আজ আমার আর রিয়ার বিয়ে হলো । বিয়েটা
অবশ্য পরিবারের সম্মতিতে হয়েছে ।
বিয়ের আগে দুইজন দুজনকে দেখে
নিয়েছিলাম । সারাদিনের আনুষ্ঠানিকতা
সেরে বাসর রাতের অপেক্ষা । দূর সম্পর্কের
ভাবিরা জোর করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিল
। দেখলাম রিয়া ঘুমটা টেনে বসে আছে ।
আমার আসার শব্দে রিয়া কিছুটা নড়েচড়ে
বসলো । দরজা লাগিয়ে তার সামনে
যেতেই খাট থেমে নেমে মাথা নিচু করে
পায়ে ধরে সালাম করতে যাচ্ছিল । আমি
তার হাতের বাহু ধরে খাটে বসালাম ।
কিছুক্ষণ নিরবতা । তারপর রিয়াকে বললাম চল
দুরাকাত নামাজ পড়ে নেই । আল্লাহ যেন
আমাদের সাংসারিক জীবন কে একটি
জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেয় সেই
দোয়া করি ।
.
নামাজ শেষে সুখী জীবনের প্রত্যাশা করে
মোনাজাত করলাম । মোনাজাত শেষে রিয়া
আবার খাটে গিয়ে বসলো । আমি রিয়ার
মুখোমুখি বসলাম । রিয়া কে উদ্দেশ্য করে
বললাম, রিয়া আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে
চাই তুমি কি আমার কথা গুলো শুনবে ?
.
রিয়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানলো ।
.
দেখ গতকালকেও তুমি একজন যুবতী ছিলে
আজ তুমি আমার স্ত্রী । স্ত্রী শব্দটার
বিশালত্বটা অনেক বড় । অনেক দায়িত্ব
অনেক কর্তব্য এর মাঝে নিহিত । আমার মা
আছেন আমার বাবা আছেন । আছে আমার
ছোট ভাই এবং বোন । তুমি একটা জিনিস
লক্ষ্য করে দেখবে । একটা ক্লাসে যখন
একটি নতুন ছেলে ভর্তি হয় তখন কিন্তু সেই
ছেলেকে সহজে কেউ সাদরে গ্রহণ করে না ।
প্রথমত ছিলেটিকে অনেক প্রতিকূলতার
ভেতর দিয়ে যেতে হয় । তারপর আস্তে
আস্তে ক্লাসের সমস্ত ছেলে গুলো তার
বন্ধুতে পরিণত হয় । সংসার জীবনটাও তাই ।
.
এতদিন আমার মা-ই ছিল আমার সমস্ত
পৃথিবী । এখন তুমি এসেছ । অবশ্যই
তোমাকে ভালোবাসতে হবে । সেটা
ভালোবাসার অন্য ধারা, কিন্তু আমার মা
তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কে
প্রথমত মেনে নিতে পারবে না । তার
মাঝে এই প্রশ্নটাই খেলা করবে । আঠাশ
বছরের লালিত সন্তানটা কে বউ এসে বোধ
হয় দখল করে নিল । সে তোমাকে
প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে পারে কিন্তু তুমি সে
সুযোগ তাকে দিবে না । নিজের মায়ের
মতো ভালোবাসবে আমার মাকে । কখনোই
কথার প্রতিউত্তর করবে না । তর্ক করা কোন
মা পছন্দ করেন না । যখন সে তোমার
ব্যবহারে তোমাকে ভালোবাসা শুরু করবে
তখন তুমিই তাতে ভালোবাসা দিয়ে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ।
.
আমার বাবা বৃদ্ধ মানুষ, সে তোমার জন্য
কোন সমস্যার কারণ হবে না । শুধু একটু আদর
আর যত্ন নিলেই দেখবে তোমাকে মেয়ের
মত ভালোবেসে ফেলছেন । যখন সকালে
পেপার পড়তে বসে তখন শুধু এক কাপ চা করে
দিও দেখবে তুমি তার কাছে লক্ষ্মী বউ হয়ে
গেছ।
.
আমাকে তোমার ভালবাসতে হবে না ।
তুমি আমার পরিবারটা কে ভালোবেস
তবেই আমি তোমার ভালোবাসা পেয়ে যাব
। আর আমি যখন দেখব আমার মা বাবা তোমার প্রতি সন্তুষ্ট তখন
আমার ভালোবাসা সাতটা পৃথিবী থেকেও
বিশাল কিছু হবে তোমার জন্য ।
.
এবার বল রিয়া তুমি কি আমাকে কিছু বলতে
চাও ?
.
রিয়া চোখ তুলে তাকালো । যেন চোখে
শিশির কনা জমে আছে এক্ষুনি টুপ করে পরে
যাবে । নিজেকে সামলে নিয়ে রিয়া বলতে
লাগলো ।
.
হ্যাঁ আমি কিছু বলতে চাই, সেটা হলো আমি
আপনার পা ছুঁয়ে একটু সালাম করতে চাই ।
আমি খুব ভাগ্যবতী । তাই হয়তো আপনার
মতো একজন মানুষ কে স্বামী হিসেবে
পেয়েছি ।
.
না রিয়া, আমি বরং ভাগ্যবান তোমার মতো
একজন স্ত্রী পেয়েছি । যে স্ত্রী, স্বামীর
কথা শুনার পর জলে চোখ অশ্রু সিক্ত হয় সে
আর যাই হোক কখনোই খারাপ হতে পারে
না ।
:::::::::::
দুটো মানব মানবি হাতে হাত ধরে বসে
আছে । চোখে তাদের এক নতুন জীবনের
স্বপ্ন । নতুন স্বর্গের হাত ছানি । সেই স্বর্গ
অবশ্যই পূত এবং পবিত্র । সেই স্বর্গে কোন
ধরনের পঙ্কিলতা নেই । নেই কোন
অশ্লীলতা ।
অবশ্য পরিবারের সম্মতিতে হয়েছে ।
বিয়ের আগে দুইজন দুজনকে দেখে
নিয়েছিলাম । সারাদিনের আনুষ্ঠানিকতা
সেরে বাসর রাতের অপেক্ষা । দূর সম্পর্কের
ভাবিরা জোর করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিল
। দেখলাম রিয়া ঘুমটা টেনে বসে আছে ।
আমার আসার শব্দে রিয়া কিছুটা নড়েচড়ে
বসলো । দরজা লাগিয়ে তার সামনে
যেতেই খাট থেমে নেমে মাথা নিচু করে
পায়ে ধরে সালাম করতে যাচ্ছিল । আমি
তার হাতের বাহু ধরে খাটে বসালাম ।
কিছুক্ষণ নিরবতা । তারপর রিয়াকে বললাম চল
দুরাকাত নামাজ পড়ে নেই । আল্লাহ যেন
আমাদের সাংসারিক জীবন কে একটি
জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেয় সেই
দোয়া করি ।
.
নামাজ শেষে সুখী জীবনের প্রত্যাশা করে
মোনাজাত করলাম । মোনাজাত শেষে রিয়া
আবার খাটে গিয়ে বসলো । আমি রিয়ার
মুখোমুখি বসলাম । রিয়া কে উদ্দেশ্য করে
বললাম, রিয়া আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে
চাই তুমি কি আমার কথা গুলো শুনবে ?
.
রিয়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানলো ।
.
দেখ গতকালকেও তুমি একজন যুবতী ছিলে
আজ তুমি আমার স্ত্রী । স্ত্রী শব্দটার
বিশালত্বটা অনেক বড় । অনেক দায়িত্ব
অনেক কর্তব্য এর মাঝে নিহিত । আমার মা
আছেন আমার বাবা আছেন । আছে আমার
ছোট ভাই এবং বোন । তুমি একটা জিনিস
লক্ষ্য করে দেখবে । একটা ক্লাসে যখন
একটি নতুন ছেলে ভর্তি হয় তখন কিন্তু সেই
ছেলেকে সহজে কেউ সাদরে গ্রহণ করে না ।
প্রথমত ছিলেটিকে অনেক প্রতিকূলতার
ভেতর দিয়ে যেতে হয় । তারপর আস্তে
আস্তে ক্লাসের সমস্ত ছেলে গুলো তার
বন্ধুতে পরিণত হয় । সংসার জীবনটাও তাই ।
.
এতদিন আমার মা-ই ছিল আমার সমস্ত
পৃথিবী । এখন তুমি এসেছ । অবশ্যই
তোমাকে ভালোবাসতে হবে । সেটা
ভালোবাসার অন্য ধারা, কিন্তু আমার মা
তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কে
প্রথমত মেনে নিতে পারবে না । তার
মাঝে এই প্রশ্নটাই খেলা করবে । আঠাশ
বছরের লালিত সন্তানটা কে বউ এসে বোধ
হয় দখল করে নিল । সে তোমাকে
প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে পারে কিন্তু তুমি সে
সুযোগ তাকে দিবে না । নিজের মায়ের
মতো ভালোবাসবে আমার মাকে । কখনোই
কথার প্রতিউত্তর করবে না । তর্ক করা কোন
মা পছন্দ করেন না । যখন সে তোমার
ব্যবহারে তোমাকে ভালোবাসা শুরু করবে
তখন তুমিই তাতে ভালোবাসা দিয়ে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ।
.
আমার বাবা বৃদ্ধ মানুষ, সে তোমার জন্য
কোন সমস্যার কারণ হবে না । শুধু একটু আদর
আর যত্ন নিলেই দেখবে তোমাকে মেয়ের
মত ভালোবেসে ফেলছেন । যখন সকালে
পেপার পড়তে বসে তখন শুধু এক কাপ চা করে
দিও দেখবে তুমি তার কাছে লক্ষ্মী বউ হয়ে
গেছ।
.
আমাকে তোমার ভালবাসতে হবে না ।
তুমি আমার পরিবারটা কে ভালোবেস
তবেই আমি তোমার ভালোবাসা পেয়ে যাব
। আর আমি যখন দেখব আমার মা বাবা তোমার প্রতি সন্তুষ্ট তখন
আমার ভালোবাসা সাতটা পৃথিবী থেকেও
বিশাল কিছু হবে তোমার জন্য ।
.
এবার বল রিয়া তুমি কি আমাকে কিছু বলতে
চাও ?
.
রিয়া চোখ তুলে তাকালো । যেন চোখে
শিশির কনা জমে আছে এক্ষুনি টুপ করে পরে
যাবে । নিজেকে সামলে নিয়ে রিয়া বলতে
লাগলো ।
.
হ্যাঁ আমি কিছু বলতে চাই, সেটা হলো আমি
আপনার পা ছুঁয়ে একটু সালাম করতে চাই ।
আমি খুব ভাগ্যবতী । তাই হয়তো আপনার
মতো একজন মানুষ কে স্বামী হিসেবে
পেয়েছি ।
.
না রিয়া, আমি বরং ভাগ্যবান তোমার মতো
একজন স্ত্রী পেয়েছি । যে স্ত্রী, স্বামীর
কথা শুনার পর জলে চোখ অশ্রু সিক্ত হয় সে
আর যাই হোক কখনোই খারাপ হতে পারে
না ।
:::::::::::
দুটো মানব মানবি হাতে হাত ধরে বসে
আছে । চোখে তাদের এক নতুন জীবনের
স্বপ্ন । নতুন স্বর্গের হাত ছানি । সেই স্বর্গ
অবশ্যই পূত এবং পবিত্র । সেই স্বর্গে কোন
ধরনের পঙ্কিলতা নেই । নেই কোন
অশ্লীলতা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন