একটানা পনেরোটা সিগারেট শেষ করলাম। রহিম চাচার দোকানের পিছনে দাঁড়িয়ে। প্রেম এইসব ও মানুষে করে। আমি পুইড়া শেষ। দ্যাৎ এতগুলা সিগারেট খাইয়্যা ও লাভ হইলো না। মনে পড়তেই আছে তারে। একজনের সাথে প্রেম করবে আরেকজনের সাথে তলে তলে টেম্পু চালাইবে। আজব সব।
,
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই কল আসে আলোর। তাড়াতাড়ি যেতে হবে ভার্সিটিতে। ঘুমানোর ইচ্ছে ছিলো আরো সব বাদ দিয়া বাহির হইলাম বাসা থকে। বের হয়েই পড়লাম আরো বিপদে নাই কোনো গাড়ি। হেটে গেলাম আধা ঘন্টায়ে হাঁপাতে হাঁপাতে আমি তো প্রায় আধমরা। ভার্সিটিতে গিয়ে আরো এক জামেলা আলো ফোন ও ধরছে না।
খোঁজেও পাচ্ছি না। আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে টাকাওয়ালার পোলা টেহা মামুন। অবশেষে কইলো উনি নাকি ক্যান্টিনে। অবাক হইলাম এ সকালে ও ক্যান্টিনে কেন? সিদ্ধান্ত আজ নিয়া নিছি আজ ওর খবর আছে। আমারে এক্কেরে তামা তামা বানাইয়া ফেলসে।
খরগোশ গতিতে ক্যান্টিনে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখব ভাবি নি।
,
এক ছেলের সাথে খুব ব্যাস্ত খাবার খাওয়ায়। এ ছেলেটাকে আরো অনেকবার দেখেছি কিছু বলি নি হয়তো বন্ধু। আজ কিছু বলবো নাহ আলোর সাথেই খেলা হবে ওর সাথে না....
--বাহ!আলো কি চমৎকার দেখতে(আমি)
--বসো (আলো)
--বাহ! কি দারুণ এক সাথে দুইজন
--মানে?
--এসব দেখার জন্যই বুঝি আমাকে আনলে?
--সরি। আমি সকালে কিছুই খেয়ে আসি নি
--ওহহ। কি সুন্দর কথা।
--বিশ্বাস কর
--থাক আর বলতে হবে না।আমি সব বুঝে গেছি
--কি বুঝে গেছো
--ওই চুপ। আমার সামনে আর তোমায় দেখতে চাই না।থাকো তুমি তোমার নতুন মানুষ নিয়া। থাকো
,
এক দৌড়ে আবার চলে আসলাম। কারন আমাকে ধরতে পারলেই আরো নাটক সাজাবে। কত! ভালোবাসলাম।
আর আমারে নিয়া ফুটবল খেললো।
কত! ভালো খেলোয়ার এক সাথে দুই ফুটবলে কিক করে। আর কোনো যোগাযোগ ই রাখব না তার সাথে।সবকিছুর ইতি।
,
এরপর বাসায় না গিয়ে রহিম চাচার দোকানের পিছনে বসে সিগারেট টানছি।
ষোল নাম্বারটা ধরাতে যাব। আম্মুর কল...
--হ্যা বলো কি হয়সে
--তুই কি করেছিস
ভয় পেয়ে গেলাম সিগারেটের ব্যাপার আম্মু জেনে গেলো না তো
--কই কি করব। আমি তো ভার্সিটিতেই আছি
--তুই একটু আগে কি করছিস
মনে হয় খায়লাম ধরা। সিগারেট মিয়া বুঝি অবশেষে আমার তেরোটা বাজালো।
--বসে আছিলাম টেহা মামুনের লগে
--ওই কি বলছি বুঝছিস না
--নাহ
--তুই আলোরে কি বলছিস
--আলো আবার কে?
--ও এখন সাধু সাজো
--তর গার্লফ্রেন্ড
--এ ব্যাপার তুমি জানলা কিভাবে
--আলে ফোন করে কান্নাকাটি করসে। মেয়েটা এখনও কাঁদছে।তুই ঠিক কর গিয়ে
--ওহহ টেম্পু চালাবে আর আ নষ্ট হলেই আমি ঠিক করব। পারব না আমি
--ওই গাধা সাথে যে ছিলো ও আলোর আপন ছোট ভাই। আর এটা নিয়ে তুই মেয়েটা যা খুশি বললি
আবালের পরিচয় আবার দিলাম।
,
আবার দিলাম দৌড় ভার্সিটি গিয়ে দাঁড়ালাম। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পেলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখ মুছতেছে। আস্তে আস্তে কাছে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম,,,
--ওই ছাড়ো বলছি (আলো)
--নাহ ছাড়বো না
--আমি তোমার সামনে যেতে চাই না
--তাহলে পিছন থেকে তুমি জড়িয়ে ধরো
--চুপ। এমন কেন করলা?
--সরি আমি বুঝি নি
--তুমি বুঝবা কেন? সারাদিন তো প্যাচাল নিয়েই থাকো
--সরি
--ওই তুমি সিগারেট খায়ছো?
--না তো
--মিথ্যা বলবা না বলে দিলাম
--তোমার সাথে আর কোনো কথা নাই
--সরি আর খাব না
--যদি খাও
--তাহলে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকব এখানে
--সত্যি তো
--হ্যা সত্যি
--আচ্ছা মা কি করে জানলো
তোমার আমার ব্যাপারটা?
--হি হি হি। ছোট বেলা থেকে তোমার যার সাথে বিয়ে ঠিক করা সেটা আমি
--কিহহ!
--হি হি হি
--ওরে আল্লারে এ কি হুনি। মুই তো এক্কেরে পাগল হইয়্যা যামু
--হি হি হি
--চলো মোরা বিয়া কইরা ফেলি
--চুপ বেয়াদব।সব পরে
--আর কিতা কিতা গো
--ওই তোমারে কিন্তু ডিভোর্স দেবো
--ওই না না। আমি তোমায় ভালোবাসি
--ভালো করে বলো
--অনেক ভালোভাসি হবু বউ
--হি হি হি। আমিও ভালোবাসি তোমায় হবু জামাই
...হি হি হি.....★
,
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই কল আসে আলোর। তাড়াতাড়ি যেতে হবে ভার্সিটিতে। ঘুমানোর ইচ্ছে ছিলো আরো সব বাদ দিয়া বাহির হইলাম বাসা থকে। বের হয়েই পড়লাম আরো বিপদে নাই কোনো গাড়ি। হেটে গেলাম আধা ঘন্টায়ে হাঁপাতে হাঁপাতে আমি তো প্রায় আধমরা। ভার্সিটিতে গিয়ে আরো এক জামেলা আলো ফোন ও ধরছে না।
খোঁজেও পাচ্ছি না। আমাদের ক্লাশের সবচেয়ে টাকাওয়ালার পোলা টেহা মামুন। অবশেষে কইলো উনি নাকি ক্যান্টিনে। অবাক হইলাম এ সকালে ও ক্যান্টিনে কেন? সিদ্ধান্ত আজ নিয়া নিছি আজ ওর খবর আছে। আমারে এক্কেরে তামা তামা বানাইয়া ফেলসে।
খরগোশ গতিতে ক্যান্টিনে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখব ভাবি নি।
,
এক ছেলের সাথে খুব ব্যাস্ত খাবার খাওয়ায়। এ ছেলেটাকে আরো অনেকবার দেখেছি কিছু বলি নি হয়তো বন্ধু। আজ কিছু বলবো নাহ আলোর সাথেই খেলা হবে ওর সাথে না....
--বাহ!আলো কি চমৎকার দেখতে(আমি)
--বসো (আলো)
--বাহ! কি দারুণ এক সাথে দুইজন
--মানে?
--এসব দেখার জন্যই বুঝি আমাকে আনলে?
--সরি। আমি সকালে কিছুই খেয়ে আসি নি
--ওহহ। কি সুন্দর কথা।
--বিশ্বাস কর
--থাক আর বলতে হবে না।আমি সব বুঝে গেছি
--কি বুঝে গেছো
--ওই চুপ। আমার সামনে আর তোমায় দেখতে চাই না।থাকো তুমি তোমার নতুন মানুষ নিয়া। থাকো
,
এক দৌড়ে আবার চলে আসলাম। কারন আমাকে ধরতে পারলেই আরো নাটক সাজাবে। কত! ভালোবাসলাম।
আর আমারে নিয়া ফুটবল খেললো।
কত! ভালো খেলোয়ার এক সাথে দুই ফুটবলে কিক করে। আর কোনো যোগাযোগ ই রাখব না তার সাথে।সবকিছুর ইতি।
,
এরপর বাসায় না গিয়ে রহিম চাচার দোকানের পিছনে বসে সিগারেট টানছি।
ষোল নাম্বারটা ধরাতে যাব। আম্মুর কল...
--হ্যা বলো কি হয়সে
--তুই কি করেছিস
ভয় পেয়ে গেলাম সিগারেটের ব্যাপার আম্মু জেনে গেলো না তো
--কই কি করব। আমি তো ভার্সিটিতেই আছি
--তুই একটু আগে কি করছিস
মনে হয় খায়লাম ধরা। সিগারেট মিয়া বুঝি অবশেষে আমার তেরোটা বাজালো।
--বসে আছিলাম টেহা মামুনের লগে
--ওই কি বলছি বুঝছিস না
--নাহ
--তুই আলোরে কি বলছিস
--আলো আবার কে?
--ও এখন সাধু সাজো
--তর গার্লফ্রেন্ড
--এ ব্যাপার তুমি জানলা কিভাবে
--আলে ফোন করে কান্নাকাটি করসে। মেয়েটা এখনও কাঁদছে।তুই ঠিক কর গিয়ে
--ওহহ টেম্পু চালাবে আর আ নষ্ট হলেই আমি ঠিক করব। পারব না আমি
--ওই গাধা সাথে যে ছিলো ও আলোর আপন ছোট ভাই। আর এটা নিয়ে তুই মেয়েটা যা খুশি বললি
আবালের পরিচয় আবার দিলাম।
,
আবার দিলাম দৌড় ভার্সিটি গিয়ে দাঁড়ালাম। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পেলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখ মুছতেছে। আস্তে আস্তে কাছে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম,,,
--ওই ছাড়ো বলছি (আলো)
--নাহ ছাড়বো না
--আমি তোমার সামনে যেতে চাই না
--তাহলে পিছন থেকে তুমি জড়িয়ে ধরো
--চুপ। এমন কেন করলা?
--সরি আমি বুঝি নি
--তুমি বুঝবা কেন? সারাদিন তো প্যাচাল নিয়েই থাকো
--সরি
--ওই তুমি সিগারেট খায়ছো?
--না তো
--মিথ্যা বলবা না বলে দিলাম
--তোমার সাথে আর কোনো কথা নাই
--সরি আর খাব না
--যদি খাও
--তাহলে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকব এখানে
--সত্যি তো
--হ্যা সত্যি
--আচ্ছা মা কি করে জানলো
তোমার আমার ব্যাপারটা?
--হি হি হি। ছোট বেলা থেকে তোমার যার সাথে বিয়ে ঠিক করা সেটা আমি
--কিহহ!
--হি হি হি
--ওরে আল্লারে এ কি হুনি। মুই তো এক্কেরে পাগল হইয়্যা যামু
--হি হি হি
--চলো মোরা বিয়া কইরা ফেলি
--চুপ বেয়াদব।সব পরে
--আর কিতা কিতা গো
--ওই তোমারে কিন্তু ডিভোর্স দেবো
--ওই না না। আমি তোমায় ভালোবাসি
--ভালো করে বলো
--অনেক ভালোভাসি হবু বউ
--হি হি হি। আমিও ভালোবাসি তোমায় হবু জামাই
...হি হি হি.....★
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন