।।১।।
রাগ সামলাতে না পেরে হ্রিদিতার দু চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে ,তাই সে আপাতত তার খাতার এক একটা পৃষ্ঠা ছিড়ছে আর সেটাকে মুড়িয়ে বেঞ্চের নিচে ফেলছে,বাসায় এমন রাগ হলে এতক্ষনে সামনে যা পেত তাই ভাংচুর শুরু করে দিত ,ক্লাশে আছে বলে কিছু বলতে পারছে না আর কিছু করতেও পারছেনা,তাই আপাতত রাগ টা খাতার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
সমস্যা টা কি অন্তিক ছেলেটার,ক্লাশ শুরুর প্রথম দিন থেকেই ছেলেটা ফলো করেই যাচ্ছে,এক দিন নয় দুই দিন না পুরো দুইটা মাস ধরে এক অবস্থা ,ক্লাশ এ যতক্ষন থাকবে প্রতিটা সময় ই আড় চোখে তাকিয়ে থাকবে,ভাব খানা দেখলে মনে হয় ক্লাশে হ্রিদিতা ছাড়া আর কেও নেই,তাই সে না পেরে বাধ্য হয়ে এভাবে তাকিয়ে থাকে,এখন আবার কিছুদিন যাবৎ ছুটি হলে বাসা অব্দি পর্যন্ত পিছপিছ আসা শুরু করেছে,যতক্ষন না গেইট এর দরজা লক না করা হবে ঠিক ততক্ষন দাড়িয়ে থাকে, কিছু ত বলবে ছেলেটা,কি চায় ও!
তাও বলে না,এত বড় ফাযিল।
কিরে তুই ক্লাশে এভাবে কাঁদতেছিস কেন স্যার দেখবে ত বলে এশা হ্রিদিতার দিকে তাকিয়ে আছে।
দেখ অন্তিক কিভাবে সারাক্ষন আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আছে,
সবাই দেখে কি ভাবে বল।
ও তাই বল,এর জন্য ই আমাদের হ্রিদিতা বাবুটা এভাবে কান্নাকাটি করছে,ক্লাশ শেষে আজ কে ওরে আচ্ছা মতো বকা দিয়ে দিবি দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে ,এখন প্লিজ কান্না থামা।
হুম,আজ ত ওকে আচ্ছা মত কথা শুনিয়ে দিব ই, বলেই হ্রিদিতা চোখ মুছতে থাকে।
ক্লাশ শেষ হওয়ার পর,
অন্তিক সিড়ি এর নিচে দাড়িয়ে আছে সামনে হ্রিদিতা আর এশা।
হ্রিদিতা:তুমি শুরু টা করছ কি প্রথম দিন থেকে বলবা,এসব এর মানে কি??
অন্তিক:আমি কি শুরু করছি তুমি বলো,আমি ত জানিনা।
হ্রিদিতা :সেই প্রথম দিন থেকে আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে থাকার মানে কি?
অন্তিক:কই আমি ত তাকাইনা,তাকিয়ে থাকো ত তুমি।
হ্রিদিতা:আমি তাকাইয়া থাকি মানে? ?
অন্তিক:আমি যে তোমার দিকে তাকাই তুমি কিভাবে বুঝলা ,এর মানে তুমি ও আমার দিকে তাকাও,
আর তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে বা থাকবে কেন,তুমি যদি আমায় কিছু বলতে চাও ত বলতে পারো,আমি জানি তুমি সামথিং সামথিং কিছু বলতে চাও, ব্যাপার না বলে ফেলো।
হ্রিদিতা:সামথিং সামথিং মানে কি?? কি বলতে চাও।
অন্তিক:সারাক্ষন আমি কি করি না করি ফলো করো এখন মানে বুঝতেছনা,আমাকে ভালো লাগে সরাসরি বললেই পারো।
হ্রিদিতা:তোমাকে, জিবনেও না। তোমাকে ত আমি সহ্য ই করতে পারিনা,তুমি একটা ফাযিল।
রাগে ক্ষোভে হ্রিদিতা এর মুখ লাল হয়ে গেছে, এভাবে কেও কখনো ওর সাথে কথা বলেনি,আজ ই প্রথম, এর সাথে কথা বল্লে মাথাই নস্ট হয়ে যাবে। হ্রিদিতা তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে বাসায় চলে আসল।
।।২।।
অন্তিক এর মন টা পুরাই খারাপ হয়ে গেছে,না এভাবে হ্রিদিতা কে রাগানো টা একদম উচিত হয়নি,অবশ্য না রাগালে ওর সুন্দর মুখ টাও দেখা হতো না,শুনেছি সুন্দর মেয়েরা রাগলে নাকি অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু হ্রিদিতাকে অসম্বভ বেশি সুন্দর লাগছিল,রাগে ওর সুন্দর মুখ টা কেমন লাল হয়ে গেছিল,ঠোট গুলো ও কাঁপছিল।হ্রিদিত
া কি জানে,ওকে রাগলে কতটা সুন্দর লাগে??হয়ত না। জানলে ত আর রাগ ই করত না, তবুও ওর সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি ,সরাসরি বলা উচিত ছিল হ্রিদিতা আমি তোমাকে প্রথম দেখাই ভালবেসে ফেলেছি তাই তোমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকি।আমি কি সরি বলব হ্রিদিতা কে,নাকি আবার রাগ করবে, না একবার ফোন করেই দেখি,যা হবার হবে বলেই অন্তিক ফোন দিল হ্রিদিতাকে।
রিং হচ্ছে, ,,,
ওপাশ থেকে হ্রিদিতা,
হ্যালো, ,,কে?
আমি অন্তিক।
তুমি ফোন দিছ কেন আমায়?
হ্রিদিতা সরি।
সরি ত আমার বলার কথা, তুমিই ত বলছ আমি নাকি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি,ফলো করি,সাথে সামথিং সামথিং কিছু,আর কি বলার জন্য ফোন দিছ বলো??
অন্তিক বুঝতে পারছে হ্রিদিতা আবার রেগে যাচ্ছে, তারপর ও অন্তিক এক বুক সাহস নিয়ে বলেই ফেলল,হ্রিদিতা আমি তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি, তাই আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি।
বলেই ফোন টা রেখে দিল অন্তিক।
।।৩।।
দিন কয়েক এর মধ্য ক্লাশে জানাজানি হয়ে গেল অন্তিক হ্রিদিতাকে ভালবাসে,যেহেতু অন্তিক লেখা পড়ায় অনেক ভাল ছিল,আর দেখতেও খারাপ ছিলনা,তাই ক্লাশের মেয়েদের আগ্রহ টা বেশি ছিল, হ্রিদিতা কি সিদ্ধান্ত নেয়, এর মধ্য এশা ও অন্তিক এর পক্ষ নিয়ে হ্রিদিতা কে বুঝাতে লাগল।
এশা :বেচারা দুইটা মাস ধরে সুধু তুকে দেখেই গেছে, আর ভালবেসেই গেছে, তুই রাজি হয়ে যা।
হ্রিদিতা :আমি ত ওকে ভালবাসিনা, তুর ভাল লাগলে তুই কর।
এশা :ও ত এমনিতে অনেক ভাল,লেখাপড়া ও ভালো, তুই একটু ত ভেবে দেখবি।
হ্রিদিতা :না, আমি কখনো ওই ইডিয়েট টাকে ভালবাসিনি আর ভালবাসার ত প্রশ্ন ই আসে না ।
এভাবে টুকটাক কথা বলা,চোখাচোখি, মান অভিমানে কেটে গেল একমাস,অন্তিক সেই আগের মতই আড় চোখে হ্রিদিতার দিকে তাকিয়ে থাকে, হ্রিদিতা খেয়াল করে কিন্তু এখন আর কিছু সে বলে না, এর কিছুদিন পর এল অন্তিক এর বার্থডে, ফ্রেন্ডস রা অনেক আয়োজন করেছে, অনিচ্ছা সত্তেও বন্ধুদের জোরাজুরি তে হ্রিদিতা সেখানে হাজির, হ্রিদিতার পছন্দের রং ছিল লাল তাই সে অন্তিক কে লাল গোলাপ দিয়েই শুভেচ্ছা জানায়,এরমধ্য হলো এক মজার ঘটনা ,হ্রিদিতা যখন ই গোলাপ টা অন্তিক এর হাতে দেয় তখন ই অন্তিক হ্রিদিতার দেওয়া ফুল সহ হাত টা ধরে রাখে, উপস্থিত সব ফ্রেন্ড রা দেখে ত সেই হাত তালি,হ্রিদিতা তা দেখে দ্রুত হাত টা ছাড়িয়ে নেয়।
।।৪।|এক সপ্তাহের মতো হবে অন্তিক কলেজ এ আসছেনা জ্বর এর কারনে,এতে হ্রিদিতার স্বাভাবিক ভাবে স্বস্থিতে থাকার কথা ,অন্তিক নামের ছেলেটি এখন আর ওর দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছেনা,কোন বাহানা করে কথাও বলতে আসছেনা,কিন্তু ওর কেন জানি অস্থিরতা কাজ করছে,নিজেই আজ কেন বারবার অন্তিক যে বেঞ্চে বসে সে বেঞ্ছিতে আড় চোখে তাকাচ্ছে,আজ অন্তিক কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।একবার কি ফোন দিয়ে দেখব ওকে,নাকি অন্য কিছু ভাববে, জাস্ট জিজ্ঞেস করব কেমন আছে,এতে আর কি ই ভাববে,হ্রিদিতা ফোন দেয় অন্তিক কে,
ফোন রিসিভ করার পর,
হ্রিদিতা :অন্তিক কেমন আছো?
অন্তিক চুপ করে হ্রিদিতা এর মিস্টি ভয়েছ শুনছে।
হ্রিদিতা:অন্তিক কথা বলো প্লিজ।
অন্তিক:তুমি ভাল আছো ত?
হ্রিদিতা :আমি ভাল আছি,তুমি?
অন্তিক:ভাল,একটা পিঁপড়া আবদার করব রাখবা প্পিজ।
হ্রিদিতা :তোমার পিঁপড়া আবদার টা কি শুনি।
অন্তিক:তোমায় অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে আসবে হ্রিদিতা? ?
হ্রিদিতা :দেখি,সময় পেলে আসব,
বলেই রেখে দিল হ্রিদিতা।
৫|
হ্রিদিতা অনেকটা সময় নিয়ে খুব সুন্দর করে সেজেছে, এমনিতেই ও অনেক সুন্দর, তারপর ও অনেক সেজেছে,আয়নার দিকে তাকাতে নিজের কাছেই তাকে একটা রুপবতী তরুনী মনে হচ্ছে,যার দিকে একবার তাকালে বারবার তাকাতে ইচ্ছে করবে,হ্রিদিতার প্রিয় রং লাল হওয়া সত্তেও আকাশি নীল কালারের ড্রেস পড়েছে ,অন্তিক এর পছন্দের রং আকাশি নীল।
এরপর সে রওনা দিল অন্তিক এর বাসায়।
হ্রিদিতা অয়ন এর রুমে বসে আছে,
অন্তিক এখন ও ঘুমিয়ে আছে,ডাকবে কিনা বুঝতে পারছেনা ,হ্রিদিতা অন্তিক এর পাশে এসে বসেছে,অন্তিক এর জ্বর আছে কিনা দেখার জন্য আলতো ভাবে কপালে হাত রাখে হ্রিদিতা।
অন্তিক চোখ বন্ধ করেই বলল,হ্রিদিতা তুমি এসেছো?
অপ্রস্তুত ভাবে হ্রিদিতা হাত টা সরিয়ে নিতে যাচ্ছিল।
অন্তিক:প্লিজ হাত টা সরিও না হ্রিদিতা।
হ্রিদিতা:অন্তিক তুমি ভালো আছো ত??
অন্তিক:আগে ছিলাম না এখন অনেক ভাল আছি,তোমার আর একটা হাত দিবে খুব ধরতে ইচ্ছে করছে।
হ্রিদিতা না করল না,হাত টা বাড়িয়ে দিল।
এই প্রথম কোন ছেলের হাত স্পর্শ করেছে হ্রিদিতা,
এক অন্য ধরনের অনুভূতি হচ্ছে,
অন্তিক এখন চোখ খুলে তাকিয়ে আছে হ্রিদিতার দিকে,আর হ্রিদিতাও তাকিয়ে আছে অন্তিক এর দিকে কারো ই পলক পড়ছেনা, হ্রিদিতা অন্তিক এর দিকে মায়াবি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে এটাই বোধহয় ভালবাসার প্রথম অনুভূতি।
লেখক :মো:শামীম আহম্মেদ দেওয়ান।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ,বরিশাল বি.এম.কলেজ।
রাগ সামলাতে না পেরে হ্রিদিতার দু চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে ,তাই সে আপাতত তার খাতার এক একটা পৃষ্ঠা ছিড়ছে আর সেটাকে মুড়িয়ে বেঞ্চের নিচে ফেলছে,বাসায় এমন রাগ হলে এতক্ষনে সামনে যা পেত তাই ভাংচুর শুরু করে দিত ,ক্লাশে আছে বলে কিছু বলতে পারছে না আর কিছু করতেও পারছেনা,তাই আপাতত রাগ টা খাতার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
সমস্যা টা কি অন্তিক ছেলেটার,ক্লাশ শুরুর প্রথম দিন থেকেই ছেলেটা ফলো করেই যাচ্ছে,এক দিন নয় দুই দিন না পুরো দুইটা মাস ধরে এক অবস্থা ,ক্লাশ এ যতক্ষন থাকবে প্রতিটা সময় ই আড় চোখে তাকিয়ে থাকবে,ভাব খানা দেখলে মনে হয় ক্লাশে হ্রিদিতা ছাড়া আর কেও নেই,তাই সে না পেরে বাধ্য হয়ে এভাবে তাকিয়ে থাকে,এখন আবার কিছুদিন যাবৎ ছুটি হলে বাসা অব্দি পর্যন্ত পিছপিছ আসা শুরু করেছে,যতক্ষন না গেইট এর দরজা লক না করা হবে ঠিক ততক্ষন দাড়িয়ে থাকে, কিছু ত বলবে ছেলেটা,কি চায় ও!
তাও বলে না,এত বড় ফাযিল।
কিরে তুই ক্লাশে এভাবে কাঁদতেছিস কেন স্যার দেখবে ত বলে এশা হ্রিদিতার দিকে তাকিয়ে আছে।
দেখ অন্তিক কিভাবে সারাক্ষন আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আছে,
সবাই দেখে কি ভাবে বল।
ও তাই বল,এর জন্য ই আমাদের হ্রিদিতা বাবুটা এভাবে কান্নাকাটি করছে,ক্লাশ শেষে আজ কে ওরে আচ্ছা মতো বকা দিয়ে দিবি দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে ,এখন প্লিজ কান্না থামা।
হুম,আজ ত ওকে আচ্ছা মত কথা শুনিয়ে দিব ই, বলেই হ্রিদিতা চোখ মুছতে থাকে।
ক্লাশ শেষ হওয়ার পর,
অন্তিক সিড়ি এর নিচে দাড়িয়ে আছে সামনে হ্রিদিতা আর এশা।
হ্রিদিতা:তুমি শুরু টা করছ কি প্রথম দিন থেকে বলবা,এসব এর মানে কি??
অন্তিক:আমি কি শুরু করছি তুমি বলো,আমি ত জানিনা।
হ্রিদিতা :সেই প্রথম দিন থেকে আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে থাকার মানে কি?
অন্তিক:কই আমি ত তাকাইনা,তাকিয়ে থাকো ত তুমি।
হ্রিদিতা:আমি তাকাইয়া থাকি মানে? ?
অন্তিক:আমি যে তোমার দিকে তাকাই তুমি কিভাবে বুঝলা ,এর মানে তুমি ও আমার দিকে তাকাও,
আর তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে বা থাকবে কেন,তুমি যদি আমায় কিছু বলতে চাও ত বলতে পারো,আমি জানি তুমি সামথিং সামথিং কিছু বলতে চাও, ব্যাপার না বলে ফেলো।
হ্রিদিতা:সামথিং সামথিং মানে কি?? কি বলতে চাও।
অন্তিক:সারাক্ষন আমি কি করি না করি ফলো করো এখন মানে বুঝতেছনা,আমাকে ভালো লাগে সরাসরি বললেই পারো।
হ্রিদিতা:তোমাকে, জিবনেও না। তোমাকে ত আমি সহ্য ই করতে পারিনা,তুমি একটা ফাযিল।
রাগে ক্ষোভে হ্রিদিতা এর মুখ লাল হয়ে গেছে, এভাবে কেও কখনো ওর সাথে কথা বলেনি,আজ ই প্রথম, এর সাথে কথা বল্লে মাথাই নস্ট হয়ে যাবে। হ্রিদিতা তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে বাসায় চলে আসল।
।।২।।
অন্তিক এর মন টা পুরাই খারাপ হয়ে গেছে,না এভাবে হ্রিদিতা কে রাগানো টা একদম উচিত হয়নি,অবশ্য না রাগালে ওর সুন্দর মুখ টাও দেখা হতো না,শুনেছি সুন্দর মেয়েরা রাগলে নাকি অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু হ্রিদিতাকে অসম্বভ বেশি সুন্দর লাগছিল,রাগে ওর সুন্দর মুখ টা কেমন লাল হয়ে গেছিল,ঠোট গুলো ও কাঁপছিল।হ্রিদিত
া কি জানে,ওকে রাগলে কতটা সুন্দর লাগে??হয়ত না। জানলে ত আর রাগ ই করত না, তবুও ওর সাথে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি ,সরাসরি বলা উচিত ছিল হ্রিদিতা আমি তোমাকে প্রথম দেখাই ভালবেসে ফেলেছি তাই তোমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকি।আমি কি সরি বলব হ্রিদিতা কে,নাকি আবার রাগ করবে, না একবার ফোন করেই দেখি,যা হবার হবে বলেই অন্তিক ফোন দিল হ্রিদিতাকে।
রিং হচ্ছে, ,,,
ওপাশ থেকে হ্রিদিতা,
হ্যালো, ,,কে?
আমি অন্তিক।
তুমি ফোন দিছ কেন আমায়?
হ্রিদিতা সরি।
সরি ত আমার বলার কথা, তুমিই ত বলছ আমি নাকি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি,ফলো করি,সাথে সামথিং সামথিং কিছু,আর কি বলার জন্য ফোন দিছ বলো??
অন্তিক বুঝতে পারছে হ্রিদিতা আবার রেগে যাচ্ছে, তারপর ও অন্তিক এক বুক সাহস নিয়ে বলেই ফেলল,হ্রিদিতা আমি তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি, তাই আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি।
বলেই ফোন টা রেখে দিল অন্তিক।
।।৩।।
দিন কয়েক এর মধ্য ক্লাশে জানাজানি হয়ে গেল অন্তিক হ্রিদিতাকে ভালবাসে,যেহেতু অন্তিক লেখা পড়ায় অনেক ভাল ছিল,আর দেখতেও খারাপ ছিলনা,তাই ক্লাশের মেয়েদের আগ্রহ টা বেশি ছিল, হ্রিদিতা কি সিদ্ধান্ত নেয়, এর মধ্য এশা ও অন্তিক এর পক্ষ নিয়ে হ্রিদিতা কে বুঝাতে লাগল।
এশা :বেচারা দুইটা মাস ধরে সুধু তুকে দেখেই গেছে, আর ভালবেসেই গেছে, তুই রাজি হয়ে যা।
হ্রিদিতা :আমি ত ওকে ভালবাসিনা, তুর ভাল লাগলে তুই কর।
এশা :ও ত এমনিতে অনেক ভাল,লেখাপড়া ও ভালো, তুই একটু ত ভেবে দেখবি।
হ্রিদিতা :না, আমি কখনো ওই ইডিয়েট টাকে ভালবাসিনি আর ভালবাসার ত প্রশ্ন ই আসে না ।
এভাবে টুকটাক কথা বলা,চোখাচোখি, মান অভিমানে কেটে গেল একমাস,অন্তিক সেই আগের মতই আড় চোখে হ্রিদিতার দিকে তাকিয়ে থাকে, হ্রিদিতা খেয়াল করে কিন্তু এখন আর কিছু সে বলে না, এর কিছুদিন পর এল অন্তিক এর বার্থডে, ফ্রেন্ডস রা অনেক আয়োজন করেছে, অনিচ্ছা সত্তেও বন্ধুদের জোরাজুরি তে হ্রিদিতা সেখানে হাজির, হ্রিদিতার পছন্দের রং ছিল লাল তাই সে অন্তিক কে লাল গোলাপ দিয়েই শুভেচ্ছা জানায়,এরমধ্য হলো এক মজার ঘটনা ,হ্রিদিতা যখন ই গোলাপ টা অন্তিক এর হাতে দেয় তখন ই অন্তিক হ্রিদিতার দেওয়া ফুল সহ হাত টা ধরে রাখে, উপস্থিত সব ফ্রেন্ড রা দেখে ত সেই হাত তালি,হ্রিদিতা তা দেখে দ্রুত হাত টা ছাড়িয়ে নেয়।
।।৪।|এক সপ্তাহের মতো হবে অন্তিক কলেজ এ আসছেনা জ্বর এর কারনে,এতে হ্রিদিতার স্বাভাবিক ভাবে স্বস্থিতে থাকার কথা ,অন্তিক নামের ছেলেটি এখন আর ওর দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছেনা,কোন বাহানা করে কথাও বলতে আসছেনা,কিন্তু ওর কেন জানি অস্থিরতা কাজ করছে,নিজেই আজ কেন বারবার অন্তিক যে বেঞ্চে বসে সে বেঞ্ছিতে আড় চোখে তাকাচ্ছে,আজ অন্তিক কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।একবার কি ফোন দিয়ে দেখব ওকে,নাকি অন্য কিছু ভাববে, জাস্ট জিজ্ঞেস করব কেমন আছে,এতে আর কি ই ভাববে,হ্রিদিতা ফোন দেয় অন্তিক কে,
ফোন রিসিভ করার পর,
হ্রিদিতা :অন্তিক কেমন আছো?
অন্তিক চুপ করে হ্রিদিতা এর মিস্টি ভয়েছ শুনছে।
হ্রিদিতা:অন্তিক কথা বলো প্লিজ।
অন্তিক:তুমি ভাল আছো ত?
হ্রিদিতা :আমি ভাল আছি,তুমি?
অন্তিক:ভাল,একটা পিঁপড়া আবদার করব রাখবা প্পিজ।
হ্রিদিতা :তোমার পিঁপড়া আবদার টা কি শুনি।
অন্তিক:তোমায় অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে আসবে হ্রিদিতা? ?
হ্রিদিতা :দেখি,সময় পেলে আসব,
বলেই রেখে দিল হ্রিদিতা।
৫|
হ্রিদিতা অনেকটা সময় নিয়ে খুব সুন্দর করে সেজেছে, এমনিতেই ও অনেক সুন্দর, তারপর ও অনেক সেজেছে,আয়নার দিকে তাকাতে নিজের কাছেই তাকে একটা রুপবতী তরুনী মনে হচ্ছে,যার দিকে একবার তাকালে বারবার তাকাতে ইচ্ছে করবে,হ্রিদিতার প্রিয় রং লাল হওয়া সত্তেও আকাশি নীল কালারের ড্রেস পড়েছে ,অন্তিক এর পছন্দের রং আকাশি নীল।
এরপর সে রওনা দিল অন্তিক এর বাসায়।
হ্রিদিতা অয়ন এর রুমে বসে আছে,
অন্তিক এখন ও ঘুমিয়ে আছে,ডাকবে কিনা বুঝতে পারছেনা ,হ্রিদিতা অন্তিক এর পাশে এসে বসেছে,অন্তিক এর জ্বর আছে কিনা দেখার জন্য আলতো ভাবে কপালে হাত রাখে হ্রিদিতা।
অন্তিক চোখ বন্ধ করেই বলল,হ্রিদিতা তুমি এসেছো?
অপ্রস্তুত ভাবে হ্রিদিতা হাত টা সরিয়ে নিতে যাচ্ছিল।
অন্তিক:প্লিজ হাত টা সরিও না হ্রিদিতা।
হ্রিদিতা:অন্তিক তুমি ভালো আছো ত??
অন্তিক:আগে ছিলাম না এখন অনেক ভাল আছি,তোমার আর একটা হাত দিবে খুব ধরতে ইচ্ছে করছে।
হ্রিদিতা না করল না,হাত টা বাড়িয়ে দিল।
এই প্রথম কোন ছেলের হাত স্পর্শ করেছে হ্রিদিতা,
এক অন্য ধরনের অনুভূতি হচ্ছে,
অন্তিক এখন চোখ খুলে তাকিয়ে আছে হ্রিদিতার দিকে,আর হ্রিদিতাও তাকিয়ে আছে অন্তিক এর দিকে কারো ই পলক পড়ছেনা, হ্রিদিতা অন্তিক এর দিকে মায়াবি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে এটাই বোধহয় ভালবাসার প্রথম অনুভূতি।
লেখক :মো:শামীম আহম্মেদ দেওয়ান।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ,বরিশাল বি.এম.কলেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন