মেয়েটার নাম মেঘা। বাবা মায়ের সাথে থাকে। ওর বাবা একটি অফিসে জব করে আর মা স্কুলের টিচার। প্রতিদিন সকালেই ওর বাবা মা যার যার কাজে চলে যায়, যেহেতু মেঘা ভার্সিটিতে পরে সেহেতু্ প্রায় দিনই সে বাসায় থাকে। তাই সে তার অবসর সময় কাটাতে প্রথমেই ফেসবুকে লগ ইন করে। প্রায় সারাটি দিনই সে এফবিতে থাকে। আইডির নাম, রৌদ্রসী তিনতিন। অনলাইনে থাকাকালিন অনেক ছেলেই মেঘাকে ম্যাসেজ পাঠায় কিন্তু মেঘা রিপ্লাই দেয়না। কোন ইচ্ছেই হয়না রিপ্লাই দেওয়ার।
:
আজকে রাত ৩টায় হঠাৎ করেই মেঘার ঘুম ভেঙে যায়, তাই সে এফবিতে লগইন করে। লগইন করার কয়েকমিনিট পরই একটা আইডি থেকে ম্যাসেজ আসে, আইডির নাম নিলয় হাসান।
"কি ব্যাপার, ঘুমান না আপনি??
হুম ঘুমাবনা কেন, অবশ্যই ঘুমাই। ( এই প্রথম মেঘা কোন ছেলের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিল )
"এত রাতে এফবিতে যে তাহলে?
"এমনিই আসলাম, ঘুম ভেঙে গেল।
"কেন? ভয় পাইছেন??
"নাহ, আমি ভয় পাইনা
"তাই??
"হুম
এভাবেই মেঘা আর নিলয়ের কথা শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে তাদের মাঝে কথার মাত্রা বাড়তে থাকে। সবসময় নিলয় নিজে থেকেই ম্যাসেজ দিত। কথা বলতে বলতে একসময় ওরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়।
:
এখন তাদের মাঝে অনেক কথা হয়, দুজন দুজনের সবকথা শেয়ার করে, দুজনের ভালোলাগা-খারাপলাগা, পছন্দ অপছন্দ সবকিছু। নিলয় খুব কেয়ার করে মেঘার। মেঘার এটা ভালোই লাগে। মেঘা না খেলে নিলয় খায়না, মেঘার কিছু হলে নিলয় যেন পাগলের মতো হয়ে যায়, পাগলামি শুরু করে দেয় নিলয়। এ যেন বন্ধুত্বের থেকেও আরো বেশি কিছু। এভাবে ভালোই কাটছিল দুজনের সময়।
:
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো একদিন। হঠাৎ করেই নিলয় মেঘার কাছে তার পিক চায়, মুহুর্তেই মেঘার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, অনুশোচনা আসে ওর মাঝে কি করলাম এটা, ও কোনভাবেই পিক দেওয়ার সাহস করতে পারছেনা, ও নিজেকেই ধমকাচ্ছে, কেন যে ওর সাথে কথা বলতে গেলাম। কারন মেঘার গায়ের রঙটা অন্য আট দশজন মানুষের মতো না। সবার মতো সুন্দর না ও, ওর গায়ের রঙটা কালো, এটাই ওর সবথেকে বড় দোষ। কেন কালো হলে সে।
হঠাৎ করেই মেঘা ভাবলো যে, আমি কালো হয়েছি তাতে কি?? আমিতো ইচ্ছে করে কালো হইনি, আল্লাহ আমাকে কালো বানিয়েছেন। আর কালো বলে কি হয়েছে, আমিওতো মানুষ। মেঘা এসব ভেবে তার মনোবল বাড়ায়। সে নিলয়কে ম্যাসেজ দেয়...
"সত্যিই কি পিক দেখতে হবে?
"হুম, খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
"সত্যি??
"আরে তুই আমার সবচেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড, অথচ আমি তোকে এখনও দেখি ই নি। এটা কিভাবে হয়??
"কিন্তু আমি যে দেখতে ভালো না।
"কেন?
"আমার গায়ের রঙটা যে কালো।
"কি হইছে তাতে, কালো হলেও তুই মানুষ, তুইতো আর ইচ্ছে করে কালো হয়ে আসিসনি।
"দেখ নিলয় আমি কিন্তু সিরিয়াস।
"হুম আমি জানি, শুন তুই কালো হলেও আমার বন্ধু সুন্দর হলেও আমার বন্ধু।
"মনে থাকবেত কথাটা?
"হুম থাকবে
"আচ্ছা দিচ্ছি পিক।
একটুপর মেঘা তার পিক নিলয়কে দেয়। নিলয় সিন করে অথচ ৫মিনিট কোন রিপ্লাই আসেনা। মেঘা বুঝতে পারছেনা কি হলো নিলয়ের। সে একটুপর নিলয়কে ম্যাসেজ দিতে গিয়ে দেখলো যে, নিলয় হাসান লিখাটা নীল রঙ থেকে কালো হয়ে গেছে। সাথে লিখা আছে
"you can not reply to this conversation"
মেঘার বুঝতে বাকি রইলোনা কি হয়েছে ওর সাথে। তার অজান্তেই তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো, শুধু মেঘা জানে এই অশ্রুটার সাথে কতটা কষ্ট, হাহাকার মিশে আছে। একসময় মেঘা নিজেই তার আইডিটা মুছে দেয়।
:
ঠিক এমনভাবেই আমাদের সমাজে কালো মেয়েদের ঘৃণা করা হয়। আমাদের কাছে কালো মেয়েগুলো হাসির পাত্র হয়ে থাকে। যখন খুশি যেখানে খুশি তার গায়ের রঙ নিয়ে মজা করি, তাকে অপমান করি। কিছু বন্ধু থাকে তারা তাদের বিএফের সাথে কথা বলে আর বলে, আমার ফ্রেন্ড মিলাকে চিন? ঐ যে কালো নিগ্রো মেয়েটা ইয়াক। হ্যা ও এখনও একটা বিএফ পায়নি, এসব নিয়ে মজা করে। আর মেয়েটা আড়ালে হয়তো সে কথা শুনে হু হু করে কেদে উঠে।
:
আজকে রাত ৩টায় হঠাৎ করেই মেঘার ঘুম ভেঙে যায়, তাই সে এফবিতে লগইন করে। লগইন করার কয়েকমিনিট পরই একটা আইডি থেকে ম্যাসেজ আসে, আইডির নাম নিলয় হাসান।
"কি ব্যাপার, ঘুমান না আপনি??
হুম ঘুমাবনা কেন, অবশ্যই ঘুমাই। ( এই প্রথম মেঘা কোন ছেলের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিল )
"এত রাতে এফবিতে যে তাহলে?
"এমনিই আসলাম, ঘুম ভেঙে গেল।
"কেন? ভয় পাইছেন??
"নাহ, আমি ভয় পাইনা
"তাই??
"হুম
এভাবেই মেঘা আর নিলয়ের কথা শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে তাদের মাঝে কথার মাত্রা বাড়তে থাকে। সবসময় নিলয় নিজে থেকেই ম্যাসেজ দিত। কথা বলতে বলতে একসময় ওরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়।
:
এখন তাদের মাঝে অনেক কথা হয়, দুজন দুজনের সবকথা শেয়ার করে, দুজনের ভালোলাগা-খারাপলাগা, পছন্দ অপছন্দ সবকিছু। নিলয় খুব কেয়ার করে মেঘার। মেঘার এটা ভালোই লাগে। মেঘা না খেলে নিলয় খায়না, মেঘার কিছু হলে নিলয় যেন পাগলের মতো হয়ে যায়, পাগলামি শুরু করে দেয় নিলয়। এ যেন বন্ধুত্বের থেকেও আরো বেশি কিছু। এভাবে ভালোই কাটছিল দুজনের সময়।
:
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো একদিন। হঠাৎ করেই নিলয় মেঘার কাছে তার পিক চায়, মুহুর্তেই মেঘার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, অনুশোচনা আসে ওর মাঝে কি করলাম এটা, ও কোনভাবেই পিক দেওয়ার সাহস করতে পারছেনা, ও নিজেকেই ধমকাচ্ছে, কেন যে ওর সাথে কথা বলতে গেলাম। কারন মেঘার গায়ের রঙটা অন্য আট দশজন মানুষের মতো না। সবার মতো সুন্দর না ও, ওর গায়ের রঙটা কালো, এটাই ওর সবথেকে বড় দোষ। কেন কালো হলে সে।
হঠাৎ করেই মেঘা ভাবলো যে, আমি কালো হয়েছি তাতে কি?? আমিতো ইচ্ছে করে কালো হইনি, আল্লাহ আমাকে কালো বানিয়েছেন। আর কালো বলে কি হয়েছে, আমিওতো মানুষ। মেঘা এসব ভেবে তার মনোবল বাড়ায়। সে নিলয়কে ম্যাসেজ দেয়...
"সত্যিই কি পিক দেখতে হবে?
"হুম, খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
"সত্যি??
"আরে তুই আমার সবচেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড, অথচ আমি তোকে এখনও দেখি ই নি। এটা কিভাবে হয়??
"কিন্তু আমি যে দেখতে ভালো না।
"কেন?
"আমার গায়ের রঙটা যে কালো।
"কি হইছে তাতে, কালো হলেও তুই মানুষ, তুইতো আর ইচ্ছে করে কালো হয়ে আসিসনি।
"দেখ নিলয় আমি কিন্তু সিরিয়াস।
"হুম আমি জানি, শুন তুই কালো হলেও আমার বন্ধু সুন্দর হলেও আমার বন্ধু।
"মনে থাকবেত কথাটা?
"হুম থাকবে
"আচ্ছা দিচ্ছি পিক।
একটুপর মেঘা তার পিক নিলয়কে দেয়। নিলয় সিন করে অথচ ৫মিনিট কোন রিপ্লাই আসেনা। মেঘা বুঝতে পারছেনা কি হলো নিলয়ের। সে একটুপর নিলয়কে ম্যাসেজ দিতে গিয়ে দেখলো যে, নিলয় হাসান লিখাটা নীল রঙ থেকে কালো হয়ে গেছে। সাথে লিখা আছে
"you can not reply to this conversation"
মেঘার বুঝতে বাকি রইলোনা কি হয়েছে ওর সাথে। তার অজান্তেই তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো, শুধু মেঘা জানে এই অশ্রুটার সাথে কতটা কষ্ট, হাহাকার মিশে আছে। একসময় মেঘা নিজেই তার আইডিটা মুছে দেয়।
:
ঠিক এমনভাবেই আমাদের সমাজে কালো মেয়েদের ঘৃণা করা হয়। আমাদের কাছে কালো মেয়েগুলো হাসির পাত্র হয়ে থাকে। যখন খুশি যেখানে খুশি তার গায়ের রঙ নিয়ে মজা করি, তাকে অপমান করি। কিছু বন্ধু থাকে তারা তাদের বিএফের সাথে কথা বলে আর বলে, আমার ফ্রেন্ড মিলাকে চিন? ঐ যে কালো নিগ্রো মেয়েটা ইয়াক। হ্যা ও এখনও একটা বিএফ পায়নি, এসব নিয়ে মজা করে। আর মেয়েটা আড়ালে হয়তো সে কথা শুনে হু হু করে কেদে উঠে।
আমাদের কাছে কালো মেয়েরা কথা বললে দোষ, হাসলে দোষ, কাদলে দোষ, তাদের সবকিছুতেই আমারা তাদের সমস্যা খুজি। যখন তাদের বিয়ের সময় হয় তখন একটার পর একটা বিয়ে ভেঙে যেতে থাকে কারন তার গায়ের রঙ কালো, তখন বাড়িতে তাকে সারাটা দিন অপমানিত হতে হয়। কিন্তু তার কষ্টটা কেউ বুঝার চেষ্টা করেনা। সেত আর ইচ্ছে হয়ে কালো হয়ে আসেনি। এটাতো তার দোষ না। কিন্তু না আমাদের একটাই কথা, মেয়েটা কলো। কালো মেয়ে আবার সুন্দর হয় নাকি, নিগ্রো একটা, কি বিশ্রি দেখা যায়। সবসময়ই আমরা এভাবে কালো মেয়েদের অপমান করি।
জানিনা আমাদের সমাজ থেকে কবে এই কাজটা দুর হবে। জানিনা কবে কালো রঙের মেয়েরা মন খুলে কথা বলতে পারবে, হাসতে পারবে, চলতে পারবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা মানুষকে তার কাজ দিয়ে বিবেচনা করবো, রঙ দিয়ে নয়। শুধু যে সাদা ই সবসময় সুন্দর তাওতো না, সাদাতো ওই ঘাস খাওয়া গরু ও....আর বললাম না। কালোই যদি সুন্দর না হয় তবে আবার চুল পাকলে কাদো কেন?? তখনতো আফসোস করো হায়রে কালো ছিল ওটাই ভালো ছিল।
মূলকথা হচ্ছে, আমাদের উচিত মানুষকে তাদের রঙ দিয়ে না বরং তাদের কাজ দিয়ে বিবেচনা করা। তবেই আমাদের মাঝে প্রকৃত মনুষ্যত্বের চিত্র ফুটে উঠবে।
জানিনা আমাদের সমাজ থেকে কবে এই কাজটা দুর হবে। জানিনা কবে কালো রঙের মেয়েরা মন খুলে কথা বলতে পারবে, হাসতে পারবে, চলতে পারবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা মানুষকে তার কাজ দিয়ে বিবেচনা করবো, রঙ দিয়ে নয়। শুধু যে সাদা ই সবসময় সুন্দর তাওতো না, সাদাতো ওই ঘাস খাওয়া গরু ও....আর বললাম না। কালোই যদি সুন্দর না হয় তবে আবার চুল পাকলে কাদো কেন?? তখনতো আফসোস করো হায়রে কালো ছিল ওটাই ভালো ছিল।
মূলকথা হচ্ছে, আমাদের উচিত মানুষকে তাদের রঙ দিয়ে না বরং তাদের কাজ দিয়ে বিবেচনা করা। তবেই আমাদের মাঝে প্রকৃত মনুষ্যত্বের চিত্র ফুটে উঠবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন