আমি ফয়সাল। পড়াশোনা করি। এছাড়াও ফেসবুকে সামান্য লেখালেখি করি। সেই সুবাদে অনেকে আমার লিস্টে এড হয়েছে। তো একদিন দেখলাম একটা মেয়ে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। প্রথম দিকে সবাইকে এক্সেপ্ট করতাম। তাই তাকেও করে নিয়েছিলাম। একদিন তার পোস্ট পাই। আমি কমেন্ট করেছিলাম একটা খুত ধরে। মেয়েটা রিপ্লে দিয়েছিলো অই আম্মু বলে। বুঝে ছিলাম মেয়েটা আম্মু ভক্ত। তার প্রোফাইল চেক করার জন্য ঢুকলাম। ভেতরে অনেক পোস্ট আছে। মেয়েটা প্রতি ৬ ঘন্টায় ২-৪ টা পোস্ট দিতো। হটাৎ একটা ছবি দেখে আমার হার্ট বীট বেরে যায়। ছবিটা মেয়েটির চোখের। এই চোখ তো আমার বহু চেনা।
.
মেঘা আর আমি ছোট বেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমি ওকে ক্লাস ৯ থেকে ভালোবাসতাম। কিন্তু ভয়ে ওকে বলতে পারি নি। কিন্তু সেই না বলতে পারাটাও জেনো কাল হয়ে দারালো। ১০ এ উঠার পর তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। আমি কিছুই করতে পারি নি। ১ম কারণ আমি ছোট। ২য় কারণ ওরা গরিব। ৩য় কারণ আমরা মধ্যবিত্ত। সব মিলেয়ে আমার বেহাল দশা। আমি বুকে পাথর বেধে তার ভালোবাসা দেখেছিলাম। বিয়ের কবুল বলার আগে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আমি তার চোখে পানি দেখেছিলাম। সেই দিন খুব ভালোকরে তার চোখ দেখেছিলাম। আর তার অশ্রু কিসের ছিলো ভালোবাসার না অন্য কিছুর তা আজও বুঝতে পারি নি।
.
হ্যা মেঘার চোখের মতো ছিলো ওই মেয়েটার চোখ। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই তার চোখ দেখে। দুজন মানুষে চোখের এতো মিল কিভাবে হয় বুঝতে পারি নি। এই মেয়েটার নাম তন্নি। চোখ দেখার সাথে সাথে জেনো চোখটার প্রেমে পরে যাই। সে থেকে ওর প্রতিটি পোস্টের ক্ষুত ধরতাম। মেয়েটার সাথে ঝগড়া করতাম। তারপর একদিন আমিই তাকে ইনবক্স করলাম।
.
ফয়সাল: হোলা।
.
তন্নি:.......?
.
ফয়সাল: না কিছুনা। বাই। পড়ে ঝগড়া করবো।
.
তন্নি: ওকে।
.
পরের দিন আমিই ম্যাসেজ করলাম।
.
ফয়সাল: ফ্রি আছেন।
.
তন্নি: হুম কেনো।
.
ফয়সাল: ঝগড়া করবো।
.
তন্নি: ও। আমারো করতে খুব ইচ্ছে করছে।
.
অতএব কি নিয়ে ঝগড়া করা যায় তা আলোচনা করা শুরু করলাম। এভাবেই শুরু হয় আমাদের বন্ধুত্ব। তন্নির বাবা ছিলো না। তার মাই সব। আমরা একেওপরকে তুই বলে সম্বোধন করতাম। আমি আর তন্নি একই ক্লাসে পড়তাম। ভালোই চলতো আমাদের বন্ধুত্ব। সে আমাকে আর আমি তাকে ছবি দিয়েছিলাম। তার সাথে কথা বলে আমি মেঘার কথা কিছুটা ভুলে থাকতে পারি। এজন্য তার সাথে বেশি করে কথা বলতে চাই। কিন্তু সে একটু কথা কম বলতো। একদিন জানলাম কারণ। সে সোহেল রানা নামের ছেলেকে ভালোবাসতো। আর তার বিয়ে হয়ে গেছিলো। শুনে আমার হাসি পেয়েছিল। প্রেমের আগে ছেকা। এর কিছুদিন পর থেকে একটু কথা বলা কমিয়ে দেয় সে। আমি তাকে হারানোর ভয়ে সব জানিয়ে দেই। আমি আমার মনের সব কথা আমার আরেকটা আইডিএর অনলি মি দিয়ে পোস্ট করতাম। সেই আইডি তাকে দেই আর লগিন করতে বলি। তারপর আমি তাকে প্রোপজ করি। কিন্ত সে রিজেক্ট করে দেয়। বলে সোহেলকে ভালোবাসে। আর সোহেল বিবাহিত না।
.
আমি এবার পুরা পাগলের মতো হয়ে যেতে লাগলাম। এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রতি সপ্তাহে একটা করে তার নামের শব্দ লিখতাম। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। তাই আমার কাছে সার্জিক্যাল ব্লেড থাকতো। যেটা দিয়ে প্রথমে টি লেখি। এতে অতিরিক্ত ব্লিডিং এর ফলে মাথা ঘুরে পরে যাই। সকালে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে নিলাম। কারণ রক্ত জমাট বেধে শরীরে শক্তি ফিরে এসেছিলো। যার ফলে জ্ঞান ফিরে আসে। এর পর প্রতি সপ্তাহে একটা করে লেখতাম। আমিতো পাগলই হয়ে গেছিলাম। আমি সারাক্ষন ফুল সার্ট পরে থাকতাম যাতে লেখা কেউ দেখতে না পারে। শেষে আই লেখতে গিয়ে শিরার উপর টান লাগে। প্রচন্ড যন্ত্রনায় চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে আর কিছু মনে নাই। পরের দিন হাস্পাতাল আমার জ্ঞান ফিরে আসে। হাতে সিলাই দিতে হয়েছে। আম্মুকে দেখি পাশে বসে কাঁদছে। আমার খুব খারাপ লাগলো। আম্মু শেখানে শারিরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসা করালেন। ডাক্তারকে সব খুলে বলি। তিনি কিছু উপদেশ দেন। আমাকে সেগুলো পালন করা শুরু করতে বলেন।
.
এদিকে তন্নি আর সোহেলের রিলেশনে মন্দা চলছিলো। কারণ সোহেলের সাথে আরেকটা মেয়ের রিলেশন আছে। আর সেটা তন্নি জানতে পেরে যায়। সে তাদের সম্পর্ক ব্রেকাপ করে দেয়। সে তখন আমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারে। সে আমার লাইফে ফিরে আস্তে চায়। কিন্তু পারে না। কারণ ফেসবুকে ঢুকি না ১ মাসের বেশি। সীম টাও অফ করে রেখেছিলাম। সে আমার খবরটা পাই আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে। তখনোই রওনা দেয় সে। সে নেত্রকোনা থাকে। আর আমি নাটোর বহুদূর। সে সোজা হাস্পাতালে চলে আসে। অনেক কেঁদেছে মেয়েটা মেয়েটা চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। সে এসে আমাকে বললো সে নাকি আমাকে ভালোবাসে। আমিও আর না করি নি। সে সব আমার বাবা-মাকে জানিয়ে দেয়। তারা বলেন আমার জব হলেই তারা আমাদের বিয়ে দিবেন। তারা তন্নির মায়ের সাথে কথা বলেন ফোনে। তিনি রাজি। তন্নি তাকে আমার ছবি দেখিয়েছিলো।
.
আমি ডাক্তারের উপদেশ মতো আর তন্নির কেয়ারে আমি অল্প কিছু দিনে সুস্থ হয়ে উঠি। যতোদিন অসুস্থ ছিলাম তন্নিই আমার যত্ন আত্মি করেছে। আমাদের বাসায় থেকে গিয়েছিলো। এখনো খুব কেয়ার করে মেয়েটি।
.
ভালোই চলছে আমাদের ভালোবাসা। সবাই দোয়া করবেন যাতে সারাজীবন পাগলীটা আমাকে এই ভাবে ভালোবেসে যায়।
.
মেঘা আর আমি ছোট বেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমি ওকে ক্লাস ৯ থেকে ভালোবাসতাম। কিন্তু ভয়ে ওকে বলতে পারি নি। কিন্তু সেই না বলতে পারাটাও জেনো কাল হয়ে দারালো। ১০ এ উঠার পর তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। আমি কিছুই করতে পারি নি। ১ম কারণ আমি ছোট। ২য় কারণ ওরা গরিব। ৩য় কারণ আমরা মধ্যবিত্ত। সব মিলেয়ে আমার বেহাল দশা। আমি বুকে পাথর বেধে তার ভালোবাসা দেখেছিলাম। বিয়ের কবুল বলার আগে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আমি তার চোখে পানি দেখেছিলাম। সেই দিন খুব ভালোকরে তার চোখ দেখেছিলাম। আর তার অশ্রু কিসের ছিলো ভালোবাসার না অন্য কিছুর তা আজও বুঝতে পারি নি।
.
হ্যা মেঘার চোখের মতো ছিলো ওই মেয়েটার চোখ। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই তার চোখ দেখে। দুজন মানুষে চোখের এতো মিল কিভাবে হয় বুঝতে পারি নি। এই মেয়েটার নাম তন্নি। চোখ দেখার সাথে সাথে জেনো চোখটার প্রেমে পরে যাই। সে থেকে ওর প্রতিটি পোস্টের ক্ষুত ধরতাম। মেয়েটার সাথে ঝগড়া করতাম। তারপর একদিন আমিই তাকে ইনবক্স করলাম।
.
ফয়সাল: হোলা।
.
তন্নি:.......?
.
ফয়সাল: না কিছুনা। বাই। পড়ে ঝগড়া করবো।
.
তন্নি: ওকে।
.
পরের দিন আমিই ম্যাসেজ করলাম।
.
ফয়সাল: ফ্রি আছেন।
.
তন্নি: হুম কেনো।
.
ফয়সাল: ঝগড়া করবো।
.
তন্নি: ও। আমারো করতে খুব ইচ্ছে করছে।
.
অতএব কি নিয়ে ঝগড়া করা যায় তা আলোচনা করা শুরু করলাম। এভাবেই শুরু হয় আমাদের বন্ধুত্ব। তন্নির বাবা ছিলো না। তার মাই সব। আমরা একেওপরকে তুই বলে সম্বোধন করতাম। আমি আর তন্নি একই ক্লাসে পড়তাম। ভালোই চলতো আমাদের বন্ধুত্ব। সে আমাকে আর আমি তাকে ছবি দিয়েছিলাম। তার সাথে কথা বলে আমি মেঘার কথা কিছুটা ভুলে থাকতে পারি। এজন্য তার সাথে বেশি করে কথা বলতে চাই। কিন্তু সে একটু কথা কম বলতো। একদিন জানলাম কারণ। সে সোহেল রানা নামের ছেলেকে ভালোবাসতো। আর তার বিয়ে হয়ে গেছিলো। শুনে আমার হাসি পেয়েছিল। প্রেমের আগে ছেকা। এর কিছুদিন পর থেকে একটু কথা বলা কমিয়ে দেয় সে। আমি তাকে হারানোর ভয়ে সব জানিয়ে দেই। আমি আমার মনের সব কথা আমার আরেকটা আইডিএর অনলি মি দিয়ে পোস্ট করতাম। সেই আইডি তাকে দেই আর লগিন করতে বলি। তারপর আমি তাকে প্রোপজ করি। কিন্ত সে রিজেক্ট করে দেয়। বলে সোহেলকে ভালোবাসে। আর সোহেল বিবাহিত না।
.
আমি এবার পুরা পাগলের মতো হয়ে যেতে লাগলাম। এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রতি সপ্তাহে একটা করে তার নামের শব্দ লিখতাম। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। তাই আমার কাছে সার্জিক্যাল ব্লেড থাকতো। যেটা দিয়ে প্রথমে টি লেখি। এতে অতিরিক্ত ব্লিডিং এর ফলে মাথা ঘুরে পরে যাই। সকালে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে নিলাম। কারণ রক্ত জমাট বেধে শরীরে শক্তি ফিরে এসেছিলো। যার ফলে জ্ঞান ফিরে আসে। এর পর প্রতি সপ্তাহে একটা করে লেখতাম। আমিতো পাগলই হয়ে গেছিলাম। আমি সারাক্ষন ফুল সার্ট পরে থাকতাম যাতে লেখা কেউ দেখতে না পারে। শেষে আই লেখতে গিয়ে শিরার উপর টান লাগে। প্রচন্ড যন্ত্রনায় চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে আর কিছু মনে নাই। পরের দিন হাস্পাতাল আমার জ্ঞান ফিরে আসে। হাতে সিলাই দিতে হয়েছে। আম্মুকে দেখি পাশে বসে কাঁদছে। আমার খুব খারাপ লাগলো। আম্মু শেখানে শারিরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসা করালেন। ডাক্তারকে সব খুলে বলি। তিনি কিছু উপদেশ দেন। আমাকে সেগুলো পালন করা শুরু করতে বলেন।
.
এদিকে তন্নি আর সোহেলের রিলেশনে মন্দা চলছিলো। কারণ সোহেলের সাথে আরেকটা মেয়ের রিলেশন আছে। আর সেটা তন্নি জানতে পেরে যায়। সে তাদের সম্পর্ক ব্রেকাপ করে দেয়। সে তখন আমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারে। সে আমার লাইফে ফিরে আস্তে চায়। কিন্তু পারে না। কারণ ফেসবুকে ঢুকি না ১ মাসের বেশি। সীম টাও অফ করে রেখেছিলাম। সে আমার খবরটা পাই আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে। তখনোই রওনা দেয় সে। সে নেত্রকোনা থাকে। আর আমি নাটোর বহুদূর। সে সোজা হাস্পাতালে চলে আসে। অনেক কেঁদেছে মেয়েটা মেয়েটা চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। সে এসে আমাকে বললো সে নাকি আমাকে ভালোবাসে। আমিও আর না করি নি। সে সব আমার বাবা-মাকে জানিয়ে দেয়। তারা বলেন আমার জব হলেই তারা আমাদের বিয়ে দিবেন। তারা তন্নির মায়ের সাথে কথা বলেন ফোনে। তিনি রাজি। তন্নি তাকে আমার ছবি দেখিয়েছিলো।
.
আমি ডাক্তারের উপদেশ মতো আর তন্নির কেয়ারে আমি অল্প কিছু দিনে সুস্থ হয়ে উঠি। যতোদিন অসুস্থ ছিলাম তন্নিই আমার যত্ন আত্মি করেছে। আমাদের বাসায় থেকে গিয়েছিলো। এখনো খুব কেয়ার করে মেয়েটি।
.
ভালোই চলছে আমাদের ভালোবাসা। সবাই দোয়া করবেন যাতে সারাজীবন পাগলীটা আমাকে এই ভাবে ভালোবেসে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন