সারাদিনের মধ্যে এই গোধূলি বিকেলটায় নিধার সবচেয়ে প্রিয়..তখন সূর্যের রশ্বিটুকু ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব দিগন্তে..তার এতটুকু আভা ছিটকে এসে পড়েছে মুখোমুখি বাড়ী দুটির গায়..নিধা চিন্তাক্লিষ্ট মনে তাই দেখছিলো..গোধুলিবেলা আর মায়া ভরা সন্ধ্যা..কত অতীত স্মৃতির শিহরন জাগায় মনে...
কিন্তু নিধা বেশিক্ষন এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না..মনটা তার ভরাক্রান্ত হয়ে এসেছে..
এ উত্তাপ স্নিগ্ধ মাতাল সন্ধ্যা যেন তার মনের ব্যাথ্যা জানতে পেরে বরফের মত গলিয়ে বহিয়ে দিয়ে জগৎকে সিক্ত করতে থাকবে..।।।
.
এই স্বর্ন সন্ধ্যা, এই গোধুলিবেলা তার জন্য নয়..তাকে এখনি ঐ দূরের উন্মুক্ত মাঠে যেতে হবে, যেথায় ছোট ছোট মেয়েরা খেলা করছে ওখানে ছুটে যেতে হবে..নিধা ভূলতে চায় গোধুলিবেলার দুঃসপ্ন..
কিন্তু মাঠেও যেতে পারলনা নিধা..
নিজের ছোট চিলাকোঠা ঘরটায় মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে আসল সে কিন্তু তবুও নিবৃত্তি নেই...মনের ভাবনা মনেই থেকে গেল..এ চন্ঞল মন নিয়ে কি করা যায় নিধা ঠিক চিন্তা করতে পারছে না..।।।
.
সন্ধ্যার রক্তারগ নিঃশেষে ছড়িয়ে পড়েছে..ঘরে ফিঁরি রান্না করতে বসল আবার নিধা..
.
রান্না শেষ করে নিঃশব্দে বসল অন্ধকারে..কতক্ষণ কাটালো এভাবে কে জানে.!!
একে একে আকাশের তারাগুলো হেঁসে উঠছে..ছিটকে এসে পড়ছে তার কিছু আলো নিধার দেহে..।।
.
অনেকক্ষণ পরে তার হুস হলো রাত হয়েছে, এবার কিছু একটা করতে হবে..কিন্তু তবুও সে ঘর থেকে নড়তে পারলোনা..কি করবে কিছু ঠিক করতে পারলো না..
আরো একটু পর ধীরে ধীরে জানালাটার কাছে এসে দাঁড়াল..
উদাস দৃষ্টি তুলে ধরল সামনের বাড়ীটার দিকে..অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে রইল, অনেক ভাবে দেখল কিন্তু পেল না যা সে খুঁজছিলো...
.
আহত পাখির মত ঘরে আসল নিধা..না, সে আর থাকতে পারছে না..কি আছে তার সঙ্গে ঔ বাড়ীর সম্বন্ধ..
কি আছে মানে.??
কালযে ঔ বাড়ীটায় নিধার বিয়ে..
এই রাতে দেহ মন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তার..
এমন একটি রাত নয়, দুটি রাত নয়, অনেক ক্লান্তময় নির্ঘূম রাত কাটিয়েছে নিধা..
.
তবুও আজ স্মৃতি গুন্জনের শেষ নেই..কাল থেকেতো তাহসিন্ ওর সাথেই থাকবে..
এ চপল চাহিনির অর্থ নিধা যেদিন জানতে পারলো সেদিন তার লজ্জার অন্ত ছিলনা..মনে মনে
গর্ববোধও করেছিল ..এ ভালোই হলো..ছোট বেলার খেলার সাথীকে কোনদিন হারাতে হবেনা..বাল্য খেলার সঙ্গী, যৌবনের খেলার প্রিয়তম..ভালো লাগছিল, কথাটাগুলো ভাবতে বড়ই ভালো লাগছিলো নিধার.
.
আজ সেই বহু প্রতিক্ষীত বিয়ের দিন..নিধা ও তাহসিনের বিয়েটা আগেই হয়েছে..কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিলো মাত্র কিন্তু আজ নববধূ নিধাকে ঘরে নিয়ে আসা হল..
.
জেনে রাখা ভালো এই বিয়েটা সামাজিকটা রক্ষার জন্যই করানো হয়েছে..কারন কিছুদিন আগে নিধা ও তাহসিনকে নিয়ে একটা নোংরা,বানোয়াট কথা ছড়িয়ে পরেছিল গ্রামে..
কথা না বাড়িয়ে গল্পে আসি..
.
রাত তখন ১২টা তাহসিন বাসর ঘরে ঢুকেই ঘুমিয়ে পড়ল..নিধার মনটা খারাপ হয়ে গেল..যে মানুষটা তাকে ছাড়া একমুর্হূত থাকতে পারত না..সে কিনা আজ এমন একটি রাতে কথা না বলেই ঘুমিয়ে পড়ল..আবারো একটি নির্ঘূম রাত কাটালো নিধা...
.
সকালে তাহসিন ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল আর কিছু একটা খুঁজছিলো..অপর দিকে নিধা তাহসিনের সাথে কথা না বলে থাকতেই পারছেনা..
.
___>তাই নিধা আগ্রহ বাড়িয়ে বলল, কিছু খুঁজছো.?
___>মোবাইলটা যে কই রাখলাম খুঁজে পাচ্ছিনা..[তাহসিন]
___>মোবাইল বালিশের নিচে দেখলাম মনে হয়..{নিধা}
___>ওহ সরি
___>তো আজ অফিস না গেলে হয়না.? [নিধা]
___>জরুরি কাছ আছে বলে চলে গেল তাহসিন..
.
আজ তাদের বিয়ের ১৫ দিন হতে চলল কিন্তু তাদের মধ্য কোন শারিরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেনি..
.
বড় কথা হলো ওদের প্রয়োজন ছারা খুব একটা কথাই হয়না..পক্ষান্তরে নিধা সারাদিন তাহসিন কে নিয়ে হাজারো সপ্ন দেখে...নিধা সপ্ন দেখে তাহসিন তাকে আদর করে কাছে টেনে নিচ্ছে..কিন্তু এর কিছুই হয়ে উঠেনা..তখন একরাশ হতাশা কাজ করে নিধার..
.
একি সেই তাহসিন.?আমার বাল্যকালের বন্ধু.!!আমার যৌবনের সাথি..এ সব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে গেল..তাহসিন অফিস থেকে বাড়ী আসল এসে নিধাকে বলল:-
.
__>আগামীকাল প্রোগামের কাজে কক্সবাজার যেতে হবে..{তাহসিন}
__>কত দিন থাকতে হবে ওখানে..?[নিধা]
__>প্রায় একমাস..[তাহসিন]
.
কথাটি শুনেই হাজার ভোল্টের শক খেলো নিধা...একমাস ওকে ছাড়া কিভাবে থাকবে...কিন্তু নিধা এর পর যা শুনলো তা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা....তাহসিন বলল আমি তোমাকেও নিয়ে যেতে চাই রেডি থেকো..কথাটি শুনে নিধার মধ্য প্রচুর ভালোলাগা কাজ করতে থাকে..মনে হয়েছিল এখনি তাহসিনকে জরিয়ে ধরবে কিন্তু তা সম্ভব না.
.
পরেরদিন ভোরে তাহসিনের ডাকে ঘুম ভাঙ্গল নিধার..কুয়াশা আচ্ছন্ন সকালের অন্ধকারে হাটতে হাটতে বগুড়া বাস স্টেশনে আসলো তারা..সকাল ৬টার বাসে উঠে পড়লো তাহসিন ও নিধা..গন্তব্য কক্সবাজারের..পথিমধ্য নিধা জানতে পারল এটা তাহসিনের অফিসের কোন কাজে আসা নয়..
নিধাকে কিছু সময় দেওয়ার কারনেই এখানে আসা..কথাটি শুনে নিধা খুব খুশি হলো...
.
সারাদিনের ক্লান্তময় জার্নি শেষ করে ওদের বাংলোয় পোঁছলো..মজার ব্যাপার হলো ওদের বাংলোটা ছিলো একটা টিলার উপ্রে..যা নিধার খুব প্রিয়..তখন বিকাল ৫টা প্রায় তাহসিন রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলো আর নিধা বাহিরে বসে থেকে প্রাকৃতির ডাকে সারা দিচ্ছে..মনে মনে ভাবলো এখন তাহসিনকে ডেকে বাহিরে নিয়ে আসবে..ওকে বলবে চল বউকে একটু সময় দাও..এসব ভাবতে ভাবতে নিধা আবিস্কার করল কেউ ওকে কিছু ডাকছে..তাকিয়ে দেখল তাহিসিন তার পিছনে..
.
___>চল পাশের দিঘী থেকে ঘুরে আসি..!!{তাহসিন}
___> চল..
.
শীতকাল হওয়ার দরুন শীত ও কম লাগছিলোনা..নিধা আগ্রহ বারিয়ে বলল:
.
>শীত লাগছে না তোমার..?
<মাথাটা নারিয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো তাহসিন..
>আচ্ছা তুমি এমন হয়ে গেলে কেন .? আগেতো এমন ছিলেনা ?
<একটু সময় দাও আগের মত হয়ে যাবো..
>আচ্ছা,চল এখন ঘরে যাই খুব শীত লাগছে.
<এক কাজ করলে কেমন হয়..
>কি কাজ.?
<এখানে কিছু শুকনো লাকরিতে আগুন ধরাই.
>হুম, ঠিক বলেছো আগে এভাবে কত আগুন পোহাতাম..
<জ্বী, বলেই পাশের গাছ থেকে একটা শুকনো ডাল ও কিছু খর নিয়ে এসে পকেট থেকে দিয়াশলাই বাহির করে আগুন ধরালো তাহসিন..
.
নিধা তাহসিনের একটু কাছে এসে বসল আর বলতে লাগল আমাকে একটু সময় দিও প্লীজ আমি আর পারছি না..তোমাকে কত না বলা কথা বলার আছে..কত কিছু শোনার আছে..তোমাকে নিয়ে কত সপ্ন দেখার আছে ..মনের ভিতরে তোমায় নিয়ে কত জল্পনা কল্পনা করি..একের পর এক বলেই চলছে নিধা..
.
>তখন তাহসিন বলে উঠলো চলো রুমে যায়..
<না, এখন না..এখানে তোমার কত কাছে বসে আছি খুব ভালো লাগছে..{নিধা}
>আরো কাছে আসতে চাও..?{তাহসিন}
<হুম.{নিধা}
>তাহলে রূমে চলো.. [তাহসিন]
.
নিধা আগেই রুমে গিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে অধির আগ্রহে বসে আছে..তাহসিন রুমে ঢুকে মোমবাতিটা নিভিয়ে দিয়ে শক্ত করে নিধাকে জরিয়ে ধরেছিল..ওর প্রথম ভালোবাসার স্পন্দন নিজ অন্তরে মিলিয়ে নিচ্ছিলো, কোন কথা না বলে.. তারপরই অন্ধকারে হারিয়ে গেল দুজন...।।
কিন্তু নিধা বেশিক্ষন এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না..মনটা তার ভরাক্রান্ত হয়ে এসেছে..
এ উত্তাপ স্নিগ্ধ মাতাল সন্ধ্যা যেন তার মনের ব্যাথ্যা জানতে পেরে বরফের মত গলিয়ে বহিয়ে দিয়ে জগৎকে সিক্ত করতে থাকবে..।।।
.
এই স্বর্ন সন্ধ্যা, এই গোধুলিবেলা তার জন্য নয়..তাকে এখনি ঐ দূরের উন্মুক্ত মাঠে যেতে হবে, যেথায় ছোট ছোট মেয়েরা খেলা করছে ওখানে ছুটে যেতে হবে..নিধা ভূলতে চায় গোধুলিবেলার দুঃসপ্ন..
কিন্তু মাঠেও যেতে পারলনা নিধা..
নিজের ছোট চিলাকোঠা ঘরটায় মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে আসল সে কিন্তু তবুও নিবৃত্তি নেই...মনের ভাবনা মনেই থেকে গেল..এ চন্ঞল মন নিয়ে কি করা যায় নিধা ঠিক চিন্তা করতে পারছে না..।।।
.
সন্ধ্যার রক্তারগ নিঃশেষে ছড়িয়ে পড়েছে..ঘরে ফিঁরি রান্না করতে বসল আবার নিধা..
.
রান্না শেষ করে নিঃশব্দে বসল অন্ধকারে..কতক্ষণ কাটালো এভাবে কে জানে.!!
একে একে আকাশের তারাগুলো হেঁসে উঠছে..ছিটকে এসে পড়ছে তার কিছু আলো নিধার দেহে..।।
.
অনেকক্ষণ পরে তার হুস হলো রাত হয়েছে, এবার কিছু একটা করতে হবে..কিন্তু তবুও সে ঘর থেকে নড়তে পারলোনা..কি করবে কিছু ঠিক করতে পারলো না..
আরো একটু পর ধীরে ধীরে জানালাটার কাছে এসে দাঁড়াল..
উদাস দৃষ্টি তুলে ধরল সামনের বাড়ীটার দিকে..অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে রইল, অনেক ভাবে দেখল কিন্তু পেল না যা সে খুঁজছিলো...
.
আহত পাখির মত ঘরে আসল নিধা..না, সে আর থাকতে পারছে না..কি আছে তার সঙ্গে ঔ বাড়ীর সম্বন্ধ..
কি আছে মানে.??
কালযে ঔ বাড়ীটায় নিধার বিয়ে..
এই রাতে দেহ মন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তার..
এমন একটি রাত নয়, দুটি রাত নয়, অনেক ক্লান্তময় নির্ঘূম রাত কাটিয়েছে নিধা..
.
তবুও আজ স্মৃতি গুন্জনের শেষ নেই..কাল থেকেতো তাহসিন্ ওর সাথেই থাকবে..
এ চপল চাহিনির অর্থ নিধা যেদিন জানতে পারলো সেদিন তার লজ্জার অন্ত ছিলনা..মনে মনে
গর্ববোধও করেছিল ..এ ভালোই হলো..ছোট বেলার খেলার সাথীকে কোনদিন হারাতে হবেনা..বাল্য খেলার সঙ্গী, যৌবনের খেলার প্রিয়তম..ভালো লাগছিল, কথাটাগুলো ভাবতে বড়ই ভালো লাগছিলো নিধার.
.
আজ সেই বহু প্রতিক্ষীত বিয়ের দিন..নিধা ও তাহসিনের বিয়েটা আগেই হয়েছে..কিন্তু সেটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিলো মাত্র কিন্তু আজ নববধূ নিধাকে ঘরে নিয়ে আসা হল..
.
জেনে রাখা ভালো এই বিয়েটা সামাজিকটা রক্ষার জন্যই করানো হয়েছে..কারন কিছুদিন আগে নিধা ও তাহসিনকে নিয়ে একটা নোংরা,বানোয়াট কথা ছড়িয়ে পরেছিল গ্রামে..
কথা না বাড়িয়ে গল্পে আসি..
.
রাত তখন ১২টা তাহসিন বাসর ঘরে ঢুকেই ঘুমিয়ে পড়ল..নিধার মনটা খারাপ হয়ে গেল..যে মানুষটা তাকে ছাড়া একমুর্হূত থাকতে পারত না..সে কিনা আজ এমন একটি রাতে কথা না বলেই ঘুমিয়ে পড়ল..আবারো একটি নির্ঘূম রাত কাটালো নিধা...
.
সকালে তাহসিন ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল আর কিছু একটা খুঁজছিলো..অপর দিকে নিধা তাহসিনের সাথে কথা না বলে থাকতেই পারছেনা..
.
___>তাই নিধা আগ্রহ বাড়িয়ে বলল, কিছু খুঁজছো.?
___>মোবাইলটা যে কই রাখলাম খুঁজে পাচ্ছিনা..[তাহসিন]
___>মোবাইল বালিশের নিচে দেখলাম মনে হয়..{নিধা}
___>ওহ সরি
___>তো আজ অফিস না গেলে হয়না.? [নিধা]
___>জরুরি কাছ আছে বলে চলে গেল তাহসিন..
.
আজ তাদের বিয়ের ১৫ দিন হতে চলল কিন্তু তাদের মধ্য কোন শারিরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেনি..
.
বড় কথা হলো ওদের প্রয়োজন ছারা খুব একটা কথাই হয়না..পক্ষান্তরে নিধা সারাদিন তাহসিন কে নিয়ে হাজারো সপ্ন দেখে...নিধা সপ্ন দেখে তাহসিন তাকে আদর করে কাছে টেনে নিচ্ছে..কিন্তু এর কিছুই হয়ে উঠেনা..তখন একরাশ হতাশা কাজ করে নিধার..
.
একি সেই তাহসিন.?আমার বাল্যকালের বন্ধু.!!আমার যৌবনের সাথি..এ সব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে গেল..তাহসিন অফিস থেকে বাড়ী আসল এসে নিধাকে বলল:-
.
__>আগামীকাল প্রোগামের কাজে কক্সবাজার যেতে হবে..{তাহসিন}
__>কত দিন থাকতে হবে ওখানে..?[নিধা]
__>প্রায় একমাস..[তাহসিন]
.
কথাটি শুনেই হাজার ভোল্টের শক খেলো নিধা...একমাস ওকে ছাড়া কিভাবে থাকবে...কিন্তু নিধা এর পর যা শুনলো তা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা....তাহসিন বলল আমি তোমাকেও নিয়ে যেতে চাই রেডি থেকো..কথাটি শুনে নিধার মধ্য প্রচুর ভালোলাগা কাজ করতে থাকে..মনে হয়েছিল এখনি তাহসিনকে জরিয়ে ধরবে কিন্তু তা সম্ভব না.
.
পরেরদিন ভোরে তাহসিনের ডাকে ঘুম ভাঙ্গল নিধার..কুয়াশা আচ্ছন্ন সকালের অন্ধকারে হাটতে হাটতে বগুড়া বাস স্টেশনে আসলো তারা..সকাল ৬টার বাসে উঠে পড়লো তাহসিন ও নিধা..গন্তব্য কক্সবাজারের..পথিমধ্য নিধা জানতে পারল এটা তাহসিনের অফিসের কোন কাজে আসা নয়..
নিধাকে কিছু সময় দেওয়ার কারনেই এখানে আসা..কথাটি শুনে নিধা খুব খুশি হলো...
.
সারাদিনের ক্লান্তময় জার্নি শেষ করে ওদের বাংলোয় পোঁছলো..মজার ব্যাপার হলো ওদের বাংলোটা ছিলো একটা টিলার উপ্রে..যা নিধার খুব প্রিয়..তখন বিকাল ৫টা প্রায় তাহসিন রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলো আর নিধা বাহিরে বসে থেকে প্রাকৃতির ডাকে সারা দিচ্ছে..মনে মনে ভাবলো এখন তাহসিনকে ডেকে বাহিরে নিয়ে আসবে..ওকে বলবে চল বউকে একটু সময় দাও..এসব ভাবতে ভাবতে নিধা আবিস্কার করল কেউ ওকে কিছু ডাকছে..তাকিয়ে দেখল তাহিসিন তার পিছনে..
.
___>চল পাশের দিঘী থেকে ঘুরে আসি..!!{তাহসিন}
___> চল..
.
শীতকাল হওয়ার দরুন শীত ও কম লাগছিলোনা..নিধা আগ্রহ বারিয়ে বলল:
.
>শীত লাগছে না তোমার..?
<মাথাটা নারিয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো তাহসিন..
>আচ্ছা তুমি এমন হয়ে গেলে কেন .? আগেতো এমন ছিলেনা ?
<একটু সময় দাও আগের মত হয়ে যাবো..
>আচ্ছা,চল এখন ঘরে যাই খুব শীত লাগছে.
<এক কাজ করলে কেমন হয়..
>কি কাজ.?
<এখানে কিছু শুকনো লাকরিতে আগুন ধরাই.
>হুম, ঠিক বলেছো আগে এভাবে কত আগুন পোহাতাম..
<জ্বী, বলেই পাশের গাছ থেকে একটা শুকনো ডাল ও কিছু খর নিয়ে এসে পকেট থেকে দিয়াশলাই বাহির করে আগুন ধরালো তাহসিন..
.
নিধা তাহসিনের একটু কাছে এসে বসল আর বলতে লাগল আমাকে একটু সময় দিও প্লীজ আমি আর পারছি না..তোমাকে কত না বলা কথা বলার আছে..কত কিছু শোনার আছে..তোমাকে নিয়ে কত সপ্ন দেখার আছে ..মনের ভিতরে তোমায় নিয়ে কত জল্পনা কল্পনা করি..একের পর এক বলেই চলছে নিধা..
.
>তখন তাহসিন বলে উঠলো চলো রুমে যায়..
<না, এখন না..এখানে তোমার কত কাছে বসে আছি খুব ভালো লাগছে..{নিধা}
>আরো কাছে আসতে চাও..?{তাহসিন}
<হুম.{নিধা}
>তাহলে রূমে চলো.. [তাহসিন]
.
নিধা আগেই রুমে গিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে অধির আগ্রহে বসে আছে..তাহসিন রুমে ঢুকে মোমবাতিটা নিভিয়ে দিয়ে শক্ত করে নিধাকে জরিয়ে ধরেছিল..ওর প্রথম ভালোবাসার স্পন্দন নিজ অন্তরে মিলিয়ে নিচ্ছিলো, কোন কথা না বলে.. তারপরই অন্ধকারে হারিয়ে গেল দুজন...।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন