বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

অবুঝ মন

-হৃদয় তুমি আমার বিয়ে করবে না?
----কিসের বিয়ে?
----কিসের বিয়ে মানে?
----সেটা আমারও প্রশ্ন?
----এতো দিন তাহলে কি সব নাটক ছিলো?
----হয়তো না।
----তাহলে আজ এমন করছো কেনো?
----কেমন করছি?
----তুমি আমাকে ছেরে অন্য কাওকে বিয়ে করবা?
----বাবা মা পছন্দ করেছে আর,
----আর তোমারও ভালো লেগে গিয়েছে তাই তো।
----হয়তো বা।
----প্লিজ হৃদয় এমন করো না আমি মরে যাবো?
----দেখো তন্নী আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি কিন্তু ভাগ্য সেটা চাই না।
----ভাগ্য না,
বলো যে তুমি এখন চাও না?
----এই সব কি বলছো তুমি।
----আমি সত্যি বলছি।
----না,
----হ্যা এটাই সত্যি ।
----দেখো আমাকে ভুল বুঝো না আমার কিছু করার নেই।
----কিছু করার নেই মানে কি?
----সব কিছুতে মানে খোজো কেন।
----প্রয়োজন পড়ে তাই।
----যা হয়েছে, হয়েছে এখন আর এইনিয়ে কথা বাড়িও না।
----তুমি এতো নিষ্টুর,মায়াহীন কেনো?
----জানি না, ভালো থেকো আর আমাদের যোগাযোগ হবে না।
----প্লিজ এমন করো না হৃদয় প্লিজ?
----দেখো আমি আমার মা বাবার উপরে যেতে পারবো না।
----ওহ্,,,, আচ্ছা বাই ভালো থেকো সবসময়,
দোয়া করি নতুন জীবনে সুখি হও।
----ধন্যবাদ, তুমিও।
----দেখা যাবে।
কথা গুলো বলে দুইজন দুইদিকে চলো গেলো।
এক জন কান্না করছে, আরেক জন আনন্দে আত্মহারা হচ্ছে।
কিন্তু কি আর করা হৃদয় যে এমনি,
বড়ো লোক মা বাবার এক মাএ সন্তান সে।
লেখা পড়া করেছে কোনো রকম ssc টা পাস ।
তার পরে আর পড়া শোনা হলো না।
কিন্তু কলেজে ভর্তি হতে ভুলি নাই সে।
হৃদয় দেখতে সুন্দর, তার চোখে আর কথায় কেমন মায়া জড়িয়ে আছে।
সেই মায়ার বাঁধা পড়ে আনেক মেয়ে।
হৃদয় আনেক মেয়ের সাথে প্রেম করে,
ভালোবাসার অভিনয় করে।
কিন্তু কোনো মেয়ের সাথে ফিজিকাল রিলেশনশিপ করিনি।
যাই হোক,
হৃদয় এমনি করে সবার সাথে রিলেশনশিপ করে পরে আবার কিছু দিন পর কোনো না কোনো ছুতোতে তা ব্রেকআপ করে।
বেশী অর্থ সম্পদ আছে, মা বাবার এক মাএ ছেলে সে কোনো কিছুতে অপূর্নতা নেই তার।
সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াবে,
কোনো মেয়েকে পছন্দ হলে তার পিছু নেবে।
পোটলে পোটলো না পোটলো না পোটলো।
হৃদয় এর মা বাবা খুব ভালো,
তার সন্তান কে অনেক অনেক ভালোবাসে তাই কিছু বলতে পারে না।
কিন্তু হৃদয় এতোটা খারাপ না,
কোনো অসহায় মানুষ দেখলে সাহায্য করবে,
খেতে না পাওয়া মানুষ পেলে নিজের টাকা দিয়ে খাবার কিনে দেবে।
হৃদয় এর একটাই দোষ সব মেয়েকে ওর ভালোলাগে, আর তার সাথে প্রেম করতে চাই।
এমনি করে যায় দিন গুলো,
হৃদয়ের ঢাকাতে নিজিস্ব বাড়ি আছে ওরা ঢাকাতে থাকে।
একদিন হৃদয় রাস্তার ফুট পথ দিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাটছিলো।
হঠ্যাৎ কয়েক জন পেছেন থেকে তার মুখে একটা পলিথীন বেঁধে মার ধোর শুরু করে,
প্রায় ৫ জন মানুষ ছিলো ওখানে।
একা মানুষ তাও আবার রাত ঢাকাতে দিনের বেলাই মারামারি হলে কেও সামনে আসে না, আর এটা তো রাত
ভোলা ভালা ছেলের মতো মার খেলো, মাথায় আঘাত করাতে হৃদয় অঙ্গান হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু ওরা দুই একটা চড় থাপ্পড় মেরে চলে যেতে চেয়েছিলো কারন ওরা ছিলো তন্নীর বন্ধুর রা।
তন্নীর তাদের কে পাঠিয়েছিলো এটার জন্য।
অঙ্গান হয়ে গেছে বলে তাড়াতাড়ি ভয় পেয়ে চলে যায় ওরা।
রাস্তাধরে যেমন পাগল শুয়ে থাকে ঠিক তেমন করে পড়ে আছে।
রাস্তার মানুষ গুলো পাগল ভেবে কেও আর গুরুত্ব দেই না।
আকাশে কালো মেঘ জমেছে,।
একটু পর আস্তে আস্তে আকাশ থেকে বৃস্টি পড়তে থাকলো।
বৃষ্টির পনিতে হৃদয়ের ঙ্গান ফিরে আসে কিন্তু উঠতে পারছে না, মাথায় আঘাত পাওয়া তে।
ঐ পথ দিয়ে এক ছাতার নিচে দুই জন মানুষ যাচ্ছিলো।
একটা মেয়ে আর সেই মেয়ের বাবা।
হৃদয়ের পাশ এড়াতে হৃদয়, help me বলে উঠলো।
ওরা দুজ তেমন গুরুত্ব দিলো না।
কারন এমন ঢাকা শহরে এমন করে ছিন্তায় কারী, নেশাখোর মানুষ গুলো পাওয়া যায়।
কিন্তু হৃদয় আবার বলে উঠলো।
এবার ঐ মেয়ের বাবা বললো কেও বিপদে পড়েছে আমাদের দেখা দরকাম মা, চলো তো?
কিন্তু মেয়ে যেতে না চাইলেও ওর বাবার কারনে গেলো।
গিয়ে দেখে সত্যি ছেলেটার সাহায্য এর দরকার,
নাক দিয়ে রক্ত বার হচ্ছিলো হৃদয়ের।
মেয়েটার বাবা মেয়েকে ওর কাছে রেখে রিকশা ডেকে আনলো।
আর তাতে করে হৃদয়কে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলো ওটা ওদের নিজেদের বাড়ি না,
মেয়েটা ঢাকাতে পড়া শোনা করে বলে এখানে একটা বাড়ি ভাড়া করে আছে,
মেয়েটা গ্রাম থেকে এসেছে লেখাপড়া করতে।
মেয়েটার নাম,, মিষ্টি,, দেখতেও খুব সুন্দর,
মিষ্টি একটা মেয়ে।
খুব নরম সরম, ভদ্র সভাবের আর গ্রামের মেয়েরা বেশীর ভাগ এমনি হয়।
মিষ্টি পড়া শোনাতে খুব ভালো বলে তার বাবা চাই ওকে ভালো করে পড়াশোনা করাতে।
মিষ্টির পরিবার আনেক গরীব, ভিটে বাড়ি বাদে মাঠে হয়তো কিছুটা পেট চলার মতো জমি আছে তাদের।
কিন্তু মিষ্টির পড়া শোনার কারনে, ওর অজানতেই জমিটা বিক্রি করে দিয়েছে মিষ্টির বাবা।
আর সেই টাকাটা দিতে আজ ঢাকাতে আসছিলো মেয়ের কাছে।
মিষ্টি যে বাড়িতে ভাড়া থাকে তারা খুব ভালো মনের মানুষ।
ওখানে আরো ৫ জন মেয়ে থাকে এক সাথে ওরা।
রিকশা করে হৃদয় কে নিয়ে আসলো।
বাড়ি ওয়ালাকে ডাক দিলো, ওদের একটা খালি ঘর ছিলো আর সেখানে হৃদয়কে রাখতে বললে।
খুব জোর বৃষ্টি হচ্ছিলো বলে ডাক্তারকে খবর দিতে পারলো না।
অন্ধকারে হৃদয়ের চেহারাটা ভালোকরে দেখতে পাইনি তখন মিষ্টি।
কারেন্ট এর আলোতে হৃদয়ের মুখ দেখে,,
ছেলেটা দেখতে মায়া কাড়া একদম।
মিষ্টির বাবা আর মিষ্টি ও তার বান্ধবী রা এসে ওদের সাহায্য করতে লাগলো।
মিষ্টির বাবা হৃদয়ের শরীরটা মুছে দিলো ভালোকরে
ময়লা, ধুলো লোগেছিলো গায়ে।
ঐ রাতে অনেক সেবা যন্ত করলো বাবা মেয়ে,
মিষ্টির বাবা হৃদয়ের সাথে ঐ ঘরে থেকে গেলো রাতে।
সকাল হতেই হৃদয় কিছুটা ভালো হয়ে গেলো।
মার খাওয়ার পরে তার আর কিছু মনে ছিলো না,
সকালে এক নরম বিছানাতে শুয়ে থাকতে দেখে অবাক হলো।
আমি এখানে কি করে এলাম?
কে আনলো আমায়?
মাথায় ব্যাঁথা লাগাতে মনে পড়ে গেলো সব কিছু।
মিষ্টির বাবা ছেলেটাকে দেখেই জিঙ্গাসা করলো
কেমন আছো?
বললো,
ভালো আছি।
তার পর জানতে চাইলো,
আমি এখানে কেনো?
সব কিছু বললো,
তার পরে ছেলেটা অনেক অনেক ধন্যবাদ জানালো।
এর মাঝে মিষ্টিও এসে হাজীর,
সকালের সোনালী মিস্টি রোদের সাথে করে,
নতুন এক সকালে,
অচেনা এক নতুন জীবনের দেখা পোলো হৃদয় মনে হলো।
মিষ্টির দিকে অপলক তাকিয়ে আছে হৃদয়।
মিষ্টির কথাতে হৃদয়ের ঘোর কাটলো।
বাবা মেয়ের সাথে একটু কথা বলেই হৃদয় বাড়ি যাবে বলে মনস্থীর করলো,
তারা মানা করলো না আর।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিয়ে হৃদয় বিদায় নিলো।
আসার আগে মিষ্টি কোন কেলেজে পড়ে সেটা জেনেছিলো। কিন্তু মিষ্টির নামটা জানলো না হৃদয়।
এর পর ৪ দিন কেটে গেলো।
মিষ্টির বাবাও গ্রামে চলে গিয়েছে এর মধ্য,
হৃদয় ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছে।
আর শুরু হলো তার আাগের কাজ গুলো,কিন্তু এখন কাজ হলো ঐ মিষ্টি মেয়েটাকে খুজে বার করা আর কথা বলার জন্য।
একদিন সকালে মিষ্টির কলেজে এসে দাড়িয়েআছে।
টানা এক ঘন্টা পর সেই মিষ্টি মেয়ের দেখা পেলো,
হৃদয় মিষ্টির নাম জানতো না, কিন্তু মিষ্টি মেয়ে বলে মনে করে।
মিষ্টি কলেজে ঢুকতেই, হৃদয় ডাক দিলো,,
----এইযে মিষ্টি মেয়ে শুনছেন?
----আরে আপনি?
----হুমম আমি। কেমন আছেন?
----এইতো ভালো আছি,
আপনার অবস্তা কেমন?
----ভালো খুব,, অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
----কেনেন?
----ঐ রাতে আমাকে হেল্প করার জন্য।
----মানুষ মানুষ এর জন্য।
----জ্বি ঠিক বলেছে,
আচ্ছা আপনার যদি আপত্তি না থাকে চলেন তাহলে একটা কফি সপে বসে কথা বলি?
----আপত্তি থাকবে কেনেন, কিন্তু ক্লাস আছে যে ?
----ওহ্ আচ্ছা তাহলে বিকালে?
----আচ্ছা ঠিক আছে কলেজ ছুটির পরে
----ওকে, অপেক্ষায় রইলাম।
----ওকে বাই, টেক কেয়ার?
----অবশ্যয়।
মিষ্টি ক্লাসে চলে গেলো আর হৃদয় তার অপেক্ষাতে রইলো।
মিষ্টির মনে হৃদয়ের জন্য একটু কেমন অজানা এক অনুভুতি সৃস্টি হতে থাকলো।
তাই আর ও কফি খাওয়া প্রোজার এ না করলো না।
কলেজ শেষে, তারা একটা কফি সপে গেলো।
ওখানে কফি খেতে খেতে আনেক কথা হলো।
হৃদয় মিষ্টির মন পাওয়ার জন্য সে মিষ্টির সাথে মিথ্যা বললো যে
সে গরীব ঘরের ছেলে।
এইভাবে কিছু মিথ্যা বললো মিষ্টির সাথে।
মিষ্টিও সব কিছু সত্যি বললো তার সম্পর্কে।
এভাবে তারা একটা বন্দুত্ব এর বন্ধনে আটকা পড়ে,
তার পর আস্তে আস্তে,ভালোলাগা ও ভালোবাসা হলো দুই জনের মাঝে।
সত্যি কারের ভালোবাসা জন্মনিলো মিস্টির মাঝে হৃদয়ের জন্য।
কিন্তু হৃদয়ের মাঝে এ সব কিছু ছিলো না, তার ছিলো আগের সেই সব রিলেশন এর মতো।
মিষ্টির প্রথম প্রেম আর ভালোবাস হলো হৃদয়,
আর এটাই তার শেষ ভালোবাসা বলে মনে করে।
তাই হৃদয়ের সব কথাই মিষ্টি মন প্রান দিয়ে বিশ্বাস করতো।
দিন যায় আর হৃদয় মিষ্টির,,, মিস্টি ভালোবাসাও বাড়তে থাকলো।
মিষ্টির কিছু রাগ অভিমান, আর প্রান ঢালা ভাললবাসা দিয়ে চলে যাচ্ছে দিন গুলো।
মিস্টির কাছে টাকা আছে অনেক জানতে পারলো হৃদয়।
মিষ্টি তাকে বলেছিলো, কিন্তু এটা যে তার ।
হৃদয় পরিক্ষা করতে চাইছিলো মিষ্টি তাকে কতোটা ভালোবাসে।
সে এটার জন্য হৃদয় একটা অভিনয় করতে লাগলো।
মিস্টি কে কল দিয়ে বললো,,
----মিষ্টি কোথায় তুমি?
----এইতো কলেজে যাচ্ছি।
----ওহহ্,,ভালো ভাবে যেও?
----কি হয়েছে তোমার এমন করে কথা বলছো কেনো?
----কিছু হয়নি।চিন্তা করো না তুমি কলেজে যাও?
----যাবো না কি হয়েছে বলো?
----আমি এখন hospital এ.
----কেনো কি হয়েছে?
ঠিক আছো তো তুমি?তোমার কিছু হয় নি তো?
----আরে পাগলী কিছু হয় নি আমার।
----কোন hospital এ আছো তুমি বলো?
----না না তোমার আসতে হবেন তুমি কলোজ যাও?
----যাবো না বলো কোথায় আছো.
তাপ পর বললো হৃদয় কোথায় আছে,
সাথে সাথে চলে গেলো মিষ্টি ওখানে।
গিয়ে দেখে হৃদয় বসে আছে,
দেখেই মিষ্টি কান্না করতে লাগলো।
হৃদয় গিয়ে থামানোর চেস্টা করতে লাগলো,
কান্নার কারনন মিষ্টি ভয় পেয়েগিয়েছে হৃদয়ের কিছু হয়নি তো।
যে হৃদয়ের কিছু হয়নি, এটা শুনে মিষ্টি যেনো প্রান ফিরে পেলো।
কিন্তু জানতে পারলো তার বাবা খুব অসুস্থ,
হার্ট অপারেশন করতে হবে তার জন্য অনেক টাকা লাগবে বললো ডাক্তার।
কিন্তু হৃদয় এর পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব বলে মনে করলো মিষ্টি
মিষ্টি হৃদয়ের পাসে গিয়ে বসলো,,
----এতো চিন্তা কেনো করছো?( মিষ্টি)
----আমার বাবা?
----কিচ্ছু হবে না তোমার বাবার।
----তুমি বুঝতে পারছো না এতো টাকা কোথায় পাবো এখন আমি?
----এতো ভেঙ্গে পড়ছো কেনো?
----আমার মাথায় কাজ করছে না মিষ্টি কি করবো এখন আমি।
----চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে,
----কি করে হবে?
----আচ্ছা তুমি এখন বাড়ি যাও কাল দেখা করি আমারা?
----আচ্ছা,, বাই।
----বাই।
বলে একটু অভিনয়ের কান্না করতে করতে চলে যায় হৃদয়।
এদিকে মিষ্টি ভেবে পাচ্ছে না কি করে তার বাবা কে বাচাবে।
দুই দিন এর মধ্য অপারেশন করতে হবে না হলে বাচানো যাবে না ওর বাবা কে।
যাকে এতো টা ভালোবাসে তার বিপদে পাসে না দাড়াতে পারলে সারাজীবন কি করে দাড়াবে একে উপর এর প্রতি।
কিভাবে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেবে?
অনেক ভেবে চিন্তে আর কিছু পেলো না,
তার পড়াশোনার জন্য যে টাকা টা মিষ্টির বাবা দিয়েছিলো।
সেটা হৃদয়ের বাবার জন্য ডাক্তার এর কাছে দিয়ে আসলো।
মিষ্টি এতোটাই ভালোবাসে যে তার ভবিষ্যাৎ এর দিকে না তাঁকিয়ে , হৃদয়ের দিকে লক্ষ করে সব কিছু বিসর্জন দিলো।
মিষ্টি কোনো কিছু না ভেবে কাজটা করে।
এবার তার এখানে থাকার মতো আর টাকা নেই।
ঢাকা শহরে টাকা ছাড়া এম মুহূর্ত ও চলা যায় না।
এক দিন পর একটা মেয়ের সাথে মিষ্টির দেখা মিল্লো।
আর সেই মেয়েটা হলো তন্নী,
তন্নী মিষ্টিকে দেখে বললো,
ঐ ছেলেটা কি হয়?
জবাবে বললো সব কিছু তাদের সম্পর্কের কথা মিষ্টি।
তার পর হৃদয়ের সম্পর্কে অজানা গুলো জানিয়ে দিলো মিষ্টিকে।
মিস্টি কিছু বিশ্বাস করতে চাইনি।
তার পর প্রমান দিলো সে তার সাথে তোলা ছবি গুলো।
মিষ্টি কান্না চেপে ধরে আছে।
তার বুকটা যেনো ফেটে যাচ্ছে,
যাকে এতোটা ভালোবাসে সে কিনা তার সাথে মিথ্যা অভিনয় করেছে।
চাপা কস্ট হচ্ছে আজ মিষ্টির।
মিষ্টি এতো বড় ধাক্কা খাওয়াতে সে আর এখানে থাকবে না,
হৃদয়ের জীবন থেকে চলে যাবে বলে স্থির করলো।
যা টাকা ছিলো,
তাই দিয়ে মিস্টি হৃদয় কে না জানিয়ে তার গ্রামে চলে গেলো।
এদিকে হৃদয় তার বিশ্বাস ছিলো সে তার বাবার জন্য টাকা দেবে।
হৃদয়ের মনে খটকা লাগলো সে এতো টাকা দিলো কিন্তু এখন ও চলবে কি করে,
ডাক্তার কে অভিনয় করতে বলেছিলো হৃদয়,
ডাক্তার টা ছিলো ওর এক আঙ্কেল।
এভাবে দুই দিন কেটে গেলো কিন্তু মিষ্টির কোনো দেখা মিললো না।
তার খোজ করাতে জানতে পারলো,
তার এক বান্ধবির কাছ থেকে যে,
তার লেখা পড়া করার জন্য ওর বাবা জমী বিক্রি করে যে টাকা পাঠিয়েছিলো, সে কাকে ভালোবাসতো তার বাবা অসুস্থ ছিলো তাই তার বাবকে বাচানোর জন্য সব টাকা দিয়ে দিয়েছে
আর সে গ্রামে চলে গিয়েছে।
হৃদয় যেনো আকাশ থেকে পড়লো,
যে মিস্টি আমার জন্য তার স্বপ্ন কে কবর দিলো,
আর আমি, ছি, নিজেকে অপোরাধি মনে করছে এই প্রথম বার।
যে মেয়েটা ওকে এতোটা ভালোবাসে।
হৃদয় মিষ্টির গ্রামের ঠিকানা নিয়ে আর তারর আঙ্কেল এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে, ঐ দিনি মিষ্টির গ্রামে চলে যায়।
বাড়ি থেকে কিছু টাকা নিয়ে চলে গেলো।
৫ ঘন্টা বাসে জারনি করে তার পর পেলো মিষ্টির গ্রাম টা।
কিন্তু সমস্যা হলো হৃদয় তো আর তার বাসা চেনে না।
কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।
তার বাবার মা এর নামও জানে না।
শুধু যানে মিষ্টি নাম খানা, কিন্তু এতে কি তার বাসা চেনা যাবে।
 অনেক কষ্টে মিষ্টির বাড়ির ঠিকানা টা পেলো।
কিন্তু কোন মুখ নিয়ে তার সামনে যাবো ভেবে পাচ্ছে না হৃদয়।
মিষ্টি কেনে হঠ্যাৎ চলে আসলো সব কিছু ছেড়ে বুঝতো পারলো না।
ভয়ে ভয়ে মিষ্টির দিকে পা বাড়ালো, ঠিকানা সূত্র ধরে ঠিক বাড়িতে গিয়ে পৌছালো।
একটা বেড়ার ঘর, উপরে লালচে টিন দেওয়া আছে।
যেটা এক কামরা ঘর ঠিক মতো হয় না সেটা দুই কামরা বানানো।
একটা তে মিস্টি আরেক টাতে ওর বাবা মা।
মিষ্টির বাড়িতে যেতেই মিষ্টির মায়ের সাথে দেখা।,
----কে বাবা তুমি?(মিষ্টির মা)
----খালাম্মা, আমি মিষ্টির বন্ধু ঢাকা থেকে এসেছি।
----তুমি ঢাকা থেকে এখানে এসেছো?
----জ্বি খালাম্মা।
----এখানে কারো আত্মীয় বাড়ি আছে বুঝি?
----না খালাম্মা, কেও নাই!
----তাহলে,
----আমি মিষ্টির সাথে দেখা করতে এসেছে শুধু, ওকে একটু ডেকে দেওয়া যাবে?
----ও আচ্ছা, তুমি ঘরে এসো এসে বসো, আমি মিষ্টিকে ডেকে দিচ্ছি?
----ঠিক আছে খালাম্মা।
কিছুক্ষান পরে কেও যেনো হাপাতে হাপাতে আমার সামনে এসে দাড়ালো বুঝতে পারলো।
হৃদয় ঘরটা দেখছিলো,
যে মিষ্টির আমি কতো বড় ক্ষতি করেছি বুঝতে পারলাম।
হৃদয় মিষ্টির চোখ দিকে তাঁকাতে পারছে না।
কোন মুখ নিয়ে তাকাবে সে?
কিসের উপর ভিত্তিতে তাঁকাবে?
সে যে পাপ করে ফেলেছে বড়।
তার পর মিষ্টি বললো..
----হৃদয় তুমি এখানে কি করছো? (মিষ্টি)
----কি করছি সেটা জানতে চাও,
কেমন আছি জানতে চাইলে না যে?
----জানি ভালোই আছো, তাই বললাম না।
----ভুল, ভালো নাওতো থাকতে পারি।
----বাদ দেও, এখানে কোনো এসেছো?
----তোমার সাথে দেখা করতে?
----আমার সাথে দেখা করার কি আছে?
----অনেক কিছু।
----বলো কি বলতে চাও?
----মিষ্টি আমি ছরি, আমি জানি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি, যার কোনো ক্ষমা হয় না।
----কি করেছো তুমি আমার কাছে যে এবাবে সংকোচ করছো?
----প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও?
----তুমি ক্ষমা কেনো চাতে ছো?
----তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলা করার জন্য?
তোমার ভালোবাসা নিয়ে অভিনয় করার জন্য?
----আর কিছু?
----এই নেও তোমার সেই টাকা একটাও খরচ হয় নি?
----এ টাকা আমার আর প্রয়োজন নেই।
----এমন করে বলো না, তুমি আবার ঢাকাতে চলো তোমার পড়া শোনার সব খরচ আমার?
----তার জন্য ধন্যযোগ্য।
----এভাবে কেনো বলছো?
----আমি আর পড়বো না।
----কেনো?
----আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
----কি বলছো এসব, ৩দিন এর মধ্য বিয়ে ঠিক হলো কি করে?
----বাবা আগে থেকে দেখে রেখেছিলো।
----তাহলে আমার ভালোবাসার কি হবে?
----ভালোবাসা?
----হুমম,, তোমাকে যে আমি খুব ভালোবাসি?
----এটা তোমার ভালোবাসা না ভালোলাগা।
----মিষ্টি আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও?
----আমরা গরিব হতে পারে কিন্তু কওকে ঠকাতে পারি না?
কারো বিশ্বাস নিয়ে খেলা করতে পারি না ।
কারো ভালোবাসা নিয়ে অভিনয় করতে পারি না।
যদি কাওকে ভালোবাসি তো মন প্রান। উজাড় করে সারাজীবন এর জন্য তাকে ভালোবেসে যায়।
----মিষ্টি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি বিশ্বাস করো?
----এখানে এই সব আর বলো না, মা আছে শুনলে সমস্যা হবে।
----আমি তোমার মা বাবার সাথে কথা বলি তোমার জন্য?
----কখনো না, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছি
৩ দিন পরে আমার বিয়ে হৃদয়।
----মিষ্টি প্লিজ এমন করো না, ( মিষ্টির হাত ধরে)
----কি করছো হাত ছাড়ো মা দেখে ফেলবে, ছাড়ো হাত প্লিজ হৃদয়?
----তার আগে বলো তুমি আমার ছেড়ে যাবে না?
----এটা সম্ভব না, তুমি ফিরে যাও হৃদয়?
----ফিরে গেলে তোমাকে নিয়েই যাবো আমি।
----আমি যাবো না তোমার সাথে।
----আমাকে একটি বার সুজক দেও
আমার নামে কোনো অভিযোগ থাকবে না?
----ঐসব বাদ দেও তুমি ফিরে যাও প্লিজ হৃদয়?
----গেলে তোমাকে নিয়ে যাবো।
----পাগলামো করো না, আমার পরিবার এর জন্য আমি জীবনটাও দিতে পারি,তাদের খুসির জন্য।
----আমি তোমার জন্য নিজেকে মৃত্যুর। দিকে উৎস্বগ্র করতে পিছু হাটবো না।
----তুমি ফিরে যাও, না হলে আমাদের নামে কথা উঠবে।গরীব মানুষ এর কিছু হলে সেটা দশ গুন বারিয়ে দেই তুমি আর থেকো না যাও প্লিজ?
----মিষ্টি?
----মনে করো মিষ্টি মরে গেছে তোমার?
----আমি চলে যাচ্ছে তবুও দোহায় তোমার এমন কথা বলো না?
---- তাহলে যাও ফিরে যাও তুমি?
----আচ্ছা। ভালো থেকো?
----হুম, তুমিও।
বলে হৃদয় বাইরে আসতেই হৃদয়ের বাবা আর মা এর সাথে দেখা।
মিষ্টির মা সব কিছু শুনেছে তাদের কথা।
হৃদয় তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সেই টাকা গুলো তাদের হাতে তুলে দিলো।
এটা মিষ্টির পোড়ার টাকা,
বাবার জমী বিক্রি করে মেয়ের জন্য পড়ানোর টাকা।
মিষ্টির বাবার কাছে মিষ্টিকে ভিক্ষা চাইলো অনেক বোঝালো, তও কোনো কাজ হলো না।
অবশেষে হৃদয় ফিরে যেতে লাগলো,
কি করে মনকে আজ বুঝাবে,
মিষ্টিকে ছাড়া কি ভাবে জীবন সাঁজাবে।
মিষ্টি যে হৃদয়ের প্রান পাখি,
মন ছিলো যে অবুঝ পাখি।
কতো টা ভালোবাসি বুঝলো যখন মন?
নিয়তি মানলো না যে তখন।
ভালোবাসি গো কতো তোমায় মিষ্টি,
এই হৃদয় হয়েছে যে তোমার জন্যই সৃষ্টি।
মন ছিলো আমার উরাল পাখি,
কি করে বলো তারে বেঁধে রাখি।
তোমায় ছাড়া শূন্য এ হৃদয় ভুবন,
ভালোবাসে তোমকে এই অবুঝ মন।
হৃদয় মিষ্টিকে সত্যি অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলো।
তার ভিতরে সত্যি ভালোবাসার সৃস্টি হয়েছে আজ।
হৃদয় ঐ গ্রাম থেকে গেলো না।
এক লোকের বাড়িতে ঠায় নিলো কয়েকদিন এর জন্য।
দুই দিন কেঁটে গেলো, আজ মিষ্টির বিয়ে হবে।
হৃদয়ের বুকের পাজড় যেনো দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।
কিছুই করার নেই যে তার।
সব আয়োজন শেষ হলো সকাল গড়িয়ে দুপুর।
বর আসার পালা এখন।
কিন্তু আসলো না বর, আসলো বর এ যে গাড়িতে করে আসছিলো সেটা এক্সিডেন্ট করেছে।
সাথে সাথে তারা সবাই হসপিটালে গেলো।
মিষ্টিও গেলো, যার সাথে মিষ্টির বিয়ে হবে কিন্তু মিষ্টি এখনো তাকে দেখিনি।
তাদের পিছু পিছু হৃদয়ও গেলো।
যার সাথে বিয়ে হবে তাকে দেখে মিষ্টির পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।
কারন, ৪৫ বছর এর একটা লোকের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে তার বাবা।
মিষ্টি কেঁদে ফেললো যে তার বাবা তার জন্য এমন করলো কেনো।
জানতে পারলো ওর মায়ের কাছ থেকে,
যে জমী জমা আর টাকার জন্য এটা করেছে।
মিষ্টি মনকে বুঝ দেবে কি করে,
যে তার বাবা টাকার জন্য নিজের মেয়েকো এমন এক লোকের হাতে তুলে দেচ্ছে?
এটা কি মেয়ের প্রতি ভালোবাসা?
যে মিস্টি আমি মা বাবার মুখে হাসির জন্য এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলো বিয়েতে।
কারন সে জানতো তার মা বাবা তার মনের মতো কারো সাথে বিয়ের ব্যবস্তা করেছে।
কিন্তু না সে তাকে সম্পদ এর লোভে পড়ে তার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে গেলো।
যার সাথে বিয়ে হবে সে হয়তো দুইদিনপর ঠিক হয়ে যাবে তাই
মিস্টির বাবা দুই দিন পর বিয়ের ব্যবস্তা ঠিক করবে জানালো

সবাই বাড়িতে আসতেই মিষ্টি তার বাবা কে বললো,
----আব্বু তুমি এটা কি করলে?
----কেনে মা?
----তুমি ঐ বুড়ো লোক টার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করলে কেনো?
----তুই অনেক সুখে থাকবি, রাজ রানী করে রাখবে তোকে।
----চাইনা রাজ রানী হতে আমি।
----কি বলছিস এসব?
---- তুমি আমার ঐ লোকটার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছো।
----ছি,,,,, মা কি বলিস এইসব, বাবা হয়ে তোকে বিক্রি করবো?
----এটা বিক্রি ছাড়া কি হতে পারে,
অর্থের লোভে তুমি আমার তার সাথে বিয়ে দিচ্ছো। তার কাছ থেকে টাকা জমী জমা পাচ্ছো,
আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য এটা বিক্রি বলে না?
----দেখ মা আমি তোর সুখের জন্য করেছি যা করেছি।
----তোমারা আমার যদি সুখটাই চেতে তাহলে এমন কাজ কখনো করতে পারতে না?
----আমি তোর বাবা যেটা করেছি ঠিক করেছি কথা বাড়াস না এই নিয়ে, দুই দিন পর বিয়ে।
----বাবা তোমারা যে আমার বাবা মা বলতে লজ্জা করছে, যারা জেনে বুঝে মেয়েকে এমন কারো হাতে তুলে দিতে পারে তাদের কাছে আমি পর্ণদ্রব্য এর মতো।
আমার জীবন আমি নিজেই বেছে নেবো বাবা তোমাদের আর কষ্ট করতে হবে না।
----কি বলছিস এই সব আমারা তোর মা বাবা আমারে এভাবে বলতে পরলি মেয়ে হয়ে?
----তোমারা বাবা মা, হয়ে মেয়ে কে একম এক জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিতে পারলে,
আমি মেয়ে হয়ে কেনো পারবো না সেই জায়গা থেকে সরে যেতে।
হৃদয় আড়াল থেকে সব কথা শুনছিলো তাদের ।
হৃদয় হঠ্যাৎ ওদের সামনে আসলো।
মিষ্টির বাবার দেখে বললো,
---তুমিমি এখনে কি করছো আজ তেমার জন্য আমার এতো বড় ক্ষতি হলো সব তোমার জন্য। (মিষ্টির বাবা)
মিষ্টি বললো,, সে ক্ষতি করেনি বাবা,
অবুঝ মনটা কে বুঝ দিয়েছে সত্য এর পথে এসেছে আমার জন্য।
মিষ্টি ওর বাবা মা এর সামনে হৃদয় কে বললো,,
----ভালোবাসো আমাকে?
----বুজাতে পারবো না।
----ভুলে যাবে না তো কখনো?
----মরে গেলোও না।
----কষ্ট দেবে আমাকে?
----ব্যথা দিবো নিজেকে।
----সারাজীবন এই হাত টা ছাড়বে না তো?
----ছাড়ার জন্য তো আর ধরিনি।
----বউ করবে আমায়?
----না,
হৃদয়ের জানপাখি করবো।
----তাহলে আমাকে নিয়ে চলো?
----আমার হাত ধরো?
তারপর মিষ্টি হৃদয়ের হাতটা ধরে তার মা বাবা ও গ্রামের মানুষ গুলোর সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
এতে গ্রামের মানুষ গুলো খারাপ না বরং মিষ্টিকে অনেক দোয়া করছে যেনো সে সুখি হয়।
কারন তারা জানতো তার বাবা অর্থের লোভে মেয়েকে ঐ লোক টার সাথে বিয়ে দেচ্ছে।
কিন্তু মিষ্টি তার জীবন টা নিজের মতো করে সাজানোর জন্য,
হৃদয়ের হাত ধরে চলে যাচ্ছে।
যে মা বাবা তার মেয়ের সাথে এমন করতে পারে,
তাহলে সব কিছু বুঝেও কি করে সেই দিকে নিজেকে সপে দেবে।
তাইতো আজ হৃদয়ের হাত চলে গেলো সারাজীবনএর জন্য।
হৃদয় মিষ্টিকে নিয়ে তার বাড়িতে গেলো।
হৃদয় এর মা বাবা সব শুনে মিষ্টিকে বউমা বলে মানতে পারলো না,
নিজের একটা মেয়ের সমান মনে করে মেনেনিলো।
অথপর হৃদয় আর মিষ্টির বিয়ে হলো।
আজ মিষ্টি খুব খুসি,
সে তার প্রথম ভালোবাসর মানুষটাকে পেয়েছে।
যাকে সে জীবন দিয়ে ভালোবাসতো।
হৃদয় আর মিষ্টির জীবনটা সুখ,শান্তিও ভালোবাসয় ভরে উঠুক।
সুখে থাকুক সারাজীবন,,,
হৃদয় আর মিষ্টি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন