অনলি বন্ধু-বান্ধব ইজ রিয়াল। মানে বন্ধু বান্ধব ছাড়া আমার জীবন পুরা কানা। অলটাইম বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা আমার অভ্যাস। স্কুলে যতক্ষন আছি ততক্ষনই আড্ডা আর ফাজলামোর মধ্যে আমার দিন কাটে। এমনকি টিচারও আমাকে বলে সাইফুল তুমি অনেক দুষ্টু। এরকমই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবার মূহুর্তে একজনকে দেখে আমার চোখ আটকে যায়।
.
তারিখটা ছিল ১১-১০-২০১৬ তারিখ। বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার সময় যেন নিজেকে অন্য গ্রহতে আছি মনে হতো। আড্ডা আমরা নিচে বসে দিতাম। আসলে আমাদের ক্লাসটি ছিল দোতালাতে তাই আমরা নিচ তলায় বসে আড্ডা দিতাম আর তখন ক্লাসও শুরু হয়নি। যাই হোক আড্ডা দিতে দিতে আমার একটা কথা মনে পরে গেছে। আসলে আমার এক বন্ধু নতুন কম্পিউটার কিনছিল তাই ও আমার কাছে কিছু গান চাইছিল আর গান আমি আমার পেনড্রাইভে রাখছিলাম। নতুন কম্পিউটার কিনছিল তো তাই সায়েম আজ স্কুলে আসবে না। ওহ কম্পিউটার সায়েম কিনছিল। যাই হোক হঠাৎ সায়েম এসে বলল “মামা পেনড্রাইভটা দে।”
.
কি আর করা। আমিও পেনড্রাইভ আনতে ক্লাসে গেলাম। কারণ পেনড্রাইভ আমার ব্যাগে ছিল। আগেই বলেছিলাম আমাদের ক্লাসরুম দোতালাতে। তাই সিড়ি বেয়ে উঠতে হবে। যখন আমি সিড়ি বেয়ে উঠতে ছিলাম তখন ঘটল অঘটন। ধাপাস করে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খাইছি। প্রথমে মনে করছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছি। কারণ আমি নিচের দিকে তাকিয়ে গান গাইতে গাইতে উঠতে ছিলাম। ভাবছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছি। কিন্তু আমার ধারণা সম্পূর্ন ভুল। দেখলাম একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা। মাথায় ওড়না দিয়ে বাধা। চিকনা মেয়ে। কাজল কালো চোখ। গোলাপি ঠোট। অপরূপ সৌন্দর্যে রূপবতি মেয়েটা। এক কথায় বলতে আমি পুরা ক্রাশ। ধাক্কা খাওয়ার পর বললাম
.
আমিঃ- দুঃখিত। আসলে আমি আপনাকে দেখতে পাইনি।
সেঃ-দেখতে পাননি মানে কি? আপনি কানা নাকি?
আমিঃ- দেখেন আমি তো সরি বলছি। আমাকে এই উল্টা পাল্টা কথা না বললেই ভালো হত।
সেঃ- তাহলে আপনাকে কি বলব? কি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে ছিলেন নাকি যে দেখতে পারেন নি?
আমিঃ- আকাশ না। মাটির দিকে তাকিয়ে হাটতে ছিলাম তাই দেখতে পারিনি।
সেঃ- হমমমমম, বুঝলাম।
আমিঃ- আচ্ছা আসি।
সেঃ- আসি মানে। ওই তুই কই যাও? আমার ব্যাগ উঠাবে কে? আমার নানায়?
আমিঃ- দেখেন আমি আপনাকে চিনিনা আর আপনিও আমাকে চিনেন না। তবুও তুই তুকারি ব্যবহার করতেছেন কেন?
সেঃ- আগে আমার ব্যাগ উঠান।
আমিঃ- এই নেন আপনার ব্যাগ। এবার আমি গেলাম।
সেঃ- ওই দাড়ান।
আমিঃ- আপাতত বয়রা হয়ে গেছি। কানে কিছু শুনি না। পড়ে শুনব আপু। আমি গেলাম বাই।
.
উফফফফফ বাচা গেল। অবশেষে পেনড্রাইভটা সায়েমের কাছে বন্ধুদের সাথে আবার ক্লাসে আসলাম। আসলে তখন ক্লাস শুরু হবার সময় হয়ে গেছে তাই ক্লাস আসতে হল। ক্লাসে এসে একটু ধমকে গেলাম। কারণ আমাদের বেন্ঞ আর মেয়েদের বেন্ঞ প্র্রাই পাশাপাশি। আর আমি একেবারে পাশে বসেছি। আর আমার পাশে ওই মেয়েটার ব্যাগ। প্রথমে বুঝলাম ওই মেয়েটার ব্যাগ। পরে আবার চিন্তা করলাম নাহ ওই মেয়েটা আমাদের ক্লাসে আসবে কিভাবে। হয়তবা ওইটা বিথির ব্যাগ।
.
কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনাই সব ব্যার্থ হয়ে গেল। কারণ ওইটা আর কারো ব্যাগ ছিল না। ওই মেয়েটারই ব্যাগ ছিল। আর দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাওয়ার বলছিলাম কারণ মেয়েটা আমার মতন চিকন ছিল। তাই মনে করছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছিলাম। সে যাই হোক। অবশেষে ক্লাস শুরু হলো।
.
স্যারে অংক করতে দিছে। লিখতেছি লিখতেছি হঠাৎ মাথা গরম হয়ে গেছে। কারণ কলমে সাদা কালি পড়া শুরু করে দিয়েছে। মেজাজ গরম হওয়ার কারণে বলেই ফেললাম “ধুর ঝামেলা কলমে সাদা কালি পড়ার আর সময় পেল না।” হঠাৎ মেয়েটি বলে উঠল,
সেঃ- এই যে মিষ্টার।
আমিঃ- জ্বি বলুন সিষ্টার। এই রে সিষ্টার বলা মনে হয় ঠিক হয়নি(মনে মনে বললাম।)
সেঃ- কি মেজাজ গরম কেন?
আমিঃ- দেখতেছেন না কলমে সাদা কালি পরতেছে।
সেঃ- আমার কাছে এক্সর্টা কলম আছে। চাইলে নিতে পারো।
আমিঃ- দিলে খুশি হতাম মহাআজ্ঞা।
সেঃ- এই নাও।
.
মেয়েটার সাথে কথা বলার সময় একটু শক খাইলাম। কারণ মেয়েটার ভয়েসটা অনেক সুন্দর। আর যে মেয়েটার সাথে আমার আজ সকালেও ঝগড়া হল সে কিনা আমাকে তুমি তুমি করে বলছে। আমাকে একটু একটু করে ভাবাচ্ছে। ক্লাস শেষ।
.
মাথায় হঠাৎ শয়তানি বুদ্ধি ঘুরতেছে। চিন্তা করলাম। আবার টাকা নষ্ট করে কলম কিনবে কে। তার চেয়ে বরং এটা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাই। এবার মেয়েটাকে বললাম ধন্যবাদ। মেয়েটিও বলল ওয়েলকাম।
.
দিলাম মেয়েটার কলম খেয়ে। আমি যেহেতু আগেই বলেছিলাম ফাজলামো করা হচ্ছে আমার পেশা। তাই এইটা আমার করা।
.
টিফিন সময়। হঠাৎ পিছন থেকে কারো “ওই ওই” করে ডাক শুনলাম। দাড়িয়ে একটু ভাবলাম আমার পরিচিত কারো কন্ঠ কিনা এবং আমাকে ডাকছে কিনা। কিন্তু না। তাই আবার হাটা শুরু করলাম। আবার ডাক দিলো “ওই?।” এইবার পিছনে ফিরলাম এবং দেখলাম যে সেই মেয়েটিই আমাকে ডাকছে।
.
তারিখটা ছিল ১১-১০-২০১৬ তারিখ। বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার সময় যেন নিজেকে অন্য গ্রহতে আছি মনে হতো। আড্ডা আমরা নিচে বসে দিতাম। আসলে আমাদের ক্লাসটি ছিল দোতালাতে তাই আমরা নিচ তলায় বসে আড্ডা দিতাম আর তখন ক্লাসও শুরু হয়নি। যাই হোক আড্ডা দিতে দিতে আমার একটা কথা মনে পরে গেছে। আসলে আমার এক বন্ধু নতুন কম্পিউটার কিনছিল তাই ও আমার কাছে কিছু গান চাইছিল আর গান আমি আমার পেনড্রাইভে রাখছিলাম। নতুন কম্পিউটার কিনছিল তো তাই সায়েম আজ স্কুলে আসবে না। ওহ কম্পিউটার সায়েম কিনছিল। যাই হোক হঠাৎ সায়েম এসে বলল “মামা পেনড্রাইভটা দে।”
.
কি আর করা। আমিও পেনড্রাইভ আনতে ক্লাসে গেলাম। কারণ পেনড্রাইভ আমার ব্যাগে ছিল। আগেই বলেছিলাম আমাদের ক্লাসরুম দোতালাতে। তাই সিড়ি বেয়ে উঠতে হবে। যখন আমি সিড়ি বেয়ে উঠতে ছিলাম তখন ঘটল অঘটন। ধাপাস করে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খাইছি। প্রথমে মনে করছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছি। কারণ আমি নিচের দিকে তাকিয়ে গান গাইতে গাইতে উঠতে ছিলাম। ভাবছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছি। কিন্তু আমার ধারণা সম্পূর্ন ভুল। দেখলাম একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা। মাথায় ওড়না দিয়ে বাধা। চিকনা মেয়ে। কাজল কালো চোখ। গোলাপি ঠোট। অপরূপ সৌন্দর্যে রূপবতি মেয়েটা। এক কথায় বলতে আমি পুরা ক্রাশ। ধাক্কা খাওয়ার পর বললাম
.
আমিঃ- দুঃখিত। আসলে আমি আপনাকে দেখতে পাইনি।
সেঃ-দেখতে পাননি মানে কি? আপনি কানা নাকি?
আমিঃ- দেখেন আমি তো সরি বলছি। আমাকে এই উল্টা পাল্টা কথা না বললেই ভালো হত।
সেঃ- তাহলে আপনাকে কি বলব? কি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে ছিলেন নাকি যে দেখতে পারেন নি?
আমিঃ- আকাশ না। মাটির দিকে তাকিয়ে হাটতে ছিলাম তাই দেখতে পারিনি।
সেঃ- হমমমমম, বুঝলাম।
আমিঃ- আচ্ছা আসি।
সেঃ- আসি মানে। ওই তুই কই যাও? আমার ব্যাগ উঠাবে কে? আমার নানায়?
আমিঃ- দেখেন আমি আপনাকে চিনিনা আর আপনিও আমাকে চিনেন না। তবুও তুই তুকারি ব্যবহার করতেছেন কেন?
সেঃ- আগে আমার ব্যাগ উঠান।
আমিঃ- এই নেন আপনার ব্যাগ। এবার আমি গেলাম।
সেঃ- ওই দাড়ান।
আমিঃ- আপাতত বয়রা হয়ে গেছি। কানে কিছু শুনি না। পড়ে শুনব আপু। আমি গেলাম বাই।
.
উফফফফফ বাচা গেল। অবশেষে পেনড্রাইভটা সায়েমের কাছে বন্ধুদের সাথে আবার ক্লাসে আসলাম। আসলে তখন ক্লাস শুরু হবার সময় হয়ে গেছে তাই ক্লাস আসতে হল। ক্লাসে এসে একটু ধমকে গেলাম। কারণ আমাদের বেন্ঞ আর মেয়েদের বেন্ঞ প্র্রাই পাশাপাশি। আর আমি একেবারে পাশে বসেছি। আর আমার পাশে ওই মেয়েটার ব্যাগ। প্রথমে বুঝলাম ওই মেয়েটার ব্যাগ। পরে আবার চিন্তা করলাম নাহ ওই মেয়েটা আমাদের ক্লাসে আসবে কিভাবে। হয়তবা ওইটা বিথির ব্যাগ।
.
কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনাই সব ব্যার্থ হয়ে গেল। কারণ ওইটা আর কারো ব্যাগ ছিল না। ওই মেয়েটারই ব্যাগ ছিল। আর দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাওয়ার বলছিলাম কারণ মেয়েটা আমার মতন চিকন ছিল। তাই মনে করছিলাম দেয়ালের সাথে ধাক্কা খাইছিলাম। সে যাই হোক। অবশেষে ক্লাস শুরু হলো।
.
স্যারে অংক করতে দিছে। লিখতেছি লিখতেছি হঠাৎ মাথা গরম হয়ে গেছে। কারণ কলমে সাদা কালি পড়া শুরু করে দিয়েছে। মেজাজ গরম হওয়ার কারণে বলেই ফেললাম “ধুর ঝামেলা কলমে সাদা কালি পড়ার আর সময় পেল না।” হঠাৎ মেয়েটি বলে উঠল,
সেঃ- এই যে মিষ্টার।
আমিঃ- জ্বি বলুন সিষ্টার। এই রে সিষ্টার বলা মনে হয় ঠিক হয়নি(মনে মনে বললাম।)
সেঃ- কি মেজাজ গরম কেন?
আমিঃ- দেখতেছেন না কলমে সাদা কালি পরতেছে।
সেঃ- আমার কাছে এক্সর্টা কলম আছে। চাইলে নিতে পারো।
আমিঃ- দিলে খুশি হতাম মহাআজ্ঞা।
সেঃ- এই নাও।
.
মেয়েটার সাথে কথা বলার সময় একটু শক খাইলাম। কারণ মেয়েটার ভয়েসটা অনেক সুন্দর। আর যে মেয়েটার সাথে আমার আজ সকালেও ঝগড়া হল সে কিনা আমাকে তুমি তুমি করে বলছে। আমাকে একটু একটু করে ভাবাচ্ছে। ক্লাস শেষ।
.
মাথায় হঠাৎ শয়তানি বুদ্ধি ঘুরতেছে। চিন্তা করলাম। আবার টাকা নষ্ট করে কলম কিনবে কে। তার চেয়ে বরং এটা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাই। এবার মেয়েটাকে বললাম ধন্যবাদ। মেয়েটিও বলল ওয়েলকাম।
.
দিলাম মেয়েটার কলম খেয়ে। আমি যেহেতু আগেই বলেছিলাম ফাজলামো করা হচ্ছে আমার পেশা। তাই এইটা আমার করা।
.
টিফিন সময়। হঠাৎ পিছন থেকে কারো “ওই ওই” করে ডাক শুনলাম। দাড়িয়ে একটু ভাবলাম আমার পরিচিত কারো কন্ঠ কিনা এবং আমাকে ডাকছে কিনা। কিন্তু না। তাই আবার হাটা শুরু করলাম। আবার ডাক দিলো “ওই?।” এইবার পিছনে ফিরলাম এবং দেখলাম যে সেই মেয়েটিই আমাকে ডাকছে।
.
চিন্তা করতে থাকলাম এই মেয়ে আমার নাম জানল কিভাবে? তাছাড়া যার সাথে আমার সকালেও ঝগড়া হয়েছে সে কিনা নিজেই ডাকছে বাহ বাহ। তাতে কি। আমারও মেয়েটাকে খুব পছন্দ হয়েছে। অবশেষে গেলাম মেয়েটির কাছে
.
আমিঃ- জ্বি বলুন আজ্ঞা?
সেঃ- কোথায় যাচ্ছ?
আমিঃ- আন্ডা খাইতে। যাবেন?
সেঃ- না তোমার ডিম তুমিই খাও।
আমিঃ- জ্বি ধন্যবাদ। এবার কি আমি যেতে পারি?
সেঃ- সরি।।
আমিঃ- কেন?
সেঃ- আসলে সকালের ব্যবহারের জন্য সরি।
আমিঃ- ওহহ। এইটা কোনো ব্যাপার না।
সেঃ- ধন্যবাদ।
আমিঃ- ওয়েলকিউ।
সেঃ- আমরা কি বন্ধু হতে পারি? যদি তুমি কিছু মনে না কর?
মনে মনে চিন্তা করলাম বন্ধু হলে তো ভালই হয়। মেয়েটিকেও আমার পছন্দ হইছে। বন্ধু হলে আমারই সুযোগ।
আমিঃ- ওকে আপু। এখন থেকে তাহলে আপনার আর আমার বন্ধুত্ব শুরু।
সেঃ- ওই তুই আমারে আপনি করে এবং আপু বলতেছো কেন?
আমিঃ- আরে আমি তো আপনার নামই জানি না। তো কি বলব।
সেঃ- ওহহহ। তাও ঠিক। আমার নাম জিনিয়া।
ওয়াও।।আমার জিএফ তো পছন্দ হইছেই সাথে নামটিও অস্থির।(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওই কি ভাবছ?
আমিঃ- না ভাবছি তো অনেক কিছুই। কিন্তু সব তো আর বলা যায় না।
জিনিয়াঃ- মানে?
আমিঃ- না থাক, বাদ দাও।
জিনিয়াঃ- আচ্ছা তোমার নামটাই তো জানা হলো না। তোমার নাম কি?
আমিঃ- বাবা মায়ের দেয়া নাম সাইফুল ইসলাম এবং বন্ধুদের দেয়া নাম স্টান্ট পাগল।
জিনিয়াঃ- তোমার বাবা মায়ের নামটা ঠিক আছে কিন্তু বন্ধুদের দেয়া নাম স্টন্ট পাগল। হা হা হা….তবে তোমার নামটি অনেক সুন্দর।
ওয়াওওও আমার পাখি তো আমার নামও পছন্দ করছে। এবার মনে হয় কপালে একটা জিএফ জুটল বলে।(মনে মনে বলতে থাকলাম আর হাসলাম)
জিনিয়াঃ- ওই পাগলের মতন হাসতেছো কেন?
আমিঃ- আমি একা একা কথা বলতে + হাসতে খুব পছন্দ করি
জিনিয়াঃ- হুম, বুঝতে পারছি পাগলের লক্ষন।
আমিঃ- এস ইউ উইশ।
জিনিয়াঃ- আমরা তো বন্ধুত্ব হয়েই গেলাম। আচ্ছা তুমি ফেসবুক চালাও?
আমিঃ- হুম, চালাই মাঝে মাঝে। গরীবের আবার ফেসবুক।
জিনিয়াঃ- আজিব, এতে আবার গরীব আসল কোথা থেকে?
আমিঃ- থাক, বাদ দাও।
জিনিয়াঃ- ওকে। আচ্ছা তোমার ফেসবুক আইডির নাম কি?
আমিঃ- বাংলায় সাইফুল ইসলাম, নিকনেইম শূন্য সাইফুল।
জিনিয়াঃ- শূন্য সাইফুল মানে?
আমিঃ- আমি আবার স্টান্ট পাগল। আর তা তো আমি তোমাকে আগেই বলছি যে আমার বন্ধুরা আমাকে স্টান্ট পাগল নাম দিছে। আর আমি প্রায় সময় সাইকেল শূন্যের উপর চালাই। তাই শূন্য সাইফুল।
জিনিয়াঃ- কি তুমি স্টান্ট করো?
আমিঃ- হমম, করি তো। কেন?
জিনিয়াঃ- তোমার ভয় করে না। যদি কখনো এক্সিডেন্ট করো?
আমিঃ- এই যে ম্যাডাম। আমি অনেক এক্সিডেন্ট করছি। এই তো কিছু দিন আগেই সাইকেল নিয়ে পরে গিয়ে হাতে ব্যথা পাইছি। কিন্তু কখনো স্টান্ট ছাড়িনি। এবং ইনশাআল্লাহ ছাড়বও না।
জিনিয়াঃ- আমি বললেও ছাড়বে না?
আমিঃ- আই এ্যাম সো সরি। না ছাড়ব না।
জিনিয়াঃ- ওকে তোমাকে ছাড়তে হবে না।
আমিঃ- ধন্যবাদ এবার আসি।
.
অবশেষে জিনিয়ার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে আসলাম। আল্লাহ আমারে বাচাইছো। এই মেয়ের পাল্লায় যে পরবে সে বুঝবে কত ধানে কত দিন। ওপসস!!! থু্ক্কু কত দিনে কত চাল হবে।
.
স্কুল ছুটি। বাসায় বসে বিন্দাস। সারাক্ষন শুধু ওর কথা মনে পরছে। স্টান্ট করতে যাই কিন্তু স্টান্টও করতে পারিনা। শুধু ওর চেহারাটি ভেষে উঠে আমার কাছে।
.
কিছুদিন এভাবেই কেটে গেল আমাদের।
চলতেছিল আমাদের বন্ধুত্ব। সারাক্ষন ফাজলামো নিয়ে মেতে থাকতাম। আর বন্ধুরা সব সময় বলত মামা ভাবিরে তারাতারি প্রোপজ করে ফেল। কিন্তু আমি সব সময় না বলতাম ওদের। এরই ভিতর জিনিয়াও আমার সাইকেল স্টান্টকে পছন্দ করে ফেলছে। আমার যেহেতু #MSVZ সব থেকে প্রিয় দল স্টান্ট গ্রুপদের মধ্যে। তাই জিনিয়ারও এখন প্রিয় দল MSVZ। এবং ও মাঝে মাঝে প্রায় সময় আমার সাইকেল থেকে স্টান্ট প্রাক্টিস করত।
.
এই রকম স্টান্ট নিয়ে আমরা দুজন মাতোয়ারা ছিলাম। এরই মধ্যে হঠাৎ জিনিয়া আমাকে বলে সাইফুল আজ তোকে একটা কথা বলব।
আমিঃ- বল কি বলবি?
জিনিয়াঃ- জানি না তুই কি রকম মাইন্ডে নিবি। তারপরও তুই যেহেতু আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু তাই কথাটা শুধু তোকেই বললাম।
আমিঃ- আরে ভাই কি বলবি সেইটা তো বল?
জিনিয়াঃ- আমি সাকিব কে ভালবাসি।
সাকিব হচ্ছে আমাদের থেকে এক ব্যাচ সিনিয়র। মাঝখানে সাকিব ওরে প্রোপজ করছিল কিন্তু তখন ও না করে দিয়েছিল। এখন আবার হ্যা বলে।
কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরল। তবুও নিজেকে সান্তনা দিয়ে রেখে বললাম
আমিঃ- বাহ। কংগ্রাচুলেশন। ট্রিট দিবি কোন সময়?(হাসি মুখ নিয়ে)
জিনিয়া অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে ওর ওই দুচোখ আমাকে কিছু বল চায় কিন্তু বলতে পারছে না।
জিনিয়াঃ- এই তো দেখি।(কিছুটা মন খারাপ করে।)
মনে মনে চিন্তা করলাম হঠাৎ মন খারাপ করল কেন? ধুর সে যাই হোক বাদ দেই।
.
সেদিন স্কুল থেকে চলে আসলাম। এরপর টানা এক সপ্তাহ স্কুলে যাইনি এবং ফেসবুকেও লগিন করেনি।
.
চিন্তা করতে থাকলাম এই মেয়ে আমার নাম জানল কিভাবে? তাছাড়া যার সাথে আমার সকালেও ঝগড়া হয়েছে সে কিনা নিজেই ডাকছে বাহ বাহ। তাতে কি। আমারও মেয়েটাকে খুব পছন্দ হয়েছে। অবশেষে গেলাম মেয়েটির কাছে
.
আমিঃ- জ্বি বলুন আজ্ঞা?
সেঃ- কোথায় যাচ্ছ?
আমিঃ- আন্ডা খাইতে। যাবেন?
সেঃ- না তোমার ডিম তুমিই খাও।
আমিঃ- জ্বি ধন্যবাদ। এবার কি আমি যেতে পারি?
সেঃ- সরি।।
আমিঃ- কেন?
সেঃ- আসলে সকালের ব্যবহারের জন্য সরি।
আমিঃ- ওহহ। এইটা কোনো ব্যাপার না।
সেঃ- ধন্যবাদ।
আমিঃ- ওয়েলকিউ।
সেঃ- আমরা কি বন্ধু হতে পারি? যদি তুমি কিছু মনে না কর?
মনে মনে চিন্তা করলাম বন্ধু হলে তো ভালই হয়। মেয়েটিকেও আমার পছন্দ হইছে। বন্ধু হলে আমারই সুযোগ।
আমিঃ- ওকে আপু। এখন থেকে তাহলে আপনার আর আমার বন্ধুত্ব শুরু।
সেঃ- ওই তুই আমারে আপনি করে এবং আপু বলতেছো কেন?
আমিঃ- আরে আমি তো আপনার নামই জানি না। তো কি বলব।
সেঃ- ওহহহ। তাও ঠিক। আমার নাম জিনিয়া।
ওয়াও।।আমার জিএফ তো পছন্দ হইছেই সাথে নামটিও অস্থির।(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওই কি ভাবছ?
আমিঃ- না ভাবছি তো অনেক কিছুই। কিন্তু সব তো আর বলা যায় না।
জিনিয়াঃ- মানে?
আমিঃ- না থাক, বাদ দাও।
জিনিয়াঃ- আচ্ছা তোমার নামটাই তো জানা হলো না। তোমার নাম কি?
আমিঃ- বাবা মায়ের দেয়া নাম সাইফুল ইসলাম এবং বন্ধুদের দেয়া নাম স্টান্ট পাগল।
জিনিয়াঃ- তোমার বাবা মায়ের নামটা ঠিক আছে কিন্তু বন্ধুদের দেয়া নাম স্টন্ট পাগল। হা হা হা….তবে তোমার নামটি অনেক সুন্দর।
ওয়াওওও আমার পাখি তো আমার নামও পছন্দ করছে। এবার মনে হয় কপালে একটা জিএফ জুটল বলে।(মনে মনে বলতে থাকলাম আর হাসলাম)
জিনিয়াঃ- ওই পাগলের মতন হাসতেছো কেন?
আমিঃ- আমি একা একা কথা বলতে + হাসতে খুব পছন্দ করি
জিনিয়াঃ- হুম, বুঝতে পারছি পাগলের লক্ষন।
আমিঃ- এস ইউ উইশ।
জিনিয়াঃ- আমরা তো বন্ধুত্ব হয়েই গেলাম। আচ্ছা তুমি ফেসবুক চালাও?
আমিঃ- হুম, চালাই মাঝে মাঝে। গরীবের আবার ফেসবুক।
জিনিয়াঃ- আজিব, এতে আবার গরীব আসল কোথা থেকে?
আমিঃ- থাক, বাদ দাও।
জিনিয়াঃ- ওকে। আচ্ছা তোমার ফেসবুক আইডির নাম কি?
আমিঃ- বাংলায় সাইফুল ইসলাম, নিকনেইম শূন্য সাইফুল।
জিনিয়াঃ- শূন্য সাইফুল মানে?
আমিঃ- আমি আবার স্টান্ট পাগল। আর তা তো আমি তোমাকে আগেই বলছি যে আমার বন্ধুরা আমাকে স্টান্ট পাগল নাম দিছে। আর আমি প্রায় সময় সাইকেল শূন্যের উপর চালাই। তাই শূন্য সাইফুল।
জিনিয়াঃ- কি তুমি স্টান্ট করো?
আমিঃ- হমম, করি তো। কেন?
জিনিয়াঃ- তোমার ভয় করে না। যদি কখনো এক্সিডেন্ট করো?
আমিঃ- এই যে ম্যাডাম। আমি অনেক এক্সিডেন্ট করছি। এই তো কিছু দিন আগেই সাইকেল নিয়ে পরে গিয়ে হাতে ব্যথা পাইছি। কিন্তু কখনো স্টান্ট ছাড়িনি। এবং ইনশাআল্লাহ ছাড়বও না।
জিনিয়াঃ- আমি বললেও ছাড়বে না?
আমিঃ- আই এ্যাম সো সরি। না ছাড়ব না।
জিনিয়াঃ- ওকে তোমাকে ছাড়তে হবে না।
আমিঃ- ধন্যবাদ এবার আসি।
.
অবশেষে জিনিয়ার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে আসলাম। আল্লাহ আমারে বাচাইছো। এই মেয়ের পাল্লায় যে পরবে সে বুঝবে কত ধানে কত দিন। ওপসস!!! থু্ক্কু কত দিনে কত চাল হবে।
.
স্কুল ছুটি। বাসায় বসে বিন্দাস। সারাক্ষন শুধু ওর কথা মনে পরছে। স্টান্ট করতে যাই কিন্তু স্টান্টও করতে পারিনা। শুধু ওর চেহারাটি ভেষে উঠে আমার কাছে।
.
কিছুদিন এভাবেই কেটে গেল আমাদের।
চলতেছিল আমাদের বন্ধুত্ব। সারাক্ষন ফাজলামো নিয়ে মেতে থাকতাম। আর বন্ধুরা সব সময় বলত মামা ভাবিরে তারাতারি প্রোপজ করে ফেল। কিন্তু আমি সব সময় না বলতাম ওদের। এরই ভিতর জিনিয়াও আমার সাইকেল স্টান্টকে পছন্দ করে ফেলছে। আমার যেহেতু #MSVZ সব থেকে প্রিয় দল স্টান্ট গ্রুপদের মধ্যে। তাই জিনিয়ারও এখন প্রিয় দল MSVZ। এবং ও মাঝে মাঝে প্রায় সময় আমার সাইকেল থেকে স্টান্ট প্রাক্টিস করত।
.
এই রকম স্টান্ট নিয়ে আমরা দুজন মাতোয়ারা ছিলাম। এরই মধ্যে হঠাৎ জিনিয়া আমাকে বলে সাইফুল আজ তোকে একটা কথা বলব।
আমিঃ- বল কি বলবি?
জিনিয়াঃ- জানি না তুই কি রকম মাইন্ডে নিবি। তারপরও তুই যেহেতু আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু তাই কথাটা শুধু তোকেই বললাম।
আমিঃ- আরে ভাই কি বলবি সেইটা তো বল?
জিনিয়াঃ- আমি সাকিব কে ভালবাসি।
সাকিব হচ্ছে আমাদের থেকে এক ব্যাচ সিনিয়র। মাঝখানে সাকিব ওরে প্রোপজ করছিল কিন্তু তখন ও না করে দিয়েছিল। এখন আবার হ্যা বলে।
কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরল। তবুও নিজেকে সান্তনা দিয়ে রেখে বললাম
আমিঃ- বাহ। কংগ্রাচুলেশন। ট্রিট দিবি কোন সময়?(হাসি মুখ নিয়ে)
জিনিয়া অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে ওর ওই দুচোখ আমাকে কিছু বল চায় কিন্তু বলতে পারছে না।
জিনিয়াঃ- এই তো দেখি।(কিছুটা মন খারাপ করে।)
মনে মনে চিন্তা করলাম হঠাৎ মন খারাপ করল কেন? ধুর সে যাই হোক বাদ দেই।
.
সেদিন স্কুল থেকে চলে আসলাম। এরপর টানা এক সপ্তাহ স্কুলে যাইনি এবং ফেসবুকেও লগিন করেনি।
.
দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর আজকে আবার স্কুলে গেলাম। ক্লাসে ঠুকতেই আবার সেই ধাক্কা। এবং ধাক্কাটা ওই জিনিয়ার সাথেই খেলাম। সরি বলার সাথে সাথে কানের নিচে ঠাসস করে কিছু পরার আওয়াজ পেলাম। প্রথমে ভাবছিলাম বাহিরে মনে হয় বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু না। দেখতে পারছি স্পষ্ট যে আকাশ নীল। একটু পর কানের নিচে ব্যথা অনুভব করলাম। তারপর জিনিয়া একটা ধাক্কা দিল। অবশেষে বুঝতে আর বাকি রইল না শব্দটি কিসের। এরপর শুরু কাহিনী।
.
জিনিয়াঃ- ওই তুই এই এক সপ্তাহ স্কুলে আসিসনি কেন?
আমিঃ- অসুস্থ ছিলাম তাই।(পুরাই চাপা)
জিনিয়াঃ- তুই যে অসুস্থ ছিলি না তা আমি ভাল করেই জানি। তোর দিকে খোজ রেখেছি সব সময়। আর ফেসবুকে লগিন করোনি কেন? তুই জানস তোরে আমি ১০০ এর উপর ম্যাসেজ দিছি।
আমিঃ- এমবি ছিল না তাই লগিন করি নাই।
আমার এমবি থাকাও যা না থাকাও তা কারন আমি সব সময় ফ্রি ফেসবুক চালাই(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওহহ তাই। এখন তোমার এমবি শেষ। চালাও ফ্রি ফেসবুক আর বল এমবি নাই। চাপা বাদ দে।
এইরে মাইয়্যা আমার বিষয়ে এতো কিছু জানলে কেমনে। ধূর বিলা হইয়্যা গেলাম।( মনে মনে)
অবশেষে ক্লাস শুরু হল। টিফিন পিরিয়ডের সময়। আমি ক্লাসের বাহিরে ছিলাম। হঠাৎ একটা জিনিস দেখে আমি একটু ধমকে গেলাম। দেখলাম ক্লাস থেকে সবাই বের হয়ে গেছে শুধু জিনিয়া ছাড়া। একটুপর দেখলাম ইভা এসে আমাকে বলল দোস্ত যা..
আমিঃ- কই যামু? তোর শ্বশুড় বাড়ি?
ইভাঃ- না, তোর জমের বাড়ি। যা তোরে জিনিয়া ডাকতেছে।
আমিঃ- কেন?
ইভাঃ- আরে ভাউ তুই যা না প্লিজ।
আমিঃ- অকা, যাইতেছি।
.
প্রথমে বুকভরা সাহস নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার সাথে সাথে সাহস সব নিস্তে গেল। কেন যেন হাত পা সব ঠান্ডা হয়ে গেল এবং বুকটা লুঙ্গি ড্যান্স দিতেছে। যা আছে কপালে প্রবেশ করলাম ক্লাসে।
.
আমিঃ- ওই বান্দর জিনু। কি আমারে ডাকছো কেন? আর আমারে এমন কি কবি যে ক্লাস থেকে সবাইরে বের করে দিছ?
জিনিয়াঃ- আগে সত্যি করে একটা কথা বল তুই এই কটাদিন স্কুলে আসোনি কেন?
আমিঃ- এমনি। তাছাড়া কিছুদিন পর একটা স্টান্ট শো আছে সেইটার জন্য একটু প্রাকটিস করছি।
জিনিয়াঃ- তোর স্টান্ট শো আছে তা তুই আমাকে বললি না কেন?
আমিঃ- বলার সময় দিলে তো বলব। যেদিন তোকে বলতে এই স্টান্ট শো এবং আমার মনের কথা সেইদিনই তুই বলে দিলি তুই সাকিবকে ভালবাস। তাই আর বলিনি।
জিনিয়াঃ- আচ্ছা আমি সাকিবকে ভালবাসি তাতে তুই এতো জেলাস ফিল করতেছো কেন?
আমিঃ- বিকজ আমি তোকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসতাম
জিনিয়াঃ- ঠাসসসসসসসস।
কিছু একটা পরল আমার গালে মনে হলো। হ্যা ও আমাকে একটা থাপ্পর দিছে বুজতে পারলাম।
আমিঃ- ওই তুই আমাকে মারলি কেন?
জিনিয়াঃ- তুই আমাকে ভালবাসিস তা এতো দিন আমাকে বলিসনি কেন? তুই তো জানো না যে কটাদিন স্কুলে আসিসনি সে কটাদিন আমার কেমন গেছে তা কি তুই জানিস? জানবি কেমনে। তুই আমার খোজ খবরই রাখো না। সব খোজ তো আমিই রাখি।
এই মেয়ে হঠাৎ আমার খোজ খবর রাখা শুরু করল কেন। কিছু তো একটা আছে।(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওই কথা বলছিস না কেন?
আমিঃ- আচ্ছা তুই না সাকিবকে ভালবাস তাইলে আমার খোজ রাখো কেন? আমি এমন তোর কি হই?
জিনিয়াঃ- তুই আমার বিএফ আমার স্বামী সব হও।
আমিঃ- এ্য্য মানে?
জিনিয়াঃ- না মানে……
আমিঃ- তাইলে সাকিব?
জিনিয়াঃ- তোর সাকিবের….থাক বললাম না। তোকে আমি যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই তোকে কেমন যেন আমার ভাল লাগা শুরু করে দিয়েছে। সারাক্ষন তোকে ছাড়া কিছুই বুঝি না। আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম আমি তোকে ভালবেসে ফেলছি। শুভ তানভীর ওরা যখন আমাকে মজা করে ভাবি ডাকত তখন ডাকটি খুব ভাল লাগতো আমার। কিন্তু প্রকাশ করতাম না। শুধুই হাসতাম। আমি যে তোকে পছন্দ করি তা সবাই বুঝে গেছে শুধু তুই বুঝলি না।
আমিঃ- এইযে আপু আমি এখনো বাচ্চা তাই কোনো কথা ডিরেক্ট না বললে বুঝি না।
জিনিয়াঃ- ওরে আমার বাবু। আজ থেকে তুমি আমার বিএফ। আর এতো বাবু বাবু সাজা লাগবে না। তুমি যে কত বড় ফাজিল তা আমার চেয়ে কেহোই জানে না।
আমিঃ- হমমমম, বুঝলাম।
জিনিয়াঃ- কি বুঝলা?
আমিঃ- যা বুঝার বুঝেছি।
জিনিয়াঃ- না, বল তুমি কি বুঝছে।
আমিঃ- বুঝেছি যে তোমাকে হাতছাড়া করা যাবে না।
জিনিয়াঃ- বোঝার জন্য ধন্যবাদ।
আমিঃ- ওয়েলকিউ। আচ্ছা একটা কথা বলি?
জিনিয়াঃ- বল?
আমিঃ- ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড আমি কি তোমার হাতটি ধরতে পারি?
জিনিয়াঃ- ওই, তুমি না আমার বিএফ। তাহলে হাত ধরতে পারমিশন নিচ্ছো কেন।
আমিঃ- অকা। ধরে ফেললাম হাতটি।
জিনিয়াঃ- এই হাতটি ছেড়ে কখনো ছেড়ে চলে যাবে না তো?
আমিঃ- যতদিন এ দেহে প্রান আছে ততদিন এই হাতদুটো ধরেই বাচতে চাই।
.
জিনিয়া হাতটি আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। এরই ভিতর বন্ধুরা সবাই করতালির সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা অভিনন্দন করল।
শুরু হলো জীবনের এক নতুন অধ্যায়।
.
জিনিয়াঃ- ওই তুই এই এক সপ্তাহ স্কুলে আসিসনি কেন?
আমিঃ- অসুস্থ ছিলাম তাই।(পুরাই চাপা)
জিনিয়াঃ- তুই যে অসুস্থ ছিলি না তা আমি ভাল করেই জানি। তোর দিকে খোজ রেখেছি সব সময়। আর ফেসবুকে লগিন করোনি কেন? তুই জানস তোরে আমি ১০০ এর উপর ম্যাসেজ দিছি।
আমিঃ- এমবি ছিল না তাই লগিন করি নাই।
আমার এমবি থাকাও যা না থাকাও তা কারন আমি সব সময় ফ্রি ফেসবুক চালাই(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওহহ তাই। এখন তোমার এমবি শেষ। চালাও ফ্রি ফেসবুক আর বল এমবি নাই। চাপা বাদ দে।
এইরে মাইয়্যা আমার বিষয়ে এতো কিছু জানলে কেমনে। ধূর বিলা হইয়্যা গেলাম।( মনে মনে)
অবশেষে ক্লাস শুরু হল। টিফিন পিরিয়ডের সময়। আমি ক্লাসের বাহিরে ছিলাম। হঠাৎ একটা জিনিস দেখে আমি একটু ধমকে গেলাম। দেখলাম ক্লাস থেকে সবাই বের হয়ে গেছে শুধু জিনিয়া ছাড়া। একটুপর দেখলাম ইভা এসে আমাকে বলল দোস্ত যা..
আমিঃ- কই যামু? তোর শ্বশুড় বাড়ি?
ইভাঃ- না, তোর জমের বাড়ি। যা তোরে জিনিয়া ডাকতেছে।
আমিঃ- কেন?
ইভাঃ- আরে ভাউ তুই যা না প্লিজ।
আমিঃ- অকা, যাইতেছি।
.
প্রথমে বুকভরা সাহস নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার সাথে সাথে সাহস সব নিস্তে গেল। কেন যেন হাত পা সব ঠান্ডা হয়ে গেল এবং বুকটা লুঙ্গি ড্যান্স দিতেছে। যা আছে কপালে প্রবেশ করলাম ক্লাসে।
.
আমিঃ- ওই বান্দর জিনু। কি আমারে ডাকছো কেন? আর আমারে এমন কি কবি যে ক্লাস থেকে সবাইরে বের করে দিছ?
জিনিয়াঃ- আগে সত্যি করে একটা কথা বল তুই এই কটাদিন স্কুলে আসোনি কেন?
আমিঃ- এমনি। তাছাড়া কিছুদিন পর একটা স্টান্ট শো আছে সেইটার জন্য একটু প্রাকটিস করছি।
জিনিয়াঃ- তোর স্টান্ট শো আছে তা তুই আমাকে বললি না কেন?
আমিঃ- বলার সময় দিলে তো বলব। যেদিন তোকে বলতে এই স্টান্ট শো এবং আমার মনের কথা সেইদিনই তুই বলে দিলি তুই সাকিবকে ভালবাস। তাই আর বলিনি।
জিনিয়াঃ- আচ্ছা আমি সাকিবকে ভালবাসি তাতে তুই এতো জেলাস ফিল করতেছো কেন?
আমিঃ- বিকজ আমি তোকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসতাম
জিনিয়াঃ- ঠাসসসসসসসস।
কিছু একটা পরল আমার গালে মনে হলো। হ্যা ও আমাকে একটা থাপ্পর দিছে বুজতে পারলাম।
আমিঃ- ওই তুই আমাকে মারলি কেন?
জিনিয়াঃ- তুই আমাকে ভালবাসিস তা এতো দিন আমাকে বলিসনি কেন? তুই তো জানো না যে কটাদিন স্কুলে আসিসনি সে কটাদিন আমার কেমন গেছে তা কি তুই জানিস? জানবি কেমনে। তুই আমার খোজ খবরই রাখো না। সব খোজ তো আমিই রাখি।
এই মেয়ে হঠাৎ আমার খোজ খবর রাখা শুরু করল কেন। কিছু তো একটা আছে।(মনে মনে বললাম)
জিনিয়াঃ- ওই কথা বলছিস না কেন?
আমিঃ- আচ্ছা তুই না সাকিবকে ভালবাস তাইলে আমার খোজ রাখো কেন? আমি এমন তোর কি হই?
জিনিয়াঃ- তুই আমার বিএফ আমার স্বামী সব হও।
আমিঃ- এ্য্য মানে?
জিনিয়াঃ- না মানে……
আমিঃ- তাইলে সাকিব?
জিনিয়াঃ- তোর সাকিবের….থাক বললাম না। তোকে আমি যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই তোকে কেমন যেন আমার ভাল লাগা শুরু করে দিয়েছে। সারাক্ষন তোকে ছাড়া কিছুই বুঝি না। আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম আমি তোকে ভালবেসে ফেলছি। শুভ তানভীর ওরা যখন আমাকে মজা করে ভাবি ডাকত তখন ডাকটি খুব ভাল লাগতো আমার। কিন্তু প্রকাশ করতাম না। শুধুই হাসতাম। আমি যে তোকে পছন্দ করি তা সবাই বুঝে গেছে শুধু তুই বুঝলি না।
আমিঃ- এইযে আপু আমি এখনো বাচ্চা তাই কোনো কথা ডিরেক্ট না বললে বুঝি না।
জিনিয়াঃ- ওরে আমার বাবু। আজ থেকে তুমি আমার বিএফ। আর এতো বাবু বাবু সাজা লাগবে না। তুমি যে কত বড় ফাজিল তা আমার চেয়ে কেহোই জানে না।
আমিঃ- হমমমম, বুঝলাম।
জিনিয়াঃ- কি বুঝলা?
আমিঃ- যা বুঝার বুঝেছি।
জিনিয়াঃ- না, বল তুমি কি বুঝছে।
আমিঃ- বুঝেছি যে তোমাকে হাতছাড়া করা যাবে না।
জিনিয়াঃ- বোঝার জন্য ধন্যবাদ।
আমিঃ- ওয়েলকিউ। আচ্ছা একটা কথা বলি?
জিনিয়াঃ- বল?
আমিঃ- ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড আমি কি তোমার হাতটি ধরতে পারি?
জিনিয়াঃ- ওই, তুমি না আমার বিএফ। তাহলে হাত ধরতে পারমিশন নিচ্ছো কেন।
আমিঃ- অকা। ধরে ফেললাম হাতটি।
জিনিয়াঃ- এই হাতটি ছেড়ে কখনো ছেড়ে চলে যাবে না তো?
আমিঃ- যতদিন এ দেহে প্রান আছে ততদিন এই হাতদুটো ধরেই বাচতে চাই।
.
জিনিয়া হাতটি আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। এরই ভিতর বন্ধুরা সবাই করতালির সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা অভিনন্দন করল।
শুরু হলো জীবনের এক নতুন অধ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন