ব্যাগে কি এনেছো (রিয়া)
> তোমার জন্য একটা শাড়ি এনেছি (রাতুল)
-তোমাকে কে বলেছিলো,আমার জন্য শাড়ি কিনতে।
> মানুষ বলার সাথে আমার শাড়ি কেনার সম্পর্ক কি।
-তাহলে দেখি,কেমন শাড়ি কিনেছো।
>আমি অনেক দোকান ঘুরে শাড়িটা কিনেছি।
-এখন ব্যাগটা দাও, শাড়িটা দেখি।
.
রাতুল ব্যাগ থেকে শাড়িটা বের করে রিয়াকে দেই,
অনেক দোকান খোজার পরে,
এই শাড়িটা পছন্দ করে রাতুল।
এই শাড়িটা রিয়া পড়লে রিয়াকে অনেক সুন্দর লাগবে।
.
পোশাকের ভেতরেইতো লুকিয়ে থাকে মানুষের সোন্দর্য।
.
-এটা কি কিনে নিয়ে এসেছো (রিয়া)
> কেনো শাড়ি কিনে নিয়ে এসেছি (রাতুল)
-এটা শাড়ি হলো নাকি,এটার কালার দেখেছো, কেমন?
> কেনো তোমার পছন্দ হয়নি।
-না।
.
রিয়ার মুখে না কথাটি শুনে রাতুলের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে
গেলো।
এতো কষ্ট করে অনেক খুজে শাড়িটা পছন্দ করলো রাতুল,
আর রিয়া বলছে এটা পছন্দ হয়নি।
.
-তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না, একটা শাড়ি কিনতে
পারোনা ভালোমত,
এখন থেকে তোমাকে আর শাড়ি কিনতে হবে না।
> আমি কি জানতাম নাকি , তোমার এটা পছন্দ হবে না।
দোকানদারকে তোমার বর্ননা দিলাম,তারপরে
দোকানদার বলল এই শাড়িটা নিয়ে যেতে।
-তুমি কি সত্যিই পাগল।
পাগলেরাও এর চেয়ে অনেক বুদ্ধীমান হয়।
.
-তোমাকে দোকানদার বোকা বানিয়ে শাড়িটা তোমার
কাছে বিক্রি করেছে।
এই নাও তোমার শাড়ি,এই শাড়ি নিয়েই তুমি থাকো,
দোকানদারকে আমার বর্ননা দিয়ে শাড়ি
কিনেছে,নিজে যদি মনের মতন করে পছন্দ করতে তবুও
ভালো লাগতো,আমার চেহারা দোকানদারকে বর্ননা
করতে কে বলেছে।
.
রিয়া রাগে কথা গুলো বলতে বলতে চলে গেলো।
রাতুল কোনভাবেই রিয়াকে থামাতে পারলো না।
.
রাতুল শাড়িটা নিয়ে দাড়িয়ে থেকে রিয়ার চলে যাওয়া
দেখলো।
শাড়িটার জন্য রিয়া প্রচন্ড রেগে গেছে।
কেনো যে সত্যি কথাটা বলতে গেলাম।
রিয়ার তো জানে,আমি সত্যি কথাই বেশি বলি।
.
নিজের নিজেকেই এখন কষে একটা চড় মারতে ইচ্ছে
করছে।
.
সারাদিন আর রিয়ার সাথে কথা হয়নি রাতুলের,
রাতুল অনেকবার ফোন করেছে,কিন্তু রিয়া ফোন ধরেনি ।
রাতুল বুঝতে পারছে না কি করবে এখন।
.
রাত্রি নইটা বেজে গেছে,
রাতুল রিয়াকে ফোন করেই চলেছে,তবুও ফোন ধরছে না
রিয়া।
.
এই হালকা শীতের মাঝে রাতুল বেরিয়ে পড়ে রিয়াদের
বাড়ির উদ্দেশ্য করে।
নিজের শরীরে হালকা একটি টি শার্ট পড়ে আছে,তবুও
তার শীত লাগছে না,
রিয়ার জন্যই এখন সে চিন্তিত, কি করে শীত লাগবে
তার।
.
অর্ধেক রাস্তা যেতেই রাতুলের পকেটে থাকা ফোনটা
বেজে উঠে,
পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে,রিয়া ফোন করেছে।
.
-এতবার ফোন করছো কেনো? (রিয়া)
> তোমার রাগ কমেছে কিনা,সেটা জানতে। (রাতুল)
-তোমার সেটা জেনে কোন লাভ হবে না,
তুমি এখন কোথাই।
> রাস্তাতে।
-রাস্তাতে মানে।
>রাস্তা দিয়ে হাটছি।
-কোথাই যাচ্ছ এতো রাতে।
> তোমাদের বাড়িতে,অর্ধেক পথ চলে এসেছি।
-আমাদের বাড়িতে তোমাকে কে আসতে বলেছে।
> কেউ বলেনি।
-তাহলে কেনো আসছো আমার বাড়িতে।
> আমার এক বন্ধু বলল,তুমি রেগে আছ,সেইজন্য তোমার
রাগ ভাঙ্গাতে হলে তোমার বাড়ির কাছে গিয়ে কান
ধরে সরি বললে,তোমার রাগ ভেঙ্গে যাবে।
-কিইইইইই,তুমি এইজন্য আমাদের বাড়িতে আসতেছো।
> হ্যাঁ।
-তোমার মতন পাগলের প্রেমে কেনো যে পড়েছিলাম।
> এখন তুমি কি বাড়িতে আছ।
-এই শোন, আমি এখন জাহান্নামের চোরাস্তাই আছি,আর
কোনদিন তুমি আমাকে ফোন করবে না,আর আমার
বাড়িতে তোমাকে আসতে হবে না, তুমি তোমার বন্ধুর
কাছে যাও।
.
কথাগুলো বলেই রিয়া ফোনটা কেটে দিলো।
.
রাতুল ফোন হাতে নিয়ে ভাবছে,কি এমন করলাম এতো
রেগে যেতে হবে।
.
.
এতো রাতে ওদের বাড়িতে আসতেছি,তবুও কেনো সে
বুঝে না।
বন্ধুকে একটা চড় মারতে ইচ্ছে করছে,
তার দেওয়া বুদ্ধীতেও কোন কাজ হলো না।
.
রাতুল আর রিয়াদের বাড়ির দিকে গেলো না,রিয়াকে
ফোন করে দেখে ফোনটা অফ,
এখন ওদের বাড়ির সামনে গেলে রিয়া আরো রেগে
যেতে পারে,সেইজন্য রাতুল নিজের বাড়ির দিকে রওনা
দিলো।
.
বাড়িতে এসে রাতুল চিন্তা করতে লাগলো,কি করলে
রিয়ার রাগ ভাঙ্গানো সম্ভব।
.
অনেক ভাবার পরে রাতুল একটি উপায়ও বের করতে পারল
না।
রাতুলের মন আরও খারাপ হয়ে গেলো।
বিষন্ন মন নিয়ে রাতুল ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
.
.
পরেরদিন অনেকবার রিয়াকে ফোন করে রাতুল।
-কি হয়েছে এতো বার ফোন করছো কেনো? (রিয়া)
> একটু দেখা করতে পারবে আজকে। (রাতুল)
-কেনো দেখা করতে হবে কেনো।
> বেশি সময় না শুধু অল্প সময়ের জন্য।
-আজকে কার থেকে বুদ্ধী নিয়েছো,আমার রাগ কমানোর
জন্য।
> কারো থেকে কোন বুদ্ধী নেই নি।
-মিথ্যা কথা বলার দরকার কি।
> তোমার কাছে মিথ্যা হতে পারে।কিন্তু আমার কাছে
সত্য,
এখন বলো,দেখা করবে কিনা?
-কোথাই আসতে হবে বলো।
.
রাতুল রিয়াকে তাদের কলেজের মাঠে আসতে বলে।
সময়টা বলে দেই,
বেলগাছের নিচে এসে থাকতে বলে রিয়াকে।
এই জায়গাটি রাতুলের অনেক প্রিয়া যায়গা।
.
রাতুল রিক্সা করে কলেজের মাঠে আসে,
এসে দেখে রিয়া আগে থেকেই ওখানে বসে আছে।
.
রিয়ার হাবভাব দেখে রাতুল মনে করে রিয়া হয়তো আরও
রেগে গিয়েছে,
.
রাতুল রিক্সা থেকে নেমে রিয়ার কাছে যায়।
.
-বলো কি জন্য ডেকেছো? (রিয়া)
> কিছু বলতে নই,কিছু দিতে চাই তোমাকে সেইজন্য
ডেকেছি।
.
রাতুল রিক্সা চালককে ডাক দেয়।
রিক্সাচালক রাতুলের ডাক শুনে রিক্সা থেকে শাড়ি
গুলো নিয়ে রাতুলের সামনে রাখে।
.
-এতো শাড়ি কিসের জন্য। (রিয়া)
> দোকানদারের থেকে নিয়ে এসেছি,তোমার যেটা পছন্দ
হবে সেটা নিয়ে নাও।
> এতো শাড়ি কে আনতে বলেছে।
- কেউ আনতে বলেনি,তোমার তো শাড়ি পছন্দ হবে না
যদি একটি শাড়ি নিয়ে আসি,
তাই এতো গুলো শাড়ি নিয়ে আসলাম।
তোমার যেটা পছন্দ তুমি সেটা নিয়ে নাও,বাকি গুলো
পরে ঘুরিয়ে দিবো।
.
রিয়া রাতুলের দিকে একবার তাকাই ,
রাতুলের এমন কান্ড দেখে রিয়া হেঁসে উঠে,
সামান্য রাগের কারনে রাতুল কতকিছু করল তার জন্য,
আসলেই ছেলেটা পাগল।
এই পাগল ছেলেটার পাগলামী গুলো রিয়ার ভালই লাগে।
রিয়ার রাগ কমে যায়, রাগ থাকবে কি করে,সামান্য
রাগের কারনে কতকিছু করে ফেলেছে।
.
রিয়ার হাসি দেখে রাতুলও হাসে,এই হাসি দেখার
জন্যইতো এতোকিছু করা।
.
রিয়া রাতুলের এমন পাগলামী দেখে রাতুল কে জড়িয়ে
ধরে রাতুলও অনেক খুশি হয়।
.
প্রিয়জনের সুখেই তো নিজের সুখ।
কিন্তু কইজন এই কথাটি ভাবে।
> তোমার জন্য একটা শাড়ি এনেছি (রাতুল)
-তোমাকে কে বলেছিলো,আমার জন্য শাড়ি কিনতে।
> মানুষ বলার সাথে আমার শাড়ি কেনার সম্পর্ক কি।
-তাহলে দেখি,কেমন শাড়ি কিনেছো।
>আমি অনেক দোকান ঘুরে শাড়িটা কিনেছি।
-এখন ব্যাগটা দাও, শাড়িটা দেখি।
.
রাতুল ব্যাগ থেকে শাড়িটা বের করে রিয়াকে দেই,
অনেক দোকান খোজার পরে,
এই শাড়িটা পছন্দ করে রাতুল।
এই শাড়িটা রিয়া পড়লে রিয়াকে অনেক সুন্দর লাগবে।
.
পোশাকের ভেতরেইতো লুকিয়ে থাকে মানুষের সোন্দর্য।
.
-এটা কি কিনে নিয়ে এসেছো (রিয়া)
> কেনো শাড়ি কিনে নিয়ে এসেছি (রাতুল)
-এটা শাড়ি হলো নাকি,এটার কালার দেখেছো, কেমন?
> কেনো তোমার পছন্দ হয়নি।
-না।
.
রিয়ার মুখে না কথাটি শুনে রাতুলের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে
গেলো।
এতো কষ্ট করে অনেক খুজে শাড়িটা পছন্দ করলো রাতুল,
আর রিয়া বলছে এটা পছন্দ হয়নি।
.
-তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না, একটা শাড়ি কিনতে
পারোনা ভালোমত,
এখন থেকে তোমাকে আর শাড়ি কিনতে হবে না।
> আমি কি জানতাম নাকি , তোমার এটা পছন্দ হবে না।
দোকানদারকে তোমার বর্ননা দিলাম,তারপরে
দোকানদার বলল এই শাড়িটা নিয়ে যেতে।
-তুমি কি সত্যিই পাগল।
পাগলেরাও এর চেয়ে অনেক বুদ্ধীমান হয়।
.
-তোমাকে দোকানদার বোকা বানিয়ে শাড়িটা তোমার
কাছে বিক্রি করেছে।
এই নাও তোমার শাড়ি,এই শাড়ি নিয়েই তুমি থাকো,
দোকানদারকে আমার বর্ননা দিয়ে শাড়ি
কিনেছে,নিজে যদি মনের মতন করে পছন্দ করতে তবুও
ভালো লাগতো,আমার চেহারা দোকানদারকে বর্ননা
করতে কে বলেছে।
.
রিয়া রাগে কথা গুলো বলতে বলতে চলে গেলো।
রাতুল কোনভাবেই রিয়াকে থামাতে পারলো না।
.
রাতুল শাড়িটা নিয়ে দাড়িয়ে থেকে রিয়ার চলে যাওয়া
দেখলো।
শাড়িটার জন্য রিয়া প্রচন্ড রেগে গেছে।
কেনো যে সত্যি কথাটা বলতে গেলাম।
রিয়ার তো জানে,আমি সত্যি কথাই বেশি বলি।
.
নিজের নিজেকেই এখন কষে একটা চড় মারতে ইচ্ছে
করছে।
.
সারাদিন আর রিয়ার সাথে কথা হয়নি রাতুলের,
রাতুল অনেকবার ফোন করেছে,কিন্তু রিয়া ফোন ধরেনি ।
রাতুল বুঝতে পারছে না কি করবে এখন।
.
রাত্রি নইটা বেজে গেছে,
রাতুল রিয়াকে ফোন করেই চলেছে,তবুও ফোন ধরছে না
রিয়া।
.
এই হালকা শীতের মাঝে রাতুল বেরিয়ে পড়ে রিয়াদের
বাড়ির উদ্দেশ্য করে।
নিজের শরীরে হালকা একটি টি শার্ট পড়ে আছে,তবুও
তার শীত লাগছে না,
রিয়ার জন্যই এখন সে চিন্তিত, কি করে শীত লাগবে
তার।
.
অর্ধেক রাস্তা যেতেই রাতুলের পকেটে থাকা ফোনটা
বেজে উঠে,
পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে,রিয়া ফোন করেছে।
.
-এতবার ফোন করছো কেনো? (রিয়া)
> তোমার রাগ কমেছে কিনা,সেটা জানতে। (রাতুল)
-তোমার সেটা জেনে কোন লাভ হবে না,
তুমি এখন কোথাই।
> রাস্তাতে।
-রাস্তাতে মানে।
>রাস্তা দিয়ে হাটছি।
-কোথাই যাচ্ছ এতো রাতে।
> তোমাদের বাড়িতে,অর্ধেক পথ চলে এসেছি।
-আমাদের বাড়িতে তোমাকে কে আসতে বলেছে।
> কেউ বলেনি।
-তাহলে কেনো আসছো আমার বাড়িতে।
> আমার এক বন্ধু বলল,তুমি রেগে আছ,সেইজন্য তোমার
রাগ ভাঙ্গাতে হলে তোমার বাড়ির কাছে গিয়ে কান
ধরে সরি বললে,তোমার রাগ ভেঙ্গে যাবে।
-কিইইইইই,তুমি এইজন্য আমাদের বাড়িতে আসতেছো।
> হ্যাঁ।
-তোমার মতন পাগলের প্রেমে কেনো যে পড়েছিলাম।
> এখন তুমি কি বাড়িতে আছ।
-এই শোন, আমি এখন জাহান্নামের চোরাস্তাই আছি,আর
কোনদিন তুমি আমাকে ফোন করবে না,আর আমার
বাড়িতে তোমাকে আসতে হবে না, তুমি তোমার বন্ধুর
কাছে যাও।
.
কথাগুলো বলেই রিয়া ফোনটা কেটে দিলো।
.
রাতুল ফোন হাতে নিয়ে ভাবছে,কি এমন করলাম এতো
রেগে যেতে হবে।
.
.
এতো রাতে ওদের বাড়িতে আসতেছি,তবুও কেনো সে
বুঝে না।
বন্ধুকে একটা চড় মারতে ইচ্ছে করছে,
তার দেওয়া বুদ্ধীতেও কোন কাজ হলো না।
.
রাতুল আর রিয়াদের বাড়ির দিকে গেলো না,রিয়াকে
ফোন করে দেখে ফোনটা অফ,
এখন ওদের বাড়ির সামনে গেলে রিয়া আরো রেগে
যেতে পারে,সেইজন্য রাতুল নিজের বাড়ির দিকে রওনা
দিলো।
.
বাড়িতে এসে রাতুল চিন্তা করতে লাগলো,কি করলে
রিয়ার রাগ ভাঙ্গানো সম্ভব।
.
অনেক ভাবার পরে রাতুল একটি উপায়ও বের করতে পারল
না।
রাতুলের মন আরও খারাপ হয়ে গেলো।
বিষন্ন মন নিয়ে রাতুল ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
.
.
পরেরদিন অনেকবার রিয়াকে ফোন করে রাতুল।
-কি হয়েছে এতো বার ফোন করছো কেনো? (রিয়া)
> একটু দেখা করতে পারবে আজকে। (রাতুল)
-কেনো দেখা করতে হবে কেনো।
> বেশি সময় না শুধু অল্প সময়ের জন্য।
-আজকে কার থেকে বুদ্ধী নিয়েছো,আমার রাগ কমানোর
জন্য।
> কারো থেকে কোন বুদ্ধী নেই নি।
-মিথ্যা কথা বলার দরকার কি।
> তোমার কাছে মিথ্যা হতে পারে।কিন্তু আমার কাছে
সত্য,
এখন বলো,দেখা করবে কিনা?
-কোথাই আসতে হবে বলো।
.
রাতুল রিয়াকে তাদের কলেজের মাঠে আসতে বলে।
সময়টা বলে দেই,
বেলগাছের নিচে এসে থাকতে বলে রিয়াকে।
এই জায়গাটি রাতুলের অনেক প্রিয়া যায়গা।
.
রাতুল রিক্সা করে কলেজের মাঠে আসে,
এসে দেখে রিয়া আগে থেকেই ওখানে বসে আছে।
.
রিয়ার হাবভাব দেখে রাতুল মনে করে রিয়া হয়তো আরও
রেগে গিয়েছে,
.
রাতুল রিক্সা থেকে নেমে রিয়ার কাছে যায়।
.
-বলো কি জন্য ডেকেছো? (রিয়া)
> কিছু বলতে নই,কিছু দিতে চাই তোমাকে সেইজন্য
ডেকেছি।
.
রাতুল রিক্সা চালককে ডাক দেয়।
রিক্সাচালক রাতুলের ডাক শুনে রিক্সা থেকে শাড়ি
গুলো নিয়ে রাতুলের সামনে রাখে।
.
-এতো শাড়ি কিসের জন্য। (রিয়া)
> দোকানদারের থেকে নিয়ে এসেছি,তোমার যেটা পছন্দ
হবে সেটা নিয়ে নাও।
> এতো শাড়ি কে আনতে বলেছে।
- কেউ আনতে বলেনি,তোমার তো শাড়ি পছন্দ হবে না
যদি একটি শাড়ি নিয়ে আসি,
তাই এতো গুলো শাড়ি নিয়ে আসলাম।
তোমার যেটা পছন্দ তুমি সেটা নিয়ে নাও,বাকি গুলো
পরে ঘুরিয়ে দিবো।
.
রিয়া রাতুলের দিকে একবার তাকাই ,
রাতুলের এমন কান্ড দেখে রিয়া হেঁসে উঠে,
সামান্য রাগের কারনে রাতুল কতকিছু করল তার জন্য,
আসলেই ছেলেটা পাগল।
এই পাগল ছেলেটার পাগলামী গুলো রিয়ার ভালই লাগে।
রিয়ার রাগ কমে যায়, রাগ থাকবে কি করে,সামান্য
রাগের কারনে কতকিছু করে ফেলেছে।
.
রিয়ার হাসি দেখে রাতুলও হাসে,এই হাসি দেখার
জন্যইতো এতোকিছু করা।
.
রিয়া রাতুলের এমন পাগলামী দেখে রাতুল কে জড়িয়ে
ধরে রাতুলও অনেক খুশি হয়।
.
প্রিয়জনের সুখেই তো নিজের সুখ।
কিন্তু কইজন এই কথাটি ভাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন