-রাত্রি এগারোটা বেজে গেছে,
অনু টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে তার স্বামীর জন্য।
অনু কখনো আগে খাবার খাই না,যতক্ষণ না তার স্বামী অর্ক খাবে,
অর্ক না খাওয়া পর্যন্ত সে না খেয়েই বসে থাকবে।
.
এটাই হয়তো স্ত্রীর প্রকৃত ভালোবাসা,আজকাল কয়জন মেয়ে এমন করে,
প্রায় সব মেয়েই তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকে না।
তবে যেসকল মেয়েরা তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকে ,
সেই সকল মেয়েগুলোকেও প্রকৃত নারী বলা সম্ভব।
কারন তাদের কাছে পৃথিবীর সবথেকে দামী হলো তাদের স্বামী।
এই জন্যই তারা স্বামীর জন্য সবকিছু করতে পারে।
.
অনু একহাত গালে দিয়ে চেয়ারে বসে থেকে ঝিমাচ্ছে।
হটাৎ করে বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠলো।
অনু বুঝে গেছে অর্ক চলে এসেছে।
চেয়ার থেকে উঠে অনু দরজা খুলতে চলে যায়।
-কি ব্যাপার এতো রাত করে বাসাই ফিরো কেনো (অনু)
> কাজের চাপ একটু বেশি,সেইজন্য বাড়িতে ফিরতে লেট হয়ে যায়।
-ব্যাগটা দাও, আর তুমি ফ্রেস হয়ে নাও (অনু)
.
অনু ব্যাগ হাতে নিয়ে রুমে চলে যায়,
এদিকে অর্ক ফ্রেস হতে যায়।
অর্ক ফ্রেস হয়ে এসে রুমে শুয়ে পড়ে।
.
আর
অনু খাবার টেবিলে বসে থাকে খাবার নিয়ে কিন্তু অর্ক খাবার খেতে আসে না।
অর্ক খেতে না আসাতে
অনু টেবিল থেকে উঠে রুমে চলে আসে।
রুমে এসে দেখে অর্ক শুয়ে আছে।
.
-কি হলো তোমার শরির খারাপ নাকি (অনু)
> না শরির খারাপ হয়নি,একটু ক্লান্ত লাগছে (অর্ক)
- টেবিলে খাবার রেখে বসে আছি,খাবে কখন।
> অামি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।
-কি বললে,বাইরে থেকে খেয়ে এসেছো তুমি।
> হ্যাঁ, তুমি খেয়ে নাও।
-তোমাকে না কতদিন বলেছি,বাইরের খাবার খাবে না,তোমার জন্য আমি প্রতিদিন না খেয়ে বসে থাকি।
আর তুমি প্রায় দিন বাইরে থেকে খেয়ে আসো, কেনো এমন করো,আমাকে কি মনে করো তুমি?
> অনু তুমি এখন যাও তো।
- এখন তো বলবেই, এখন তো আর আমাকে তোমার পছন্দ হবে না,আমি তো আর আগের মতন নেই,পুরোনো হয়ে গেছি,পুরোনো জিনিষ কি আর ভালো লাগে।
.
অনুর মুখে এমন কথা শুনে অর্ক রেগে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়ে।
বিছানা থেকে উঠে গিয়ে অনুর গালে কষে একটি চড় মেরে দেই।
.
অনুকে চড় মেরে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরে অর্ক।
রুম থেকে বেরিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায় অর্ক।
নিজের বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে রেগে যায় অর্ক,সেইজন্য নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে চড় মেরে দেয়।
.
বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু দুরে চলে আসে অর্ক।
বাড়িতে থাকলে অনেক ঝগড়া হতো অনুর সাথে,সেইজন্য বাড়ি থেকে চলে আসে অর্ক।
অার অনুর কান্না শহ্য করতে পারেনা অর্ক,অনু কাঁন্না করবে আর অর্ক দাড়িয়ে দেখতে পারবে না,সেইজন্য বাড়ি থেকে চলে এসেছে অর্ক।
.
অনু অর্কের হাতে চড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ে, খাবার আর খাই না,
যার জন্য খাবার নিয়ে বসে ছিলাম সে যখন রাগ দেখাতে পারে তাহলে আমি কেনো রাগ দেখাতে পারবো না।
.
অনু রাগ করে না খেয়ে বিছানাই শুয়ে পড়ে,বিছানাই শুয়ে থেকে অনু ভাবে কালকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে অর্কের সাথে আর থাকবে না,
অর্ককে আমি এতো ভালোবাসি,কিন্তু সে আমাকে বুঝতে চাই না,
এইজন্য কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখানো উচিত না।
বেশি ভালোবাসা দেখালেই মনে হয় জেনো আমি তার প্রতি বেশিই দুর্বল,
কালকেই চলে যাবো,আর আসবো না এখানে,
অনু কাঁদে আর এসব বিড়বিড় করে বলতে থাকে।
.
.
অনেক রাত হয়ে যায় তবুও অর্ক বাড়িতে আসে না,
অর্ক বাড়িতে আসেনা দেখে অনু ভয় পেয়ে যায়।
.
অনুর ভয় পাবার কারন,অর্কের কি হলো,রাগ করে কি চলে গেলো বাড়ি থেকে,
নাকি অর্কের কোন বিপদ হলো।
অনেক রাত হয়ে গেছে,তবুও অর্ক আসছে না কেনো।
অর্ককে আমি এতো ভালোবাসি,কিন্তু সেটা কি কখনোই সে বুঝতে পারে না।
.
অনু কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে অর্কের ফোনে ফোন করে।
প্রথমবার কল ধরে না,
আবার কল করে,
এবার অর্ক ফোনটি ধরে,
-কি ব্যাপার এতো রাত হয়েছে বাড়িতে আসছো না কেনো?(অনু)
> বাড়িতে গিয়ে কি হবে,বাড়িতে গেলে তো তোমার বকবক শুনতে হবে(অর্ক)
-আমি কি বেশি বকবক করি(অনু)
> হ্যাঁ বেশিই বকবক করো(অর্ক)
-আচ্ছা এরপর থেকে আর তোমাকে বকা দিবো না,আর বেশি বকবক করবো না , এখন বাসাই এসো,বেশি রাত করে বাড়ির বাইরে থাকতে নেই।
> যাবো না বাড়িতে,সারারাত এখানেই থাকবো।
- অর্ক প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো,এই হালকা হালকা ঠান্ডাই তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে,আমি চাই না আমার কারনে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়ো।(কেঁদে কেঁদে বলল কথা গুলো)
> আচ্ছা তাহলে আসতেছি দাড়াও,আর কাঁন্না বন্ধ করো।
ফোনটা কেটে দিয়ে বাড়ির দিকে হাটতে লাগলো অর্ক।
.
মেয়ে মানুষ গুলো অদ্ভুদ প্রকৃতির,
এরা এখনি ঝগড়া করবে,এখনি রাগ অভিমান করবে,
.
আবার কিছুক্ষন পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে,
এদের বুঝতে পারার ক্ষমতা পুরুষদের এখনো হয়ে উঠে নি।
এই জন্যই মনে হয় এই কথাটি বলা হয়েছে,
মেয়েদের মন গিরগিটির মতন,
গিরগিটি নিজেকে বাঁচাতে যেমন নিজের রং পরিবর্তন করে,তেমনি মেয়েদের মনও সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরির্বতন হয়।
.
অর্ক বাড়িতে চলে এসে,দরজার কলিংবেলটা বাজাই।
কলিংবেল বাজানোর কিছুক্ষন পরেই অনু দরজা খোলে।
হয়তো রুমে ছিলো,এইজন্য আসতে দেরি হয়েছে।
.
দরজা খুলে দিয়ে অনু অর্ককে কিছু না বলে সোজা রুমে চলে আসে।
.
অর্ক বুঝতে পারে অনু রাগ করেছে,
অর্ক রুমে গিয়ে দেখে অনু শুয়ে আছে,
অর্ক অনুকে কিছু বলে না,
.
কোন কথা না বলে অর্কও শুয়ে পড়ে।
দুজনেই পাশাপাশি শুয়ে আছে,কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না,
একদম নিরব হয়ে আছে।
.
.
অনু আর রেগে থাকতে পারে না অর্কের উপর ,রাগ কমিয়ে অনুই প্রথমে কথা বলে,
-এইযে শুনছো (অনু)
> হ্যাঁ বলো (অর্ক)
-আমার উপরে রাগ করে আছ।
> না।
-তাহলে কোন কথা বলছো না কেনো?
> এইতো কথা বলছি,তুমি রেগে আছ তাই কোন কথা বলিনি।
-এখন তো আর রেগে নেই।
> দেখে তো মনে হচ্ছে, না খেয়ে আছো,চলো একসাথে খাবো।
.
অর্কের কথা শুনে অনু দ্রুত উঠে পড়ে,
বিছানা থেকে উঠে অনু খাবার টেবিলে চলে যায় অর্ককে সাথে নিয়ে।
.
দুজনে পাশাপাশি বসে আছে,তবে
অনু খাবার খাচ্ছে না,
অনুর কথা অর্ককে খাইয়ে দিতে হবে।
অর্কও অনুর কথা মেনে নিয়ে অনুকে খাইয়ে দিচ্ছে।
.
খাওয়া শেষ করে দুজনেই ঘুমাতে চলে গেলো।
.
-তুমি আর কোনদিন রাত করে বাসাই ফিরবে না (অনু)
> একটু কাজের চাপ থাকে। (অর্ক)
-এতো কাজ করার দরকার নাই,এতো টাকা দিয়ে কি হবে বলো।
> আচ্ছা এখন থেকে কম কাজ করবো।
-এখন থেকে আগে বাসাই আসবে, আর আগে বাসাই আসলে দুজনে বসে টিভি দেখবো,আকাশের চাঁদ দেখবো,একসাথে বসে খেতে পারবো,
অনেক মজা হবে প্রতিদিন।
> ঠিক আছে, তোমার জন্য আমি সব করবো।
অর্ক মনে মনে ভেবে ফেলে,পাগলীটার এই সব ইচ্ছা গুলো সে পুরন করবে,বেশি বেশি কাজ করে কোন লাভ নাই,নিজের বউকে একটু বেশি সময় দিবে এখন থেকে।
পাগলীটার ছোট ছোট আবদার গুলো যদি না পুরন করতে পারি,তাহলে আমি কেমন স্বামী।এইসব ভাবতে থাকে অর্ক।
.
-এই তুমি ওদিকে কেনো ঘুরে রয়েছো,এদিকে ঘুরো, আর এদিকে ঘুরে কথা বলো (অনু)
> হুম ঘুরলাম। (অর্ক)
- আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাও,জানই তো তুমি আমাকে জড়িয়ে না ধরে ঘুমালে আমার ঘুম আসে না।
> পাগলী একটা।
-হুম তোমার জন্য আজীবন পাগলী হয়েই থাকবো।
অতঃপর শুধু অর্ক না,অনুও অর্ককে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলো।
.
সারাদিন ঝগড়া অভিমান করে দিনশেষে ঘুমানোর সময় সব রাগ অভিমান শেষ হয়ে যায়,
দুজনে তখন ঠিকি একমত হয়ে যাবে,
দিনশেষে এটাই তো ওদের মত সকল স্বামী স্ত্রীর প্রাপ্তি।
অনু টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে তার স্বামীর জন্য।
অনু কখনো আগে খাবার খাই না,যতক্ষণ না তার স্বামী অর্ক খাবে,
অর্ক না খাওয়া পর্যন্ত সে না খেয়েই বসে থাকবে।
.
এটাই হয়তো স্ত্রীর প্রকৃত ভালোবাসা,আজকাল কয়জন মেয়ে এমন করে,
প্রায় সব মেয়েই তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকে না।
তবে যেসকল মেয়েরা তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকে ,
সেই সকল মেয়েগুলোকেও প্রকৃত নারী বলা সম্ভব।
কারন তাদের কাছে পৃথিবীর সবথেকে দামী হলো তাদের স্বামী।
এই জন্যই তারা স্বামীর জন্য সবকিছু করতে পারে।
.
অনু একহাত গালে দিয়ে চেয়ারে বসে থেকে ঝিমাচ্ছে।
হটাৎ করে বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠলো।
অনু বুঝে গেছে অর্ক চলে এসেছে।
চেয়ার থেকে উঠে অনু দরজা খুলতে চলে যায়।
-কি ব্যাপার এতো রাত করে বাসাই ফিরো কেনো (অনু)
> কাজের চাপ একটু বেশি,সেইজন্য বাড়িতে ফিরতে লেট হয়ে যায়।
-ব্যাগটা দাও, আর তুমি ফ্রেস হয়ে নাও (অনু)
.
অনু ব্যাগ হাতে নিয়ে রুমে চলে যায়,
এদিকে অর্ক ফ্রেস হতে যায়।
অর্ক ফ্রেস হয়ে এসে রুমে শুয়ে পড়ে।
.
আর
অনু খাবার টেবিলে বসে থাকে খাবার নিয়ে কিন্তু অর্ক খাবার খেতে আসে না।
অর্ক খেতে না আসাতে
অনু টেবিল থেকে উঠে রুমে চলে আসে।
রুমে এসে দেখে অর্ক শুয়ে আছে।
.
-কি হলো তোমার শরির খারাপ নাকি (অনু)
> না শরির খারাপ হয়নি,একটু ক্লান্ত লাগছে (অর্ক)
- টেবিলে খাবার রেখে বসে আছি,খাবে কখন।
> অামি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।
-কি বললে,বাইরে থেকে খেয়ে এসেছো তুমি।
> হ্যাঁ, তুমি খেয়ে নাও।
-তোমাকে না কতদিন বলেছি,বাইরের খাবার খাবে না,তোমার জন্য আমি প্রতিদিন না খেয়ে বসে থাকি।
আর তুমি প্রায় দিন বাইরে থেকে খেয়ে আসো, কেনো এমন করো,আমাকে কি মনে করো তুমি?
> অনু তুমি এখন যাও তো।
- এখন তো বলবেই, এখন তো আর আমাকে তোমার পছন্দ হবে না,আমি তো আর আগের মতন নেই,পুরোনো হয়ে গেছি,পুরোনো জিনিষ কি আর ভালো লাগে।
.
অনুর মুখে এমন কথা শুনে অর্ক রেগে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়ে।
বিছানা থেকে উঠে গিয়ে অনুর গালে কষে একটি চড় মেরে দেই।
.
অনুকে চড় মেরে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরে অর্ক।
রুম থেকে বেরিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায় অর্ক।
নিজের বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে রেগে যায় অর্ক,সেইজন্য নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে চড় মেরে দেয়।
.
বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু দুরে চলে আসে অর্ক।
বাড়িতে থাকলে অনেক ঝগড়া হতো অনুর সাথে,সেইজন্য বাড়ি থেকে চলে আসে অর্ক।
অার অনুর কান্না শহ্য করতে পারেনা অর্ক,অনু কাঁন্না করবে আর অর্ক দাড়িয়ে দেখতে পারবে না,সেইজন্য বাড়ি থেকে চলে এসেছে অর্ক।
.
অনু অর্কের হাতে চড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ে, খাবার আর খাই না,
যার জন্য খাবার নিয়ে বসে ছিলাম সে যখন রাগ দেখাতে পারে তাহলে আমি কেনো রাগ দেখাতে পারবো না।
.
অনু রাগ করে না খেয়ে বিছানাই শুয়ে পড়ে,বিছানাই শুয়ে থেকে অনু ভাবে কালকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে অর্কের সাথে আর থাকবে না,
অর্ককে আমি এতো ভালোবাসি,কিন্তু সে আমাকে বুঝতে চাই না,
এইজন্য কাউকে বেশি ভালোবাসা দেখানো উচিত না।
বেশি ভালোবাসা দেখালেই মনে হয় জেনো আমি তার প্রতি বেশিই দুর্বল,
কালকেই চলে যাবো,আর আসবো না এখানে,
অনু কাঁদে আর এসব বিড়বিড় করে বলতে থাকে।
.
.
অনেক রাত হয়ে যায় তবুও অর্ক বাড়িতে আসে না,
অর্ক বাড়িতে আসেনা দেখে অনু ভয় পেয়ে যায়।
.
অনুর ভয় পাবার কারন,অর্কের কি হলো,রাগ করে কি চলে গেলো বাড়ি থেকে,
নাকি অর্কের কোন বিপদ হলো।
অনেক রাত হয়ে গেছে,তবুও অর্ক আসছে না কেনো।
অর্ককে আমি এতো ভালোবাসি,কিন্তু সেটা কি কখনোই সে বুঝতে পারে না।
.
অনু কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে অর্কের ফোনে ফোন করে।
প্রথমবার কল ধরে না,
আবার কল করে,
এবার অর্ক ফোনটি ধরে,
-কি ব্যাপার এতো রাত হয়েছে বাড়িতে আসছো না কেনো?(অনু)
> বাড়িতে গিয়ে কি হবে,বাড়িতে গেলে তো তোমার বকবক শুনতে হবে(অর্ক)
-আমি কি বেশি বকবক করি(অনু)
> হ্যাঁ বেশিই বকবক করো(অর্ক)
-আচ্ছা এরপর থেকে আর তোমাকে বকা দিবো না,আর বেশি বকবক করবো না , এখন বাসাই এসো,বেশি রাত করে বাড়ির বাইরে থাকতে নেই।
> যাবো না বাড়িতে,সারারাত এখানেই থাকবো।
- অর্ক প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো,এই হালকা হালকা ঠান্ডাই তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে,আমি চাই না আমার কারনে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়ো।(কেঁদে কেঁদে বলল কথা গুলো)
> আচ্ছা তাহলে আসতেছি দাড়াও,আর কাঁন্না বন্ধ করো।
ফোনটা কেটে দিয়ে বাড়ির দিকে হাটতে লাগলো অর্ক।
.
মেয়ে মানুষ গুলো অদ্ভুদ প্রকৃতির,
এরা এখনি ঝগড়া করবে,এখনি রাগ অভিমান করবে,
.
আবার কিছুক্ষন পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে,
এদের বুঝতে পারার ক্ষমতা পুরুষদের এখনো হয়ে উঠে নি।
এই জন্যই মনে হয় এই কথাটি বলা হয়েছে,
মেয়েদের মন গিরগিটির মতন,
গিরগিটি নিজেকে বাঁচাতে যেমন নিজের রং পরিবর্তন করে,তেমনি মেয়েদের মনও সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরির্বতন হয়।
.
অর্ক বাড়িতে চলে এসে,দরজার কলিংবেলটা বাজাই।
কলিংবেল বাজানোর কিছুক্ষন পরেই অনু দরজা খোলে।
হয়তো রুমে ছিলো,এইজন্য আসতে দেরি হয়েছে।
.
দরজা খুলে দিয়ে অনু অর্ককে কিছু না বলে সোজা রুমে চলে আসে।
.
অর্ক বুঝতে পারে অনু রাগ করেছে,
অর্ক রুমে গিয়ে দেখে অনু শুয়ে আছে,
অর্ক অনুকে কিছু বলে না,
.
কোন কথা না বলে অর্কও শুয়ে পড়ে।
দুজনেই পাশাপাশি শুয়ে আছে,কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না,
একদম নিরব হয়ে আছে।
.
.
অনু আর রেগে থাকতে পারে না অর্কের উপর ,রাগ কমিয়ে অনুই প্রথমে কথা বলে,
-এইযে শুনছো (অনু)
> হ্যাঁ বলো (অর্ক)
-আমার উপরে রাগ করে আছ।
> না।
-তাহলে কোন কথা বলছো না কেনো?
> এইতো কথা বলছি,তুমি রেগে আছ তাই কোন কথা বলিনি।
-এখন তো আর রেগে নেই।
> দেখে তো মনে হচ্ছে, না খেয়ে আছো,চলো একসাথে খাবো।
.
অর্কের কথা শুনে অনু দ্রুত উঠে পড়ে,
বিছানা থেকে উঠে অনু খাবার টেবিলে চলে যায় অর্ককে সাথে নিয়ে।
.
দুজনে পাশাপাশি বসে আছে,তবে
অনু খাবার খাচ্ছে না,
অনুর কথা অর্ককে খাইয়ে দিতে হবে।
অর্কও অনুর কথা মেনে নিয়ে অনুকে খাইয়ে দিচ্ছে।
.
খাওয়া শেষ করে দুজনেই ঘুমাতে চলে গেলো।
.
-তুমি আর কোনদিন রাত করে বাসাই ফিরবে না (অনু)
> একটু কাজের চাপ থাকে। (অর্ক)
-এতো কাজ করার দরকার নাই,এতো টাকা দিয়ে কি হবে বলো।
> আচ্ছা এখন থেকে কম কাজ করবো।
-এখন থেকে আগে বাসাই আসবে, আর আগে বাসাই আসলে দুজনে বসে টিভি দেখবো,আকাশের চাঁদ দেখবো,একসাথে বসে খেতে পারবো,
অনেক মজা হবে প্রতিদিন।
> ঠিক আছে, তোমার জন্য আমি সব করবো।
অর্ক মনে মনে ভেবে ফেলে,পাগলীটার এই সব ইচ্ছা গুলো সে পুরন করবে,বেশি বেশি কাজ করে কোন লাভ নাই,নিজের বউকে একটু বেশি সময় দিবে এখন থেকে।
পাগলীটার ছোট ছোট আবদার গুলো যদি না পুরন করতে পারি,তাহলে আমি কেমন স্বামী।এইসব ভাবতে থাকে অর্ক।
.
-এই তুমি ওদিকে কেনো ঘুরে রয়েছো,এদিকে ঘুরো, আর এদিকে ঘুরে কথা বলো (অনু)
> হুম ঘুরলাম। (অর্ক)
- আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাও,জানই তো তুমি আমাকে জড়িয়ে না ধরে ঘুমালে আমার ঘুম আসে না।
> পাগলী একটা।
-হুম তোমার জন্য আজীবন পাগলী হয়েই থাকবো।
অতঃপর শুধু অর্ক না,অনুও অর্ককে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলো।
.
সারাদিন ঝগড়া অভিমান করে দিনশেষে ঘুমানোর সময় সব রাগ অভিমান শেষ হয়ে যায়,
দুজনে তখন ঠিকি একমত হয়ে যাবে,
দিনশেষে এটাই তো ওদের মত সকল স্বামী স্ত্রীর প্রাপ্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন