ক্লাসে ঢুকে দেখি অামার ফ্রেন্ড মাহিন মন খারাপ করে বসে অাছে। ব্যাগটা কাঁধ থেকে রেখে বেঞ্চে বসতে বসতে ওর পিঠে হালকা থাপ্পড় দিয়ে বললাম,
--কিরে মন খারাপ নাকি?
--না দোস্ত,এমনিই।
--কিছু লুকাচ্ছিস, বলে ফেল সমস্যা নেই। দেখি তরজন্য কিছু করতে পারি কিনা।
--দোস্ত,অামার গার্লফ্রেন্ড রিদিমাকে অাজকে বরপক্ষ দেখতে অাসবে। ওর বাবা জেনে গেছে অামাদের রিলেশনের ব্যাপারটা,তাই ওকে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
--হাহাহা,এটা নিয়ে মন খারাপ করার কি অাছে।
--শালা,অামার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অার অামি কি মন খারাপ না করে পার্টি দিমু?
--অারে শুন,ভালোবাসলে একটু কষ্ট করেই বিয়ে করতে হয়। ওরে নিয়া ভাইগা যা।
--নারে,অামার মা-বাবার বদনাম হবে। এমনিতেই বাবা একবার হার্ট এটাক করেছে। তবুও ভাবছি অার কোনো রাস্তা না পেলে পালাই যাইমু রিদিমারে নিয়া।
.
অামি ঠাস করে মাহিনের গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম, "শালা তর বাবা-মা তরে এতো কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছে তাদের মুখে চুলকানি মাখানোর জন্য? অার তুইতো প্রেম করেছিস,কোনো অন্যায়তো করিসনি ; তাইলে পালাইয়া চুরের মতো বিয়ে করবি কেন? রিদিমার এবং তর, দুজনের পরিবারের মতেই তদের বিয়ে হবে। অামার উপর ছেড়ে দে ব্যাপারটা। "
.
পরেরদিন অামি অার মাহিন রিদিমাদের বাড়িতে গেলাম। মাহিনকে বাহিরে দাঁড় করিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি রিদিমার বাবা সোফায় বসে চা খাচ্ছে অার পত্রিকা পড়ছে,
--অাসসালামুঅালাইকুম অাংকেল।
--ওয়ালাইকুম অাসসালাম,কে তুমি?
--অামাকে চিনবেননা অাংকেল। অাপনার সাথে একটু কথা বলতে এসেছি।
--অাচ্ছা বসো। বলো কি বলবে। অার তোমার বাবার নাম কি? থাকো কোথায়?
--অামি ঢাকা বনানীতে থাকি । ঢাকা সাউথএস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি এ করছি। বাবার নাম প্রফেসর কাউসার অাহমেদ।
--অারে কাউসার সাহেবের ছেলে তুমি?
(উনি একটু উত্তেজিত হয়ে পরলেন)
--জ্বী, চিনেন নাকি অাব্বুকে?
--অারে চিনি মানে। অামি যেই অফিসে চাকুরী করতাম,সেই অফিসের এসিসটেন্ট হেড তোমার বাবা। অামার অনেক সিনিয়র, তবুও অামাকে কখনো অবজ্ঞা করেনি,সবসময় ভাইয়ের মতো দেখতো । তা কেমন অাছেন কাউসার সাহেব? অার তুমি অামার এখানে?
(অামিতো পুরাই ফিদা । শেষ পর্যন্ত অাব্বুর পরিচিত লোকের কাছে অাসলাম উনার মেয়ের প্রেমের ব্যাপারে কথা বলতে
:-( )
--জ্বী অাংকেল অাব্বু ভালো অাছে। যা বলার সরাসরিই বলি। অাসলে অাংকেল অামার ফ্রেন্ড মাহিন ও অাপনার মেয়ে রিদিমা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। অাপনি হয়তো ব্যাপারটা জানেনও, তাই রিদিমার বিয়ে অন্য কোথাও দিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু অাংকেল অামার মনে হয় মাহিন অার রিদিমার বিয়ে হলে ওরা সুখিই হবে,কেননা দুজন দুজনকে অাসলেই অনেক ভালোবাসে। তাছাড়া মাহিনও অনেক ভাললো ছেলে,অামার সাথেই পড়ছে,,
ব্লা ব্লা ব্লা……………………..
.
অারো অনেককিছুই বললাম ; মাহিনের সম্পর্কে, তার ফ্যামিলি সম্পর্কে । অবশেষে রিদিমার বাবা বললো "অাচ্ছা, তোমার ফ্রেন্ডের বাবা-মাকে অাসতে বইলো। তোমার দিকে চেয়ে অামি অামার সিদ্ধান্ত বদলাবার চেষ্টা করবো। "
"অাচ্ছা অাংকেল,অাসি এখন"।
.
খুশি মনে সেখান থেকে বিদায় নিলাম। ভাবলাম মাহিনের বাবা-মাকে কালকেই পাঠিয়ে দেবো তারপর সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা অার হলোনা, মাহিনের বাবাকে রিদিমার বাবার কাছে অাসতে বলাতে উনি বলতেছেন রিদিমার বাবা উনার কাছে অাসতে।
পরলাম মহা ঝামেলায়,"ছেলের বাবা বলছে মেয়ের বাবা তার কাছে অাসতে ; অার মেয়ের বাবা বলছে ছেলের বাবা তার কাছে অাসতে।
.
অবশেষে এর কোনো সমাধান না পেয়ে অামার অাব্বুকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম (অামার অাব্বু অাম্মুও প্রেম করেই বিয়ে করেছিলো, তাই অাব্বুকে বুঝাতে কষ্ট হয়নি
:-P )
তারপর মাহিনের বাবা এবং রিদিমার বাবাকে বললাম অামাদের বাসায় অাসতে, অাব্বু তাদেরকে অাসতে বলেছে।
সবশেষে অাব্বু এই ঝামেলাটার পরিসমাপ্তি ঘটালো এবং বিয়ের দিন তারিখও ঠিক হলো।
.
১৩ই জানুয়ারি শুক্রবার ওদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দিন রিদিমা অামাকে বললো "শুভ ভাইয়া, অামাদেরতো বিয়ে দিয়ে দিলেন,অাপনি করবেন কবে? "
"যেদিন অামার স্বপ্নের রাজকুমারীকে খুজে পাবো, সেদিন থেকে ঠিক ১ বছর পর তাকে বিয়ে করবো। ঐ ১ বছর তার সাথে চুটিয়ে প্রেম করবো। দোয়া করো যাতে ঐ রাজকুমারীকে তাড়াতাড়ি পেয়ে যাই। "
--কিরে মন খারাপ নাকি?
--না দোস্ত,এমনিই।
--কিছু লুকাচ্ছিস, বলে ফেল সমস্যা নেই। দেখি তরজন্য কিছু করতে পারি কিনা।
--দোস্ত,অামার গার্লফ্রেন্ড রিদিমাকে অাজকে বরপক্ষ দেখতে অাসবে। ওর বাবা জেনে গেছে অামাদের রিলেশনের ব্যাপারটা,তাই ওকে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
--হাহাহা,এটা নিয়ে মন খারাপ করার কি অাছে।
--শালা,অামার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অার অামি কি মন খারাপ না করে পার্টি দিমু?
--অারে শুন,ভালোবাসলে একটু কষ্ট করেই বিয়ে করতে হয়। ওরে নিয়া ভাইগা যা।
--নারে,অামার মা-বাবার বদনাম হবে। এমনিতেই বাবা একবার হার্ট এটাক করেছে। তবুও ভাবছি অার কোনো রাস্তা না পেলে পালাই যাইমু রিদিমারে নিয়া।
.
অামি ঠাস করে মাহিনের গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম, "শালা তর বাবা-মা তরে এতো কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছে তাদের মুখে চুলকানি মাখানোর জন্য? অার তুইতো প্রেম করেছিস,কোনো অন্যায়তো করিসনি ; তাইলে পালাইয়া চুরের মতো বিয়ে করবি কেন? রিদিমার এবং তর, দুজনের পরিবারের মতেই তদের বিয়ে হবে। অামার উপর ছেড়ে দে ব্যাপারটা। "
.
পরেরদিন অামি অার মাহিন রিদিমাদের বাড়িতে গেলাম। মাহিনকে বাহিরে দাঁড় করিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি রিদিমার বাবা সোফায় বসে চা খাচ্ছে অার পত্রিকা পড়ছে,
--অাসসালামুঅালাইকুম অাংকেল।
--ওয়ালাইকুম অাসসালাম,কে তুমি?
--অামাকে চিনবেননা অাংকেল। অাপনার সাথে একটু কথা বলতে এসেছি।
--অাচ্ছা বসো। বলো কি বলবে। অার তোমার বাবার নাম কি? থাকো কোথায়?
--অামি ঢাকা বনানীতে থাকি । ঢাকা সাউথএস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি এ করছি। বাবার নাম প্রফেসর কাউসার অাহমেদ।
--অারে কাউসার সাহেবের ছেলে তুমি?
(উনি একটু উত্তেজিত হয়ে পরলেন)
--জ্বী, চিনেন নাকি অাব্বুকে?
--অারে চিনি মানে। অামি যেই অফিসে চাকুরী করতাম,সেই অফিসের এসিসটেন্ট হেড তোমার বাবা। অামার অনেক সিনিয়র, তবুও অামাকে কখনো অবজ্ঞা করেনি,সবসময় ভাইয়ের মতো দেখতো । তা কেমন অাছেন কাউসার সাহেব? অার তুমি অামার এখানে?
(অামিতো পুরাই ফিদা । শেষ পর্যন্ত অাব্বুর পরিচিত লোকের কাছে অাসলাম উনার মেয়ের প্রেমের ব্যাপারে কথা বলতে

--জ্বী অাংকেল অাব্বু ভালো অাছে। যা বলার সরাসরিই বলি। অাসলে অাংকেল অামার ফ্রেন্ড মাহিন ও অাপনার মেয়ে রিদিমা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। অাপনি হয়তো ব্যাপারটা জানেনও, তাই রিদিমার বিয়ে অন্য কোথাও দিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু অাংকেল অামার মনে হয় মাহিন অার রিদিমার বিয়ে হলে ওরা সুখিই হবে,কেননা দুজন দুজনকে অাসলেই অনেক ভালোবাসে। তাছাড়া মাহিনও অনেক ভাললো ছেলে,অামার সাথেই পড়ছে,,
ব্লা ব্লা ব্লা……………………..
.
অারো অনেককিছুই বললাম ; মাহিনের সম্পর্কে, তার ফ্যামিলি সম্পর্কে । অবশেষে রিদিমার বাবা বললো "অাচ্ছা, তোমার ফ্রেন্ডের বাবা-মাকে অাসতে বইলো। তোমার দিকে চেয়ে অামি অামার সিদ্ধান্ত বদলাবার চেষ্টা করবো। "
"অাচ্ছা অাংকেল,অাসি এখন"।
.
খুশি মনে সেখান থেকে বিদায় নিলাম। ভাবলাম মাহিনের বাবা-মাকে কালকেই পাঠিয়ে দেবো তারপর সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা অার হলোনা, মাহিনের বাবাকে রিদিমার বাবার কাছে অাসতে বলাতে উনি বলতেছেন রিদিমার বাবা উনার কাছে অাসতে।
পরলাম মহা ঝামেলায়,"ছেলের বাবা বলছে মেয়ের বাবা তার কাছে অাসতে ; অার মেয়ের বাবা বলছে ছেলের বাবা তার কাছে অাসতে।
.
অবশেষে এর কোনো সমাধান না পেয়ে অামার অাব্বুকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম (অামার অাব্বু অাম্মুও প্রেম করেই বিয়ে করেছিলো, তাই অাব্বুকে বুঝাতে কষ্ট হয়নি

তারপর মাহিনের বাবা এবং রিদিমার বাবাকে বললাম অামাদের বাসায় অাসতে, অাব্বু তাদেরকে অাসতে বলেছে।
সবশেষে অাব্বু এই ঝামেলাটার পরিসমাপ্তি ঘটালো এবং বিয়ের দিন তারিখও ঠিক হলো।
.
১৩ই জানুয়ারি শুক্রবার ওদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দিন রিদিমা অামাকে বললো "শুভ ভাইয়া, অামাদেরতো বিয়ে দিয়ে দিলেন,অাপনি করবেন কবে? "
"যেদিন অামার স্বপ্নের রাজকুমারীকে খুজে পাবো, সেদিন থেকে ঠিক ১ বছর পর তাকে বিয়ে করবো। ঐ ১ বছর তার সাথে চুটিয়ে প্রেম করবো। দোয়া করো যাতে ঐ রাজকুমারীকে তাড়াতাড়ি পেয়ে যাই। "
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন