেকে বেশি সুন্দর দেখাতো ওর ঠোটের নিচে কালো তিলটার জন্য।
যখনি আমি তিলটা নিয়ে ওর প্রসংশা করতাম ও খুব লজ্জা পেতো।
.
অনেক ছেলে ওর আশে পাশে ঘুর ঘুর করতো।কিন্তু রেশমা যেন ওদের দেখতোই না এমন ভাব নিয়ে থাকতো।
- কিরে কেউ আছে নাকি?
থাকলে বলে দাও না হলে ওদের মধ্যে থেকে কাউকে ঠিক করে দেই?
ও হেসে বলতো,
- অন্য কারো দরকার নেই,
তুমি আছোনা?
তোমাকে বিয়ে করবো,
- আরে থামো থামো...!!!
তোমাকে কে বলছে যে আমি তোমার মত গাধীকে বিয়ে করবো?
দুনিয়াতে কি তোমার চেয়ে ভাল আর কোন মেয়ে নেই!!!
.
রেশমা যতবার আমাকে ভালবাসে এই জিনিসটা বুঝাতে চেষ্টা করতো, ততবারই আমি হেসে খেলে
উড়িয়ে দিতাম।
কখনো ওকে আমার ভালবাসাটা বুঝতে দিতামনা।
.
কিন্তু যখন ভাবলাম আমার ভালবাসাটা প্রকাশ করে দেই তখনি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেল রেশমা।
রেশমা ফ্যামিলির সাথে একেবারে ঢাকায় চলে আসলো।
সেদিন রেশমা অনেক কেদেছিলো আমাকে জড়িয়ে ধরে, কিন্তু একটিবারের জন্যও বলেনি আমাকে ভালবাসে।
আমিও আমার ভালবাসাকে মাটির নিচে চাপা দিয়ে ওকে বিদায় জানালাম।
হারিয়ে গেল আমার ভালবাসা জন্মের আগেই...
.
রেশমা চলে আসার পর ওকে হারিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলাম।
কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে
গেল আমার জীবন ধারা, ব্যস্ত হয়ে গেলাম পড়া শুনা নিয়ে।
তবুও মাঝে মাঝে কোথাও একটু আধটু গান গাইলে রেশমাকেই মনে পরতো...
আগে কেমন একটা পিচ্চি পিচ্চি ভাব ছিলো।
এখন তার ছিঁটে ফোঁটাও তার মধ্যে দেখা যাচ্ছেনা।
বরং আগের চেয়ে সুন্দরী আরো স্মার্ট হয়ে গেছে।কিন্তু মুখটা আজও সেই ভীষণ মায়া মায়া...
.
সময় দুপুর ১টা ২৫ মিনিট...
ভার্সিটি থেকে বের হয়ে সোজা ফোটপাত ধরে হাটা শুরু করলাম, জ্যামের মধ্যে দুপুরের তীব্র গরমে রিক্সায় বসে সিদ্ধ হওয়ার চাইতে হেটে যাওয়াই
উত্তম মনে করলাম।
কিছুদূর যেতে না যেতেই কেউ একজন রাজ বলে ডাক দিলো।
আমি পিছন ফিরে তাকালাম,
কিন্তু ঢাকা শহরের চিপা গলির মানুষের জ্যামের মধ্যে কে ডাকলো সেটা বুঝতে পারলাম না।
তাই আবারো হাটার মধ্যে মনযোগ দিলাম, কিন্তু কয়েক পা সামনে বাড়াতেই
আবারো সেই কন্ঠস্বর আমার কর্ণ কুহুরে এসে প্রবেশ করলো।
এবার সামনে না গিয়ে থমকে দাড়ালাম।
কে ডাকছে সেটা দেখার চেষ্টা করলাম, ভাল করে তাকিয়ে দেখি দূর থেকে
১২-১৩ বছরের একটা ছেলে আমাকে নাম ধরে ডাকতেছে।
সাথে নেকাব দিয়ে মুখ ঢাকা একটা মেয়ে, আমি কৌতূহল বশত আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা একটা আম গাছের নিচে আশ্রয় গ্রহন করলাম।
কিছুক্ষণ পর হাপাতে হাপাতে ছেলে
আর মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো।
চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে দুজনের অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে, মেয়েটার নিস্বাস এখনো দ্রুত উঠা নামা করছে...
.
- কেমন আছো?
.
আমি মেয়েটির দিকে এখনো তাকিয়ে আছি, মুখ দেখে চিনার চেষ্টা করছি।
কিন্তু কারো সাথে মিলাতে পারছিনা...!
.
- চিনতে পারছোনা?
.
এবার মেয়েটির ঠোটের নিচে কালো তিলটা দেখে বড় ধরনের একটা শকড খেলাম।
আরে এটাতো রেশমা উত্তর দিতে যাবো-
সেই মুহুর্তে রেশমা আবার প্রশ্ন করে বসলো।
- আরে আমি রেশমা...
এখন চিনতে পারছো?
- হুম!
ঠোটের নিচে কালো তিল দেখে চিনেছি,
- তাই নাকি?
- হুম...! এত সুন্দর তিল রেশমা ছাড়া আর কারো থাকতে পারেনা।
- হইছে আর প্রশংসা করতে হবেনা, কেমন আছো?
- ভাল আছি, আমাকে তুমি চিনলে কিভাবে...?
- কিছুদিন আগে একজনের কাছে তোমার ছবি
দেখেছিলাম,
আর আজকে তোমাকে রাস্তায় দেখলাম, ঢাকা কবে এসেছো?
- এইতো ৪ মাস হবে এসেছি,
- কোথায় থাকো?
- মিরপুর ১
তুমি?
- শ্যামলী।
আচ্ছা তোমার নাম্বারটা দাও...!
.
নাম্বার আদান প্রদান করে ওর সাথে আর কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে আবার বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম...
.
আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে আমার পরিচয় হয় রেশমার সাথে।
আমি আর রেশমা একি স্কুল এমনকি একই ক্লাসে পড়তাম।
খুবই চন্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল রেশমা, দেখতে দেখতে রেশমার সাথে খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমার।
রেশমা একটু খিটখিটে স্বভাবের ছিল, তাই ওকে খেপাতে বেশ মজা লাগতো।
আমি প্রায় স্কুলে ওকে খেপাতাম, খুব সুন্দর গান গাইতে পারতো রেশমা।
আমিও কিছুটা গেয়ে নিতাম, দুজন মিলে স্কুলটাকে মাতিয়ে রেখেছিলাম।
.
প্রাইভেটে মাঝে মাঝে লক্ষ করতাম রেশমা আমার দিকে মুগ্ধ নজরে তাকিয়ে আছে।
আরে বাবা!
সামনে কি ভূত বসে আছে নাকি...!
গাধাটা আমার প্রেমে পড়া শুরু করলো।
যাই হোক, সামনে যা থাকতো ওটা দিয়ে মাথায় একটা বারি দিয়ে বলতাম,
- কি দেখছো?
ও একটু হেসে বলতো
- কিছুনা...!
.
- এই তোমার মুখে কি কোন সমস্যা আছে?
- কেন কি হয়েছে?
- না যেভাবে হাসলা মনে হল বেশি হাসলে বোধহয়
তোমার দাঁত গুলো খুলে পড়ে যাবে...!
- কেন?
তোমার মত হি..হি..হি..করে হাসবো নাকি?
যাতে আশে পাশে যারা আছে সবাই তাকিয়ে দেখে।
.
এভাবেই হাসি খুশিতে চলছিলো আমাদের দিনকাল।
দেখতে রেশমা অনেক সুন্দর ছিলো, ও যতটা না সুন্দর ছিলো, তার থেকে বেশি সুন্দর দেখাতো ওর ঠোটের নিচে কালো তিলটার জন্য।
যখনি আমি তিলটা নিয়ে ওর প্রসংশা করতাম ও খুব লজ্জা পেতো।
.
অনেক ছেলে ওর আশে পাশে ঘুর ঘুর করতো।কিন্তু রেশমা যেন ওদের দেখতোই না এমন ভাব নিয়ে থাকতো।
- কিরে কেউ আছে নাকি?
থাকলে বলে দাও না হলে ওদের মধ্যে থেকে কাউকে ঠিক করে দেই?
ও হেসে বলতো,
- অন্য কারো দরকার নেই,
তুমি আছোনা?
তোমাকে বিয়ে করবো,
- আরে থামো থামো...!!!
তোমাকে কে বলছে যে আমি তোমার মত গাধীকে বিয়ে করবো?
দুনিয়াতে কি তোমার চেয়ে ভাল আর কোন মেয়ে নেই!!!
.
রেশমা যতবার আমাকে ভালবাসে এই জিনিসটা বুঝাতে চেষ্টা করতো, ততবারই আমি হেসে খেলে
উড়িয়ে দিতাম।
কখনো ওকে আমার ভালবাসাটা বুঝতে দিতামনা।
.
কিন্তু যখন ভাবলাম আমার ভালবাসাটা প্রকাশ করে দেই তখনি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেল রেশমা।
রেশমা ফ্যামিলির সাথে একেবারে ঢাকায় চলে আসলো।
সেদিন রেশমা অনেক কেদেছিলো আমাকে জড়িয়ে ধরে, কিন্তু একটিবারের জন্যও বলেনি আমাকে ভালবাসে।
আমিও আমার ভালবাসাকে মাটির নিচে চাপা দিয়ে ওকে বিদায় জানালাম।
হারিয়ে গেল আমার ভালবাসা জন্মের আগেই...
.
রেশমা চলে আসার পর ওকে হারিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলাম।
কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে
গেল আমার জীবন ধারা, ব্যস্ত হয়ে গেলাম পড়া শুনা নিয়ে।
তবুও মাঝে মাঝে কোথাও একটু আধটু গান গাইলে রেশমাকেই মনে পরতো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন